লানশীল, বি1হলাভী, জমণ-প্রিয় মযমনসিতহ কালী নুরের পরা ষ্টনানা 1 চি ৪ মাংপকার্য। স্রগীয় পিভুদের তারিণীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী ভু সন্দরাপ্ররান [| গছ 9 গে ও ২ ৯৪৯-৪০২২-সন, চ্িক্কা | অতি শৈশব হইতেই আমার হৃদয়ে ভ্রমণ-স্পহা জাগরিত হয়। আমার প্রথম নমণ স্বর্গীয় পিতৃদেবের সহিত ৬কাণীধাম দশন, সে আজ প্রার চল্লিশ বৎসর পূর্বের কথা, তথন বর্তমান সময়ের ন্যায় যাতায়াত এত সুগম ছিল না। পূর্ববঙ্গ রেলওয়ে লাইনের (1:. 1). ১. 1২.) শেব ষ্রেন ছিল তখন কুগ্টিয়া,-ওদিকে আবার ঢাকা হইতে ময়মনসিংহ পর্যান্তও রেলওয়ে হয় নাই, কাজেই এতটা পথ নৌকাযোগে আসিতে হত । এখন যেমন ভারতের এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্য্যন্ত গমনাঁগমন করিতে কোনওরূপ ক্লেশ সহ করিতে হয় না--তখন সেরূপ ছিলন! ;_ আমরা ময়মনসিংহ হইতে নৌকাযোগে ব্রহ্মপুল্র, যমুনা, পন্স, গৌরাই প্রভৃতি নদী বাহিয়া আসিয়! কুষ্টিয়া পনছিতাম। নৌকাযোগে যাতায়াত এখন একরূপ উঠিয়া গিয়াছে, এরূপ লমণে থে কতখানি স্ুথ-স্বাচ্ছন্দা-ভোগ এবং দশন-কুতুহল চরিতার্থ হয়, তাহা এখন আমরা বুঝিতে অক্ষম; কারণ তখন সময়ের মুল্য এতটা বুঝিতাম নাঁ_ এখন বেশ বুঝি, কাজেই কনব্যের তাড়নার সঙ্গে সঙ্গে সময়ও খুঁজিয়া পাই না! সে পূর্বের আমোদ-প্রমোদ মণের রীতিনীতিও তাই বহুল পরিমাণে বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে। প্রথমবার বৈগ্ঠনাথ ও ৬কাশাধাম দর্শন করি। বৈগ্যনাথের পাহাড়গুলির ধুম সৌন্দধা, বনভূমির শ্যাম মাধুযা এবং নিম্মলসলিল! জাহ্রবী-তটবর্তী ৬কাশীধামের নাগরিক শোভা-সম্পদের সুরমা-চিত্র আমার হদয়ে মুদ্রিত হইয়া গিয়াছিল, বয়ঃ প্রাপ্তির মঙ্গে সঙ্গে নানাপ্রকার বৈষয়িক কম্ম কঠোরতার মধোও আমার সে ভ্রমণ-স্পৃহা হাঁস হয় নাত; অবদর ক্রমে ধখন সুযোগ বুঝিয়াছি, তখনই ভ্রমণে বাহির হইয়াছি, _ এইরূপভাবে বহুবার ভারতের বিভিন্ন স্থান পধাটন করিয়াছি-__এ ভ্রমণ-কাহিনী সে পর্যটনের ফল। | কোনদিন সাহিতাক্ষেত্রে অগ্রসর হই নাই--কিংবা কোন সামান্ত রচনায়ও হস্তক্ষেপ করি নাই, কাজেই এ বিরাট গ্রন্থ লইয়া আজ বড়ই সন্কুচিত চিত্তে সাহিত্য- ক্ষেত্রে অগ্রসর হইতেছি। আশা করি, সুধীবুন্দ আমার এ বৃষ্টতা মার্জনা করিবেন। আমার এ ভ্রমণ-কাহিনী কোনদিন গ্রন্থাকারে মুদ্রিত করিব এরূপ কল্পনাও আমার মনে আসে নাই, কারণ বঙ্গসাহিত্যেও ত আজকাল আর ভ্রমণ-কাহিনীর অভাব নাই! দশজনের নিকট গল্প করিয়াই আমি শান্তিলাভ করিতাম, কোথায় কোন্‌ বিপদে পড়িয়াছি--কেমন করিয়া সে বিপদ উত্তীর্ণ হইয়াছি--নানা দেশের নানা রীতিনীতি ও আচারবাবহার, প্রাকৃতিক দৃশ্ত ও নাগরিক সমৃদ্ধির আলোচনাই' |০/০ আমার তৃপ্তির কারণ ছিল। এ গ্রন্থ-প্রকাশের কল্পনা একজন মহীয়সী মহিলার অনুরোধে আমার হৃদয়ে সর্ধপ্রথমে জাগরিত হয়। ময়মনসিংহ গৌরীপুরের প্রসিদ্ধ জমিদার শ্রীমান্‌ ব্রজেন্ত্রকিশোর রায় চৌধুরীর জননী, দানশীল! শ্রীযুক্তা বিশ্বেশ্বরী দেবীচৌধুরাণী আমাকে বহুবার এ বিষয়ে অনুরোধ করেন-তাহার সে অনুরোধ আমার নিকট অসঙ্গত বলিয়া মনেহয় নাই-_অতঃপর বন্ধুবান্ধব ধাহাঁদের নিকট এ কথা বলিয়াছি, তাহার সকলেই এ মন্তব্যের সারবস্তা অনুভব করিয়া আমাকে এবিষয়ে উৎসাহিত করেন, তাহাদের সে উৎসাহে উৎসাহিত হইয়াই অগ্য এই ভ্রমণ-কাহিনী প্রকাশে সমর্থ হইলাম । যে ভারতবর্ষ স্থদূর অতীত হইতে বর্তমান কাল পর্যন্ত নানাপ্রকার কৃত্রিম ও অকুত্রিম সৌন্দর্যো গঠিত, যাহার নাঁনাবিধ সৌন্দধ্যের বার্ভী জগতের বিভিন্নাংশের 'অধিবাসীবৃন্দের নিকট স্বর্গলোকের ন্যায় অপূর্বব বলিয়া পরীকীর্তিত হইয়া আসিতেছে-_ সেই দেশের অধিবামী হইয়াও আমরা তাহাকে সম্পূর্ণরূপে উপলব্ধি করিবার চেষ্টা ও যব হইতে বঞ্চিত! একটা কথা আছে "যাহা নাই ভারতে--তাহা নাই জগতে”, যিনি ভারতের বিভিন্নাংশ পর্যাটন করিয়াছেন তিনিই এ উক্তির সারবত্তা জদয়ে অনুভব করিবেন। এমন শ্তন্দর দেশ জগতে কোথায়? তুষার কিরীট-শোভিত হিমালয়ের বিরাট বিপুল সৌন্দর্য্য-_জাহুবী, কাবেরী, সিদ্ধ, গোদাবরী, যমুনা, ব্রহ্ষপূজ প্রড়তি নদনদীর বক্রগতি, রজত শুভ্রব_সলিল শোভা, দিগন্ত-বিস্কাত অরণানী, প্রাচীনের পরিতাক্ত এঁতিহাসিক তীর্থস্থলসমূহের কঙ্কাল চি, এক অবাক্ত মহিমায় ভাঁরতবর্ষকে জগতের নিকট বিধাতার ষ্টি-গৌরব-স্বদূপ নিরাজমান রাখিয়াছে। এত বিভিন্ন প্রকারের সৌন্দর্য, এত বিভিন্ন প্রকারের জল বায়ু, এত বিভিন্ন প্রকারের ভাষা, ধর্ম, জাতি, আচারব্যবহার, রাতিনীতি আশ্চধ্যরূপে এক ভারতবর্ষে বিছ্ামান। সেই ভারতের অধিবাসী হইয়াও 'আমর! ভারতকে দেখিতে জানি না, সুদূর ইউরোপ মামেরিকার অধিবাসীবৃন্দ ভারতকে যে ভাবে অধায়ন করিয়াছেন, আমরা তাহারি শ্নেহকোলে লালিত পালিত হইয়া তৎসন্বন্ধে একেবারে অন্ঞ। ভ্রমণ লোকের শিক্ষাকে মান্জিত ও উন্নত করে-_-উতার দ্বারা বভ অপঠিত ইতিহাস পঠিত হয়_- শ্ানক নৃতন শিক্ষা ৪ জ্ঞানের সঙ্গে অনেক বৃথা দন্ত, অহঙ্কার 9 সংকীর্ণতা জদয় হইতে দূর হয়-_লমণের শিক্ষা জদয়ে যেরূপ দুঢ়রূপে মুদ্রিত হইয়া যায়-_অন্ত কিছুতেই তদ্রপ হয় না, অতএব ভ্রমণ-স্পৃহা মানিবমাত্রেরই থাকা অবশ্য কর্তব্য । কত প্রাচীন সমৃদ্ধিশালী রাঞ্জবংশ, কত প্রাচীন সমৃদ্ধ নগরের এখন অন্তিত্ব ও 'নাই_সে সকল প্রাচীন প্রত্ততত্ব ও ইতিহাস-সম্পর্কিত স্কানসমুহ দর্শনে যে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানলাভ হয়--তাহা গৃহকোণে বসিয়া থাকিলে কখনও আয়ত্ত হইতে পারে না,_-ভারতবর্ষবূপ বিরাট গ্রন্থথানা অধ্যয়ন করিবার সামান্যতঃ ইচ্ছ। থাঁকিলেও ভ্রমণরূপ ভ'মা-পরিচয়ের মধ্য দিয়াই তাহার আরস্ত হওয়া আবশ্যক । |৬/০ ভারতবর্ষ সম্বন্ধে পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের যেরূপ সচিত্র ও সুন্দর স্থন্দর ভ্রমণ-গ্রন্থ আছে, আমাদের বাঙগলাভাষায় এখনও সেরূপ হয় নাই,--ইহার কারণ আমাদেরই অললতা এবং ভ্রমণের প্রতি অনাদর । আমি আমার এ ভ্রমণ-গ্রস্থকে পর্যযাটক গণের চিত্তাকর্ষক করিবার জন্তঠ চিত্র ইত্যাদি দ্বার সুশোভিত করিবার প্রয়াস পাইয়াঁছি এবং যাহাতে সর্ধ শ্রেণীর পাঠকেরই চিত্তীকর্ষক হয় সেজন্য যথাসাধ্য সরল ভাষায় দ্রষ্টব্য স্থানসমুহ বর্ণন! করিবার চেষ্টা করিয়াছি-_জানি না কতদূর ক্ৃতকাধ্য হইয়াছি। আমার এ গ্রন্থ-প্রকাশের উদ্দেশ্য ছু'টি_-প্রথম যাহাতে সর্বসাধারণের মধ্যে ভ্রমণ-স্পুহা জাগরিত হয়, দ্বিতীয় যে সকল ধনীসস্তান, অর্থ, সময় ও স্থবিধা থাকিতেও বিলাসব্যসনে কালাতিপাত করেন, যদি তাহাদের মধ্যে একজনেরও, বুথা অর্থ বায় না করিয়া, দেশ ভ্রমণের হ্টার মহৎ ও সুন্দর কার্ষো অর্থব্যয়ের প্রবৃত্তি জন্মে, এ ছুটির একটা ও:£সামাগ্তরূপে চরিতার্থ হইলে আমি আমার সমুদয় অর্থব্যয় ও শ্রম সফল জ্ঞান করিব। আমার ভ্রমণের যাহারা সঙ্গী ছিপণেন, তাহাদের মধো অনেকেই পরলোক গমন করিয়াছেন, তন্মধ্যে আমার বিশেষ বন্ধু স্বর্গীয় গগনচন্ত্র রায় মহাশয়ের স্বতি আজ আমাকে ব্যথিত করিতেছে--এ গ্রস্থ-প্রকাশে তাহার একান্ত আগ্রহ ছিল, আজ তাহাকে স্মরণ করিয়া আমি আন্তরিক মন্মবেদনা অস্ভব করতেছি। স্বর্গীয় গগন বাবু বাতীত আমার আজন্মের বন্ধু ভূতপৃর্ব গভর্মেন্ট পুলিস-ইন্স্পেক্টার শ্গক্ত ভারতচন্দ্র মন্্রমদার মহাশয় ও আমার সঙ্গী ছিলেন--গএগ্রন্থে তাহার একথানি চিত্র প্রদত্ত হহল। এইরূপ দীর্ঘ দেহ, বলিষ্ঠ ও কম্মঠ পুরুষ বর্তমান রোগজীর্ণ ও নিরন বাঙ্গালা দেশের অধিনানসিগণের মধ্যে অতি অন্নই দেখিতে পাওয়া যায়-_ চিত্র হইতেই পাঠকবর্গ এ বুদ্ধ বয়সেও তাহার ঘৌননোচিত বলবীধ্যের পরিচয় পাইবেন । এগ্রন্থ প্রকাশে আমি “বিক্রমপুরের ইতিহা'স”- প্রণেতা সাহিত্য জগতে সুপরিচিত স্থলেখক শ্মান্‌ যোগেন্ত্রনাথ গুপ্তের নিকটও বহু পরিমাণে খণী, তাহার আন্তরিক সাহায্য ও উৎসাহ না পাইলে আমার স্ায় বিষয়-কন্মান্থুরত্ত ব্যক্তির পক্ষে এত বড় গ্রন্থ প্রকাশ করা সহজ হইত না। প্রসিদ্ধ মডার্ণ রিভিউ এবং প্রবাসী সম্পাদক শ্রীষুক্ত রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় এম, এ, মহোদয় ঘ্বারকা, প্রভাস ও এলিফেণ্টার কয়েকখানা ফোটোগ্রাফ প্রদান করিয়া বিশেষ উপকৃত করিয়াছেন। এই ভ্রমণ প্রবন্ধ সমূহের মধ্যে কয়েকটি স্তুপ্রসিন্ধ “সাহিত্য”, “এতিহাঁসিক চিত্র”, “ম্থপ্রভাত” এবং “জাহৃবীতে প্রকাশিত হইয়াছিল । মদীয় আঁসাম-ভ্রমণ-কাহিনীও লিখিত হইয়াছিল এবং তাহার ছবিও প্রস্থত ছিল; কিন্তু গ্রন্থের কলেবর আশাতীত বৃহৎ হওয়ায় উহা" এগ্রম্থে সংযোজিত হইল না,__জনসাঁধারণের নিকট হইতে উৎসাহ পাইলে, মদীয় অন্তান্ত ভ্রমণ-কাহিনীর সহিত উহাঁও মুদ্রিত হইবে। সাহিত্যের স্রভি-কুস্ম- স্ুবাসিত মনোহর উদ্ভান মধ্যে আজ আমি নির্গন্ধ কিংগুক কুস্থম লইয়া উপস্থিত ॥5 হইয়াছি--যদি কেহ উহাকে কৃপাপূর্বক গ্রহণ করেন, তবে আমার আননের পরিসীমা থাকিবে না, যদি স্বণাভরে আবর্জনায় নিক্ষেপ করেন-_তাহা হইলেও আমার বিশেষ ক্ষোভের কারণ হইবে না-কারণ আমি নিজ অক্ষমতা ও ছুর্বলতা বেশ বুঝি। কালীপুর ছোট তরফ, বিনীত নিবেদক-_ ১ল। বৈশাখ, ১৩১৭ সাল। পোঁঃ, গৌরীপুর, ময়মনসিংহ । | শ্রীধরণীকাস্ত লাহিড়া চৌধুরী | স্থান। সহ কাশী সারনাথ ... জৌনপুর . অযোধা ". লাক্ষৌ বেরিলি মুরাদাবাদ রামপুর . হবিদ্বার সাহারাণপুর অন্বাল৷ পাতিয়াল। রাজধানী নাভা জলন্ধর জালামুখী অমুতসর... লাহোর .' রাবলপিপ্ডি পেশোয়ার রিতার কোয়েটা .. । দিললী আজমীর... চিতোর জয়পুর আগ্রা স্ক্চ্দী । উত্রভারত। ৃষ্ঠা। ১২৩ ২৪----৩৩ ৩৪-_-৩৮ ৩৯ _-8৪ ৪৫-_-৫৮ €৯ ৬০-্ট ৬২--৬৩ ৬৪-__-৭৩ ৭৪স্্ণ ৫ ৭৬----৭৮ ৭৯---৮১ ৮২--৮৩ ৮৪---৮৮ ৮৯-_-৯৫ ৯৬--৮১৩৫ ১০৬--১৯০৯ ১১০-__-ই৩ ১২১--৩০ ১৩১--৩৩ ১৩৪---৬৮ ১৬৯-_-৭৪ ১৭৫---৮১ ১৮৯- ৯৬ ১৯৭--২২৫ স্থান। ফতেপুর সিক্রি ঢোলপুর .. গোয়ালিয়র ঝান্সী ভরতপুর.. ডিগ মধুর! বৃন্দাবন ... _ গিরি-গোবদ্ধন গোকুল **: কানপুর 22 এটোয়া এলাহাবাদ কুরুক্ষেত্র". রুড় কা মীজ্জীপুর ". বিন্ধ্যাচল:.. . গয়া বুদ্ধগয়া গুড়িষ্যা । পুরী বা জগন্নাথ কনারক ... 'সাক্ষীগোপাল ভুবনেশ্বর বা একা ভ্রকানন খগণ্ডগিরি ও উদয়গিরি কটক যাজপুর ... দাক্ষিণাত্য | ওরালটেরা'র পৃষ্ঠা । ২২৬---৪০ ২৪১---৪৩ ২৪৪-৮৫৩ ২৫৪--৫৮ ২৫৯---৬৫ ২৬৬--৬৮ ২৬৯--৮২ ২৮৩---৩০ ৫ ৩০৬---১ ৪ ৩১৫-১৯ ৩২০-_-২৭ ৩২৮---৩১ ৩৩২---৪৮ ৩৪৯---৫৭ ৩৫৮৫৯ ৩৬০-_-৬৭ ৩৬৮--৭১ ৩৭২৮৩ ৩৮১--7৮৬ ৩৮৭--৯৪ ৩৯৭---৪৪৪ ৪৪ ৫---৫৪ ৪৫৫---৬২ ৪৬৩-- ৮৩ ৪৮৪---৯৮ ৪৯৯---৫০২ ৫ ০৩---১৩ ৫১৩---৫২২ ৫২৩ ॥2/০ স্থান। কোকনদ... গোদাবরী বেজাওদা মছলিপন্তন কালতস্তী -.. চন্দ্রগিরি ... ত্রিপতি . কাঞ্চা বা কাঞ্জীভবম্‌ চিক্ষলপং... মহাবলীপুর ভিলুপূর মায়াভবম চিদধবম ... কুষ্তকোনান কেডালোর পগ্চারী ইরোড জংশন ত্রিচিনাপল্লী তাঞ্জোর ... মাঢবা পাণ্ধম রামেশ্ববম রামনাদ ... টিউটিকোরিণ ব্রিনেত্লী আজিখাল আর্ণাকোলাম (কোঁচীন শ্রীরঙগম্‌... বিজয়নগর »কিিন্ধা... বিজাপুর ... ৮৮ ৫২৩ ২৭ ৫+৮---২৯ ৫০০ ---৩)৬ € 25০7০ 2 তি ৫৩৭---৩৮৮ ৫৩৯ ---৪৭ ৫৭৮--৫৪ ৫৫৫---৫৭ ৫৫৮---৫৯ ৫৭৪-_-৭৬ ৫৭৭----৭৮৮ ৫৭৯---৮২ ৫৮৩---৮৮ ৫৮৯ --১৭ ৫৯৮ -- ৯৯ ১০ ০.-_.-৩০৭ "৩৩ ৮-এএ ৬৩১০ ---১২ ২১. এ নি ৬১৯৫-77-১৩ ৬১৭---২০ '৩১১---২৯৫ ৩২৬--৯৯ *৩১)০ ১৩ ৬৪৭---৪৯ ৬৫১--৬৪ ০ স্থান। হাইদ্রীবাদ ইন্দোর ""' অবস্তী বা উজ্জয়িনী ভুঁপাল নাসিক ... অহমদনগর বোম্বাই ... এলিফেন্ট সুরাট ভরোচ কনীর বট বরদ! আহম্মদাবাদ জনাগড় ... দ্বাবকা করাচী ... জববলপুর পৃষ্টা । ৬৬৫---৭১ ৬৭২-- ৭৯ ৬৮০ ৯৩ ৬৯৪-_-৯৫ ৬৯৬. ৭০৫ ৭০৬---১৬ ৭১৭-_-৫৫ ৭৫৬ - ৬৫ ৭৬ ৩---৭১ ৭৭২... ৭৩ ৭৭6-..৭৮ ৭৭9. ৮৫ ৭৮৬--- ৯১ ৭২. ৯৩ ৯৯৯৮ ৭9৮০০ ৮০১- ৮০৭ স্থান। অঅ অযোধ্যা অন্বাল! অমৃতসর অবস্তী অহমদনগর আ আগ্রা 'আঙ্মমীর আপজখাল আার্ণাকোলাম 'আভম্মদাবাদ জা ইন্দোর হরোড জংশন এ এটোয়া এলাচাবাদ এলিফেন্ট ও ওয়ালটেয়ার ক কটক কনারক., কবীর বট করাচী কাশা কালহস্তী কাঁনপুর বর্ণানুক্রমিক সূচী । ৮৯ ৬৮০ ৭০৩ ৯৯৭ ১৬৭ ৬১৫ ৭৮৮ ৫১৩ স্থান । ৃ কাঞ্চী বা কাল্লীভরাম্‌ কিক্িন্ধা কেডলোর কোফষেটা কোকনদ কুরুক্ষেত্র কৃম্তকোনাম্‌ কোচীন খ খগগিরি ও উদয়গিরি গ গয়] ঠিরিগোবদ্ধন গোয়ালিয়র গোঁকুল গৌদাবরী চ চন্ত্রগিরি চিতোর চিদম্বরম চিঙ্গলপৎ টার না জলন্দর জয়পুর জববলপুর জালামুণী নভনাগড় জৌনপুর ঝ ঝান্দী পৃষ্ঠা । ৫৪8৮ ৬৪৭ ৫৭০ ১৩১ ৫২৩৬ ৫৬৭ ৬২১ লিলি রে রর পে ০৩৩ ৮৯ ১৮২ ৮০১ ৮৪ ৭১১৯ ৩৪ ৫৪ স্থান। টিউটিকোরিণ ডিগ ঢোলপুর তাঞোর ত্রিপতি ত্রিচিনাল্লী তিনেবেলী দূ দ্বারকা দিল্লী ন্‌ নাসিক প প্চিচারী রা পাতিয়ালা রাজধানী নাভা পান্বম্‌ পেশোয়ার পূরী বা জগন্নাথ... ফ বতেপুর সিক্রি . ব বরদা বিজয়নগর বিজাপুর বিল্ধাচল বেজাওদা বেরিলি বোম্বাই বুন্দাবন বুদ্ধগয়! ১৬৩ ১৪১ ৫৮৩ ৫৩৯ ৫৭৯ ৬১৩ ৫৭৪ ৭9০১ ৫৯৮ ১১৩ ৩৯৭ ৬৬ কে ৫১০ ০৯৩3 এ ঝি € তে এড ৫৭ ১ ৩ ১৮৭ স্থান। ্‌ পৃষ্ঠা । কস ভ ভরতপুর রঃ রর 3 ১১০ ই৫নী ভিলুপুরম্‌ ও 2 কঃ ১,৫৬০ ভুবনেশ্বর বা একামকানণ 8 নি রি .....:8৬৩ ভরোচ রর ৪ টি ০৫৯ পল 1 মথুর। ঠা রি ৪ 2 ১০০ ২৬৭৯ মুরাদাবাদ টা হা /%3 | ২১২9০ মুূলতান রর ক বড রি 2৮ হি মীজ্জাপূর রা রর হা 9 ১৮৩৬৮ মছলীপত্তন ... রি রঃ রঃ ১... ৫৩০ মহাবলীপুরম্‌ ... ৪ যু ৪ ঞ্চ ... ৫৫৮ মায়াভরম্‌ টুর ৫ ১১,৫৬৩ মাছুর। ৪ হি বি ২ ১০৮. 4৮৪ য | যাজপুর মন 4 ক 2 ১৫০০) বর রামপুর টি রঃ ও ধা রন ৩২ রাবলপিটি ৫ নে ১ [2 এ 589 রুড় কী রা টুর নি ক .... 5৫৮ রামনাদ টা 2 টু দর 5527. রামেশ্বরম্‌ ্ঃ রা পু ১,৬০৪ 2 লক্ষে রে ট পি 2 ১১১০ মি লাচোর টা বা হয রি 2 8৩ শ শ্রীরগ্গম ... রি রর রঃ ১, ৬৯৩ লা. স্ুরাট চর্ম তে টন ৫ 5 ৭2৩ সারনাথ টু ৪2 হু ক ৮22) ' উঠে সাহারাণপুর ... 8 টু ক । “মি সামলকোট ... ০ 4 রঃ 7 ১১৫২৩ সাক্ষীগোপাল ... রা ক | ১১8৫৫ হু হরিদ্ধার রঃ ৫ এ রি রঃ হাইজাবাদ দঃ রর রি রা ৬৬৫ ভিভ্র-স্ক্রুচী ॥ চিত্রের নাম বিশ্বেশ্বরের মন্দির দশীশ্বমেধ ঘাট সাড়ীর কারুকার্ধা রঃ ডে রি নু দেবমন্দির-রামনগর মানমন্দিরের ধ্বংসাবশেষ রামনগরের দৃশ্য বৌদ্ধস্তপ-সারনাথ ধমক স্ত,পের কারুকাধ্য সারনাথের সাধারণ দৃশ্য ধাঁনী বুদ্ধ হুমায়ুন স্তম্ভের খনিত অংশ ভিক্ষুগণের প্রাথনার ক্ষুদাকৃতি বেদী সারনাথ 5৪ ৮৯ 5, ৪৫৯ লাল দরজ! মসজিদ **' 2 নী রর লক্ষৌ পূর্বদার-_কৈশরবাগ-লক্ষে ইমামবাড়ী তোঁসেঙ্গাবাদ বাজার তোরণ রেসিডেন্সির ধ্বংসাব/শষ মল--_অন্বাল৷ স্বর্ণমন্দির-অমৃতসর রণজিৎসিংহের প্রাসাদ ও দুর্গ ওয়াজিদ্খায়ের সমাধিস্তস্তের উপর হইতে লাহোরের দৃ্ঠ সাম্রাজ্ৰী-নুরজাহাঁন | দুর্গ-রাবলপিগ্ডি কোয়েটা পৃষ্টাঙ্ক । মুখপণ্র ১৩ ১৪ ১৬ চিত্রের নাম কোয়েটা এ ছর্গ দিল্লীর কাশ্মীর গেট জুন্মা মন্জিদ কুতব মিনার হুমায়নের সমাধি মান মন্দির এ অপর ভাগ আকৃবরের দরবার দিল্লীর লৌহস্তস্ত বাহাছুরসাহ ও ত্ান্নার পত্ভী আড়াইদিনক1 ঝুপড়ি__আজমীর বিজয়ন্তস্ত-_-চিতোর ' হাওয়ামহল মহারাজার কলেজ রাজপ্রাসাদ প্রাচীন অধর তাজমহল /তাজের তোরণ সাজাহান ও মমতাজ মহল তাজমহল দূর্গ দেওয়ানী খাম্‌ আকৃবর '9 যোধাবাই . আকৃবরের সোয়ারী বা নগর ভ্রমণ সম্রাট জাহাঙ্গীর ও যোধবাই ফতেপুর সিক্রির সাধারণ দৃশ্য সেলিমের সমাধি আকৃবরের তুরস্ক দেশবাঁসিনী সাজার বাসগৃ হস্তী-স্তস্ত প্রধান মস্জিদ '্টেপুক্ক পিক্রির তোরণথার ৯৫৬ ১৫৮ ১৬১ ১৬৪ ২১৩৬ ২১৪ ৯১৬ ২১৭৯ ২২৬ ২২৪ ২২৬ 2/৩ চিত্রের নাম | ৃষ্টাস্ক। গোয়ালিয়র দুর্ণ রর টু ূ ১৪৯ ছুর্গ-ভরতপুর ৫ ৪ ক দন ২৬৪ দূর্গ-ডিগ্‌ ঠা টি ২৬৮ যমুনার অপর তীর হইতে মথুরার দুগ্ঠ রর -ং ২৬৯ এ এ . . ২৭০ বুন্দাবন-যমুনার অপর তীর হইতে: -. : রি ২৮৩ নাড়, গোপাল রা * 5) ২৮৪ শিশু কৃষ্ণ রর রি যি ্ ২৮৬ প্রাচীন গোবিন্দজীব মন্দিরের ধবংনাঁবশৈষ তত রঃ ২৯০ বেহারী সাহার মন্দির ্ 2 . ২৯৪ দেবী যোগমায়। রি | টি রী ৩৯২ শ্রীরাধাকষ্জের ঝুলন ৭ ৫ ৩০৮ মানসগঙ্গ'-গোবদীন 12. ৭. : : 2.০ গোকুল-যমুনীতীর :- | এ ৩১৫ এ এ দয টয়া | ই ৩১৬ মহাঁবন রি 2 নর রি ৩১৮ মেমোরিয়েল ওয়েল-কানপুব টা ৩২৩ থক্রর সমাধি- এলাহাবাদ ০ . নর ৩১৬ অশোক স্তন্ত বা অশোঁফ লাট -. -** টা ৩ম৩ গঙ্গার খাল-রুড়কী র্‌ | **. ৪০৩ ৩৬৫৮ মস্জিদ (তোরণ-চুণাবগড় -. ১৮ ১ ৩৩৩ গয়্ার সাধারণ দৃশ্তা ... / হা ৮6 ৩৮১ অক্ষয়বট-গয়া ৫ হর 2 য ৩৮৪ বুদ্ধগঞ্জার মন্দির মেরামতের পৃব্বে ... রা রি ৩৮৮ বুদ্ধগয়ার মন্দির রর রন ৩৯০ জাপান সম্রাট কর্তৃক প্ররিত চন্দন টে বৃদ্ধ মতি রর ৩৯১ প্রধান রাজপথ-পুরী ... না রা 6০৪8 "শ্রীশ্রীজগন্নাথ দেবের মন্দির ঃ ্ ৪১৮ আঠার নালার সেতু ... ডি ৪ ১৪২ অরুণ স্তস্ত ্ঃ 8 ন দু ৪১৩ একটা প্রাচীন মন্দির-ভুবনেশ্বর টা রর ৪৬৪ তুবনেশ্বরের প্রধান মন্দির রর ৫ 47 ৪৭৪ চিত্রের নাম মুক্তেশ্বরের মন্দির মুক্তেশ্বরের মন্দিরের পার দৃশ্থা তই প্রবেশ-দ্বার জৈন মন্দির-খওডগিরি রাণী গল্ফা-খণ্ডগিরি রণনৃস্ত ও ... তই শিকার-ৃশ্থ বরাহী দেবীর মূত্তি ভিজিগাপত্তন সীমাচলের মন্দির আরোহণের দানার গর্রিতজনক --দাক্ষিণাত্য দাক্ষিণাত্যের পল্লী-দৃশ্থ ফল বিক্রেক্রী__দাক্ষিণাত্য বেজাওদা খালের মুখ . কৃষ্ণ নদীর উপরিস্থিত পুল-বেজা ওদা তৃষিত পথিক-__দাক্ষিণাত্য পল্লীপথ-_দাক্ষিণাত্য চক্ষুনাইকি মাতা-_চিঙ্গলপৎ প্রাসাদ-সন্মুখ-চন্ত্রগিরি রাজ প্রাসাদ এ শেষাচলম্‌ মন্দিরের কারুকাধ্য বালাজির ত্রিপতি পাঁপনাশম্‌ তীর্থ--ত্রিপতি ভেম্কটরাম স্বামী_ এ কামাক্ষী দেবী-_কাঞ্ধী বর ভোগমৃন্তি ... পার্বতী মুর্তি চিদস্বরম্‌ : মহামোক্ষম্‌ বা কস্ত মেলার সান দৃষত-ু্তকোনাম্‌ ... সমুদ্রতীরবর্তী মঙ্দির__মহাবলীপুর পর্বতে খোদিত মূরত সমূহ ৪৭৬ ৪৭৭ ৪৭৯ ৪৮৬ ৪৯১ ৪৯৫ ৪৯৩৬ ৫১৬ ৫২৮ ৫৩০৩ ৫৩২ ৫৩৪ £€৩৭ ৫৪৩ ৫৪০ ৫৪৩ ৫৪৫ ৫৪8৫ ৫৪৯ £৫৩ ৫৫৫ ৫৫৬ ৫৫৮ ৫৬০ ৫৬৩৩. 1/০ | চিত্রের নাম গোবিন্দরাজ ী চক্রপাণী দেব-_কুস্তকোনাম সারঙ্গপাণী দেব সারঙ্গপাণী স্বামী এ দুটি ভাই বোন-_দ্াাক্ষিণাত্য পশ্ভীচারী গপুরাম সমুহের দৃষশ্ঠ-_মাছুরা রা নদীতীর হইতে ছুর্গের দৃশ্য _ত্রিচিনপল্ী ত্রিচিন পল্লী হুর্গ রাজপথ-_তাঞ্জোর নন্দী (বুষ) এ রাজ প্রাসাদ এ সাধারণ দৃশ্ঠ-_মাছুর! মন্দিরের প্রবেশ দ্বার--মাদুরা তেগ্লাকুলাম্‌্-__(পুষ্ধরিণী) এ আড়াহের এ রাজ প্রাসাদ মধ্যস্থিত একটা টির পান্ধাম রাজপথ -রামেশ্বরম্‌ কাবেরী নদীর স্সান দৃশ্য স্ব্রাহ্মণাচাধ্য স্বামী ফোর্ট দেন্টএঞ্জোলো-_কেনানোর বিমান মন্দির শ্রীরঙ্গম ৃ শ্রীরঙ্গমের বিগ্রহ রঙ্গনাথ স্বামীর অলঙ্কার সমূহ শ্রীরক্গজীর বিশ্বরূপ দর্শন শয়ন মু্তি : শ্রীমের শৈব মন্দিরের কৌরিনীে অঙ্কিত রর বর্তমান বিজয়নগরের সাধারণ দৃশ্য হস্তীশালা প্রাচীন রাজপথের একাংশ কৃষ্ণদেব রায়ের নির্দিত দেব মন্দির-__বিজয় নগর বিঠঠল স্বামীর মন্দির পৃঠঠাস্ক | ৫৬৪ ৫৬৭ ৫৬৮ ৫৭১ ৫৭২. ৫৭৪ ৫৭৭ ৫৭৯ ৫৮৩ ৫৮২ ৫৮৪ ৫৮৬ ৫৮৯ ৫০১০ ৫৯২ ৫৯৪ 1%৩ চিত্রের নাম উগ্র নরপিংহ ছুর্গ-তোরণ প্রস্তর নির্মিত রথ মন্দির তোরণ শ্রীরঙ্ষম এক প্রকার গোষান- দাক্ষিণাত্য একটা প্রাচীন সমাধি মন্দির-_বিজাপুর স্থলতান মহন্দদের সমাধি এ একটী প্রাচীন খিলানের দৃষ্ত চারমিনার-_হাইদ্রাবাদ রাজা মানায় সলবৎধার সমাধি ডিউক অফ ওয়েলিংটনট্রী ভিক্টোরিয়া টারমিনাস ... রাজপথ-বোন্ে রাজাবাই স্তত্ত আপেলো-বন্দর ক্রফোর্ড মার্কেট পাশি সমাধি স্তস্ত ব্যাক বে মুস্বা দেবীর মন্দির এলিফেপ্টার গুহা সম্মুখ বর বহিদৃশ্ত এ বৃহত্বম কক্ষ লিঙ্গ মৃত্তি ্রিমৃতি শিব-পার্বতী রঃ এলিফেণ্টা গুহার আভ্যন্তরীন দৃশ্য ধা বিষণ, প্রভৃতি মেবতাগণের ভগ্ন মুত্তি সমূহ “সিংহ গুল্ফা | এলিফেপ্টার বৃহতম গুহার পার দৃশ্য পষ্ঠাঙ্ক | ৬৩৩৯ খ্এ ৪ 4৫ ৬৪৪ ৩৪৮ ৬৫৯ ৭8৬ ৭৫০. ৭৫৫ ৭৫৬ ৭৫৭ ৭৫৮ ৭৫৭৯ ৭৬১ ৭৬২ ৭৬৪ ৭৬৭ ৭৬৮ ৭৭১ চিত্রের নাম ৃষ্ঠন্ক। লঙ্মী-বিলাস প্রাসাদ-বরদা রর 2 রন ৭৮০ ছাতী সিংহের মন্দির আহঙ্গদাবাদ ... র্‌ রি ৭৮৮ একটী মস্জিদের জানালার কারুকার্য্য ... রি রঃ ৭৯০ বারকার সাধারণ দৃশ্য ... রর রঃ ৭৯৩ দন্দিরের পথ রঃ রঃ রঃ 0 ৯৫ রণ ছোড়জীর মন্দিরের উর্দীংশ-_দ্বারকা রে ৭8৬ প্রাচীন মন্দিরাত্যন্তর--প্রভাস পত্তন রঃ র্‌ ৭৯৯ গ্রভাসপত্তনের ধ্বংসাবশেষ পু রা নত ৮০০ প্রাচীন প্রভাসের পার দৃশ্ঠ ক রী রর ৮০৩ মন্্বর শৈল-_নর্ধদী ... রে ৮*৪ টি 8038 রি ১ ৮ 114 8511 1% & ৯১ শাভারতচন্দ মজুমদার বুদ্তলীন প্রেস, কলিকাতা হবাস্লী | কক লিখল পাস কলি কত! ভারত ভ্রমণ শ্কান্পী | ততবার ৬ কাশীধামে গমন করিয়াছি, তবু এই প্রাচীন তীর্থ আমার নিকট চিরনূতন। এমন মোক্ষদা়িনী পুণ্যময়ী নগরী ভারতবর্ষে অতি বিরল। বাংলার শ্যামল-প্রান্ত ছাড়িয়া বাম্পীয়শকট যখন সাঁওতাল পরগণার গিরিবন- রঞ্জিত নির্বরবিধোত প্রকৃতিস্ন্দরীর উচ্ছ্‌ঙ্খল সৌন্দধ্যরাজির মধ্য দিয়া চলিতে থাকে, তখন নবীন পথিকের নিকট এক নবীন সৌন্দর্যের দ্বার মুক্ত হয়। কাশী যাইবার পথে দর্শনযোগ্য স্থান আরও অনেক আছে, সে সকল বিষয় পাঠকগণের এত সুপরিচিত যে তাহাদের স্বন্ধে কোনও কথা লিখিতে গেলে, তাহা কাহারও তাদৃুশ প্রীতিপ্রদ হইবে না, অপরপক্ষে সময়ের উপরও অন্যায় দাবী করা হয়, সেজন্য সে সব বিষয়ে নিরস্ত হইলাম। মধুপুর, দেওঘর বা বৈদ্যনাধ, পাটনা, বাঁকিপুর ইত্যাদি সকলেরই চিরপরিচিত, অতএব বাক্যব্যয়ও নিপ্প্রয়োজন। বিহারের তালীবন-পরিশোভিত গ্রাম ও শ্যামল মাঠ পার হইয়া ঘতই অগ্রসর হওয়া যায়, ততই প্রকৃতিস্থন্দরীর “সুজলাং স্ুফলাং শশ্যশ্টামলাং মুক্তি অদৃশ্ঠ হয় এবং জননীর উগ্চণ্ড মুস্ত-_কোমলতার পরি- বর্থে কঠোর সৌন্দর্য্যের অবতারণা করিতে থাকে । সারারাত্রি পাঞ্জাব মেইল ঝড়ের মত ছুটিয়! প্রত্যুষে আসিয়া দানাপুর বা খগোল ফৌঁসনে দীড়াইল-_ এখান হইতে দানাপুর সহর প্রায় তিন মাইল দূরে অবস্থিত। খগোল বেশ বড় ফ্েসন,-_এখানে বন রেলওয়ে কর্মচারী বাস করেন, ইহা একটা. পথের কথা । ভারত-ভ্রমণ । দ্রেলওয়ে ডিশ্রীক্ট । রেলওয়ের ইংরেজ ও ইউরেশীয়ান কর্মচারীদের পুষ্প- কাননবেষ্টিত স্বন্দর ও ছোট বাংলোগুলি ছবির মত দেখা যাইতেছিল। দানাপুর ছাড়িয়া ডাক-গাড়ী যখন বক্সার পঁু- ছিল, তখন বেল৷ প্রায় দশটা হইবে ।. বক্সার একটা ইতিহাস-প্রসিদ্ধ স্থান। এইস্থানেই বাংলার শেষ'নবাব প্রজার মঙ্গলাকাঙক্ষী মীরকাসিম আলিঙখার সহিত ইংরেজবণিক্গণের যুদ্ধ হইয়াছিল এবং তাহাতে তিনি পরাজিত হইয়াছিলেন। বক্সারে বিশ্বামিত্রের আশ্রম, দুর্গ, রামরেখা ঘাট, সের সাহার সমাধি প্রভৃতি দ্রষ্টবা-_এই সমাপি-হন্া নগর হইতে প্রায় চারি মাইল দুরে অবস্থিত । দেখিতে দেখিতে মাঠের পর মাঠ, গ্রামের পর গ্রাম, ফ্টেসনের পর ফ্টেসন পার হইয়৷ মোগল-সরাই এঁনুছিলাম। মোগল-সরাই একটা প্রধান ফ্টেসন,-_ইহা৷ আউড্-রোহিলখণ্ু-রেলওয়ের সংযোগস্থল ; আমাদিগকেও গাড়ী পরিবর্তন করিয়া উক্ত কোম্পানীর গাড়ীতে কাশী যাইতে হইবে। ছুইদিকে দিগন্ত-বিস্তত উষর মাঠ নীলিমার শেষপ্রান্তে মিলাইয়া গিয়াছে, গ্রামের কোনও চিহ্নই দৃষ্ট হয় না, আর মাঝখানে এই বিরাট ফ্টেসন আপনার গৌরব ঘোষণা করিতেছে । ফ্েসনের একপার্থে একটা প্রকাণ্ড বটবৃক্ষ জটামাথায় দণগ্চায়মান, পথিকেরা সেখানে গাড়ীর প্রতীক্ষায় আরামে বিশ্রাম করিতেছে । কত পোট্লা- পুট্লী_তাহার সংখা কে করে? ফ্টেসনের অপর দিকে গাড়ী প্রস্তুত ছিল, আমরা তাহাতে আরোহণ করিয়া কাশীর দিকে রওয়ানা হইলাম । মোগল-সরাই হইতে কাশী কেবল নয় মাইল দরে অবস্থিত। মাঠের মধ্য দিয়া গাড়ী ছুটিয়া চলিল, দূরে বৃক্ষশ্রেণীর মধা দিয়া দুই একখানা গ্রাম দৃষ্টিপথে পতিত হইতেছিল। হূদয় আনন্দে পূর্ণ, সাধের বারাণসী দেখিব। কিছুদূর হইতেই সূধ্যের উজ্জ্বল কিরণমণ্ডিত অগ্ধচন্দ্রাকৃতি জাহ্ৃবী-সলিল-বিধৌত মনোহর বারাণসীধামের মোহন সৌন্দর্যা নয়ন-সমক্ষে বিকশিত হইল। কিন্তুন্দর: যেন একখানা স্ন্দর ছবি কেহ নীলিম- গগনপটে অঙ্কিত করিয়া রাখিয়াছে। দূরে উদ্চশীর্ষ বেশীমাধবের ধজা যেন যাত্রীবৃন্দকে আহবান করিতেছে--“এস পাপ-তাপ-প্রপীড়িত ব্যথিত ক্ষুন্ধ পান্থ ! বলার । _ মোগল-সরাই। কানী। এখানে এস।” কলনাদিনী হরজটাবিহারিণী সলিলরূপিণী তর্জনী 4ও৭ত। করুণা পুণ্যসলিল৷ ভাগীরথী যেন কল-কল্লোলে বলিতেছেন “আয়রে সবে, নরনারী, আয়, আমার স্িগ্ক-শীতল কোলে আয়, আমি তোদের অল স্পর্শে শীতল করিয়া দিব।” গঙ্গাবক্ষে সৌধকিরীটিনী কাশীর শ্বেত প্রতিবিন্ব পতিত হইয়৷ বড় স্থন্দর দেখাইতেছিল,_-চিক্মিক্‌ ঝিক্মিক__সে সৌন্দরয্য- ছবির অতলতলে কোনও প্রগাঢ় রহস্য চিরলুক্কায়িত আছে কিনা, তাহা কে বলিতে পারে? যিনি ভফ্রিনব্রিজের উপর হইতে কাশীর অনির্ববচনীয় শোভা অবলোকন করিয়াছেন, তিনিই ধন্য হইয়াছেন। পুলের অপর পারেই “কাশী” ফেসন। কাশীতে দুইটা ফেঁসন, একটা কাশীনামে আঙাহত ; অপরটিকে “বেনারস কেন্টনমেণ্ট” কহে। কেপ্টনমেণ্ট ফেঁসনটা খুব বড় ফ্টেসন, এখানে বি, এন, ডবলিউ রেন্তুওয়ে আসিয়! মিলিত হইয়াছে । কাশী ফ্িসনে অবতরণ করিয়া আমরা এক্কাতে আরোহণ করিলাম। পশ্চিমাঞ্চলে এক্কাই সমধিক প্রচলিত। কাণ্ঠনিম্ম্িত একটা ছোট মঞ্চের উপর চারিকোণে চারিটি দণ্ড, দণ্ডের উপরে রৌন্্বৃষ্টি-নিবারণের নিমিত্ত একটা ক্ষুদ্র চাদোয়া খাটান, নিম্ে কাষ্ঠাসনেয় উপর একটা গদী, পশ্চাতে ছোট পর্দা ঝুলান; এহেন অদ্ভুতাকৃতি দ্বি-চক্র- যানকে একটী ঘোড়ায় টানিয়া লইয়া যায়। কাশীকে বাঙ্গালীর সহর বলিলে কোনও অত্যুক্তি হয় না, এত অধিক বাঙ্গালীর বাস পশ্চিমের আর কোনও সহরেই দেখিতে পাওয়৷ যায় না; যে দিকেই দৃষ্টিপাত কর, সে দিকেই বাঙ্গালী দেখিতে পাইবে, তোমার মনে হইবে না যে বাংল! দেশ হইতে অপর কোনও স্থানে উপনীত হইয়াছ। আমাদের গাড়ী ছুটিয়া চলিল, রাস্তার ছুইপার্থে দোকানশ্রেণী, দ্বিতল ত্রিতল অন্টালিকা, কোথাও পশ্চিমদেশীয়া ঝট রমণীগণ গম পিশিতেছে আর গান গাহিতেছে, কোথাও পানবিক্রেত্রী রূপলাবপ্যবতী যুবতী রমণী কাজল-অস্থিত চক্ষের নিপুণ কটাক্ষে কোনও যুবক পানক্রেতার মাথ! ঘুরাইয়া দিতেছে! মন্গিরে মন্দিরে ছত্রে ছত্রে কাশীধাম স্ুশোভিত। যথা সময়ে বাসায় পঁ্ছিয়। শ্রীস্তি দূর করিলাম। নিদ্রার অভাবে ব্লান্ত শরীর অত্যন্ত অবসাদগ্রস্ত বৌধ হইতেছিল, বিশ্রীমাদির পরে আহারাস্তে শষ্যায় ঢলিয়া পড়িবামাত্রস কাশী। ভাঁরত-ভ্রমণ । নয়নদ্বয় নিমীলিত হইল, নিদ্রার কোমল অঙ্কে সমুদয় গ্লানি ও অবসাদ ত্যাগ করিয়। যখন গাত্রোথান করিলাম--তখন অপরাহু হইয়াছে। ভারতবর্ষের মধ্যে কাশী প্রধান হিন্দুতীর্থ। প্রাচীনকালে এই নগর অত্যন্ত বৃহ ছিল, প্রত্যেক পৌরাণিক গ্রস্থ্েই ইহার মাহাত্ম্য বিশেষরূপে লিখিত আছে । সংস্কৃত গ্রন্থাদিতে কাশীর অনেক নাম দেখিতে রাত পাওয়া যায় । যথা ঃ__বারাণসী, বরাণসী, বরণসী, তীর্থরাজ্ঞী, তপস্থলী, কাশিকা, কাশী, অবিমুক্ত, আনন্দবন, আনন্দকানন, অপুনর্ভবভূমি, রুদ্রাবাস, মহাশ্মশান ও স্বর্গপুরী। এ সকল নামের মধ্যে কাশী, অবিমুক্ত এবং বারাণসীই সর্ববাপেক্ষা প্রাচীন। “মস্য-পুরাণে' কাশীর সীমা এইরূপ লিখিত আছে যে £-- “দ্বিযোজনন্তু তৎ ক্ষেত্রং পুর্ন-পশ্চিমতঃ স্মতম্‌ | অদ্ধ যোজনবিস্ডীর্ণ, তৎ ক্ষেত্রং দক্ষিণোত্তরম্‌ ॥ বরণা হি নদী যাবদ যাকচ্ছুক্ষনদী তু বৈ। ভীত্মচণ্ডিকমারভা পর্বতেম্মরমন্তিকে ॥” অর্থাৎ “পূর্বব পশ্চিমে ছুই যোজন এবং উত্তর দক্ষিণে অদ্ধ যোজন পধ্যন্ত ইহা বিস্তুত। এই পুণ্যতীর্থ বরণা নদী হইতে শুর্ষ নদী পধান্ত এবং ভীম্ম চণ্ডক হইতে আরম্ত করিয়া পর্ববতেশ্বরের নিকট পধ্যস্ত অবস্থিত ।” কাশীধামের পূর্বব ও পশ্চিম প্রান্ত দিয়া বরণা অসী নামক দুইটি ক্ষুদ্রকায়া জ্োতম্থিনী বারাণসী কহে । কাশীর প্রাচীনত্ব সম্বন্ধে যে কেবল পুরাণেই লিপিবদ্ধ রহিয়াছে তাহা নহে, পুরাণের কথা ধীহারা বিশ্বাস করিতে অনিচ্ছুক তীহারা জাবালোপনিষদে লিখিত কাশী-সম্পর্কিত বিবরণ পাঠ করিলে সন্দেহ ভগ্ন করিতে পারিবেন। সুপ্রসিদ্ধ চৈনিক পরিব্রাজক ফা-হিয়ানের ভ্রমণবৃস্তাস্ত পাঠে জানিতে পারা যায় যে, খৃষ্ঠীয় পঞ্চম শতাব্দীতে কাশীরাজ্য প্রায় ৩৩৩ ক্রোশ (৪০০০ লি) ও ইহার প্রধান নগরী বারাণসী দেড় ক্রোশ (১৮।১৯ লি) দীর্ঘ এবং অর্ধ “ক্রোশ (৫1৬ লি)বিস্তৃতছিল। . দিনরাত ব্যক্তির নিকট কাশী অপেক্ষা! পুণ্যপ্রদ পকিক্র তীর্থ জগতের আর কোথাও নাই। এজন্যই প্রতি পুরাণগ্রন্থে খষিগণ প্রাণ, ভরিয়া কাশীমাহাত্ম কীর্তন করিয়া গিয়াছেন। কত ধন্মানুরাগী বৃদ্ধবৃদ্ধা প্রোট ও প্রৌঢ়াগণ যে “শেষের সে দিনের অপেক্ষায় এখানে বাস করিতেছেন তাহার ইয়ন্তা নাই; কারণ হিন্দুশাস্ত্রের মতে ষে বাক্তির এ স্থানে দেহত্যাগ হয়, সে ব্যক্তি সমুদয় পাপ হইতে বিমুক্ত হইয়! নির্বাণ লাভ করে। কাজেই শেষ বয়সে অধিকাংশ হিন্দু নরনারী এ স্থানে বাস করেন। এক সময়ে হিন্দুর এই পবিত্র তীর্ঘেও যে বৌদ্ধধর্মের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত ছিল, এখনও তাহার বনু চিহ্ন বিদ্কমান আছে। কাশীর নিকটবর্তী সারনাথে বনু বৌদ্ধকীর্তি ছিল; এখনও তাহার বহু ধ্বংসাবশেষ পড়িয়া আছে, আমরা সে বিষয় সারনাথ-প্রাবন্ধে আলোচনা করিলাম । : 'ললিতবিস্তর নামক কৌদ্ধগ্রন্থ-পাঠে জ্ঞাত হওয়। যায় যে, বৌদ্ধদিগের প্রাধান্য সময়ে বারাণসীর নিকটে খধিপন্তনে মৃগাদব নামক স্থানে শাক্যসিংহ ধশ্মোপদেশ প্রদান করিয়াছিলেন। “বিষণ ও ব্রহ্মাগু-পুরাণের মতে কাশরুজ বা কাশ্য নামক আয়ুবংশের স্থহোত্রপুজই সর্বপ্রথমে এ স্থানের সিংহাসনে ৃ আরোহণ করেন, খুব সম্ভব যে এই নৃপতির নাম হইতেই হর 'কাশী' এই নাম হইয়াছে। বৌদ্ধধন্মের আধিপত্যের পর পুনরায় যে কোন্‌ সময়ে বারাণসীতে হিন্দুধন্মের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহা নির্ণয় কর! স্থকঠিন। পরিক্রাজক হিউএন্সিয়াং ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষভাগে যখন বারাণসীতে আগমন করেন, তখন তিনি এস্থানে হিন্দুধম্মেরই প্রাবল্য দর্শন করিয়াছিলেন, তখন এস্থানে শতাধিক দেব-মন্দির ও প্রায় দশসহজ দেব-উপাসক ছিল। শ্তরীক্ষেত্রের “মাদলাপঞ্ভীর' মতে জানিতে পারা যায় যে, রাজ। যযাতিকেশরী ৬কাশীধামের দেবমুন্দিরসমূহের অন্ুকরণেই ৩৯৬ শকে ভূবনেশ্বরে প্রধান শিব-মন্দির প্রস্তুত করাইয়াছিলেন। অতএব ইহার পুর্বব হইতেই যে কাশীধামে হিন্দুধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব বিরাজমান ছিল, তাহা অনুমান করা অসঙ্গত নহে । কাশীতে বন্ৃতীর্ঘ বিরাজিত; কিন্ত বিশ্বেশ্বরই... এখানকার প্রধান বিগ্ুহ। ইনিই এপ্থানের সর্বপ্রধান লিঙ্গ। এই বশিবলিজের' তুল্য শিবলিজ আর কোথাও নাই। কাশীখণ্ডে লিখিত আছে মে “কলৌ বিশ্বেশ্বরো দেব; কল বোদ্বকীততি। বিশ্বেশ্বর | ভারত-ভ্রমণ। বারাণসী পুরী”, অর্থাৎ -কলিযুগে বারাণসী ক্ষেত্রই একমাত্র মোক্ষপ্রদ পুণ্যতীর্থ এবং বিশ্বেশ্বরদেবই একমাত্র দেবতা । অতি প্রাটীনকাল হইতেই হিন্দ্রঝষিগণ বিশ্বেশ্বররূপী এই ভগবান্কে অচ্চনা করিয়া আসিতেছেন। “শিবপুরাণে" বিশ্বেশ্বরের মাহাত্ম্য-সম্বন্ধে লিখিত আছে যে ০ “পঞ্চক্রোশ্যাঃ পরং নান্যাৎ ক্ষেত্রঞ্চ ভূবনত্রয়ে । অথবা পাপিনাং পাপস্ফোটনায় স্বয়ং হর? ॥ মত্ত্যলোকে শুভং ক্ষেত্রং সমাস্থায় স্থিতঃ সদা । যথা তথাপি ধন্লেয়ং পঞ্চক্রোশী মুনীশ্বরাঃ ॥ ষত্র বিশ্বেশ্রো দেবো হযাগত্য সংস্থিতঃ সয়ম্‌। যদিদনং হি সমারভ্য হরঃ কাশ্যামুপাগতঃ | তদ্দিনং হি সমারভ্য কাশী শ্রেষ্ঠতরা হাত ॥” ( শিবপুরাণ, জ্ঞানসংহিতা, ৪৯ অঃ) অর্থাৎ “হে খবিবন্দ ! ব্রিলোকের মধ্যে পঞ্চক্রোশবেচিত এই স্থানের ন্যায় পবিভ্রতম পুণ্যস্থান আর কোথাও নাই, নিজে পরমকারুণিক দেবাদিদেব মহাদেব পাপিগণের পাপ বিনাশ করিবার জন্য এই সুন্দর পুণ্যপ্রদ স্থান নিন্নাণ করিয়া বাস করিতেছেন। যে দিবস হইতে মহাদেব এই পুণ্য তীর্থে আগমন করিয়াছেন, সেই সময় হইতেই বারাণসী শ্রেষ্ঠতম হইয়াছে ।” _. কাশীর প্রাচীনত্ব এই বিশ্বেশ্বরলিঙ্গ হইতেও বিশদরূপে বুঝিতে পারা যায়। প্রায় সাড়ে বারোশত বসর পূর্বে চৈনিক পরিক্রাঙ্ক হিউএন্সিয়াং যখন এস্বান দর্শন করিতে আইসেন, তখন তিনি এস্থানে শতহস্ত উচ্চ তাত্মণ্ডিত বিশবেশ্বরের লিঙ্গ দর্শন করিয়াছিলেন ; কিন্তু এখন তাহার কোনও বূপ বিবরণই পাওয়া যায় না। কোনও পুরাতন গ্রস্থাদিতেও এইরূপ কোন বর্ণনা লিখিত নাই । কেহ কেহ অনুমান করেন যে, ১১৯৪ সালে কাশী-নরপতি রাঠোর জয়টাদ যখন সাহেবউদ্দীন ঘোরীর সেনাপতি কুতবউদ্দীন কর্তৃক পরাভূত ও নিহত হন, বোধ হয় সে সময়ে মুসলমানগণ কর্তৃক সেই পবিত্র লিঙ্গ বিধ্বস্ত হইয়াছে । কথিত আছে যে, মুসলমানেরা কাশীর প্রায় ১০০০ এক হাজার দেবমন্দির ভগ্ন করিয়া মস্জিদ নির্মাণ ঙ কাশা বিশ্দে্দরের মন্দির__ কুম্তলীন শব্পেস, কলিকাতা । কাশী। দেব-মন্দির বিরাজিত নাই। বর্তমান ম স্ুবরকলস ও ্বপচড়া-বিলম্থিত বিশ্বেশ্বরের স্থন্দর মন্দির মাত্র শতীধিক বর্ষ পূর্বে. নির্শিত.. হইয়া এখন বিশ্বেশ্বরের মন্দিরের অনতিদূরে ওরজজেব কর্তৃক নিশ্মিত যে মস্জিদ দৃষ্ট হয়, পূর্ধের সেই স্থানেই বিশ্বেশ্বরের মন্দির বিষ্মান ছিল। সেই মস্জিদের পশ্চিমভাগের কারুকার্ধ্যাদি দর্শন করিলে স্পষ্টই প্রতীয়মান হইবে, এককালে ইহা হিন্দু দেব-মন্দির ছিল। বর্তমান বিশ্বেশ্বরের মন্দির সমচতুক্ষোণ প্রাঙ্গণের মধ্যে অবস্থিত। মিরঘাট ও জরাসন্ধঘাটের অদুরেই এই মন্দির। কোন্‌ মহাত্যা দেবাদিদেব বিশ্বশ্বরের সুন্দর কারুকার্য্যসম্পন্ন এই মন্দির নিম্মাণ করিয়াছিলেন, তাহা নির্ণয় কর! স্থকঠিন। চুড়াসমেত ইহ! ৫১ ফুট উচ্চ। মহারাজা রণজিতসিংহ মন্দিরের খিলান, চুড়া ও কলস ইত্যাদি তামার উপর স্বর্ণদ্বারা মণ্ডিত করিয়৷ দিয়াছেন। দীপ্ত সূধ্যালোকে কাঞ্চনমণ্ডিত মন্দিরচুড়া পথিকের চক্ষু বল্সাইয়া দেয়। চড়ার উপরে ত্রিশূল ও তাহার পাশে সর্বদাই পতাকা উড্ভীয়মান। মন্দিরের খিলানের মধাস্থলে ৯টী বৃহণ্ড ঘণ্টা টাঙ্গান আছে । ইহার মধ্যের সর্বেবাৎকুষ্ট ও সর্নববৃহত্টা নেপালের মহারাজ! প্রদান. করিয়াছেন। যিনি এই মন্দিরে প্রবেশ করিয়াছেন, তিনিই ধন্য হইয়াছেন। ধর্মের নিশ্মল পবিত্রতা এখানে বিরাজমান । কি সুন্দর দৃশ্য, ভক্তির সুমধুর -প্রীতির ভাব এখানে দেখিতে পাওয়া যায়। ভারতবর্ষের বিভিন্ন বিভিন্ন স্থানের কতশত হিন্দুভক্তগণ বম্‌ বম্‌ রবে চতুদ্দিক প্রতিধ্বনিত করিতে করিতে তক্তিভাবে বিশ্বেশ্রের লিঙ্গ দর্শন করিতেছেন। সকলের মুখেই দেব-দর্শন- জনিত অপুর্বব প্রীতির ভাব ফুটিয়। উঠিয়াছে। কেহ করযৌড়ে সঙ্গলনয়নে ভক্তিবিকম্পিত ক্টে স্তবপাঠে নিরত, কেহ মনের আনন্দে স্তমধুর স্বরলহরীতে চারিদিকে স্থুরের ঝঙ্কার তুলিয়া দিয়া বেদপাঠ করিতেছেন। ভক্ত হিন্দুর এমন অপুর্ব মিলন অতি অল্পস্থানেই দৃষ্ট হয়। সন্ধ্যার সময় দেবাদিদেবের আরতি-দৃশ্যের বর্ণনা ভাষায় ব্যক্ত করা অসম্ভব । সুমধুর _বেদধবনিতে ও বাগ্যরবে অপূর্বব পুলক সমাবেশ, আর শত শত নরনারী ভক্তিগদগদচিত্তে একদৃষ্টে সেই মহান্‌ দেবতার দিকে নিনিমেষ নয়নে চাহিয়৷ রহিয়াছেন। ধর্্মপ্রীণ ভারতে ধন্মলাভের জন্য সর্বসাধারণের ভারত-জরমণ । মধো যে কতদূর ব্যাগ্রতা, তাহ! ধিনি কখনও কোনও তীর্থস্থানে যান নাই তাহার পক্ষে কল্পনা করা অসম্ভব। বিশেশ্বরের মন্দিরের নিকটেই জ্ঞান-বাপী। “কাশীখণ্ড পাঠে জ্ঞাত হওয়া যায় যে, রুদ্ররূগী ঈশান ত্রিশূল দ্বারা এস্থানের ভূমি খনন করতঃ এই কুপ্ত নিশ্মাণ করিয়াছিলেন। ইহার জল পান করিলে মুরববাক্তিও জ্ঞানলাভ করিয়া থাকে । জনপ্রবাদ এইরূপ যে, যখন কালাপাহাড় কাশীর দেব-মন্দির- সমূহ ধ্বংস করেন, তখন বিশ্বেশ্বর ইহার মধ্য লুকায়িত ছিলেন । এখনও বন্ুযাত্রী এস্থানে দেবাদিদেবের পুজা করিয়া থাকে। জ্ঞান-বাপী একটা কূপ বিশেষ ; ইহার উপরে একটা ছাদ আছে, উহা ৪০টা প্রস্তর নির্মিত থামের উপরে সংস্থাপিত। গোয়ালিয়র-রাজ দৌলতরায় সিন্ধিয়ার বিধবা পত্তী বৈজবাই কর্তৃক ১৮২৮ খৃষ্টাব্দে ইহা নিশ্মিত হয় ; এই চাদের গঠন- নৈপুণ্য অত্যন্ত মনোহর | জ্ঞান-বাপীর জল অত্যন্ত ছু্গন্ধময়। বিশ্বেশ্বরের লিঙ্গটা, বানলিজও মধামারৃতি, তিনি সর্দদদাই ভক্তরন্দ কর্তৃক প্রদন্ত স্ূপীরুত ফুলবেলপাতায় এতদুর আবৃত থাকেন যে, সকল সময়ে াহাকে দেখিতেও পাওয়া যায় না। রাহার মনিদরসন্পিকন্থ অল্নপূর্ণার মন্দিরে দেখিলাম দেবী অন্নপূর্ণা দর্িবিহস্তে দাড়াইয়া রহিয়াছেন। দেখিতে বড়ই সুন্দর ! জানিনা কবে মা অন্নপুর্ণ। ক্ষুধার্ত তারতবাসীর ক্ষুধা দুর করিতে অগ্রসর হইবেন। কাশীতে এইরূপ প্রবাদ আছে যে, এখানে কেহই অনাহারী থাকে না। নানারত্বিডুষণা করুণাময়ী জগন্মাতার কুপায় দীনদুঃখী কাহাকেও অনাহারে ক্রেশ পাইতে হয় না। এই মন্দির প্রায় ১৮০ বৎসর পূর্বে পুণার মহারাষ্রনৃপতি কর্তৃক নির্মিত হইয়াছে । মন্দিরের একপার্খে সপ্তাশ্মযোজিত রথের উপরে সূর্য্যদেবের মু্ি বিরাজমান । এতদ্বযতীত শনৈশ্চরেশ্বর, শুক্রেশখর, গৌরীশঙ্কর, গণেশ ও হনুমানের বিগ্রহাদিও দৃষ্ট হয়। শনৈশ্চর লিজগের উদ্ধদেশ রজতমণ্ডিত এবং নিম্নাংশ পুষ্পগুচ্ছ দ্বার আরৃত। বিশেশরের প্রাচীন মন্দির নষ্ট করিয়া যে স্থানে ওরলজেব মস্জিদ নিশ্াণ করেন, তাহাকে এখনো গুরজজেবের মস্জিদ কহে। মদ্জিদের সম্মুখতাগে মুসলমানগণ একটা সিংহদার প্রস্তুত করাইয়াছিলেন ; জ্ঞান-বাগী। অন্নপূর্ণার মন্দির । কাশী-কর্কট । কিন্তু কোন মুসলমানই সৈই তৌরণ-দ্বার দিয়া মস্জিদে প্রবেশ করিতে পারে না; ইংরেজ গবর্ণমেন্ট এখন এই মস্জিদের ট্ঠি নিয়োজিত আছেন। এই মস্জিদের নিকটে আদিবিশ্বেশরের প্রায় ৪০ হস্ত উচ্চ মন্দির দৃষ্টিপথে পতিত হয়; উহার সন্নিকটেই “কাশী-কর্্ঘট' নামক একটা পবিত্র কৃপ দেখিতে পাওয়া যায়। সর্বসাধারণের মধ্যে এইরূপ একটী বিশ্বাস প্রচলিত আছে যে, ডুব দিয়! এই কর্বনট উত্তীর্ণ হইতে পারিলে আর পুনর্ববার জন্মগ্রহণ করিতে হয় না, এই অন্গ-বিশ্বাসের গতিকে ছুই একজন ডুব দিয়া মরার পর, গবর্ণমেপ্ট এই কৃপের মুখ বন্ধ করিয়! দেন, পরে পাগাগণের বহু আবেদনে প্রতি দোমবার কেবল একবার করিয়া ইহার মুখ খুলিয়৷ দেওয়৷ হয়। ও আমরা বিশেশখরের মন্দির ও তন্নিকটবন্তী অন্যান্য দেবালয়াদি দর্শন করিয়া কালতৈরবের মন্দিরের দিকে অগ্রসর হইলাম। উহা বিশেশ্বারের মন্দির হইতে কিয়দ্দরে অবস্থিত। কথিত আাছে ফে, ব্রহ্মার গৌরধ হ্বাস করিবার নিমিত্ত মহাদেব নিজ কোপ হইতে এক ভৈরব পুরুষের স্যা্ঠি করেন, তিনিই কালভৈরব। কালভৈরব বা ভৈরবনাথের মুস্তি প্রস্তরে গঠিত ঘোর নীলবর্ণ, ইহার চক্ষু দুইটা রজত নিশ্মিত, তিনি স্বর্ণ-সিংহাসনে অধিষ্ঠিত আছেন, পার্থ তাহার সারমেয়ের বিকট ন্তি। কালভৈরব কাণীর প্রহরীরূপে বিরাজিত আছেন। ভৈরবনাথের মন্দিরটা নানাবর্ণে সমলগ্কত এবং দর্শনোপযোগী। প্রবেশ করিবার দ্বারের বামপাশে দশাবতারের মুর্তি অতিশয় স্থুন্দর রূপে চিত্রিত আছে। কাল- রবের বর্তমান মন্দির পুনার বাজিরাও নির্মাণ করিয়া দিয়াছেন। মন্দিরের বাহিরে কালভৈরবের প্রাচীন মুর্তি দেখিতে পাওয়া যায়। অগ্র- হায়ণ মাসের কৃষণ্টমীতে উপবাস করিয়া যে ব্যক্তি সারারাত্রি কালতৈরবের ৃ (নিকট জাগরিত থাকে, তাহার সর্দপ্রকার পাপ দূরীভূত হয়। ইহার করিয়া যিনি যে কামনা করিয়া থাকেন তাহাই সিদ্ধ হয়। কাশীতে যে : চারিটা শীতল! দেবীর মন্দির আছে, তন্মধ্যে এখানে একটা দেখিতে গুল, এই শীতলাদেবীর মন্দিরে সপ্তভগিনীর মস্তি আছে। নব- হের মন্দিরও কালটৈরবের মন্দিরের নিকট বিদ্ুমান। এখানে রবি, কালভৈরব। ভারত-জমণ | সোম, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, শনি, রাহু ও কেতু এই নবগ্রহের রীতিমত পুজা! হইয়া থাকে । নবগ্রহের মন্দিরের পার্শেই দগ্চপাণির মন্দির। “কা শীখণ্ডে লিখিত আছে যে “হরিকেশ নামক জনৈক যক্ষ তপশ্যা দ্বারা মহাদেবের অন্পকম্পা লাভ করে। মহাদেব তাহাকে-বর দেন যে তুমি আমার অত্যন্ত প্রিয়তম ভক্ত, তুমি কাশীধামের ছুষ্টগণের শাসক ও ক্লিষ্টের পালক হইয়া দগ্ডপাণি নামে অবস্থিতি কর, কাশীধামে তোমার পুজা না করিলে কাহারও স্থখলাভ হইবে না।” দণ্ড- পাণির মুক্তি প্রস্তর নিণ্রিত, উহা উচ্ছে প্রায় তিন হস্ত হইবে, যাত্রিগণ প্রতি রবি ও মর্শলবারে ইহার পুজা করিয়া” থাকে । কালটতৈরবের মন্দিরের নিকটে কালকুপ অবস্থিত। যিনি এই তীর্থে ভক্তিসহকারে কালকুপ। আবগাহন করেন, তাহার পিতিলোকের তৎক্ষণাৎ উদ্ধার হয় । এই কুপটা এমনি স্থুকৌশলে নির্িত যে ঠিক্‌ দিবা দ্বিপ্রহরের সময় সৃষ্যের রশ্মি ইহার সলিল মধ্যে পতিত হয়, বু লোক অদৃষ্ট পরীক্ষার্থ সে সময়ে এখানে আগমন করে, মধ্যাহ্ন সময়ে যে ব্যক্তি এ কৃপ-জ্লে আপনার প্রতি- বিন্ব দেখিতে পায় না, ছয় মাসের মধোই সে নিশ্চয়ই মৃত্যুমুখে পতিত হইবে, সাধারণের মধ্যে এইরূপ একটা বিশ্াস দুটরূপে প্রচলিত দেখিলাম । কালকূপের অল্পদুরে বিদ্ধকালেশ্বরের' মন্দির অবস্থিত । দক্ষিণদেশস্ম নন্দি- বদ্ধন গ্রামের বুদ্ধকাল নামক জানৈক রাক্তা কর্তক এই শিবলিজ স্থাপিত ও উহার মন্দির নিম্মিত হইয়াছিল । এই মহাদেবের অর্চনা করিলে সর্বপ্রকার পাপঞজনিত দরিদ্রতা দূর হয়। বৃদ্ধকালেশরের মন্দিরের প্রাচীনত্ব অনেকেই সকার করেন। কোন কোন পুরাতন্তবিদের মতে কাশীতে এখন যতগুলি শিবমন্দির আছে, তম্মধ্যে বৃদ্ধকালেশ্বরের মন্দিরই সর্বাপেক্ষা প্রাচীন । শিব-পুরাণে” ও বুদ্ধকালেশ্বরের নাম দেখিতে পাওয়া যায়, অতএব উহার প্রাচীনত্ব সম্বন্ধে সন্দেহ করিবার কোনও কারণ নাই | পুর্সেন যে স্থানে বিখাত এবং মোক্ষপ্রদ “কুত্তিবাসে- শরের' মন্দির অবস্থিত ছিল, এখন সে স্থানে আলমগীর মস্জিদ অবস্থিত । ১৬৫৯ শ্রীষ্টান্দে কৃন্তিবাসেশ্বরের মন্দির ধ্বংস করিয়! সেই মাল মসলা দ্বারা ওরজজেব এই মস্জিদ্‌ নির্াণ করিয়াছিলেন। এখন এই মস্জিদের নিকট ০ দগ্ডপাণির মন্দির | | বদ্ধকালেশর । ৯৩ কাই, “ত্রেশবরের' মন্দির বিরাজিত। এইরূপ একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে যে কয়েক বগসর পুর্বে এই মন্দিরের ভিন্তি খনন করিবার সমর মৃত্তিক | গর্ভ হইতে বহু ধন, রত্ব পাওয়। গিয়াছিল। “কাশী খণ্ডে? এই শিবের মাহাত্ম্য সম্বন্ধে লিখিত আছে যে, “যে ব্যক্তি রত্তেশ্বর দেবকে প্রণাম করিয়া দূরদেশেও প্রাণত্যাগ করে, সে তি শতকোটি কল্প কাল পধ্যন্ত স্বর্গে বাস করিয়া থাকে ।. £৮ কাশীতে গঙ্গার তীরে যে কত ঘাট আছে তাহার। ইয়নত! নাই। নি যে ঘাটে যাইবে, তখনি সে স্থান জনাকীর্ণ দেখিতে পাইবে । কোথাও সন্ন্যাসিগণের গগনভেদী হর্‌ হর্‌, রব, কোথাও সামবেদের মধুর স্বর-লহরী গগনে মিলাইয়া যাইতেছে, কোথাও সংসারত্যাগী ধ্যানমগ্ন যোগীপুরুষগণ যোগাসনে উপবিষ্ট, আবার কোথাও বা বর্ষীয়সী রমণীগণ পুজা নিরতা । পরমার্থ লাভের জন্য মানুষের ব্যাকুলতার দৃশ্য এখানে যেরূপ দৃষ্ট হয় পৃথিবার অন্যত্র তাহ। কল্পনাতীত। বাস্তবিক কাশীর গঙ্গাবক্ষস্থ দৃশ্য অতুলনীয় । আমরা এখানে প্রধান প্রধান কতকগুলি ঘাটের নামোল্লেখ করিলাম । যথা --অসিঘাট, লালামিশ্রঘাট, রাওসাহেবঘাট, আকরুলঘাট, শিবালয়ঘাট, দণ্ডীঘাট, হনুমানঘাট, মশানঘাট, লালীঘাট, কেদারঘাট, চৌকীঘাট, রাজাঘাট, নারদঘাট, সোমেশ্বরঘাট, পীড়েঘাট, নন্দঘাট, ছত্রঘাট, বাঙগালীটোলাঘাট, গুরুপান্তঘাট, চৌষট্রিঘাট, রাণাঘাট, মুন্সীঘাট, অহল্যাবাই- ঘাট, শীতলাঘাট, দশাশ্বমেধঘাট, প্রয়াগঘাট, মানমন্দিরঘাট, ঘোড়াঘাট, ভৈরবঘাট, মীরঘাট, ললিতাঘাট, নেপালঘাট, জরাসন্ধঘাট, কায়স্থঘাঁট, মণিকর্ণিকাঘাট, সিঙ্ষিয়াঘাট, ভীমকাঘাট, গণেশঘাট, ঘোসলাঘাট, রামঘাট, পঞ্চগঙ্গাঘাট, ছুর্গাঘাট, বিন্দুমাধবঘাট, গোঘাট, ত্রিলোচনঘাট, মৈত্রঘাট, প্রহলাদঘাট, রাজঘাট, বরুণাসজমঘাট, পিশাচমোচনঘাট ও অশ্মীশ্বরঘাট । এ সমুদয় ঘাটের মধ্যে আবার শীতলাঘাট, প্রয়াগঘাট, বরুণাঘাট, দশাশ্খমেধ ঘাট, চৌফাট্ুষোগিনী, দশাশ্বমেধ ও মণিকর্ণিকা, অশ্রীশ্বর, অসিসঙ্গম ও কেদারখাট প্রভৃতি প্রধান। মণিকর্ণিকা ঘাটের ন্যায় পবিভ্রতম তীর্থ কাশীর আর কোণাও নাই। ইনার রজার পরার হাযান পচিতা। বিশেষরূপে লিখিত আছে । “সৌরপুরাণে আছে যে £__ রত্বেখবর। ১১ ভারত-ভমণ | / “নাস্তি গঙ্গাসমংতীর্থং বারাণশ্ঠাং বিশেষতঃ | তত্রাপি মণিকর্ণাখ্যং তীর্থং বিশ্বেশ্বরপ্রিয়ম্‌ ॥ অর্থাৎ বারাণসীধামে গঙ্জারমত কোনও তীর্থ নাই, আবার বিশ্বেশ্বরের প্রিয় মণিকর্নিকা তীর্থের তুল্যও কোন তীর্থ নাই । কথিত আছে যে প্রাচীনকালে এ স্থান ঘোরতর অরণ্যানীসঙ্কুল ছিল, সে সময়ে বিষুঃ মহাদেবের আরাধনায় নিযুক্ত থাকিয়া আপনার কুম্তল হইতে একটা মণি হারাইয়৷ ফেলিয়াছিলেন _ সে নিমিত্ত ইহার নাম মণিকর্ণিকাঘাট হইয়াছে, এ বিষয়ে আরও নানা- প্রকার কিন্বদন্তী শুনিতে পাওয়া যায়, - সে সকলের আলোচন! নিষ্প্রয়োজন। এখানেই ঘাটের পার্শে-- শ্মশানং ঘোর সন্নাদং শিবাশতসমাকুলং । শবমৌলি সমাকীর্ণং দুর্গন্ধং বহুধমকং ॥” কাশীর মহাশ্মশান। এমন সময় নাই, যে সময়ে এখানে একটা না একটা চিতা না ভুলে! হায় মোহান্ধ মানব, এই তোমার শেষ পরিণাম ' স্ৃখ- পুষ্ট দেহের এই শেষ যজ্ঞ ' সাধের লীলাখেলার শেষ যবনিকা এখানেই পতিত হয় ' অই যে শবদেহ ভস্মীভূত হইতেছে -অই যে তাহার আত্মীয়বর্গ সজল নয়নে চাহিয়া রহিয়াছে- একদিন সে আমাদেরি মত ছিল, আমাদেরি মত হাসিয়া খেলিয়া বেড়াইয়াচে--আজ তাহার শেষ চিহ্ন চিরদিনের মত পৃথিবীর বুক হইতে অদৃশ্য হইতেছে । হায়' শ্মশান_সাম্যের ঘোষণা জগতে ঘদি কেহ করিয়া থাকে সে তুমি--যদি দীন দরিদ্র হইতে সআটের মণি-রত্ব-মণ্ডিত মুকুটের প্রতিও দৃক্পাত না করিয়া বিজয় ঘোষণা কেহ করিয়া থাকে সে তুমি । সত্য সত্যই ত্রমি শিব-নুন্দর। শ্মশানের পার্শে দাড়াইয়া কত কথা ভাবিলাম, মুৃত্তের জন্য আত্মহারা হইতে হইয়াছিল। মণিকর্ণিকার সম্মুখই তারকেশ্র দেবের মন্দির অবস্থিত। কথিত আছে যে এই তারকেশ্বর দেব অন্তিম সময়ে কাশীবাসী নরনারীগণকে তারকক্রক্ধ জ্ঞান প্রদান করিয়। থাকেন। এস্বানে এই পবিত্র তীর্থের পৃত সলিল স্পর্শ নস! হইয়া থাকে। এই ঘাটের উপরে বিষুঃর চরণপাছুকা দু হয়। কিন্বদন্তী এইরূপ যে ভগবান্‌ বিষুট যখন মহাদেবের আরাধনা করেন ১২ ২:০০ রকি ০৪ কাশী। সেঁ সময়ের তাহার পদদ্ধয়ের চিহ্ন এস্থানে অঙ্কিত রহিয়াছে । একখানি মন্রর প্রস্তরের উপর ছুইখানি প্রীয় ১॥০ হস্ত পরিমিত পদতলের চিহ্ন দেখিতে পাওয়া ষায়। যাত্রিগণ কার্তিক মাসে নানা স্থান হইতে এই চরণ-চিহ্ন পুজা করিবার জন্য আগমন করিয়া থাকেন। বরণাসজগমের সম্মুখেও এইরূপ পদ-চিহ্ন আছে । মণিকর্ণিকার ঘাটের কিছু দূরে সিদ্ধি- বিনায়ক, সিদ্ধি এবং বুদ্ধিদেবীর মন্দির দৃষ্ট হয়। কাশীর উত্তর পশ্চিম দিকে নাগকুঁয় মহল্লা নামক মহল্লা আছে__ এই স্থানকেই প্রত্বতক্র-বিদেরা বারাণসীর অতি প্রাচীন স্থান বলিয়া বর্ণনা করেন। এই কূপের ধাপের মধ্যে এক স্থানে তিনটা নাগমুত্তি ও অপর একস্থানে একটী শিবলিজ দেখিলাম । প্রতিদিন নাগ ও নাগেশ্বর শিবের পুজা হইয়া থাকে। ইহার কিছুদুরে অফ্টধাতুনিশ্ম্িতা, স্ববুহৎ মুকুটপবিশোভিতা সিংহোপরি অধিষ্ঠিত বাগীশ্বরী দেবী এবং রাম, লক্ষমণ, সীতা, নবগ্রহ, জ্বরহরেশ্বর প্রভৃতি বহু তীর্থ ও দেবমন্দির দর্শনান্তে দশাশ্বমেধ ঘাটে উপস্থিত হইলাম । কাশীখণ্ডে বর্ণিত আছে যে পিতামহ ব্রহ্ম রাজধি দিবোদীসের সহায়তায় এস্থানে দশটা অশ্বমেধ যজ্জ করেন-_ সেজন্য ইহার নাম দশাশ্বমেধ তীর্থ হয় এবং সেনামেই এখন পরিচিত । কাশীর মধ্যে ইহ! একটী মহাতীর্থ, এস্থানে প্রায় ৬৯২টী দেবমন্দির আছে। এস্বানে যেরূপ দেবমন্দির সমূহ ঘন সন্নিবিষ্ট তদ্রুপ কাশীর আর কোথাও নাই । সারি সারি মন্দিরগুলি দেখিতে পরম রমণীয়। নগরের পশ্চিম সীমান্তে পিশাচ-মোচন তীর্থ অবস্থিত । “কৃুর্্পুরাণ” প্রভৃতি প্রাচীন গ্রন্থেও ইহার উল্লেখ আছে । পিশীচ- মোচনের শান্দরের পূর্ববপার্স্থ মন্দির দুইটী রাণী মীরাবাই নিন্মাণ করিয়া হধাকুণ্ |. দিয়াছেন। পিশাচ-মোচন তীর্থ দর্শনানম্তর আমরা সূর্য্যকুণ্ড সাসবাদিত্য তীর্থ। দেখিতে আসিলাম। কাশীখণ্ডে বণিত আছে যে কৃষ্ণের অভিশাপে কুষ্টরোগাক্রান্ত সাম্ব সূর্য্যদেবের তপস্যা দ্বারা ব্যাধিমুক্ত হইবার আশায় কাশীতে আগমন করিয়া এ স্থানে একটা কুণু নির্মাণ পূর্বক নাগকৃপ তীর্থ। দশাশ্বমেধ ঘাট । পিশাচ-ষোচন তীর্থ । ১৩ ভারভ-ভ্রমণ | সূধ্যদেবের আরাধনা করিয়া রোগমুক্ত হইয়াছিলেন। সান্ব কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই বিগ্রহ সে জন্য সাম্বাদিত্য নামে পরিচিত হইয়া আসিতেছে । ইহাকে ভক্তিসহকারে অর্চনা করিলে মানুষ সর্নবপ্রকারের পাপ হইতে বিমুক্ত হইয়া সর্বপ্রকার সম্পদ লাভ করিয়া থাকে। স্ত্রীলোকে ইহার সেবা করিলে সে কখনও বিধবা হয় না। বর্তমান সময়ে এই তীর্থ সূধ্যকুণ্ড নামেই খ্যাত। এই কুণ্ডের সম্মুখে একটী ছোট মন্দিরের মধ্যে অষ্টাঙজ তৈরবের মুক্তি বিরাজিতা আছেন, গুরঙ্গজেব কর্তৃক এই মু্তির অঙ্গহীনতা সম্পাদিত হইয়াছে । ইহার নিকটেই হরিভক্ত প্রুবের প্রতিষ্ঠাপিত ধবলিজ বা ফ্ুবেশ্বরের মন্দির দেখিতে পাওয়া যায়। কাশীর প্রধান বিশেষত্ব এই যে বারোমাস সমভাবে এখানে যাত্রীসমাগম হয়---আর এমন দেব-মন্দির দেখিতে পাইবে না যে স্থানে ভতক্তনরনারীর সমাবেশ নাই পুরুষ অপেক্ষা আবার স্ত্রীলোকের সংখ্যাই বেশী । বারাণসীর উশানগঞ্জ মহল্লা বিশেষ বিখ্যাত। এ স্থানে প্রাচীরবেষ্ঠিত প্রাঙ্গণের মধ্যে যোগেশ্বরীর মন্দির স্থাপিত। এই মহল্লীর সন্নিকটেই কাশীপুর মহল্লার মধ্যে কাশীর অধিষ্ঠাত্রীদেবী কাশীদেবীর মন্দির দর্শন করিলাম । ইহার নিকটে ঘণ্টাকর্ণ হ্রদ । হদের তটপ্রদেশে একটা শিবলিঙ্গ বিরাজিত আছেন তাহাকে সকলে ঘণ্টাকর্ণেশ্বর কহে; জন্প্রবাদ এইরূপ ষে ঘণ্টাকর্ণ নামক জনৈক গণ কর্তৃক এই শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে বলিয়াই ইহার নাম ঘণ্টাকর্ণেশ্বর হইয়াছে । আমাদের পুর্বেবাল্লিখিত কাশীদেবীর মন্দিরের কিঞ্চিৎ উন্তরদিকে বিষম ভৈরবের মন্দির অবস্থিত। ইহার মুস্তি অত্যন্ত অদ্ভুত প্রকারের । এ স্থানে আরও অনেক দেবদেবীর মুত্তি আছে। তন্মধ্যে বারগণেশ ও জগন্নাথের মুর্তিই প্রধান। ইহার একপাশে দুইটি সতীর প্রস্তর নির্মিত মুত্তি আছে_ সধবা স্লীলোকগণ সহমৃতা এই সতীপ্রস্তর দুইটির পুজা করিয়া থাকে । কাশীধামের ঠিক মধ্যস্থলে ভিলোটনর ত্রিলোচনের মন্দির অবস্থিত। ত্রিলোচন লিঙ্গ অত্যন্ত মন্দির। মোক্ষপ্রদ এবং কাশীর অন্যান্য শিবলিজ হইতে শ্রেষ্ঠ। ইন্ঠার উৎ্পন্তি সম্বন্ধে কাশী-মাহাত্য্যে লিখিত আছে যে, যে সময়ে মহাদেব উশানগঞ্জ মহল্ল। | বিষম-ভৈরব | ১৪ কম্তুলীন প্রেম কলিফাত। ৎ ২.2 এপ তত ধ্যানমগ্র ছিলেন তখন প্রতিদিবস বিষ তাহাকে সহজ পুষ্প দ্বারা পুজা করিতেন। একদিন বিষ্ণুর সংগৃহীত সহজ পুপ্প হইতে মায়াবলপ্রভাবে মহাদেব একটী ফুল হরণ করিলেন বিষু পুষ্পাঞ্জলি দিবার সময়ে দেখিতে পাইলেন যে সহস্রের মধ্যে একটা পুষ্প কম তখন নিরুপায় হইয়া! স্বকীয় ॥& নেত্রকমল উৎপাঁটিত করিয়া! মহাদেবকে উৎসর্গ করিলেন, মহাদেবের । কপালে সেই নেত্রটি পতিত হইবামাত্রই উহা চগ্ষু হইল__এবং তদবধি _ তিনি ত্রিলোচন নামে অভিহিত হইতে লাগিলেন। ভ্রিলোচন দেবের বর্তমান মন্দির নাথুবালা নামক পুনানগরীর জনৈক শ্রেষ্ঠ অধিবাসীকর্তৃক নিন্মিত হইয়াছে । এই মন্দিরের সীমামধ্যে অনেক দেবমুত্তি দেখিতে পাওয়া যায়, ছোট ছোট মন্দিরের সংখ্যাও নিতান্ত অল্প নহে। ব্রিলোচন- দেবের মন্দিরের বারান্দা আটটা স্বন্দর সুন্দর লালবর্ণের থামের উপর স্থাপিত উহার ছাদ নানাবর্ণে অতিশয় স্তুন্দরভাবে চিত্রিত। প্রবেশ- পথের পার্শদেশে একটা শ্রেতপ্রস্তর নিন্মিত বৃহণ্ড বৃষভমুর্তি দেখিলাম। এমস্থানে নিপুণতার সহিত বহুদেবদেবীর চিত্র ও শিখগুরু নানকের প্রতিমৃত্তি অক্কিত রহিয়াছে । এখানকার চিত্রাবলী মধ্যে একখানি চিত্র বড়ই সুন্দর ও শিক্ষাপ্রদ। সেই চিত্রখানাতে নরক ও মৃত্যুনদীর দৃশ্য অতিশয় সুন্দর । দেহাবসানে স্বীয় স্বীয় পাপানুষ্ঠানের জন্য মানবগণ কিরূপে দণ্ডিত হয় অনন্ত প্রবহমান! অনন্ত রেগশালিনী কালতরঙ্গিনীর পরপারে যাইবার জন্য মানবের কিরূপ ব্যাকুলভাব হয়, এই চিত্রে তাহা এরূপ স্বাভাবিক ভাবে চিত্রিত রহিয়াছে যে, আপন! হইতেই মনের মধ্যে নৈরাশ্থের ও মৃত্যুর কালোছায়া আসিয়া পতিত হয়,_মনে পড়ে ক্ষণস্থায়ী জীবনের শেষ অভিনয়ের কথা__কে জানে জীবনাঙ্কের শেষ যবনিক! কখন পতিত হইবে! ত্রিলোচনঘাটের প্রাচীন নাম পপিলিপিলা” তীর্থ । এক [দবস কেদারেশ্বর দর্শন করিবার জন্য কেদারঘাটের দিকে গমন কেদারেখবর ও . করিলাম । কাশীর বাঙ্গালীটোলায় কেদারেশ্বরের মন্দির কেদারাট। অবস্থিত, এ অঞ্চলেই বাঙ্গালীর সংখ্যা খুব বেশী, অধিকাংশ বাঙ্গালীই এ স্থানে বাস করেন। আমরা যখন এ স্থানে আসিয়াছিলাম, তখন তিমিরাবপ্ুষ্টিতা সন্ধ্যাসতী চারিদিক আবৃত করিয়া ফেলিয়া- ৯৫. ভারত-ভ্রমণ । ছিলেন, মন্দিরে মন্দিরে আরতির শঙ্খ ঘণ্টা নিনাদিত হইতেছিল-- ভক্ত- বৃন্দের আকুলকণ্টের ঘন ঘন হর হর বম্‌ বম্‌ ধ্বনি--ধূপ ধূনার পবিত্র সৌরভ আকাশ ছাইয়া ফেলিয়াছিল। কত লোক কেদারেশ্বরের আরতি দেখিবার জন্য যাইতেছে তাহার সংখ্যা নাই । আমরা ধীরে ধীরে অন্যান্য তীর্থবাসী নরনারীর সহিত মন্দিরাভ্যন্তরে প্রবেশ করিলাম । কেদারেশ্বরের মন্দির গঙ্গার তীরে অবস্থিত। মন্দিরের বারান্দা লাল ও সাদা, এখানেও বু দেবদেবীর মুত্তি দেখিতে পাইলাম । কেদারেশরের মুক্তি ব্যতীত এস্থানে লন্দনী, অন্নপূর্ণা, নারায়ণ, গণেশ প্রভৃতি বন মুর্তি আছে। এই দেব- মন্দিরের পূর্ববদিকের প্রাচীর হইতে গঙ্গাবক্ষ পর্ধাস্ত পাষাণনির্িত ঘাট,_ ঘাটের নিকট গৌরীকুণ্ড অবস্থিত, মন্দিরের নিকট হইতে গঙ্গাবক্ষে উঠিতে ও নাবিতে প্রাণান্ত হয়, কাশীর দিকে জাহুবীর পার অত্যন্ত উচ়। মন্দিরের আরতি ও কেদারেশবরকে দর্শন করিয়া লোকের ভিড় হইতে মুক্তি লাভ করিয়া কেদারঘাটে আসিয়া দীড়াইলাম--পলকমধ্যে জাহ্গবী-শীকর-সিক্ত শীতল পবনস্পর্শে সমুদয় গ্লানি ও অবসাদ দুরীভূত হইল, প্রাণে শান্তি আসিল । পাষাণ-সোপানোপরি উপবেশন করিলাম । সেদিন কুষ্ণপক্ষের পঞ্চমী তিথি চতুদ্দিক ঘনঘোর তিমিরাবরণে ঢাকা, আকাশে কোটা কোটা তারা-স্থন্দরী নয়ন মেলিয়! চাহিয়া আছে । নিন্দে শঙ্খঘণ্টা-ধবনি- মুখরিত মন্দিরসমূহ পরিবৃতা-বারাণসীতীর্ঘের জন-কোলাহল দিগস্ত ছাইয়া ফেলিয়াছে। আমাদের নিকট হইতে কিছু দুরে রাজা হরিশ্চন্দ্রের শ্মশীন-: ঘাটে একটা চিতা জলিতেছিল। মনে হইল স্্দূর অতীতে এমনি এক অন্ধকার নিশীথে--সে নিশি আরও ভয়ঙ্কর ছিল--এ অন্ধকারের চেয়ে আরও কোটীগুণ গাঢ়তর অন্ধকার সেদিন প্রকৃতিকে ঢাকিয়া ফেলিয়াছিল__ জলদাবৃত গগনে সে রজনীতে মুন্ুমুহ্ছু ভীমভৈরব গর্জন কাশীধামকে গাঢ়তর আতঙ্কিত করিয়া তুলিয়াছিল__সকলেই নিজ নিজ গৃহে ভীতচকিত মনে নিষ্টীমগ্র; কেবল-_এই শ্মশীনভূমিতে এক কর্তব্যনিষ্ঠ দ্রান-বীর-- শ্বশানে নিজ কর্তব্যসাধন নিমিত্ত বসিয়াছিল, হায়! দাসত্ব হায়! শঙ্খল-_ স্বাধীন পথের ভিখারীও স্থুখী, কিন্তু রাজপ্রাসাদ সম প্রাসাদোপবিষ্ট পবভৃত্যও সুখী নহে। এ উরি জনি নিন সিভি ১. 111, ' ব্রি +8%81 এ ১বাসা এ পচা । ০৭ দশ $ রা ৪৫ বা . ২ +১.-১৬ ১৯০০০০০, রা ০০4 -৮০০৬ক লে. ঞু প্রলীন প্রেস, করি স। রি পরিণাম, কোথায় প্রাণ-প্রিয়তমা পত্বী--কোথায় প্রাণের নন্দন রোহিতাশ্ব, কোথায় রাজৈশধ্য._-আর কোথায় তিনি আজ কদন্ন ভোজনে মৃতের কম্বলাহরণে দিন কাটাইতেছেন । সহসা পুক্র-শোকাতুরা রমণীর করুণক্রন্দনে সে শ্মশানঘাট প্রতিধবনিত হইল; হায়! হায়! এমন ভীষণ তামসী নিশীথে রাজরাণী শৈব্যা সর্পদষ্ট মৃতপুক্র রোহিতাশের সকার করিবার জগ্য আসিয়াছেন ! কি ভীষণ দৃশ্য! প্রাচীনযুগের সে শৌক-স্মৃতি হৃদয়ে আন্দোলিত হইতেছিল, আমি যেন অদুরস্থিত শ্মশান হইতে পুভ্রহার৷ রমণীর করুণ আত্নাদ শুনিতেছিলাম, “হা পুল্র- আমার সোণার রোহিতাশ্ব কোথায় গেলি বাছা! ? এই না ছুটে ছুটে খেল্ছিলি ?৮1 সে আজ কতদিনের কথা, এই পুণ্যাপ্পোক মহাত্বা ও অতুল ধৈর্যযশালিনী পতিসেবাপরায়ণা রাণী শৈব্যা জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, কিন্তু এখনও সে কীত্তিকাহিনী ভারতের নরনারী অতুল আগ্রহের সহিত শোনে ও পুক্্রশোকাতুরা রমণীগণ শৈব্যার সেই শৌকাশ্রুর সহিত আপনাদের ব্যথিত নয়ন-জল মিশায়। যতদিন পৃথিবী থাকিবে--যতদিন চন্দ্র-ূর্য্য থাকিবে--ততদিন পর্যন্ত এই কীর্তি-গৌরব-কাহিনী মুছিবে না। সেই নিশীথে নীরবে দাড়ায় জাহ্নবীর কলকলধ্বনির সহিত শুনিতেছিলাম “ধন্য রাজা হরিশ্চন্দ্র ।”--এমন সময়ে সঙ্গী ডাকিলেন “বাসায় যাইবেন না ?” আমার চেতনা ফিরিয়া আদিল, -তখন মন্দিরে মন্দিরে আরতির ধ্বনি থামিয়। গিয়াছে -আকাশে তারাকুল নির্ণিমেষনয়নে তেমনি চাহিয়া আছে! কেদারেশ্বর দেবের মন্রির হইতে উত্তরপশ্চিমদিকে কিয়দ্দরে মান- সরোবর নামক একটা স্থগভীর জলাশয় আছে। ইহা মান-সিংহ কর্তৃক সান সরোবর ও খনিত হইয়াছিল, এই সরোবরের চতুদ্দিকে প্রায় ৫প্টা মঠইতাদি। মঠ আছে, সে সকল মঠের মধ্যে রাম লক্ষণ ও দত্তাত্রেয় মুক্তিই উল্লেখযোগ্য, ইহা ছাড়া প্রায় এক সহজ দেব-মুর্তি এখানে আছে। মান-সরোবরের অল্পদুরেই মহারাজা মানসিংহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মানেশ্বর শিবলিঙ্গ বিদ্যমান । মানেশ্বর লিঙ্গের পশ্চিমদিকে তিলভাগ্েশ্বরের মন্দির। মন্দির-মধাস্থ তিলভাগ্েশ্বর মূ্তি প্রন্থে দশ হাত এবং উচ্চে প্রায় তিন হাত। সর্দসাধারণের মধ্যে তিলভাগ্ডেশ্বর । ভারত-ভ্রমণ । বিশ্বাস ষে, ইনি প্রতিদিন তিল তিল করিয়া বৃদ্ধি পান বলিয়াই ইহার নাম “তিলভাগ্ডেশ্বর হইয়াছে | কাশীধামের তুর্গাবাড়ী অত্যন্ত প্রসিদ্ধ ও প্রাচীন । “কাশীখণ্ড” নামক গ্রন্থেও ইহার উল্লেখ দৃষ্ট হয়। বর্তমান ছুর্গামন্দির প্রাতঃ- স্মরণীয়া রাণী ভবানীর ব্যয়ে প্রস্তুত হইয়াছে । দশপ্রহরণ- ধারিণী দেবী দশভুজার নিকট প্রতাহই ছাগবলি প্রদত্ত হয়। এখানকার জনসওঘ দেখিলে বিস্মিত হইতে হয় । এমন সময় নাই, যে সময়ে এস্থানে কোনও জনতা না থাকে । দূর দেশান্তর হইতে এখানে যে কত লোক আসিতেছে, তাহার সংখ্যা নাই । প্রত্যহ মঙ্গলবারে এবং প্রতি বৎসর শ্রাবণ মাসের মঙজলবারে ছুর্গাবাড়ীর মেলায় লোক সংখ্যা খুব বৃদ্ধি পায়। দেবীর মন্দিরের কারুকাধ্যাদি প্রশংসনীয় _-এখানেও নেপালের মহারাজার প্রদত্ত একটা ঘণ্টা দোছুলামান। মন্দিরের প্রাচীরসীমায় পবিত্র দুর্গাকুপ্ড অবস্থিত । ছুর্গাবাড়ীতে বানরের অত্যাচার অত্যন্ত প্রবল, সাহেবের! এ নিমিনু ইহাকে 1১16)1)155১ 11011) নামে অভিহিত করেন। কাশীর সহজ সহজ্র দেবমুগ্তির সংখ্যা করা ও দেবমন্দিরসমুহের বিবরণ প্রদান কর! অসম্ভব । এমন গলি নাই যেখানে কোন না কোন দেবমুস্তি নাআছে। গঙ্গার তীরে যে সকল ঘাট আছে, প্রতোক ঘাটেই দেব-মন্দির- সমূহ দুষ্ট হয়। একদিন আমরা “বেণীমাধবের ধ্বজা” দর্শন করিতে গমন করিলাম । পঞ্চগঙ্গাঘাটের উপরেই পুর্বেব বেণীমীধব বা বিন্দুমাধবের মন্দির বিরাক্তিত ছিল, --ওরঙ্গজেব সে দেব-মন্দির ভগ করিয়া সে স্থানে এই বুহশু মস্জিদ নিন্নীণ করিয়া গিয়াছেন। মস্জিদের চারিকোণে চারিটা স্তস্ত আছে, তন্মুধো সম্মুখস্থ দুইটাই সমধিক উচ্চ, উহাই এখন ( বেণীমাধবের ধবজা ) বলিয়া পরিচিত । এই ধ্বজা কলিকাতার অক্টার্লনি মনুমেণ্ট হইতে অনেক উচ্চ। উহার উপর হইতে কাশীর চতুদ্দিকস্থ দৃশ্যাবলী চিত্রের গ্যায় প্রতীয়মান হয়। কাশীতে অনেক রাজ মহারাজা ও জমীদারগণের কীন্তি আছে; কিন্তু সর্নবাপেক্ষা নাটোরের প্রাতঃম্মরণীয়৷ রাণী ভবানীর কীত্তিই সংখ্যায় বেশী, কাশীবাসিগণ তাহাকে স্বয়ং অন্নপূর্ণার অংশপগত1 বলিয়। বিবেচনা, করেন। এই পুণ্যবতী রমণী হর্গাবাড়ী | বেণীমাধবের দ্বজ।। ৯৮ কাশী। ৩৬৫টা বাটা ব্রহ্মপুরী নিশ্ম্বাণ করিয়! ( যে কোন ব্রাহ্মণ উহাতে বাস করিতে পারেন) ও একজন গৃহস্থের একবৎসরের প্রয়োজনীয় সমুদয় দ্রব্যাদিসহ পূর্ণ করিয়া প্রতিদিন এক একজন ব্রাহ্মণকে দান করিয়াছিলেন। কাশীর পঞ্চক্রোশী রাস্তা ইহারই প্রস্তুত; এ রাস্তার মধ্যে মধ্যে এক একটা কৃপ, পান্থশালা ও ভারবাহী দীনদরিদ্রেরা যাহাতে বিনায়াসে মাথার ভার নামাইতে পারে, সেজন্য স্তত্ত প্রস্তুত করিয়া দিয়াছিলেন। ইহার নিন্ম্মিত ছত্রের বাড়ী, দণ্তীভোজনের বাড়ী, ভোগমন্দিরের বাড়ী, তোপখানার বাড়ী, গোপালের বাড়ী, জয়ভবানীর বাড়ী, কালীবাড়ী ও তারাবাড়ী প্রভৃতি প্রসিদ্ধ। কাশীর হিন্দু-কলেজ আনিবেসেন্টের আন্তরিক যত্বু, চেষ্টা ও অধ্যবসায়বলে স্থাপিত হইয়াছে । একজন বিদেশিনী রমণী হিন্দুর হিতার্থ যে কতটা স্বার্থত্যাগ করিয়াছেন-_ তাহা ভাবিলে বিস্মিত হইতে হয় ও হৃদয় আপনা হইতেই কৃতভ্ভতায় পূর্ণ হইয়া উঠে। এই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থা অতিশয় সুন্দর । সম্মুখে সুন্দর মাঠ, নানাপ্রকার খেলার ও শারীরিক ব্যায়ামাদি করিবার স্থুন্দর বন্দোবস্ত । তথাকার ছাত্রাবাসে সরবশুদ্ধ ১২০টীা ছেলে থাকিতে পারে । বিষ্ভাগারের উদ্ধতলের হুলটি নানাবিধ স্থন্দর স্থন্দর চিত্র দ্বারা পরিশোভিত, হলের একপাশে একটা বেদী,-বেদীর উপরিস্থিত ছাদের নিকটের জানালায় জ্ঞান-বিগ্ভা-প্রদায়িণী দেবী সরস্বতীর প্রতিমুদ্তি চিত্রিত, এই হলের পার্্স্থিত কক্ষে সভাসমিতি ইত্যাদি হইয়। থাকে । কুইন্স কলেজ একটা দেখিবার জিনিষ । টিনািন্রীরাী শিল্পকাধ্যাদি-পরিশোভিত এই বিষ্ভাগারটা পরম রমণীয়। কলেজের ভিতরকার কান্টের কার্যযাদি অত্যন্ত স্থন্দর_ মুক্ত প্রাণের চতুদ্দিকে স্থশোভিত স্থন্দর কুস্থমোগ্ান বিদ্যার্থীদের তৃপ্ডিদায়ক। এখানে সাঞনাথ হইতে আনীত বনু বোদ্ধমূত্তি এবং আরও নানাপ্রকার ভগ্ন প্রস্তরমুত্তি নানাস্থান হইতে সংগৃহীত হইয়া যত্বের সহিত রক্ষিত হইয়াছে । কাশীর মান-মন্দির একটা প্রধান দর্শনীয় পদার্থ। কাশী যে কেবল ধন্ম-স্থান বলিয়। খ্যাত তাহা নহে, শিক্ষা-দীক্ষায়ও ইহা সর্ববপ্রধান | হিন্দু-কলেজ । কুইন্স কলেজ । ১৯ ভারত-জমণ |. সংস্কৃতচচ্চার জন্য ইহ! চিরদিনই প্রসিদ্ধ । এক সময়ে জ্যোতিষ-শান্তের চষ্চার ' জন্যও যে এস্থান প্রসিদ্ধ ছিল, তাহ৷ জয়পুরের মহারাজ! জয়সিংহের নির্িত প্রসিদ্ধ মান-মন্দির দৃষ্টেই সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, অনেকেই ইহা মহারাজ। মানসিংহ কর্তৃক নিশ্িত বলিয়া ভূল করিয়া থাকেন । মহারাজা মান-সিংহ তীর্ঘযাত্রী এবং বিদ্যার্থীদের সুবিধার জন্য মান-মন্দির নামক প্রাসাদটা নিশ্মীণ করাইয়াছিলেন, কিন্তু জ্যোতিষিক যন্ত্রাদি মহারাজা! সবাই জয়-সিংহের সময় স্থাপিত হয়। হিন্দু জ্যোতির্বিনদগণ এক সময়ে জ্যোতিষ-শান্মের যে কতদুর উন্নতি করিয়াছিলেন, এই মান-মন্দির ইহার পুর্ণ পরিচায়ক । দিল্লীশ্বর মহম্মদ সাহের আদেশে নক্ষত্রের গতিবিধি নির্ণয় করিবার জন্য জয়পুর-রাজ জয়-সিংহ কাশী, দিল্লী, মথুরা, উজ্ভয়িনী ও জয়পুর এই পাঁচ স্থানের পাঁচটা মান-মন্দিরে বাবহারের জন্য প্রাচীন আধাজ্যোতিষের সাহাযো “জয়প্রকাশ, রামযন্ত্র ও সম্রাটযন্ত্র” নামক যন্ত নিন্মীণ করেন। মান-মন্দিরের শিল্পনৈপুণা এবং বাতায়নাদির গঠন- পদ্ধতি পরিদর্শন করিলে নিশ্মীতার অপুর্বন কলা-বিজ্ঞানের যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। মন্দিরে প্রবেশ করিলেই সম্মুখে ১১ *৯০ বিস্তৃত একটা দেওয়াল, ইহার নাম ভিন্ভতিযন্ত্র ; এই যন্ত্রের সাহায্যে সূর্যের নানাবিধ গতির বিষয় অবগত হওয়া যায়। এই যন্ত্রের নিকটে গ্রহাদির গতি নির্ণয় করিবার জন্য একটা ন্ত্র--এ যন্ত্রের পরেই সামন্ত বা সম্রাটফন্ত্র। ইহার দেওয়াল ৩৬৮ 8॥ ফুট । এক দিক্‌ ৬৮ 8॥ ইঞ্চি, অপরদিক ২২ *৩॥ ইঞ্চ উচ্চ । এই যন্ত্রের সাহায্যে সুধা ও গ্রহনক্ষত্রবৃন্দের উদ্ধী এবং অধঃগতির বিষয় জ্ঞাত হওয়া যায়। সামন্তযন্ত্রেরে সন্নিকটে আরো দুইটা ভিন্নতর আছে। এখানে জয়-সিংহের আবিষ্কৃত ভিন্ডিযন্্, চক্রযন্ত্র প্রভৃতি আরও কতকগুলি যন্্ আছে, জয়-সিংহ এ সকল যন্ত্রাদির সহায়তায়ই পাশ্চাত্য জ্যোতির্ব্বিদ হিপার্কাস, টলেমি প্রভৃতির যুক্তির ভ্রমপ্রদর্শন করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন । কাশীর সিক্রোল নামক স্থানেই ইংরেজ কম্মচারিগণ বাস করেন এবং সেখানেই আফিস আাদালতাদি প্রতিষঠিত। রাস্তাঘাট প্রশস্ত ও স্থপরিষ্কত। এখানে সাত আটটার বেশী বড় রাস্তা নাই, অধিকাংশই গলি। ন্্‌০ মান-মন্দির | মানমন্দিরের ধ্বংসাবশেষ-_কাশী কৃস্তলীন প্রেস, কলিকাত। ; কাশী। কাশী যে কেবল পুণ্যক্ষেত্র বলিয়। বিখ্যাত তাহা নহে--ব্যবসাবাণিজ্যেরও ইহা একটা প্রধান কেন্দ্র। নানা দেশ-দেশান্তর হইতে বহু পণ্য দ্রব্যাদি এখানে আনীত ও বিক্রীত হয়। কাশীর রেসমী কাপড়, শাল, পিস্তলের দ্রব্যাদি, বারাণসী কাপড়, হীরা জহরতাদি জরির কাধ্য এবং নানাপ্রকার খেলনার জন্য ইহা বিশেষ প্রসিদ্ধ। প্রায় প্রত্যেক প্রধান প্রধান হিন্দুনরপতি এবং জমীদারগণের এস্থানে এক একটী করিয়া বাড়ী আছে এবং তাহারা অনেক সময়ে সপরিবারে এস্থানে বাস করিয়া থাকেন । দুর্গ, বারিক, বিশ্ববিষ্ঠালয়, রেলফ্টেসন, ডাকঘর, আদালত ইত্যাদি সমুদয়ই এখানে আছে । পুর্বেরব ভারতের নান৷ স্থান হইতে বেদাধ্যয়নের নিমিন্ত ্রাঙ্গণগণ আগমন করিতেন, এখনও আসেন কিন্তু পূর্বেবর প্রসিদ্ধি অন্তহিত হইয়াছে । কাশ্মীরের মহারাজার বাড়ীতে একটী উত্তম সংস্কৃত বি্ভালয় আছে, সেখানে বহু বিগ্ভাধ্যায়ীকে বেদাদি শাস্ম শিক্ষা দেওয়া হইয়া থাকে । কাশীতে কলের জল হওয়ার পর হইতে স্বাস্থ্যের যথেষ্ট উন্নতি হইয়াছে । বিসুচিকা রোগ এখানে নাই বলিলেই হয় মা জাহ্ুবীর পবিত্র জলের এমনি অত্যাশ্চর্ধয শক্তি যে উহা! পান করিলে কোনও রূপ পেটের পীড়া থাকিতে পারে না । এখানে যেমন অল্পব্যয়ে থাকা যায়-_বঙ্গদেশের কোথাও তদ্রপ সম্ভবপর হয় না । কাশীতে প্রতোক দ্রব্যই সস্তা, বিশেষতঃ ফলমূল, শীকসব্জীর ত কথাই নাই,--অনেক দীনাহীনা বিধবা কেবল মাত্র ২।॥০, ৩২ টাঁকা মাসিক ব্যয়ে এই পুণ্যতীর্থে বাস করিতেছেন। কাশীর একদিকে যেমন ধন্মের পবিত্র জ্রোত প্রবহমান, আবার অপরদিকে তন্রপ ব্যভিচারের আ্োত দিন দিন বুদ্ধি পাইতেছে; এমন পাপানুষ্ঠান নাই যাহ বন্তমান সময়ে কাশীতে অনুষ্ঠিত না হয়। আলো ও অন্ধকারের পার্থক্য এ স্থানে সুস্পষ্ট দেখিতে পাওয়া যায়। কাণীর অপর তীরে ব্যাসদেবের নিশ্মিত ব্যাসকাশী অবস্থিত। আমর৷ একদিন প্রত্যুষে ব্যাসকাশী দেখিতে যাত্রা করিলাম । তরণী- যোগে নদী পার হইলাম। ভাগীরথীবক্ষ হইতে তরুণ রবির কনক-কিরণ-মণ্তিত মন্দির-চুড়া ও কাশীর সৌন্দর্য্য বড়ই মনোরম বোধ হইয়াছিল। পরপারে উপনীত হইয়া বালুকাময় তটভূমি উত্তীর্ণ পূর্ববক নানাকথ। । [দকানী। ১ ভারত-জমণ । রামনগর বা ব্যাসকাশীতে উপস্থিত হইলাম । একদিকে কাশীর তট প্রদেশ জাহবীর গর্ভ হইতে যেমন পর্বত প্রমাণ উচ্চ, আবার অপর দিকে রামনগরের দিকের তটপ্রদেশ একেবারেই নিন্ন। কাশীতে মৃত্যু হইলে মানুষ যেমন শিবত্ব লাভ করে-_ব্যাসকাশীতে মৃত্যু হইলে আবার গর্দভ- যোনি প্রাপ্ত হয়, ইহাই সাধারণের বিশ্বাস। কৰি ভারতচন্দ্র “অন্নদামঙগলে” ব্যাসের কাশীনিম্মীণমহিমা এবং দেবী কর্তৃক তাহার ছল! অতি স্ন্দররূপে লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। ব্যাসকাশীতে দেখিবার কিছুই নাই---একটী সামান্য ছোট মন্দির কেবল ব্যাসদেবের কাশীনিন্্াণের গৌরব বা বিজ্রপ ঘোষণা করিতেছে! এই মন্দিরটাও বিশেষ প্রাচীন বলিয়া বোধ হইল না। সম্মুখেই একটা পুক্ষরিণী, পুক্করিণীর জল অতান্ত অপরিষ্কার, মন্দিরমধ্যে একটা শিবলিজ স্থাপিত । রামনগরে কাশীর মহারাজার প্রাসাদ, মহারাজার উদ্ভানবাটা, দীথিকা, মর্দ্নর প্রস্তর বিনিশ্রিত হাওয়া খাইবার ঘর ইত্যাদি সকলই স্তুন্দর। রামলীলার সময়ে এস্থানে খুব আমোদ হইয়। থাকে । ভাগীরথীর কল- কল্লোলমুখরিত স্তবরম্য তটপ্রদেশে রামনগরের কেল্লা, সেই কেল্লার মধ্যেই মহারাজার প্রাসাদ অবস্থিত। এই কেল্লা বহৃকালের প্রাচীন, নদীর মধ্য হইতে ইহার দৃশ্য পরম রমণীয় বোধ হয়। মহারাজার সুসজ্জিত দরবার গৃহ এবং চিত্রশালা দেখিতে বড়ই স্থন্দর ৷ চিত্রশালায় বহু রাজ বংশীয় নৃপতিগণের চিত্র আছে । নদীর দিকের বারান্দায় উপবেশন করিলে ক্লান্ত শরীর সজীব হয়--অদুরে গঙ্গা বহিয়া যাইতেছে, পরপারে কাশীর স্থুন্দর দৃশ্য-_আর ভাগীরথীর শীতল-সলিল-সম্প্ক্ত স্তমন্দ পবন উত্তপ্ত দেহকে স্থশীতল ও সিগ্ধ করিয়া দেয় । আমর! দ্বিপ্রহরের সময় কাশীতে ফিরিয়া আসিলাম। কাশীর কথা পাঠককে নুতন করিয়া বলিব এমন শক্তি কোথায় ? যে তীর্থ সকলের সুপরিচিত-_যেখানে প্রতিদিনই শত শত হিন্দু আসিতেছেন ও বিশ্েরের কাহিনী লিখিয়া প্রকাশ করা অসম্ভব--তবু যাহা লিখিয়াছি তাহা! আমার ক্ষুদ্র হৃদয়ের প্রতিধ্বনি । কাশীর অনতিদূরে সারনাথ প্রত্বত স্ববিদ্গণের ১৬ রামনগালের দশা | 722 ্ 'লুখ্ঞ্াার মার ভীনি এনিলক্ৰ কাশি 225 পি ্ শন। দেখিবার জিনি টি জার ঠা ৪47 রা ৪ বিকার কাছে হই এখানে মায় স্থান তাহারা উন ূ বৌদ্ধগণের নিকট হা রা 22 একদিন প্রভাতের প্র রবময় কীত্তিস্তস্ত বলিয়া রি ৫ মহাতীর্থ। র প্রফুলতার মধ্যে সারনাথ দর্শনার্থ গমন রি ৫ ১1 1ম | ০ ৮: এট ক / টু &, রা ৬ সি ৪ 2 এন 14 পাটি ও পা ক চি ্‌ ূ এট শী 1 রা ৯.3 শত ২৩ ললাঞ্ধ ন্ব। ৌজ-ন্বান্বাপঙলী । +রনাথ কাশী হইতে দুই ক্রোশ উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত। বৌদ্ধদিগের নিকট ইহা বুদ্ধগয়ার পর মহাতীর্ঘ বলিয়! : বিবেচিত। আমরা যখন প্রথম এদআপসিনদা ৮ পা? চি ৮৮৮৮০০০৮০ এ এ & 9৮০৭ পা? সারনাথ দেখিতে যাই, সে আজ প্রায় পঁচিশ বসরের কথা-_তখন যাহা পপি প, , ৯৩০০৭ লাজ সিপাগিহে ছাপা বি রঙ পাপী কাশি তিশা! বৌস্ধন্ত প সারনাথ। ২৪ সারনাথ 1 কীন্তি মৃত্তিকা-গর্ভ হইতে উত্থিত হইয়াছে। পূর্ব সারনাথের নাম ছিল মৃগাদব। মেজরগ্রাণ্ট, কানিংহাম প্রভৃতি প্রত্বতন্ববিরগণের রিপোর্টে ইহা! “1661 [১211৮ নামে উক্ত হইয়াছে। মুসলমান সম্াট্রো যেমন হিন্দুদেব-মন্দিরাদি ধ্বংস করিয়া সেই ভগ্নাবশেষের উপর মস্জিদ ইত্যাদি প্রস্কৃত করিয়াছিলেন, তঙ্রূপ হিন্দুরাও যে বৌদ্ধকীস্তিসমৃহ লোপ করিবার জন্য বিহার ও চৈত্য প্রভৃতির উপর দেব-মন্দিরাদি নিশ্মীণ করিয়াছেন, হিন্দুর পবিভ্রতম তীর্থ কাশীর দ্েব-মন্দিরাদি হইতে তাহার বিশেষ প্রমাণ পাওয়া যায়,কাশীর অনেক দেব-মদ্দিরই যে বৌদ্ধকীত্ির শোধিত- ক্করণ, তাহা প্রত্বত ্ববিদ্গণ বিশেষরূপে নির্ণয় করিয়াছেন। যতই পুরাতন্বের নানাবিধ অনুসন্ধান চলিতেছে, ততই বৌদ্ধযুগের প্রকুত নৃতন নৃতন তথ্যসমূহ আবিষ্কৃত হইয়া ভারত-ইতিহাসের পুষ্ঠা' উজ্জ্বল হইতেছে । বৃদ্ধদেবের, জন্মস্থান. ক্পিলাবস্থ,...তাহার.. বুদ্ষহলটক্ের...স্থান...বুদ্ধুগুয়া এবং তীহার দ্বারা সর্বপ্রথম ধন্মচক্র ঘূণিত হইয়াছিল বলিয়া দারনাথ ও নির্ববৃণ- প্রাপ্তির জন্য কুশীনগর- --এই স্থান চতুষ্টয় বৌন্ধপরণের, নিকট মহাতীর্থ বলিয়। গণা। গ্রীগ্রিয় সপ্তম শতান্দীতে. প্রসিদ্ধ ৈনিক পরিত্রাজক হিউএন্সিয়াং : সারনাধের . এইস্থান দর্শন করিয়াছিলেন । কথিত আছে... বুদ্ধের 5555 সমসাময়িক কাণীর রাজ প্রাচীন আ _আধ্যঝযিগণের (যজ্তস্থল মুগাদব বা ধাষিপত্তন বুদ্ধদেবকে_ দান, করিয়াছিলেন - তাহার. পুর পুর. হইতে মুগাদব সঙ্ভবারাম নামে পরিচিত, হ্য় হয় ও রাজা আঙ্োক: এবং পালবংশীয় বৃপতিগণের রাজব-সময়ে সারনাথ বা সঙ্ঘারাম বৌদ্বকীসতি-গ্র্ত জীবে এবং তীর্স্থল হইয়া এতদূর শ্রেষ্টত্বলাভ করিয়াছিল যে, ইহার ঞগ্ঞ হিন্দুর ্রেষ্ঠতীর্থ চিরপ্রাচীন বিখ্যাত কাশীনগরীর কীন্ডতি পর্যন্ত নিষ্াভ হইয়া উঠিয়াছিল। কেহ কেহ বলেন যে, িন্ুর্্ের পুনরু্ানের সময় বৌনধধরটে স্মৃতি বিলুপ্ত করিবার জন্য হিন্দুগ্রণ বুদ্ধদেবকে দশীবতারের: এক: অব্ার করিয়া লইয়া, সঙ্ঘারামে শিবলিঙ্গ স্থাপন করতঃ. সঙ্গেষেশ্মরের_. পুজা শর করেন। হিন্দুশান্্ানযারী-_সজ্ঞেস্বর হিন্দু, বৌদ্ধ, প্রভৃতি . সকলেরই পরম দেবতা । “সাহিত্যপরিষদ্‌* হইতে প্রকাশিত “কাশীপরিক্রমা” নামক গ্রান্থের একস্থানেও সঙ্জেশ্বর বা সারনাথের উল্লেখ দেখ! যায়, বথা--.. 8০ 5 ৮ রি সি "রা ভারত-ভ্রমণ। “বরুণার পার, হৈয়া শুদ্ধাকার, অসংখ্য লিঙ্গেরে । যত্বে তাহে পুজি, পরে গিয়া ভি, দেব সঙ্ডেবশ্বরে | কিঞ্দ্ধ্যান তথা, করিয়া সর্ববথা, কিঞ্চিৎ তিষ্ঠিবে। পরে পাশাপাশি, ক্ষেত্রমধ্যে জ্ঞানী, প্রবেশি পুজিবে ।” ইহা হইতেই পাঠকগণ আমাদের অনুমানের যথার্থতা অন্ুতবৰ করিতে পারিবেন । বৌদ্ধধন্মের অবনতির সঙ্গে সঙ্গে সারনাথের বৌদ্ধকীত্তি- কলাপাদি মৃত্তিকাগর্ভে প্রোথিত হইয়া লোক-লোচনের অদৃশ্য হইয়! গিয়াছিল,-_বৌদ্ধদের সময়ে ইহার নাম “বুদ্ধকাশী” ও “ষাড়ঙ্গনাথ ছিল। সর্দবপ্রথমে প্রাচীন সারনাথের লুপ্তম্বতি কাশীর রাজা চেসিংহের সময়ে পুনরায় জাগরিত হয়। তিনি তাহার প্রধান মন্ত্রী জগৎসিংহের স্মরণার্থ জগণগঞ্জ পল্লী-স্থাপনের ইচ্ছা করিয়া স্থপতিগণকে এস্থানে প্রেরণ করেন, তাহারা. পল্লী-নিশ্মাণোদ্দেশে উপকরণ সংগ্রহ করিবার জন্য প্রায় অষ্টাদশ হস্ত মৃত্তিকার নিম্মদেশে অশোকস্তুপ এবং তন্মধ্যস্থ ধনাগারের সন্ধান পাইয়া, ধনরত্বাদি গ্রহণ করে; দৈবক্রমে উহার মধ্যস্থ দগ্ধনরআস্মি, মুক্তা, পদ্মরাগমণি, স্বর্পপাত এবং নিম্বলিখিত বিবরণ সহ একটা বুদ্ধমূত্তি ও হরিদর্ণ মন্ঘ্ররসম্পটক, ১৭৯৪ শ্রীষ্টাব্দের জানুয়ারী মাসে বারাণসীর সে সময়কার রেসিডেণ্ট জোনীথান ডান্কান্‌ সাহেবের হস্তগত হয়। এই ঘটনার পর. হইতেই পাশ্চাত্য প্রত্ুতন্ববিদ পণ্ডিতমগ্ডলীর ইহার প্রাতি মনোযোগ আকধিত হয়। বুদ্ধমু্তির সহিত প্রাপ্ত-বিবরণে লিখিত ছিল যে- “গৌঁড়াধিপতি খ্যাতনামা মহীপাল শ্রীধন্মটির (বুদ্ধদেব ) চরণ অর্চনা করতঃ কাশীধামে ১০০ একশত ঈশান ও চিত্রঘণ্ট। প্রস্কৃত করেন । তাহার ভ্রাতাদ্বয় প্রীস্থির পাল ও বসন্ত পাল বৌদ্ধধন্মের পুনরুদ্ধার করিয়া সম্বৎ ১০৮৩ (১০২৬ শ্রীঃ) এই স্তুপ নিম্মাণ করেন।” জেনারেল কানিংহাম সাহেব ১৮৩৫ _৩৬ শ্রীষ্টাব্দে সারনাথে বিশেষরূপে তন্তানুসন্ধান করেন এবং মুদ্তি, অট্রালিকার ভগ্নাংশ, স্তস্ত ইত্যাদি বাহির করিতে সমর্থ হন। কানিংহামের পরে ১৮৫১ খ্রীষ্টাব্দে মেজর কিটোও সারনাথ সম্বন্ধে বিস্তর এবং বহু মুণ্ডি, স্তস্ত ইত্যাদি আবিষ্কার করিতে সমর্থ হন, সে সকল ৬ সারনাথ। গহংত ধমকন্ত পের কারুকাধ্য। কলিকাতা, লক্ষৌ প্রভৃতি স্থানের পুরাদ্রব্যাগারে বস্ত্র সহিত রক্ষিত আছে। কিটো তীহার রিপোর্টের একস্থানে লিখিয়াছেন "4১110451১6০ 8050 2070 0১01060076৯, 0601015৯ 10015, 21] 00650161) (01711) 9011 1)19০6১ 101৩3, 7:01, 000 8110 31016, 9/8::000170 11) 10০ 85963 2110 1119 1045 178100051)60 17096 0090 01005. পূর্বে যে সকল বৌদ্ধকীত্তি আবিষ্কৃত হইয়াছিল তম্মধ্যে ধমক বা ধর্ম্মউপদেশ নামক সুবৃহত্ প্রস্তরময় স্তুপ এবং “চৌখান্তি নামক ইষ্টকনির্দিত অট্রালিকাই প্রধান ছিল। পূর্বে ধমক স্তুপের শীর্ষদেশে বুদ্ধদেবের মত্ত ছিল, এখন তাহার কোনও অস্তিত্ব নাই। এই ধমক স্তুপ মহারাজা অশোৌক-কণ্ডক নির্মিত হইয়াছিল। ফাগুসন ইহার যে সুন্দর বিবরণ দিয়াছেন_.আমরা এস্থানে তাহা উদ্ধত করিয়! দিলাম, ইহ! হইতে পাঠকগণ এই স্তুপের গাত্রস্থিত শিল্প-নৈপুণ্য এবং ইহার প্রকৃত সৌন্দর্য্য অনুভব করিবেন, তিনি লিখিয়াছেন, "' 17176 0011010200151505 01 2, 90076 08567161092 96011) 0141076061, 2110 50111) 01011, 076 9601059 পি ভারর্জভ্রমণ। 1০০1 01401050 00£6067 10) 17010601005 17615100০01 4 চি 4১1909৬6080 10151001010 07001510509 51051270০91 [196 .2৮০%৩ 06 501171:01110011)151011)5, 2170 128 0 2৮0০9৬5 0112-15-05 06110201) 016 10561192010 15191155৬50 09 5151) [৮০)500105 9065, 5801) 21006 1100165৮105, 200 15 0 800910.111652501) 15 2: 51007111010106) 11009110760 81008151005 0০ 0010211) ৪. 562.850 05815 06 130001198, 010 1)9109%/ 01502), 51017011712 010 11701)011701)0, 15 40091) 91 50011909160 01104002100 91 072 177950 ৪১01115105 05800)- 1170 00100109716 001051915 ক র্ঁ 0 05501086710 1)7006101501 07650 11001070, 001 00170011160 ৬10) 511)2017৮ আত] 7 270000০5৫00 02110%, 101155560005119 ৮৮০1] 06551817690, 81). 56) 10000117656101011106 0180 021৮50 10)1711)00 7110151৯001) 07668011656 17170179081) : 46 1০ সিল 8০ ১৯০৫ সনের খননের পর সারনাথে র সাধারণ দুশ্থ্া | 81050065 2 2১110107770 10611)1, ন৪:0717715 05661 5016 11716) ০81) 1001 196 ৮1 0190717101816. (17610550715 19001 ৮ পক কান পাক 1 "পনির পি ৮৮৮85 4 সি, রি 18 পর [পু 55০45 8৫5এ৯পা ৪ নতি এত বাপি) ১, 2. টা রি বিসিসি 2 7৮৮ রি মি | ৮০৬, 44 পি বি সে ১১ পিরিত ০টি এত তাপ ৮৫ ০০ ৯১ ০০৮০৫, এ তীর ২:২০ /1১২/১০০২ £8)8:১17- ১৮ ধানাবুদ্ধ _সারনাথ কৃন্তলীন প্রেন। সারনাথ। ০1100121720 125508া £510710000176,198০ 67. ) পূর্বে যে “চৌখাণ্ডি' নামক ইস্টক-নির্ম্িত অট্রালিকার বিষয় বলিয়াছি, উহার সহিত ৩০০০ ৯১০০০ ফুট সারঙ্গতাল ও চন্দ্রাতপ বাহির হইয়াছে বটে ; কিন্তু তাহার সহিত কোনও খোদিতলিপি বাহির হয় নাই । জেনারল কানিংহাম ও কিটো প্রভৃতির অনুসন্ধানের পর সারনাথ সম্ধন্ধে কোনও অনুসন্ধান না হওয়ায়__তাহার! যে সকল দ্রব্যাদি আবিষ্কার করিয়া- ছিলেন, তাহাও লুপ্তপ্রায় হইয়াছিল ; কিন্তু বিগত ১৯০৪-৫ খ্রীষ্টাব্দে ভারতের ভুতপুর্বব শাসনকর্তা লর্ড কঙ্ভনের অনুমত্যানুসারে পুরাতন্ব-বিভাগের মিঃ এফ, ও, অটেলের তত্বাবধানে সারনাথের বনুস্থান খনিত হইয়া যে সকল দ্রব্যাদি আবিষ্কৃত হইয়াছে__তাহা ভারত ইতিহাসের বনু পৃষ্ঠা উজ্জ্বল করিবে, ইহা নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে । সারনাথে মহাত্বা শাক্যসিংহ কর্তৃক সর্নবপ্রথমে বৌদ্ধধর্মের বান্তা ঘোষিত হইয়াছিল,_-একথা পূর্ব্বেই বলিয়াছি। বৌদ্ধধশ্মাবলম্বী সম্রাট অশৌক এই ঘটনা চির-স্মরণীয় করিয়া রাখিবার জন্য যে স্তস্ত স্থাপিত করিয়াছিলেন, অটে- লের কৃপায় তাহা এখন লোক-লোচনের গোচরীভূত হইয়াছে। এই ্তস্তটা ভগ্নাবস্থায় পাওয়া গিয়াছে, ইহার গাত্রে যে ৯ ছত্র অশোকলিপি খোদিত ছিল, তাহাও বনহুপরিমাণে নষ্ট হইয়া গিয়াছে । সম্রাট অশোক এই খোদিত- লিপিতে “দেবানাম্‌ প্রিয় বলিয়া সন্বোধিত হইয়াছেন । এই অনুসন্ধানে, মহারাজা অশ্মঘোষের রাজত্বকালীন একখানা লিপিও পাওয়া গিয়াছে । ভগ্ন-স্তস্তের শিরোভাগ উহার সম্মুখেই পাওয়া গিয়াছে। এই স্তস্তা- গ্রভাগের উপরে যে চারিটা সিংহমুর্তি দেখিলাম, তাহা নিতান্ত বিস্ময়কর । দুই হাজার বসরেরও অধিক কাঁলের প্রাচীন হইলেও এই সিংহগুলির গঠননৈপুণ্য-স্তস্তগাত্রে খোদাই, সিংহের সেই তরঙ্গায়িত কেশর, চক্ষু ও মুখের স্বাভাবিক ভঙ্গীদর্শনে বর্তমান ইয়ুরোপীয় শিল্লিগণও প্রশংসা না করিয়া থাকিতে পারেন নাই। ভারতবর্ষীয় শিল্পিগণ এককালে যে স্থপতিবিষ্যায় কতদূর উন্নত ও বিচক্ষণ ছিলেন, এ সকল ভগ্নাবশেষ হইতে তাহার প্রকৃষ্ট উদ্হরণ পাঁওয়৷ যায়। চৈনিক পরিব্রাজক হিউএন্সিয়া, সপ্তম শতাব্দীতে এই স্তম্ত দেখিয়া যাহা লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন, তাহা অশোকস্তস্ত ৷ শত ২৭৯ ভারত-জমণ । হইতেই পাঠকগণ হৃদয়ঙজম করিতে পারিবেন যে, সে সময়ে ইহার শিল্প- সৌন্দর্য্য কতদূর শ্রেষ্ঠ ছিল। তিনি লিখিয়াছেন “মহারাজা অশোকের স্তপের কাছে জেড্‌ নামক মূল্যবান মণ্্নর-প্রস্তরের আভাযুক্ত ৭০ ফুট উচ্চ একটা স্তস্ত আছে; উহার অভ্যন্তর হইতে একপ্রকার উজ্জ্বল আলে! বাহির হইয়া থাকে । যেব্যক্তি আন্তরিক ভক্তি ও বিশ্বাসের সহিত এ স্থানে প্রার্থনা করে, সে তাহার অভীষ্টানুষায়ী স্ফল এই স্তত্তগাত্রে প্রতিবিশ্বিত দেখে । এ স্থানেই বুদ্ধদেব সর্বাগ্রে দিব্যজ্ঞানালোক লাভ করিয়া ধণ্্চক্র ঘূর্ণিত করিয়াছিলেন।” এই স্তৃস্তের সহিত একটা প্রকাণ্ড প্রস্তর-নিণ্রিত ছত্রদণ্ড ও একটা বৃহ বুদ্ধমু্তি পাওয়। গিয়াছে--এই উভয়ের গাত্রে যে খোদ্িতলিপি আছে, তাহা হইতে জান! গিয়াছে যে, শ্রীষ্টের জন্মের একশত বসর-পরবর্তী রাজা কনিক্ষের রাজ্যশাসনকালে এ সকল সংস্থাপিত হইয়া- ছিল। প্রত্তত্ববিদ্গণ ইহাও ঠিক করিয়াছেন যে, খরিপল্পন ও বানম্পর নামক দুইজন বৈদেশিক রাজা কর্তৃক ইহা সংস্থাপিত হয়। ছত্রদণ্ডটার সম্মুখস্থ ভূভাগ খনন করিয়া ছত্রটাও পাওয়া গিয়াছে, এই ছত্রের বৃহত্ব ও ১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দে ভুমাযুনন্তস্তের নিয়স্থ খনিত অংশ | সৌন্দর্য বিশেষ প্রশংসনীয় । ইহার অভ্যন্তর ভাগের বিবিধ কারুকার্্যাদি ধর্মের কোনও রূপ সাঙ্কেতিক চিহ্ন বলিয়৷ পণ্ডিতমগ্ডলী অনুমান করেন। ৩০ সারনাথ । | এখানে ছোট বড় বহুসংখ্যক স্থুন্দর স্থুন্দর বৌদ্ধমুন্তি উঠিয়াছে, কোন কোন মুত্তির গাত্রে প্রাচীন ও মধ্যযুগের গুপ্তাক্ষরে লিখিত উৎসর্গ-লিপি ইত্যাদি দেখিতে পাওয়া যায়। সারনাথের নিকটস্থ গ্রামবাসিগণ এ স্থানকে লক্ষ্য করিয়া বলিয়া থাকে যে,_-“নয় লাখ্‌ দেনেছে নয় কোটি মিলে গা 1” এ কথা একেবারে তাচ্ছিল্য করিবার নহে, কারণ দিন দিন যতই এ স্থান খোদিত হইতেছে, ততই নান! প্রকার প্রত্ুতন্ব-সম্পকীয় দ্রব্যাদি পাওয়া যাইতেছে । মহারাজা চে সিংহের আমলে যে, এখান হইতে বভ ধন-রতু পাওয়া গিয়াছিল, সে কথা পূর্সের্ই বলিয়াছি__-কে বলিতে পারে যে, এই রত্বগর্ভা মুন্তিকার অভ্যন্তরে আরও বহু ধন-রত্রাদি প্রোথিত নাই ? এ স্থানের কিছুদুরে “ষাড়জতাল” নামক একটী জলাশয়ও দৃষ্ট হয়। সারনাথের স্তূপ মাঠের মধো অবস্থিত_ অদুরেই বস্তি। লর্ড কঙ্ভনের কৃপায় এখানে একটা ক্ষুদ্র গৃহ নিশ্মিত হইয়াছে, পর্য্যাটকদের বিআাম করিবার জন্য একটী কক্ষ আছে, অপরটাতে এ পধ্যন্ত যে সকল দ্রব্যাদি প্রাপ্ত হওয়৷ গিয়াছে, তাহার কতকাংশ সযত্বে রক্ষিত হইয়াছে । বৌদ্ধ- ধন্মের অভ্যুত্থানের সঙ্গে সঙ্গে দেশব্যাপী যে মহান একতার ভাব জাগিয়৷ উঠিয়াছিল, তাহ কে অস্বীকার করিবে ? বুদ্ধদেবের অভ্যুদয়ে ভারত ধন্য হইয়াছে! অমর বঙ্কিম সে সময়ের উন্নতির বিষয়ে ও জাতীয় একতার প্রতি লক্ষ্য করিয়া লিখিয়া গরিয়াছেন “তখন বিশুদ্ধাত্মা শাক্যসিংহ অনন্তকালস্থার়ী মহিমা বিস্তার পুর্ববক, ভার্তাকাশে উদ্দিত হইয়। দিগন্তপ্রধাবিত রবে বলিলেন, পে ক্ষ *% তোমরা সবই সমান । ব্রাহ্মণ শুদ্র সান। ক্ষ % %? বৈষম্য-পীড়িত ভারতে এ মহামন্ত্র শুনিয়! হিমগিরি হইতে মহীসমুদ্র পর্যন্ত বিচলিত হইল । কৌদ্ধধন্্ন ভীরতবর্ষে প্রচলিত হইল-_বর্ণবৈষম্য কতকদুর বিলুপ্ত হইল। প্রায় সহত্র বৎসর ভারতবন্জে বৌদ্ধধন্্ প্রচলিত রহিল। পুরাবৃত্তজ্ঞ ব্যক্তিরা জানেন যে, সেই সহত্র বগসরই ভারতবর্ষের প্রকৃত সৌষ্টবের সময় । যে সকল সম্রাট হিমালয় হইতে গোদাবরী পধ্যন্ত যথার্থই একছত্রে শাসিত করিয়াছেন-_ অশোক, চন্দ্রগুপ্ত, শিলাদিত্য প্রভৃতি--এইকাল মধ্যেই তাহাদের অভ্যুদয় । এই সময়েই তক্ষশীল| হইতে তাত্ত্রলিপ্ত পর্যন্ত বহুজনসমাকীর্ণ মহাঁসমৃদ্ধি- ৩ ভারত-ভ্রমণ। ১৯০৫ শ্বীষ্াব্বের খননে প্রাপ্ত ভিক্ষুগণের প্রার্থনার ক্ষুদ্রাকৃতি বেদী ৷ শীলিনী সহজ্স সহজ নগরীতে ভারতবর্ষ পরিপুরিত হইয়াছিল । এই সময়েই ভারতবর্ষের গৌরব পশ্চিমে রোমকে, পূর্বে চীনে গীত হইয়াছিল-__তদেশীয় রাজার! ভারতবর্ষীয় সআরাট্দিগের সহিত রাজনৈতিক সধ্যে আবদ্ধ হইয়াছিলেন। এই সময়ে ভারতবর্ষীয় ধর্মপ্রচারকেরা ধর্ম্মপ্রচারে বহির্গত হইয়া অর্ধেক এসিয়াকে ভারতীয় ধন্মে দীক্ষিত করিয়াছিলেন । শিল্পবিদ্ভার যে এই সময়ে বিশেষ উন্নতি হইয়াছিল, তাহার প্রমাণ আছে ।” সারনাথ দেখিতে দেখিতে প্রতিমুহুর্তে এই মহাজনবাক্য আমাদের হৃদয়ে উদিত হইতেছিল-_-এই যে আমাদের নয়নসমক্ষে যে ধ্বংসাবশেষ পতিত রহিয়াছে, ইহার! কি সেই ্বার্থত্যাগী রাজসন্ন্যাসীর বিশ্বজনীন প্রেম ঘোষণা করিতেছে না ? বস্তুতঃ ৩২ | | উট এ 1 11915) 4250 5128 বিভর-বন্ানে ঘট বৌদ্ধমুগই ভারতের উন্নতির মুগ, সে সয়ে ভার প বড় দকলে এক ছিল বলিয়া, প্রতোক বিষয়ে ভারতবামীর টনি হইয়াছিল অই ধা হুর ঈীা্ত তে গোর উর রা অশোকের সৃতি সন্ত দখিতে'পাই। তদীমঞ্প্ুন্ শৃম্ধ্যার অব্যবহিত পরে রাত্রি ৮৯ ঘটিকার সময় বারাণসীধাম পরিত্যাগ করিয়া আউড এগ রোহিলখণ্ড রেলওয়েতে (0901) 200 [21711117810 [51147 ) জৌনপুরের টিকেট করিয়া রওয়ান৷ হইলাম। রজনীর স্তব্ধ নীরবতা ভঙ্গ করিয়া গাড়ী চলিতে লাগিল, কিয়ৎকাল পরে গাছের আড়াল দিয়া কৃষ্ণপক্ষীয় তৃতীয়ার চন্দ্র হাঁসিতে হাসিতে স্তনীল গগনতলে ভাসমান হইলেন। সে শুভ্রজ্যোতন্নালোকে প্রকৃতির যে শোভ। দেখিলাম, তাহা যে বাংল! দেশ হইতে স্বতন্ত্র, তাহাতে কোনও সন্দেহ নাই; সবই শ্যামলা বজ্জননীর সৌন্দর্য্য হইতে পৃথক রকমের। রেলপথের ছুইপার্থে যতদুর দৃষ্টি চলে, সারি সারি শাল গাছ,_ শাল গাছের পরে দিগন্তবিস্তূত মাঠ আপনার বিরাট শরীর শুভ্র জ্যোতসা- বরণে ঢাকিয়া স্বপ্তিমগ্র, গ্রামের কোনও চিহ্ন দেখা যাইতেছে না। রাত্রি প্রায় এগারটার সময় জৌনপুর পঁহুছিলাম। যেমন ফ্টেসনে অবতরণ করিয়াছি-_অমনি ঝম্‌ ঝম্‌ করিয়া প্রবল বারিধার৷ পতিত হইতে লাগিল-__ আকাশের দিকে-চাহিয়া দেখি আকাশ ঘন-কুষ্ত-মসীমাখা-মেক্ষে ঢাকা, কাজেই ভিজিতে ভিজিতে-রন্থকষ্টে বাসা ঠিক করিয়া রজনী কাটাইতে হইয়াছিল । আমাদের সে ক্লেশের কথা আর অধিক বিবৃত করিয়া, পাঠিকগণকে ক্রেশ দিতে চাহি না। তবে একটা কথা মুরুবিবয়ানা-ভাবে ন! বলিয়াও থাকিতে পারি না, যিনি ভ্রমণের স্বর্গহখ অনুভব করিতে চাহেন, ্টাহাকে বহু কষ্টও ভোগ করিতে হইবে। এই উপদেশ বাক্যটা স্মরণ রাখিয়া দেশ ভ্রমণ করিতে বাহির না হইলে, দর্শনস্পৃহা চরিতার্থ করা স্থুকঠিস। প্রত্যুষে নগর দেখিতে বাহির হইলাম। পশ্চিমের অন্যান্য নগরের সহিত ইহার যে বড় বেশী পার্থক্য, তাহা নহে__জৌনপুরের খ্যাতি এস্থানের শর্কিরাজাদিগের নির্মিত বহুসংখ্যক মস্জিদ ইত্যাদির নিমিত্ত। জৌনপুর অতি প্রাচীন নগর, ইহা উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের অন্তর্গত জৌনপুর জেলার প্রধান সহর। ১৩৯৪ ধ্রীষ্টা হইতে ১৪৯৩ খ্রীষ্টাব্দ পর্য্যন্ত এই একশত বতসরকাল ইহা বুদ্বাউন ও এতাব৷ ৩৪. প্রাচীন ইতিহাস। হইতে বেহা'র পর্যন্ত এক স্মৃবিস্তীর্ণ ও সমৃদ্ধ স্বাধীন মুসলমান নৃপতিগণে রাজধানী ছিল,__-এখনও এখানে প্রাচীন অট্রালিকা, মন্দির, মস্জিদ প্রভৃতি বিদ্যমান থাকিয়া সেকালের স্থপতিবিষ্ভার শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপাদন করিতেছে । এস্থানে মসজিদের সংখ্যাই বেশী, স্বাধীন পাঠান শর্কি-অধিপতিগণ একদিকে . যেমন অনেক হ্ৃন্দর মস্জিদ ইত্যাদি নির্মাণ. করিয়া! নিজেদের গৌরব প্রতিষ্ঠা করিয়া গিয়াছেন__অন্যদিকে আবার এস্থানের প্রাচীন হিন্দু ও. বৌদ্ধকীত্তিসমূহ ধ্বংস করিতেও পশ্চাদ্পদ হন নাই। বলা বাহুল্য যে অধিকাংশ মস্জিদ ইত্যাদি হিন্দু ও বৌদ্ধমন্দিরের ভগ্নাবশেষ লইয়! গঠিত । পৌরাণিক যুগে ইহার কি নাম ছিল, তাহা ঠিক্‌ জানিবার উপায় নাই, স্থানীয় ব্রাহ্মণেরা জৌনপুরকে প্রাচীন জমদগ্লিপুর বলিয়া ব্যাখ্যা করেন এ সিন্ধান্ত কতদূর সত্য, তাহ! প্রত্বতত্ববিদ্গণ অনুমান করিতে পারেন, সে যাহাই হউক এখানকার হিন্দু অধিবাসীর! কিন্তু ইহাকে অগ্ঠাপি জৌনপুর না বলিয়া জমনপুর কহিয়! থাকে । এ স্থানের নামোৎপন্তি সম্বন্ধে নান প্রকার মতামত শুনিতে পাওয়া ষায়। মুসলমানেরা বলেন ষে, সম্রাট ফিরোজশাহ এই স্থান-দর্শনে প্রীত হইয়! তাহার প্রিয় জ্ঞাতিভ্রাতা জুনানের (পরিশেষে মোহম্মদ তোগলক) শ্রীত্যর্থে ইহার নাঁম জৌনপুর রাখেন । হিন্দুরা বলেন, প্রাচীন-জমনপুর নাম ফিরোজের তুষ্টির নিমিত্ত কিঞ্চিৎ পরিবন্তিত হইয়া জৌনপুর হইয়াছে। সে যাহাই হউক জৌনপুর যে অতি প্রাচীন নগর তছ্িয়ে কোনও সন্দেহ নাই। ফেরিস্তা লিখিয়াছেন যে “জৌনপুর দিল্লী হইতে বঙ্গদেশে যাইবার পথে জবস্থিত।” এখানকার জামি মস্জিদের দক্ষিণ দ্বারে একখানি শিলালিপি আছে, উহা খ্রীগ্রিয় সপ্তম শতাবীর, এই 'শিলালিপিতে মৌথরি রংশীয় ঈশ্বর বন্দার নাম লিখিত আছে; ইহ হইতে প্রমাণ করা যাঁয় যে, মুলমান-শাসনের বুপূর্বেষে এ স্থান একটা সম্বদ্ধিশীলী হিন্দু-নগ্ররী ছিল। জৌনপুরের স্ববাপেক্ষ। প্রাচীন মস্জিদটা চুর্গাভ্যস্তরে অবস্থিত । একটা খোদিতলিপি করার কেট হর্স, হইতে জানা ঘাঁয় যে এই মস্জিদটা ১৩৯৮ কী নির্দিত কার দরনির হইয়াছিল। মস্জিদটা আকারে দি কহে দক্ষিণে দৈর্ঘ্যে ১০০ শত ফিটের অধিক হইবে নাও, এ টিজিদের সগ ্স্তগুলি সুন্দর কারুকার্য্য-খচিত। . ইহা যে: প্রাচীন হিন্দু-মন্দির' হইতে গৃহীত তদ্ধিষয়ে টিন সন্দেহ নাই ১ ফাগুসন সাহেব, চি লিখিয়াছেন”- . 11706 098019%/5,01 00656 ঢা 1876 নিন টি কাটিন 270 ৮/875. ৪০10610) 14061 01017) 50175. 08101)19 01970. ৪%15690 00616, 01. 1 076 11615101000711700, 0561016 00৫ 1195161) 90০00401079 0১9০ 016 5601 69:100৮6 ৫31805:60 06. 90000 89110 00136790001) 21100900001) 11) 01 1116 18100500165 ১০11 91998079101).” (0১ 421, 17 রত 5 পা 061106 1515167) 8170 11)1180, 4510171050001,) এই মস্জিদটা ব্যতীত জৌনপুরে আরও তিনটা টি চিন পাঁওয়। যায়, তন্মধ্যে জুম্মা মস্জিদই সর্বাপেক্ষা! বৃহৎ ও শিল্পচাতুর্যাময়। ইহার ভিত্তি অন্যান্য মস্জিদ অপেক্ষা অনেক উচ্চ। এই মস্জিদের প্রস্তর ইত্যাদি দৃষটে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে, ইহা কোনও প্রাচীন হিন্দুমন্দিরের ভগ্নাংশ দ্বার! নিশ্মিত হইয়াছে. রঃ ১৪১৯ রাধে জৌনপুরাধিপতি সাহা ইব্রাহিম, চিট ইহার নিম্্াণকার্ধ্য আরম্ভ হইয়৷ ১৪৫১--১৪৭৮ তরীষ্টাে হামেনের রাজত্বকালে পরিসমাপ্তি হয়। এই মসজিদের প্রাঞ্জণ ২২০ ২১৪ ফিট, পশ্চিম দিকে একসারি অট্রালিকা . আছে, উহার মধ্যস্থ অট্রালিকাটার উপর একটা গুম্বজ আছে। ইত্রাহিম শাহের প্রতিষ্ঠিত অতলা মস্জিদটাও দেখিতে. মন্দ নহো। ফিরোজসাহ ১৩৭৬ খ্রীষ্টাব্দে দেবী অতলার মন্দিরের উপর ইহা নিশ্াণ করিতে আরম্ভ করেন এবং ১৪০৮ খ্রীষ্টাব্দে ইব্রাহিম উহার ই্রাহিম-নারেব কার্ধ্য শেষ করেন।% এই মস্জিদটার গঠনাকৃতি বঙ্গদেশীয় বার্বকের মসূজিদ। স্থাপত্যের অনুরূপ । ইহার কারুকার্য্যাদি-সন্বন্ধে উল্লেখ- যোগ্য তেমন কিছুই নাই। খোদিতলিপি পাঠে জ্ঞাত হওয়া গিয়াছে যে, ১৩৩৭ গ্রীষ্টা্যে ফিরোজসাহের ভ্রাতা ইব্রাহিম-নায়েব-বার্বধাক উঠ পপ পক সপ চপ পাপ * জৌনপুরে 0 যে. নকল মস্জিদ অবশিষ্ট আছে তস্মধো অতলা মস্জিদ্ই নানা কারুকাধী- ও সর্বযাপেক্ষ। মনোহর। ফাগুসন সাহেব বজেন__'01 এ| 1116 [10508৩৭ 16চ817761 ৪ 190109016) 106 45151218510 5ি:0617050071816 8170. (16 17081 (৮৫৪০0০ প্রথম দৃষ্টিতে ইহা হিশু কি বৌদ্ধমন্দির বলিয়া অন্ৃমিত হয়; মস্জিদটা দিত! ২ 15775. অতলা-মস্জিদ । নিশ্রিত হইয়াছিল । চি 'খালিস, মুনি দরিবা ও. মস্জিদ-খালিস. ইহা অভিহিত হয়। ১৪১৭ টানে বিজয়চনদ্ ও জয়চক্দের্‌ নরোজ। মসজিদ। মন্দিরের উপর এই মস্জিদটা নিন্মিত হইয়াছে । নগর হইতে কিঞ্চি দূরে রেগমগঞ্জ নামক স্থানে মাম্মুদ সাহের সহধশ্মিণী বিবিরাজি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত লালদরজার মস্জিদ অবস্থিত। অন্যান্য মস্‌- জিদাদির ন্যায় ইহার গঠনেও বিশেষ রেংনও পার্থক্য নাই-_তৰে হিন্দু ও মুসলমান স্থাপত্যের অপূর্ব সংমিশ্রণ ইহাতে দেখিতে পাওয়া যায়। আকারে এই মস্জিদটী নগরের অন্যান্য সকল মস্জিদর হইতে ছোট । এসকল মস্জিদ. ছাড়া জৌনপুরে ভ্রষটব্য আরও বহু মস্জিদ, মন্দির, সমাধি ভারত-্ভরমণ প্রভৃতি আছে-_সে কলের কথা পূর্বেই বিবৃত করিয়া সুলতান মহম্মদের মস্জিদ, মশিনখীর মদৃজিন, শাহ কবীরের মস্জিদ্‌, জহিদ্খার মস্জিদ্‌ ও হুলেছান-শাহের দর্গ প্রভৃতি বিশেষরগে উল্লেখ যোগ্য। পুণাতোয় গোঁমতীর উপরে প্রাচীন প্রস্তরনির্পিত সেতু আছে-_ তাহা এখানকার প্রধান তরব্য গদার্। পুলটি দৈর্ঘে ৭১২ ফিট এবং যোড়ঘটা ধিলানবিশিষউ। এই সেতুটা মোগলসম্রাটুদিগের সময়ের তৈরি। ১৫৬৯--৭৩ প্রীফীন্দে তৎকালীন জৌনপুরের শাসনকর্তা মুনিমখী কর্তৃক নির্িত হইয়াছিল--ইহা প্রস্তুত করিতে প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকা বায় হয়। সেতুর উতয় পাঙ্ন্থিত হু স্তর কক্ষে নানাবিধ ভরবযসামগ্রীর বিপণিশ্রেণী দেখিতে বড়ই সুন্দর । আমরা যে সকল মস্জিদ্‌ ইত্যাদির উল্লেখ করিয়াছি, ভাহা ছাড়াও প্রাীন ধবংসাদি অনেক দেখিতে পাওয়া যায়:_সে সকল জৌনপুরের অপর তীরে অবস্থিত।, জৌনপুর বাণিঙগ প্রধান স্থান। এখানকার আতর ও খয়ের বিশেষ প্রসিদ্ধ । পূর্বে এখানে দেশীয় একপ্রকার কাগস্স প্রস্তুত হইত, কিন্তু কলের প্রতি- _যোগীতায় তাহা চিরদিনের জগ্য লুপ্ত হইয়া গিয়াছে। গোমতীর উভয় তীরেই আউড এবং রোহিলখণ্ড রেলওয়ে কোম্পানীর ফেঁসন। গির্জা, ডাকবাংলা, পুলিশরাইন, মি আফিস (গাড়ীর মালামালের শুল্ক জায় হয়) আদালত ইত্যাদি দেখিতে বেশ-_এ নগরে মিউনিসিগালিটির বন্দোবস্ত আছে। সারাদিন নারছমণান্তে ক্লান্তকাতর দেহে বাসায় ফিরিললাম ও উদরদেবকে শীতল করিয়া সে দিবস রাত্রি দুই ঘটিকার সময় জৌনপুর ছাড়িয়া ফৈজাবাদ বা অযোধ্যা রওয়ানা হইললাম। গৌষতীর সেতু । অতি প্রত্যুষে আসিয়৷ অযোধ্যা উপনীত হইলাম। পুণ্যতোয়! সরযু (ঘাগর! ) নদী ইহার পাদদেশ ধোঁত করিয়া প্রবাহিতা। অধযোধ্যার টী খুব ছোট। দশরথের রাজধানী ও নবদূর্ববাদলশ্যাঁম-করেবর হিন্দুর চির আরাধ্য কমলা-পতি বিষু্র অন্যতম অবতার শ্রীরামচন্দ্রের জন্মভূমি বলিয়! ইহা হিন্দু মাত্রেরই মহাতীর্থ। আমর! এখানে বিক্রমপুরবাসী ডাক্তার শ্রীযুক্ত হরকান্ত মুখোপাধ্যায় এসিফাণ্ট সার্জন মহোদয়ের বাসায় অতিথি হইয়াছিলাম,_ইঁহার আদর অভ্যর্থনা ও সদয় ব্যবহার চিরকাল মনে থাকিবে, বিদেশে এরূপ সদয়হৃদয় স্থহৃদ পাওয়া! সৌভাগ্যের বিষয় বলিতে হইবে । আমাদের স্থুখ-ম্বচ্ছন্দতার নিমিত্ত এই মহাত্ব! যেরূপ ক্লেশ স্বীকার করিয়াছিলেন, তাহার অধিক প্রশংসা! করিতে গেলে রীতিমত স্তবের মত শুনাইবে বলিয়াই ক্ষান্ত রহিলাম। ভগবান্‌ ইহাকে সুখী করুন। - আহারাদির পর বিশ্রামান্তে নগর দেখিতে বাহির হওয়! গেল। প্রাচীন- কাল হইতেই অযোধ্যার প্রসিদ্ধি। রামায়ণ পাঠে জ্ঞাত হওয়া যায় যে স্বয়ং মনু এই নগর নিশ্মীণ করিয়াছিলেন ; তখন ইহার পরিমাণ দৈধ্যে ১২ যোজন এবং প্রন্থে ছুই যোজন ছিল। বাঙ্গীকির অযোধ্যা-বর্ণনা পাঠ করিলে যে মহিমাময় মহান্‌ নগরীর সমুদ্ধ চিত্র মনে পড়ে, বর্তমান অযোধ্য! দৃষ্টে তাহা! অনুমিত হয় না। সুর্যবংশের শেষ রাজা মিত্র অযোধ্যানগরী পরিত্যাগ করিলে ইহার অট্টালিকা সমূহ ভঙ্মীবস্থায় পতিত হইয়া, কালবশে এ নগরী অরণ্যে পরিণত হইয়াছিল। সূষ্যবংশের আধিপতোর - পরে এ স্থানে বহুদিন পর্য্যন্ত বৌদ্ধাধিপত্য € হইয়াছিল। বৌদ্ধাধিপত্যের পরে গ্রীষ্টিয় ৫৭ বসর পূর্বে বিক্রম র্‌ নামক জনৈক হিন্দু-নূপতি এই পতিত নগরের উদ্ধারকল্লে এবং রামায়ণের লু্তকীত্তি সমুহের ধ্বংসোদ্ধারের জন্য অরণ্য কাটাইয়া পুনরায় ইহা! নগরে: পরিণত করেন। সর্ব পরথমে ৬৭৯ দি্ছেশ করিয়া প্রাচীন ইতিবৃত্ত । সময়ও ইহা বিনষ্ট হয় নাই। কিতা যে রাজা বিক্রম অযোধ্যা প্রায় ৩৬০টা দেৰ-সন্দির সিশ্মীণ করিয়াছিলেন, 'বরঠীল ্রৈ-কিন্ত ৪২টার আন্মিক দেখিতে পাওয়া যায় না। টানালবিরসারানেজিন লিন মন্দির ব্যতীত আর কোনও মদ্দির ছিল না। ছি ২ _ মোক্ষদায়িকা 'সপ্ততীর্থের মধ্যে অযোধাই প্রথম | “এ সহরে রামচন্দ্রের. ্িয়' অনুচর হন্ুমানবৃন্দের সংখ্যা খুব বেশী। অযোধ্যার দেব-মন্গির সমুহের কোনটাই বিশেষ পরান নহে রামকোঁটি অধেধ্যার বিশেষ প্রসিদ্ধ স্থীন।“ কিন্বদস্তী হইতে জানিতে পারা যায়' যে, স্রীরামচন্্র এ স্থানে দুর্গ নির্মাণ করিয়াছিলেন। এ ছুর্গের চতুর্দিকে বিশটা বুরুঞ্জ ছিল এবং হনুমান, স্থুগ্রীব, জান্ুবান প্রভৃতি সৈন্যাধ্যক্ষগণ উহার উপরে থাকিয়া নগরের প্রহরাকার্ধ্যে নিযুক্ত থাকিতেন.। সেই দুর্গের অভ্যন্তরে টা রাজপ্রাসাদ ছিল-_-এখন'কিন্ত্ব সে সকল কেধল কল্পনার অন্তভূক্ত। রামকেটি স্থানটার বর্তমান দৈন্যদশা “দেখিয়া চক্ষে জল, টে কোথায় সেই রামের, অযোধ্যা ? বাঁশসীকির | লেখনী ষে স্থানের মহিমা" কীর্তন করিতে"ঃ কান্তি বোধ করে টি যে অভ্রভেদী অযোধার রাজপ্রাসাদ তত্কালীন শিল্পে 'ও সৌন্দর্য্য ভারতে অদ্ধিভীয় বলিয়া বিবেচিত হইত, বর্তমান সময়ে তাহার সামান্য চিহুটুকু নিষ্ামান নাই যদ্দারা আমরা সেকালের আবে ৪835১478858 | ' অযোধ্যার দেব-মন্দির সমুহের মধ্যে “হমুমান-গড়” দ্যা লেট রামচন্দ্রের প্রধান ভক্ত ও তাহার বীরত্বের জন্য হমুমানের আদর এ অঞ্চলে খুব 'বেশী। যে স্থানে রামচন্দ্র জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, সেই জন্মস্থান এখনও বিদ্যমান আছে, কিন্তু সেখানে প্রাচীন চিহ্ন কিছুই দেধিতে পাইলাম না_-এ স্থানে কোনওরূপ মুক্তি নাই কেবল ্ীরাশ্্ের ধ্বজ- 0 দেখিতে পাওয়া যায়। -'উত্মস্থীনের গুর ..: মধ্যে প্রাচীরের অপরভাগে একটী বৃহৎ মজিদ: উহার রে চা ডোরিগত ররর সার: ৯৩৫ হি (ক কোট, হুম লি-গ়। সম্রাট বাবর ১৫২৮ খ্রীষ্টাব্দে মৃগয়! করিতে আসিয়া কিছুদিন এখানে অবস্থিতি করিয়াছিলেন সে সময়ে এই মসিদ প্রস্তত হয়। রামচন্দ্রে জন্মমন্দিরস্থ কি পাথরের কয়েকটা স্তস্ত অগ্াপি বাবরের মসিদে টা পাওয়া যায়। পূর্বে হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে মন্দির ও মসিদ লইয়া খুব দার্জা-হাজামা হইত, কিন্তু ব্রিটিশ শাসনাধিকারের পর হইতে জন্মস্থান ও মসিদের মধ্যে রেলিং দেওয়া হইয়াছে, এখন উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনও- রূপ গোলযোগ নাই । অযোধ্যায় প্রবেশ করিলেই নয়ন সমক্ষে মণিপর্ব্বত দুষ্ট হয়। ই মধিপর্কত, ্ত্রী- প্রায় ৪8 হস্ত উচ্চ, রামায়ণের মতে লক্ষণ শক্তি- পর্বত ও কুবের- ১ টি হ্গ্দা শেলে পতিত হইলে, হনুমান বিশল্যকরণী চিনিতে না৷ পারিয়া গন্ধমাদন পর্বত লইয়া বখন লঙ্কাভিমুখে যাইতেছিল, সে সময়. অযোধ্যার উপর আসিলে, ভরত বাটুলাঘাত করেন, সেই বাটুলাঘাতে হনুমান ভূমিতে পতিত হুইলে গন্ধমাদনের কিয়দংশ ভাঙ্গিয়া গিয়াছিল-_-এই মণিপর্বতকেই সেই ভগ্নাংশ বলিয়া অযোধ্যাবাসিগণ বলিয়া থাকেন? এই উচ্চ স্থানটা ইট, পাথর ও কঙ্করের পাহাড় বলিলেও অতুযুক্তি হয় না; কারণ ইহার কলেবর উন দ্বারাই পরিপূর্ণ । এই স্তপের নিম্ষে যে খোদিত লিপি পাওয়া গিয়াছে, তাহা হইতে জানা যায় যে মগধরাজবং শীয় মনুবদ্ধন, নামক জনৈক নৃপতি কর্তৃক ইহা নিশ্ম্নিত হইয়াছিল। এতদ্যতীত অযোধ্যায় সগ্রীব-পদ্ত এবং কুবের-পর্ব্ব নামক আরও ছুইটা স্ত.প আছে, -ভম্মখো প্রথমটা প্রায় ৬ হাত উচ্চ এবং কুবেরপর্ববত প্রায় ১৪ হাত উচ্চ। কোন প্রত্ব-তন্্বিদ ইহাদিগকে বৌদ্ধ-স্ত,প বলিয়া অনুমান রি এ অনুমান নিতান্ত অসঙ্গত বলিয়া মনে হয় না। মণিপর্ববতের নিকট দুইটা, সমাধি দেখিলাম, উহার একটাতে সেথ এবং অপরটাতে জব নামক পৈগন্বর সমাহিত আছেন। এস্থানে সোমগিরি নামক যে দুইটা ছোট ছোট স্তুপ দেখিলাম তাহাদের সম্বন্ধে কেহই কিছু বলিতে পারিল নাঁ। অযোধ্যাতে , এখন প্রায় সর্বস্তদ্ধ ৯৬টা মন্দির আছে, ইহার মধ্যে ৬টী বিজুমদ্দির ও ৩৩টা শিব-মন্দির_ আমর! প্রায় সকল গুলিই হৌটাহিজা সরযু- নদীর তীরে রামঘাট বা স্বর্থার, সীতাঘাট, জঙ্গমণঘ্াট প্রভৃতি ৬ জাছে। সীতার মন্দিরটী নষ্টপ্রায় হইয়া গিয়াছিল, কিন্ত রাজী অহল্যা- বাইয়ের দৃষ্টি পড়ায় ইহা স্থুসংস্কৃত হইয়াছে__সীতার ঘাটটাও তিনিই বাঁধাইয়া দিয়ছিলেন। লক্ষ্মণ বা লছমনঘাঁটেই ভ্রাতৃবসল লক্ষণ ভ্রাতৃ-আজ্ঞায় সরযু-সলিলে আত্মবিসর্ভন করিয়া অদ্ভুত ভ্রাতৃ-প্রেমের দৃষ্টান্ত রাখিয়া গিয়াছেন। জগতের ইতিহাসে লক্ষমণের ভ্রাতৃ-ভক্তি চিরদিন উজ্জ্বল অক্ষরে লিখিত থাকিবে । রামঘাটে রামচন্দ্র ও জীবন-সর্ববস্ব ভ্রাতার পন্থানুসরণ করিয়া বৈকুষ্টে গমন করিয়াছেন । রামঘাটে আসিয়া খন দাড়াইয়াছিলাম, তখন হৃদয়ে যে কি এক মহান্‌ স্বর্গীয় ভাবের উদয় হইতেছিল তাহার প্রকৃত বিবরণ দেওয়া অসম্ভব । রামঘাট হইতে কিয়দ্দুরে সরঘূর পশ্চিমদিকে একটা প্রাচীন ছুর্গের ভগ্নাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায ইহা কে নির্্মীণ করিয়াছিলেন তাহা নির্ণয় করা স্থুকঠিন, তবে অতিশয় প্রাচীন বলিয়াই বোধ হইল । রামায়ণের প্রতিদৃশ্য নয়ন সমক্ষে অভিনীত হইতে দেখিতেছিলাম,- কিন্তু সে প্রাচীন-মহনত্ব এখন কোথায়! ধীরে সরযু--আমাদের লন বহিয়া ষাইতেছিল-_কিস্তু তাহার সেই কলনাদের মধ্যে ত মধুর রাগিণী বাজিয়া উঠিল না । সে যেন শোকাকুলিত চিত্তে অতি দুঃখে শোক-সঙ্গীতে সাগরাভিমুখে ষাইতেছিল। একদিন সে রামচন্দ্রের পিতৃসত্যপালনার্থ বন-গমন দৃশ্য দেখিয়াছিল,-০ে শোক-দৃশ্ঠের পরে পুনরায় রাম-রাজত্বের অপুর্ণবৰ পুলকদৃশ্যও অভিনীত হইতে দেখিয়াছিল-_কিন্তু আজ-_-কেবলই শোক-কাহিনী--কেবলি শ্মশান-ভস্ম বুকে করিয়া তাহাকে বহিয়। বাইতে হইতেছে । অধযোধ্যায় রামচরিত্রের কতকগুলি মুর্তি গঠিত আছে, শিল্প- নৈপুণ্যের তাদৃশ শ্রষ্ঠন্ব না থাকিলেও এগুলি দেখিতে নিতাস্ত মন্দ নভে । কোথাও অভিমানিনী কৈকেয়ীস্ুন্দরী নিরাভরণা ও ধূল্যাবলুস্টিতা, রাজা দশরথ অবনত বদনে মানিনীর মানভঙ্জন করিতেছেন, কোথাও শ্রীরামচন্র সীতা ও লঞ্ষমণ বঙ্ধল বসনে দেহ আবৃত করতঃ বন-গমন করিতে- ছেন; আবার কোন স্থানে শ্রীরামচ্র অশ্বমেধ যজ্ঞে ব্রতী, কিন্তু সাধবী সতী জনক-নন্দিনী বনবাসে, ওদিকে সন্ত্রীক না হইলে ধন্মানুষ্ঠান কুস্পাদ্দিত হয় না সেজন্য ম্তবর্পসীতা নির্মাণ করিয়া যজ্ঞে ব্রতী ৪২ | অবোধ্যা? হইয়াছেন; এসব দেখিতে দেখিতে অযোধ্যার পূর্বব-স্যৃতি জাগিয়! উঠে, কি. ছিল কি হইয়াছে-_অতুল-গৌরব-বৈভব-মপ্ডিত মহানগরী আজ শ্মশান ! কোন্‌ সহৃদয় ব্যক্তি--সে সকল প্রাচীন-কাহিনী চিন্তা করিয়৷ অশ্রচ্জল সংবরণ করিতে পারেন ? অযোধ্যার রামলীল৷ বিশেষ দর্শনীয়, দুঃখের বিষয় আমরা তাহা দেখিতে পাই নাই। প্রতি বৎসর রামনবমীর, সময় এ স্থানে মেল! হইয়া থাকে-_মেলায় প্রায় ৫০,০০০* লোক সমাগম হয়। নানাপ্রকার রাজবিপ্নবাদির পরে ১৮৫৬ শ্রীষ্টাব্ষে অযোধ্যা ইংরেজদিগের অধিকৃত হইয়াছে ; অযোধ্যায় বৈষ্ণবধন্মের বিভিন্ন শাখার প্রায় সাতটা মঠ আছে, প্রত্যেক সম্প্রদায়েরই এক একটা বিভিন্ন মঠ। হনুমান-গড়ে নির্ববাণী সম্প্রদায়ের মঠ আছে দেখিয়াছিলাম। এ নগরে জৈনদেরও ছয়টা মন্দির আছে-_মন্দিরগুলি দেখিতে বেশ সুন্দর । সরযুর তীরে বিশেষতঃ স্বর্গ- ঘাটেই যাত্রিগণ স্সান, দান ও ভোজ্যাদি উৎসর্গ করিয়া থাকেন। এই ঘাটটা পাকা করিয়া বাধান, কা হানার ক রিরারাত নারাডের রোগ ও ন্গিগ্ধতা বহু পরিমাণে বৃদ্ধি করিয়াছে । | সারাদিন ঘুরিয়া ঘুরিয়! অযোধ্যানগরী দর্শনান্তে, শেষ বেলা ফৈজাবাদ দেখিতে রওয়ানা হইলাম । অযোধ্যা হইতে ফৈজাবাদ ৫1৬ মাইল দুরে অবস্থিত। রাস্তার ধুলি উড়াইয়া আমাদের অশ্ব-শকট প্রায় বেলা ৩॥০টা। চারিটার সময় ফৈজাবাদ পৌছিল। উক্ত জেলার ইহাই প্রধান নগর ও সেনানিবাস । অযোধ্যা প্রদেশের মধ্যে ফৈজাবাদ বিভাগ বিশেষ বিখ্যাত। এই সহরটা বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন । রাস্তাগুলি প্রশস্ত ও সুন্দর স্থন্দর অট্টালিকাদি দ্বারা স্থশৌভিত । ফৈজাবাদ বহুদিনের প্রাচীন নগর নহে, ১৭৩০ খ্রীষ্টাব্দে মন্স্ুর আলিখী। এ স্থানে আসিয়া অনেক দিবস অতিবাহিত করেন, “তাহার পরে তীয় বংশোন্ধব স্বজাউদ্দৌলা কর্তৃক ১৭৯২ খ্রীষ্টাব্দে ইহা রাজধানীরূপে পরিগণিত হয়। ইহা যে একদিন মুসলমানের নগর এবং ষুললমান কর্তৃকই স্থাপিত হইয়াছিল, তাহা এখানকার মস্জিদের সংখ্যাধিক্য দৃষ্টেই সহজে অনুভূত হয়। ১৭৮০ খ্রীষ্টাব্দে আসফ্উদ্দৌলা এ স্থান হইতে রাজদরবার লক্ষৌতে ভুলিয়া নেওয়ার ফৈজাবাদ। রর ১758 রি মণ 1 এ নগরের সমৃদ্ধি ও শৌভা বু পরিমাণে বিদ্যমান ছিল, কিন্তু ১৮১৬ খ্রীষ্টা্চে উক্ত বেগম দাহেবার মৃত্যু হইতেই-_-এই সহরের সৌন্দর্য্য একেবারে নষ্ট হইয়া গিয়াছে । ফৈজাবাদের প্রধান দ্রষ্টব্য পদার্থ, বেগমের সমাধি ও তশুসংলগ্ন “দেল-খুনি” নামক সুন্দর প্রাসাদ । অযোধ্যা প্রদেশের মধ্যে ফৈজাবাদের এই দেল-খুসি প্রাসাদ প্রধান দেখিকার জিনিষ । ফৈজাবাদের মস্জিদ্‌, প্রাচীন অট্টালিকাও দেলখুসি ইত্যাদি দর্শনান্তে ষফ্টেসনে গমন করিলাম ও রাত্রি নয়টার সময় লক্ষৌ রওয়ানা হইলাম । সেদিন রজনী অন্ধকারময়ী__অন্ধকার ভেদ করিয়া গাড়ী ছুটিয়া চলিল, জানালার পাশে মুখ বাহির করিয়া বসিয়াছিলাম, বাতাস আসিয়া উত্তপ্ত ও ক্লান্ত দেহ শীতল করিয়া দিল। আকাশে চিরপরিচিত তারার মাল! দীপ্ত হীরার মত জ্বলিতেছিল---গাড়ীতে বসিয়া বসিয়া কত কথা ভাবিতেছিলাম'_তাহার আদি ও শেষ কিছুই ছিল না। ভ্রমণ যে কি সখের, তাহা যিনি কখনও ঘরের বাহির হন নাই তিনি তাহা বুঝিতে পারিবেন না। কত অনিদ্রা-কত র্লেশভোগ করিতেছি, তবু দর্শন-স্পৃহার স্াস হইতেছে না। জগদীশ্মরের এমনি অপুর্বন দয়! যে যেখানে যাইতেছি সেখানেই, প্রিয় স্থৃহৃদ্‌ জুটিয়া যাইতেছে, সকলেই যেন কত আপনার । প্রভাতের কিঞিশ পূর্বেব, আধ ম্লান আধ আলোর মাঝখানে যখন পুর্বৰ গগনের অর্গল খুলিয়া উষা-স্থন্দরী স্বীয় রূপপ্রভায়: চতুদ্দিক, আলোকিত করিয়া বাহির হইবার উদ্ভোগ করিতেছিলেন, আমরা সে সময়ে আসিয়া লক্ষে ফ্েসনে পুছিলাম,--তখন লক্ষৌঠুংরিতে আমি যেন শুনিতেছিলাম “সাহাজাদে আলম্‌ তেরা লিয়ে ।” ৮১৪ ৮৮০ 5৪২ 1 1721৬ হলতক্ষী। ভলক্ষৌ সহর দেখিবার জন্য অনেক দিন হইতেই আমার হৃদয় : উৎস্থক ছিল, কাজেই যে মুহুর্তে গাড়ী হইতে 'ফ্টেসনে অবতরণ করিলাম, তখন হৃদয়ে যে কি এক অপূর্ব আনন্দের উদ্রেক হইয়াছিল, তাহা পাঠকগণকে বলিয়া! বুঝাইতে পারিব না। প্রথম দৃষ্টিতে লক্ষৌর বহিদৃশ্যি : আরব্য-রজনীর কোনও অলৌকিক নগরের চিত্রের ন্যায় প্রতিভাত হইয়াছিল। ধীরে ধীরে অশ্ব-শকটে নগরের দিকে অগ্রসর হইতে লাগিলাম, পথের দুই ধারে ফুল ফলের ছোট ছোট স্থন্দর স্বন্দর বাগান। ক্রমে সহরের' দক্ষিণ প্রান্তস্থিত পরিখার সেতু উত্তীর্ণ হইয়া, ফতেদাস বাবাজীর আশ্রমে আশ্রয় গ্রহণ করিলাম । | লক্ষে কলিকাতা হইতে ৬১০ মাইল দুরে অবস্থিত, ইহা অতি প্রাচীন সহর। নিশ্মল-সলিলা গোমতী নদী নগরের পদধৌত করিয়া প্রবাহিতা। এই নগরের লোকসংখ্য। সর্ববশুযদ্ধ প্রায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার। ভারতবর্ষের নগর সমুহের মধ্যে ইহা চতুর্থ স্থানীয়, কলিকাতা, বোম্বাই, মান্দ্রাজ প্রভৃতির পরেই ইহার সৌন্দধ্য ও বৈভব-খ্যাতি। গোমতী নদীর উভয় তীরে নানাবিধ সৌধমালা বিরাজিত থাকায় লক্ষৌর সৌন্দধ্য মনোহারিণী। মুসলমান রাজত্বের সময় ইহা উত্তর পশ্চিমের রাজধানীরূপে পরিগণিত হইয়াছিল, ইংরেজ রাজত্বেও আফিস আদালতাদি সমুদয় এখানে থাকায় ইহার পূর্ব গৌরব কোন অংশেই ত্রাস হয় নাই। লক্ষৌর নামোৎপত্তি সন্বন্ধে এইরূপ শুনিতে পাওয়া যায় যে, রঘু-কুল-তিলক শ্রীরামচন্্র রাবণকে ব্ধ করিয়া অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তনানন্তর ভ্রাতৃবৎসল লক্ষমণকে এ প্রদেশের শাসন-ভার অর্পণ করিয়াছিলেন। লক্ষণ গোম্তীর তটবর্তী এই স্থরম্য প্রদেশকে " মনোনীত করিয়া এস্থানে স্বীয় বাসস্থান নিন্মাণ করিলেন ও নিজ নামানুসারে ইহার নাম লক্ষণপুর রাখিলেন, কালক্রমে লক্মমণপুরই অপজংশ . হইয়৷ লক্ষৌতে পরিণত হইয়াছে । লক্ষৌ পূর্বে দিল্লীর মোগল সম্রাট্রে অধীন ছিল। মোগল সম্রাট মহক্ষদসাহের শাসন-কালে জদত্থা নামক জনৈ; প্রাচীন ইতিহাস। ভারত-ভ্রমণ । খোরসানী বণিক দিলী-দরবারে উপস্থিত হয় এবং অল্লকাল মধ্যেই স্থীয় দক্ষতাগুণে প্রতিষ্ঠালাভ করতঃ সআ্াটের গ্রীয়পাত্র হইয়া অযোধ্যার শীসনকর্তার পদে নিযুক্ত হন, সদৎ্খা কর্তকই লক্ষৌ অযোধ্যার রাজধানীরূপে পরিগণিত হয়। এই সদৎখাই নরপিশাচ নাদির সাহকে ভারতে নিমন্ত্রিত করিয়া লুনটনের দ্বার উম্মুক্ত করিয়া দেন, কিন্তু বিধাতার আশ্চধ্য বিধানে পুনরায় নাদির কর্তৃক ভীষণরূপে লাঞ্ছিত ও অপমানিত হইয়া বিষপানে আত্মহত্যা করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। সদৎ্খাই অযোধ্যার নবাববংশের পূর্ব্ধ পুরুষ। ইহার মৃত্যুর পরে সদতের ভ্রাতুস্পুজ্র এবং জামাতা সফদর জাঙ্গ সদৎ প্রতিষ্ঠিত সিংহাসনকে দৃঢ়তর করিয়া রাজ্য- শীসন করিয়াছিলেন। ইহার মৃত্যুর পরে স্থজাউদ্দৌলা নবাব হ'ন,-এই স্জাউদেোৌলার সময়েই ১৭৬৪ খ্রীষ্টাব্দে বক্সারের যুদ্ধে উত্তর পশ্চিম প্রদেশে ইংরাজাধিপত্য বিস্তৃত হইতে আরম্ভ করে। স্থজার পরে তৎপুক্র আসফ নবাব হইলেন, লক্ষৌর অন্যতম প্রধান দ্রষ্টব্য ইমামবাড়ী এই আসফদ্দৌলাই নিম্ীণ করিয়াছিলেন। আসফের পর মিজ্জাআলী, তপরে সদ্আলী প্রভৃতি অনেকেই রাজত্ব করেন; তৎপরে ১৮৪৭খুঃ অব্দে ওয়াজিদআলী অযোধ্যার নবাৰ হন। ইনি অযোধ্যার শেষ নবাব। ১৮৫৬খুঃ অব্দে ডালহৌসি ওয়াজিদআলীসাহকে কু-শীসন অপরাধে সিংহাসনচ্যুত করিয়া! কলিকাতার মেটিয়াবুহজে আবদ্ধ করিয়া রাখেন । ওয়াজাদ আলী সাহা অত্যন্ত বিলাসী ছিলেন-্থবিখ্যাত লক্ষৌঠুংরি ইহারই রচিত। বন্দী ওয়াজাদ আলীর শোক-সঙ্গীতে একদিন ভারত কীদিয়াছিল-_ তাহার বড় সাধের ছত্রমঞ্জিলে শোকের ঝড় বহিয়াছিল ;_চির সুখাভ্যন্ত-_ চিরবিলাসী-_ওয়াজাদ ইংরেজের বন্দীবেশে তীহার প্রিয়তম লক্ষৌ। নগরীর নিকট হইতে বিদায় লইবার সময় হৃদয়ের স্ত্তীব্র ধান নি€স্থত শোকাশ্রর সহিত কাতরকম্পিতকণে লক্ষৌঠংরিতে গাহিয়াছিলেন__ “যবে ছোড় চলি লক্ষৌ নগরী ”. তের! হালে আদ্ম প্যার! ক্যাগুজারি। আদাম। গুজারি, সাদম৷ গুজারি, যব হাম্‌ গুজারি, ছুনিয় গুজারি।” ৪ এ শোক-সঙ্গীতে পাষাণও দ্রবীভূত হইয়াছিল, আজ এই দীপ্ত সূর্ধালোকে অনুরস্থিত ছত্র-মঞ্িলের কনক সৌন্দর্য দেখিতে দেখিতে হতভাগ্য নবাবের শোক-সলগীত হৃদয়ে বড় করুণ-তান তুলিয়া দিয়াছিল। এইরূপে মনের দুঃখে কীদিতে কাদিতে ১৮৮৭খঃ অক্দে তাহার জীবন-লীল! সা হইল। ওয়াঁজিদের মৃত্যুর পর হইতে তীহার একমাত্র কন্যা ও তীঁহার জামাত! জাহান কাদির মীর্জা, গবর্ণমেণ্টের বৃত্তিভোগী হইয়! মেটিয়াবুরুজেই বাস করিতেছেন। সিপাহীবিদ্রোহের সময় লক্ষৌ বিদ্রোহী সিপাহীবর্গের সিপাহীবিদ্রোহে একটা প্রসিদ্ধ কেন্দ্রস্থল ছিল। নানাস্থান হইতে আগত লঙ্ষৌ। _ বিদ্রোহী মিপাহীবর্গ সমবেত হইয়া এখানকার রেসিডেন্সি আক্রমণ করিয়াছিল, সে সময়ে স্থবিখ্যাত হেন্রি লরেন্স লক্ষৌর রেসিডেণ্ট ছিলেন, সেকালে ইহার ন্যায় কর্তব্পরায়ণ ও ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তি ইংরেজদের মধ্যে কেহ ছিল না বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। ইনি এ অঞ্চলের সমুদয় ইংরেজ নরনারীগণকে প্রায় ছয়মাস কাল পর্য্যন্ত পিশাঁচগএকৃতি বিদ্রোহী সৈনিকবুন্দের হস্ত হইতে রক্ষা করিয়াছিলেন। তাহার বাসভবন অগ্ঠাঁপি গোলাগুলির চিহ্ন বক্ষে করিয়া তদীয় বীরত্বের ও মহত্তের পরিচয় দিতেছে, সে গ্রহের ছাদ ধনিয়া গিয়াছে, কিন্তু প্রাচীর এখনও গোলাগুলির শত ছিদ্র লইয়া দীড়াইয়া আছে। স্্লীলোকগণকে তোষাখানাতে রাখা হইয়াছিল, কিন্ত দৈবের অদ্ভুত-চক্রের অদ্ভুত গতি কে রোধ করিতে পারে ? তোষাখানার ভিতরেও কোনওরূপে একটী গোল! প্রবেশ করিয়া জনৈকা রমণীর মস্তক উড়াইয়া দ্িয়াছিল। সেই হতভাগিনী রমণীর শোণিত-চিহ্ন, গোলার ভীষণ দাগ, এখনও দেওয়ালের গায়ে রহিয়াছে । হেন্রি লরেন্স যে স্থানে আহত, ৃ হ*ন এবং যে স্থানে মৃত্যু আসিয়। এই মহিমামণ্ডিত পুরুষকে ক্রোড়ে টানিয়া। লয়-_.সে স্থান ছুইটী এখনও চিহ্নিত রহিয়াছে। আমরা এই রতবযনিউ মহাপুরুষের অপূর্বব কর্তব্যজ্ঞানের বিষয় চিন্তা করিয়া হৃদয়ে পুর্ব আনন্দানুভব করিয়াছিলাম। তাহার সমাধির উপর লিখিত আছে ০13৩ 11551716715 1-১-01)05 410 0160 1০৭০ 1৯440 --স্যিকীয় কর্তর্য সাধনপ্রয়াসী সার হেন্রি লরেন্ন এই স্থানে চিরনিত্রিত মা টা 2. নও নে. ভারত-জমণ । রাত্রিতে অনিদ্রাবশতঃ শরীর বিশেষ ক্রাম্ত হইয়াছিল, কাজেই মধ্যাহ্ে আহারাদির পর নিত্রাদেবীর স্থকোমল ক্রোড়ে আশ্রয় গ্রহণ করিলাম,--এ স্থানে খাগ্য দ্রব্যাদি বিশেষ স্লভ। নিদ্রীষ্তে অপরাহে নগর দেখিতে বাহির হওয়া গেল, স্থন্দর নগরী--ছুই পার্খে দ্বিতল ভ্রিতল অট্রালিকা,__দেখিতে বেশ । রাজপথে অনেক বাঙ্গালী দেখিলাম --এ নগরে অনেক বাঙ্গালী বাস করিয়া থাকেন। প্রথমেই কৈসরবাগ দর্শন করিতে গমন করিলাম। রেসিডেন্সির পার্খেই ইহা অবস্থিত। কাইসর, কৈসর একটা প্রকাণ্ড প্রাঙ্গণের চারিদিকে শ্রেণীবদ্ধ দ্বিতল বা কেশরবাগ। অন্টালিকাশ্রেণী অবস্থিত রহিয়াছে । এই সকল গৃহে নবাব ওয়াজাদআলীর বেগমের বাস করিত, এই প্রাঙ্গণের মধ্যে একটী প্রস্তর গঠিত স্থবৃহ্ড অট্টালিকা, ইহার নাম “বারদ্বারী” ব৷ বারছুয়ারী। বারছারীর ছাদ বিস্তৃত খিলানের উপর স্থাপিত ও চিত্রলিখিত, দেখিতে বড়ই লোচনানন্দদায়ক । প্রাণে প্রন্শে করিবার জন্য চারিদিকেই বড় বড় দরোজা আছে। এই সুন্দর রাজভবন নবাব ওয়াজিদআলী সাহা স্বকীয় বিলাসোপকরণ স্বরূপ আশী লক্ষ মুদ্রা ব্যয়ে নিম্মীণ করিয়াছিলেন । বারদ্বারীর চতুর্দিকে নানাবিধ পুস্পের উদ্ভান। ওয়াজিদআলি সাহ “বারদ্বারী' ভবনকে প্রমোদভবন রূপে ব্যবহার করিতেন, এখন সেখানে জনসাধারণের সভ সমিতি হইয়া থাকে । প্রাঙ্গণে প্রবেশ করিবার পুর্বব- দিকের দ্বারকে “লাখীদরওয়াজা” কহে । এই দ্বার নিম্মীণ করিতে এক লক্ষ মুদ্রা ব্যষিত হইয়াছিল। ইহার কবট-গাত্রে মণ্শ্যাজনাযুগল রাজকীয় চিহ্ুস্বরূপ অস্কিত রহিয়াছে । এখানকার চতুর্দিকস্থ অট্রালিকার প্রকোষ্ঠ সমূহে নানা দেশীয়! অতুলনীয় রূপসীবুন্দ নবাবের পত্বীরূপে বাস করিতেন। খোজা ও স্ত্রীলোক ব্যতীত এখানে অন্য কাহারো প্রবেশাধিকার ছিল না। ইক্দ্রিয়পরায়ণ নবাব ওয়াজিদআলী তাহার প্রায় তিন শত পত্বীসহ সর্ববদ! নানারূপ প্রমোদ বিলাসে দিনাতিপাত করিতেন- তাহাদিগকে লহয়া রাস, দোল প্রভৃতি সৌখীন ক্রীড়ায় মগ্ন থাকিতেন। হায়রে বিলাসিতা ! আমরা কল্পনায়ও এরূপ অপূর্ব বিলাসিতার কথা অনুভব করিতে পারি ন!। ধিনি সর্ববদ! এতদূর বিলাস-ব্যাসনে দ্িনাতিবাহিত করিতেন, তাহার রাজ্যনাশ ৪৮. লক্ষে বিচিত্র নহে। রমণীগণের স্নানের হামাম এখন ভগ্রাবস্থায় পতিত, উহার একদিকে একটী জল-প্রণালী ও তাহার উপরে একটা সেতু দেখিতে পাইলাম। পূর্বের প্রতিবওসর ভাদ্রমাসের প্রথম তারিখে যে মেলা বসিত তাহাতে সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকীর ছিল, তখন নগরের প্রায় সকলেই সমবেত হইয়৷ সেদিন অপুর্ব আনন্দোতসবে অতিবাহিত করিত। বর্তমান সময়ে কৈসর-বাগের সে সৌন্দর্য্য আর নাই-চারিদিকেই যেন কেমন একটা নৈরাশ্যের ছায়৷ দেদীপ্যমান। ষে স্থানে একদিন রূপসী ললনাকুল নিজ নিজ রূপপ্রভায় চতুদ্দিক আলোকিত করিয়া সৌন্দর্য্য স্থষ্টি করিত, যেখানে লক্ষৌঠুংরির মধুর নিনাদে আনন্দ-লহরী নাচিয়া বেড়াইত, আজ তাহার কি পরিণাম । এখন প্রাঙ্গণস্থ উত্তরদিকের সৌধনিচয় গবর্ণমেষ্টের আদেশে ভূমিসাৎ হইয়াছে,__একদিক ভাঙ্গিয়া ক্যানিং কলেজের কলেবর গ্রথিত হইয়াছে -_অন্যদিকে আমাদের পূর্বেবাল্লিখিত “লাখ দরওয়াজা” বা লক্ষণী-দরোজা এখনও বিদ্কমান। আমর! লাখ-দরোজা পার হইয়া লক্ষষৌ নগরীর প্রসিদ্ধ ইমামবাড়া দেখিতে চলিলাম, লাখ -দরোজার বাহিরের পথের নিকট আসিবা মাত্রই সম্মুখে কাইসর-পছন্দ বা রোসন-উদ্দৌলা নামক একটী শোভাময় সৌধ দেখিয়া- ছিলাম। কৈসর বা কাইসরপছন্দ নামক সৌধের উপরিভাগ অর্দবৃত্তাকৃতি ও স্বর্ময় আবরণে আবৃত। এই অট্টালিকা নবাব ওয়াজিদ আলী শাহ গ্রহণ পূর্বক উঁ তাহার প্রিয়তমা! বেগম অনার, -উষ- স্থলতানাকে বাসের জন্য দান করিয়াছিলেন। ইহার সম্মুখভাগেই “শের দরওয়াজা” নামক সিংহদ্বার, ইহা এখন '“নীল-দ্বার নামে পরিচিত, এস্থানে সিপাহী-বিদ্রোহের সময় লাখী দ্বারের নিকট স্থাপিত একটা কামানের লক্ষ্যশূন্য গলাতে সেনাপতি নীল আহত হইয়াছিলেন বলিয়াই এই দ্বারকে ইংরেজের “নীল-্বার নামে অভিহিত করিয়াছেন । এই প্রসিদ্ধ অট্রালিকার সর্ববাগ্রস্থিত তোরণকে “রূমি দরোজা” কহে, ইহা রুমদেশের অনুকরণে গঠিত প্রকাণ্ড তোরণ। এই তোরণ, নি বারের গঠনের সহিত গ্রীক এবং ইভালীয় গঠনের অনেক সৌসাদৃশ্য আছে। রূমি দরোয়াজাই ইমামবাড়াতে শ্রবেশ করিবার প্রকাশ্য পথ। এই তোরণ পার হইয় গেলেই ইমামবাঁড়ার মুল তো ভাঁরত-অজমণ। নিকট পুছা যায়। উহা উত্তীর্ণ হইলেই একটা প্রকাণ্ড প্রাঙ্গণ, প্রাঙ্গণের চতুদ্দিকে ছোট ছোট কক্ষ বিশিষ্ট প্রাচীর ; তাহার এক পার্খে একটা স্থুন্দর মসজিদ দিবালোকে ঝলমল করিয়া সৌন্দর্য্য বিকীর্ণ করিতেছিল । মসজিদ দর্শনান্তে আমরা প্রাণের অপর পার্থস্থিত, ইমামবাড়ার সম্মুখে আদিলাম। কি বিরটি দৃশ্য ! নবাব আসফ্‌ উদ্দৌল! কর্তৃক এই বিরাট ভবন নিশ্মিত হইয়াছিল । ১৭৮৪ গ্রীষ্টাব্দের ভীষণ ছুভিক্ষের সময় নবাব অন্নকষ্ট প্রপীড়িত নরনারীগণের সাহাব্যার্থ এই স্থুবুৃহত অট্রালিক! নিষ্পীণ করাইয়া- ছিলেন, প্রজাবর্গ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত হইয়। তন্বিনিময়ে ইহা নিশ্মাণ করিত, কথিত আছে যে অন্নকষ্ট প্রপীড়িত অনেক সন্ত্রাস্ত ব্যক্তিও উপযুক্ত পারি- শ্রমিক গ্রহণে এই অট্রালিকার নানাবিধ কার্য্যে নিয়োজিত ছিলেন, তাহার রাত্রিতে আসিয়া আপনাদের পারিশ্রমিক গ্রহণ করিতেন । ইমামবাড়ার অট্টালিকা দেখিতেও যেমন স্ন্দর, ইহার গঠন এবং ভিন্তিও আবার তাদৃশ দৃঢ় । ইহার প্রাচীরের বেধ প্রায় ১২ ফুট, একটা প্রকোন্ঠ ১৬৭ * ৫২ ফিট, এতাদৃশ বৃহৎ প্রকোষ্ঠ জগতের আর কোথাও নাই ।& এঁ বৃহত্তম কক্ষের ছুই পার্খে দুইটা অফ্টভূজ কক্ষ আছে, উহার ব্যাস প্রীয় ৫৩ ফুট হইবে। এই তিনটা প্রকোষ্ঠই মূল্যবান দ্রব্য-সম্ভারে স্্সজ্ভিত ; কিন্তু একদিন যে সকল চারু-শিল্পকলায় গৃহ-প্রাচীর স্থচিত্রিত ছিল, বর্তমান সময়ে আমর! তাহার অতি ক্গীণতর প্রতিবিন্ব মাত্র দেখিতে পাই। কক্ষের উর্ধভাগ লোহিত প্রস্তর- নিশ্পিত বারাগু। দ্বারা পরিশোভিত, এ দকল বারাণ্ায় বসিয়া নবাবের বেগম সাহেবাগণ কোরাণ শ্রবণ করিতেন। সমগ্র দ্বিতলটা একটী গোলক ধাধা, ইহাতে একবার প্রবেশ করিলে কোনও পথ-প্রদর্শক সঙ্জে না থাকিলে পুনরায় বাহির হইয়া আসা সম্পূর্ণ অসম্ভব বলিলেই হয়। কথিত আছে যে নবাবের সহিত তাহার অস্তঃপুরবাসিনী মহিলাগণ এস্থানে লুকোচুরি খেলি- তেন। কক্ষগুলি বহুমূল্য ঝাড়ে স্থশোভিত। 'কোন ঝাড়ে ৬০, কোন ঝাড়ে ৮০, কোন ঝাড়ে ১২০টা বাতি আছে। স্তৃবৃহড হলটার মধ্যভাগেই নবাব আসফ্উদ্দৌলা 'অনস্ত-নিজ্রায় নিপ্রিত আছেন, তাঁহার দে সাধের ঘুম আর ভাঙ্গিবেনা। আজ আসফ্উদ্দৌলাই বা কোথায় তাহার রাজ্য সম্পদই বা কোথায়! আসফ্উদ্দৌল| গিয়াছেন, কিন্তু তাহার দানশীলতার ৫. চা ০ চুল ১] ৯ ৪1 ! ! লক্ষ । কাহিনী লুপ্ত হয় নাই_-এখনও লোকের মুখে মুখে শুনিতে পাওয়া যায় যেস্‌কো নাহি দেয় মৌলা, উস্‌কো দেয় আস্ফ উদ্দৌলা । আর এই যে আমরা অগ্ভ পর্য্যাটকের বেশে হেথায় উপশ্থিত__ আমরা কি বলিতে পারি যে আগামী কল্য আমাদের কি হইবে ? প্রাচীন কীন্তিচিহ্ন ইত্যাদি দর্শন করিলে কেন জানি অজ্ঞাতভাবে হৃদয়ে একটা গ্লান মৃত্যুর ছায়া আসিয়া পড়ে, এবং জগতের নশ্বরত্ব আপনা হইতে আসিয়া পরিস্ফুট হয়। এই স্তুবৃহত ইমামবাড়ার অনতি দূরে ছোট ইমামবাড়া অবস্থিত, ইহ আকৃতিতে ঠিক্‌ বড় ইমামবাড়ারই মত---এইটি ছোট হইলেও কারুকাধ্যাদিতে বড়টা হইতে শ্রেষ্ঠ । ছোট ইমামবাড়ার সন্মুখে একটা উদ্যান থাকায় এ স্থানের সৌন্দর্য বহু পরিমাণে বৃদ্ধি পাইয়াছে। নবাৰ আসফ্‌ উদ্দেলার সময়ে লক্ষে স্থাপত্যে শীর্সস্থান অধিকার করিয়াছিল,-_ইনি স্থাপত্যগৌরব বৃদ্ধি করিতে মুক্তহস্তে অর্থব্য় করিতেন। সে সময়ে ভারতের কোন নরপতিই জীঁক জমকে তাহাকে পরাস্ত করিতে পারেন নাই। ছোট ইমাম- বাড়। সাধারণতঃ হোসেনাবাদ ইমামবাড়া৷ নামে পরিচিত, ইহা! মহম্মদ আলী- সাহেব প্রস্তুত করাইয়াছিলেন। ইহার সংলগ্ন যে উদ্ভানের কথা আমরা পুর্বে লিপিবদ্ধ করিয়াছি, উহাতে বিশ্ব-বিখ্যাত তাজমহলের অস্মুকরণানুষায়ী একটা ক্ষুদ্র সৌধ আছে-_তাজের ঠিক অনুকরণ যে হইতে পারেনা ইহা বলাই বাহুল্য। হোসেনাবাদ ইমামবাড়ার প্রাণের পশ্চিমদিকে একটা অট্টালিকা আছে-_তাহার নাম ইমামবাড়া সৌধ। ইহার উপরের গিঁ স্টকরা গম্ুজটা দেখিতে খুব সুন্দর । মহম্মদ আলী শাহ এবং তাহার মাতা এধানে সমাহিতা আছেন। নশীর্‌ উদ্দিন হাইদার বনু উজ ৃ গণের বাসের নিমিত্ত কয়েকটা প্রাসাদ নিষ্্মাণ করাইয়াছিলেন, তন্মধ্যে ষেটিতে ভীহার বিবাহিতা পত্রীগণ বাঁ করিতেন, তাহার নাম ছত্রমঞ্জিল। এই প্রাসাদ কৈসর-বাগের পার্থ ই বিরাজিত।। প্রধান সৌধের শীর্ষদেশে স্বর্ণ-নির্ষ্িত ছত্র রহিয়াছে বলিয়াই ইহার নাম ছত্র- মঞ্জিল। ছত্রমপ্িল এখন 0014 1799৩ (োৰ হান) ও. উজ ছত্রমজিল। এ ও ১২০ রর রা 14 " আর ২ তি দি 2 তত স্ইন্ী ভারত-ভ্রমণ। পুম্তকাগাররূপে ব্যবহৃত হইতেছে । নিল্সতলের কক্ষে পুত্তকালয় এবং. উদ্ধীতলে ক্রাবভবন। কি পরিবর্তন । যে স্থানে নসীর উদ্দীনের সংগৃহীত বন্য-পশু সমূহ রক্ষিত হইত তাহার নাম ছিল শাহ্‌মঞ্রিল। নবাব নিজে “ফারহাৎ-বক্স, হুজুর-বাগ, বিবিয়ারপুর প্রভৃতি প্রাসাদে বাস করিতেন । নবাৰ সয়াদড আলী খা এই আনন্দোগ্ান নিম্মাণ করিয়। তম্মধ্যস্থিত প্রমোদ- ভবনে রাজপ্রাসাদ পরিবর্তন করেন।.. সয়াদৎ নগরের বহির্দিকে দিলখুস পধ্যস্ত বহু ক্ষুত্্ ক্ষুত্র প্রাসাদ নিন্দাণ করাইয়াছিলেন। নবাব ওয়াজিদ আলীর্থা কৈসরবাগ এবং তাহার মধ্যস্থিত নানাবিধ স্থন্দর স্মন্দর সৌধরাজি নির্মাণ পূর্বক ফারহাত-বক্স পরিত্যাগ করিয়া উহ্থাই বাসভবনে পরিণত করিয়া লইলেন। তিনি নদী-ভীরবর্তী জেনারল মার্টিন কর্তৃক নিশ্মিত, কতকগুলি অট্রালিক ও তদ্সংলগ্ন ভূমি ক্রয় করিয়া কসর- উল-স্থলতান নিষ্মীণ করেন। এ স্থ্রম্য প্রাসাদাত্যস্তরে শিল্পনৈপুণ্যমপ্ডিত রাজসিংহাসন প্রতিষ্ঠিত ছিল---উহা৷ রাজকীয় দরবারাদির জন্য কঙগর-উল-সুলতান ব্যবহৃত হইত । এই নবাববংশ ইংরেঞজরাজের অনুগত হইবার পর হইতে এইরূপ বিধি প্রচলিত হইয়াছিল যে কোনও নবীন নবাবের রাজ্যাভিষেক সময়ে ইংরেজ রেসিডেণ্ট আসিয় তাহাকে সিংহাসনে বসাইতেন এবং ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ যে তাহার শাসনভার গ্রহণে স্বীকৃত হইতেছেন তাহা জ্ঞাপন নিমিত্ত নজর প্রদান করিতেন। এই অট্রালিক এখন যাদুঘর ও পোষ্টাফিস রূপে ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে । এখানে দিল্লীর বন্ধ সম্রাট, সাম্রাজ্জী ও নুরজাহান, জাহানারা, জীবনোন্েসা, ওরঙ্গজেব, আকবর প্রস্তুতির প্রতিমু্তি গজদন্তের উপর অতি সুন্দর রূপে অস্কিত আছে। লক্ষৌতে দেখিবার জিনিষ বু আছে, আমরা যে সকল স্থানের কথা উল্লেখ করিয়াছি সে সকল ছাড়া নিনলিখিত স্থানগুলি প্রত্যেক ভ্রমণকারীরই অতি অবশ্য দর্শন করা উচিত। দেলখোসবাগ, মার্টিনিয়ার, রেসিডেন্সি, গোরম্থান, _লৌহসেতু, সেকেন্দরবাগ, সানজফ বা নজফ আশ্রন্ফ, উইক্গফিল্যপার্ক, মচ্ছি- .ভরন, সাতখণ্ড, আলমবাগ, হজরতুবাগ ইত্যাদি । আমরা এখানে সংক্ষিপ্ততাবে সকল গুলিরই বিবরণ প্রদান করিলাম । : জেলখোসবাস-_সুন্ধর কুস্থমোদ্ভান মধ্যস্থিত একটা জীর্ণ অট্ালিক! উহার ফারহাৎ-বক। -48%8৮৮৭ ১4৭ ২৮7$0111 নি 11 ০] ০০০০০৬১০১ %:81:7118741411944এবযীরডি/ 7111 7৬5 58808889850,)11-1) চারি রন 5 1 রণ ৪৪৮০47০, লক্ষে নাম ছিল “দেলখোস', এই দেলখোস সৌধ হইতেই ইহার নাম হইয়াছিল “দেলখোস"” বাগ । নবাব সদৎআলী খাঁর ইহা! শিকারাবাস ছিল। স্থানটি নগর হইতে কিয়দ্দরে ও বিজনে অবস্থিত-_ প্ররুতি এস্থানে আপনার সৌন্দর্য্য বিস্তার করিবার একটু ম্বযোগ পাইয়াছে। নবাবের অন্তঃপুরচারিণী ললনা-কুল এস্থানে আসিয়া স্বাধীনভাবে বিচরণারদি করিতেন। সদৎআলী নিকটবর্তী জঙগলসমূহ বিশেষরূপে পরিষ্কার করিয়৷ এই স্থানটাকে স্থুন্দর পার্কে পরিণত করিয়াছিলেন_-এবং ইহা নানা জাতিয় বন্যমগ ও পশুদ্বারা পূর্ণ ং করেন। সিপাহী-বিদ্রোহের সময় স্যার কলিন ক্যান্বেল এই ৃক্ষবাটিকা, ও এই প্রাসাদ আড্ড রূপে ব্যবহার করিয়া বিদ্রোহী ৮৮ না দমন করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন। | মার্টিনিয়ার---একটা অর্দবৃত্তাকার বৃহৎ নিরনা ইহাই সানিয়ার নামে অভিহিত । সাধারণতঃ ইহা “মার্টিনকুঠি নামেই স্থুপরিচিত। বর্তমান সময়ে ' এখানে একটী বিদ্যালয় স্থাপিত, এখানে ইংরেজবালকগণ অধ্যয়ন করিয়া থাকে । মার্টিনিয়ার দেখিতে হইলে বিদ্ালয়ের অধ্যক্ষের আদেশ গ্রহণ করিতে হয়। এখানে নান! প্রকার কৌশলসম্পন্ন মুর্তি এবং গ্রীক দেশীয় পুরাণোক্ত নানারূপ দেবদেবীর ও বিবিধ ঘটনাসমূহ অঙ্কিত দেখিতে পাওয়া যায়। এই স্থন্দর অট্রালিকাটা ব্লডমার্টিন নামক জনৈক ফরাসীর দ্বারা নির্মিত হইয়াছিল। ইনি সামান্য সৈনিকরূপে প্রথমে ভারতবর্ষে আসেন, কিন্তু স্বীয় দক্ষতাগুণে অবশেষে সৈনিক বিভাগে মেজর জেনারলের পর পর্যন্ত পাইয়া- ছিলেন এবং বিপুল অর্থোপাজ্জনে সক্ষম হ'ন। সেই অর্থোপার্জনের ফলই এই বিচিত্র অট্রালিকা, মার্টিন সাহেব ইহার নিন্মাণকাধ্য শেষ হইবার র্বই পরলোকগমন করেন। তাহার ইচ্ছানুসারেই এই অট্রালিক৷ রি বাজেয়াপ্ত না হইয়া বি্ভালয়ে পরিণত হইয়াছে । মাটিনোর, সমাধিও এখানেই ছিল, কিন্তু সিপাহী-বিভ্রোহের সময় সিপাহিগণ ইহা অহাদের আড্ডা করিয়। অষ্টরালিকার বহু অপচয় করে এবং-_মার্টিনোর কবর ংস করিয়া-_তাহার অস্থিসমূহ চারিদিকে বিক্ষিপ্ত করিয়া ফেলে । আত্ম- বিস্মৃত উদ্ধতপ্রকৃতি এই সকল পিশাচ সৈনিকেরা হরি প্রতিও জঘন্য ব্যবহার করিতে কুষ্ঠিত হইল না ! রা | ভারত-জ্রমণ । গোরস্থান__রেসিডেন্সির নিকটস্থ গিরভাঘরের (ক্রাইষ্টচার্চ ) প্রাণ মধ্যেই সিপাহী-বিদ্রোহ সময়ে নিহত বীর-বৃন্দের স্মৃতিস্তস্তসমূহ বিরাজিত। সমাধিস্তস্তগুলির মধ্যে জেনারল হ্যাবলক (0617678] [741০0) মেজর আউটরাম (1১17101 €)010171) ) ও জেনারেল নীল-_-এই বীরত্রয়ের সমাধিস্তস্ত তিনটাই বিশেষ স্থুন্দর । তবে সমুদয় সমাধিস্তস্তের মধ্যে আবার লরেন্স সাহেবেরটাই সর্ববাপেক্ষা উচ্চ ও মনোরম । এখানে একটী শোকের ও স্তরূতার গাঢ় আবরণ ব্যাপৃত। স্মারকলিপিগুলির ভাষা বড়ই মন্ম্স্পর্নী। শোকার্ত ব্যক্তিগণও সে সকল পাঠ করিলে হৃদয়ে সান্তবনালাভ করে। একটা শিশুর সমাধিস্তাস্তে লিখিত রহিয়াছে__ £ ০০] 1006 00917106109 [08121050681 101 1 ৪1) 1791 0580 00 51510110910 00 নন ও, 10115 ১০৪) 51081] 10 [11 [027.0156 21012 110 105, “কেঁদোনা৷ আমার তরে জনক-জননী, আমি ত মরিনি-__হেথ৷ নিদ্রায় মগন কিছুদিন পরে দৌহে ত্যজিয়ে অবনী-_ আসিবে ত্বরগে যবে হইবে মিলন ।% আরও যে কত স্থন্দর সুন্দর সাম্তবনাসূচক স্মারকলিপি আছে তাহার সংখ্যা নাই-_এই স্মারক কবিতাটা আমার নিকট বড়ই ভাল লাগিয়াছিল-__তাঁই সষত্বে পকেটবুকে লিখিয়া রাখিয়াছিলাম । “বেলিগার্ড (37115) (0071) দেখিলে হৃদয় শোকে আচ্ছন্ন হয়,_ইহাই প্রাচীন রেসিডেন্সি, ইহার সম্বন্ধে পুর্বেবও দুই এক কথা লিখিয়াছি। আমাদের সদাশয় ও স্থসভ্য গবর্ণমেণ্ট প্রাচীন স্মৃতি জীবিত রাখিবার জন্য বহু চেষ্টা করিয়াছেন এবং প্রায় হুবহু ভাবে রাখিয়া দিয়াছেন। গোলাগুলির চিহ্ন প্রভৃতি সব স্ুম্প্ট। যেস্থানে হেন্রি লরেন্দ আহত .হইয়াছিলেন, যেখানে উনিশ বতসরের যুবক স্থশানা পামার গোলার আঘাতে প্রাণত্যাগ করেন, সে সকল স্থান খোদিত-লিপি দ্বারা দর্শকের সমক্ষে স্থস্পষ্টরূপে বুঝাইয়া দেওয়া হইয়াছে । সিপাহী-বিপ্রোহের সময় বহু দেশীয় প্রভৃভক্ত ৰীরও 8৪ ১৩৮ 12133 ১৪৮০৫২৬ ত ? 4 ৮৮14০3০১১14) ৮ ৮4৮৯ 2৩ 7 উই] টা পা , ও [71 71 1 লক ॥. ইংরেজের নিমিত্ত প্রাণ-বিসঞ্ন দিয়াছিলেন- _গবর্ণমেণ্ট কর্তৃক উহাদের | স্লরণচিহ্ন স্বরূপও একটা স্মৃতিস্তম্ভ নিন্মিত হইয়াছে । যে প্রবল বিদ্রোহানল একদিন ভারতভূমির প্রায় সর্বব্র ব্যাপুত হইয়া পড়িয়াছিল__তাহার ভস্মাবশেষ লক্ষৌতে বহুপরিমাণ বিদ্যমান আছে । লৌহসেতু-_ক্ষীণকায়া গোমতী নদীর উপরে এই সেতুটী নিগ্মিত গাজিউদ্দিন হায়দর ফরমাইস দিয়া ইহা ইংলগু হইতে আনয়ন করাইয়া- ছিলেন_ কিন্তু বিধির বিপাকে তীহার ভাগ্যে এই লৌহসেতু-দর্শন-জনিত স্থখ-সৌভাগ্য ঘটিয়া উঠে নাই, কারণ সেতুটা ভারতবর্ষে আসিয়৷ পঁহুছিবার পুর্ব্বেই তাহার মৃত্যু হয়। সেকেন্দার বাগ-_-নবাব ওয়াজিদ আলী খ! তাহার প্রিয়তম! বেগমসাহেবা সেকেন্দর মহলের বাসের নিমিন্ত ইহা নিন্মীণ করাইয়াছিলেন। সেকেন্দর বাগের চতুদ্দিক উচ্চ প্রাচীর দ্বারা বেগ্টিত। এখন ইহা একটা ক্ষুত্্র উদ্ভান মাত্র। চারিদিকে কতকগুলি বড় বড় গাছ। সিপাহশীবিজ্রোহের সময় প্রায় দুই সহজ বিদ্রোহী সৈন্য এই স্থান অধিকার করিয়া ইংরেজ সৈন্যের উপর গোলা বর্ষণ করিয়াছিল, কিন্তু পরিশেষে হাইল্যাণ্ডার সৈম্াগণ ৷ কর্তৃক অবরোধিত হইয়া সমুদয় সিপাহিগণ কাল-কবলে নিপতিত হয়। লক্ষৌতে প্রাচীন অট্টালিকা এরূপ খুব কমই দ্রেখা যায়, যাহার গায়ে সিপাহী- বিদ্রোহের কোন না কোন চিহ্ন ন। আছে! সানজফ-_অযোধ্যার প্রথম নবাব গাজি উদ্দিন হায়দার এখানে, অনন্ত- নিদ্রায় মগ্র-ইহা তাহার সমাধি-বাটা। সানজফের অন্য নাম নজফ আশ্রফ। জনরব এই যে, ইহ! মহন্মদের জামাতা আলীর যেরূপ সমাধি-হন্ম্য নজফ নামক পাহাড়ের উপরে নিল্মিত আছে, তদন্ুকরণে প্রস্তৃত হইয়াছে. এবং সেজন্যই ইহার নামও নজফআশ্রফ রাখ হইয়াছে । গাজিউদ্দিনের রক্ষিত অর্থ হইতেই ইহার সংস্কারাদিরও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় নির্ববাহিত হইতেছে। এ স্থানে মযোধ্যার রাজা ও রাণীদের হস্তাস্কিত ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চিত্রাদি দেখিতে পাওয়! যায়। উইন্ফিন্ড পার্ক-__জনৈক চীফ কমিশনারের নামানুষারী ইহার নাম হইয়াছে। উইঙ্গফিল্ড পার্ক একটী পরম রমণীয় উদ্ভান-_এখানে সুন্দর ৫৫ ভাবত-জ্রমণ | স্ন্দর শ্যামল সতেজ বৃক্ষ-বল্পরী শোভা পাইয়া স্থানটার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করিতেছে-_-নানাবিধ মশ্মর-প্রস্তরমুত্তি সকলও পধ্যাটকের মন-মুগ্ধ করে, এ সকল মন্মরর-মুর্তি “কাইসরবাগ' হইতে আনিয়৷ রাখা হইয়াছে। এই উদ্ভান মধ্যে নানা শ্রেণীর হরিণ সংগৃহীত আছে। মচ্ছিভবন দুর্গ__আসফ উদ্দৌলার প্রাচীন সেতুর বামভাগে মচ্ছিভবন দুর্গের স্থুবৃহৎ প্রাচীর ও প্রাচীন ছুর্গ অবস্থিত, ইহা এখনও উত্তম অবস্থাতেই আছে। এই ছুর্গের প্রাীরাভ্যন্তরে “লক্ষমণটিলা” নামক প্রাচীন নগরাংশ দেখিতে পাওয়া যায়। সিপাহনীবিদ্রেহের সময় স্থপ্রসিন্ধ সার হেন্রি লরেন্স ইহ। সৈন্য দ্বারা স্থরক্ষিত করিয়া রাখিয়াছিলেন। মচ্ছিভবনের নিকট হইতে জুমা-মসজিদের উন্নত-চুড়া বড়ই স্থন্দর দেখায় । সাতখণ্ড-_ইহা একটা অসম্প্র্ণ অট্টালিকা । দিল্লীর জুমা-মসজিদ অপেক্ষাও বৃহত্তম মস্জিদ নিম্মীণোদ্দেশে মহম্মদ আদিল সাহ ইহার নিণ্মীণ- কাধ্য আরম্ভ করেন, কিন্তু মানুষের ইচ্ছা ও ভগবানের ইচ্ছা কখনও এক হয় না, মহম্মদেরও এই বাসন পুর্ণ হইল না$.তিনি এই অট্রালিকার কার্য শেষ হইতে না হইতেই পরলোক গমন করেন। কিন্বদন্তী এই যে এই সৌধ সপ্ততল উচ্চ হইবার কথ! ছিল, কিন্তু চতুস্তল নিশ্মিত হওয়ার পর তাহার মৃত্যু হওয়াতে ইহার কাধ্য আর অগ্রসর হয় নাই । আলমবাগ--সহর হইতে প্রায় একক্রোশ দূরে কাণপুর বাইবার পথে আলমবাগ নামক রাজোগ্ভান অবস্থিত, এস্থানে হেবলক সাহেব সমাহিত আছেন। নগর হইতে দূরে ও বিজনে বলিয়। ইহার সৌন্দধ্য গ্রাম্য-সৌন্দধ্য হইতে আর একপ্রকারে চিন্তবিনোদক। নানাজাতীয় সুগন্ধি কুস্ম-বৃক্ষ- পরিশোভিত শ্যামলছায়া-শীতল এই স্থানটা প্রকৃতপক্ষেই শান্তিপ্রদ। এখানে নগরের কলকোলাহল শ্রবণে আইসে না, _মৃদুবায়ুবিকম্পিত পত্রাবলীর মন্রতান; বিহগকঞ্টের সুমধুর হৃদয়োন্মাদকারী গান, পরিশ্রীস্ত দেহেও মনে শাস্তির স্থুবিমলধারা ঢালিয়া দেয়। চতুর্দিকের গ্রাম্যসৌন্দধ্যও বিশেষ- রূপে উপভোগ্য । মোটের উপরে ফলফুলভারাবনত শ্যামল-বৃক্ষরাজিসমাবৃত এ উদ্যানবাঁটিক! সাধারণের মনোরঞ্জঁক | লক্ষ স্থাপত্য-সৌন্দধ্যে ও প্রাকৃতিক সৌন্দধ্যে পরম রমণীয়। কাইসরবাগ-সম্মুখস্থ তারাওয়ালি কুঠির সম্মুখে যে ৫৬. দ্বার-আছে উহার ভিতর দিয় প্রবেশ করিলেই জিলৌখান! নামক প্রাসাদ-ছবার- প্রাঙ্গণ, এ প্রাঙ্গণের পর চীনিবাগ পার হইলেই হজরৎবাগ দৃষ্টিপথে পতিত হয়। ইসা তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। লক্ষৌর অধিকাংশ অট্রালিকাই অযোধ্যার নবাবদিগের দ্বারা নিশ্মিত, ইংরেজাধিকারে _আদিবার পরে গোমতীবক্ষে মাত্র দুইটা সেতু নিশ্ম্িত হইয়াছে । মুসলমান রাজত্বের সময়ের ছুইটা এবং ইংরেজের সময়ের ছুইটা মোট চারিটা সেতু গোমতীবক্ষে শোভা পাইতেছে। লক্ষৌ দুর্গের প্রসিদ্ধ রূমি দরওয়াজা পার হইয়! গোমতীর তটপ্রদেশস্থ প্রশস্ত রাস্তা দিয়া ইমামবাড়ার বহিঃপ্রাঙগণস্থ পশ্চিম দিকে দীড়াইলে, আসফউদ্দৌলার ইমামবাড়া, হুসেনাবাদের ইমামবাড়া প্রভৃতি দৃষ্টিপথে পতিত হয়। জিলৌখানার প্রাসাদ- দ্বার অতিক্রম করিয়া কিছু দক্ষিণাংশে ফিরিয়া একটী পার্দারৃত দ্বার পার হইলে চীনিবাগে পঁ্ছা যায়, এ স্থানে নানাপ্রকার চীন দেশীয় কাচপাত্রাদি স্শোভিত থাকাতেই ইহার নাম চীনিবাগ হইয়াছে । চীনিবাগের কিয়দ্দ,রে একটী প্রবেশদ্বার, এই খ্ছারে নানাপ্রকার নগ্ন রমণীমুর্তি বিরাজমান । ইহা যে অন্টাদশ শতাব্দীর ইউরোপীয় বিকৃতরুচির পরিচয়, তাহাতে কোনওরূপ সন্দেহ নাই। এই দ্বারের পরেই হজরতবাগ। আমরা যে সকল সৌধাবলীর পরিচয় দিয়াছি, তাহা ছাড়াও লক্ষৌতে দেখিবার জিনিষ আরও বনু আছে, তন্মধ্যে টাদলন্ী ভবনের বিষয় উল্লেখ করা যাইতে পারে। এই অট্রীলিকা নবাবের ক্ষোরকার আজিম উল্লা খাঁ নিম্মীণ করিয়াছিল, পরে নবাব ওয়াজিদ আলীর তাহার নিকট হইতে চারিলক্ষ মুদ্র মূল্যে উহা ক্রয় করিয়াছিলেন, এখানে নবাবের প্রধানা বেগম সাহেবা এবং অন্যান্য শ্রেষ্ঠতম নবাব-মহিষীগণ বাস করিতেন। কথিত আছে সিপাহী-বিদ্রোহের সময় তাহার একজন বেগম সিপাহীদিগের পক্ষা- বলম্বন করিয়া এই প্রাসাদে দরবার করিয়াছিলেন। টাদলক্ষমী প্রাসাদের পার্থ পথের ধারে যেখানে মর্ম প্রস্তরে ধান একটা বৃক্ষ দেখিতে পাওয়া যাঁয়, মেলার দিবস নবাঁব ফকিরের বেশে সেখানে অবস্থান করিতেন। লক্ষৌ যে কেবল স্থাপত্য-শিল্লে এবং প্রাচীন গৌরবেই গৌরবান্থিত, তাহ। 'নহে; শিল্পবাণিজ্যেও ভারতবর্ষের অন্যান্য বন্নগরী হুইতে ইহা! শ্রেষ্ঠ। ৮" ৫৭ হজরতবাগ | - ভারত-ভরমণ । ৬ এখানকার জরি, রেশম এবং জহরতের কাজ বিশেষ প্রসিদ্ধ। কয়েক বতসর হইল কয়েকজন কাশ্মীরি বণিক এ নগরে শালের কারখানা স্থাপন করিয়াছেন । এখানে কাচের বাসন তৈরির ও কাগজের কল প্রতিষ্ঠিত আছে। এতদ্বযতীত সয়াদণুগঞ্জ, শাহগঞ্জা, চিকমন্তী প্রভৃতি স্থানের হাটে শস্য, তুলা, চর্ম প্রভৃতি এবং মৃত্তিকা-নির্িত পুশতলিক! প্রচুর আমদানী হয়। গীতবাগ্চের চ্চা এ নগরে খুব বেশী; এম্থানে হিন্দুস্থানী ওক্তাদদিগের অধীনে বহু সঙীত-বিদ্যালয় পরিচালিত হয়। লক্ষৌতে মার্টিনিয়ার বিষ্ভালয় ব্যতীত ক্যানিংকলেজ বিশেষ বিখ্যাত-_-এই কলেজের সভাপতি স্বয়ং বিভাগীয় কমিশনার সাহেব মহোদয় । ইহা ছাড়া আমেরিকান মিশনের অধীন ৭টা ও ইংলিস চার্চ মিসনের অধীনে ৫টা বিদ্যালয় আছে । ; লাক্্ষৌর সর্ববপ্রধান ত্রষ্টব্য ইমামবাড়া ; এ সম্বন্ধে প্রসিদ্ধ প্রত্বৃতত্ববিদ ফাগুন সাহেব লিখিয়াছেন, “%৫ &% 1105 87680 117717000218) ৬1101) 00851) 15 0750115 11] 10000581090 01955 80. 9%:8/10107 0101), 15 901]] 0012061%50 01) 509 £18100 8. 5০418 95 09 91010610090 18111. 910 076 19011011155 01 21920711517 7125, লক্ষৌ মাটির কাজের জন্য বিশেষ বিখ্যাত। এখানকার মৃন্তিকা-নির্দ্িত পুতুল, ও বাসন ইত্যাদি দেখিয়া আনন্দলাভ করিয়াছিলাম। স্থানীয় মিউজিয়ামে (আজব-ঘরে) রেসিভেন্দির অবিকল মাটির চিত্র আছে । ত্েল্ট্িভিন । ভলাক্ষৌ হইতে বেরিলি যাই। রোহিলখণ্ডের মধ্যে বেরিলি একটী বিখ্যাত নগর। ইহার পাদদেশ ধৌত করিয়া রামগঞ্গ। নদী প্রবহমানা। বেরিলি ফেঁসনটী বেশ বড়, এবং একটা সংযোগস্থল। নগরের লোক সংখ্যা ১১০১০০০ তন্মধ্যে প্রায় অদ্ধেক হিন্দু এবং অদ্ধেক মুসলমান। এই সহর যে কোন্‌ সময়ে নিম্মিত হইয়াছিল, তাহার প্রকৃত ইতিহাস সংগ্রহ করা দুল্লভি--কিন্বদস্তী হইতে জানিতে পারা ষায় যে ১৫৩৭ খ্রীষ্টাব্দে এই নগরী নির্মিত হইয়াছিল। উত্তর-পশ্চিমের নগর সমুহের মধ্যে ইহা পঞ্চম স্থানীয়। ধাহারা আলমোরা, নাইনিতাল, রাণীক্ষেত প্রভৃতি স্থানে যাইতে চাহেন তাহাদিগকে এখান হইতে গাড়ী পরিবর্তন করিয়া কাঠগুদাম নামক স্থানে যাইতে হয়, বেরিলি হইতে কাঠগুদাম পর্যন্ত একটা শাখা রেলওয়ে লাইন আছে। অযোধ্যার নবাবের পক্ষ হইয়া ইংরেজগবর্ণমেণ্ট এই স্থান অধিকার করার পুর্ব পর্য্যন্ত, বেরিলি বনুদ্দিবস রোহিলাদিগের রাজধানীরূপে পরিগণিত ১৮০১ খ্রীষ্টাব্দে সম্পূর্ণরূপে এই নগর ইংরেজাধিকারে আইসে। যখন ভারতের চতুদ্দিকে সিপাহী-বিদ্রোহের প্রবল-বহ্ছি প্রজ্্বলিত হইয়া উঠিয়াছিল-_সে সময়ে সমগ্র রোহিলখণ্ডের বিদ্রোহানলের কেন্্রস্থলই বেরিলি ছিল। ১৮৫৭ গ্রীষ্টাব্দের মে মাসের প্রথমভাগে যখন ইংরেজ- সৈন্তেরা এখানে আসিয়া উপস্থিত হয়, তখন সমগ্র বিদ্রোহীসৈন্য এখান হইতে পলায়ন করিয়াছিল। বেরিলি সহর দুইভাগে বিভক্ত---একাংশের নাম নুতন বেরিলি অপর অংশের নাম পুরাতন বেরিলি। পুরাণো বেরিলিতে একটা প্রাচীন দুর্গের ভগ্মাবশেষ দৃষ্ট হুয়-_-উহা! বরেল দেও নির্মাণ করিয়াছিলেন । বেরিলিতে দেখিবার মধ্যে রামপুরের নবাবের একটা প্রাঙগাদ ও জুম্মা মস্জিদ ব্যতীত তেমন আর কিছুই নাই। নবাবের বাড়ী নগর হইতে কিঞ্চিৎ দূরে অবস্থিত । জুল্মা মস্জিদ্টি ১৬৫৭ ্বীষটান্দে নির্টিত হইয়াছে। এখানকার কয়েকটী বাজার বেশ পরিক্ষার পরিচ্ছন্ন । বাস্তাঘাটও দেখিতে বেশ স্ন্দর। ব্যবসা! বাশিজ্যের জন্য উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের মধ্যে ইহার বেশ খ্যাতি আছে। এনা টানি দিস বিখ্যাত । খাস্ভজ্রব্যাদি খুব স্থলত। ৫৭) 2. শ্হন্াদ্ষান্নাদ | ল্ল্চরাদাবাদ বা মোরাদাবাদ, যুক্ত প্রদেশের রোহিলখগুবিভাগের একটা জেল! । এই জেলার প্রধান নগর মুরাদাবাদ-__ইহা৷ ১৬২৪ খ্রীষ্টীবে দিল্লীর সম্রাট শাহজাহানের আদেশে রস্তম খা কর্তৃক যুবরাজ মুরাদবকোের নামে নিশ্িত হইয়াছিল। রস্তম খা এ প্রদেশের শাসনকর্তা ছিলেন, তাহার নির্মিত রামগঙ্গার তটপ্রদেশস্থ দুর্গটা এখনও ভগ্নদেহে বিরাজমান আছে। আমরা রামপুর যাইবার পথে এস্থানে অবতরণ করিয়াছিলাম। আউধ-. রোহিলখণ্ড রেলওয়ের সহিত এই জেলার বনু স্থান সংযুক্ত থাকায় বাণিজ্যের পক্ষে বিশেষ স্থুবিধ! হইয়াছে । মুরাদাবাদ সহরটা ছোট খাট-_ রাস্তাঘাটগুলি দেখিতে বেশ মনোরম। সময় সময় রামগজা ও গলা নদীর বন্যায় এ জেলায় শশ্যাদির খুব ক্ষতি হয়। সেইজন্য কয়েকবার ছু্িক্ষের দারুণ প্রকোপে মুরাদাবাদ জেলার অধিবাসীদিগকে তঙ্কর যন্তরণাভোগ করিতে হইয়াছিল, এখন নদীবক্ষে চড় পড়িয়া উহা! সংকীর্ণ হইয়া গিয়াছে। ১৮৬৪ খ্রীষ্টাব্দে চতুর্থবার ছুর্ভিক্ষ-রাক্ষদীর করাল আক্রমণে এ জেল! উৎসন্নপ্রায় হয়। সে সময়ে বুলোকে আমের জাটি খাইয়া জীবন রক্ষা করিয়াছিল; পুনরায় ১৮৬৮--৬৯ এবং ১৮৭৭--৭৮ গ্রীষ্টা্দে যে দারুণ দুতিক্ষ ঘটে গবর্ণমেন্টের শত চেষীতেও সে সময় অনশন- কলি নরনারীর অন্নকষ্ট নিবারিত হয় নাই-_না! হইবার প্রধান কারণ সে বসর রাজপুতনা প্রভৃতি দূরদেশের অন্নকষ্ট-গীড়িত নরনারীও আসিয়৷ এস্থানে সমবেত হইয়াছিল--কাজেই ছু্ভিক্ষ অতিশয় ভীষণাকার ধারণ করে-_গবর্ণমেপ্ট আর কয়দিকে ইন্ধন যোগাইবেন1 . সম্রাট গুরজজেবের মৃত্যুর পরে মোগলশক্তির অবসাদ হইলে কঠারিয়া ত্র বিজ্রোহিগণ কিছুদিন এস্থানে স্বাধীনভাবে রাজত্ব করিয়া- | ছিল, _ কিন্তু ১৭৩৫ শ্বীষটাবে পুনরায় এই প্রদেশ ও নগর সম্রাট মহন্মদশীহ অধিকার করিয়৷ লন, এবং এখানে মোগলশাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। ইহার পর নাম মাত্র প্রায় এগার বৎসরকাল পর্য্যন্ত প্র ৪ ৬০ তলত, রি ৮) ্ট অযোধ্যার উজীরের শাসনাধীন হয় এবং ১০০১ বন্টন সহ সিংহের করতলগত হয়। সিপাহী-বিপ্রোহের সময় মজ্জর খা নামক এক ব্যক্তি এস্থানের শাসনকর্তা ছিলেন__ইঁহার নেতৃতেে বিদ্রোহানল এস্থানেও প্রজ্বলিত হইয়া উঠিয়াছিল। রামপুরের নবাব ইংরেজপক্ষ অবলম্বন করিয়া এ অনল নির্ববাণের চেষ্টা করিয়াছিলেন কিন্তু অকৃতকাধ্য হন। পরিশেষে জেনারল জোন্সের অধীনস্থ ব্রিগেড সৈনিকবৃন্দ ১৮৫৮ শ্ত্রীষ্টাব্ডে এস্থানে উপস্থিত হইয়া শান্তি স্থাপন করে । ইংরেজশাসনাধীনে আসিবার পর হইতে এস্থানের বন্ধু উন্নতি সাধিত হইয়াছে । মুরাদাবাদ, জেলার প্রধান নগর ও সদর-_-রামগঙ্গা নদীর দক্ষিণ তটে অবস্থিত। এস্থানে দেখিবার মধ্যে জুম্মা মসজিদ ও আজমণুউল্লা খার সমাধি-মন্দির। জুন্মা মসজিদটি ১৬৩৪ খ্রীষ্টাব্দে নিশ্রিত হইয়াছিল, আজমহ্উল্লা খা এ প্রদেশের একজন শাসনকর্তা ছিলেন। রেলওয়ে ফ্টেসন হইতে প্রায় দেড় মাইল দুরে সেন্টপলের গির্জাগৃহটিও ভ্রফটব্য পদার্থের মধ্যে অন্যতম । রোহিল! প্রদেশের মধ্যে মুরাদাবাদের বাণিজ্য- খ্যাতি খুব বেশী। নগরের লোক সংখ্যা ৭৪,০০০ | মুরাদাবাদ সদর ব্যতীত অম্রহো, চন্দৌসী, সম্বল, সরাইতরণী, হসনপুর, বছরাওন, মউনগর, সির্সা, ঠাকুরদ্বার, ধানওয়ারা, অঘবনপুর, মোগলপুর ও নরোৌলীনগর প্রভৃতি স্থান বাণিজ্যের উন্নতিতে বিশেষ প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছে । চন্দৌসীর চিনির কারবার খুব বৃহ । মুরাদীবাদ ফ্টেসনের নিকটে একটা সুন্দর ডাকবাংলা আছে। এস্থানে পিস্তলের উপর অতি স্থুন্দর গিল্টির কার্য হইয়া থাকে। গিণ্টির কাধ্যের জন্য এ স্থান বিশেষ গ্রাসিন্ধ। এতঘ্যতীত এই ক্ষুদ্র নগরে দ্রষ্টব্য এবং উল্লেখযোগ্য কিছুই নাই। আমর মুরাদীবাদ দর্শনাস্তে সে দিবসই রামপুর পঁছছিলাম । ৬১ ্রাসসঞ্পু্র । সরু রোহিলখ বিভাগের অন্তভূক্তি একটা দেশীয় সামন্ত- নৃপতির রাজধানী এবং উত্ত জেলার প্রধান নগর। রামপুর রাজ্যের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত এস্থানে প্রদত্ত হইল, আশাকরি ইহা পাঠকগণের অতৃপ্তির কারণ হইবে না। খ্রীস্রিয় সপ্তদশ শতাববীর শেষাংসে সাহ আলম এবং . হসেন খা নামক দুই সহোদর এদেশে আদিয়! বাস. করেন, এবং মোগল- হি রাজসরকারে কার্য্য গ্রহণ করিয়া স্ব স্ব ভবিষ্যৎ উন্নতির পথ স্বৃপ্রশস্ত করেন। মহারাধীয়দের সহিত যুদ্ধে বিশেষ বীরত্ব প্রদর্শন পৃর্বক সাহ আলমের পুক্র দাউদ খা, বদাউনের নিকট হইতে এক জায়গীর লাভ করেন, তীহার মৃত্যুর পরে তাহার পোল্নপুত্র আলী মহম্মদ নবাব উপাধি সহ ১৭১৯ ্রীষ্টাব্ধে রোহিলখণ্ডের অধিকাংশ প্রদেশই জায়গীরস্বরূপ প্রাপ্ত হন। জগতে একের উন্নতিদৃষ্টে অধিকাংশ স্মলেই অপরের হিংসা দেখা যায়, এস্থলেও তাহার বৈষম্য হইবে কেন? তৎকালীন অযোধ্যার স্বেদার, সয়দরজঙ্গ আলী মহম্মদের এই উন্নতিতে বিষম ঈর্ষা্ঘিত হন এবং কৌশলে ১৭৪৬ খ্রীষ্টাব্দে বাদসাহের সরকার হইতে প্রদত্ত সমুদয় জায়গীর বাজায়াপ্ত করাইয়৷ আলী মহম্মদকে দিল্লীতে কারারুদ্ধ করাইয়া রাখিয়া দেন। ছয়মাস কাল কারারুদ্ধ গাকিয়া পরে ইনি সরহিন্দের শাসনকর্তা রূপে প্রেরিত হন। কমলার কৃপাকটাক্ষ যাহার উপর পতিত হয়, কিছুতেই তাহার সৌভাগ্য-সূধ্য মেঘারৃত করিয়া রাখিতে মানুষের সাধ্য হয় না আলী মহম্মদের শুভাদৃষট হইতেই তাহার বিশেষ প্রমাণ পাওয়া যায়। তাহার সরহিন্দে এক বসরকাল অবস্থিতির পরে, আহম্মদ সাহ আবদালীর আক্রমণে চতুদিকে দারুণ বিশৃঙ্খলার উত্রেক হয়, দিল্লীর সেই বিপ্লবের সময়ে স্থযোগ বুঝিয়া আলী মহম্মদ পুনরায় ১৭৪৭ শ্রীফান্দে রোহিলখণ্ড আগমন করিয়া রাজ্যশীসন করিতে প্রবৃত্ত হন, সমাট মহম্মদ সাহের তনয় তাহাকে সবল দেখিয়! এ প্রদেশের রাজা বলিয়া স্বীকার করেন। আলী মহন্মদের মৃত্যুর পর ঠাহার পুজ্েরা রাজ্য ভাগ করিয়৷ লন। তাহার : জারপুর, রামপুর টিনা উনিটি রনি ১৮০১ রটাবে এই রাজ্য ইংরেজ- রাজের হাতে আইসে। সিপাহী-বিদ্রোহের সময় এস্থানের নবাব মহদ্ার যুস্থফু আলী খা ইংরেজরাজের সবিশেষ সহায়তা করায় ব্রিটিশ গবর্ণমেপ্ট তাহাকে ১২৮৫২০২ টাকা। রাজস্বের একটী জায়গীর, উপাধি এবং তোপ প্রদান করেন। যুস্বফ আলি খাঁর পরে ১৮৬৪ ধৃষ্টাব্দে ততপুক্র মহস্মদ কল্ব আলী খা, জি, সি, এস্‌, আই, সি, আই, ই, উপাধিস্হ রাজা হন, এবং ততপরে নবাব মস্তফ আলী খাঁ রা হইয়াছেন। | কোশিলা নানী জ্বোতস্ষিনীর বামতটে রামপুর নগর অবস্থিত। এই মুরাদাবাদ হইতে পূর্বে ১৮ মাইল। রামপুর বিশেষ সমৃদ্ধিশালী প্রাচীন নগর-_-খেশ নামক রেশমী বন্স্ের জন্য ইহা ভারতবিখ্যাত, খেশ এস্থানেই প্রস্তুত হইয়া থাকে। সৌধাবলীর মধ্যে বিশেষ খ্যাতনামা এবং স্থাপত্য-শিল্প-চাতুযযসম্পন্ তেমন কিছুই নাই, তবে নবাবের স্বৃবৃহত সৌন্দর্যসম্পন্ন প্রাসাদ, জুম্মা মস্জিদ, সফদরগঞ্জ বাগান, দেওয়ান্-ই-আম্‌, খুর্শিদ-মঞ্ত্রিল, মচ্ছিভবন ও জানান! প্রভৃতি ভ্রমণকারী মাত্রেরই দেখিয়া আসা উচিত। নবাব ফৈজ্উল্ল- খাঁর নিশ্মিত দুর্গ ও ্টীহার সমাধি-মন্দির জীবিত থাকিয়া এখনও তাহার গৌরব ঘোষণা করিতেছে । কোশিলা, নাহল ও রামগজা! নদী রামপুর প্রদেশের নান! স্থান দিয়া প্রবাহিত থাকার স্বাস্থ্য ও শহ্ উভয়তঃ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি হইতেছে । বেরিলি, মুরাদাবাদ, রামপুর প্রভৃতি এই ক্ষুদ্র তিনটা সহরে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছুই নাই বলিয়া! বিস্তৃত বর্ণনা করিয়া পাঠকগণের সময় নষ্ট করিলাম না। নগরের কথ।। হুন্বিজ্ান্র । ল্রখৃমপুর ছাড়িয়। বাপ্পীয় শকটে যখন হরিদ্বারাভিমুখে রওয়ানা হইলাম, তখন হৃদয়ে এক অপূর্ণ আনন্দের উদয় হইয়াছিল; শুভ্র তুঁষার- কিরীট-মপ্ডিত হিমান্্রির পাদমুলে সর্বব-পাপ-তাপ-নাশিনী পৃত-সলিলা জননী ভাগীরথীকে প্রবাহিত দর্শন করিয়া ধন্য হইব-_-আহা ! কি আনন্দ ! দেখিতে দেখিতে ছু'ধারের বন-জঙ্গলের মধ্য দিয়া বেগে ছুটিতে ছুটিতে বাস্পীয় শকট আসিয়৷ লক্সর ফ্টেসনে পঁনুছিল, এখান হইতে গাড়ী পরিবর্তন করিয়া হরিদ্বার ধাইতে হইবে ; হরিদ্বার লকার হইতে ১৬ মাইল মাত্র দূরে অবস্থিত | আমাদের গাড়ী লব্সর ছাড়িয়া অগ্রসর হইতে লাগিল। জানালার ভিতর দিয়া কি নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখিলাম-_গিরিরাজ হিমালয় উন্নতমস্তকে ধ্যানমগ্র-কে জানে স্থ্টির কোন্‌ যুগে এই মহাযোগীর ধ্যানভগ্ন হইবে । পাহাড়ের উপর পাহাড়--তাহার উপরে পাহাড় গৌরবে দর্শকের সমক্ষে সৃষ্টিকর্তা জগদীশ্বরের মহান্‌ মহিম! প্রচার করিতেছে । প্রতি শূক্গবিনির্গত নির্বর ষেন বলিতেছে “জারে মুগ্ধ মানব, তৃণাদপি তৃণ হইয়া তোমার এত অহঙ্কার, কত ক্ষুদ্র তুমি সে কথা কি ভাব?” যখন আসিয়! হরিদ্বারে উপনীত হইলাম তখন হৃদয়ে ে কি আনন্দ হুইল তীহা। বর্ণনাতীত। কি নয়ন-মন-মোহকর দৃশ্য ! গগনস্পর্শী পর্ববতমাল! দীড়াইয়। রহিয়াছে, আর তাহারি পাদমূলে এরই সুন্দর নগরী শোভা পাইতেছে। যিনি হরিদ্বার গমন করিয়াছেন তিনি প্রকৃতির নেছাঞ্চলে লুক্কায়িত এই স্থান দর্শনে নিশ্চিতই বিমুগ্ধ হইয়াছেন। আমরা আমাদের পাগুার সমভিব্যহারে নিদ্দিষট বাসায় আসিয়া বিশ্রাম এবং আহারাদি সমাপন করিয়া * শান্তি ও তৃপ্তি ছুই-ই অনুতব করিলাম। আমাদের বাস-প্রকোষ্টের জানালা খুলিয়া দিলে, তুষার- মণ্ডিত ধবলগিরির রজতকিরীট দৃষ্টিপথে পতিত হইত-_পার্ববত্য মৃছুমন্দ শীতল সমীরণ আসিয়া ক্লান্ত শরীরে সজীবতা ও প্রফুল্লতা ঢালিয়া দিত। গ্রার কষাতিটে হিয়ার অবস্থিত। পুণ্য-সলিল! জননী জাহবী ৬৪. অপর নাম. কপিলস্থান, কারণ খধি কপিল এই স্থানে. কঠোর তপস্যা রয়াছিলেন, শৈব সম্প্রদায়ভূক্ত. লোকেরা. ইহাকে হরদ্বার নামে অভিহিত করে। হরি্ারে কলিকাতার অন্যতম প্রসি্ ধনী 'সূর্য্মল ুন্ঝুন্ওয়ালার ধর্্শাল! আছে, সাধারণতঃ .অপরিচিত পাস্থগণ সেখানেই অবসশ্থিতি.করেন। স্টেসন হইতে উহা! প্রায় ১৪০ মাইল দূরে হইবে। সূর্ধ্যমল বাবু ষিকেশ, হইতে তিন মাইল দুরবন্তী লছমন ঝোলার লৌহসেতু নিপ্াণ করিয়া! দিয়া তীর্থাত্রিগণের অশেষ উপকার করিয়াছেন ; ধনের যিনি সঘ্যবহার করেন .. তিনিই ধন্য । যাত্রিগণ সাধারণতঃ এস্থানে স্নান ও তর্পণ করিয়া থাকেন, উহাই এখানকার প্রধান কার্য্য | ৭: _ আমরা পরদিন প্রত্যুষে গঙ্গাদ্ধার ঘাটে স্নান করিতে গমন করিলাম,। ্ষকুণড বা. তখন তরুণ রবির কনক-কিরণ-মপ্ডিত গিরিশ্রেণী ষে অনন্ত গঙ্গা্ার ঘাট । সৌন্দধ্যে আপনাকে স্থুশোভিত করিয়াছিল, তাহা. লেখনী-.. মুখে প্রকাশ হইবার নহে। হুরিদ্বারে এই ঘাটেই, গঙ্গা সান করা প্রশস্ত ! হিন্দৃস্থানী যাত্রিগণ ইহাকে “হরি-কি-চরণ ঘাট” নামে অভিহিত করিয়া থাকেন।... এই ঘাটের উপর বিষু্র চরণ-চিহ্ন অঙ্কিত আছে। এস্থানেই গঙ্গা পর্বত, ভেদ করিয়া প্রথমে পতিত হইয়াছেন__ইহার প্রকৃত নাম 'মায়াপুরী। কুস্তমেলার সময় যাত্রিগণ এই ঘাটেই স্নান করিয়া! থাকেন--সে সময়ে . এস্থানে নান! দেশদেশীন্তর হইতে শৈব, বৈষ্ণব, দগ্ডী, পরমহংস, অবধূত্ত প্রভৃতি নান৷ শ্রেণীর সাধু এবং গৃহস্থগণ আগমন করেন, বিগত ুস্তমেলায় | হরিঘারে প্রায় পাঁচ ছয় লক্ষ সাধুসন্ন্যাসী সমবেত হুইয়াছিলেন।. পূর্বে. মেলার সময় ক্্ান লইয়। অনেক দাজা হা্গাম। হইয়া গিয়াছে। ১৭৯০ খ্রীষ্টাব্দে এস্থানে যে কুস্তমেলা৷ হইয়াছিল, তাহাতে গোস্বামী ও বৈরাগী এই উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয়ানক দাজা হাজামা হয়. তাহাতে.. ১৮০০ শত লোক নিহত হইয়াছিল। আর একবার গোস্বামী দুর সহিত. শিখদের কলহ হয় তাহাতে প্রায় পাঁচশত গোস্বামী মৃত্যুর কবলে. জি হইয়াছিলেন। ধর্ান্ধতায় সময়ে সময়ে যে নানাপ্রকার বিশ্ব সংঘটিত. হয় এসকলই তাহার জাচ্ছল্যমান প্রমাণ। এই ঘাটের রা- ভ্যস্তরে গঙ্গাদেবীর প্রতিমুত্তি এবং পুর্বববরি ভারত-্রমণ। | আছে। .কুস্তমেলা যোগের সময় সান করিবার জন্য যাত্রিগণের . মধ্যে একটা কোলাহল জাগিয়৷ ওঠে । পুলিশকর্্মচারিগণ নানারূপ চেষ্টা বত করিয়াও €কোনরূপেই শান্তিসংস্থাপন করিতে পারেন না । কত লোক যে ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হইয়৷ প্রাণত্যাগ করে তাহার ঠিক থাকে না । ১৮১৯ খ্রীষ্টাব্দে প্রায় ৪৫০ শত লোক ভিড়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। প্রতি দ্বাদশ বগুসর অন্তর এখানে কুস্তমেলা৷ হয়-_তখন এই অল্প পরিসর স্থানে ধর্্মালিপ্ল, লক্ষ লক্ষ যাত্রী অবগাহন করিয়৷ পুণ্যসঞ্চয় করিয়। থাকে । শাস্ত্রে লিখিত আছে ষে কুম্তমেলার সময় এস্থানে স্নান করিলে আর পুনর্জন্ম হয় না। প্রতি বৎসর চৈত্রসংক্রান্তিতেও এস্থানে মেল! হয় বটে কিন্তু কুম্তমেলার মত তত লোক সমাগম হয় না। বাধষিক মেলার সময় এখানে সহত্র সহত্র অশ্মাদির খরিদবিক্রয় হয়। ব্রক্ষকুণ্ডের মধ্যে দেশদেশান্তরের ষাত্রিগণ মৃতদেহের অস্থি নিক্ষেপ করিয়া ম্বতের পারলৌকিক মুক্তির পথ স্বপ্রশত্ত করিয়া দেয়। যাহারা হরিদ্বার আসিতে পারেন না তাহার! সচরাচর নিজ নিজ পাগাদের নিকট ডাকযোগে অস্থি ইত্যাদি পাঠাইয়া দেন, পরে পাগুাাগণ উহ গঙ্গাজলে নিক্ষেপ করে । | এখানে গঙ্জার নিম্মীল সলিল মধ্যে বড় বড় মহাশৌল মণ্স্যগুলিকে ' নির্ভয়ে বিচরণ করিতে দেখিলাম--হরিদ্বারে প্রীণীহত্য! নিষেধ। ইহাদের প্রতি কেহ কোনও অত্যাচার করে না বলিয়া মতস্েরাও মনুষ্য দেখিয়। কোনও রূপ ভীত হয় না-_যাত্রীরা চিরা, মুড়ি, খই জলে ফেলিয়া দিতেছে আর শত শত মওশ্য নির্ভয়ে আসিয়া তাহা খাইতেছে। কি স্থন্দর দৃশ্য ! আমরা যে সেকালে তপোবনের চিত্রমধ্যে সমুদয় হিংশজন্তর শান্তশিষ্ট স্বভাবের পরিচয় পাই, এই মতস্যদের ব্যবহার দেখিলে তাহার সততা _ দৃট়ীভূত হয়, তুমি যদি হিংসা ভোল-_তুমি যদি প্রাণ দিয়া ভালবাসিতে শেখ তবে সে কেন ভালবাসিবে না? প্রেম দিলেই প্রেম পাওয়া যায়। আমরা ১৯ বৎসর পূর্বেষ যখন এখানে আসিয়াছিলাম তখন এ স্থান গভীর জলপরি- পুরিত ছিল- কিন্তু এখন চর পড়িয়া! গিয়াছে এবং এ স্থানে অট্রালিকাদি নির্িত হইতেছে । স্নান করিয়া পুনরায় রিড স্নান করিতে আসিলাম-_ ইহাই এখানকার রীতি। চর বপন ননিন্র্রিরহরী টির উনি আছে যেএখানে পিতৃলোকের উদ্দেশে শ্রান্ধতর্পণাদি করিলে পিতৃগণ বিষ্ুণ্রর গ্যায় হইয়া! বিযুধলোকে গমন করিয়া পরম শান্তিলাভ করেন। কুশাবর্তঘাটের উৎপত্তি সম্বন্ধে কিন্বদন্তী প্রচলিত আছে যে একজন খষি এ স্থানে বসিয়া যখন যোগসাধনায় নিরত ছিলেন, সে সময়ে গজ! গিরিরাজ হিমান্দ্রি হইতে পতিত হইয়া বেগে খবির কুশা আ্রোতে ভাসাইয়া লইয়া গিয়াছিলেন। খধির ধ্যান ভঙ্গ হইলে তিনি তাহার কুশা দেখিতে না পাইয়া নিতান্ত ক্রুদ্ধ হইলেন এবং সেই মুহূর্তেই যোগ-শক্তি-প্রভাবে গঙ্গাকে আকর্ষণ করিলেন ; গঙ্গা খষির আকর্ষণে হৃষ্টচিত্তে তাহার নিকট আসিয়া কুশা প্রত্যর্পণ করিলেন এবং বর দিলেন যে অদ্যাবধি এই ঘাটের নাম কুশাবর্তঘাট হইবে আর এ স্থানে যে কেহ আসান তর্পণ করিবে, তাহার পিতৃগণ বিষুজলোকে গমন করিবে । কুশাবর্তঘাটে আসিয়া দেখিলাম যে দলে দলে লোক এ স্থানে বসিয়৷ পিতৃলোকের তর্পণাদি করিতেছে-_-একদল যাইতেছে-_-আর এক দল আসিতেছে-_-আবার সে দল যাইতেছে-_-পুনবায় অপর দল কর্তৃক সে স্থান অধিকৃত হইতেছে-_বিরাম নাই-_বিশ্রাম নাই-_ কি পবিব্র শ্রদ্ধার নিদর্শন। যাব্রিগণ সকলেই নিজ নিজ অবস্থানুযায়ী যথাসাধ্য দান ধ্যানাদি করিয়া থাকেন । গঙ্গার আোত এ ঘাটে অত্যন্ত প্রবল। ঘাটের সোপানাবলীরি সহিত লৌহ-শৃঙ্ঘল সংযোজিত থাকা সত্বেও অতিশয় সতর্কতার সহিত স্নান করিতে হয়, বদি কোনও রূপে হস্ত শৃঙ্খল হইতে পৃথক হইয়া যায় তবে যে কোথায় ভাসাইয়। লইয়া যাইবে তাহার ঠিকানা করাও. অসম্ভব । গঙ্গার প্রশস্তত! এ স্থানে প্রায় অদ্ধ ক্রোশ হইবে। হরিত্বারে সর্ববনাথ, মায়াদেবী, দক্ষেশ্বর, সীতাকুণ্ড, কনখল, নীলধারার ঘাট, চণ্ডীপাহাড়, বি্বকেশ্বর প্রভৃতি বু দেবমন্দির ও দ্রব্য স্থান আছে আমর! একে টানি তাহাদের ধিবরণ লিপিবদ্ধ করিলাম । সর্ববনাথ_ _সর্ববনাথের মন্দিরটি দেখিতে বেশ সুন্দর । মি মধ্যে দেবাদিদেব মহাদেবের লিঙমুত্তি বিরাজিত আছে। একটা প্রশস্ত প্রাণের মধ্যে শতচুড়ায় স্থশোভিত হইয়া উচ্চশিরে এই মন্দিরটি বিরাজ করিতেছে ০১০০০০০০৮০০: একটা সৌম্য শান্ত ৬ ভারত-্ভরসগ | | ছি | তীরের মহান্ভাব ইহার চারিদিকে ব্রিজ বি ইত ন্ান-দানাদি করিয়া যাত্রিগণ সাধারণতঃ এ স্থানে আগমন করিয়া দেবাঁদিদেবের শ্রীচরণপ্রান্তে ভক্তিগদগদচিত্তে লোটাইয়! পড়ে। প্রত্বতত্তজ্ঞ কানিংহাম সাহেব এই মন্দিরের অনতিদূরে একটী পুরাতন ছুর্গের ভগ্রাবশেষ দর্শন করিয়াছিলেন এবং সেখান হইতে পুরাতন মুদ্রা ও পুত্তলিকা প্রভৃতি প্রাণ্চ হইয়াছিলেন এবং অনুসন্ধান ছারা উহা বেরাজার ছুর্গ বলিয়া সিদ্ধান্ত করিযাছিযেন। | _ মায়াদেবীর মন্দির-_হরিদ্বারের মন্দিরসমূহ মধ্যে মায়াদেবীর মন্দিরই সর্ববাপেক্ষা প্রাচীন, ইহার চারিদিকে বন জঙ্গল ও ভগ্ন অট্রালিকাসমূহের স্তূপ দেখিতে পাওয়া যায়। স্থপ্রসিদ্ধ প্রত্বতত্ববিদ পণ্ডিত কানিংহাম সাহেব এই মন্দির দশম কিংবা একাদশ শতাব্দীতে নিম্মিত হইয়াছে বলিয়া সিদ্ধান্ত করিয়াছেন। ভক্তবৃন্দের প্রদ্স্ত দিন্দুর-প্রলেপে মায়াদেবীর সর্বব-. শরীর আবৃত,__এ সিন্দুরের প্রলেপ হইতে তাহার প্রকৃতমুর্তি আৰিষ্কার করা স্থবকঠিন। আমাদের পাণ্ড দেবীকে ত্রিমুগডধারিণী, এবং চতুহস্ত শোভন! বলিয়া ব্যাখ্যা করিলেন। তাহার এক হস্তে নৃমুণ্ড ধৃত, এক হস্তে চক্র, এক হস্তে সংহারকারিণী শিব-শক্তি-ত্রিশূল, অপর হস্তে অভয়প্রদা মা-জননী ভীতত্রস্ত সম্তানবর্গকে অভয় দানে উৎসাহিত করিতেছেন। এই মন্দিরের দ্বারে একটী খোদিত লিপি দেছিলাম, কানিংহাম সাহেব এই শিলালিপি দৃষ্টেই মন্দিরের নির্্াণসময় সম্বন্ধে এন্পপ সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন । মায়াদেবীর মন্দির দেখিলেই ইহার প্রাচীনত্ব উপলব্ধি হয় উহ্া আর কাহাকেও বলিয়া দিতে হয় না । ৮ দক্ষেশ্বর মহাদেব ও সতীকুণ্ড হরিদ্বারের শ্রেষ্ঠতম তীর্থ। এ স্থানে দক্ষ প্রজাপতি শিবকে যজ্ঞে নিমন্ত্রণ না করিয়া যজ্ঞ করেন এবং পতিগত- . দক্ষেশবরও প্রীণা আস শক্তি সতী পতিনিন্দা' আবণে প্রাণ পরিত্যাগ নতীক। করেন। সতী-বিরহে বিদগ্ধচিত্ত দেবাদিদেব মহাদেব দক্ষের যন্ত্র তজ ও তাহার মুগুচ্ছেদন পূর্ববক তাহাতে অজমুণ্ড যোজন! করিয়া- ছিলেন।- পরে দক্ষ দিব্যত্ান লাভ করিয়া এই শিব প্রতিষ্ঠাপিত করেন, করেন তাহা রী নামে অভিহিত । দক্ষেশ্বর শিবের নদিরটি হব, বড়-_কিছুদিন হইল ইহার সংস্কারসাধিত হইয়াছে, একবার একটা প্রকাণ্ড বটবৃক্ষ পতিত হইয়া মন্দিরের শীর্যদেশ নষ্ট হইয়া গিয়াছিল । পাণগাঁদিগকে কিঞ্চি গোলাকার রজতখণ্ড দ্রান করিলে সতীকুণ্ডে হোম করিতে দেয়। একটা কিন্বদন্তী প্রচলিত আছে যে, ষদি রমণীগণ সাত রবিবারে এই রুণ্ডে স্নান করেন তাহা হইলে তাহার! সতীর ন্যায় সৌভাগ্যশালিনী হ'ন। কনখল-_-কনখলের নিকট গঙ্গা নীলধারা নামে কথিত, নিকটেই নীলপর্বত। এ স্থানে জলের -রং নীলাভ বলিয়াই এরূপ নাম হইয়াছে । নীলধারায় সান করা বিশেষ প্রশস্ত। নীলধারার তট- প্রদেশে ব্ুতর উদ্যান থাকায় স্থানটির সৌন্দধ্য বিশেষ চিত্তাকর্ষক | উদ্ভানসংশ্লিষ্ফী সোপাণাবলী জলে নামিয়াছে। ” প্রতি উদ্ভান মধ্যেই এক একটী দেব-মন্দির। হরিদ্বার হইতে কনখল এক ক্রোশ দূরবর্তী । হরিদ্বার অপেক্ষা যে কনখল প্রাচীন স্থান তদ্ধিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই, এস্থানের ঘরবাড়ী রাস্তাঘাট ইত্যাদি দৃষ্টে তাহা আরও যথার্থ বলিয়া অনুমিত হয়। মহাভারতেও কনখলের উল্লেখ আছে। এতদ্যতীত কালিদাসের মেঘদূতেও এস্থানের হ্থন্দর বর্ণনা রহিয়াছে । অতএব ইহার প্রাচীনত্ব প্রমাণ কর! বিশেষ কষ্ট সাধ্য নহে। কিম্বদক্তী হইতে জানিতে পারা যায় যে এস্থান প্রজ্জাপতি দক্ষের. রাজধানী ছিল । হরিছ্ারের অপেক্ষা কনখলের বাটা ইত্যাদি উৎকৃষ্ট । এখানে সমস্ত বাটাই প্রস্তরনিশ্ধিত, পাগারাও এস্থীনেই বাস করিয়া থাকে । সৌর-কিরণ-মণ্ডিত বৃক্ষলতা-সমাচ্ছন্ন নগাধিরাজের বক্ষস্থিত এস্থানটি অনির্ববচনীয় সৌন্দর্যে পরিশোভিত-_মনে হয় যেন চিরশাস্তি এখানেই বিরাজমানা । ্‌ এস্থাংন গঙ্গার অপর তটে চণ্ত্ী-পাহাড়ে একটা বির াছে উহাতে তী_ দখীপ্রতিডিতাজাছেন। মন্দের নিকট হইতে চুকে একখানি মনোহর আলেখ্যের অত প্রতীয়মান হয় । জনপ্রাবাদ এইরূপ যে পূর্বেব এম্থানে মহাদেকের একটা জিশুল ছিল-_পরে' ঝড়ে কোথায় পড়িয়া গিয়াছে তাহ! কেহ জানেনা, আমর কিন্তু ক্ষিভুই ০০ চশ্তী-পাহাড়। উরিভনঅসণ। দেখি নাই। আমাদের র পূর্বববিত বীজধানোর ঘাটে ছুণ্টা শিব বর্তমান আছেন-_তাহার একটীর নাম গৌরীশঙ্কর এবং অপরটির নাম বিলে কেশব । . -. : -. জারামেরীর মন্দিরের লমিকটে শিবা লরথতোপরিল একটী শিখরোপরি বিতোকেখর বা . বিল্বকেশ্বর দেব বিরাজিত আছেন । ইনি মায়াপুরী অর্থাৎ বিষকেন্বর। . হরিস্বারের ক্ষেত্রপাল দেবতা । রাজপথের কিছু দূরে বন- বেস্তিত ভূভাগে এই দেবতার মন্দিরটি বিরাজিত। মন্দিরের সন্নিকটে একটা বিস্ববুক্ষ দেখিতে পাইলাম, এই বুক্ষের সহিত শিবলিজ্ের নামানুকরণের কোনও সম্বন্ধ নাইত ? হরিদ্বারের প্রধান প্রধান দ্রষ্টব্য ও তীর্থস্থলগুলির বিবরণ প্রদত্ত হইল, এতঘ্বযতীত এখানে ভীমগদ। বা ভীমঘোড়া, ও দশাবতারের মন্দির দেখিবার আছে । ভীম গদা বা ঘোড়ার সম্বন্ধে পাণ্ডারা নানারূপ বলিয়া থাকেন, কেহ কেহ বলেন যে ভীমের অশ্ের ক্ষুরাঘাতে এই গহ্বর. বা কুণ্ড হইয়াছে__আবার কেহ এইরূপ বলেন যে ন্বর্গারোহুণ- কালে'ভীম এই স্থানে তাহার গদা নিক্ষেপ করিয়া যাওয়ায় এইরূপ হইয়াছে। সম্মুখে পতিত গদার আকৃতি এক প্রকাণ্ড প্রস্তরখগুকেই তাহারা ভীমের গদ্ষ। বলিয্মা. থাকে, উহার উপরে আঘাত করিলে এক প্রকার শব্দ হয় । ভীম স্বোড়। বা ভীম গদা নামক স্থানের পর্ববতগাত্রস্থ গহবরের ঠিক্‌ নিন্ম হইতে একটা স্ষুত্র উৎস নির্গত হইয়! নিকটবর্তী কুণ্ডে পতিত হয় এবং ষেধান হইতে একটা প্রণালী দ্বারা সেই সলিলরাশি গঙ্গার দহিত মিলিত হইতেছে, ইহাই পাগুারা গঙ্গা-নির্গমের স্থান বলিয়। ব্যাখ্যা করে । হরিদ্বার হইতে প্রায় বারক্রোশ দুরে পিহোড় নাথ নামক শিব আছেন, সেখানে যাওয়া বড়ই কষ্টকর ; পথ নিতান্ত দুর্গম । দশাবতারের মন্দির মধ্যে বিজুর ভিন্ন ভিন্ন দশ অবতারের প্রন্তর,বিনির্দিত মু্তি সমূহ স্থাপিত । মন্দিরটি জান্কবী- তীরে অবশ্থিত থাকায় বড়ই স্থন্দর দেখায় । খাষিকেশ যাত্রীরা এখান, হইতেই ষাইয়া' থাকে | উহা হরিদ্বার হইতে ১৪ মাইল উত্তর দিকে অবশ্থিত। সেখানেও যাত্রিগণকে ন্দানতর্পণাদি কার্য করিতে হয়|. খবিকেশ হইতে গ্গার-ভৃশ্ট দেখিতে 'রড়ই সথম্দর । কলকল রবে হিলি গঙ্গার পাহাড় হইতে ন্বতরণের দৃশ্য বড়ই মনোহর-। এ ।", এ নিন এ ১. 2 এক এখন আমরা পাঠকবর্গের নিকট হরিগ্বার সম্পর্কিত অগ্ঠান্ঠি বিষয় বিবৃত হযিতবারের নানা করিব। স্বাস্থ্য সম্বন্ধে হরিন্বার অত্যুত্তম স্থান । এখানকার নি গজার জল শীতল স্থম্বাতু ও জীর্ণকারী-_বতই আহার করন কেন, জলের গুণে দেখিতে দেখিতে তাহা জীর্ণ হইয়। যাইবে । কয়েক বৎসর হইল কনখল ও হরিদ্বার লইয়া মিউনিসিপালাটি গঠিত হইয়াছে, কিন্তু তাহা হইলে কি হুইবে উহা দ্বারা যে এস্থানের বিশেষ উন্নতি হইয়াছে তাহা মনে হয় না, কারণ রাস্তা ঘাট পূর্ববাপেক্ষা পরিচ্ছন্ন ও মল-মূত্রাদির দুর্গন্ধাদি বঞ্তিভত হইলেও তাহা আশানুরূপ নহে,--এরূপ তীর্থস্থলে যেখানে প্রতিবসর লক্ষ লক্ষ যাত্রী-সমাগম হয় তাহার বন্দোবস্ত যে খুব ভাল হওয়৷ দরকার তাহা বলাই বাহুল্য। বষার সময় হরিদ্বারের স্বাস্থ্য খারাপ হয়, তখন জয়ের প্রকোপে বড়ই বিব্রত করিয়া তোলে । পুর্বে মেলার সময় এস্থীনে ওলা- উঠার অত্যন্ত উপদ্রব হইত, কিন্তু গবর্ণমেপ্টের কুপাকটাক্ষপাতে তাহ! এখন বহুপরিমাণে হাস হইয়াছে । হরিদ্বারের নাম সম্বন্ধে নানাপ্রকার গোলযোগ পরিলক্ষিত হয়। হরিদ্বার নাম নিতান্ত আধুনিক বলিয়া সকলেই বলেন । কোনও কোনও প্রসিদ্ধ মুসলমান লেখকদের লেখাতে এন্থান কেবল পাজাঘ্বার' নামে উক্ত হইয়াছে । প্রাচীন পুরাণাদি গ্রন্থে ও মহাভারত প্রভৃতি প্রাচীন পুস্তকে কনখল, গঞ্গা্ধার এবং কপিলস্থান ব্যতীত অন্য কোনও নাম দৃষ্ট হয় না, অতএব “হরিদ্বার নাম বেশীদিনের প্রাচীন নয়-_-এরূপ অন্কুমান করা প্রত্বতন্ববিদগণের পক্ষে অসঙ্গত কিংবা অযৌক্তিক হয় নাই। ভীর্ঘ-যাত্রিগণ প্রায় সকলেই এস্থানে ত্রিরাত্রি বাস করিয়া থাকেন। কারণ শাস্ত্রে লিখিত আছে যে এই পবিত্র তীর্থে যে ব্যক্তি ত্রিরাত্রি বাস করিয়া পুণ্য সলিল জাহৃবীজলে অবগাহন করে, তাহার সর্বপ্রকার পাপ তাপ দূরীভূত হয় এবং সে ব্যক্তি অশ্বমেধ যজ্বের ফললাভ করতঃ পরলোকে গমন করিয়া অক্ষয় সর্গলাভ করে । মহাভারতকার লিখিয়াছেন__ | ততঃ কনখলে স্সাত্বা ত্রিরাত্রোপোধিতোনরং ৷ অশ্মমেধমবাপ্ধোতি শ্বর্গলোকঞ্চ বিন্দতি 1৮ এ এছেন পবিত্র তীর্থে আগমন করিবার জস্য যে ধর্্মীকাজ্ষী হিন্দু নরনারীগণ ব্যস্ত হইবেন তাহাতে আশ্চধ্য কিআছে ? | শ১ প্রকৃতির এমন নয়নানন্দদায়ক দৃশ্য অতি অল্প তীর্থ স্থলেই দৃষ্ট হয়। এখানকার গঙ্গাতীরবর্তী দৃশ্য পরম রমণীয়, প্রভাতের সেই স্সিশ্খ- শীতল নবীন সৌন্দর্য হইতে - সন্ধ্যার ধুসরান্ধকারে চতুদ্দিক আবৃত হওয়ার পূর্ব পধ্যস্ত দেখিতে পাইবে ভক্তিপুর্ণ চিত্তে হিন্দু নরনারীগণ ধর্্মকার্ধ্যে নিরত। সকলেরি মুখে এক স্বর্গীয় জ্যোতি বিরাজমান-__ কি যেন এক স্থুদুর্লভ রত্ব তাহারা পাইয়াছে, তাই তাহাদের মুখে ত্রিদিবের হাসি-_জগণ্ সংসার তাহার! চায় না, তাহারা চায় সেই বিশ্ব- ব্রঙ্মাণ্ডের রাজাধিরাজ মহা! সম্রাটের কৃপা । হরিছ্ার শান্তি শ্রীতি ও ভক্তির পুণ্যসলিলে অভিষিক্ত । এখানে আসিলে সুদূর প্রাচীন ইতিহাসের কথা মনে পড়ে; মনে পড়ে সেই ত্রিকালজ্ মহধ্িগণের পবিভ্রতম স্তোত্র পাঠ ও ধন্মনিরত ভাব। সন্ধ্যার সময় হরিদ্বারের শোভা অতুলনীয় ও .অনির্ববচনীয় হয়, তখন একদিকে গঙ্গাদেবীর আরতির মধুর ধ্বনি, সহস্র সহত্র ক৯-মিলিভ-স্তোব্ররবে, সাধুমগ্ডলীর. শঙ্খধ্বনিতে অপূর্ব প্রীতির ভাব জাগিয়া উঠে, অন্যদিকে আবার নির্ল-সলিলা কলুষ-নাশিনী কল-নিনাদিনী গঙ্জা-বক্ষে ও কি ফুটিয়া উঠিয়াছে ?-_এ কি স্বপ্নপুরী £--দেবাজনারা কি ভুলক্রমে মণি-রত্ব মাল! ফেলিয়া গিয়াছেন নাকি ?-_কেমন স্থন্দর অসংখ্য দীপাবলি গঙ্গাবক্ষে প্রতিভাত হইয়া উঠিয়াছে। আধষ্লানান্ধকারাবগুস্তিত প্রদোষান্তে গঙ্গার তটে দীড়াইয়া . তন্ময়চিত্তে এ শোভা দেখিতে- ছিলাম__পর্ববতে পর্বতে শঙ্খঘপ্টাধবনি নিনাদিত হইতেছে, আর ভক্ত- কণ্টোখিত স্তোত্রধ্বনি উদ্ধে_-জানিনা কোন্‌ অনন্তের অনস্ত-প্রাস্তোপবিষ্টের চরণসমীপে--গিয় পঁছুছিতেছে ! কবি. গাহিয়াছেন “কোন্‌ অদ্রি হিমান্ত্রি সমান ? সত্য সত্যই ঘখন নগাধিরাজের সৌর-কিরণ-মপ্ডিত শুভ্রতম ধবল- গিরির শিখরের দিকে দৃষ্টি পতিত হয়, তখন উহা! মনে পড়ে । আহা! কি শান্তি! অতি বড় পাপীার হৃদয়ও এখানে আসিলে ভক্তির পীযৃষ-ধারায় সিক্ত হয়। মনে হয় না যে আবার সংসারে ফিরিয়া আসি। হায়! বদি এই গ্িরিপদতলে হর-জট-বিহারিনী তরজ-অঙ্গিনী ভাগীরথীর পবিত্র তটে সেই চিত্ত ও অনির্ববচনীয় মহাপুরুষের রচানিজািনিগিরাার পারিতাম, না জানি তাহা কতই নখের হইত । হরিদ্বারে মাত্র দুইটা প্রধান রাস্তা--একটা ফ্টেসন হইতে আরম্ত হইয়া বরাবর সূর্ধ্যমল বাবুর ধর্ম্মশালার নিকট দিয়া উত্তরাভিমুখে চলিয়৷ গিয়াছে, অপরটা বাজারের মধ্য দিয় গিয়াছে, শেষোক্ত রাস্তাটা প্রস্তর দিয়া বাঁধান: এবং উহার উভয় পার্থে চারি পাঁচতালা বাটা সকল থাকায় উহার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাইয়াছে। সাধারণতঃ যাত্রিগণ এ সকল অট্রটালিকার দ্বিতলেই আশ্রয় গ্রহণ করেন। বাজারে সমুদয় দ্রব্যই পাওয়া যায়_ হুগ্ধ ও ঘৃতই সর্বাপেক্ষা স্থলভ ; মৎস্য মাংস এখানে বিক্রয় হয় না। আমাদের হরিদ্বার দেখা শেষ হইলে, -_-সেখান হইতে সাহারাণপুর রওয়ানা হইলাম । ৮1 এ রনি ॥ এ স 10511.1975 0৯] %২./ ..... স্নাহ্হান্বালীহ্দুল্ক ॥ . স্জনাহারাণপুর যুক্তপ্রদেশের একটী বিখ্যাত জেলা। মহম্মদ তোগলকের রাজত্ব সময়ে সাহারাণচিস্তির নামানুযায়ী ১৩১০ থ্রীটাকে ইহা নির্মিত হইয়াছে । মৌগলশাসন সময়ে মোগলসম্রাটগণ এ স্থানে গ্রীম্মের সময় বাঁস করিতেন-_ইহা! তাহাদের প্রিয়তম গ্রীত্মাবাস ছিল। আমর! এ স্থানে পঁহুছিয়। প্রথমে বাজার দেখিতে চলিলাম, বাজারে নানা- প্রকার দ্রব্যা্দির মধ্যে এখানকার ফুলকাটা! বাক্স দেখিতে অত্যন্ত মনোহর__ এই বাকের জন্য সাহারাণপুরের বিশেষ প্রসিদ্ধি আছে । পশ্চিমের অন্যান্য নগরের সহিত ইহার বিশেষ কোনও পার্থক্য অনুভব করিলাম না। এ স্থানের প্রাচীন স্থাপত্যচিহ্কের মধ্যে “বাদসামহল' নামক প্রাসাদটি বিশেষ- রূপে উল্লেখযোগ্য, ইহা সম্রাট সাজাহানের গ্রীত্মাবাসের জন্য আলীমর্দন খা নির্মাণ করাইয়াছিলেন। এখানকার গবর্ণমেণ্ট বোটানিকেল গার্ডেনের জন্যই ইহা! প্রসিদ্ধ, এই উগ্ভানমধ্যে নানাশ্রেণীর দু্প্রাপ্য গাছ-গাছড়া যত্বের সহিত সংগৃহীত আছে -এতদ্যতীত কৃষিবাগান, ভৈষজ্যবাগান, দোয়াব ক্যানাল নার্শারি প্রভৃতির জন্যও এই স্থান বিখ্যাত। স্থানীয় নার্শারিতে চার! প্রস্তুত, বীজরক্ষার প্রণালী ও বাগান প্রস্তৃত নিয়মাদি শিক্ষা দেওয়া হয়। এ নগরের লোক সংখ্যা (৬৭,০০০) সাহারাণপুর জেলা বিশেষ উন্বর-_সেণ্ট'ল কেনালের জন্য এই স্থানের বিশেষ স্থৃবিধা হইয়াছে। এখান হইতে আমরা পাঞ্জাবের দিকে অগ্রসর হুইলাম--বাংলার শশ্যশ্যামলা নয়নাভিরাম মুর্তি আর এখন আমাদের নয়নপথে পতিত হয় না। একদিন এই পবিত্র পঞ্চনদবিধোত স্থান ভারতের গৌরব স্থান ছিল-_যতই আমাদের গাড়ী সেই দিকে অগ্রসর হইতে লাগিল, ততই নানা কথা মনে পড়িল। এই কি সেই রণজিসিংহের পাঞ্জাব ? একদিন যাহার বীর- হুঙ্কারে পঞ্চনদ কম্পিত হইত, ষাহার স্থশাসনপ্রভাবে পাঞ্জাববাসী একতার স্থমহান্‌ মজল-মন্ত্ে দীক্ষিত হইয়া ভারতের অতুল্য গৌরব রক্ষা করিতে সমর্থ হইয়াছিল- একদিন যে দেশের লোক শির দিয়াও শের রক্ষা করিয়াছিল-__ সাহারাণপুর । এই সেই বীরত্বের লীলাভূমি স্বাধীনতার মহাতীর্৭থ বীরেন্দ্র শিখবুন্দের সাধের জন্মভূমি । এখনও জ্ঞানী নানকের মহান উপদেশবাণী হিন্দুমুসলমাঁন সকলকে একত্র করিতেছে_-এখনও যেন শুনিতেছি দি্াগুল কম্পিত করিয়া স্বাধীন বীরেন্দ্বৃন্দ স্বদেশপ্রেমিক শিখগণ বলিতেছেন, “ওয়া গুরুজীকি ফতে।” | দ৫ ভন্ভজাভল। 7 শাম্বালা হইতেই আমাদের পঞ্তাবভ্রমণ আরন্ত হইল। অস্বালা পঞ্জাব প্রদেশের একটা বিখ্যাত স্থান। ইহার নামোৎপত্তি সম্বন্ধে দুইরূপ মত শুনিতে পাওয়া যায়। কাহারও কাহারও মতে চতুর্দশ শতাব্দীতে অন্ব' নামক জনৈক রাজপুক্র কর্তৃক এই নগর নির্মিত হইয়াছে বলিয়া ইহার নাম অন্বালা হইয়াছে । দ্বিতীয় মত এই যে, এস্থানে “অম্বা” নান্সী একটী দেবী প্রতিষ্ঠিত আছেন; সেই দেবীর নাম হইতেই ইহার নাম অন্বাল৷ হয়। পাঠকগণের যাহা অভিরুচি তাহাই সত্য বলিয়া গ্রহণ করিতে পারেন । _. অন্থাল! পূর্বে পাতিয়ালার মহারাজার পি ছিল, তিনি প্রায়োজনানু- রোধে ইহা ইংরেজ গবর্ণমেন্টকে দান করিয়াছেন। এই নগর দুইভাগে বিভক্ত (১) কেণ্টনমেন্ট (২) সিটি । পশ্চিমের প্রায় প্রত্যেক নগরই এইরূপ দুইভাগে বিভক্ত । সৈনিকাবাস বা ছাউনীই কেণ্টনমেপ্ট নামে অভিহিত, আর রাজকীয় বিচার-বিভাগ, আফিস আদালতাদি যেস্থানে অবস্থিত, তাহাই সিটি ৰা নগরাংশ নামে পরিচিত, আমাদের নিকট সহর অপেক্ষা ছাউনী-বিভাগই ভাল লাগিয়াঁছিল, উহা নগরাপেক্ষা প্রশস্ত ও পরিষ্কৃ। ছাউনী-বিভাগেও বাজার আছে এবং আবশ্যকীয় সমুদয় দ্রব্য-সামগ্রীই সেখান হইতে সংগ্রহ কর! যায়। হিন্দুর অন্যতম প্রধান তীর্থ কুরুক্ষেত্রে এবং ইংরেজের প্রিয় শৈল বড়লাটের গ্রীম্বাবাসেও এখান হইতে যাওয়া! যায়। ভারত-ইতিহাসে অন্বালা! একটা প্রসিদ্ধ স্থান। কুরুক্ষেত্র অন্বালার ২৯ মাইল দক্ষিণে এবং শিমলা ৯৪ মাইল উত্তরে অবশ্থিত। আমরা যখন অন্বালা গিয়াছিলাম, তখন কুরুক্ষেত্র কিন্বা শিম্ল! যাওয়ার পথে কাল্কা পর্যন্ত রেলওয়ে হয় নাই, এখন আর কুরুক্ষেত্র কিন্বা শিম্লা যাইতে কোনও কষ্ট নাই। | - অম্বালার একদিকে পুণ্য-সলিল! বৈদিক নদী সরস্বতী এবং অপরদিকে | ন্‌ বতী প্রবাহিতা। এখান হইতেই হিন্দুধর্দের প্রথম স্ফুরণ হয়, ও 41215 ১21০2৯৭১ 1৫. 51৩ । 105 এছ এখানেই একদিন আধ্যগণের বেদ-ধ্বনি গগন-মগুল প্রতিধ্বনিত করিয়া- ছিল-__এই পঞ্চনদই হিন্দুর অতীত-গৌরব-কাহিনী-ভূষিত পুণ্যতম প্রদেশ । সরস্বতীর পবিত্রসলিলে অবগাহন করিবার জন্য প্রতিবসর এস্থানে নি বনুযাত্রী-সমাগম হয়। পূর্বে এই নগর সর্দার গুরুবক্ষের | রে পত্তী দয়াকুরের অধিকারে ছিল, পরে মহারাজ রণজিৎ সিংহ উহা! অধিকার করিয়া লন। কিন্তু অক্টীর্লনি সাহেব কুপা করিয়া ইহা গুরুবকের পতী দয়াকুরকে প্রত্যর্পণ করেন। ১৮২৩ শ্রীষ্টাবে দয়াকুরের মৃত্যু হওয়ায় অম্বাল! নগরী ইংরেজের অধিকারে আসিয়াছে । এখানকার সৈনিকাবাসের অনতিদূরে একখানা কালীবাড়ী আছে। শুনা যায় যে ইহা রামকুক্চ ব্রহ্মচারী নামক জনৈকণ্বাঙ্গালী মহাপুরুষের কীর্তি। ইনি বিষয়-স্থখে জলাঞ্লি দিয়া বৈরাগ্য-ব্রত গ্রহণ করতঃ উত্তর-পশ্চিমে আসিয়া এলাহাবাদ, আগ্রা, দিল্লী, অস্বালা, রাউল- পিন্ী, মুলতান, লাহোর, পেশোয়ার প্রভৃতি স্থানে একএকটী কালী-মন্দির নিশ্মীণ করিয়া গিয়াছেন, এসকল কালী-মন্দিরের জন্য পধ্যটকদিগের বিদেশভ্রমণের কষ্ট যে কত পরিমাণে লাঘব হইয়াছে, তাহা ভ্রমণকারী ব্যক্তি মাত্রেই বিশেষরূপে জ্ঞাত আছেন। অন্বালার কালীবাড়ীর বন্দো- বস্ত অত্যন্ত উৎকৃষ্ট । আমরা এখানকার কালীবাড়ীতেই আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলাম। তৎকালীন কালীর সেবায়ত পাতিয়ালার ভূতপুর্বব রাজপগ্ডিত চাণক নিবাসী পণ্ডিত শ্রীযুক্ত কালীপ্রসন্ন শিরোমণি মহাশয়ের সদ্যবহারে নিতান্ত প্রীত হইয়াছিলাম। এই মহাত্া সংসারাশ্রম ত্যাগ করিয়া জগ- ন্নাতার শ্রীচরণ সেবাতেই অবশিষ্ট জীবন কাঁটাইয়া দিবেন বলিয়া ঠিক্‌ করিয়াছেন। ইনি জ্ঞানী ও শান্তজ্ঞ ; প্রবাসী -বাঙ্গালী ভ্রমণকারীর পক্ষে ইহার সহায়তা বিশেষ ্রীতিপ্রদ । মাসিক চাদা এবং যাতায়াতকারী বাঙ্গালী ভদ্র মহোদয়গণের প্রদত্ত দর্শনী হইতেই কালীবাড়ীর ব্যয়াদি নির্ববাহিত হইয় থাকে। এতদ্্যতীত হুর্গোৎসব, জগদ্ধাত্রী ও সরস্বতী পুজা প্রভৃতি পর্ববগুলি এখানে বিশেষ জীকজমকের সহিত সম্পাদিত হয়। আমর! জগন্ধাত্রী পুজার সময় এস্থানে উপস্থিত ছিলাম, জগম্মাতার পুজা দিয়া আপনাকে কৃতার্থ বোধ করিলাম। স্থানীয় সমুদয় বাঙ্গালী ভদ্র-লোকদের নিমন্ত্রণ করা হইয়াছিল, চে তাহারা প্রায় আশী জন সন্ধ্যার অব্যবহিত পরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন, সেদিন স্বৃদুর প্রবাসে স্বজাতি-সঙগমে যে অপুর্ব আনন্দ উপভোগ করিয়াছিলাম, তাহা চির-জীবন মনে থাকিবে । বিশুদ্ধ আমোদ প্রমোদে গীত-বাছ্ভের মধুর ধ্বনিতে বাঙ্গালীর কে যখন বালা গান বস্কৃত হইয়া উঠিয়াছিল, তখন এক- বারও মনে হয় নাই ঘষে মাতৃ-ভূমির শ্যামলাঞ্চল ছায়া হইতে স্থদুর পাঞ্জাবের প্রান্তে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছি। বিদেশে এতগুলি বাঙ্গালী ভদ্রলোকের সমাবেশ বড়ই চমণ্ডকার দৃশ্য হইয়াছিল--প্রবাসে বাঙ্গালী ভত্র লোকদের সৌজন্যে বাঙ্গালী ভদ্রলোক মাত্রেই আপনাদিগকে গৌরবান্ধিত বোধ করেন। অন্বালা সহরের চতুদ্দিক প্রাচীরবেষ্টিত। ইহার জনসংখ্যা প্রায় ২৬,০০০ হইবে। সেনানিবাসের জন্যই এই নগরের খ্যাতি বেশী। সহরের রাস্তাঘাট ধুলিধুসরিত ও অপরিচ্ছন্ন। এ স্থানের জলবায়ু শীতের সময় অস্ত্যতকুষ্ট--কিন্ত্ব গ্রীষ্মের সময় সন্তোষজনক নহে। বাংলা দেশের মত এখানে উতরুষ্ট মিঠাই পাওয়া যায় না। খাঁটি দুগ্ধ টাকায় বারো সের করিয়। বিক্রয় হয়। সচরাচর মৎশ্য ছুই আনা তিন আন! সের দরে বিক্রী হইয়া থাকে । কাঁটালের বৃক্ষ একেবারেই নাই, রাস্তায় মাঝে মাঝে দুই চারিটী আম বৃক্ষ দেখিতে পাওয়া যায়। পান জিনিষটা! অন্বালায় অত্যন্ত মহার্ঘ, পয়সায় দুই তিনটার অধিক বিক্রী হয় না। চিনিকে, বালি বলিলেও অত্যুক্তি হয় না; এ দেশের স্ত্রীলোকের! নিতান্ত অপরিচ্ছন্নাবস্থায় থাকে । অন্বাল৷ প্রদেশের অন্তর্গত কোর্ট্রীহী নামক স্থানের জঙ্জলাভ্যন্তরে ছুইটী হ্রদ দ্রষ্টব্য, এ হ্রদের জল কখনও শুকাইয় যায় না। সহর হইতে ১৭ ক্রোশ দূরবর্তী শ্রীমূর বা নহনরাজ্যে বাণ রাজার জলল দৃষ্ট হয়। এ প্রদেশে তা, লৌহ, সীসা, লবণ প্রভৃতি খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। অন্থালা হইতে নয় ক্রোশ দুরে “রাজপুরা” নামক একটু৯৮ রেল ফ্টেসন আছে, সেখান হইতে অপর একটা রেল-বর্ত্য বেটিগু নামক স্থান পর্য্যন্ত গিয়াছে-_রাজপুর হইতে বেটিগু! ১০৮ মাইল দুরে অবস্থিত। এই পথেই পাতিয়ালার রাজধানী নাভায় যাইতে হয়--আমরা এই পথাবলম্বনে পাতিয়ালার রাজধানীতে আসিয়া! পঁতছিলাম । | রণ নানাকথ।। ৃ ণ৮ গাাতিল্সালা-ক্লাজপ্ানী ! নাভা। ্‌ 'ভ্মপরিচিত ব্যক্তির পক্ষে পাতিয়ালা-রাজধানীতে বাসস্থান ঠিক করা বিশেষ সহজ নহে অতএব যাওয়ার পূর্নেনই সেখানে থাকিবার বন্দোনস্ত ঠিক কর! উচিত। আমর! এ সকল বিশৃঙ্ছলতার কথা পূর্নবেই জ্ঞাত হইয়া দুই খানা অনুরোধপত্রসহ রাজধানীতে উপনীত হইয়াছিলাম ; একখানি মহারাজার সেক্রেটারী শ্রীযুক্ত আবদুল গফুর সাহেবের নিকট এবং অপর খানা সেখানকার কলেজের জনৈক অধ্যাপক শ্রীযুক্ত মন্মথনাথ বন্দ্যো- পাধ্যায়ের সমীপে, শেষোক্ত বাঙ্গালী ভদ্রমহোদয়ের কৃপায় আমরা বাস- স্থানের নিমিত একখান! অতি স্থন্দর বাটা প্রাপ্ত হইয়াছিলাম। ভ্রমণকারি- গণের পক্ষে এইরূপ ন্ুবৃহ ও স্থন্দর সৌধ পাওয়া বিশেষ সৌভাগ্যের বিষয় বলিতে হইবে । মন্মথবাবু হবীফধন্্মাবলম্বী, কাজেই তাহার আন্তরিক আগ্রহ ও অনুরোধসন্তেও তীহার বাটাতে থাকিতে না পারায় বিশেষ রেশানুভব করিয়াছিলাম । আহার ও বিশ্রামাদির পরে-নগর দেখিতে বাহির হইলাম ; প্রথমতঃ রাজভবন দেখিতে যাওয়া গেল। রা'জভবন একটা স্থুরক্ষিত ভুর্গ বিশেষ। দ্বারপাঁলগণ উলঙ্গ কৃপাণহস্তে ২ ভবনের প্রহরাকার্য্যে নিয়োজিত আছে; মহারাজার বিশেষ অনুমতি ব্যতিরেকে রাজভবনে কাহারো প্রবেশীধিকার নাই। রাজভবনমধ্যেই রাজকীয় দণ্তরখান৷ এবং বিবিধ মূল্যবান পদার্থ প্রভৃতি সংগৃহীত আছে। এই সৌধমালার চতুদ্দিকেই বাজার; পৃৃত্য়িলার লোকসংখ্যা খুব বেশী। হাটে ঘাটে মাঠে যেখানে যাইবে সেখানেই লোকারণ্য, রাজধানীর সর্ববস্থান সর্বদাই জন-কোলাহল- মুখরিত। আশ্চর্যের বিষয় এই যে অসংখ্য জন-মণ্ডলীর মধ্য দিয়! রাজকীয় অশ্বারোহিগণ অনায়াসে - যাতায়াত করিতেছে । এনগররের পথসমূহ অধিকাংশই প্রশস্ত এবং ধুলিময়-_পার্ষের ডেণ হইতে দুর্গন্ধ আসিয়া ভারত-ত্রদণ। পথিকের বিরক্তি উৎপাদন করে। ইহার মধ্যে আবার বাজারের প্রায় প্রতি গলিতেই বারাঙ্গনাগণের সংখ্যাধিক্য বড়ই বিরক্তিজনক | নগরের মধ্যে কেবল পাঁচটী রাস্তা সথপ্রশত্ত ও স্থন্দর ; বক্রী রাস্তাথাটের অবস্থা দৃষ্টে এখানকার মিউনিসিপালিটীর তাদৃশ স্থবিধাজনক স্থৃব্যবস্থা নাই রিং মনে হয়। রাজধানীতে নিন্সলিখিত স্থানসমূহ দ্রষ্টব্য । নৃতন দেওয়ানখানা-_-এই গৃহটী একতল হইলেও যে ইহা একখানি স্থরম্য হন্্্য তদ্ধিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই । কলিকাতার অস্লার কোম্পানীর নিকট হইতে আনীত লোহিত ও শ্বেতবর্ণের বিবিধ মুল্যবান ঝাড়, চারিটা কাচের ফোয়ারা, নানাপ্রকার ছবি এবং অন্যান্য বনুবিধ মনোহর সামগ্রীতে দেওয়ানখান! বিভূষিত হুইয়! রহিয়াছে_-একবার এস্থানে প্রবেশ করিলে সহজে বাহিরে আসিতে ইচ্ছা হয় না। পুরাতন দেওয়ানখানা-_এই অট্রালিকাও বিবিধ সাজসজ্ভায় বিভূষিত, কিন্তু নৃতনের কাছে পুরাতনের আদর আর কিরূপে থাকিতে পারে? সুন্দর হইলেও ইহা মনোজ্ঞ নহে। | সর্দদা মহাল-_এইটী একটা দ্বিতল অট্টালিকা ; ইহার একাংশ মৃত্তিকা উপরে, অপরাংশ মুন্তিকাত্যন্তরে অবস্থিত। উদ্ধতল নানাপ্রকারের মনোহঞ দ্রব্য-সম্তারে সুচারুরূপে স্সজ্ভিত। নিন্সতলে পাঁচটা সোপান অতিক্রম করিয়া ষাইতে হয়। সেখানকার একটী কক্ষ অবস্থানোপযোগী, উহাতে একটা বৃহ কূপ আছে। নিদাঘকালীন প্রথর আতিপতাপের সময় মহারাজ বাহাদুর নিন্দতলে গিয়া বিশ্রীম.করেন। শীতের নাম সর্দদা; তাই ইছার নাম হইয়াছে সারদা মহাল। _মতিবাগ- -রাজভবন হইতে প্রায় দেড় মাইল দূরে এই মনোহর বিস্তৃত উদ্ভান অবস্থিত। এখানে নানাবিধ বৃক্ষশ্রোণীর ঘন-বিদ্যস্ত সবুজ-নুন্দর পত্রীবলীর সৌন্দর্য বিশেষ চিত্তাকর্ষক ; বৃক্ষের মধ্যে আবার আম, কমলা ও গড বঠা উপ দেখিতে বেশ সুন্দর ও হুশৌভিত। আমরা পঞ্জাবের কোথাও আর এত বড ক ও রোবর দেখিতে পাই নাই । ১. কালেজভবন_ ইহ একটা লোহিত রি বদি: একত্তল জ লিক, উপরে দুইটা স্তস্ত (1০৪) আছে, দুর হইতে এই ছুইটা অতি ুজেই ভ্রমণকারীর চিত্তাকর্ষণ করিয়া থাকে। পাতিয়ালায় বাঙ্গালী নাই বলিলে হয়, রাজধানীতে কালেজের অধ্যক্ষ শ্রীযুক্ত অতুলকৃষ্ণ ঘোষ এবং আমাদে পরিচিত অধ্যাপক শ্রীযুক্ত মন্মথনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যতীত আর দ্বিতীয় বাঙ্গালী দেখি নাই। আমরা কোনও বিশস্তসূত্রে জ্ঞাত হইলাম যে পূর্ব মহারাজের রাজত্বকালে জনৈক বাঙ্গালী বাবু স্বীয় বুদ্ধি ও প্রতিভানুণে মহারাজের প্রিয় পাত্র হইয়া কোনও উচ্চ পদ লাভ করেন, কিন্তু পরিশেষে স্থানীয় ঈধ্যান্থিত পাঞ্জাবী কম্মচারিগণের ছলনায় পড়িয়া তীহাকে কর্চ্যুত হইতে হয়। যদ্দি ইহা সত্য হয় তবে বীরপ্রকৃতি পঞ্জাববাসিগণের পক্ষে কলঙ্কের বিষয় বলিতে হইবে। বর্তমান পাতিয়ালার মহারাজা বিশেষ স্থশিক্ষিত ব্যক্তি । মৃগয়! এবং ঘোড়দৌড়ে ইহার অত্যন্ত সখ, মধ্যে মধ্যে প্রায়ই শিকারে যান। শিকারের নিমিত্ত তীহার কয়েকটা শিক্ষিত হস্তী এবং ঘোড়দৌড়ের জন্য শতাধিক সুশিক্ষিত অশ্ব আছে । অন্বালার ঘোড়- দৌড়ে তিনি নিজে অনেক বাজী জিতিয়াছেন। মহারাজা পলো? খেলাতে বিশেষ প্রসিদ্ধ ছিলেন। এ 8 ৯7 মহারাজা ইংরেজী ফ্যাসানটা বিশেষ ভালবাসেন__ ক্রিকেট খেলায়: ইনি একজন সুদক্ষ খেলোয়াড় । তিনি দেখিতে কশকায়, রী, চোখ মুখ জ্ঞান ও মহত্বব্যঞ্জক | রি রাজধানীর অপরিচ্ছন্নতানিবন্ধন এ নগর আমাদের নিকট তাদৃশ আরাম- দায়ক বোধ হইতেছিল না, জল বায়ুও যে খুব উৎকৃষ্ট তাহাও বোঁধ, হয় নাই। খাগ্-দ্রব্যাদি সমুদয়ই পাওয়া যায় বটে কিন্তু তাহা তাদৃশ স্থল কিংবা পরিষ্কত নহে। এস্থানে অনেকেই বাড়ীর ছাদের উপরে মল-যুত্র ত্যাগ করে, শুনিলাম পাঞ্জাবের সর্বত্রই নাকি এইরূপ রীতি: প্রচলিত আছে। এ সম্মন্ধে বলিবার কিছুই নাই, কারণ “সম দেশে যদাচার ০ ভভলহ্ন্ £ অসীমরা পাতিয়ালা রাজধানী হইতে কয়েকটি ফেটেসন এবং শতত্র (94৩8) নদীর প্রসিদ্ধ বৃহ সেতু অতিক্রম করতঃ কিছু পরেই জলন্ধর ফ্্সনে উপনীত হইলাম। জলম্কর নগরই "এই জেলার প্রধান সহর। 'পদ্পপুরাণ' পাঁঠে অবগত হওয়া যায় যে জলেন্দ্র নামক জনৈক দৈত্য কর্তৃক এই নগর স্থাপিত হইয়াছে। আমরা এখানে পঁহুছিয়াই শুনিতে পাইলাম যে জলন্ধরে কোনও বাঙ্গালী নাই সে নিমিত্ত কোনও বঙ্গদেশবাসী পর্যটকের পক্ষে এখানে থাকার বিশেষ অস্থবিধা। আমর! কিন্ত্র এইরূপ জনরবেও সাহসহীন না হইয়া একখান! অশ্মশকটে নবপ্রতিষ্ঠিত কালীবাড়ী অভিমুখে গমন করিলাম । সেখানে পৌঁছিতে না পৌছিতেই একটা বাঙ্গালী ভদ্রলোক আমাদিগকে দেখিতে পাইয়া সসন্ত্রমে তাহার বাসম্থানে লইয়া গেলেন। ই“হার নাম শ্রীযুক্ত গণেশচন্দ্র গাঙ্গুলি, নিবাস কলিকাতার নিকটবর্তী সৈদপুরের পাশে। ইনি গোরাহাসপাতালের জিনিষরক্ষক । বিক্রমপুরের প্রসিদ্ধ বেঘের গান্গুলি বলিয়া বংশমর্য্যাদায় ইহারা সুপরিচিত । অল্প সময়ের মধ্যেই এস্থানে আরও ছুইটা বিশিষ্ট বাঙ্গালী ভদ্রমহোদয়ের সহিত আমাদের আলাপ পরিচয়াদি হইল। আমর! প্রথমে জলন্ধর ফ্টেসনে পঁুছিয়া যেরূপ নিরাশা-সাগরে ভামিয়া- ছিলাম, তত্রপ পরমদয়াল জগদীশরের ইচ্ছায় এখন আমাদের সর্বববিষয়েই স্থবন্দোবস্ত হইল। জলন্ধরের প্রায় ১৬ মাইল অন্তরে প্রসিদ্ধ কর্ূরতলার রাজধানী । জলন্ধরের নগরাংশ অপেক্ষা ছাউনীর (সৈন্াবাস) বিভাগ পরিদ্কুত ও বিস্তৃত। রাস্তাগুলি সোজা, বাজারটা ক্ষুদ্র হইলেও অতি পরিপাটী। বাঙ্গালীর আহাধ্য মতস্ঠ, মাংস এবং ছুগ্ধ এ স্থানে প্রচুর পরিমাণে পাওয়! যায়। এখানে একটা আশ্চর্য নিয়ম প্রচলিত দেখিলাম, গো-স্বামিগণ প্রত্যহ দুই বেলা বংসও গাভীসহ বাজারে উপস্থিত থাকে, রা দ্ধের প্রয়োজন হইলে অমনি তাহা দোহন করিয়! দেয়। 188 টান, বিজ আত হলনা . টাকায় বারো৷ সের দরে বেশ খাঁটি ছুগ্ধ পাওয়া যায়। দুগ্ধবতী গাতীও, খুব সস্তা, এগার সের দুগ্ধ দেয় এইরূপ একটী গাভী ৪৫২. টন হিল হইতে দেখিয়াছি। রর জলম্ধরের জলবায়ুর সিন নিমিত্ত এখানে অনেক ইংরেজ বাস করিয়া থাকেন। সাহেবদের বাসের স্থানটি দেখিতে বেশ সুন্দর । প্রত্যেক বাংলো ও আফিসের সংলগ্ন এক একটা স্থন্দর উদ্ভান আছে। স্বিখ্যাত বিজয়ী বীর আলেকজাগারের ভারত আক্রমণের পূর্বে ইহা রাজপুতদিগের রাজধানী ছিল। প্রাচীন ইতিহাসে জলন্ধরের নাম -গৌরবের সহিত লিখিত থাকিলেও এ স্থানে দুইটা প্রাচীন পুক্ধরিণী ব্যতীত অন্য কোনও প্রাচীন চিহ্ন কিংবা ভগ্র প্রাসাদ ও মন্দিরাদি দুষ্ট হয় না। জলন্ধরের প্রান্কৃতিক দৃশ্য পরম রমণীয়। নগাধিরাজের চরণতলে শ্যামল বৃক্ষলতা- সমাচ্ছন্ন এই শাস্ত-শীতল প্রাদেশ সত্য সত্যই স্বাস্থ্য ও স্থখপ্রদ | নীরবতার সঙ্গে সঙ্গে কমনীয়তা, কোলাহলের সঙ্গে সঙ্গে স্তব্ধতা__-এখানে পুর্ণ মাত্রায় উপভোগ্য । জলন্ধর হইতে প্রায় চল্লিশ ক্রোশ উত্তরে স্থুবিধ্যাত গার তীর্থ অবস্থিত, পাস্তাবীরা সরি ও ররর তর এর ভু্কাাম্তঞ্তী । তুসলন্ধর হইতে আমরা স্কালামুখীর দিকে গমন করিলাম । জ্বালামুখী হিন্দুদের মহাতীর্থ। এরূপ ছুরারোহ ও দুর্গম পথ ভারতবর্ষের অতি অল্ল তীর্থ স্থলে যাইতেই অতিক্রম করিতে হয়, ইহা সকল তীর্ঘযাত্রীর পক্ষে স্থগম নহে। একান্ন মহাপীঠের অন্যতম পীঠ বলিয়াই ইহার ৰিশেষ খ্যাতি। এ স্থানে সতীর রসন! বিচ্ছিন্ন হইয়। পতিত হইয়াছিল। ক্রমান্বয়ে তিনটা উচ্চ পর্ববতের চড়াই ও উত্তরাই শেষ করিয়া তবে জ্বালাজীতে পঁভৃছিতে পারা যায়। এক, ঘোড়া এবং ডুলিতে ভ্রালামুধী যাইতে হয়।' আমরা জলন্ধর হইতে এক্াতে ভুসিয়ারপুর পর্যন্ত আসিয়া সেখান হইতে পুনরায় এক্াযোগেই গমন করিয়াছিলাম। জলম্ধর হইতে হুসিয়ারপুর জেলা ২৪1২৫ মাইল দূরে অবস্থিত। হুসিয়ারপুর পর্যন্ত রাস্তা বেশ সমতল ও প্রশস্ত। ইহার পর হইতেই পার্বত্য পথ। কেহ কেহ গরুর গাড়ী, ডুলি, কিংবা টাটুতে চড়িয়াও ভ্বালাজী গিয়া থাকেন। | হুসিয়ারপুরের ৩৪ মাইল পর হইতেই পার্বত্য পথ আরম্ভ হইল-_ রাস্তাগুলি এত সংকীর্ণ ও বন্ধুর যে পদে পদে বিপদাশস্কা করিতে হয়, যদি একবার কোনওরূপে পদশ্থলিত হয়, তবে সহত্স সহত্র ফিট নীচে কোন্‌ দুর গর্ভে ষে পতিত হইতে হইবে সে কল্পনা করিতেও শরীর শিহরিয়া উঠে? হুসিয়ারপুর হইতে ভ্বালামুখী প্রায় ৩০৩১ ক্রোশ দূর হইবে; ছ্বালামুখী জলম্ধরের উত্তর পূর্ব দিকে অবস্থিত । | _. ধন্মার্থী যাত্রিগণ বিশেষ সতর্কতার সহিত আড্ডায়, আড্ডায় বিশ্রাম করিয়া প্রায় তিন দিবসে তথায় উপনীত হ'ন। ছুই দিবস নানাপ্রকার বিপদাপদের মধ্য দিয়া---বনজঙ্গল বেঠিত শিলাকীর্ণ পার্ববত্যভূমির তরজায়িত ভীষণ সৌন্দরধ্য অতিক্রম করতঃ-_যখন চিন্তাপূর্ণী পাহাড়ে আদিয়। পঁহুছিলাম, তখন মনে হইল যে অদৃষ্টে ভ্ভালাজী দর্শন আছে; কারণ এধান হইতে ভবালামুখী মাত্র এক দ্বিপ্রহরের পথ। যিনি এ পথে কোন দিন জ্বালাজী শন করিতে আসিয়াছেন, ভিনই জানেন যে কি দার কেশ সহা করিলে ৮৪. 2৯ খালাী। ঙবে এই তীর্থস্থলে পছছিতে পারা যায়। দুঃখের পরে নখ এবং সুখের পর ছুঃখ ইহা স্বাভাবিক । আমরাও কি এই ভীষণ পার্বত্য পণে কোনও শাস্তিই পাই নাই ? ভীষণত্বের মধ্যে কি শান্ত-শীতল মধুর সৌন্দর্য্যের পর্ণ অভিব্যক্তি জাগিয়া উঠে নাই ? মনে পড়ে, প্রথর আতপ-তপ্ত দেহে একার ভীষণ ঝাঁকুনি সহিতে সহিতে যখন আড্ডায় বিশ্রাম করিতে বসিয়াছি__ তখনকার সে শান্তি, হে কল্লনাকুশল পাঠক ! তুমি হৃদয়ঙ্জম করিতে পারিবে না? সেই কঠিনদেহ পর্বত অঙ্গে শিলার উপরে বসিয়া! মনে হইয়াছে কি শান্তি! ধীরে অতি ধারে বন্য কুন্বমসৌরভ চুরি করিয়া বাতাস আমাদিগকে উপহার দিয়াছে--_মধুরকণ বন্য-বিহঙ্গগণ সঙ্গীত বিলাইয়াছে । আর উপল-ত্বরিত-চরণা স্বাছুনীরা সৌম্য নির্বরিণী স্থন্দরী তাহার মধুর হৃদয়ের অনাবিলক্গিগ্ধ প্রেম-সপ্জীবনী আক ভরিয়া পান করাইয়াছে। সেই অনন্তবিস্তৃত নীলাম্বরতলে চারিদিকের গ্রীতিবেষ্টনির মধ্যে যে অনির্দদচনীয় স্থখ ও শান্তি পাইয়াছি _-কই গৃহ-পিপ্ররে ত, তাহা পাই নাই।, সত্য সত্যই মুক্তি এক অপুর্ব আনন্দ,_-সে আনন্দ গৃহবদ্ধ জীবের পক্ষে ুছূর্পভ রত্ব। চিন্তাপূর্ণী হইতে প্রত্যুষে রওয়ানা হইয়৷ সন্ধ্যার প্রাকালে আসিয়৷ ভ্বালামুখীতে পঁছুছিলাম। আহা । কি আনন্দ- এতদিনে মনোবাসন। পূর্ণ হইল। এখানে একটা কথা বলা আবশ্যক । আমরা যে পথে জ্বালাজী আসিয়া- ছিলাম, সে পথ ছাড়া অন্য একটা পথেও ভ্ালামুখী আসিতে পারা যাঁর, উহ1 পাঠান কোট ফ্টেশন হইতে আরম্ত হইয়াছে । অম্বতসর যাইয়! সেখান হইতে পাঠান কোট ব্রাঞ্চ লাইনে গিয়া পাঠান কোট ফেঁশনে নামিতে হয়। পাঠান কোট হইতে কাঙ্গরা হইয়া দ্বালামুখী। পাঠান কোট হইতে কারা দক্ষিণ ও পুর্ব দিকে এবং কাঙ্গরা জিরিরাো নর অবস্থিত। পূব রাস্তা হইতে এ রাস্তাটি অনেকটা স্থগম। | জ্বালাজীর স্বর্ণমগ্ডিত মন্দিরটী দেখিতে পাইয়! প্রাণ জুড়াইল। (ষে ধন- ৰ কুবের পাঞ্জীবকেশরী রণজিৎ সিংহ ৬কাশীধামের বিশ্বেশ্বর দেবের মন্দির ও অমুতসরের নানকগুরুজ্ির মন্দিরটি সথব্ণ দ্বারা মণ্ডিত করিয়া গিয়াছেন ইহ্থাও সেই পুলিস কীতি। হায়! আজ ভীহার বংশধরগণের কি | ভারত-জ্র্ঈণ।. দারুণ অবনতি! স্বালাজীর মন্দিরের প্রাচীর মধ্যে কতকগুলি রন্ধ, আছে, বায়ুকোণের রন্ধ, হইতে অবিরত এক হস্ত দীর্ঘ অগ্নিশ্িখা নির্গত হইতেছে, বক্রীগুলিকে প্রদীপ সংযোগ করা মাত্রই ধা করিয়া ্রজ্বলিত হইয়া ওঠে, দেখিয়! বিস্মিত হইতে হয়। | কারান রর 285 85787 প্রভৃতি ভক্ষ্যত্রব্য প্রদান করিলে উহা! দখ্বীভূত হয় এইরূপ বন প্রবাদবাক্য শুনিয়াছিলাম, তাহার অধিকাংশই কিন্ত্ব অসত্য বলিয়া প্রমাণিত হইল । তথাপি ইহা। বল৷ আবশ্বাক যে এস্থানে দৈবশক্তির বু পরিচয় পাওয়া যায়। মন্দিরমধ্যে ছয়টী জ্যোতি দেখা যায়, তন্মধ্যে মন্দিরের কোণে ষে দ্বিহস্ত পরিমিত বৃহৎ অগ্নিশিখা দেখিতে পাওয়া যায় তাহার নাম “হিজলার জ্যোতি” । দেওয়ালের অন্যদিকে গন্ধকের নীলবর্ণ আলোকের স্যার ও অপর একটা অগ্নিশিখা আছে । এ সযুদয় শিখাগুলি কখন দপ্‌ করিয়া স্বলিয়া উঠিতেছে, কখনও নিবিতেছে, কখনও নামিতেছে, তাহাদের অন্ভুত চঞ্চল নর্তন ভক্ত মাত্রেই বিশ্মিত ও স্তস্তিতহ্গদয়ে দর্শন করিয়া ভক্তিতে আগ্রত হয়। শিক্ষা ও সভ্যতার সঙ্গে সঙ্গে এবং নানাপ্রকার বৈজ্ঞানিক উত্কর্ষতায় আজকাল ভক্তির আোত বহু পরিমাণে হ্রাস হইয়া আসিতেছে _- শিক্ষিতেরা প্রত্যেক বিষয়ের মধ্যেই একটা অন্ভুত বৈজ্ঞানিক যুক্তি প্রদর্শন করতঃ সরলবিশ্বীী অঙ্ঞ নরনারীর একান্তিক ভক্তি ও শ্রন্ধার বিরুদ্ধে কুসংস্কার কুসংস্কার করিয়া! যেরূপ চীতুকার তুলিতেছেন_ ইহাতে এসকল তীর্থের মাহাত্য ষে আর কত কাল জীবিত থাকিবে তাহাই বিশেষ সন্দেহ স্থল। মন্দিরের পার্থে একটা কুণ্ড দৃষ্ট হয়, ইহার জল এন্থানে জাহবী- সলিলের ন্যায় পবিত্রতম বলিয়া বিবেচিত হইয়া থাকে । পর্ববত্তগাত্র হইতে বারি নিঃস্থত হইয়া এই কুণ্ডে পতিত হয়। যাত্রিগণ কুণ্ডের জল দ্বারাই শ্রা্ধ ও তর্পণাদি কাধ্য নির্বাহ করিয়া থাকেন। নিশীথ সময়ে মন্দিরের চারিদিকে খষ্ভোতের হ্যায় একরূপ উজ্জ্বল আলোক বিকশিত হইয়া অপূর্বব সৌন্দর্য্য স্থষ্টি করিয়! হৃদয়ে বিস্ময়ের উদ্রেক করিয়া দেয়। জাশ্বিন ও চৈত্র মাসে এস্থানে মেলা বসে, তন্মধ্যে চৈত্র মাসের মেলাতেই বস মীগগানী বসরা সৃতি ৃ র দ্বালামুখীর মন্দিরমধ্যে কোনও প্রকার বুলি াই। মন্দিরটী _ পর্ববতপার্থে একটী নির্বরিণীর উপরে নির্ষিত। ছড়া ও গুন্বজ ন্বর্ণমপ্ডিত এবং খড়গসিংহ প্রদত্ত, নানাপ্রকার র কারুকার্ধ্যসম্পন্ন রজতনির্মিতি কপাটগুলি দেখিতে অতিশয় সুন্দর । : এই - কপাটের শিল্পনৈপুণ্য দৃষ্টে লর্ড হা্ডিঞ্র সাহেব নিতান্ত সন্তোষলাভ, : করিয়াছিলেন__-এমন কি তিনি ইহার একটা আদর্শ পর্যযস্তও প্রস্তুত করাইয়া- ছিলেন। অন্তরূপ পৌরাণিক মতে জালামুখীর এই অগ্রিশিখ! জলন্ধর নামক . দৈত্যের মুখনিঃস্ছত বলিয়া! কথিত হইয়া আসিতেছে । প্রবাদ এইরূপ যে দেবাঁদিদেব মহাদেব জলেন্দ্র দৈত্যকে পরাভূত করিয়! পর্বত চাপা দিয়া : রাখিয়াছিলেন-_এঁ দৈত্যের মুখ হইতেই অগ্ঠাপি অগ্নি নিঃস্ত হইতেছে । বর্ধমান মন্দির ভগবতীর ও উহার অভ্যস্তরস্থ কুগুডদেবী উক্কাময়ী নামেই পরিচিত। এই মন্দিরের চতুদ্দিকে বহু ক্ষুত্র ক্ষুদ্র দেবমন্দির, পাস্থাবাস, ধর্মশালা ও পাতিয়ালার মহারাজার নিশ্মিত একটা সরাই আছে। দরিভ্র সন্ন্যাসী ও রামাউত তীর্থবাত্রিগণ এ সকল স্থান হইতেই আহারাদি প্রাপ্ত হ'ন। এ স্থানে বহু গৃহত্যাগী সন্ন্যাসী, বু ব্রাহ্মণ, অতিথি ও তীর্থবাত্রী বাজ করেন। নগরাংশ বিশেষ পরিচ্ছন্ন নহে। স্বালামুখীর বাজারটা বিশেষ বৃহ এবং সেম্থানে দেবমুত্তি, জপমালা টা প্রভৃতি উপাসনার উপযোগী দ্রব্যসামগ্রী দৃষ্ট হইয়া থাকে । এস্থানে একটী থানা--একটা ভাকঘর ও বিছ্যামন্দির আছে। পূর্বে ঘে এই সথপ্রাচীন নগরী বিশেষ সমৃদ্ধিশালী ছিল, বর্তমান বিস্তর ধ্বংসাবশেষ হইতেই তাহা দিইনি ইহা কাজড়া জেলার অন্তর্গত ডের! তহশীলের অন্তভূক্ত। স্কালামুখী দেবীর উৎপত্তি সম্বন্ধে একটা প্রাচীন কিন্বদক্ঠী শুনিতে পাওয়া যায় যে, » দেবী ভগবতী কৃপা পরবশ হইয়া দক্ষিণ দেশবাসী জনৈক নিষ্ঠ ক্রাঙ্গাপসম্তানকে স্বপ্সে দর্শন দিয়া এখানে সিয়া তাহাকে খুঁজিয়া বাহির করিতে আদেশ দিয়াছিলেন, তননুযারী ব্যক্তি এস্ছানে উপনীত হইয়া! ভগবতীর পৃঙ্কা করেন ির্াপ করিয়া বান। হিমালয়ের পর য.প্রদেশজাত ত্রব্য সামগ্রী রা : নানাকথ। ৷ ভারত-ভ্রমণ | ভ্রালামুখীর তীর্থ-খ্যাতি কোন্‌ সময় হইতে সর্বত্র স্থপরিচিত হইয়! পড়ে তাহা নির্ণয় করা স্থকঠিন। তবে ্রীন্িয শতাব্দীর পুর্দ্বেও যে ইহার অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিল তাহার বন্ছ প্রমাণ পাওয়া যায়। নগরের ছয় স্থানে ৬টা উষ্ণ প্রশ্রবণ আছে, সে জল পান করিলে কোন কোন রোগের বিশেষ উপকার হইয়া থাকে। বিখ্যাত চৈনিক পরিব্রাজক তাহার পাঞ্জাবভ্রমণের মধ্যে একই পর্ববতে শীতল ও উষ্ণ জলের কথার উল্লেখ করিয়াছেন, প্রত্ুতত্ববিদ্গণ কেহ কেহ তাহাকেই জ্বালামুখীর উঞ্ প্রজ্রবণ বলিয়া অনুমান করেন। হিন্দুদের মধ্যে একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে, যে দিল্লীর ফিরোজশাহ তোগলক জালামুখী দেবীর পুজা ও দেবীকে দর্শন করিয়া কাজড়া প্রদেশ জয় করিয়াছিলেন, বলা বাহুল্য যে মুসলমানগণ ইহা বিশ্বাস করেন না। ৃ জ্বালামুখীতে সিদ্ধনাগা গুুন,উন্ম তৈরব, বিশ্বেশ্বর প্রভৃতি আরও কয়েকটা দেবমুর্তি আছে। এস্থানে ময়দা পিষিবার একপ্রকার জাঁতাকল আছে, এ সকল কলের মধ্যে একটু নৃতনত্ব দেখিলাম । পর্ননত হইতে যে সকল ক্ষুদ্র নির্বরিণী বাহির হইয়! যে সকল স্থান দিয়! বহিয়া যাইতেছে, সেই সকল স্থানের প্রশস্ততা খুব অল্প, এ সকল স্থানের উপর সীকো দিয়া এক একখানা ঘর করিয়! এ ঘরে আটা বা ময়দা পিষিবার তা স্থাপিত হইয়াছে । জাতার নীচে জলের উপর একটা চাকার মত থাকায় জলের প্রবল ঝ্োতে সেই চাকা! অনবরত ঘুরিতেছে, আর জাতা চালিত হইতেছে । বিনা পরিশ্রামে অনায়াসে কেবল কআোতের সাহায্যে ময়দা প্রস্তুত হইতেছে । ঘরের ভিতর একটামাত্র লোক বসিয়া থাকিয়া জীতায় গম দিতেছে । এখনকার স্্লীলোকেরা দিব্য সুন্দরী | পাজামা পরিয়া পিরাণ ও গড়ন! গায়ে দিয়া ঘখন ইহারা রাজপথে চলিতে থাকে, তখন সত্য সত্যই রূপের বিদ্যুৎ খেলিয়৷ যায়। এদেশে স্ত্রীস্বাধীনতা খুব বেশী, পাপ্ডারাও বেশ ভদ্র। এখানকার তৈরি ভুট্টার আটার রুটি খাইতে বড়ই স্ুম্বাদ। এই ক্ষুদ্র স্থানের লোকসংখ্যা সহত্ডাধিক হইবে না। াগামবীয সৌক্ষর্য্য অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক, জলবায়ুও খুব উৎকৃষ্ট । | তিশা হি ফাজিল উ ০৮777 ১৩ নগর একট সামান্য ররর তত আর কিছুই ছিল না, সেই সময়েই ইহা চক নামে অভিহিত হইত। আকবর বাদশাহের শাসনসময়ে শিখদ্দিগের চতুর্থ গুরু রামদাঁস ১৫৭৪ খ্রীষ্টাব্দে যখন এখানে বর্তমান প্রকাণ্ড সরোবর খনন করাইয়াও ইহার চতুদ্দিকে বহু ক্ষত ক্ুত্র মন্দির নির্্মীণ করিয়া, এই স্থানকে - শোভাময় করিয়া তোলেন, তখন চিক” নাম পরিবর্তিত হইয়! এস্বানের নাম হইয়াছিল 'রামদাসপুর । রামদাসের মৃত্যুর পরে তীহাঁর পুজ অর্জুন সিংহ এখানে শিখদিগের রাজধানী করিয়া, ইহার নাম “অমৃতসর রাখিলেন। তদ্বধি ইহ! অমুতসর নামেই পরিচিত হইয়া আসিতেছে। এস্থানে শিখ, হিন্দু ও মুদলমান এই তিন জাতীয় লোক বাস করে। জনসংখ্যা ১,৩৭,০০০। হিন্দুর নিকট কাশী, গয়া, মথুরা, বৃন্দাবন প্রভৃতি যেমন মহাতীর্থ, মুসলমানের নিকট. যেমন মক্কাঃ বৌদ্ধের পক্ষে যেরূপ বৌদ্ধ-গয়া, ইদী ও শ্রীষ্টানের নিকট বেমন জেরুজালেম পবিব্রতম স্থান বলিয়া বিবেচিত হয়; শিখদিগের নিকট . অমৃতনমরও তত্রপ। উল্লিখিত রামদাস স্বামীর খনিত সরোবরের নামই অস্ৃতসর এবং তদনুসারে নগরের নামও অম্বতসর হইয়াছে । এই ধন, জন ও. বাণিজ্যসম্পদপূর্ণ সমৃদ্ধিশালী নগরের একদিকে রাবী ও অন্যদিকে বিয়া. (বিপাস) নদী প্রবাহিত৷ থাকায় ইহার সৌন্দর্য বহুপরিমাণে বদ্ধিত হইয়াছে । লাহোর নগরের ম্যায় অম্ৃতসরও প্রাচীরদ্বারা বেস্তিত। ইহাতে তেরোটা, ফটক আছে। পূর্বে ইহার চতুদ্দিকে পরিখা ছিল এবং শত্রুর আক্রমণ, হইতে পগর রঙ্গ! করিবার বিবিধ ব্যবস্থা ও শিখদিগের নির্টিত দুর্গ! এখন সে ছূর্গের কোনও অস্তিত্ব দৃষ্ট হয় না; উত্তরদিকের গড়ের খাতও বুজ্াইয়া ফেলা হইয়াছে। এখন অন্ৃতসরে ১৮০০ ্রী্ান্দে মহারাজা রণজিৎ লিং কর্তৃক নির্ত ছর্গ ভাহার চিকন গোষিনাগড় নামক পরিধা দু হয়। ভাহা এখনও কালের সহিত টা গ্রাম করিয়া অক্ষতবেছে পঞ্তীব-. সা মারা নার | আহম্মদ শাহ্‌ ছুরাণী এতদূর ভিন্ন-ধর্ম্ম-বিদ্বেধী ছিলেন যে, কেবলমাত্র শিখদিগের এই মন্দির ভগ্ন করিয়াই তাহার সাধ মিটে নাই। তিনি ক নৃুশংলের মত দেবালয়-মধ্যে গো-হত্যা করিয়া তাহ! অপবিত্র করতঃ মুসলমানদের জন্য মস্জিদ ইত্যাদি নির্মাণ করিয়! গিয়াছিলেন । সি নীনাপ্রকার নির্ধ্যাতনের মধ্যেই ইহা সহ্া করিয়াছিল, কিন্ত আহম্মদ শাহের প্রস্থানের পর তাহারাও প্রতিশোধপরায়ণ হুইয়৷ আহম্মদ শাহের নিশ্রিত সমুদয় মস্জিদ ভাঙ্গিয়া সেখানে শুকর হত্যা করিয়াছিল । বর্তমান শিখমন্দির ইহার পরে নির্িত হইয়াছে। _ অমৃতসর সরোবরটি অত্যন্ত বৃহ । পুক্রিনীটি চতুক্ষোণ ; এক এক দিক প্রায় ৩২৫ হস্ত দীর্ঘ হইবে। একটা প্রবাদ শুনিলাম ঘে, পঞ্জাব-নর-সিংহ রগজিত ১৭ ক্রোঁশ দীর্ঘ একটী খাত খনন করাইয়া ইরাবতী নদীর সহিত উক্ত পুক্ষরিণীর সংযোগ করিয়া দিয়াছিলেন। আমর! অনেক অনুসন্ধানেও ইহার, নিশ্চয়তা বা খালের অস্তিত্ব অবধারণ করিতে সক্ষম হুইলাম না । গ্রীক্ম, বর্সা, শরণ, হেমন্ত প্রভৃতি প্রত্যেক খতুতেই ইহা! জলপূর্ণ থাকে । সরোবরের ঠিক্‌ মধ্যস্থলে শিখদিগের দেবালয়টি ভাবশ্মিত । দেবালয়ের ভিত্তিস্থান একটী সম- চতৃক্ষোঁণ বেদী বা দ্বীপ । এই বেদীর উপরেই অমুতসরের বিখ্যাত ন্বর্ণমন্দির | এই মন্দিরকে শিখেরা “গুরু-দরবার বা! “দরবার-সাহেব বলেন 1” সরোবরের চত্দ্দিকে প্রধান প্রধান সর্দার ও ধনাঢা ব্যক্তিদিগের অন্রালিকা শোভা পাইতেছে । দরবারসাহেব মন্দিরটি দেখিতে অতান্ত বৃহদাঁকারের নয় ; উহ! ত্রিশ হস্ত সমচতুক্ষোণ-বিশিষ্ট এবং উচ্চতায় প্রায় বিশ ফুট হইবে |. মঙ্দিরের মধ্যদেশে উৎকৃষ্ট চন্দ্রাতপ, নিষ্কে শিখর নানকের-ধর্মরুন্ডক ৷ সরোবরের তীর হইতে মন্দির পর্যান্ত একটা ই্টক ও মার্বেল প্রস্তর বীধান প্রশস্ত পথ আছে; সরোবরের ধারে ধারেও শ্রেতপাঁথর বসান থাকায়, তাহা দেখিতে অত্যন্ত মনোহর হইয়াছে । সাধারণের মধ্যে একটা দৃঢ়বিশ্বাস প্রচলিত জাছে বে, এই মন্দিরটি স্ব্ণপাত দ্বার! মণ্ডিত ; এই জন্যই ইহার নাম “ৃবর্ণমন্দির' । ইংয়েজ ভ্রমণকাঁরি- রর স্ব্ণমন্দির অযৃতসর | ্‌ ক গণও ইহাকে 001161) 1:01001016 নামেই অভিহিত করিয়া গিয়াছেন। ইহা নিকটস্থ ছুইটী প্রধান রাস্তার সঙ্গমস্থলেও.'1০ 00100) 1671001৩” অর্থাথ “স্বণ্মন্দিরে যাইবার পথ” বলিয়া লিখিত আছে। প্রকৃত পক্ষেই যে ইহা ্ব্ণপাত্র মণ্ডিত, তাহ! নয়, মন্দিরের গুম্বজ এবং উহার কলেবর তাঁমার মোড়া এবং তাহাই মোটা করিয়া স্র্ণের হল. করা। এই স্বর্ণ-রঞ্জন এত পুরু ষে, সহজে উহার কৃত্রিমত! অনুভব করা যায় না। এই নিমিত্তই জনসাধারণের নিকট ইহা স্থবর্ণমন্দির বলিয়া অভিহিত।..... রণজিওসিংহ এই মন্দিরটিকে এইরূপ ভাবে ছল করিবার জন্য প্রচুর পরিমাণে অর্থব্যয় করিয়াছিলেন। শিখেরাও জাহাঙ্গীর, € মোগলবাদশাহগণের বি ইহ কন সংল করিয়া দেওয়া | হইয়াছে পুধ্‌ করিলে কত “সাতয়াজার ধন' হইত। 8 এ সিংহ নিয় প্রবেশ করিলে, সর্বধাগ্রেই অকালীদিশের কুন নামক | অট্টালিকা দেখিলাম, এস্থানে শিখগুরুদের বহু অন্তর বত সহিত রক্ষিত আছে। এখানে বহু গায়ক ও বাগ্কর বসিয়া থাকে । ইহারা প্রত্যহ ধন্দুসজগীত করিবার নিমিত্ত নিযুক্ত রহিয়াছে। মন্দিরের চারি কোণে যে চারিটা স্তস্ত আছে, উহার উপর আরোহণ করিলে নগরের সৌন্দর্য্য দৃষট হয়। ন্দরবার-সাহেবে' প্রতিদিন অপরাহ লোকে লোকারণ্য হুইয়া থাকে । সে সময়ে বনু যাত্রীর সমাগম হয়, পুরুষ অপেক্ষা স্ত্রীলোকের সংখ্যাই অধিক-_পর্ববদিন হইলে ত আর কথাই নাই। আমরা যে দিবস মন্দির দর্শন করি, সে দিন একাদশী তিথি ছিল, কাজেই লোকারণ্য ভেদ করিয়াই আমাদিগকে মঙ্দিরে প্রবেশ করিতে হইয়াছিল। সে এক আশ্চধ্য দৃশ্য ! দেখিলাম, কোথাও নানকের আদিগ্রস্থ ব! গগ্রস্থসাহেব পঠিত হইতেছে, কোথাও শ্রীমন্াগবত, কোথাও রামায়ণ, কোথাও মহাভারত পাঠ হইতেছে, কোথাও ঝ সুমধুর রবে বাগ্চ বাজিতেছে ও স্তুস্বরে ধন্মসঙগীত গীত হইতেছে । আমরা এই ধপ্ম- নিকেতনে ধণ্মালেচনা দেখিয়া যারপরনাই প্রীতিলাভ করিলাম । যদিও ইহা হিন্দুদিগের তীর্থ নহে, তথাপি আমর! ভক্তিসহকারে এস্থানে প্রবেশ করিয়া পাগ্ডাদিগকে কিঞিত দক্ষিণা দিলাম । চঞ্চল সিংহ নামক একজন পাণ্ড। আমাদের সহিত বিশেষ সপ্ধ্যবহার করিয়াছিলেন এবং প্রত্যেক বিষয় আমা- দিগকে বিশদভাবে বুঝাইয়া দিয়াছিলেন। বস্তুতঃ এরূপ মিষ্টভাষী পাণ্ডা তীর্থস্থলে পাওয়া ছুর্ভি। তাহার সব্যবহারে তাহাকে একখান প্রশংসাপত্র না লিখিয়৷ দিয়া পারিলাম না। উক্ত ব্যক্তির হস্তে আমাদের ময়মনসিংহের মহারাজা! স্বর্গীয় সূর্ধ্যকান্ত আচাধ্য বাহাছুরেরও একখান! প্রশংসাপত্র দেখিতে পাইলাম । মন্দিরমধ্যস্থ গ্রস্থসাহেবকে প্রতিদিন পুরোহিতের পুষ্পাদিসবারা অর্চনা করিয়া থাকেন; গ্রস্থসাহেব প্রথম শিখগুর নানকের বিরচিত। শিখদের নানক, অঙ্গদ, অমরদাস, রামদাস, অর্জুন, হরগোবিন্দ, হররায়, হরকৃ্ণ, তেগ বাহাদুর এবং গোবিদ্দসিহহ নর্বসমেত এই দশজন গু | দর্শকেরা মন্দির মধ্যস্থ গ্রন্থসাহেবকে ভক্তিভরে প্রণাম করিলে, পুরোহিত' ৃ এক রা দাবরিরের সর্র্াগের, ও বহির্ভাগে অভ্যন্তরে স্বর্ণপাঁতের উপর বিচিত্র কারুকার্য খোদিত এবং স্থ নে স্থানে বহুমুল্য হীরক পাঙ্গা প্রভৃতি প্রস্তর স্থশোভিত। যখন মন্দির-বীর্ষেসূরধ্য- মন্দিরের অতুলনীয় সৌন্দর্য্য এতই মনোহর যে, ছুইটা মা চক্ষৃতে যেৰ ধরে না। ৭ ক _ অস্ততসরে অটলেশ্বরের বা অটলবাবার মন্দির, গোবিন্দ-গড় (ছুর্গ),. অটল বাতনে-. রামবাগ, নূতন কেশরবাগ, কলেজ, লাইব্রেরী এবং শাল: ব্ররসনির। ও গালিচা নির্াোণের কারখানা দেখিবার যোগা | স্বর্ণ. মন্দিরের অনতিদুরে অটলেশ্বর সমাধি-মন্দির, ইহাও শিখতীর্ঘ। মন্দিরটি অতি উচ্চ, উহার উপরে উঠিয়৷ মাটির দিকে দৃষ্টিপাত করিলে মাথা ঘুরিয়া ষায়। সাধারণতঃ ইহা! “বাবা-অটল' বা 14] 1০৪ নামেই পরিচিত । ইহার গঠনপ্রণালী অত্য্ত স্থন্দর। বাবা-অটলের পার্থেই কৌলসর নামক সরোবর। ইহা গুরুগোবিন্দ সিংহের বন্ধ্যা পত্ী কৌলের নামানুসারে প্রতিষ্ঠিত। যাত্রিগণ মন্দিরে প্রবেশ করিবার পূর্বেব এই সরোবরের পবিজ্র সলিলে স্নান করিয়া থাকেন। এই সরসীর তীরে একটা বৃক্ষ, দেখিতে বেশ স্বন্দর, উহা! শাখা প্রশাখা মেলিয়া রহিয়াছে । উহার ডালে শত শত- পক্ষবিশিষ্ট কাঠবিড়ালী (£1)178-1০8) -ঝুলিতেছে । অমৃত-সরে্র প্রায় | তিন ক্রোশ উত্তর পশ্চিমে প্রসিদ্ধ গোবিন্দগড়ের অভেম্ত ছুর্গ অবস্থিত । গোখিশগড চর্গ। . ইহাও মহারাজা রণজিতের নির্মিত। এখন উহাতে. কয়েকজন গোরা সৈনিক এবং -সরকারি জিনিষ পত্রাদি থাকে। এস্থানে প্রতি বখসর ছুইটী করিয়া ধর্্মমেলা হয়। এই ছুর্গেই এখানকার কমিশরিয়েট আফিসও অবস্থিত। রামবাগ একটা বিস্তৃত উদ্ভান। রামবাগ,কেপরযাগ, উহার মধ্যবর্তী পথসমূহ এরূপ ন্থকৌশলে নির্টিত যে খুরিয়া স্*ইত্যাদি। ফিরিয়া আসিতে গোলকর্ধীধার স্তায় বোঁধ হয়। বাগানে বছু- প্রকারের ফল, ফুল ও নানাবিধ বিটপীশ্রেণী আছে। উহাদের মধ্যে কতক- ৃ গুলি আমাদের নিকট নৃতন বলিয়! বোধ হইল। এখানকার গলক্ৌ নগরের হুসিস্ কেশরবাগের নামানুকরণ মাতর। ইহাতে 7 এখানকার লাইব্রেরীর পুস্তক ও.সংবাদ দি লাঠে বকলেরই সাম অধিকার আছে । আমরাও অবসর মত অনেক সংবাদপত্রাদি পাঠ করিয়া বিশেষ শ্রীতিলাভ করিয়াছি। কলিকাতা হইতে প্রকাশিত শ্রীযুক্ত মতি বাবুর সম্পাদিত ' 'অম্ৃতবাজার পত্রিকার, এ অঞ্চলে বিশেষ গৌরব । হিন্দীবঙ্গবাসী'ও ক্রমশঃই এদেশে স্প্রচারিত হইতেছে । একদিন শাল ও গ্রালিচার কারখানা দেখিতে গমন করিলাম,-_কারখানায় বিস্তর লোক খাটিতেছে দেখিলাম । অমৃতসরের শাল, ধূসা, গরবী ও আলোয়ান প্রসিদ্ধ । আমাদের বঙগদেশের মহাজনের অনেক সময়ে এখানকার জিনিবকেই কাশ্দীরী” বলিয়া বিক্রয় করিয়৷ থাকে । কয়েকটী বাজালী ভদ্রমহোদয়ের সহিত আমরা শাল ক্রয় করিতে গিয়াছিলাম ; দুঃখের বিষয় বলিতে কি, আজকাল এস্থানেও প্রবঞ্চনা আরম্ভ হইয়াছে । বিক্রেতারা অনেক সময়ে সুতা: ও পশম-মিশ্রিত কাপড়ও বিশুদ্ধ পশমী বন্ম বলিয়। বিক্রয় করিয়া থাকে । আবার বিলাতী আলোয়ানের গায়ে হাসিয়া দিয়াও অম্ৃতসরের জিনিষরূপে চালাইতেছে। এখানে শাল বুনিবার জন্য প্রায় ৫০০০ হাজার তাত আছে। এই সকল তী্ীদের অধিকাংশই কাশ্মীরী । কাশ্মীরের দরিদ্র লোকেরাই এখানে আসিয়া মহাজনদিগের নিকট দাদন লইয়৷ তাতে শাল প্রস্তত করিয়া থাকে । কাশ্মীরের পশম অম্তসরের পশম অপেক্ষা বহু শ্রেষ্ঠ। কাশ্মীরে পশমে কোনরূপ তেঁজাল দেওয়ার প্রথা নাই; কিন্তু পূর্ব্বেই বলিয়াছি যে, এ স্থানে ভেঁজাল দেওয়ার প্রথা খুব বেশী। তিববত, প্রভৃতি পার্বত্য প্রদেশের ছাগলের লোমেও এখানে শাল প্রস্তুত হয়। এখানে উত্তম রেশমও উৎপন্ন হইয়া থাকে । গড়ে প্রতিবৎসর এ নগরে প্রায় চারিকোটি টাকার ভ্রব্যের আমদানী ও রপ্তানী হয়। অমৃতসর সহরের সাত ক্রোশ দক্ষিণদিকে তরণ-তারণ অবস্থিত। ইন্থাও একটা প্রসিদ্ধ স্থান। পুনিলাম যে এখানে প্রায় ৬০০ শত হাত দীর্ঘ এবং৫০০ শত হাত প্রশস্ত একটী সরোবর আছে। প্রবাদ আছে, যদি কোন কুুষ্টব্যাধিগ্রন্থ ব্যক্তি সীতার দিয়া উহ পার হইতে পারে, তাহা হুইলে সে ব্যক্তি নীরোগ হয়। দুর্ভাগ্যক্রমে কোন অন্দুবিধা টা, 7798752 তারণ-তোরণ। ঘটে নাই। অগুতসর একটী প্রাচীন সহর, জার লিন রগুলি _. এখন জীর্ণ হইয়। গিয়াছে। রেট একদিকে জীর্ণ স্কার করাইয়া ব্যয়বাহুল্য ভয়ে অপর দিকের সংস্কারে ূ ক্ষান্ত হইয়াছ্েন। নগরটি জনাকীর্ণ, পথগুলি পরিষ্কৃত ও প্রত, এখানে খুব অল্প সংখ্যক বাঙ্গালী বাস করেন! রেলি- ্রাদার্সের বিভৃতি কারখানা এবং সৈন্যের ছাউনীও (07071016100) * এস্থানের অন্যতম দ্রষব্য। জলদ্ধর হইতে অমৃতসর .আসিতে মধ্যে বিখ্যাত সিন্ধুনদের অন্যতম শাখা বিপাস! নদী পাওয়া! যায়। ইংরেজের! ইহাকে 0৩৫5 “বিয়াঁস কহেন। বিপাসার ২৭ মাইল অন্তরেই এই অমৃতসর নগর । রা আমরা অমুতসরে যে বাঙ্গালী ভত্রমহোদয়ের নিকট অনুরোধপন্্ লইয়া | আসিয়াছিলাম, তীহার বাসায় স্থানাভাবে অবস্থানের অস্ত্রবিধী জানিয়া মহাতআা! লাল শান্তিরামের বাঁটীতেই বাসা স্থির করিয়াছিলাম। এ সদাশয় ব্যক্তি নবাগত বিদেশী ভদ্রলৌোকদের অবস্থানের নিমিত্ত একখানা দ্বিতল বাড়ী প্রস্তুত করিয়া রাখিয়াছেন। সম্মুথে উদ্যানসহ চতুক্ষোণ পাড় বাঁধান পুকুর। অতিশয় সুন্দর বন্দোবস্ত । বিনা ভাঁড়াতেই এই অট্রালিকায় বাম করিতে পাঁওয়! যাঁয়। তবে ভদ্রলোকমাত্রই প্রহরীকে কিছু না কিছু দিয়া থাকেন। শান্তিরামের ন্যায় এরপ স্বার্থহীন, পরোপকারী, | উদার-হৃদয়ের লোক জগতে অতি অল্পই দেখিতে পাওয়া যায়। বাব! নানকের গ্রন্থসাহেবখানি মন্দির হইতে প্রত্যহ রজনী নয় ঘটিকার 'সময় সাজসজ্জার সহিত স্থানান্তরিত হইয়! থাকে । পরে পুনরায় রজনীর শেষ- ভাগে সবিশেষ আড়ম্বরের সহিত তাহ! আনয়ন পূর্ববক মন্দিরে স্থাপনা কর! হয়। ইহাই প্রাত্যহিক নিয়ম । বাবা নানকের গ্রস্থসাহেবই শিখদিগের একমাত্র অর্চনীয়। সাধারণতঃ দর্শকগণও এখানকার স্বব্ণমদ্বিরই দেখিতে আসিয়া থাকেন। পঞ্জাবের অন্যান্য স্থান অপেক্ষা অমৃতসরের জলবায়ু নাতি- শীতোষ্, বিশেষতঃ শীতকালে ইহা একান্ত স্বাস্থ্যকর। ফেনের সিকটেই ডাক-বাড্লা মাছে। গাড়ী, ঘোড়। ইতি রহ কেনে পা পাওয়া যায়। নাপাকথ।। ৭ সি ভাত্ছোন্র 1. অনন্তর হইতে লাহোর আসিলাম। সিন স্থান। যাহার যুক্তপ্রদেশে কিংবা পঞ্জাবের দিকে ভ্রমণে বাহির হইয়া- ছেন, তীহাদের মধ্যে এরূপ লোক অতি বিরল, যিনি পঞ্তাব প্রদেশের রাজধানী এই সুন্দর স্বনামধন্য নগর দেখিয়া যান নাই। লাহোরে আসিয়া! কিন্তু আমার নিকট ইহা সেকালের প্রাচীন: খলিফাদিগের শাসনাধীন একটা কুহুকময় নগরী বলিয়াই মনে হইয়াছিল । গম্ুজে,মিনারে, তোরণে, প্রাচীরে ইহা বর্দমান অপেক্ষা অতীতের কথাই অধিক স্মরণ করাইয়া! দিতেছিল। রৌন্রোক্জল প্রকৃতির সজীব দৃশ্য ও সহরের চঞ্চল কোলাহল সত্যসত্যই যেন সেকালের একটী নিত্য উতসবময় প্রাচীন নগরে আনিয়া উপস্থিত করে। পঞ্জাবের উত্তপ্ত আতপ-তাপ এখানে পূর্ণমাত্রায় উপভোগ্য লাহোর পঞ্জাবের সর্নবাপেক্ষ! শ্রেষ্ঠ ও জনাকীর্ণ নগর । রাজধানীর বিশেষ এখানে পূর্ণমাত্রায়ই বিদ্যমান। কলিকাতা হাইকোর্টের স্যায় এন্থানেও একটা প্রধানতম বিচারালয় আছে, তাহার নাম চীফকোট (01016 0০:)। এতত্যতীত কমিশনার, ডেপুটি-কমিশনার প্রভৃতি উচ্চশ্রেণীর রাজকীয় কর্ণ চারীদিগেরও কতকগুলি আফিস এখানে সংস্থাপিত আছে । এখানে বাঙ্গালীর সংখ্যাও বেশী। কাশী ও এলাহাবাদ ব্যতীত পশ্চিমের অন্যত্র আর কোথাও এত অধিক বাঙ্ালীর বাস নাই। লাহোর অতি প্রাচীন সহর ৷ প্রাচীন কিন্বান্তী এই যে, রঘুকুলতিলক শ্রীরামচন্দ্রের পুজ্ম লবকর্তৃক এই নগর স্থাপিত হইয়াছিল। সপ্তম শতাবীতে ঘে এম্থানে চৌহান বংসয় রাজপুতেরা৷ রাজ করিয়াছিলেন তাহার বহু প্রমাণ পাওয়া যায়। ১৮০৯ শ্রীষাবে মহাত্ব। হাডিপ্রের সময় ইহা ্রিটিশ-শামন-তুক্ত হইয়াছে। যখন এই নগর মোগলদিগের হাতে ছিল, তখনি ইহার সমধিক উন্নতি হয়। বর্তমান নগরের চতুদদিকস্থ প্রাচীর মহারাজা রণজিৎসিংহ নির্মাগ করিয়া- ছিলেন। মোগলের পরে তাহার অধিকারে আসিয়া পুনরায় ছা পূর্বব- গোৌরব-বৈভব ফিরিয়া আইসে। এই আটার ঢাক ঢা জোর আছে। : নগর-প্রাচীর স্থানে স্থানে ' এখন ভাডিয়া গিয়াছে, গভর্মেপ্টও জীর্ণ সংস্কীরে তাঁদুশ মনোযোগী নহেন। তাহাদের মতে প্রাচীর-বেস্টিত নগর নাকি স্বাস্থ্যের পক্ষে মঙগলজনক নহে। এই প্রাচীর প্রায় ১৫ ফুট উচ্চ। আমরা নগরের চতুদ্দিক ঘুরিয়! দেখিলাম । বাজারের দুইটা গলি ভিন্ন অপর সকল পথই কলিকাতার বড়বাজারস্থ গলির ন্যায় অপ্রশস্ত, গাড়ীতে রঃ যাতায়াত করা ছুরূহ। এখানে জিনিষপত্র তত স্থলভ নহে । কলিকাতা, দিল্লী ও বোম্বে হইতে জিনিষ-পত্রাদির আমদানী হইয়! থাকে । কাবুলী মেওয়া এখানে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় আর দরও খুব সম্তা। লাহো- রের পশ্চিম দিক্‌ দিয়া রাবী নদী প্রবাহিতা। আনার-কলি নামক স্থানটিই লাহোরের সর্বশ্রেষ্ঠ অংশ । এই স্থানেই দেশীয় ও ইউরোপীয় লোকদিগের - বড় বড় দোকান ও কারবার দর্শকগণের নয়নমন আকর্ষণ করিতেছে । এরূপ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্থান লাহোরের আর কোথাও নাই । উচ্চ শ্রেণীর আফিস আদালতাদি সমুদয়ই এস্থানে অবশ্থিত। আনার-কলির ইতিহাসটি বড়ই শোকোদ্দীপক । আনার-কলি নান্সী একটী ইরাণদেশীয়া রূপসী ও ষোড়শী বীদীর সহিত সম্রাট আকবর বাদশাহের পুজ সেলিমের প্রণয় হয়। সেলিম গোপনে এই স্থন্দরী যুবতীর পাণিগ্রহণ করেন। এই ঘটনা আকবর শুনিতে পাইয়া নিতান্ত রুদ্ধ হন এবং জীবিতা- বস্থায়ই তাহাকে এই স্থানে কবর দিয়া বধ করেন। তদবধি এ স্থানের নাম আনার-কলি হইয়াছে । প্রণয়ের জন্য এইরূপ অপূর্ব আত্মোৎসর্গ জগতে অতি বিরল দৃষ্ট হয়। জাহীগীর দিল্লী-সিংহাসনে আরোহণ করিয়া আনারের সমাধিস্থানের উপর একটা সুন্দর সমাধিমন্দির নিন্দীণ করিয়া দিয়াছেন। উহা এখনও বর্তমান আছে এবং উহাতে গভর্মেণ্টের রেকর্ড অফিস নহিয়াছে। বনূদিন পর্যন্ত এই সমাধিমন্দিরই ইংরেজের গির্জার কাজ করিয়াছে । এই অষ্টালিকাটির মধ্য প্রকোষ্ঠের উপরে যাহাতে স্মৃতিলিপি খোদিত আছে, তাহা একখানি তুষারধবল মর্্মর প্রাস্তর। ইহার ক্ষরগুলি অতিশয় স্বন্দর ও স্পষ্ট। এইরূপ মনোরম খোদিত লিপি ভারতবর্ষের আর কোনও জমাধিমন্দিরে দেখিয়াছি বলিয়া মনে হয় না। ্রস্তরখানির * টার রা রা সলিম অকবর” আরা, ১৩ . আনার-কলি। ॥ /.৯ - ও ভ্যান কা 2 দা...” 25188584858 হত 5 তব ভারত-ভ্রমণ। আকবরের পুর কামাতুর দলিম, এইরূপ লিখিত আছে। এই আনার-কলির নিকটেই চিত্রশীল। (মিউজিয়াম) পশুশালা, জলের কল এবং ট্রীমগাড়ীর আডডা ইত্যাদি দেখিতে পাইলাম । এ সকল কোন অংশেই কলিকাতার অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ নহে। মিউজিয়মের সম্মুখেই ঝম্বম্‌ তোপ। ইংরেজদের সহিত যখন শিখদের যুদ্ধ হয়, তখন চিলেনওয়ালার যুদ্ধে শিখেরা এই তোপ ব্যবহার করিয়াছিল। তোপটি পিস্তলের তৈয়ারী, দেখিতে অত্যন্ত স্বন্দর। নিকটেই সার জন লরেন্দের বীরত্বব্যগ্রক প্রস্তরমূগ্তি অবস্থিত । তীহার এক হস্তে কলম ও অপর হস্তে তরবারি শোডমান। সিপাহী- বিদ্রোহের সময় ইনি পঞ্রাবের লেফ্টনাণ্ট গবর্ণর ছিলেন। ইঁছার বুদ্ধি- প্রভাবেই পঞ্জাবের শিখগণ বিদ্রোহে যোগ না দিয়া ইংরেজের পক্ষে যুদ্ধ করিয়া! বিদ্রোহী সিপাহীদিগকে পরাভূত করিয়াছিল । চিত্রশালাটি কলিকাতার চিত্রশাল! হইতে অনেক ছোট, বিশেষ দেখিবার কিছুই নাই, তবে এখানে গান্ধার প্রদেশের অনেক স্বৃপ্রাচীন ভাক্ষরধ্য ও প্রাচীন হিন্দুরাজাদের সময় তৃপ্তিলাত করিয়াছি । পণশুশালায় চারি-শৃঙ্গের ভেড়া এবং চিত্রশালায একটা বৃহৎ শুক্গবিশিষ্ট ভেড়ার মন্তক দ্রষ্টব্য এবং চিত্তাকর্ষক বটে। লাহোরের দর্শনযোগ্য স্থানসমুহের বিবরণ নিন্সে লিপিবদ্ধ করিলাম । শাহদারাবাদ _মিউজিয়ম ইত্যাদি দেখিয়! শাহ্‌দারাবাদ দেখিতে যাওয়া গেল। উহা লাহোরের তিন মাইল উত্তরে অবস্থিত একটা বাদশাহী বাগান, রাবীর নৌসেতু পার হইয়! যাইতে হয়। ঘোড়ার গাড়ীতে যাতায়াতের ভাড়া আমাদিগকে ১৫০ টাক! দিতে হইয়াছিল। বাগানটার পূর্ববী কিছুই নাই। শেষ মুসলমানরাজগণের অধত্বে এবং শিখদিগের অত্যাচারেই এই স্থান বহু পুর্ব হইতেই একবারে সীট হইয়। গিয়াছে। গভর্মেন্ট আধুনিক ফলফুলের তরুদ্বারা উদ্ভানটির শোভা! কিয়ত্পরিমাণে রক্ষা করিয়াছেন। প্রাচীন বৃক্ষের মধ্যে দ্বাদশহস্ত পরিধিবিশিষ্ট একটা আগ্র বৃদ্ধ দেখিলাম । এই উদ্যান মধ্যে দিলীর খ্যাতনামা সম্রাট আকবরের প্রিয়তম পু জাইাগীর : খ্বাদশাহের সমাধিগৃহ স্থাপিত। কথিত আছে যে, স্থন্দরীকুল-শিরোমণি 1 16951 05 । ১1৯15 165 ৯. &1/০115 ৮৪০১৫৯৪১৩৯৮ ইহা দেখিলে, ইহাকে একটা সুন্দর ও স্থৃবৃহত সবল! বাড়ী ধু য়া অনুমিত হয়, মুসলমানের সমাধিগৃহ বলিয়া অনুমিত হয় না । মারি শিট ী লোহিত প্রস্তরদ্বারা অতি স্থুচারুরূপে নির্মিত হইয়াছে । কবরের উপরিভাগ কেবল শ্বেত প্রস্তরে স্থশোভিত। এই সমাধি ১১০৯ হিন্দী ও ১০৩ হী সনে প্রতিঠিত। ইহার চারি কোণে বন্ুতল, কক্ষবিশিষ্ট, ৪৬ হস্ত পরিমিত উচ্চ চারিটা স্তস্ত। উহার উপর হইতে দুরস্থিত লাহোরনগরের দৃশ্ট ও. কলনাদিনী রাবীর তটগ্লাবিনী তরলভঙ্গ দেখিতে অতি সুন্দর । মার্বল ও লোহিত প্রস্তর অনেক স্থান হইতে উঠিয়া গিয়াছে, তাহাতে বনুপরিমাগে সৌন্দর্য লোপ পাইয়াছে। এই সমাধির অনতিদ্ুরে উজীর আমিন খর বৃহ সমাধি | সালেমার বাগ--ইহাকেই লাঁহোরের প্রধানতম দৃশ্য এবং গৌরব বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। লাহোর সহর হইতে প্রায় তিন মাইল উত্তর পূর্বদিকে সালেমার বাগ অবস্থিত। সালমার অর্থে আনন্দ এবং বাগ অর্থে বাগান ( আনন্দোছ্ঠান )। এরূপ স্ুরম্য উদ্যান ভারতের আর কোথাও নাই ; দেখিতে যেমন বৃহও, সৌন্দর্য্যও তেমনি মনোহর । কথিত আছে যে, সম্রাট শাহ্জাই একদিন ন্বপ্রে স্বর্গ দেখেন, পরে সেই স্বপ্রামুষায়ী ইহা নিষ্াণ করিতে আরম্ত করেন। মুসলমানদের স্বর্গ সপ্তস্তরবিশিষ্ট, সালেমার উদ্ভানও সপ্তস্তরেই নির্মিত হইয়াছিল। ইংরেজ গভর্মেণ্ট উপরের টারি স্তর ভাঙ্গিয়৷ ফেলিয়া! কেবল নিন্বের তিন স্তর রক্ষা! করিয়াছেন। সালেমার বাগ প্রায় অদ্ধমাইল বিস্তৃত। ক্রম-নিন্ন তিনটী বেদীর উপর এই উদ্ভান নির্টিত। এমনি কৌশলে এই উদ্ভানটি নির্ট্দিত যে ভাষাদ্বার৷ ইহার সঠিক সৌন্দর্য্যের কথা ব্যক্ত কর! অসন্ভব। ক্রমান্বয়ে তিনটা স্তর মৃত্তিকা- টানার ভার ন! দেখিলে, কেহই এই উদর হন দিত হোত হাম উপাই না প্লিলের রৃক্ষসমূহ বিদ্যমান। দ্বিতীয় স্তরে একটা কৃত্রিম সরসী ও ঈবার তাহা অত্যন্ত মনোহর। যো হই পা্খে ুত্ধর উ ওয়া্জির খায়ের সমাধিস্তস্ত হইতে লাহোরের দুষ্ত | : গণনা করিয়! দেখিয়াছি যে, এস্থানে ৪০০ চারিশতেরও অধিক ফোয়ারা উদ্ভানটিকে যার পর নাই মনোহর ও স্থুশীতল করিয়া রাখিয়াছে। নবরুচিসম্পন্ন গোলাপাদি তরুও উদ্ভানের শোভাবর্জীন করিতেছে । মাঅবৃক্ষের সংখ্যাই এখানে বেশী। জনরব এইরূপ প্রচলিত আছে যে, রণজিতসিংহ এ স্থান ইহুতে মার্বল প্রান্তর খুলিয়া লইয়া অমৃতসরের শোভ। বৃদ্ধি করিয়াছিলেন ।. ৪ ফোট বা কেল্লা-_ইহা৷ সম্রাট জাহাগীর নির্মাণ করিয়াছিলেন। যে স্থানে পঞ্জাবকেশরী রণজিৎসিংহ থাকিতেন, অগ্যাপি তীহার় সেই প্রিয়তম শিখ-মহলের ছুই তিন খানা বিচিত্র চিত্রিত গৃহ ব্যতীত' দেখিবার আর মাই। দুর্গের একটী গৃহে শিখদের ব্যবন্ৃত নানাপ্রকার ধাতু- বিনির্ষিত বর্ম ও পৃষ্টত্রাণ দেখিয়া বিস্মিত তইতে হয়। উহার এক একটার ওজন অদ্ধমণের নান হইবে না। এখানে প্রাচীন শিখদিগের নির্দিত আন্্াদি ভারতের অত্তীত গৌরবকাহিনীর কথা মনে পড়িল। একদিন যে ১০০ সকল বীরেন্দ্র এই সকল বর্ম চরে আচ্ছাদিত হইয়া সুদীর্ঘ তরবারি ক বল্লপম হস্তে রণক্ষেত্রে গমনাগমন করিত, আজ তাহারা কোথায় । তাহাদের চিরপ্রিয়তম অস্ত্রশন্্ের এখন কে ব্যবহার করে ? ও বাদশাহী মস্জিদ--এই ভজনাগারটি লাহোর নগরের চি ভু, | স্বরূপ; ইহা শাহ্‌দারা পল্লীতে নির্্িতি। ইহার সম্বন্ধে কেহ ফেহ বলে, বেড - আকবর ইহা নির্মাণ করিয়াছিলেন; আবার কেহ কেহ ইহাঁকে জাহীগ ধীরে ও নির্মিত বলিয়াই সিদ্ধান্ত করেন। আমরা ফতটা প্রমাণ পাইরাছি, তাহাতে, শেষোক্ত সিদ্ধান্তই যথার্থ বলিয়া অনুমিত হয় । . এই : রে টি. দর্শনে আমরা যারপর নাই গ্রীতিলাভ করিয়াছি। মস্জিদটি 'লোহিত '. ্রস্তরে নির্মিত ও গুশ্বজত্রয়ে ভূষিত। ইহার সম্মুখভাগে বি পরা্ছণ এবং চারিদিকে চারিটী অত্যুচ্চ স্তস্ত। উহার উপরে: উঠিলে- লহোর নগর দেখিতে বড়ই স্থন্দর দেখায় । 2 এ রণজিতের দরবার-_শ্বেত মর্্মাপ্রস্তরে ির্িত। আট হইলেও উহার দৃশ্য মনোহর । এই গৃহে বসিয়াই মহারাজ রণজিশু সিংহ বৈদেশিক | ও সামন্তরাজগণের সহিত আলাপাদি কিংব! তাহাদের প্রেরিত দৃতগণের সহিত সাক্ষাত করিতেন। এই গুহটিকে ইংরেজেরা বিশেষ আদরের চক্ষে দেখেন, কারণ এই গৃহে বসিয়াই রণজিতের পু অভাগা দর্লীপ সিংহ ংরেজ গভর্মেপ্টের হস্তে পঞ্জাবের রাজ্যভার সমর্পণ করিয়াছিলেন। 7 .. মহারাজা রণজিও সিংহের জমাধি-মন্দির__-এই সমাধি মন্দিরটি অভ্যন্তরে পঞ্ডাবের চিরগৌরব, বীরকুলকেশরী রণজিৎ সিংহ চিরনিজ্রাগত। হায় পুরুষসিংহ ! একবার আসিয়া দেখ, তোমার ভবিষ্যঘ্বাণীই সফল হইয়াছে-_আজ ভারতের সর্বত্রই লালের একাধিপত্য ! ১৮৪০ গ্রীষ্টাব্দে এই 'সমাধিমন্দিরটি নির্মিত হইয়াছে । দেখিতে বেশ সুন্দর, কিন্তু পূর্ববাপেক্ষা ইহুরৈ শ্রী বহুপরিমাণে হাস হইয়া গিয়াছে । এখন উহাতে বন জ্ঞানী ও স্ৃবিদ্বান পঞ্চিত বাস করিয়া শান্্রালোচনা করিতেছেন । আমর! জনৈক বিষ্ভাবিশারদ পণ্ডিতের মুখে শান্ত্ের ব্যাখ্যা শুনিয়া বিশেষ তৃপ্তি ক্ষতি হইয়াছিল। তিনি এই নগরের অধিবাসিগণের প্রতি এতই অত্যাচার ভারত-দ্রমণ। করিয়াছিলেন যে, তাহার! নগর ছাড়িয়া পলায়ন করিতে বাধ্য ইইয়াছিল। ১৮৪৯ খ্রীষ্টাব্দে এই নগর যখন ইংরেজাধিকারে আসে, তখন ইহার চতুদ্দিক ভগ্ন অট্রালিকার স্তুপরাশিতে পরিপূর্ণ ছিল। পরে প্রতিবসর নৃতন নূতন অট্টালিকাসমূহ বিনির্িত হইয়৷ নগরের নব-ভ্রী। সম্পাদিত হইয়াছে । বর্তমান নগর ১৯২ বিঘ|! জমি লইয়া ব্যাপ্ত। উহা! পূর্বের ৩০ ফিটু উচ্চ ইষ্টক-প্রাচীরে বেষ্টিত ও তাহার চতুদ্দিকে পরিখা ও নগর রক্ষণোপযোগী ছুর্গ ও বুরুজাদিতে শোভিত ছিল। ব্রিটিশ গভর্মেণ্টের অধীনে আসিবার পর হইতে উহার পূর্বতন ৩০ ফুট উচ্চ প্রাচীর ভগ্ন হওয়ায় ১৬ ফুট উচ্চ প্রাচীর তৈয়ারী করা হইয়াছে । প্রাচীরের চতুষ্পার্্ববন্তী পরিখার পরিবর্তে এখন নানা জাতীয় স্থন্দর সুন্দর বিটপী- শ্রেণী সুশোভিত স্থরম্য উদ্ভানে নগরের সৌন্দর্য বুপরিমাণে বদ্ধিত হইয়াছে । কেবল উত্তরদিকের অংশ এখনও খালি আছে। _ মুরজাহীর সমাধি-_জাহাগীরের সমাধি দেখিয়া ফিরিবার সময় পথে জাহাগীরের প্রিয়তম! মেহের-উন্লেসার (নারীকুলের চন্দ্র) সমাধি দেখিতে গিয়াছিলাম। যে অদ্বিতীয় রমণীকে লাভ করিবার জন্য সম্রাট হুইয়াও জাহাগীর আশ্রিত ও বীরশ্রেষ্ঠ শের আফগানকে অন্যায়রূপে বধ করাইয়া- ছিলেন, এই খানে সেই সকল সৌন্দ্যললামভ়ূতা মেহের-উন্লেসার দেহাবশেষ নিছিত ছিল; কিন্ত কই? তাহা ত আজ আর দেখিলাম না' রাবীর প্রবল ক্রোতবেগে তাহার সমাধি-মন্দির,__সেই উচ্চ অট্টালিকা, এমন কি তাহার কবরের শেষচিন্ন পর্য্যন্ত ভাসাইয়া গিয়াছে । এখানে দাঁড়াইয়া পদতল বাহিনী রাবীর সেই কলনাদের মধ্যে কি শুনিতেছিলাম 1 রাবী যেন বলি- তেছিল-__হে পাস্থ! একবার রূপগনিরিত৷ ভূবনমোহিনী মেহেরের কথা ভাব! যে শের আফগান বিবাহিত! পত়ীরূপে মেছেরকে প্রাণ দিয়া ভালবাসিত-_ যে সেই রূপসীকে পাইয়া জগৎসংসারকে স্ুখাগার বলিয়! স্থির করিয়া- ছিল,_সেই বীরশ্রেষ্ঠ শের আফগানের মৃত্যুতে জাহাগীরের প্রেম- আবল্যে-মুগ্ধা, কালসাপিনী নুরজাহীা, প্রণয়ীর চরণতলে আত্মবিক্রুয় করিয়া ভারতেশ্বরী হইল । এই বিবাহ দিবসে তাহার হৃদয়ে কি এক পলকের নিমিততও মৃত-পতির স্মৃতি জাগরিত হইয়৷ এক বিন্দু জশ্রঃ বিসর্জনের ১৬৭. অবকাশ দেয় নাই ! এই সংযোগ কাহারও সখের হয় নাই। প্রথমে শের আফগান দ্বলিল, পরে মোগল সাম্রাজ্য ভ্রলিল, শেষে সম্রাট জাহাগীরকে পণ্ড করিয়া ফেলিল! কালে নুরজাহান গিয়াছে-"জাহাগীরও গিয়াছেন_ নুরজাহার কবরস্থানটুকু পর্য্যন্ত কালবশে নদীকোতে লোপ করিয়! দিয়াছে ; কিন্ত এই দুইজনে জগতে যে অভিনয় করিয়া গিয়াছেন, তাহা! কি কখনও লুপ্ত হইবে ? সেই কলঙ্ক-রেখ মুছিয়া ফেলিতে কালের কি সাধ্য হুইৰে? লাহোরের প্রাচীন দর্শনষোগ্য স্থানগুলি ব্যতীত বর্তমান ইংরেজ গভর্মেন্ট নির্্িতি চিফকোর্ট, গভর্মেন্ট হাউস প্রভৃতি আরও কতক- গুলি ইফ্টকালয় দর্শনষোগ্য । এতন্ডিন্ন পঞ্জাব ইউনিভাসিটি ও সেনেট হল (ইহা দেশীয় রাজ! ও নবাবরৃন্দের চাদায় প্রতিষ্ঠিত), ওরিএণ্টেল কলেজ, লাহোর গভর্মেপ্ট কলেজ, মেডিকাল স্কুল, সেণ্টাল ট্রেনিং কলেজ, ল-ন্কুল, ভেটারিনারী স্কুল, লাহোর হাই স্কুল, মেও হাসপাতাল, এগ্রিহটি- কালচারাল সোসাইটি গৃহ প্রভৃতিও দেখিবার জিনিব। এ স্থানের রেলওয়ে ফ্টেসনটি দেখিতে বড় স্বন্দর। ইহার ছুই পার্থে দুর্গের স্তন্তের স্যার ছুইটা স্তসম্ত মাছে । উহার উপর হইতে ইচ্ছানুযায়ী গোলা-গুলি নিক্ষেপও মিয়ানমীরের করা যায়। লাহোরের অনতিদূরে স্থপ্রসিঙ্ধ মিঞা-মীরের ছাউনি। ছাউনি। তথায় বহু সংখ্যক বিলাতী ও দেশীয় সৈন্য অবস্থান করে। আমাদের সৌভাগ্যবশতঃ আমরা এখানকার সৈগ্ভাদের একটা বিশেষ প্যারেড দর্শন করিতে পাইয়াছিলাম_ সেদিন স্থানীয় লাট ূ সাহেবও উপস্থিত ছিলেন। লাহোরে বিষয়কার্ধ্য উপলক্ষে বহু বাঙ্গালী বাস করিয়া থাকেন, তাহাদের ঘত্বে এখানে একটা কালীবাড়ী, একটা পুস্তকালয়, একটী বিদ্যালয় এবং একটা নাষট্য- সমিতি আছে। আমরা কালীবাড়ীতেই “দিব্য আরামের সহিত বাস! করিয়াছিলাম । অবসর সময়ে পুস্তকালয় সমুহ হইতে পুস্তক ও খবরের কাগজ ইত্যাদি পাঠ করিয় প্রতিষ্ঠাতা মহোদয়দিগকে আন্তরিক ধন্যবাদ দিয়াছি। বাঙ্গালীর ছেলে-মেয়েরা বাহাতে সুদূর পঞ্জাবেও একবারে ষাতৃ- ভাবা বিস্মৃত ন! হয়, তছুদ্দেশ্যেই এই বিদ্যালয়টি স্থাপিত। একদিন নাট্য- সমিতির অভিনয় দেখিলাম। সুদুর পাঞ্জাবে ব সাহাদের অভিনীত মেঘ 5 নানাকথা । ভারত-ভ্রমণ | আমাদের বিশেষ মনোরঞ্জন করিতে সমর্থ হইয়াছিল। শুনিলাম আমাদের কলিকাতাবাসী নটকুলশেখর ৬ অদ্ধেন্দুশেখর মুস্তফী মহাশয়ই যখন এখানে অবস্থিতি করিতেন, তখন তাহারই ষত্বে ও পরিশ্রমে এই দূর প্রবাসে বাঙ্গালী যুবকগণের মধ্যে নাট্যামোদের প্রথম প্রতিষ্ঠা হয়। তিনি এখানে অবস্থানকালে তাহারই নেতৃত্বে কাশ্মীর-রাজ-প্রাসাদে বাঙ্গালীরা নাট্যাভিনয় করিয়া আসেন । অদ্দধ্েন্ুবাবুই নিজে হিন্দীতে “সীতার বনবাস' এবং গুরু- মুখীতে “বুড়োশালিকের ঘাড়ের রৌ”--পাখণ্ড ভকত' নাম দিয় অনুবাদ করিয়া সেখানে অভিনয় করিয়া আসেন। ধন্য তীহার ক্ষমতা ! এই স্থদূর প্রবাসে আসিয়াও তাহার নাটকীয় প্রতিভার এবং নাট্যামোদ-প্রতিষ্টা- রূপ একমাত্র ব্রতের সংবাদ পাইয়। বিশ্মিত হইলাম । এখানকার লোকে এখনও কুতন্ভ্-হদদয়ে তাহার স্মৃতি বহন করিতেছে । যেখানে অধিক বাঙ্গালী সে স্থানে দলাদলি থাকিবেই থাকিবে । লাহোরে ও তাহার ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হইল না। আমর! আমাদের ক্ষুদ্র শক্তিদ্বারা এইরূপ সামান্য বিষয় মীমাংসা করিতে চেষ্টা করিয়াছিলাম, কিন্তু কৃতকাধ্য হইতে পারি নাই ; সর্ন্বোপরি সময়াভাবও বটে। প্রবাসে বাঙ্গালীতে-বাঙ্জালীতে কোনওরূপ বৈরভাৰ থাক! সর্দতোভাবেই অযৌক্তিক । লাহোরের জনসংখ্যা ১,৭৫১,০০০ | লাহোরের রাস্তাশুলি অধিকাংশ স্থলেই বক্র এবং সরু। অট্রালিকাসমূহ অধিকাংশই উচ্চ এবং শ্রেণীবদ্ধভাবে বিনিশ্মিত থাকায় নগরের তাদৃশ সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পায় নাই। নগর-প্রাচীরের বহির্ভাগে লাহোরী দ্বারের সম্মুখভাগ হইতে ষে রাস্তা বরাবর দক্ষিণমুখে গিয়াছে, উহাই সদর-বাজার রাস্তা বা আনার-কলির রাস্তা নামে পরিচিত। আনার-কলির পূর্বদিকে প্রায় তিন মাইলব্যাপী স্থান ডোনাল্ড-টাউন নামে অভিহিত । এস্থানে লরেন্স-উদ্ভান ও গভণর্মে ন্ট হাউস এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ ইউরোপীয় গভর্মেন্ট কর্ম্মচারিগণ বাস করিয়া থাকেন। স্থানীয় ভূতপূর্ন্ব ছোট লাট সার ডোনাল্ড মাক্লাউডের নামান: সারে এ স্থানের নাম ডোনাল্ড-টাউন হইয়াছে। এই ডোনাল্ড-টাউনের মধ্য দিয়াই মল (11411) নামক স্থপ্রশস্ত এবং সুন্দর রাস্তাটি আনার-কলি পর্য্যন্ত গিয়া মিলিত হইয়াছে । ১০৪. ১2৮2২ লাহোরের শিল্পকাধ্য উল্লেখযোগ্য । এখানকার রেশমীবন্ত্র,। শাল, সোনালী ও রূপালী সাচ্চা জরী, পাথরের খেলন! ইত্যাদি উদ্যোগ 4. এখানে আধুনিক সভ্যতার যৌবন-্রী পূর্মাত্রায় বিরাঁজমানা । বেজল ব্যাঙ্ক, আগ্রা! ব্যাঙ্ক, সিম্লা ব্যাঙ্ক, এলায়েন্স ব্যাঙ্ক অব্‌ দিনত কি কতকগুলি ব্যান্কও এখানে প্রতিষ্ঠিত আছে । ২ | রঃ ৯৯৫. ল্রাবভনন্সিতিও ? _ ভলাহোরের সংলগ্র বাদামীবাগ ফ্টেশন হইতে রাবলপিশ্ডি রওয়ানা হইলাম। পথে উজিরাবাদ, লালামুসা, বিলম প্রভৃতি প্রধান প্রধান স্থান এবং রাবী (ইরাবতী) চিনব (চন্দ্রভাগা ) ও ঝিলম (বিতস্তা) প্রভৃতি পঞ্চনদের স্থুবিমল আোতম্থিনী সমুহের উপরিস্থিত সুন্দর স্থন্দর সেতু দর্শনাস্তর হৃদয়ে অনির্ববচনীয় তৃপ্তি ও কৌতুহল জনিত সুখ অনুভব করিতে লাগিলাম। উজ্জিরাবাদ হইতে কাশ্মীর বা তূম্বর্গে যাইবার রেলবর্্ব আরম্ত হুইয়া শিয়ালকোট দিয়া প্রসিদ্ধ জন্ধু পধ্যন্ত বিস্তৃত হইয়াছে আর লালমুসা হইতে অপর একটা লাইন আরম্ত হইয়! পিগুদাদন খা, বুখার, দেরাদিন- জানা, মজ:£ফর গড় ও সেরস! প্রভৃতি স্থান হইয়া মূলতান পর্ধ্যস্ত বিস্তৃত হইয়াছে। এই অভিনব লাইনকে “সিগু সাগর রেলওয়ে কহে। লালামুসা অতিক্রম করিয়াই আমাদের বাম্পীয় শকট পার্বত্য পথে অগ্রসর হইতে লাগিল। গাড়ীর ভিতর হইতে উভয় পারের দৃশ্য পরম রমণীয় দেখাইতে- ছিল। নীরব গন্তীর ভাবে উত্ত্ন গিরিশ্রেণী উন্নত মন্তকে দণ্ডায়মান । তদ্গাত্রে শ্যামল বনরাজির অে শোভমানা, রজত-ধারা-বাহিনী, উপলঘাতিনী, স্বাদুনীরা নির্বরিণীসমূহ উপবীতের ম্যায় দোছ্যুলমান থাকায় প্রতি মুহুর্তে হৃদয়ে আনন্দ-উচ্ছাস বিকশিত করিয়া দিতেছিল। আমাদিগকে এই পার্বত্য পথে কখনও উর্ধে, কখনও নিন্সে কখন ঝ! স্থুরক্জ (টনেল) পথে যাইতে হইয়াছিল। বেলা ৭৩৩ মিনিটের সময় বাদামীবাগ ফেঁশন হইতে রওয়ান হইয়াছিলাম আর রাত্রি ৮১৩ মিনিটের সময় গাড়ী আসিয়া রাবলপিগ্ডি ফ্টেশনে উপনীত হইল । আমরাও গাড়ী হইতে জবতরণ করিয়া ব্রেকভ্যান হইতে লেপ-তোধকাদি শীতবন্ত্রের ও অন্যান্য দ্রব্যাদি বুঝিয়৷ লইয়া, রাস্তি প্রায় দশঘটিকার সময় একখান! গাড়ী ভাড়া! করিয়া নগরের দিকে রওয়ান। হইলাম। এখানকার কমিসারিয়েটের হেড্‌-এসিফ্টাণট শ্রীযুক্ত বাবু ব্রজ- মোহন মিত্র মহাশয়ের নিকট আমাদের একখানা অনুরোধ চিঠি ছিল, কিন্তু এত রাত্রিতে একজন ভদ্রলোকের বাসায় গিয়৷ তাহাকে বিরক্ত ১৩৬ 1121১) 59 51585 করা অন্যায় বোধে কালীবাড়ীর উদ্দেম্টেই রওয়ানা হইলাম। তথাকার. মায়ের সেবক ব্রক্মচারী শ্রীযুক্ত ভূষণচন্দ্র ভটচার্য্য মহুশিয় আমাদের আগমনে সসন্ত্রমে গাড়ী হইতে লইয়া গেলেন এবং অবস্থানের ও শয়ন ভোজনের বিশেষ স্থবন্দোবন্ত করিয়া! দিলেন। আমরাও সুদূর প্রবাসে এইরূপ সর্বপ্রকার স্থবিধা ও শান্তিলাভ করিয়া সেই অনস্ভতের উদ্দেশে হৃদয়ের কৃতজ্ঞত৷ না জানাইয়া থাকিতে পারিলাম না । আহারান্তে নিদ্রার আরাম- দ্রায়িনী শান্তিময় ক্রোড়ে ঢলিয়া পড়িলাম। রজনীতে মুষলধারে বৃষ্টি পতিত হইতে লাগিল্স। এটরিরানৃনর হইয়া উঠিল। আমরাও শীতবস্ত্র জড়াইয়া জড়সড় ভাবে প্রগাঢ় নিত্রা গেলাম। পরদিবস গাত্রোথান করিতে বেলা প্রায় আটটা বাজিয়া গেল। দ্বারো- দঘাটন করিয়া! দেখি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, সূষ্য্যের সহিত দেখা নাই, অরুণদেব বরুণদেবের নিকট পরাভূত হইয়া রহিয়াছেন। ইতিমধ্যে উল্লিখিত ব্রহ্মচারী মহাশয় আমাদের শয্যাপার্শে আসিয়া উপবেশন করিলেন এবং নানাবিধ সদালাপ করিতে করিতে কহিলেন, “আপনারা যে পরিমাণ শীতবন্্ লইয়া চলিয়াছেন, তাহা পূর্বাঞ্চলের পক্ষে প্রয়োজনাতিরিক্ত হইলেও এদেশের পক্ষে উপযুক্ত হয় নাই, কারণ আপনারা এস্থান হইতে যতই পশ্চিমদিকে অগ্রসর হইবেন, শীতের প্রকোপও ততই অধিক অনুভব করিবেন, অতএব এস্থান হইতে আরও কিছু শীতবন্ঞ্র ( পশ্মী কাপড়) সংগ্রহ করিয়া লউন 1” ব্রহ্মচারী মহাশয় বৃদ্ধ ও প্রাজ্ঞ তাহার এই উপদেশানুষায়ী কার্য করিতে অস্বীকৃত হইলাম না। প্রাতঃকৃত্য সমাপনান্তে একখানা অশ্বশকটে আরোহণ করিয়া ছাউনী- বিভাগের সমুদয় স্থান দর্শন করিলাম, এখানকার ন্যায় বৃহৎ সেনাবাস ভারতের আর কোথাও নাই--নগরের নিকটে মধ্যে মধ্যে ছাউনি বসাইয়া ও দুর্গ নিল্মীণ করিয়। ইহা! স্রক্ষিত করা হইয়াছে। কেল্লার সম্মুখেই কয়েকজন হাইল্যাপ্ডার্স সৈনিক দেখিতে পাইলাম । আমরা মুরাদাবাদ আ্মাগ করিয়া এইক্ধপ হাইল্যাপ্ডার্স সৈন্য অর দেখিতে পাই নাই। এ অঞ্চলের লোকেরা সাধারণতঃ ইছাদ্দিগকে লেংটা গোরা কহিষা থাকে । বাস্তবিকই ইহারা নগ্ন; পায়ে ফুল মোজা, ০০ ধান করে এরং ভারত-ভ্রমণ । হাটু পর্যন্ত লম্বা একট! গাউন ত্বার৷ সমস্ত শরীর আবৃত করিয়া রাখে, কাজেই সহজে ইহাদ্দিগকে উলঙ্গ বলিয়া অনুমান করা স্থকঠিন । ইহারাই গভর্মেন্টের প্রিয় অর্থাৎ শক্তিশালী সৈন্ত । মাধ্যাহ্নিক ভোজনান্তে পুনরায় নগর দেখিতে বাহির হওয়া গেল। প্রথমতঃ স্থুজন বাবুর মনোহর উদ্চান এবং তন্মধ্যস্থ তাহার স্থরম্য হস্ম্য দর্শনে পরমাহলাদিত হইয়া ইতন্ততঃ পরিভ্রমণ পূর্ববক বাজারে উপনীত হইলাম। সঙ্গে ব্রহ্মচারী মহোদয়ও আসিয়াছেন, তাহার শীতবস্ত্রের উপদেশটা মনে আছে। আমরা দোকানে যাইয়া কেহ কম্বল, কেহ ধূসা, কেহ কোট ও কেহ পটু, ক্রয় করিলাম। পট, এক প্রকার পশমী বন্ত্র-বিশেষ, দৈর্ধ্ে প্রায় বিশ হাত, প্রস্থে এক হাতেরও কিঞ্চিৎ ন্যুন। ইহা কাশ্মীর অঞ্চলে প্রস্তুত হইয়া থাকে । বনাত ও কাশ্মীর প্রভৃতি গরম কাপড় অপেক্ষাও ইহা সমধিক উষ্ণ । ইহার এক একটী থানে এক একজন পরিণত বয়স্ক ব্যক্তির একটা কোট, একটা পেন্ট,লান এবং একটা ওয়েষ্ট কোট হইয়া থাকে । রাবলপিণ্ডি সাধারণতঃ পিপি” নামেই অভিহিত হইয়া থাকে । এস্থানেই কাবুলের আমীরের অভ্যর্থনাসূচক বৃহশ্ড দরবার হইয়াছিল । বড়লাট ডফ্রিপণই উক্ত দরবার আহ্বানের মূল এবং তিনিই স্বয়ং উ“হার অন্যর্থনাকারী ছিলেন। দরকারের স্ছলটি বিশেষ প্রশস্ত ৷ রিটন চ্জনাজি রন্ধন কারন হইয়৷ জন্তু পর্যন্ত গিয়া স্থগিত আছে। ইহার পর পর্বততেদ করিয়া কতদিনে কাশ্মীরে উপস্থিত হইবে, তাহা ভবিষ্যদগর্ভে নিহিত । বর্তমান সময়ে রাবলপিগ্ড হুইয়াই কাশ্মীর যাওয়া সুবিধা এবং ভ্রমণ- কারিগণ এই রাস্তাতেই গিয়! থাকেন। সেদ্দিন কলিকাতা শ্যামবাজারনিবাসী জ্রীযুক্ত আশুতোষ মিত্র মহোন্য়ও এঁ পথেই কাশ্মীর গমন করিলেন। ইনি কাশ্মীর-রাজসংসারের ডাক্তার এবং প্রবাসী বঙ্গবাসীর মধ্যে ইহার নাম বিশেষরূপে উল্লেখযোগ্য ৷ বাঙ্গালীর ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য কালী-বাড়ীতে একটা বিষ্ভালয় স্থাপিত আছে । এতদ্যতীত গভর্মেপ্টেরও একটা উচ্চ-শিক্ষাদানোপযোগী বিষ্ভালয় ;এখানে দেখিলাম । এখানে যে কয়েকজন বাজালী জাছেন, তাহাদের ৯১৩৮৮ প্রায় সকলের সহিতই আমাদের সাক্ষাৎ ও আলাপ পরিচয়াদি হুইয়াছে। বাবু জারির রর ইহার: ্যায় নিরহকার ও আনারিক লোক: অতি অল্পই দেখিতে পাওয়া যায়। এস্থানে জলের কল থাকায় পানীয় জলের নিমিত্ত কোনও কষ্ট পাইতে হয় না। অধিবাসীর মধ্যে মুসলমানই বেশী। মট্টী যাইতে এখান হইতে পাঁচ ঘণ্টার অধিক সময় লাগে না। পঞ্জাবের মধ্যে রাবলপিণ্ডিই সর্ববশ্রেষ্ঠ স্বাস্থ্য-নিবাস। ছোট ছোট পাহাড়ের উপর বারাক ও বাড়ী নিশ্মিত হওয়ায় দেখিতে পরম রমণীয় হইয়াছে । যদিও রাবলপিণ্ডি ভারতের সীমান্তবর্তী নগর নহে, তথাপি এইখানেই বহুসংখ্যক সৈ্য বাস করে। ইহার চতুদ্দিকেই পার্ববত্যজাতির উৎপাতের কথা শুনিতে পাওয়া ষায়। শীত এখানে অত্যন্ত বেশী। এখানকার নদীর উপরে ষে নৌ-সেতু আছে, তাহা! অপর পারে আটক নগরের দুর্গ কর্তৃক সুরক্ষিত । এখানকার সমস্ত সেনানিবাস সহরের কেল্লা ও আটকের কেল্লার মধ্যস্থলে হওয়ায় বিশেষভাবে স্থরক্ষিত। ছাউনির নীচে নদীর নাম লেহ। মচী এখানকার সৈম্থগণের রোগনিবাস। সেখানকার ক্রয়ারী অর্থাৎ মদ-চৌলাই করিবার কাঁরখান৷ একটি দেখিবার বিষয় বটে, কিন্তু আমাদের যাওয়া ঘটে নাই । আটক পার হইয়া পেশোয়ার ষাইতে হয় । ১৬০) ৫০%পশ্শোক্সাম্ | অ্সীমরা রাবলপিগ্ডি হইতে পেশোয়ার যাইবার পথে মহাভারতোক্ত অত্যাশ্চর্য্য শিল্পচাতুর্ধ্য বিশিষ্ট ছূর্য্যোধনের একটা ছুর্গ ও তক্লিন্গে পুণ্য- সলিল সিন্ধুনদ এবং নদোপরি ইংরেজের শিল্পনৈপুণ্যের চিহ্ন স্বরূপ স্দৃঢ় সেতু দর্শনে আপনাদিগকে যারপর নাই কৃতার্থ জ্ঞান করিয়াছিলাম। স্থানীয় প্রবাদ, আটকের ছুর্গটী দুর্য্যোধনেরই নির্মিত। সিন্ধুনদ দেখিয়া কত কথ! মনে হইল; কি হিন্দু রাজত্বে, কি মুসলমানরাজত্বে এই সিম্ধু- তীরে কত যে অস্ভুত কার্য সম্পন্ন হইয়া গিয়াছে, তাহা নির্ণয় কর! স্কিন । এই পথেই সর্বব প্রথম আধ্যসভ্যতার বিকাশ, সেই অতীত- কাহিনী স্মৃতি-পথারূঢ় হইয়া চিত্বকে যুগপৎ বিস্ময়, হর্য ও আক্ষেপে অভিভূত করিয়া তুলিল। সিন্ধুনদকে ভারতের দ্বারস্বরূপ বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। একদিন এই পথেই দুদ্ধর্য তৈমুর ভারতে প্রবেশ করিয়া শোণিত-্োতে চতুদ্দিক প্লাবিত করিয়া দিয়াছিল ! নাদিরের প্রবলাক্রমণ এই পথ দিয়াই হইয়াছিল ! এই পথেই স্থলতান মামুদ বার বার লুখনব্যপদেশে সোনার ভারতে প্রবেশ করিয়াছিল! হায়! সিন্ধু, তোমার প্রবলতরজ তখন কোথায় ছিল? তুমি কোন্‌ মায়াকুহকে বন্ধ হইয়া এই সোনার মন্দিরের দ্বার খুলিয়! দিয়াছিলে ? মনের দুঃখে কবি গাহিয়া! গিয়াছেন “একতায় হিন্দুরাজগণ স্থখেতে ছিলেন সর্ববজন সেভাব থাকিত যদি পার হয়ে সিন্ধুনদী আসিতে কি পারিত ষবন ?” এখন অতীতের শোকোচ্ছস বিড়ন্বনামাত্র । পেশোয়ারে উপনীত হুইবার পূর্বে অনেকেই আমাদিগকে নানারূপ বিভীষিক! প্রদর্শন করিয়াছিলেন, কিন্তু আমরা নিখিল-শরণের শ্রীচরণ স্মরণ করিয়া নির্ষ্িক্ষেই তথায় উপনীত হইলাম । আমাদের নিকট কয়েকখানা অনুয়োধপত্র ছিল, তাহা থাকা 55 সকধেও আমরা কোনও বাক্গালী বাবুর বাসায় গমন না করিয়া! কালীবাড়ীতেই আডগা লইয়াছিলাম। এ অঞ্চলে অর্থাৎ আদ্মালা, সিম্লা, জলম্ধর, লাহোর, রাবলপিপ্ডি, পেশোয়ার ও মূলতানে এক একটা কালীবাড়ী সংস্থাপিত থাকার নবাগত ভিন্নদেশবাসী পর্যযটকগণের পক্ষে অবস্থানের জন্য কোনওযাপ রঃ অন্চ্ছন্দতা ভোগ করিতে হয় না। | পেশোয়ার ভারতবর্ষের সীমান্ত প্রদেশস্থ সমতল ভূমির পর ব্ি অধিবাসীর মধ্যে অধিকাংশই মুসলমান । এস্থান হইতে কাবুল ও লোয়াট- ( স্থবাস্ত ) নদীর স্ঙ্গমস্থল প্রায় ৬॥ ক্রোশ দূরে অবস্থিত । পেশোয়ারের তলদেশ-প্রবাহিণী নদীর নাম বারা__ইহা আকারে একান্ত ক্ষুদ্র । : রঃ পেশোয়ার জেলায় পেশোয়ারই প্রধান নগর এবং বিচার-বিভাগীয় সদর । এম্বান হইতে নয় মাইল পশ্চিমদিকে জামরূড নামক একটী দুর্গ আছে। এই জামরূড হইতেই কাবুল যাইবার "খাইবার পাস” নাষক সংকীর্ণ গিরিপথ আরম্ত হইয়াছে। তথায় গভর্মেন্টের একদল দেশীয় সৈন্য বাস করে। তাহাদিগকে 71:017061 79110 কহে । জামবরাড অতিক্রম করিয়া ্ যাইতে হইলে, পলিটিকেল এজেন্ট সাহেবের পাস আবশ্যক । সজে রক্ষক লওয়াও প্রয়োজন এবং সে জন্য ফি'ও দিতে হয়। খাইবারের পথ নিতান্তই বিপজ্জনক । পেশোয়ার হইতে জামরূড যাইতে যঙ্কারাজ রণজিশসিংহের সৈল্যাধ্যক্ষ হরিসিংহের একটা ছূর্গ পাওয়৷ যায়, ছুর্থটী_ সেরপুর নামক স্থানে স্থাপিত। ছূর্গের পাদদেশে সেরাপা নামক একটা শুক নদ। জামরূড ছূর্গও হরিসিংহের নির্মিত; তথায় তাহার য়াধি আছে। ছুর্গটীকে এখন বিশেষরূপে সংস্কৃত এবং সুদ কর! হইয়াছে । আমরা জনৈক পাক্জাৰী সৈন্যধ্যক্ষের বিশেষ অনুগ্রহে উক্ত ছুর্গের উপরিভাগে উঠিয়৷ চতুদ্দিকের নৈসর্গিক শোভ৷ দর্শনে চরিভার্থতা লাভ করিয়াছি। দুর্গের শিখরদেশে ব্রিটিশসিংহের গৌরব-নিশান 5 রহিয়াছে । এই ছুর্গ হইতেই খাইবার পাস রক্ষা হছইতেছে। | _ পেশোয়ারই উত্তর পশ্চিম রেলওয়ের পশ্চিম প্রান্ত এই শবদেই রেলের শেষ। আমরা ঘগদীশবরের অপার করুণাপুণে রেলব্সে র প্রান্তসীমা টি ). এ রা টি ৯১৬, ভারত-জমপণ। হইয়া যার পর নাই আনন্দান্ুভব করিয়াছিলাম । রেল যে এখানেই সীমাবন্ধ হইয়া থাকিবে, তাছা সম্ভবপর নন্তহ-_সময়ে নিশ্চয়ই জারও - বহুদূর পর্য্যন্ত বিস্প্ত হইবে । শুনিতে পাই এখন জামরূড পর্ধ্যস্ত রেলওয়েরজ্ব বিস্তৃত হইয়াছে । পেশোরারেই প্রাচীন গান্ধাররাজ্যের রাজধানী ছিল, তখন ইহার নাম ছিল পুরুষপুর। স্থদূর অতীতের সে সকল*্ঞ্পলাচীন চিহ এখানে এখন কিছুই বিদ্যমান নাই ; তবে পৃরেধে যে এস্থানে বৌদ্ধ মন্দির ও মঠ গোচর হয়। নগরের চতুদ্দিকে প্রায় ১০ দশ ফুট উচ্চ মাটীর প্রাচীর আছে। উহার মধ্যে মধ্যে নগর রক্ষকদের জন্য খাঁটিও বিদ্যমান আছে । এই মৃত্তিকা নিস্রিত ২.প্রাচীর শিখসা্দার, অবিতাবিল কর্তৃক নির্মিত হইয়াছিল। নগর প্রবেশের নিমিত্ত ১৬টি দ্বার আছে। প্রতি দিবস দরজাগুলির মধ্যে সর্ববপ্রধান-_ইহা প্রায় পঞ্চাশফুট প্রশস্ত । কাবুল হইতে আই, দ্বার পর্যন্ত বরাবর একটা সোজ! রাস্তা আছে বলিয়াই ইহার নাম কাবুল গেট হইয়াছে । সহরের মধ্যস্থলে একটা গাঁথা পয়ঃপ্রণালী প্রবাহিত। ইহার জলই নগরবাসীর একমাত্র অবলম্বন । এই জল কাবুলের অন্তর্গত পাবত্য লেওুয়! নদীর ঝরণা হইতে আসে ; এ নিমিত্ত গর্্টিকে প্রতিবসর এক নিদ্ধারিত দিনে কাবুল-গর্মেপ্টের প্রেরিত লোকের হস্তে-_কয়েক হাজার টাকা কর দিতে হয়। পেশোয়ার অধ পাঠানদের আড্ডা! বলিলে কোনও অততযুক্তি হয় না। 'আটক হইতে পেশোয়ার পরধ্যস্ত দীর্ঘ-কেশ-সগুল্ফদীর্ঘদাড়িবিশিষ, সবল, সুন্দর, দীর্ঘ, গৌর- কান্তি, পায়জামা-পরিহিত পাঠান ভিল্ন অন্য কোনও অধিবাসী দেখিতে পাওয়। যায় না। ইহার! পুস্ত নামক এক প্রকার ভাবায় কখোপকখন করিয়া থাকে । কয়েক বৎসর পুর্েব পেশোয়ারে দিব! ছ্িপ্রহরে পথ্যস্ত ডাকাইতি হইত ৷. পারথবর্তী অসভ্য খাইবারিগণ নিন্ছে আসিয়া যথেচ্ছ অত্যাচার কবিরা চলিয়া যাইত। গভর্মেপ্ট এস্থানে, শান্ডি-সংস্থাপনার্থ ,নাই। কাবুল পতর্সে্টকে ইংরাজ গভর্মেন্ট প্রতিদাসে ছইলক্ষ টাকা কাঠি কর দিতেছেন, পারব্তী খাইবারী প্রধান 'শ্াধান ; যক্কিদিগকে নবাব, “হবাদার' ইত্যাদি উপাধি দিয়া মাস মাস পাঁচশত করিয়া! টাকা নিতেছেন 7 তবু কি তাহারা চুপ করিয়া থাকে? : পার্বত্য দু্র্ষ ও. অবত্য: পাঠান জাতিরা সে প্রকৃতিরই নহে। পেশোয়ারে এখন বিশেষ. কোন অত চার না থাকিলেও উহার নিকটবর্তী গ্রাফ নহে প্রায়ই দাজা হাঙ্গামাহয়। পেশোয়ার কাবুলের রাস্তা । ইহা ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ও তৌগোঁলিক সীমার বহির্ভাগে অবস্থিত। স্থানীয় অধিবাদিগণের মধ্যে শতকরা ৯৫. জন মুসলমান এই নগরে এক লক্ষের বেশী পাঠান বাস করে, নগরের যে স্থানেই গমন কর, পাঠান ব্যতীত অতি অল্পই অন্য জাতীয় নরনারধী তোমার দৃষ্টি- গোচর হইবে । পেশোয়ার সত্য সত্যই শ্েচ্ছের নগর-_মস্জিদে- মস্জিদে, দর্গায়-দর্গায়, মক্বরায়-মক্বরায় এবং গোরস্থানে ইহা স্ুশোভিত। এমন রাস্তা নাই যেখানে গো-হত্যা না হয় এবং গোমাংসের কৌনও দোকাি না 'আছে। হিন্দুশাস্ত্রানুসারে ইহা একেবারেই শ্রেচ্ছ দেশ। কেনিও হিন্দু . অধিবাসীর কোনও উৎসবাদি করিতে হইলে কিংবা মৃতব্যক্তির সৎকারি করিত হইলে হিন্দুগণ সিন্ধু নদ পার হইয়া ভারতভূমিতে প্রবেশ করিয়া থাকেন $;- :-. পেশোয়ার নগর দুই ভাগে বিভক্ত-_-এক ভাগের নাম সহর- (9৮) অপর ভাগের নাম ছাউনী (641001017610) | ইংরেজ অধিবাসীরা কেহই সহরাংশে বাস করেন না, তাহারা ছাউনী বিভাগে বাস. (করেন। ইংরেজদিগের এখানে বড়ই উদ্বিগ্রচিত্তে বাস করিতে হয়) কারপ পাঠানগাজীর! ইংরেজের অত্যন্ত বিদ্বেধী। কোনরূপ সুযোগ 'প গাহি লে স্্হারা শ্বেতাক্জের বুকে ছুরি বদাইয়া দিতে পশ্চাৎপদ হ্র ;. এজন কি, ক্যাপ্টনমেণ্টের ভিতরে গিয়াও এই দকল উন্মত গাজীর সাহ্বদিক্ষকে নিহত করিয়া থাকে। ॥ প্রতিবৎসরই গ্রজীদের ক্র ব্‌ শ্বেতাঙ্গ পুক্ু্কে াঠাদিগের বিশেষ যোগ ঘটে; /কারদ সে ঠানপরী ভারত-ভ্রমণ । এই. সকল পিশীচ-প্রকৃতির গাজীগণ ন্থুযোগ বুঝিয়া কোনও হতভাগ্য সাহেবের হৃদয়ের শোণিতে অসি সুরঞ্জিত করে । রবিবার দিন ইংরেজেরাও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করিয়া থাকেন ; গির্জার পথে উভয় পার্খে বত পুলীশ প্রহরী এবং ব্রিটিশসৈগ্য শাণিত তরবারি হস্তে প্রহরায় নিষুক্ত থাকে । _ পেশোয়ারের নগরভাগ হইতে ছাউনীর অংশ অধিক পরিষ্কৃত, সে স্থানে বহু সৈম্ত বাস করে। তথায় মোমজামার কাপড়, সৃতার কাজ, ছুরি, কাচি এবং বনু লৌহান্তবও প্রস্তত হইয়া থাকে । ক্যাণ্টনমেণ্টের মধ্যে সুন্দর উদ্যান, রেস কোর্স (২০০ 0০0159) রোমান ক্যাথলিক গির্ডভ। প্রভৃতি আছে। মিসন হাউসের মধ্যে একটা অতি স্বন্দর লাইব্রেরী আছে। . মহারাজ রণজিৎসিংহের রাজত্বকালে খাইবার অঞ্চল উৎকৃষ্টরূপে শাসিত ছিল । হরিসিংহ বা! হর্সিং নামক রণজিতসিংহের সেনাপতি ১৮১৮ ্বীষ্টান্দে সাহসী শিখসৈন্য দ্বারা পেশোয়ারীদিগকে এরূপভাবে দমন করিয়াছিলেন যে অগ্ভাপি পেশোয়ারিগণ তাহার নামে শিহরিয়া উঠে । হিন্দু- নরনারী ও শিখদিগের প্রতি পাঠানেরা যেরূপ উপদ্রব করিত, হরিসিংহ তজ্রপ দণ্ড দিতে পশ্চাশুপদ হন নাই। ত্রাহার কঠিন-শাসনে এই ছুদ্ধর্ম পাঠানও মেষ-শীবকের মত নিরীহ হইয়! উঠিয়াছিল। ২৭ বশুসরের যুবক সেনাপতি হরিসিংহের এইরূপ অসাধারণ বীরত্ব ও কঠোর-শাপনের নিমিত্তই রণজিত- সিংহের শাসনসময়ে পাঠানগণ কোনও রূপ অত্যাচার করিতে সাহসী হয় নাই। হুরিসিংহকে ভীষণ নৃশংসতার সহিত ইহাদিগকে দমন করিতে হয়।. কথিত আছে যে, তাহার কঠিন আদেশে খাইবারিগণ গবাদি পশুর ন্যায় (জলাশয় হইতে ) মুখ ডুবাইয়া জলপান করিত এবং শয়নকালে প্রথমতঃ বক্ষভাগ শব্যায় স্থাপন করতঃ (উবুড় হইয়া ) শয়ন করিত, তরবারের সুষ্ঠ কাহারও রাখিবার অনুমতি ছিল না-_কেহ রাখিতও না । খাইবারিগণ এখনও যেন হরিসিংহ জীবিত আছেন, এইরূপ বিবেচনা করিয়৷ উক্ত প্রথা সকল পরিত্যাগ করে নাই। পেশোয়ারের মধ্যস্থলে একটা স্থান আছে, তাহার নাম “হরিসিংহের মাতম্”__এম্থানে বীরেন্দ্র হরিসিংহের তরবারির আঘাতে সহজ্জ সহজ পাঠান নিহত হইয়াছিল, অগ্ঠাঁপি পাঠানেরা এই মাতম্‌ গা ২১5 ক ৯১৪ | হরিসিংহ যেরূপ ভাবে পাঠানদিগকে দগুপ্রদান করিতেন, আমর পাঠকবর্গের কৌতুহল নিবৃত্তির জন্য এস্থানে তাহার. একটা লিপিবদ্ধ কন্িক 2 পতিদিগকে ধৃত করিয়া একত্র উপরেশন করাইয়া, তাহাদের, মধা্থানে একী বৃহদাকার স্ৃগ্য়পাত্রে তপ্ত অঙ্গার রাখা হইত এবং মনেই অঙ্গারপূর্ণ স্রাড়িতে শুষ্ক লঙ্কা-মরিচ নিক্ষিপ্ত হইত। পাঠানের! সেই ধূমে. কাসিতে কাসিতে প্রা ত্যাগ করিত। বড় বড় লম্বমান দাড়িযুক্ত পাঠানদিগের পরস্পরের. দ্বাঁড়িতে দাড়িতে বাঁধিয়া তাহাদের মাথ! ফাটাইয়! দেওয়া হইত। কাহাকেও বা উন্মস্ত সারমেয় বা শুগালের দ্বারা দংশন করান হইত.। কাহাকেও উর্ধপ্দ এবং অধোশির করিয়া বৃক্ষশাখায় ঝুলাইয়! শাণিত ছুরিক-দ্বারা তাহার . গায়ের চণ্ম খুলিয়া ফেলা হইত ।-_এইরূপ ব্যবহার নৃশংসজ্নোচিত কি না, তাহার বিচার করিতে চাহি না, কিন্তু নিরপরাধ শিখ ও হিন্দু পুরুষ এবং সতী ক্ত্রীলোকদিগের উপরে পাঠানেরা যে সয়তানী ব্যবহার করিয়াছিল, তাহাতে তাহারা যে কঠোর দণ্ডের উপযুক্ত ছিল, তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই। এখানকার বাজারে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি মমুদয়ই পাওয়া যায়। মাংস এখানে খুব সম্তা। এস্থানের তুল, অত্যন্ত প্রসিদ্ধ, আমরা ১৫২ পনের টাকা মণের একমণ তগুল ক্রয় করিয়া দ্বেশে পাঠাইয়াছিলাম। তলের মণ ২০২ কুড়ি টাকা পধ্যন্তও এখানে আছে। আঙ্গুর, কিস্মিস্‌ ইত্যাদি ফল এখানে অত্যন্ত সম্ভা। আম্নরা যেরূপ আঙ্গুরের বাঝ্স এবং কিস্মিস্‌ আমাদের দ্রেশে দশ আনা বারো-আনায় ক্রয় করিয়া থাকি, পেশোয়ারে তদপেক্ষা উৎকৃষ্ট জিনিষের মূল্য টি আনা তিন আনার অধিক নহে। | পেশোয়ারে পলিটিকেল এজেন্ট, কমিশনার প্রভৃতি কয়েকজন, বিচারক আছেন। ফৌজদারি বিচার-সম্বদ্ধে ভারতীয়. দগুবিধির ৪৫ আইন ব্যতীত ক্রিশ্টিয়ার ল” নামে আর একখানা! আইন আছে। হননকারীর অনুকূলে যাহার! সহায়তা করে, তাহাদের প্রতিও গুরুতর্‌ দণ্ড ব্ধান হ্য। পেশোয়ারে: বাঙ্গালীর সংখ্য। খুব অল্প।. আমরা. যখন: গিয়াছিল (সেখানে মাত্র তিন চাঁরি জন বাজালী ছিলেন. আমরা এখানকার বাঙালীদের সঙ্গে আলাপ পরিচয়ে বিশেষ মাননালাভ; করিয়াছি ।. কমি-: সারিয়ে বড় বাবু লোক: সদাশয় লোক, একবার উহার সি আলাপ পরিচয়াদি হইলে, তাহাকে ভোলা! . যায় না। তিনি আমা- দিগকে একদিবস ভবীহার বাসায় নিমন্ত্রণ করিয়া দক্ষিণহন্তের ব্যাপারট। উত্তমরূপে. সম্পাদিত রুরাইয়াছিলেন। পেশোয়ারের এই ক্কালীমন্দিরটি অনেকদিনের প্রাচীন, কিন্তু সৌভাগ্যের বিষয় এই যে মুসলমানেরা এপর্য্যস্ত এই দেবীমন্দিরের প্রতি. কোনওযপ অত্যাচার করে নাই। পূর্বে নাকি এখানে “বঙ্গসাহিত্য সভা” ও একটা “বাঙ্গালা পাঠাগার ছিল, দুর্ভাগ্যের বিষয় এখন. আর তাহা নাই। এই নগরে বড় ঘন ঘন ভূমিকম্প হইয়া থাকে,_সময় সময় মাসে পাঁচ সাতবার করিয়াও ভূমিকম্প হইতে দেখা যায়, বোধ হয় এইনিমিত্তই এখান- কার অধিকাংশ গৃহ কাষ্ঠনিশ্মিত। পেশোয়ার ব্যবসায়ের একটা কেন্দ্রস্থল। পারশ্য পেশা শব (ব্যবসায়) হইতে পেশোয়ারের নামোতপঞ্তি 'হইয়াছে। হিন্দী উচ্চারণ-_-“পেশাবর” | রাত্রি দশঘটিকার পরে কাহারও আলোকব্যতীত পথে চলিবার অধিকার নাই। হাতে কোনওরূপ আলোক না থাকিলে কিংবা তিনবার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উত্তর না দিলে, অমনি প্রহরীদের হস্তে দণ্ডিত হইতে হয়, এমন কি গুলি পধ্যন্ত করে। . খাইবারিগণ কাষ্টাদি বিক্রয়োপলক্ষে পেশোয়ারে আসিয়া থাকে । আমরা একদিবস নগরভ্রমণকালে অনেকগুলি খাইবারীকে একত্র দেখিয়া কিছু শঙ্কিত হইয়াছিলাম। ইহারা নরাকার পশুবিশেষ-- গারো, কুকী প্রভৃতি অসভ্যজাতি অপেক্ষাও ইহাদের ব্যবহার জঘন্য । পেশোয়ার নগরের একক্রোশ পশ্চিমদিকে এখানকার স্থবিখ্যাত গোরাবাজার (1115 00001711৩00 অবস্থিত। ১৮৪৮৯ খ্রীষটাব্জে এই. নগর ইংরেজদিগের অধিকৃত হয়। রেসিডেপ্ট সাহেব ছুরানী সর্দার আলী- মার্দীন খীর উদ্ভানবাটীতেই বাস করিয়া থাকেন__দপ্তরখানা, রাজকোষ প্রভৃতি এখানেই স্থাপিত-_এই সৈনিকনিবাস তিনটা শ্রেণীতে স্থুসভ্ভিত-_ সমগ্র ছাউনীর বেড় প্রায় ৮৯ মাইল পরিমাণ হইবে-_নৌসহর, জামরুড বং চেরাঁটের দুর্গ এই প্রধান দুর্গের অধীন। | আমরা গুলোই ২ সং ক্ষুভাবে এ. নগরের বসাবণিজ্োর যা ১১৬ গ ছি ইহা রা মহাদেশের অন্যন্য: দেশের সহিত. ভারতীয় বাণিজ্যের কেন্দ্র স্বরূপ । এ্থান হুইতে যেরূপ. শাল, চিনি, ঘ্বত, লবণ, গম, তৈল, শল্তাদি, ছুরি, কাচি এবং বিলাতী বন প্রভৃতি এসিয়ার অন্যান্য প্রদেশে প্রেরিত হইয়া থাকে, তন্রপ আবার কাবুল, বোঁধারা প্রভৃতি নানাদেশজাত অশ্ন, অশ্বতর, রেশম, পেস্তা, কিস্মিস্, পশম, ওষধি, পুস্তিন্, চোগা, স্বর্ণমুদ্রা, সোনা রূপার সুতা ও ফিতা ইত্যাদি নানাবিধ দ্রব্য পেশোয়ার দিয়া শরীর, | বোস্বাই, মান্দ্রাজ কলিকাতা প্রভৃতি অঞ্চলে রপ্তানী হইয়া খাকে। পেশোয়ারের জলবায়ু বিচিত্র রকমের, এখানে শীতের, সময় এরূপ ভয়ঙ্কর শৈত্য অনুভূত হয় যে ইংলশু, স্থইজারলাণ্ড প্রভৃতি পাশ্চাত্য দেশের শীতের সহিত তাহার তুলনা করা যাইতে পারে। এদিকে যেমন শীতের প্রকোপ অধিক, গ্রীব্ষের সময় তেমনি নিদাঘের খররৌদ্রের ভয়ঙ্কর উত্মতাও উপলব্ধি হয়। তখন ললু'র অত্যুঞ্ণ প্রবাহে--প্রস্তরের উষ্ণতায় _-পর্ববতের উষ্ণতায় প্রাণ ছট্ফট্‌ করে। বলা বাহুল্য যে, নবাগত অনভ্যস্ত পর্যটকের পক্ষে তাহা সহা করা অসম্ভব। মোটের উপরে পেশোয়ারের জল-বায়ু স্বাস্থ্য-প্রদ ৷ এ 0. আমাদিগকে জামরূড হইতেই অন্যদিকে ভ্রমণের গতি ফিরাইতে হইয়াছিল। বড় ইচ্ছা ছিল কাবুল যাই, কিন্তু সেখানে যাইতে হইলে যেরূপ আয়োজনের প্রয়োজন, তাহার কিছুই করিতে পারি নাই এবং হঠাত অপরিণামদর্শার মত সে পথে অগ্রসর হওয়া যুক্তিযুক্ত বিবেচনা! করিলাম না। জামরূড হইতেই খাইবার পাস দেখিতে পাওয়। যায়। পাঁশের উভয় পার্থে ছয়শত হইতে প্রায় সহত্র ফিট উচ্চ পাহাড়। এ পাহাড়ের পার্ে আবার তদপেক্ষাও উন্নত পর্ববতশ্রেণী, ইহার মধ্য দিয়া যে সংকীর্ণ বক্রপথ প্রায় দেড় ক্রোশ পর্য্যন্ত বিস্তৃত, তাহাই “পাস” নামে অভিহিত। ইহা অত্যন্ত বিপদ-সন্কুল। পদে পদে .এই পথে ডাকাইতি চুরি ও রাহাজানির.ভয়। জামবূডের প্রায় তিন মাইল দুরবর্তী কদম নামক আমের বর লেওুয়া নদীর জল নির্্ঘল ও স্থমিষ্, এই জলই পেশোয়ারে আনীত হইয়া! থাকে। ইহ পূর্বেই বলা হইয়াছে। সরকারী, ঘড়ন লই কেহ টি খিন্বে, ২১১৭ বাবসাবাণিজ্য জলবায়ু। ভারভ-ভ্রমণ। যাইতে পারেন না। জামরূড হইতে প্রায় আট ক্রোশ দুরবর্তী আলি- মসজিদ পধ্যন্ত গাড়ীতে যাওয়া যায়, তৎপরে লুণ্ডিকোটাল পর্য্যন্ত ঘোড়ায় যাইতে হয়।- প্রতি মঙ্গলবার এবং শুক্রবার বণিকদিগের নিমিন্ত পাসের দরোজ। খুলিয়া দেওয়া হয়। সে সময়ে শাস্তিরক্ষার্থ ব্রিটিশ গভর্মেন্টের আফ্রিদী সৈম্ধগণ নিক্ষাসি্ট কুপাণহস্তে পাসের ছ্বার রক্ষা করিয়! থাকে । মোট কথা খাইবারপাস দেখিতেও যেমন ভীষণ ইহার 'পার্খববস্তী অধিবাসপীরাও তেমনি ভয়ঙ্কর। জামরূড হইতে যখন পেশোয়ার ফিরিয়া আসি, তখন আমার ভ্রমণাশক্ত চিন্ত বড়ই ব্যথিত হইয়া উঠিয়াছিল ;--সে ষেন বলিতেছিল “অই যে তোমার নয়ন সমক্ষে তু্জ ' গিরিশ্রেণীপরিশৌভিত যবনিকা পতিত থাকিয়া দৃষ্টিপথরোধ করি- তেছে, চল একবার দেখিয়া আসি উহার অভ্যন্তরে কোন্‌ অভিনব প্রদেশের পাত্রপাত্রিগণ অভিনয় করিতেছে ! চল, যবনিকা ভেদ করি-__ প্রস্তুত হও ।” বাস্তবিক সে সময়ে আমার কৌতুহল এতদুর বৃদ্ধি পাইয়াছিল যে, অতিকফ্টে আপনাকে সংযত করিয়া ফিরিতে হইয়াছিল। ভ্রমণের একটা আকর্ষণ শক্তি আছে-_সহসা তাহার আকর্ষণ হইতে মুক্তি পাওয়া--তেমন ঘর মুখো লোক ছাড়া অপরের পক্ষে অসম্ভব। এ আকর্ষণী শক্তির হাত হইতে ধাহাঁরা মুক্তিলাভ করেন, তাহাদিগকে আমি হতভাগ্য বলি, কারণ জগতে জন্মগ্রহণ করিয়। যদি কেবল ব্যসনাসক্তচিন্েই দিন কাটাইলাম, _দি জগংপিতা জগদীএরের বিভিন্ন রূপ-বৈচিত্র্য অনুভব না করিলাম এবং ভিন্ন ভিন্ন দেশবাসী জনসাধারণের আচারপদ্ধতি, রীতি-নীতি না দেখিলাম, প্রাচীন ইতিহাস অধ্যয়ন না! করিলাম, তবে জীবনধারণ করিয়া কি লাভ ? ভ্রমণের ভিতর যে কি অপূর্ব শাস্তি-স্থধা নিহিত আছে, তাহা ধিনি কখনও পধ্যটনে বাহির হন নাই, তাহাকে বুঝাইতে যাওয়া ৪ ব্যতীত আর কিছুই নহে। পেশোয়ার ভ্রমণ শেষ হইলে, আমরা পুনরায় আমাদের গতি ফিরাইয়া মূলতানের দিকে ফিরিলাম। জামরূড হইতে মুলতান আসিতে যে সকল নদ নদী সেতু এবং ঞ্ীসদ্ স্থান দৃষ্টিগোচর বাহির তাহা ০ শুভাতার্থ নিনে বিবৃত করা গেল । ১১৮ নদনদী-__সিন্ধু, বিতস্তা, চন্দ্রভাগা ও ইরাবতী। : 2 সেতু--উল্লিখিত কয়েকটি নদীর উপরেই সুদৃঢ় সেতু। তন্মধ্যে গাটকের নিকট সিদ্ধুনদের সেতু নিরবচ্ছিন্ন লৌহময়। চন্দ্রভাগার সেও অত্যন্ত বৃহৎ। তু প্রসিদ্ধ স্থান_-পেশোয়ার, নোসেরা, আটক, কেম্েলপুর, হুসেন আবদুল, রাবলপিগ্ডি বা পিণ্ডি, ঝিলম, লীলমুসা, গুজরাট, উজিরাবাদ, লাহোর, মিএামীর, রেউণ্ড, মণ্টগমারী ইত্যাদি । লালমুসা হইতেই মুলতান পথ্যন্ত - রেল গিয়াছে, এই রেলওয়ে লাইনের নাম “সিগু-গার রেলওয়ে ।৮.. এই রেলপথে গমন করিলে হারাণপুর, পিশ্ীদাদ্‌ন্‌ খা, বখার, দেরাদিন, পালা, মহন্মদকোট, মজঃফরগড়, সেরসা, দেরাইস্মাইল খ' প্রভৃতি বহুস্থান দেখিতে পাওয়। যায়। সেরসার নিকট সিম্ধুর আর একটি আশ্চর্য সেতু আছে। উজিরাবাদ হইতে শিয়ালকোট দিয়৷ কাশ্মীরের অন্যরাজধানী জন্বু পধ্যন্ত এক শাখা রেলপথ গিয়াছে । . লাহোর হইতে মূলতান ও করাচি অভিমুখে যে পথ গিয়াছে, তাহার এক শাখা ফিরোজপুর পর্য্যন্ত বিস্তৃত। আবার তথ! হইতে রেল পরম্পরায় দিল্লী পধ্যন্ত যাওয়া যায়, ইহা বড়ই ন্ৃবিধাজনক রাস্তা । লাহোর হইতে মুলতান ২০৭ মাইল দূরে অবস্থিত । রেল বর্টি ইরাবতীর বিশাল সমতল ক্ষেত্রের মধ্য দিয়া সরলভাবে বিস্তৃত হইয়াছে। এইরূপ সরলরৈধিক স্থবিস্তৃত রেলপথ ভারতের আর কোথাও আছে কিনা সন্দেহ স্থল। মুলতান যাইবার পথ বড়ই বৈচিত্র্যময়, সে বিচিত্রতা বাংল! দেশে আমরা কোন দিন অনুভব করিতে পারি নাই ; রেলপথের উভয় পার্শস্থ দৃশ্যাবলী প্রত্যেক বিষয়েই আমাদের নিকট নূতন বলিয়া প্রতীয়মান হইতেছিল-_-কোথাও দিগন্ত- বিস্তৃত বৃক্ষবল্লরীহীন তরঙ্গায়িত বালুকাময় ভূমি, উজ্জ্বল দিবালোকে ঝকমক্‌ করিয়! জ্বলিতেছে, কোথাও বা হরিন্বর্ণ তৃণাবৃত বন্তধাস্ন্দরী শোভমানা-__ আবার কিছু দূরেই সে দৃশ্য পরিবস্তিত হইয়! গিয়াছে। উভয় পার্থে খড্ভুর-তরু-সমাকীর্ণ শ্মামল শপ্পাবৃত প্রান্তরে গো মেষ, মহিষাদি চরিতেছে। এরূপ দৃশ্যবৈচিত্র্যে হৃদয়ে যে অনীম আনন্দানুভব রিয়া- ছিলাম, তাহ কি ভাবায় ফুটিতে পারে ? একটা সামান্য টনের অনা স্থষমার ভিতরে বিশষপতি জগদীশ্বরের যে মহিমা বিকাশ পাইতেছে_ যা র ' আমার কি সাধ্য আছে যে, তাহা পরিব্যন্ত করিতে পারি ? অই যে উষার শ্লথ চরণ স্পর্শে পুর্বাকাশে ঈষশুরক্তিমাভা! ফুটিয়া উঠিয়াছে,__এমন চিত্রকর কে আছে যে, তাহা তুলিকাপাতে প্রতিফলিত করিতে পারে ? অই যে সান্ধ্যগ্গনের ভ্লান আভার , এখনও অস্তগামী সূর্য্যের বিদায়-চুম্বনের পাঁডুর চিহ্ন -জাগিয়া৷ রহিয়াছে-প্রকে আছ এমন' কবি, যে ভাষার ঝঙ্কারে মানবের মানসপখে সে মহাসৌন্দে্র একটা আংশিক বিকাশও করিয়া দিতে পার ?. সত্য সত্যই মানুষের এমন "সাধ্য নাই যে নিখিল ব্ঙ্ষাপ্ের এক কণা সৌন্দর্য্য ও নিজে বুঝিয়া অপরকে বুঝায়। | ! ৯২৪ স্মভনত্ভান 1. আমরা অপরাহ্ন ৪-২০ মিনিটের সময় মূলতান ফেঁসনে উপনীত হইলাম। এস্থান আমাদের সম্পূর্ণ অপরিচিত, সেজন্য এখানকার কমিসরিয়েট বিভাগের জনৈক কর্মচারী শ্রীযুক্ত রাধাকিশোরকুণড মহাশয়ের নামে একখানা অনুরোধপত্র আনিয়াছিলাম। আমরা তাহার গলগ্রহ হওয়া অপেক্ষা কালীবাড়ীতে থাকাই উত্তম বিবেচনা করিয়া শকটা- রোহণে কালীবাড়ীতে উপনীত হইলাম। ইতিমধ্যে কু মহাশয় জানি না কিরূপে সংবাদ পাইয়া আমাদের নিকট আদিলেন এবং তাহার বাসায় যাওয়ার জন্য বিশেষরূপে অনুরোধ করিলেন। দেখিতে দেখিতে আরও কতিপয় বাঙ্গালী ভদ্র মহোদয় আসিয়া নিজ নিজ বাসায় লইয়া যাইবার জন্য বিশেষরূপে অনুরোধ করিতে লাগিলেন, আমরা তাহাদের এইরূপ স্বজাতিগ্রীতি ও যত চেষ্টার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ প্রদান করিয়া পৃথকতাঁবে অবস্থান করার ইচ্ছা প্রকাশ করায়, তাহারা লাইব্রেরী গৃহটি খুলিয়া, থাকিবার জন্য সর্বপ্রকার স্থবন্দোবস্ত করিয়া দিলেন । | মূলতান দেখিবার জন্য আমাদের এতই গুৎস্থক্য জন্িয়াছিল যে অনশন ও রাত্রি জাগরণজনিত র্লেশ পধ্যন্তও আমরা বিন্মৃত হইয়। গিয়াছিলাম। বাসস্থানে তল্মী-তল্লা রাখিয়াই নগর দেখিতে বাহির হইলাম। মুলতান পঞ্জাব প্রদেশের একটা প্রধান নগর এবং উক্ত জেলার বিচার-সদর। ইহা অত্যন্ত প্রাচীন নগর । কথিত আছে যে দৈত্যকুলোস্ূত হিরণ্যকশিপুর পিতা কশ্থুপ এই নগর স্থাপন করিয়াছিলেন। তখন ইহার নাম ছিল কশ্যপপুর/_প্রাচীন কণ্ঠুপপুরের কোনও নিদর্শন এখানে - দেখিতে পাওয়া যায় না। মহাবীর আলেকজেগারের আক্রমণ হইতেই এই নগরের প্রাচীন ইতিবৃত্ত জানিতে পারা ষায়। তিনি মালবজাতিকে যুদ্ধে পরাজিত করিয়া এস্থান অধিকার করিয়াছিলেন ; পাঠান, মোগল ও শিখ প্রভৃতি নান! জাতির অধীনে বহুকাল থাকিয়া ১৮৪৯ প্রাচীন ইতিবৃত্ত । ১৬. পা ১2 ৯০8০৭ টড ক, তারত-জ্রমণ | ্বীষ্টাব্দে ইহা ইংরেজাধিকারে আসিয়াছে । ইংরেজাধিকৃত হইবার পর হইতেই এ নগরের বনু পরিমাণ উন্নতি সাধিত হইয়াছে ও হইতেছে। আমরা প্রথমে কেন্টনমেন্ট দেখিতে যাই । উহা! নগরাংশ হইতে প্রায় ৩। মাইল দূরে অবস্থিত । মুলতান সহরও নগর এবং ছাউনী এই ছুই ভাগে বিভক্ত। নগরাংশ অপেক্ষা ছাউনীভাগ পরিক্কৃত; তথায়ই অধিকাংশ বাঙ্গালী ভদ্রমহোদয়গণ বাস করিয়া থাকেন। নগরের একটী বাঙ্গালী ভদ্র লোক আদালতের প্রধান উকীল । মূলতান নগরটি চন্দ্রভাগ!, ইরাবতী ও বিতস্তা সঙ্গমের দেড়ক্রোশ পূর্ববাংশে অবস্থিত। এ স্থানে একটা ছুর্গ ছিল, অগ্যাপি তাহার ভগ্নাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায় । নগরের তিন দিক উচ্চ প্রাচীর দ্বারা বেগ্টিত--কেবলমাত্র দক্ষিণীংশে ইরাবতী নদীর প্রাচীন খাত নগর ও দুর্গের অভ্যন্তর দিয়া ক্ষীণধারায় মম্র গমনে প্রবাহিত হইতেছে । মূলতানের আশে পাশে অনেক দেবমন্দিরের ভগ্নাবশেষ রহিয়াছে । আমরা প্রহলাদপুরীটি দেখিবার জন্য উৎস্থকমনে তথায় উপনীত হইলাম | একটী স্থবিশাল মন্দির মধ্যে হরিভক্ত প্রহ্লাদ, হিরণ্যকশিপু এবং নৃসিংহমৃত্তি দর্শনে হৃদয়ে অপূর্ণ ভক্তির ভাব উচ্ছ সিত হইয়া উঠিল। দয়ের দৃঢ়তা ও একাগ্রতা থাকিলেই যে সাধকেরা সিদ্ধিলাভ করিতে পারেন---প্রহ্লাদের জ্রীবনে তাহা পর্ণরূপে বুঝিতে পারা যায় । যেখানে হিন্দুর দেব-মন্দির, প্রায় সেখানেই মুসলমানের কোনও মস্জিদ কিন্যা সমাধিমন্দিব দেখিতে পাওয়! যায । কাশী-বিশ্শেশ্বারের বাড়ীর, অযোধায় রামের জন্মভূমির এবং অন্া্য দেবস্থানের মস্জিদই তাহার উদাহরণ স্থল। প্রহ্লাদপুরীর মন্দিরসন্গিকটেও একটী মুসলমানের সমাধি জাছে, উশ্তাকে বাতুল হক সাহেব ফকীরের সমাধি কহে। একদা প্রহলাদ- পুরীর মন্দির অপেক্ষা তন্নিকটে মুসলমানগণ একটা উচ্চ মস্জিদ নিশ্াণ করিতে গিয়া হিন্দু পাণ্ডাগণের মহাক্রোধে. পতিত হুইয়াছিল। এমন কি তাহা লইয়া উত্তয় পক্ষের মধ্যে তুমুল দাজাও ঘটে। রাজকীয় বিচারে মুসলমানগণ পরাজিত হওয়াতে--উত্ত মস্জিদ আর নির্মিত হইতে পারে নাই। | ৯ ১২২. জন 1 র আমরা বিশেষ আনন্দের মিরাজ দর্শন ক করতঃ যোগমায়ার | মন্দির দর্শনার্থ তথায় যাই। সেদিন একাদশী ছিল, হিন্দুনরনারীগণ দলে দলে মন্দিরে উপনীত হইতে লাগিলেন । নানাজাতীয় বিধন্মীর তীব্র অত্যাচারের মধ্য দিয়া ও হিন্দুধন্রের এইরূপ অক্ষয় স্থিতির কথ! চিন্তা করিলে বিস্মিত না হইয়া থাকিতে পারা যায় না। নানাপ্রকার অন্ধকারের ভীষণাবস্থার মধ্য দিয়া এখনও হিন্দুর স্বীয় গৌরবোজ্জ্বল মহিমায় চিরদীপ্তি শালী, ইহাকি হিন্দুধর্দ্দের গৌরব-গরিম। জ্ঞাপক নহে? মন্দিরটি এবং তন্মধ্যস্থ প্রকোষ্ঠটি দেখিতে অতীব মনোহর | দিবা রাত্র দীপ শিখা এখানে ৷ প্রজ্ভ্বলিত থাকে--এখানে সূর্যযকুণ্ড প্রভৃতি আরও কতিপয় হিন্দুতীর্থস্থল বিদ্যমান আছে । | আমরা এখানকার বাজার দেখিয়া পরিতোষলাভ করিয়াছিলাম-_ রাস্তাগুলি বিশেষ প্রশস্ত না হইলেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন । বিবিধ রেসমী ও পশমী বসনের জাঁকজমক পুর্ণ দৌকানগুলি দর্শকদিগের চিত্ত আকর্ষণ করিয়া থাকে । ফল মূলের দোকানের ত কোন অভাবই নাই। এখানকার স্ফটিকবৎ শুভ্র মিশ্রী এবং বিলাতী পোর্টমেন্টোর মত টিনের বড় বাক্স গুলি বিশেষ প্রসিদ্ধ। আমরা শিশুকাল হইতেই মুলতানি হিঙ্গের কথা শুনিয়া আসিতেছি, তজ্জন্য নিতান্ত উৎস্তক হইয়। নানাস্থানে হিঙ্গের কারখানা দেখিবার উদ্দেশে ভ্রমণ করিলাম, কিন্তু নগরের উপকণ্ে কিম্বা নগরমধ্যে কোন স্থানেই কিছু দেখিতে পাইলাম না। প্রকৃত পক্ষে মূলতানে,,হিজপ্রস্তুত হয়,না। এখান হইতে বহুদূরে সিন্ধুপ্রদেশ এবং বেলুচিস্থানের কোন কোন অংশে হিঙ্গ উৎপন্ন হইয়া মূলতানে আসিত এবং এস্থান হইতে নানাস্থানে রপ্তানী হইত বলিয়া মূলতানি' হি নামে সর্বত্র পরিচিত হইয়া আসিতেছে। পূর্ব এখানে হিঙ্গের বিস্তৃত কারবার ছিল, কিন্তু এখন সে সব কিছুই দেখিতে পাওয়া যায় না। বন্ঠার সময় মূলতান নগরে জল প্রবেশ করে বলিয়া এখানকার স্থানে স্থানে বাধ দৃষ্ হইল। শ্ত্রীষ্মের সময় এখানে দারুণ উত্তাপ বো ্ এখানকার অনেক ধনী ব্যক্তি গোলাপের াপড়ীর ২ উপর: ০ চাদর বি করতঃ আরামে শয়ন করিয়া থাকেন। | নানাকথা। ১২৩ ভারত-ভ্রমণ। _. মূলতান হইতে ৬৪ মাইল দুরে বাবলপুরের নবাবের বাড়ী। তাহার প্রধান তহশীল কাছারী মুলতানেই স্থাপিত। নবাবের কাছারী ও হাসপাতাল দেখিবার যোগ্য । কমিশনার আফিস, পোষ্টাফিস, টেলীগ্রাফ আফিস একটা বৃহৎ ও স্বন্দর উদ্যান এবং তন্মধ্যস্থ লাইব্রেরি গুহটি দেখিয়া অত্যন্ত প্রীত হইয়াছিলাম। এখানকার প্রধান অট্রালিক সমুহের মধ্যে আরব দেশবাসী মুসলমান সাধু বহাউদ্দীন ও রুবস্উল্‌ আলমের সমাধি মন্দির__ বিশেষরূপে উল্লেখ যোগ্য এবং পর্যটক মাত্রেরই অবশ্য দর্শনীয়-_-১৮৪৮- ৪৯ খ্রীষ্টাব্দে নিকটবর্তী দুর্গের বারুদখানায় আগুণ লাগায় এ সমাধি মন্দিরের নিকটবর্তী আমাদের পুর্ববণিত প্রহলাদপুরীর প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের কতকাংশ উড়িয়া গিয়াছে । ছুর্গের মধ্যস্থলে সূষ্যদেবের স্থবৃহৎ মন্দিরটি অবস্থিত । হিন্দু ধর্্মদ্বেষী মোগল-সম্রাট আওরঙ্গজেব উহ! ধংস করিয়৷ তদুপরি মস্জিদ প্রাস্তৃত করাইয়াছিলেন। যখন শিখদের প্রাধান্য হয়, তখন সেই জুমা মস্জিদ বারুদখানা রূপে ব্যবঙ্গত হইয়াছিল। সে সময়ে আগুন লাগায় উহার অধিকাংশ নষ্ট হইয়া যায়। ১৮৪৮ খ্রীষ্টাব্ডে মূলরাজ খন বিদ্রোহী হন সে সময়ে ভান্স এগনিউ ও লেফ্টনাণ্ট এগ্ডার্সন নামে দুইজন ইংরেজ সেনানী নিহত হওয়ায় তাহাদের স্মৃতি রক্ষা করিবার নিমিত্ত দুর্গ মধ্যে ৭০ ফিট উচ্চ একটী স্তস্ত নির্মিত হইয়াছিল। সহরের পূর্বভাগে হিন্দু-শাসন কর্ভাগণের সময়ের নিম্মিত প্রসিদ্ধ আমখাস্‌ (দরবার গৃহ ) এক্ষণে তহশ্গীল কাধ্যালয়ে পরিণত হইয়াছে। মুূলতান উষ্ণপ্রধান স্থান। দ্বিপ্রহরের সময় কাহার সাধ্য নগরের বাহির হয় ? এ অঞ্চলে একটা প্রবাদবাক্য প্রচলিত আছে যে ধূলি, ভিক্ষুক ও কবর এই তিনটী মুলতানের বিশেষত, প্রকৃত পক্ষেও তাহাই দেখিলাম, নগরের এমন অংশ অতি বিরল ষে স্থানে কোন না কোন কবর না আছে। রাস্তায় ধূলি এত বেশী যে পদ্দে পদে ধূলি- ধুসরিত হইতে হয়। লাহোর ও করাচীবন্দরের সহিত ইহা৷ রেলওয়ে লাইন দ্বারা সংযোজিত থাকায় দিন দিনই এই নগরীর নানারপ শ্রীবৃদ্ধি হইতেছে । কান্দাহারবাসী বণিকগণ এখানে আগমন করিয়া ক্রয় বিক্রয়াদি করিয়া থাকে। মুলতানে যে কয়েকটি বাঙ্গালী বাবু আছেন, তীহারা সকলেই ১২৪. ৪. জলবায়ু। একান্ত ভদ্রব্যক্তি, প্রায় প্রতি দিবসই আসিয়া আমাঙ্গেন্* সহিত সাক্ষাৎ করিতেন। ইহাদের মধ্যে প্রায় সকলেই সঙ্গীত-প্রিয় এবং কেহ ক্ষেহ সঙ্গীত-কলা-বিশারদও ছিলেন, আমরা নিমন্ত্রিত হইয়া! সঙ্গীত শ্রবণের জন্য গিয়। যারপর নাই প্রীত হইয়া! ফিরিয়া আসিতাম। হুঁহাদের সহিত আমাদের এইরূপ সৌহার্দ্য হইয়াছিল যে মুল্তান পরিত্যাগ সময়ে অশ্রীন্জল. মোচন ন| করিয়া আসিতে পারি নাই । সেই স্থ্দূর দেশের বিদায় কালীন শোক-দৃশ্যটি আজ কতকাল পরে এখনও মনে পড়িয়া চিত্ত ব্যথিত করিতেছে, এখন তীহারাই বা কোথায় মার আমরাই বা কোথায় ! কিন্তু তবু যেন মানসচক্ষে মুলতান ফ্টেসনের সেই জনতার মধ্যে স্মেহ পরিপূর্ণ মধুর মুখ কয়খানি বাঙ্গালী সুলভ হৃদয়ভরা প্রীতি রাশির সহিত-_বিদায়ের অশ্রভরা সম্ভাষণ দেখিতে পাইতেছি, ইহাকেই না মায়ার বন্ধন ৰলে ? যখন গাড়ী ছাড়িয়া দিল মুগ্ধের মত জানালার ভিতর দিয়া বন্ধুদের পাঁনে চাহিয়। রহিলাম-_তীহারাও যতদূর পর্্যস্ত গাড়ী দেখা যাইতেছিল ততক্ষণ পধ্যন্ত আমাদের দিকে চাহিয়াছিলেন। নৈরাশ্য কাতর ব্যথিত নয়ন হইতে ছুই বিন্দু অশ্রুবারি ঝরিয়া৷ পড়িল। তখন সন্ধ্যা হইয়া আসিয়াছিল, চারিদিকে ম্লান অন্ধকার রাশি পুঞ্জীভূত হইয়া আধিপত্য বিস্তার করিতে লাগিল--আকাশের তারা স্থন্দরীরা নয়ন তুলিয়া! আমাদের দিকে চাহিতেছিলেন। সেই অন্ধকার ভেদ করিয়া বাম্পীয় শকট কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মূলতান হইতে ৬৪ মাইল দূরবর্তী বহাবলপুর নামক স্থানে উপনীত হইল। বহাবলপুরে একজন নবাব আছেন, ইহার সম্বন্ধে অনেক কথা শুনিলাম। ইনি বাঙ্গালীর প্রতি বড় প্রীত নন। বিশেষ এখানে থাকার নানা অন্থুবিধার কথা শুনিয়। আমরা আর এখানে অবতরণ না! করিয়া, বরাবর শিকারপুর হইয়া বেলুচিস্থান টেনে টারমিনাস কোয়েটা নামক কেণ্টনমেণ্ট দর্শনাভিলাষে রূক জংশন নামক ফ্েসনে উপস্থিত হইলাম। বূক জংশন হইতে এক রাস্তা করাচীতে এবং অপরটা কোয়েট।গিয়াছে ; রূক জংশনে বহুক্ষণ অপেক্ষা করিতে হুইয়াছিল। স্থানের দৃশ্টাবলী নয়নানন্দ দায়ক নহে। ফেঁসনটা এক- উচ্চ টিলার উপরে অবস্থিত। সমতল ক্ষেত্রে যে স্থানে আমরা বাসা করিয়াছিলাম ( মোসাফিরখাঁনা ) ৯৫, ভারত-র্মণ। সেই স্থান হইতে রেল যাতায়াত দেখা বড়ই কৌতুকজনক । শুনিলাম কজংশন ব্রিটিশ গভর্মেপ্টের বহু অর্থব্যয় ওপ্রভূত পরিশ্রমের ফল। বূকজংশনে আমার সহিস, পাচক ব্রাক্ধণ ও ভূত্যকে রাখিয়া অপর একটী আত্মীয় ও সহচর সহকারে কোয়েটাভিমুখে রাত্রি ১২ কি ১ টার সময় রওনা হইলাম । রাত্রে অত্যন্ত বৃষ্টি হইয়াছিল। আমাদের টেনের অগ্রে এবং পশ্চাতে দুইখান৷ এপ্রিন,. ছিল। টেনে একজন [100101551 এবং কতকগুলি কুলি ও 11101176118 অন্তশত্্ থাকার নিয়ম। পার্বত্য দস্তা কর্তৃক টেন আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় কয়েকজন সশস্্ সৈন্য প্রত্যেক টেনে এ ভ্রমণ করার নিয়ম। প্রীতে দেখিতে পাইলাম আমরা পাহাড়ের বাম পার্খ দিয়া যাইতেছি। কামাদের বাম ভাগেই সেটা নদী। রাত্রে বৃি হওয়ায় নদী খরতরবেগে প্রবাহিত হইতেছে । টেনের অন্যান্য অভিজ্ঞ লোকের ন্ট সিরামি বৃষ্টি না হইলে নদীটি শুষ্ক থাকে । আমরা নদীর অপর পার্শস্থ পাহাড়েরপার্খ দিয়। অগ্রসর হইতেছিলাম। এখান হইতে নদীর অপর পার্থ পাছাকের সৌন্দর্য্য অত্যন্ত মনোরম । গাড়ী চলিতে চলিতে হঠাৎ একস্থানে দাড়াইল এবং সৈনিকগণও কুলীগুলা মিলিত হইয়া কোলাহল করিতে লাগিল । আমরাও নামিয়া জনৈক সৈন্যকে জিজ্ঞাসা করিয়! জানিলাম এবং একটু অগ্রবর্তী হইয়া দেখিতে পাইলাম যে দুতিন খান! বড় পাথর পাহাড় হইতে বৃষ্টির বেগে ধসিয়া পড়িয়৷ রাস্তা রন্ধ করিয়াছে। এ সৈনিকগণ এরং কুলীগণও প্রথম ০শ্রণীর আরোহী কয়েকটী সাহেবও গাড়ী হইতে অবতরণ করিয়া! কুলীদের সাহায্য করিতে প্রবৃন্ত হইলেন। অল্প সময় মধ্যে এ কয়খান! পাথর স্থানান্তরিত করিয়া! লাইন পরিষ্কার (01677) করিয়া দিলেন। ষে স্থলে পাথর ভাঙ্গা হইল, তাহার পরেই প্রায় ৫০৬০ হাত লম্বা কাঠের সেতু, তগুপরেই টনেল। আমাদের টেন ধীরে ধীরে পুল পার হইয়া টনেলে প্রবেশ করিয়া পুনরায় আর একটা পুল পার হইল আর একটা টনেলের মধ্যে হইতে এঞ্জিন বাহির হইয়াই আবার দণ্চায়মান হইল । আমরা আবার কি ঘটিল, তাহা দেখিবার জন্য অগ্রসর হইলাম এবং দেখিলাম পাহাড়ের পার্খ দিয়া যে 11) গিয়াছে তাহার অপর পার্খের অর্থাৎ নদীর ১২৬ দিকের লাইনটার নীচের মাটা -ধসিয়া যাওয়ায় গাড়ী আবার দীড়াইয়াছে। পুনঃ পুনঃ 1506 দেওয়ায় কেটশন হইতে টুলীতে কতকগুলা কুজী আসিয়া! উপস্থিত হইল এবং আমাদের গাড়ীর পথে ইঞ্রিনিয়ারের উপদেশ মত সন্র কতকগুলি পাথরের কুচি সেই লাইনের নীচে ভরিয়৷ দিয়া গেল তত্পরে ষ্টেশন হইতে একখান! ছোট এঞ্রিন আসিয়া এ ভগ্ন স্থানে লাইনের উপর দিয়। বারকতক যাতায়াত করিয়! পাথরের কুচি গুলি মাটিতে বসিয়া! গেলে, আমাদের এঞ্সিনখান৷ আমাদের গাড়ী সহ ধীরে ধীরে এ স্থান পার হইয়া গেল। বেলা! প্রায় ৩ টার সময় হইতেই অত্যন্ত শীতল বাতাস বহিতে আর্ত করিল, সেদিন (517150777১5 12৬৪এর পুরন দিন। আমর! ক্রমে তই উদ্ধ দিকে যাইতে আরন্ত করিলাম শীত ততই অধিক বোধ হইতে আরম্ত করিল। বেলা চারিটার সময় হইতেই তুষার (91০৮) পড়িতে আরম্ভ হইল। আমাদের পূর্ববঙ্গে যেমন মাঘমাসে কোন কোন দিকে নীহার পাত্র হইতে থাকে, তদ্রপ কুয়াশা ঘন হইয়া নীহার-পাত হইলেই ১।))৬/ পড়া বলে। আমরা একটা 5০700; এ উপস্থিত হইয়া দেখি যে প্ল্যাটফরমের উপরে জিনিষ ঢাকা ত্রিপলের উপরিভাগে কতকগুলি তুষার পড়িয়া বরফ হইয়া আছে । আমরা যাইয়! সাম্য কৌতুকে কৌত্ৃহল বশতঃ উহার কতকগুলা একট! ঘটার মধ্যে ভরিয়া! আনিয়া আমাদের হুকায় জলের পরিবর্তে উহা ভরিয়া ধুত্রপান করিলাম । গাড়ী অনেকক্ষণ অপেক্ষ! করায় এবং [11710071015 দৃষ্টে কোয়েটা পৌছিতে অনেক বিলম্ব হইবে বুঝিয়!, এতক্ষণ এস্থানে গাড়ী গৌণের কারণ জানিবার জন্য 5070101) [18506। ও একটী ইউরোপীয়ানকে জিজ্ভাস করিলাম । তিনি অঙ্গুলী নির্দেশ করিয়। দেখাইয়া বলিলেন 41,901, ১০101615 ০91)1152, 11510109506 06011) 17016 001 00617) 555 1740 1151)1)61050 1 01617 দি.” আমরাও দেখিলাম বহু দূরে প্রায় দশবার জন দেশীয় ১০116 বন্দুক হস্তে আসিতেছে, খুব ১1০9৭ পড়িতেছিল বলিয়৷ স্পষ্ট দেখা যাইতে ছিল না। আমরা দেখিতে পাইতেছিলাম ষে, ক্রমেই যেন লোকসংখ্যা কমিতেছে। কেন যে সংখ্যা কম দেখিতে ছিলাম তাহার কারণ বুঝিতে পারিতেছিলাম না। প্রীয় এক ঘণ্টার পরে একজন ৯৭ ০ ভারত-ভ্রমণ 1 দেশীয় সৈনিক ফ্টেসনে আসিবামাত্র তাহাকে 50800718965 ২৪ট! কথা জিজ্ঞাস! করিয়াই তাহার হাতে ধরিয়। ( যেন তাহাকে সাহায্য করিয়া) আমাদের গাড়ীতেই উঠাইয়া দিবামাত্র 11181) ছাড়িয়া দিল। এ সৈম্টী বেঞ্চের উপর যেন ম্বৃতব পড়িয়া গেল। তাহার হস্তশ্থিত বন্ুকটি ১65610।) [14591 নিজেই গাড়ীতে রাখিয়! দিলেন । সৈম্টি অস্পৰ্ট ভাবে তাহার অনৃষ্টের প্রতি ধিক্কার দিতে থাকায় আমরা বুঝিতে পারিলাম, সিপাহিটী লক্ষৌর নিকটস্থ লোক হইবে। আমি অগ্রবন্তী হইয়া জিডঞাস! করায় সিপাহিটা বলিল “বাবু আমাকে বাঁচাও,” ইহা বলিয়াই সে ক্রন্দন করিতে লাগিল। ক্রমশঃই যেন তাহার কণ্টরোধ হইয়! আসিতেছিল। তখন আমরা সকলেই চেষ্টা করিয়া তাহার পরিধেয় পোষাক ইত্যাদি খুলিয়া আমাদের সঙ্গের কম্বল প্রভৃতি শীতবস্ত্র দ্বারা তাহারে বোষ্ঠিত করিয়। তাহার নিকট কাঙ্গারা ধরিলাম, কাঙ্গারা একটী বেতের ছাউনি বিশিষ্ট একটা মাটার হাড়ি, তাহাতে আগুণ থাকে এঁ হাড়ীটা ইচ্ছা করিলে কোটের মধ্যে রাখিয়া বক্ষে অগ্নির উত্তাপ লওয়া যাইতে পারে । ইহা পিগি হইতে আনিয়াছিলাম । আমার সঙ্গর ডাক্তার বাবু ছুই আউন্ন ০. 1 ৮১575 পান করাইয়া দিলেন, তামাক খাইবে কি না জিজ্ঞাসা করায় আমরা তামাক সাজিয়া উহাকে পুনঃ পুনঃ পান করাইতে আরম্ভ করিলাম । প্রায় এক ঘণ্টা পরে সিপাহিট। উঠিয়া বসিয়। তাহার কাহিনী বলিতে আরম্ত করিল এবং বলিল আমরা তাহার দেশীয় লোক বলিয়া সে 1১1%1101)এ আমাদিগকে. দেখিয়াই তাহার আনন্দ এবং মনে কেমন একটা অলৌকিক ভাব উদয় হওয়ায় তাহার শরীর আরও অবশ হইয়া পড়িয়াছিল। সিপাহিটা আমাদিগকে দেখিয়াই সাহায্য পাওয়ার উদ্দেশে কথ! বলিতে চাহিয়াছিল, কিন্তু বাক্রোধ হওয়ায় বলিতে পারে নাই। সিপাহিটী বলিল, তাহারা সরকারী কাষ্যো- পলক্ষে উচ্চ পাহাড়ে ছিল । 910 পড়িয়! অত্যন্ত শীত পড়ায় তাহাদের 091১510. নীচে নামিবার জন্য উপদেশ দিয়! বিদায় দেওয়ায় তাহার! সদলে নীচে আসিতেছিল। রাস্তা ভ্রম করিয়া বিপথে পড়ায় তাহাদের এই বিভ্রাট। তাহার! ৫০1৬০ জন ছিল কিন্তু অনেকেই শীতে চলিতে অশক্ত হইয়! পড়ায়, পড়িয়৷ গেল। তখন তাহারা দৌড়িয়া রাস্তা অতিবাহিত করিতে ৯২৮ । 1৫1৩২ ৮৩৮ “5০17 ৬০1৬০৫-৩ মূলতান । লাগিল। প্রাতে গাড়ীর শব্দ শুনিতে পাইয়। অত্যন্ত উৎসাহে ১৫১৬ জন একত্র আসিতেছিল। ভ্রমে 915091। নিকটবন্তী হইলে কেহ কাহারও অপেক্ষা না করিয়। পথ-বিপথ না বাছিয়া ছুটিতে লাগিল। পরে এই লোকটা একা আসিয়৷ পৌছিয়াছে ; সঙগীদিগের শদৃষ্টে কি ঘটিয়াছে বলিতে পারে না। আমি কোন্‌ সময় গাড়ীতে উঠিয়াছি, তাহাই মনে নাই। আমার অত্যন্ত ক্ষুধা পাইয়াছে ।” আমরা আমাদের সঙ্গে যাহা কিছু খাগ্ধ ছিল, তাহাই সিপাহিটাকে খাইতে দিলাম। বল! বাহুল্য যে, আমর! তাহার দেশীয় বলিয়। কত কথাই যে বলিল, তাহা বর্ণনাতীত। আমর! স্থদুর বঙ্গ প্রদেশের এক প্রান্তের অধিবাসী, আর লক্ষৌ তাহার বাড়ী, তবু সে আমাদিগকে একদেশবাসী অর্থাৎ এক ভারতবাসী বলিয়া কতই না৷ আনন্দ প্রকাশ করিতেছিল ' আমরা ক্রমে অগ্রসর হইতে লাগিলাম, চারিদিকে পাহাড় শ্রেণী, উপত্যকা ও অধিত্যকার মধ্য দিয়া অগণিত আোতশ্থিনীকুল কুলুকুলুরবে বহিয়! চলিয়াছে। আমরা কখনো উদ্ধে, কখনও নিন্দে১ কখনে। বা পর্ববতের পার্শদিয়, কখন নদীর উপরিস্থিত সেতুর উপর দিয়া, কখন বা! উনেল (পর্বতের সুর ) দিয়। ভুজজের মত আকিয়া বাঁকিয়া চলিতে লাগিলাম। আমরা নৈসগিক শোভা সন্দর্শনে উতফুল্লপমনে এবং বিপদাপদ শঙ্কায় শঙ্কিত চিন্তে অগ্রসর হইতে লাগিলাম। ক্রমে সুধ্যদেব দিবসের কাধ্য সমাপনান্তে অস্তাচলশায়ী হইবার উদ্ধোগ করিতে লাগিলেন,--ম্লান-লোহিত জ্যোতি তরুশিরে লত৷ পল্পৰে এবং দূরবর্তী পর্বত শেখরে নিপতিত হইয়া অপুর্ব সৌন্দর্ধ্য বিকীর্ণ করিতে লাগিল । আমাদের নয়ন-পথে বনু শ্েতবর্ণ পর্বত পতিত হইতে লাগিল। হঠাৎ জববলপুরের নন্মদার শ্বেত পাহাড় বলিয়াই ভ্রম হইয়াছিল। তুষারাবৃত এই পাহাড়গুলি দুর হই বড়ই সুন্দর দেখাইতেছিল-_ষতই গাড়ী সম্মুখের দিকে অগ্রসর হইতে লাগিল ততই দেখিলাম যে পর্বতের উপত্যকা, মাঠ, পণ সকলি বরফে শুভ্রাকৃতি ধারণ করিতেছে, দূর হইতে বিশাল সলিল-পুর্ণ সমুদ্রের হ্যায় জ্ঞান হইতে লাগিল। এক ইঞ্চি হইতে গার এক ফুট পু বরকে টাকা রেলপথ দিয়! ট্রেশখানা চের চের শব্দে চলিতে মাহি | | ৯৭ : ৯ ভারত-ভ্রমণ | এ দিন (২৫শে ডিসেম্বর) শ্ীষ্টমাসডে (বড় দিন )ছিল। আরোহীদের মধ্যে কয়েকজন গোর। দৈনিক ছিল, তাহার স্তরাদেবীর সেব। করিয়। একেবারে মন্ত হইয়। উঠিল এবং পরবন্তী কোন একটা ফ্টেসনে নামিয়। স্তুপাকার বরফের উপর দিয়। দৌড়াদৌভি, ধরাধরি ও মারামারি করিয়া পাশবিক আনন্দ উপভোগ করিতে লাগিল । আমরা হর্ষে ও বিন্ময়ে গাড়ীতে কাটাইয়া রাত্রি প্রায় দশঘটিকার সময় কোয়েটায় উপনীত হইলাম, পথে পুণেবান্ত ছুইটী ছুর্ঘটন! হওয়ায়ই এত বিলম্বের কারণ, নচেও সন্ধ্যার সময়েই পঁলুছিতে পারিতাম | ৯৩০ 1 কে কন্থলীন প্রেস, কলিকাতা ৷ ত্কোম্জেভ। | জ্আন্গকারময়ী রজনীতে শীতের প্রকোপে কম্পান্বিত কলেবরে একখানা ফিটিং গাড়ী করিয়া কমিশারিয়েটের বড় বাবু প্রীযুক্ত চন্দ্রনাথ চক্রবন্তা মহাশয়ের বাসায় চলিলাম, সেখানে পঁহুছিয়া জানিতে পারিলাম যে চন্দ্রবাবু নিমন্ত্রণোপলক্ষে অন্যত্র গমন করিয়াছেন, বহির্বাটার. দ্বার রুদ্ধ। ভৃত্য বাড়ীতে সংবাদ দিল। কিন্তুজানি না কিরূপে তীহার স্বশীলা মহধন্মিণী তব পাইয়াছিলেন, আমরা কোথায় যাইবএবং নিশীথে এইরূপ অপরিচিত স্থানে কি করা কর্তব্য এবন্বিধ চিন্তা করিবার পুর্নে্ উক্ত পুণ্যবতী মহিলা আমাদিগকে স্থীয় বৈঠকখানায় অবস্থানের বিশেষে যোগাড় করিয়া দিলেন। কোয়েটাতে প্রতিগুহেই অগ্নির চিম্নি আছে, আমাদিগকে শীতে নিতান্ত অভিভূত জানিয়া অগ্নির বন্দোবস্তও শ্ুন্দররূপে করিয়া দেওয়াইলেন-- এমনকি এই অতিথিবসলা ধার্শিকা মহিলা অন্তঃন্বত্বা থাকা সন্বেও প্রভূত ক্লেশ স্বীকার করিয়া এত রাত্রিতে স্বহস্তে রন্ধনাদি করতঃ আমাদিগকে ভোজন করাইয়াছিলেন। এইরূপ বুদ্ধিমতী ও পরোপকারিণী রমণী ভ্রমণ- পথে অতি অল্লপই দেখিয়াছি। আমরা ভোজনান্তে শয়নের উদ্ভোগ করিতেছি এইরূপ সময়ে চন্দ্রনাথ বাবু বাসায় আসিলেন এবং আমাদের পরিচয়াদি গ্রহণ পূর্বক বিশেষরূপে আপ্যায়িত করিলেন । আমরা শয়নকালে প্রয়োজনীয় মনে করিয়া ঘটিতে ও বাল্তীতে জল রাখিয়া দিলাম, কিন্তু কি আশ্চর্য ! রাত্রিশেষে জল আনিতে গিষ।. দেখি জল বরফে পরিণত হইয়াছে । পরদিন বেল! প্রায় আট ঘটিকার সময় সূষ্ধ্যদেবের সহিত আমাদের সাক্ষাৎ হইল, এখানে সূধ্যি ঠাকুরের নাইকো জারিজুরি'। আমরা! কোনও প্রয়োজন বশতঃ বাজারে বাহির হইয়াছিলাম, দেখিলাম পথ, ঘাট, ঘরের ছাদ সমুদয়ই বরফাঁবৃত। আমী- দিকে স্তুপাকার বরফের উপর দিয়া হাটিয়৷ যাইতে হইয়াছিল। অপরাহ্ছে চন্দ্রবাবু ও ১ নামধেয় অপর চে ভত্রমহোদয়ের ১৩১ ভারত-ভ্রমণ ৷ সহিত আফিস, ছাউনী এবং নগর পরিভমণ করতঃ বিশেষ গ্রীতিলাভ করিলাম। যেদিকেই দৃষ্টিপাত করি, সেদিকেই বরফ-বরফ-বরফ । রাত্রিকালে এস্থানের আরও ছুই তিনটা বাঙ্গালী ভদ্রমহোদয়ের সহিত আলাপাদি হইল-_তীহাদের প্রত্যেকের ভদ্রোচিত ব্যবহারে যার পর নাই সুখী হইয়াছি। | কোয়েটা অর্থে দুর্গ ।. খিলাতের আমীর এই দুর্গটি ব্রিটিশ গভর্মেন্টকে অর্পণ করিয়াছেন। কোয়েট। অতি অল্ল দিনের নগর। এখন পধ্যস্ত ইহা পূর্ণ নাগরিক সৌন্দর্য্য প্রতিষ্ঠালাভ করিতে পারে নাই। আজি পর্যন্তও ইহা৷ সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ নহে, সময় সময় পার্বত্য অসভ্য-অধিবাসীবৃন্দ, আসিয়! দাঙ্গাহাঙ্গামা করিয়া থাকে । সেদিন ছাউনীর মধ্যগত কোন আফিসের দুইজন প্রহরীকে যুতাবস্থায় পাওয়া গিয়াছে । কিছুদিন পুর্বে কয়েকজন পাহাড়িয়৷ লোকে কচ ফ্টেসনের সমস্ত অফিসার দ্দিগকে খুন করিয়া চলিয়। গিয়াছে । রাত্রিতে প্রায় সকলেই শিয়রে পিস্তল রাখিয়া নিদ্রা যায়। এস্থানে একজন মুন্নেফ ও তীহার অধীনস্থ অপর কয়েকজন ব্যক্তি বিচারার্থ নিয়োজিত আছেন। এজেণ্ট গভর্ণরই এখানকার সববেবিসর্ববা, তিনি কাহারও ধার ধারেন না, তাহাকে একরূপ হত্তীকর্তা বিধাতা বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। তিনি “ফ্র্টিয়ার ল” নামক আইনানুষায়ী বিচার করিয়! থাকেন। আদালত, ফৌজদারী ইত্যাদি যাবতীয় মোকদ্দমার আপীলই তাহার দরবারে হইয়। থাকে। ইহার অনুমত্যান্ুসারে ফাঁসী পধ্যন্ত হয়। কোন আফিসেই উকীল মোক্তারের কারবার নাই, উকীল মোক্তার আনিতে এজেণ্ট সাহেবের ইচ্ছাও নাই । আমরা শুনিতে পাইলাম যে, সীমান্ত প্রদেশে শাস্তিও অতিশয় গুরুতর । আমাদের দেশে খুন করিলে হস্তার ফাঁসী হইয়া থাকে, কিন্ধত্বু পেশোয়ার ও কোয়েটাতে হস্তারকের সঙ্গে সঙ্গে তাহার সহায়তাকারীরও ফাঁসী হইয়৷ থাকে। এতদূর কঠোর শাসন ও দগুপ্রথা প্রচলিত থাক! সন্গেও কিন্তু পার্বত্য অধিবাসীরা! দৌরাত্ম্য করিতে নিবৃত্ত হইতেছে না । কাবুল যাওয়ার পথের মধ্যে “খাইবার পাস” পেশোয়ারের দিকে এবং “বোলান পাস” কোয়েটার দিকে । ১৩২ হাওরের কোয়েটা ১৮৭৬ হ্বীষ্টাব্দে সর্ববপ্রথমে ব্রিটিশ গভর্মেন্ট কর্তৃক অধিকৃত হয়। বর্তমান সময়ে ইহা ব্রিটিশ বেলুচিস্থানের অন্তর্ভ-্ত একটা বিখ্যাত নগর এবং উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের মধ্যে ইহাই এখন সৈন্যের প্রধান ছাউনীরূপে ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে । কোয়েটার প্রাচীন রেসিডেন্দী ংস করিয়া ১৮৯২ শ্রীষ্টাব্দে গভর্মে প্ট উত্তস্থানে নূতন রেসিডেন্সী এবং তাহার নিকটে নানাবিধ আফিস আদালতাদি নিশ্ীণ করিয়াছেন। কোয়েটার ক্লাব সৌধটি দেখিতে বেশ স্থন্দর, উহার মধ্যে পুস্তকাগার, বিলিয়ার্ড খেলিবার কক্ষ এবং অন্যান্য আবশ্যকীয় আমোদ-প্রমোদের অনুষ্ঠানোপষোগী কোন দ্রব্য সম্তারেরই অভাব নাই। কোয়েটার চতুদ্দিকে ছোট ছোট গিরি- শৃজস্থ দুর্গগুলি ব্রিটিশলিংহের অধিকারভুক্ত । এখানকার ইংরেজকর্ম্মচারিগণ প্রত্যেকই বিশেষ ভদ্র এবং আমাদের এই ভ্রমণ ব্যাপারে তাহার! আমাদিগকে বিশেষ উৎসাহিত ও প্রশংসা করিলেন। আরও কতকগুলি দুর্গ আছে । কোয়েটার ছুর্গে ব্রিটিশ সৈন্যগণের যেরূপ সর্বববিধ স্থষোগ ও স্থবিধা আছে ভারতের অন্য কোথাও সেরূপ নাই। এই স্থুদুরবন্তী সীমান্ত প্রদেশে সৈশ্যগণের সুখ-স্বচ্ছন্দতার নিমিত্ত ইংরেজরাজের র্িকানের বলার বিশেষরূপে প্রশংসনীয় । কোয়েটার মধ্যগত বোটন ফ্টেসন হইতে একটা শাখা-রেলপথ নে হইয়৷ চামান পধ্যন্ত গিয়াছে --উহাই গুলেস্তান হইয়া! কান্দাহারে যাইবার প্রস্তাব হইতেছে । কান্দাহারের সহিত কোয়েটা রেলপথে সংযোজিত হইলে, এই নগর শিল্প-বাণিজ্যে বিশেষ উন্নতিশালী হইয়। উঠিবে। কোয়েটার প্রাকৃতিক সৌন্দধ্য' রমণীয় হইলেও "শীতের অত্যধিক প্রকোপ বশতঃ নবাগত ব্যক্তির পক্ষে বিশেষ উপভোগ্য হইয়। উঠে না। এখানকার রাস্তা-ঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, স্থন্দর স্থন্দর অট্রালিকাদ্ধারা৷ পরিশোভিত থাকায় পর্বতপদ সংলগ্ন এই নগরীকে দূর হইতে বড়ই স্থন্দর দেখায় । তুষারাবৃত সিতশুত্র গিরিশ্রেণী এখানকার এক বিশেষ সৌন্দর্য ৷ বাঙ্গালীর সংখ্যা এখানে নিতাস্ত অল্প । | |. পাশিপাপাপাপিপাপিশরহ টস ৯৮, পাপ ১, এত ০ 17 4 ্ পি কিকনলী | ভ্বীমরা কোয়েটা হইতে ফিরিবার পথে শিবিওশিকারপুর হইয়া বরাবর দিল্লীর দিকে অগ্রসর হইলাম। দিল্লী নগরীর দিকে বাম্পীয় শকট যতই ভ্রুতবেগে অগ্রসর হইতে লাগিল ততই উভয় পার্থবর্তী শ্মশানের বিরাট ও ভীষণ দৃশ্য আমাদের : নয়নপথে পতিত হুইতে লাগিল। কত প্রাচীন মস্জিদ, কত প্রাচীন দেবালয়_-কত বৃহৎ বৃহৎ বাসতবনের ধ্বংসাবশেষ ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত । উত্তয় দিকের এই শ্মশানদৃশ্য হৃদয়ে যুগপৎ শোক ও দুঃখের সঞ্চার করিয়া দিল। বেলা প্রায় ছুই ঘটিকার সময় আসিয়৷ দিল্লী ষ্টেশনে গাড়ী দণ্ডায়মান হইল। মনে ভাবিলাম এই কি সেই অতীতের সাক্ষী-_প্রাচীন হিন্দু নরপতির পুণ্যশ্লোক-নামগৌরবের চরণ-রজলাঞ্িত সম্দ্ধিশালিনী মহা- নগরী? ইতিহাস যাহার গৌরবকাহিনী দেশদেশাস্তরে প্রচার করিয়াছে, মোগল বাদসাহগণের ভোগৈশর্যের নিকেতন, গৌরবের একমাত্র তীর্থ- স্থল এই কি সেই দিল্লী? একদিন যাহার বক্ষে নাদের ও আবদালী- প্রমুখ কুলিশহৃদয় আক্রমণকারিগণের নিষ্ঠঠর অত্যাচারে শৌণিত-লহরী ক্রীড়া করিয়াছিল-_উৎপীড়িত প্রজাগণের করুণ কছধবনিতে যাহার গগন পরিপূরিত হইয়াছিল-_-এই কি সেই চিরলাঞ্টিত ও চিরসমাদূত ইতি- হাসের পুণ্যতীর্ঘ, ভাবুকের ভাবনিকেতন _কবির কাব্যের অপুর্ব উপাদান কীন্তিবৈভব-গৌরব-গর্বিবিত মহিমামণ্ডিত মহানগরী? সত্য সতাই দিল্লীতে পদার্পণ করিবামাত্র আমার হৃদয়ে নানাভাবের উদ্রেক হইল । দিল্লীর গ্যায়_..প্রাচীন...নগরী ভারতের আব কোথাও বিদ্যমান নাই এ ভি ১৯1১৮ ২০৯৮ শশা কথা বলিলে কোনও অন্যুক্তি হয় বলিয়া মনে হয় না। দিল্লীর কাহিনী পাঠকবর্গের নিকট যথাযথরূপে বিবৃত করিতে পারি সে শক্তি আমার নাই-- তথাপি যখন এ কার্য্যে প্রবৃত্ত হইয়াছি তখন অবশ্যই যথাসাধ্য চেষ্টা করিৰ। দিল্লীর ফ্েশনটিও অত্যন্ত বৃহৎ । গাড়ী ষ্টেশনে পঁহুছিবামাত্রই দলে দলে গাইড আসিয়া আমাদিগকে ঘেরিয়া ফাড়াইল, আমরা! কোনও সরাইয়ে ১৩৪ গমন না করিয়৷ আমাদের নিদ্দিষ্ট গাইডের সাহায্যে একখান! ভিন্ন বাসা নিদ্ধীরণ করিয়। তাহাতেই অবস্থান করিয়াছিলাম। প্রাচীন সমৃদ্ধি-লক্ষী দিল্লীকে পরিত্যাগ করিয়৷ গেলেও চিরবিলাসের: নিকেতন দিলী হইতে স্তখ- স্বচ্ছন্দতা ও আরামপ্রিয়তা এখনও অন্তহিত হইয়৷ যায় নাই। এই নগরে ভাল ভাল সরাইর কোনও অভাব নাই। স্থুন্দর স্থন্দর শ্রেণীবদ্ধ বিপণিশ্রেণী, ইউরোপীয় ও দেশীয় বড় বড় হোটেল, প্রশস্ত সরাই, স্বানাগার (110105151) 1350)) প্রভৃতি দিল্লীর বর্তমান শোভাসম্পদ এবং বিলাসিতার পরিচায়কও বটে। ফ্টেশনের সন্মুখেই কুইন্ন গার্ডেন। বিন! বিশ্রামে অনবরত ঘুরিয়৷ ফিরিয়৷ শরীর ক্লান্ত হইয়! পড়িয়াছিল তাই বাসাতে যাইয়া সমুদয় ঠিকঠাক করার পর স্রানাহার করিতে করিতেই সন্ধ্যা হইয়। গেল, কাজেই সে দিবস আর নগর দেখিতে বাহির হইলাম না। পরদিবসে অতি প্রত্যুষে গাত্রোখান পুর্ববক নগর দেখিবার জন্য বাহির হইয়া পড়িলাম। দিল্লীর প্রাচীন ইতিহাস শিক্ষিত পাঠকবর্গের মধ্যে কাহারও অত্গ্কাত নাই, সেজন্যই এখানে আর সে বিষয়ের উল্লেখ নিশ্রয়োজন বোধে পরিত্যাগ করিলাম। “দিল্লীর নামোতপত্তি সম্বন্ধে নানা প্রকার বিভিন্ন মত প্রচলিত আছে । প্রসিদ্ধ এতিহাসিক ফেরিস্তার মতানুযায়ী জেনারল কানিংহাম বলেন যে খ্বীষ্টের জন্মের পঞ্চাশৎ বগসর পুর্বেন দিলু নামক এক নরপতি কর্তৃক এই নগরী স্থাপিত হইয়৷ দিল্লী বা দিলুপুর এই নামোৎপন্তি হইয়াছে । রাজ দিলু হইতেই প্রথমেই দিলীর নামকরণ হয়, ইনি ইন্দরপ্রস্থের গৌতম-বংশীয় রাজগণের পরবর্তী মযুর-বংশীয় শেষ নৃপতি। সে সময়ে দিল্লী নগরী বর্তমান, সহর হইতে পাঁচ মাইল দূরে অবস্থিত ছিল, এখন সে সকলেৰ কোন চিন্নই বিদ্য- মান লাই মোটের উপর ইহা" ঠিক যে, দিলুর কিংব। ক্ষত্রকুলগৌরব চন্দ্রংংশের মুখোজ্জ্বলকারী রাজা যুধিষ্টিরের ইন্দপ্রস্থধামের এখন. কোনও কপ. ্রা্টীন স্মৃতিচিহই বিদ্বান নাই-_ প্রায় পঞ্চাশৎ বর্গমাইল পরিষ্ি সুবিস্তীর্ণ ভূমিখগুই এখন পুরাতন দিল্লীর ধবং ংসাবশেষরূপে পরিচিত ।, দিল্লীর নামোহপন্তি সম্বন্ধে বতগুলি প্রমাণ, প্রয়োগ জানিতে পারা গিয়াছে ভঙ্গ | নিন্নলিখিত িধানতটিকেই ৭ অনেকে সত্য বলিয়া প্রমাণ করেন। হা 'দিলী” নামোংপাত্ত। ভারত-ভ্রমণ। এই ₹্বীষ্টয় তৃতীয় কিংবা চতুর্থ শতাব্দীতে প্রথিতঘশাঃ রাজ! ধাব কর্তৃক স্থাপিত যে লৌহস্তস্ত বিদ্কমান আছে উহার গাত্রের পশ্চিমদিকে যে সংস্কৃত অনুশাসন গভীর রূপে খোদিত আছে তাহা এই__-“রাজা৷ ধাব ঘিনি নিজ ভুজবলে বহুকাল সমগ্র ধরার অদ্বিতীয় অধীশ্বর হুইয়াছিলেন, তাহার কীত্তি স্বরূপ এই স্তস্ত স্থাপিত হইল । এসমুদয় খোদিতলিপি তাহার শাণিত অসি- ধারাক্কিত শক্রগণের দেহের গভীর ক্ষতাঙ্কের ন্যায় কাহার কীন্তি চিরকাল ঘোষণা করুক।” এই লিপির পাঠোদ্বার সর্ননপ্রথমে প্রিন্নেপ সাহেব কর্তৃক সম্পাদিত হইয়াছিল। কানিংহাম সাহেব অনুশাসনের লেখার ছাদ দৃষ্টে উহাকে গুপ্তবংশীয় নরপতিগণের সমসাময়িক বলিয়া নির্দেশ করিয়া- ছেন, কারণ গুপ্তবংশীয় নৃপতিগণের অনুশাসনের লেখা ও ইহার লেখ! প্রায় একরূপ । এই লৌহস্তস্তটি নিরেট, উহার ব্যাস ১৬ ইঞ্চ এবং দৈর্ঘ্য ৫০ ফিট। কিন্বদন্তীর সহিত কিন্তু রতিহাসিকগণের মতের এঁক্য হয় না। জনপ্রবাদ হইতে জানিতে পার! যায় যে ইহার স্থাপয়িতা মহারাজা অনঙ্গপাল ৷ বদি এ কথা সত্য হয় তাহা হইলে এই স্তস্ত খ্রীষ্টিয় অষ্টম শতাব্দীতে প্রোথিত হইয়াছিল এইরূপ বলিতে হয়। এইরূপ একটা কিন্বদন্তী প্রচলিত আছে যে “ব্যাস রাজাকে এ স্তশ্ত ভূগর্ভে দৃঢ়রূপে প্রোথিত করিতে আজ্ঞা করেন এবং বলেন যে উহার দৃঢ়তার সহিতই তীহার রাজ্যের দৃঢ়তা স্থাপিত হইবে । তদন্ুুসারে স্তম্ত প্রোথিত হইল । ব্যাস তাহাকে বলিলেন, স্তস্ত যথাস্থানে নিহিত হইয়াছে, ইহার পাদমুল ভূগর্ভে বাস্থকির মস্তকে গিয়া ঠেকিয়াছে, স্থতরাং স্তম্তও অচল এবং রাজার রাজলম্মনীও অচল । কিন্তু স্তস্তমূল বাস্থকীর মাথায় ঠেকিয়াছে তাহ। রাজার বিশ্বাস হইল না। তিনিস্তন্ত খনন করাইতে আরম্ভ করিলেন। খনন হইলে উহার পাদদেশে বাশ্ুকীর শোণিত দৃষ্ট হইল। রাজা ফাঁফরে পড়িলেন এবং নিজ সন্দিগ্ধতার জন্চ অনুতাপ করিতে লাগিলেন । যাহ! হউক ব্যাসকে পুনরায় আহ্বান করিয়া স্তস্ত পুনঃস্থাপিত করিলেন। কিন্তু এবার আর কোন মতে স্তস্ত সেরূপ অটল ভাবে প্রোথিত হইল না, “টিলা" অর্থাৎ আল্গা রহিয়া গেল, সুতরাং তোমর বংশের রাজলক্মমীও অচিরে পরহুস্তগত হইল, এই ঢিল্লি রি রঃ স্তত্ত হইতে নগরের নাম টিল্ি হইল । ১৩৬ “কিল্লিতো টিলি ভই তোমর ভয় মত হিন।” কিল্লি অর্থাৎ স্তত্ত টিলি অর্থাত টিলা হইয়াছে, তোমরের ইচ্ছা টা হইবে না।” ১১৯১ খ্রীষ্টাব্দে সাহাবুদ্দীন বা মহম্মদঘোরী বখন প্রথমবার আর্য্যাবর্ত আক্রমণ করেন তখন তুয়ার ও চৌহান এই উভয় বংশের উত্তরাধিকারী বীরশ্রেষ্ঠ পৃথিরাজ দিল্লীর সিংহাসনে সমাসীন ছিলেন। এই স্বদেশ-প্রাণ ক্ষত্রবীর প্রথম আক্রমণ সময়ে বিশেষ পরাক্রমের সহিত যুদ্ধক্ষেত্রে অগ্রসর হইয়া! মহন্মদঘোরীকে সম্পূর্ণরূপে পরাজিত. ও বিতাড়িত করিয়া প্রায় ৪০ মাইল পধ্যন্ত তাহার অনুসরণ করিয়াছিলেন । কিন্তু হায়! পরিশেষে কনোজাধিপতি স্বদেশপ্রোহী জয়টাদের কিশ্বাল- ঘাতকতায় দ্বিতীয়বারের আক্রমণে বীরশ্রেষ্ঠ পৃথরাজ মুসলমান করে ধৃত ও বন্দী হন-_ছুর্দান্ত মোস্লেম নরপতি বন্দীকৃত নিরন্্ সিংহকে নিঃসহায় অবস্থায় হত্যা করিয়া ভারতের -সিংহাসনে-উপবেশন করিল 1% সেই দিন হইতেই -ভারত-রাজলক্ষমী যবনের অস্কশাঁযিনী হইলেন, সেই দিন হইতেই ভারতের স্বাধীনতা লুপ্ত হইয়া গেল, সেই দিন হইতেই সোনার ভারত অধীনতা-নিগড়-বদ্ধ হইয়া রহিল,_-সেই দি প্রতি লক্ষ্য করিয়া কৰি মনের ছুঃখে গাহিয়াছেন__ “অহো! ! কি কু-দিবসে গ্রাসিল রান্থ মোচন হইল না আরও । ভাঙজিল চুনিল, উলটি পালটি লুঠি নিল যা ছিল সারও ।” সেই মহম্মদঘোরীর প্রতিনিধি কুতবউদ্দীন আইবকের সময় হইতেই দিল্লী, মুসলমানগণের রাজধানী হয়। তণপরে কাল ও যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে দাসবংশ, পাঠানবংশ, খিলিজিবংশ, মোগলবংশ প্রভৃতি বহু রাজবংশই এস্থানে বসিয়৷ শাসনদণ্ড পরিচালন! করিয়া গিয়াছেন। ১৮০৩ স্রীহাব্দে, লর্ডলেকের _ সময় _ হইতেই দিলী « একপ্রকার ইংরেজ হয়।, ৮ই. জুন তারিখে ইংরেজ সম্যক কদলি-কা-সরাইযের যুদ্ধে দ্ধ ঈ%[2710195 27 মির ভাতার ০২, যা নং হি ১৮ ১৩৭, ভারত-জমণ । সিপাহীদিগকে পরাস্ত করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন। এই গোলযোগ নিবারিত হইলেও কিছু দিন পর্যান্ত দিল্লীতে কঠোর সামরিক বিধান প্রচলিত ছিল---পরে শান্তি সংস্থাপিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাহ! রূপান্তরিত হইল । ১৮৭৭ খ্রীষ্টাব্দে ১লা জানুয়ারী মহারাণী ভিক্টোরিয়ার ভারত-সাম্রাজ্জী উপাধি গ্রহণ কালীন ঘোষণ। পত্র পাঠ করিবার জন্য এই নগরে এক বিরাট দরবার হইয়াছিল--এ দরবারে ভারতের প্রায় প্রধান প্রধান সমগ্র রাজন্যবুন্দই উপস্থিত ছিলেন । দিল্লীনগরী. প্রাচীন দিলা” -- নুতন দিল্লী এই দুই নামে, অভিহিত। কালে যে ইন্মা রতে বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিল তাহা এখন পুরাতন দিল্লীর অন্তভূক্ি। সেই প্রাচীন সমৃদ্ধি শালিনী নগরীর ংসাবশেষ নিরীক্ষণ করিলে প্রত্যেক সন্গদয় ব্যক্তির হৃদয়ই ব্যথিত হইয়া পড়ে। প্রকৃতই দিল্লী এক মহাশ্মশান-_-আর তাহার দির বিক্ষিপ্ত ংসাবশেষ-_শ্মশান-কঙ্কাল স্বরূপ বিদ্ভমান। বর্তমান বা নৃতন দিল্লী... ধন্মগ্রতপ্রাণ৪--প্রেজারৎল -. স্রাট.-সাহজান কর্তৃক ১৬৪০ খ্রীষ্টাব্দে নির্মিত হয়, তিনি স্বীয় নামানুযায়ী এই নগরীকেও “সাহজাহানাবাদ” এই নামে তাভিহিত করিয়াছিলেন-_- কিন্তু সাধারণের নিকট এই নাম গৃহীত না হইয়া “দিল্লী”ই সুপরিচিত হইয়া পড়ে। সাহ্জানের স্যায় প্রজাবতসল নরপতি দিল্লী সিংহাসনে অতি অল্পই উপবেশন করিয়াছেন। তিনি সত্যই সত্যই % &% ৬171) 16151760100 50 17700] 25 71110120৮০1: 115 301)15005, 19016101167 75 7 90061 0৮1 117 (8701) 710 01)1101617.” দিল্লী নগরী যমুনার পশ্চিম তীরে অবন্থিত। কলিকাতা হইতে ৯৫৫ মাইল দূরে ও সমুদ্রবক্ষ অপেক্ষা ৮০০, ফিট উচ্চে বিরাজিত। লোক সংখ্যা ২০৮,৫৭৫, তম্মধ্যে হিন্দু ১১৪,৪১৭ ; মুসলমান ৮৮৪৬০ এবং খ্রীষ্টান ও অন্যান্য মতাবলম্ী ৫,৬৯৮। দিল্লীর ডি প্রাচীন সৌধাবলীর বৃত্তান্ত বদি সংক্ষেপেও বর্ণনা করিতে যাওয়া যায়, তাহা হইলেও একখানা স্বতন্ত্র বহি হইয়া পড়ে অতএব আমরা এখানে কেবলমাত্র প্রধান প্রধান রাস্তা ও অট্রালিকাদির বিবরণই লিপিবদ্ধ করিলাম। পূর্ন যে দিল্লীনগরী ভারতের রাজধানীরূপে সর্বত্র গৌরবান্ধিত ছিল, বর্তমান সময়ে তাহা পঞ্জাবের বিভাগীয় কমিশনরের হেড কোয়ার্টার ১৩৮ । ৫৪1৬১ ৮1০ 8৬) দি! রূপে পরিচিত, হায় রে যুগপরিবর্তন ! দিল্লীর চতুর্দিকে যে প্রাচীর তাহার পরিধি প্রায় ছয় মাইল হইবে। এই প্রাচীরের চতুদ্দিকে দ্বাদশটি “গান প্রুফ' সিংহদ্বার ও ছুইটি সাধারণ তোরণ বিগ্কমান আছে । আমরা এখানে সে গুলির নামোল্লেখ করিলাম ;--(১) তোর্কমান (২) লাহোর (৩) মৌরী (8) তিলি (৫) মুচি (৬) রাজঘাট (৭) কাবুল (৮) কাশ্মীর (৯) আজমীর (১০) মস্জিদ ঘাট (১১) নিগন্ব।--_বর্তমীন সময়ে উহার নাম কলিকাতা . হইয়াছে। (১২) আগ্রা বা দিল্লী। ছুূর্গ, রাজপ্রাসাদ, রেলস্টেশন, জামে মস্জিদ, চাদনী, বন্তমান সৈনিকাবাস, রাণীবাগ প্রায় সমুদয়ই প্রাচীরের মধ্য- গত; প্রাচীরের বক্ষে পূর্ন যে নয়ন-মন-মোহকর-অনিন্দ্যস্থন্দর শান্তিশীতল কুদ্শীয়া৷ নামক প্রসিদ্ধ উদ্ভান বিছ্ভমান ছিল তাহা এখন ধ্বংসাবশেষ পরিপূর্ণ । দিল্লী নগরে ই্ট গিয়া, পাঞ্জাব ও রাজপুতনা ফ্েট এই তিনটা রেল. পথের সফ্টেসন মাছে _গ্রাগুটাঙ্করোড এবং আরও কতকগুলি সুন্দর স্থন্দর রাজপথ দিল্লী হইতে চতুদ্দিকে গমন করায় ইহার সৌন্দর্ধয বনু পরিমাণে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইয়াছে । দিলীতে কি স্থলপথে, কি জলপথে উভয় পথেই বাণিজ্যের বিশেষ নুবিধা । বর্তমান সময়েও ইহা কলিকাতা, বোম্বাই, রাজপুতনা প্রভৃতির সহিত বিস্তৃত বাণিজ্যের একটা কেন্দুস্থল। আমদানী ও রপ্তানী উভয়ই এখানে হইয়া থাকে; আমদানীর মধ্যে নীলবড়ি, রাসায়নিক ওষধাদি, তুলা, রেসম, সুত্র, গোধুম, সর্ষপাদি শশ্ত, ঘ্বৃত, লবণ, নানাবিধ ধাতু, শু, চর্ম ইত্যাদি ; আর রপ্তানীর মধ্যে তামাক, চিনি, তৈল, বিবিধ অলঙ্কার । ঝিন্দ, কাবুল, অন্বার, বিকানীর, জয়পুর, দোয়া প্রভৃতি পঞ্জাবের সমস্ত নগরে দিল্লীর সওদাগরগণ বাণিজ্য করিয়া থাকে । চাদনী চকু কারবারের প্রধান আডডা ও দিল্লীর সর্ববপ্রধান রাস্তা । এখানকার শ্রেণীবদ্ধ বিপণিশ্রেণী ও নানাবিধ দ্রব্য সমুহ দর্শন করিলে হৃদয় বিমুগ্ধ হয়। আমরা সর্বনপ্রথমে দিল্লীর রাজপ্রাসাদ দর্শন করিতে অগ্রসর হইলাম । ইহা যমুনার তীরে নগরের পুর্ববভীগে অবস্থিত। এই প্রসিদ্ধ প্রাসাদ উত্তর দক্ষিণে ৩২০০ ফিট ও পুর্ব পশ্চিমে ১৬০০ ফিট। স্থাপত্যকাধ্যে এই প্রাসাদ অতুলনীয় । ইহা “দেওয়ানে আম্” (সাধারণ দর্শকগূহ ) “দেওয়ানে খাস্” মতি মস্জিদ রাজপ্রাসাদ । ১৩৯ 368 5 050505. ০. না 95725 | প্রতি বিখ্যাত কি সমূহে বিভক্ত। “দেওয়ানে আম রক্তপ্রস্তর-স্তস্ত-সারির উপর একটা সুন্দর গৃহ। ইহার তিনদিক খোলা, একদিকে প্রাচীর ও তাহার পশ্চাতে কয়েকটি কক্ষ। ফাগুন সাহেব সাহাজাহান নির্মিত এই প্রাসাদ সম্বন্ধে লিখিয়াছেন-_:% ক ৮1076021705 2 1061101, 195 071801761 %/25) 079 08056, 17181010001) 7921706 10. 079: 737500010)9195 10 076 জ৮0110-_2170 01)6 0101) 0206, ৪? 16850 10 110019) ৮1101) 78165 005 60 01১06175000 10 05 771915617)51)5 01 8 00111)1566 [091506 ৮০16 1761) 06110140519 0100161071561) 410 08177160001 01) 0108 01)100177,৮ক* এই প্রাসাদের চারিদিক বেড়িয়া লোহিত প্রস্তরের প্রাচীর বিষ্ভমান। “দেওয়ানেআম” কক্ষের দেওয়ালে, মেজে, ও ছাদ যে সকল হীরক, মতী, চুনী প্রভৃতি বহুমূল্য প্রস্তর দ্বারা স্থসজ্ভিত ও স্থশোভিত ছিল_ এখন সে সকল কিছুই নাই । ইংরেজরাজ নে সকল প্রস্তর খচিত লতা পুষ্প ইত্যাদি এখন নানারঙ্গের কাচ খণ্ড দ্বারা শোভিত করিয়। রাখিয়াছেন। কক্ষটি শ্বেত মর্র প্রস্তরের কারুকার্যে খচিত। এই স্থানেই সাহাজাহানের মধুরসিংহাসন থাকিত - এখানে বসিয়াই তিনি রাজকাধ্য পর্য্যালোচনা করিতেন। সিংহাসনের নিন্ে যে একটা শ্বেতমন্্র বেদী আছে, তাহার উপর উজীর উপবেশন করিতেন উজীর আবেদন পত্রাদি পাঠ করিয়া একটা স্বর্ণপাত্রে রাখিতেন--পরে তাহা রঙ্তত- শৃঙ্খলে উখিত হইয়া সম্রাটের নিকট পঁহুছিত। কক্ষের পশ্চাত দিকে বমুনাতীরবর্তী শ্বেতমর্্মরপ্রন্তর নির্িত শ্রেণীবদ্ধ অট্রালিকাসমূহ শোভমান। কিস্ুন্দর দৃশ্য! “পড়ি জল নীলে ধবল সৌধ ছবি | অন্ুকারিছে নভ অঞ্জন ও! ইহার পরে কেন্দ্রস্থলে “দেওয়ান-খাস” নামধেয় স্থৃবিখ্যাত (সৌধ বিরাজিত। এই অট্রালিকারও তিন দিক খোলা _-যমুনার দিকে 'প্রস্তরের 308 স্তস্ত সকল এবং উপরের ছাদ সুবর্ণ এবং লানাধি পাপা পপ পপ পিউ সপ পিউ -পপাপা ক াগও 170191) & 9607 810716600879 1618৮8০070১, 591. | সী বর্ণে সুরঞ্জিত ছিল। ইহার উত্তর ও দক্ষিণ নি দেওয়ালে লেখা র রহিয়াছে ৮ | “আগার কিরদৌ বা রুয়ে জমিনাস্ত, হামিনাস্তো হামিনাস্তো হামিনাস্তো |” অর্থা__ যগ্চপি স্বরগ থাকে মরতের মাঝে, সম্ভব তাহলে তাহ! হেথায় বিরাজে । - পূর্ব্ধে এই লেখাগুলি কনক ফলকে শোভিত ছিল, ইংরেজরাজ ভাহা স্থানান্তরিত করিয়। তৎস্থানে পিন্লফলক স্থাপন করিয়াছেন । “দেওয়ানে আম্” ও “দেওয়ানে খাস” এই কক্ষ দু”্টা সম্বন্ধে ফাণ্ডসন সাহেব অসঙ্কোচে লিখিয়াছেন, £116৮ 71500926179 01011617170.) এই উক্তির মধ্যে কোনওরূপ অতিশয়োক্তি নাই। পূর্বে সম্রাটের সিংহাসনের নিকটে যে স্থবর্ণনিন্মিত মানদণ্ড বিরাজিত. থাকিত, এখন তাহা পিস্তল ফলকে পরিবস্তিত হইয়া ক্ষ্রাকারে দর্শকের দৃষ্টিপথে পতিত হয়। এই মানদণ্ডের চতুস্পার্খে আরবী অক্ষরে খোদিত আছে যে “মহা প্রলয়ের দিবস স্বয়ং জগত্পাতা জগদীশ্বর মানদণ্ড ধারণ পূর্ববক রাজা মহারাজ! হইতে দীনহীন কুটারবাসী ভিক্ষুকের অর্থাৎ প্রত্যেক মানুষের ভালমন্দ ও পাপ পুণ্যের বিচার করিবেন।” বণিয়ার তীহার ভ্রমণ-কাহিনীতে রাজ প্রাসাদের যে মনোহর বর্ণনা করিয়াছেন এখন তাহা কল্পনাতীত। সাহজ্গাহনের সেই ময়ুরসিংহাসন এখন কোথায়? উহা যে হীরক-প্রবাল-মগ্ডিত স্থধা- ধবলিত মর্্র বেদীর উপর স্থাপিত ছিল তাহা এখন লৌহশলাকারৃত। হায় রে পরিবর্তন! যে জগঘদিখ্যাত কোহিনুর একদিন ধূর্ত নাদীর সাহ উষ্জীষ পরিবর্তন ছলে দিল্লীর পরাজিত সম্রাট মহম্মদ সাহের নিকট হুইতে গ্রহণ করিয়াছিলেন _যাহা দিখিজয়ী বীর আলাউদ্দীন মাওয়া রাজকে পরাভূত করিয়া হস্তগত করিয়াছিলেন, যে প্রদীপ্ত মহামণি ১৫২৬ খুষ্টাব্দে মহামতি সম্রাট হুমায়ূনের হস্তগত হয় এবং যাহা কিয়দিন প্ন্ত, প্রজা- বগুসল মহাত্মা সম্রাট আকবরের সমাধিভূষিত করিয় ছি পরে ০ অতুল্য রতু আওরঙ্গজেব প্রায় ছয় কোটি যুক্ত যায়ে ভুবন বিখ্যাত মযুাসনের ভারত-ভ্রমণ | ঠোঁটে ভূষিত করিয়াছিলেন সেই কোহিনুর-ইতিহাস সত্য সত্যই আলোচনার যোগ্য । হায়। কোহিনুরের কাহিনীও কম আশ্চর্যের নহে । মোগল- সম্রাটগণের পরে ইহা পঞ্জাবের বীরকেশরী রণজিতের বক্ষও কিছুদিন পর্য্যস্ত শোভা করিয়া! অবশেষে ১৮৫০ খুষ্টীয় অন্দে ইস্ট ইগ্ডিয়া কোম্পানী কর্তৃক স্বর্গীয় মহারাণী ভারতেশ্বরীর নিকট প্রেরিত হইয়া ইংলগ্ডেশ্খর সপ্তম এড্ওয়ার্ডের মুকুটের মধ্যমণি রূপে আপনার গৌরব আসন স্থুপ্রতিষিত রাখিয়াছে। কোহিনুর এখনও আপনার অস্তিত্ব রক্ষা করিতেছে কিন্তু যাহারা তাহাকে করতলগত করিবার নিমিত্ত শত যত্ব, চেষ্টা এমন কি শোণিতপাতে ধরা বক্ষ কলঙ্কিত করিয়াছিল, হায় ! জগদীশ্বর তাহারা এখন কোথায় ? কোথায় তাহাদের সেই বীরদর্প ও ধনৈশ্বর্য্যের মোহ ? কি জগতের এই নম্রতা দেখিয়াই গাহিয়াছেন,-_ “যত্তে তৃণ কান্ঠিখান, রহে যুগ পরিমাণ কিন্তু যত্বে দেহনাশ না হয় বারণ ।” দেওয়ানী আমের পশ্চাতভাগেই রাণী মহাল-_-এবং উহার উত্তর ভাগেই বাদশাহের শয়ন-গৃহ ব! খোয়াব্গা । এখানে যে উৎকৃষ্ট মর্্্রপ্রস্তর জাল আছে তাহা অভ্ুলনীয়। দেওয়ানী খাসের উত্তর পার্খে সানাগার বা হামাম। হাজার এই স্থানের কক্ষগুলি অত্যন্ত মনোহর । এই কক্ষের ন্ানাগার। প্রাচীর এবং ছাদ্র কাচে সুশোভিত। যে দিকে দৃষ্টিপাত করা যায় সেই দিকেই প্রতিবিন্ব প্রতিফলিত। যখন নুরজাহান, মমতাজ, যোধবাই প্রভৃতি রূপসী বেগমগণ এই কক্ষে স্নান করিতেন না জানি তখন ইহা কত শোভাই ধারণ করিত। বুঝি চতু্দিকের দর্পণে নিজ নিজ স্রঠাম দেহবলরীর শোভাময় প্রতিবিম্ব দর্শনে বুঝিতে পারিতেন যে কি কুহকে তাহারা দিল্লীর সম্াটকে করায়ন্ত করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। এখানে এক দিন যে সুর ললনাগণ মন্নর সলিল ধারের স্থুরভি ক্রোতে গা! ঢালিয় দিয়! আরাম অনুভব করিতেন আজ তাহারা কোথায় ? কত গল্লে--কলহান্টে তখন এ কক্ষগুলি মুখরিত হইত-_€সই রসালাপ--সেই মদালনসে উপবিষ্ট অনাবৃত দেহের কনক শোনা -_নয়ন কোণে বিলোল কটাক্ষ-__হায়। কল্পনায়ও হৃদয়ে আনন্দের উদ্রেক হয়। বৃহত্তম কক্ষের চারিদিকে আরও কতকগুলি ১৯৪ 1 1৫)২৮12]২৮ 121১ । 1৬৮) _4842-121 1155 সুর ক 15:21 121 (৫1, ৮ কচি কক্ষ আছে-_সে সমুদয়ের মধ্যে রূপসীগণ তৈল মর্দনাদি করিতেন । তিনটা সুন্দর সুন্দর প্রকোন্ঠে বহু ক্ষুদ্র ক্ষুত্র উৎসরাজি নিম্মল মেজের উপর বিস্তৃত রহিয়াছে--তাহাদের কোনটির মধ্য হইতে উষ্ণ, কোনটির মধ্য হইতে শীতল জলের ধার! বহির্গত হুইয়া জলাধারগুলি পূর্ণ করিত। সম্মুখের একটা কক্ষের মধ্যস্থলে পনের মত একটী কুণ্ড আছে ইহাতে গোলাপজল রক্ষিত হইয়া কক্ষটিকে স্ুবাসিত রাখিত। এতদ্যতীত আরও কয়েকটা কক্ষ দেখিতে পাইলাম সেগুলি যে কি কাধ্যে ব্যবহৃত হইত তাহা এখন কে নির্য় করিতে পারে ৭ আর এক স্থানে একটা সংকীর্ণ মন্্নর পথ দেখিতে পাইলাম পুর্ন্বে এই পথে অন্তঃসলিলা রূপে যমুনার পুতবারি রঙ্গমহাল ও দেওয়ানী খাসের ভিতর দিয়াঞ্এস্থানে আনীত হইত। বহুকাল হইল সে তোত. শুক্ষ হইয়া গিয়াছে । মোগল সআাটগণ যে কতদূর বিলাসী ছিলেন বর্তমান সময়েও তাহাদের কীর্তিকলাপের ধ্বংসাবশেষ হইতে তাহ সুন্দর রূপে অধ্যয়ন করিতে পার! যায় । . স্ানকক্ষের সন্নিকটেই “মতি মস্জিদ” (10001705005 01 £01661) 11)0)55 ) অবস্থিত। পুরমহিলাগণ ইহাতে পরমেশ্বরের উপাসনার নিমিত্ত সমবেত হইতেন। ইহা শেত প্রস্তর নিশ্মিত। আওরাজজেব কর্তৃক এই মস্জিদ নিম্রিত হইয়াছিল-_আগ্রার মতি মস্জিদের সহিত তুলনায় ইহা! হীন বিবেচিত হইলেও এই উপাসনা মন্দির ও উপেক্ষনীয় নহে। কোনও রূপ রঙ্গের কার্য ইহাতে নাই-_ কেবল শেতমন্রর প্রস্তরের কারুকার্য ছারাই ইহা পরিশোভিত । এস্থানে সম্টকে বেষ্টন করিয়। রাজঅন্তঃপুর-কামিনীগণ উপাসনা করিতেন। এখন এই মতি মস্জিদ নিরাভরণ! হিন্দু বিধবা যুবতীর ন্যায় মলিন ও শ্রীহীন। দুর্গ প্রাচীরের বহির্ভাগে স্থপ্রশস্ত উন্নত ভূমির উপরে জামে মস্জিদ অবস্থিত । তাজমহল নিন্মীতা সাহাজাহানের ইহা এক অতুল কীত্তি। প্রতিদিন দশ সহত্রলোক কর্মে নিযুক্ত থাকিয়। আট বগুসর ছয়মাসে এই স্ুবৃহত উপাসন! মন্দিরের নিশ্মীণকাধ্য শেষ করিয়াছিল, ইহার নির্মাণে প্রায় পনের লক্ষ টাকা ব্যয় হইয়াছিল-_ অত্যুচ্চ বেদীর উপর অত্যুচ্চ ফটক শোভিত এই মস্জিদ দর্শকের ১৪৩ মতি মস্জিদ। জামে মসনদ । ভারত-ভ্রমণ | নিকট আপনার মহন্ত সগৌরবে ঘোষণা করিতেছে । যতদিন পর্য্যন্ত এই সমুদয় অভুল্য কীত্তিরাশির শেষ প্রস্তরখণ্ড জগতের বুকে অনু পরমাণুর সহিত মিলাইয়া৷ না যাইবে ততদিন পর্য্যন্ত সাহাজাহানের অক্ষয় নাম কখনও ধরাবক্ষ হইতে মুছিয়া যাইবে না। “পাস” ব্যতীত হিন্দুগণ এই মন্দিরে প্রবেশ করিতে অধিকারী নহেন। নিকটেই পাস পাওয়া যায়, আমরা পাস” গ্রহণানন্তর মন্দিরে প্রবেশ করিলাম। মন্দিরপ্রা্ণে প্রবেশ করিবার নিমিত্ত উত্তর দক্ষিণ ও পুর্ণবদিকে তিনটা তোরণ আছে, তন্মধ্যে পুর্বদিকের তোরণটাই উচ্চতায় এবং বিস্তৃতিতে সর্নবশ্রেষ্ঠ। ক্রমান্বয়ে ৪৫টী ধাপ অতিক্রম করিয়া এই দ্বারে পঁহুছিতে পার! যায়, স্বয়ং সম্াটও নাকি এই দ্বার দিয়াই মন্দিরে উপাসনার্থ আগমন করিতেন । সিংহদ্বারের উপরিভাগে একটী কক্ষ আছে, উহাতে একটী বেদী দেখিলাম-_-এ বেদীর নাম “শাহ নিসিন” অর্থাৎ সমত্াটের উপবেশনের স্থান। শুনিলাম যে প্রতি শুক্রবার দিবস নমাজ শেষ হইলে সম্্াট আসিয়া এই বেদীর উপর উপবেশন করিতেন, আর নিন্বে চারিদিকে প্রজামগ্ডলী সমবেত হইয়া তাহার দর্শন লাভ করিয়! কৃতার্থ বোধ করিত। এখন সেই শাহ ন্সিন্-_ধুলি সমাচ্ছন্ন ও পরিত্যক্ত । মস্জিদের অঙ্গসংলগ্ন মিনার দুইটা উচ্চতায় প্রায় কলিকাতার “অক্টার্লনি মনুমেন্টের” সমতুল্য হইবে--উহার উপরে আরোহণ করিয়া চতুদ্দিকের সৌন্দর্য দর্শনে হৃদয় আনন্দে ভরিয়া গেল। কি বৃহৎ ও স্বন্দর,-_কি বৃহ্ড ও ভীষণ এই মহানগরী-_তাহা ভাবিলেও মনোমধ্যে শোক- তরজ সমুখ্িত হইয়া ব্যাকুলিত করিয়া দেয়। মস্জিদের বৃহত্ব সম্বন্ধে একথা বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে উহাতে এক সঙ্গে এক লক্ষ লোক নমাজ পড়িতে পারে । বর্তমান সময়েও প্রতিদিন সান্ধ্যোপাসনার সময় প্রতি শুক্রবার এখানে প্রায় তিন সহত্রলোক সমবেত হয়। মস্জিদের অগ্নি কোণে একটী সূর্য ঘড়ী দেখিলাম । দ্িলীর 0)10661)15 08061) বা রাণীবাগ আকারে কলিকাতার ইডেন গার্ডেনের সমকক্ষ হইবে। বেলা প্রায় দ্বিগ্রহর পর্য্যস্ত প্রাসাদদর্শনেই অতিবাহিত হইল, অপরাহ্রে নগরস্থ প্রধান রাজপথ ধরিয়া বেড়াইতে আরম্ভ করিলাম। ইহা ১৪৪ সরা ০০০ ররর পিল ৬৪ প্, ৮ নর ঠাদনীচকের বক্ষ ভেদ করিয়৷ পূর্বপশ্চিমাভিমুখে প্রশস্ততায় কলিকাতার স্থৃপ্রসিদ্ধ রাজবর্হারিসন রোড হইতে কোন অই পরই | রাজবত্ব কম নহে, বরং কোন কোন স্থলে অধিক বলিয়াই মনে হুইল । টাদনীচকের এই রাজপথের উভয় পার্থে উচ্চ ও স্থুদর্শন বিউপীশ্রেনী পর্যটকের মন মুগ্ধ করিয়া ফেলে। কলিকাতা৷ মহানগরীর সমগ্র আপন- শ্রেণী যদি এক স্থানে সমাবেশ হইত তাহা হইলে যেরূপ দৃশ্ হয় ঠাদনীচকে সেইরূপ মহান্‌ দৃশ্যই দৃষ্ট হয়, ভারতের আর কোনও নগরে এইরূপ প্রসিদ্ধ বিপণি শ্রেণীর সমাবেশই দর্শন করি নাই। এই প্রসিদ্ধ রাজপথের মধ্যস্থানেই ব্রিটিশ নিশ্মিত বিরাট (01০0. 1০৮৩7) ক্লক টাউষ়ার বিরাজিত, ইহা ইংরেজ রাজের গৌরবময় কীন্তি স্তস্ত__কিন্ত্ু জুস্মামসজিদ সংলগ্ন মিনার ছয় অপেক্ষা উচ্চতায় শ্রেষ্ঠ নহে। “71178$515 ০1 & 17170০9০” নামক গ্রন্থ প্রণেতা স্থপ্রসিদ্ধ ভোলানাথচন্দ্ ইহার সম্বন্ধে যথার্থই লিখিয়াছেন '']1) 1] 1০111, 005 101517550 ৮০1191175 15 6172 )011)1)), [1019)520, 00%42111771909৮5 5৮19 08188 010)80, 200. 5201) 0:01) ০৮০1৮ [921৮ 0 0105 019. আগরা তোরণের সম্মুখ হইতে দক্ষিণ দিকে যতদুর দৃষ্টি ধাবিত হয, কেবল শ্মশীনের বিভীষিকা সমাধির পরে সমাধি তারপরে সমাধি, ধ্বংসের ভীষণামুত্তি এখানে প্রাকটিত। যে স্থানে এক দিবস পাঠান রাজের রাজ- প্রাসাদ বি্ধমান ছিল, এখন তাহা ধ্বংসের বিভীষিক! চিত্র প্রকাশিত করিতেছে, এই ভগ্রস্তূপের উপরেই সম্রাট অশোকের স্তস্ত স্থাপিত, ইহ সম্রাট ফিরোজ সাহ স্থানান্তরিত করিয়া আনিয়! এখানে স্থাপন করিয়াছিলেন । যে দুর্গের শীর্ষদেশ হইতে সম্রাট হুমায়ুন পদম্মলিত হইয়া মৃত্যুমুখে পতিত হুইয়াছিলেন-_সেই দুর্গ এখনও কালের ভীষণ আক্রমণ হুইতে কোনও রূপে আপনান অস্তিত্ব রক্ষা করিয়া আসিতেছে। বিষ্তোগসাহী সম্রাট হুমাফুন যখন ছূর্গ মধ্যস্থ পাঠাগারে বসিয়া গ্রন্থালোচনা করিতেছিলেন, সে সময়ে সান্ধ্যোপসনার “আজীন' ধ্বনি শ্রবণে ভ্রুতপদে প্রাসাদ্দোপরি হইতে অবতরণের সময় মর্্মর মণ্ডিত সোপানা-বলী হইতে পদস্থলিত হইয়া প্রায় পঞ্চবিংশ হস্ত পরিমিত উচ্চ স্থান হইতে মার মগ্ডিত জরীকনে পতিত ১৯ নর এন ভারত-জমপ। হইয়া সৃত্যুমুখে পতিত, হইলেন। এই ভগ্রস্তূপের দক্ষিণদিকে . সআট সম্রাট হুমায়ূনের হুমাধুনের সমাধির তুষারধবল মর্খার গন্থজ গগন ভেদ. সাধি। করিয়া দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া থাকে। হুমায়ুন মাকবার৷ বা হুমায়ন বাদসাহের সমাধিমন্দির পতিভক্তির অপূর্বৰ নিদর্শন। ইহা হুমায়ুন পত্ী মহাত্মা আকবর জননী হামিদা বানু বেগম পতি-শোক কাতর হৃদয়ে স্বৃত স্বামীর স্মরণার্থ নির্মাণ করিয়াছিলেন । যতদিন পর্যন্ত এই সৌধ-মন্দির বিরাজিত থাকিবে, ততদিন পর্যন্ত হামিদা- বেগমের. প্রেমের অপূর্ব নিদর্শন জগতের বুকে ঘোষণা করিবে-_সতীর কাতর, অশ্রচ্জলের পুণ্য শ্বেতমন্্ররে গঠিত বলিয়া এই সমাধিমন্দির মনোমধ্যে এক পবিত্রতার পুণ্য-স্মৃতি হৃদয়ে জাগাইয়া দিয়াছিল। কোথায়, - আজ হামিদাবানু--আর কোথায়ইবা সম্রাট ভুমাযুন, কিন্তু পতিপ্রেমের এই অপূর্ব কীত্তিত আজও ধরা বক্ষ হইতে যুছিয়া যায় নাই, আগ্রা, নগরীর জগদিখ্যাত তাজমহল যেমন পতির প্রেমের অপূর্ব কীর্তি মন্দির, তজ্ঞপ, 'হুমারুনমাকবারা+ ও পতীর পতির প্রতি অকৃত্রিম প্রীতির অমর নিদর্শন । কথিত আছে যে হামিদা বেগম পতির মৃত্যুর পরে হিন্দু বিধবা রমণীর ন্যায় ব্রতাচারেও ধর্ানুষ্ঠানে জীবন অতিবাহিত করিয়াছিলেন । বেগম সাহেব! ও প্রাণেশ্বরের সমাধিশব্যার পার্খস্থ বাম প্রকোন্ঠে চির নিত্রিতা আছেন। এই মন্দির নিন্মীণ করিতে পনের লক্ষ টাকা ব্যয়িত হইয়াছিল এবং যোল বৎসরে ইহার নির্মাণ কার্য্যের পরিসমাপ্তি হয়।% তাজমহল ও সেকেন্দ্রার আকবরের সমাধির ন্যায় এই সমাধি মন্দির ও একটা স্থন্দর উদ্যান মধ্যে স্থাপিত। উদ্যানটি বড়ই মনোরম, লতাকুঞ্জের শ্যামল সৌন্দর্ধ্য__বিহগের স্থমধুর গান-_ফুলের প্রফুল্ল হাসি শ্মশান-মধ্যেও সৌন্দর্যের হাসি বিকাশ করিয়া দেয়। এই উদ্ভানটি প্রায় ১৩২০ বর্গ ফিট, ইহার মধ্যস্থলেই ২০০ বর্গ মর্ম গ্রথিত প্রাক্জণের উপর বিরাট গম ঘুক্ত মন্দির শোভমান। বাদশাহ হুমায়ূনের এই পাষাণ মন্দির আজিও অভগ্র এবং প্রিয় দর্শন-_ ইহার আভ্যন্তরিক প্রাচীরের কারুকাধ্য এখনও কিছুসাত্র বিনষ্ট হয় নাই। 07৩ ১1585016000 95591650650 ৪৮ 676 099 01 165০7 [চিভ্াতিদ 0 1019665, 11751506617 - 55915, তা) 7554 1০ 7570; [01256150128 1317000, ১৪৬ ॥ 1১19৯21৩255 ১১1৮০৪১ ৪৯ এ । 44) 31112 ৮০]ি নু ১ বসন্ত 2৯৮ বি এ ল এ এ রঃ ॥ ঢা] মর ৪ ০০০ রর 1৬৫ ৬৪৯: এ নীরবতা .ইহার চতু্দিক বেড়িয়া দেদীপ্যমান_-এই বিরাট. মন্দির এখন (কপোত কপোতীর প্রেমাগার হইয়া উঠিয়াছে__তাহাদের প্রিয় কুজনে ইহার স্তব্ধতা এখন ভঙ্গ হুয়। হুমায়ুন বাদসাহ বঙ্গবাসীর নিকট অপরিচিত নহেন__বলদেশের গোলযোগে শ্ের্থাকে দমন করিবার জন্য ইহাকে বাড্ল। দেশেও আসিতে হইয়াছিল । : সমাধি মন্দিরের দ্বিতল গৃহটি গোলকর্ধাধা বিশেষ, কোনও রূপ সাঙ্কেতিক চিহ্ন দ্বারদেশে অস্কিত করিয়া ন1 গেলে বাহিরে আসিতে বিশেষ কষ্ট পাইতে হয়। সাহাজাহানাবাদ বা নুতন দিল্লী হইতে ইহা! প্রায় ছুই মাইল দূরে অবস্থিত। ভুমায়ুনের বিরাট সমাধি মন্দির দর্শন করিয়া নৈখাত কোণে কিয়দ্দ'র অগ্রসর হইলে একটা মণ্মর প্রস্তর নিশ্মিত সুন্দর প্রাঙ্গণ দেখিতে পাওয়া যায়--এস্থানে অগণন সমাধির সমাবেশ, তন্মধ্যে নিজামদ্দীন নামক জনৈক প্রসিদ্ধ ফকীরের সমাধি দর্শনীয়--এই মহাত্মার পুর্ব জীবনীর সহিত রামায়ণ প্রণেতা প্রসিন্ধ খধি বাল্সীকির (পুর্বে রত্বাকর ) পুর্বব-কাহিনীর আশ্চর্য নিদর্শন দেখিতে পাওয়া যায়। নিজামদ্দীনের সমাধিটি শ্বেতপ্রস্তর নিন্রিত ও বড়ই স্ুন্দর। গৃহটা দেখিতে সত্য সত্যই মনোহর । ফকীরের সমাধির অল্প দূরে এক প্রাঙ্গণ মধ্যেই কৰি খসরুর সমাধি । ইহা ছাড়া দিল্লীর সম্রাট মোহাম্মদন্পাহ্‌ ও রাজপরিবারভুত্ত বহু খ্যাতনামা ব্যক্তির সমাধি বিদ্কমান আছে,_সে সকলের বিস্তারিত বর্ণনা অসম্ভব। সর্ববপেক্ষা আমার মনোযোগ - আকর্ষণ হানার করিয়াছিল সাহজাহানের জ্যেষ্ঠ ছুহিতার ক্ষন সমাধিটি। সমাধি। ক্ষুদ্র হইলেও উহ্থার মধ্যে যে পুণ্য পবিত্রতার উজ্জ্বল স্মৃতি বিরাজিত রহিয়াছে, ষে পবিত্র পিতৃভক্তির জীবন্ত দৃষ্টাস্ত এই সমাধির অভ্যন্তরে নিহিত তাহা অতুলনীয় ও অপরিমেয়। জাহানারার ক্ষুক্ত্ _ সমাধিটি সহন্মদ্সসাহার সমাধির নিকটেই অবস্থিত । ইনি সম্রাট সাজাহাত্ের জ্যেষ্ঠা কন্তা এবং ধার্্িক দারার অতি স্সেহশীলা ভগ্ী। জাহানারার পবিত্র জীবন-কাহিনী মোগল ইতিহাসের উজ্্বল রত্ব। বৃদ্ধ পিতা . সাাহানকে বখন ওুরজ্রজেব আগ্রা দুর্গের পনগগিনামসজি্” পাশ্থস্থিত একটী কক্ষে আবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছিলেন তখন এই মহীয়সী রম্ষী ভারত-জমণ। নিজ স্থখ স্বচ্ছন্দতা পিতৃসেবার নিমিত্ত বলি দিয়া জনকের সেবা ও শুশ্রষা করিয়াছিলেন। পিতার মৃত্যুর পরে জাহানারা! তদীয় কুমারী- জীবন দীন দরিপ্রের দুঃখ মেচনে নিয়েগ করেন। এই পুণ্াবতী কুমারীর সমাধিটি মর্্মর প্রস্তরে গঠিত, মধ্যস্থান শ্থামলছুর্বাদলে পরিশোভিত। কবরের শীর্ষ স্থানে একটা শ্বেতমন্দর ফলকে জাহানারার স্বরচিত. একটা পারস্য শ্লোক লিখিত আছে। “বেগায়র সাব্জা না পোশাদ্‌ কাসে মাজারে মারা কে কবর্পোশী গারিবা৷ হামি গিয়াব সান্ত |” টি 4 “বহুমূল্য আতরণে করিওনা স্থসজ্জিত কবর আমার, তৃণ শ্রেষ্ঠ আভরণ দীন আত্মা জাহানারা সম্রাট কন্যার 1৮% জাহানারার চরিত্র কেহ কেহ মলিন বর্ণে চিত্র করিয়া গিয়াছেন আমাদের মনে হয় যে এইরূপ পিতৃভক্তিমতী ধার্মিকা রমণীর চরিত্র কখনও পাপের কলঙ্ক কালিমায় চিত্রিত হইতে পারে না। কিন্তু বার্ণিয়ার জাহানারা বঝ৷ বেগম সাহেবের ষে পাপ-চিত্র অস্কিত করিয়াছেন তাহা পাঠ করিলেও আঁশ্চর্য্যান্িত হইতে হয় তিনি লিখিয়াছেন £-_ ০9007061701 016 0/0080210615, 07৩01963073. 5০161১, ৮425 ৬০1৮ 0১800100], 20 ৮016980৮710 1095919180610 1১০1০৬60 01 161 15006116525 5561) 10177090160) 0790109 1০৪৭ 10617 0০ 0781 062166 85 15 10801) 60 ৮৪111821160. ক ককক্ছ 905 3100, €10011015 60 108,156 910550 10190761, 50094550 ০০101811) 1015 70210, 8100. 05018160 01961710 001 1)1) 110) ০01001১0050 0090 ও. 11005 09171271:5 076 ৮1501 0081 আপস 18617017101) 08019 ০০৬০৮ 17 £০) 71015 1535 15 006 985৮ ০০৮11161001 06 (0170 13001 17 53811, 11761007010) 076 (20751001 ]871080772) 1176 01501015০01 06 1101) 1701) 01 01719121, 8109 08881766706 076 [009107 91213915172175 £2%28125 272 ৮2091101075 ৬০1 1) 0,169. হী, চ্ী '। ই এ... ৮৯৮ [1০950991৪00 00 16601711117 109 90606101001 1)15 96155 7 01 5102 51109091660 10111 11. ৪11 001059, 700 800101560 11 01 ৪] ০০০৮1161089 : 06 ঢ)8% ৮25 1006 50 11001), 19০4856 17৩ ৪5 016. 61169 907, 8190 9106 076 91059 020121051 (৪9 012 06901570216) ৪5 8০081158118 1180 [-017195601)01 [72055 50010 25 119 51)0010 00292 170 075 01০91), 175 ৮০010 11211751021) তা10101) 15 21602501061 50501910981, 21009177050 1261 [072.001920 1) 11100956000, ক্ষ ক যর ক্র ০৬ 1019 16199100 [1026 0715 011110655 000100 17684)5 0166 2. 7010108811817 10601" 09 55172115, ছা) ৪5 06100 27686 04110, 00 01005 879 ০9 50090101691)... 06 81010100 90101) ৭, 19010096101 16810052170 1510009 196175015 5172 ০০910 1106 02৮৮ 011 10910051755 50 01৮51, 1006 516 5 11500%50 (11411) 06191, 10617 2061 ৮79 9001) ৪,01৮610560 0£ 10, 2100 175501%€0 00 501191156 17617 01061 006 015051)06 91511121061 7 51510 85175 0580 1০00. [5 107170555 9521) 1117) 00715 10018160160, 1180 00 17016 01076 0081 00 11105 07015 10100011000516 10561 11) 010 01 075 1586 07810010175 11806 (09 1১201) 11) 7 %11010) 7 ০০010 00% 192 90 0076, 0116 0140 01171) 16170 505156006%10- 00571717716 1) 00811761160 106 ৬111 1015 190210161 1000 6100617511080.17617 2, 0:০০ ৮710116, ন৪ 386. ৪5 ৮010 1909 7 পণ ৪€ 15720 ০010 1001) 0)901)6 000000 10617 11) 2. 040761055. 7100 81695 10680 7051015 7 01770 10 985 001)৮01015100 8176 91)09010 ৮/551) 1061511৪410 1১5,0)6. ০0061 7; 00111771011) 0795611019, ৬৮10 501076৬170৪. 95111 00001102119/705) (1180 00101) ৮5101) 775 ১7001796178 01)061 0190 078177101,, 200৭ 176 ০৪1৭ 1700 10417076106, ১০001 0০ 60107100015 1780 0700151 1017 ৮010, 6140 0780 30182১5 0712. 8.5 06519001100. ১০7০ 01776 26517 9115 0091৫ 96 1159.900763 916 0170952 009: 111 £:276- 5%%%%, 0180 19 1751 90681 2 0610910 [619121)0811597. 752971180, আ1)0 ৬75 2 চ0010 €0101210) 076 10870501789 810 17051 2000171101151160 91,075 13015 ০০০7৮) ৪ 2981) 01 ০9186 2150 4177101001) 07. 0980112 ০191] 1) 50. 1000) 01080 0770958. 10091) 00015 64 1280151- ঠ 3123৮ রর ০৯ 8118077 0 4 ”1 শে ৪৯ ভারত-জরমণ। 250, 1:019950 6০0 17811 1101] 6০ 00:131100559 : 90৮ 01197 7517907 5051৮50. 0008 100951600।) ৬০1 1], 800 655105, 71761. 11. %/9.9 11000110750 01 50775 01 006 56016 11171505500 107৭ 9৩51) 0010750, 15550150001) 0 0৫ 1311005616 01 ৩৮ 150. 1365 002150015 0555810660. 0 10100) 85 16 ৬০1৪ 00 90 10107101000 8, 095091, 11101) 105 00010 10060150055 00 0176 015561)0 8657 005 05001) 01106 ০9010015. 73681 5 ৭. 1100৩ 107001180101) ০1 ৮6৮) 61108. 198,555, 81) 50975 00161 0171029, %/101) 9. 11015 010911. 01 527,-009010195), ৮1710110121:207 05 01000 210 1109 ০0 2 ৮10111101) 001098], 2130 00 10159,0) 5০60 8470. 0155,9116. 11015 2098178 101. 07995106 01 1100011151555 6040) 0611)670199160 " 1)6 ৮7916 2089 0০0) 06 ০0120121)9 ৬৪1৮ 19০974 810 001651)0 11000 10150481155 7 0৪০ 076 070 $/25 90 30:010, 00500610175 106 ০০০1৭ ০০915 (9 1)15 00095, 1)6 ড/2.5 110 11010 2116." ইহার অনুবাদ অনাবস্যক | বার্ণিয়ারের লেখা হইতে.জাহানার বা বেগম সাহেবের যে চরিত্র চিত্রিত হইয়াছে, তাহা বিশ্বাস করিতে আমাদের প্রবৃত্তি হয় না, কাহারও হইবে কি না তাহাই বিশেষ সন্দেহ স্থল। যে মহীয়সী রমনী যৌবনের স্থুখ-. শান্তি ও ধনৈশর্ষ্যের মায়া ছিন্ন করিয়া! পিতার সেবার্থ কারাগারের কঠোর' দণ্ড সহা করতেও কুস্টিতা হন নাই, যিনি শেষ জীবনে দরিদ্রের স্থখ শান্তি ও দুঃখ মোচনকেই পরম পুণ্যব্রত বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিলেন_ তাহার সম্বন্ধে ঈদৃশ কলঙ্ক-কাহিনী যে বার্ণিয়ার কোন্‌ হিসাবে প্রচার করিলেন তাহা বুঝিতে আমরা অক্ষম । বার্ণিয়ার বোধ হয় ভ্রম ক্রমে উদোর পিগ্ডি বুদোর ঘাড়ে ফেলিয়াছেন। বিল সাহেব ততপ্রণীত 01161)51 13191. 01109] [0100101191৮ নামক সংগ্রহগ্রন্থে ইহাকে যে দেবীরূপে চিত্র করিয়াছেন ইহাই যথার্থ। প্রসিদ্ধ ভোলানাথ চন্দ্রের সহিত আমরাও বলি 7617 0012) 0)6751006556 81105101) 096175 11805 [0 50017 ০010000610/ 182)10121 2100. 01101600051 1110 0 11018. 00617 65901070110 167 247717016, ০০013191191159, 81) 01945 21360711015 118,৬515 17 11010005777 ( 13917829251 987185,) ০, 2 ১৫৬ ৬৩ পর নু ক ৭৮1 র্‌ দা [০ 08790667064. (0181) 140810681, 800 10. 00516000808 01 ৪ 98100 ১০০ 2৩9০5৩৫ 1141) ১7 1277119 910.1955 01776 006 1771706,1 ৃ জাহানারার সমাধি আমাদের নিকট এক পুষ্সর তীর্থ দির মনে হইয়াছিল, সেই পিতৃভক্তিমতী জাহানারার পুণ্যসমাধির পার্থে অজ্ঞাতে ভক্তিতরে শির নত হইয়া পড়িল। জাহানারার সমাধি দর্শনান্তে আমরা একে একে নিম্নলিখিত সমাধিগুলি পর্যবেক্ষণ করিলাম । ও মির্জা জাহাঙ্গীরের সমাধি__-এই সমাধিটা ঞ্প্স্তরের নানাবিধ সুন্দর সুন্দর কারুকার্যে পরিশোভিত। মির্জা জাহাজীর দ্বিতীয় আকৰর সাহার পুত্র, অপরিমিত মগ্ভপানে ইহার অতি অল্প বয়সেই মৃত্যু হইয়াছিল বলিয়া কথিত আছে। এই সমাধিমন্দির ১৮৩২ গ্রীটাবে নির্ষিত হয়। পা পুরাণ কেল্লা-_ইহা হুমাযুন বাদসাহ নিষ্মাণ করিয়াছিলেন, কিন্তু এখন আর ইহার সে সৌন্দর্যের কোন চিহ্ৃই বিমান নাই। কিল্লার চতু্দিক বেন করিয়া! যে প্রাচীর ছিল তাহার ধ্বংসাবশেষ ও একটা মাত্র তোরণ অতীতের সকষীস্বরূপ বিরাজমান আছে। প্রাচীরের বহির্দেশে যে পরিখা ছিল, তাহা এখন অতি ক্ষীণ চিহ্নের মত দেখ! যাইতেছে। প্রাচীন কিল্লার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে “কিলা কি না মসজিদের ধ্বংসাবশেষ? ও সেরমঞ্জিলই স্থপ্রসিদ্ধ। হুমায়ুন রাজ্যপ্রাপ্তির পরেই ইহা: নির্মাণ করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন, কিন্তু পরিশেষে সেরশাহার সহিত যুদ্ধে পরাভূত হইয়া পলায়ন করিলে পর সেরশীহ ইহার নির্মাণ কার্ধ্য শেষ করিয়াছিলেন। 'ফিরোজাবাদের দক্ষিণ হইতে আরস্ত করিয়া পুরাণ কেল্লার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বব পর্য্যন্ত স্থানে রাজধানী প্রস্তুত করিয়া তাহার নাম “দিল্লী সেরশাহী” রাখিয়াছিলেন। সেরমঞ্জিল__ইহার বিষয় পূর্বেবেই বলা ফ্দে এই টিবহ শাহার রাজভবন। এই রক্তপ্রস্তর-নির্্িত ত্রিতল হম্মটা সেরশাহ নিশ্মাণ করিয়াছিলেন। এখন এই রাজভরন জরাজীর্ণ বৃদ্ধের স্যায় শেষের ৮ টির কলেবরও নাই। | ১8৫ ভাঁরত-ভ্রমণ | আরব কি: সরাই__একটা কষুত্রপল্লী _ইহা! ভুমায়ুন-পত্রী হামিদাবানু বেগম বা হাজি বেগম কয়েকজন আরবদেশবাসী মোল্লার বাসের নিমিত্ত নিশ্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন। এখন এস্থানে আর কোনও আরবকে দেখা যায়? না, কেবল মাত্র দুইটা সুন্দর তোরণ এককালে যে এস্থানে একটা স্থন্দর লী “ছিল তাহার প্রমাণার্থ বিরাজিত আছে। [ মোকরবা খা খান্সাঁ_হুমাযুনের সমাধির ঠিক্‌ বহির্ভাগে ইহ! অবস্থিত । এই সমাধি-মন্দির বিরাম খাঁর পুক্র আবছুল রহিম খা ওরফে খান্না কর্তৃক তাহার পত্বীর সমাধির জন্য নির্মিত হইয়াছিল _তীহার স্ত্রী সমাধি মন্দির মধ্যে অনন্ত নিদ্রায় অভিভূত আছেন। সম্রাট জাহাজীরের 'রাজত্বের একবিংশ বর্ষে বাহাত্তর বসর বয়সে ইহার মৃত্যু হইয়াছিল। তুষারধবল মার্বেবল প্রস্তরে ও লোহিত প্রস্তরের সম্মিলনে ইহা নিশ্রিত হওয়ায় এক সময়ে এই সমাধি মদ্দিরটী বস্তুতই দর্শন- যোগ্য ছিল, কিন্তু অযোধ্যার নবাব স্ৃজাউদ্দৌলা খা ইহার শ্বেত প্রস্তর সমুহ অপহরণ করিয়া লক্ষোতে লইয়৷ যাওয়ায় এই মন্দিরটার এখন আর পূর্ব লৌন্দর্য্য বি্কমান নাই। খা খানান একজন প্রসিদ্ধ পণ্ডিত ছিলেন, তিনি বাবরের আত্মজীবন চরিত তুর্কী ভাষা হইতে পার্সাতে অনুবাদ করিয়৷ যাওয়ায় পার্সী সাহিত্যে স্থায়ী নাম রাখিয়া গিয়াছেন। বেয়লী বা কুপ-_এই কুপটী নিজামুদ্দীনের সমাধির নিকট অবধি । সাধারণ লোকের বিশ্বাস যে ইহার জলে স্নান করিলে সর্ববপ্রকার রোগ জ্বালাই নিবারিত হয়। এই বিশ্বাসের বশীভূত হইয়া নিজামুদ্দীনের মেলা উপলক্ষে ব্ছলোক এই কৃপজলে স্নান করিয়া থাকে । চৌষাট খা্থা-__এই অতি স্বন্দর অট্রালিকাটা নিজঞামুদ্দীন ও হুমায়নের সমাধির মধ্যস্থলে অবস্থিত। ১৬০০ খ্রীষ্টান্তে এই অট্রালিকা্টা নির্ট্দিত হইয়াছিল । শ্বেতপ্রস্তরে নির্মিত বলিয়া ইহা সহজেই পর্ধ্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এই গৃহ চৌধাট্রিটা স্তম্তের. উপর নির্মিত বলিয়াই ইহার নাম চৌধাটি খাস্া হইয়াছে । . নীলভুজ-_এই অট্রালিকাটি একজন পাঠান সমর কর্তৃক জনৈক ৯৫২ দিলী দিলী। সৈয়দের সমাধির উপর নিশ্রিত। পূর্ব এই পর্ণ ছিল বলিয়া ইহার নাম নীলভূজ হইয়াছে । লাল বাজ লো-_আকবর সরাই দর্শন করিয়া যখন পুরাণ কিললার পথে ফিরিতেছিলাম, তখন আমাদের গাইভ এই সমাধিগৃহটি দর্শন করাইয়াছিল গৃহমধ্যে লোহিত প্রস্তর নিন্মিত ছুইটা সমাধি বিদ্যমান আছে---তাহার মধ্যে বৃহত্তমটি সন্্রাট হুমায়ুন কর্তৃক তদীয় এক মহিষীর সমাধির উপরে ১৫৪০ খ্রীষ্টাব্দে নির্ষিত হইয়াছে । অন্যটি বাদশাহ শাহ আলমের পত্ী লাল কুয়রের (1-71 1441) সমাধির উপরে নিদ্নিত। লাল কুয়রের নামানুযায়ী ইহার নাম “লাল বাঙ্গালা” হইয়াছে । কালামহল-_পুরাণ৷ কিল্লার নিকটে ইহা! অবস্থিত। ১৬৩২ শখীষ্টাব্দে এই সৌধ নির্মিত হইয়াছিল। এখন ইহা ধ্বংসরাজ্যের পথে আপনাকে স্থাপন করিয়াছে । একদিন ষে এই অট্রালিকাটি বেশ বড় ছিল-__তাহা! ইহার ভিত্তি দৃষ্টে সহজেই অনুমান করা যায়। তোরণঘারের ভগ্নাংশ সমূহ হইতেই ইহ। অনুমিত হয় যে এককালে এই তোরণঘ্বার অত্যন্ত স্বন্দর ছিল। এ সকল ছাড়া গোরস্থানের চতুর্দিকে আরও দেখিবার বু সমাধি মন্দির বিদ্ধমান আছে। গোরস্থানের চতুর্দিকে সৌম্য শ্মশীনের যে ভীষণ দৃশ্য দেদীপ্যমান, তাহা দর্শনে হৃদয়ে এক গভীর শৌকের ভাব উদয় হয়। কোথায় সেই ইন্দ্রপ্রশ্থব_ কোথায় সেই কুরুপাণডব! কোথায় সেই রাজসুয়ঘজ্ঞের তুমুল কোলাহল ? নানা দিগেদশাগত রাজন্যবর্গের অপুর্ন সম্মিলন !-_শ্রীকৃষ্ণের : ব্রাহ্মণের পদধৌতকরা-_সে দৃশ্যের কথা মনে করুন! ধর্মের জন্য-_রাজ্য-সম্পদ পরিত্যাগ-_-বনগমন-_সে কি এই দেশে এই স্থানে এই নগরেই সম্পীদদিত হইয়াছিল ? দুধ্যোধন কি একদিন গর্স্বিত ভাবে এস্থানের রাজপ্রাসাদ বসিয়াই বলিয়াছিলেন__“সূচ্যগ্র ভূমিও পাগুৰকে দিব না1” ভীগ্ষের ভীষণ ধনুকটক্কারে-_ভ্রোণের অপুর্ব নিপুণতায় কর্ণের অপূর্ধব ধৈধ্যে-_ যখন কুরুক্ষেত্রে রণত্তেরী বাজিয়! উঠিয়াছিল-_-সেই এক দিন আর এই এক দিন ! পাগুবগণের বীরত্বে ছুর্যোধনাদির পরাজয় ও ধর্ট্দের জয় স্থাপিত হইয়া যে ধর্ম্মরাজ্য ভারতবক্ষে স্থাপিত হইয়াছিল-_ভাছার শেষ ৷ ২০ | সি ১৫৩ ভারত-ভ্রমণ | স্মৃতি_শেষ চিহ্ন, এখন কেবলমাত্র ধ্বংসপুরী ইন্দ্রপ্রন্থের অণু পরমাণু ব্যতীত আর কোথাও দেদীপ্যমান নাই। মহাভারতের অক্ষরে অক্ষরে যে মহান্‌ কীন্তিগরিম। গ্রথিত আছে তাহা কালের কি সাধ্য আছে যে মুছিয় ফেলিতে পারে ৮. _ তগা খাঁর সমাধি- লৌধ বাট । খাম্বার সম্লিকটে লোহিত ্র্তর নির্শিত এই সমাধিটি অবস্থিত । এই মন্দির মধ্যে তগা খা মৃত্যুর শীতল-ক্রোড়ে শায়িত। শিশু আকবরকে: দুগ্ধ পান. করাইতেন বলিয়া ইহার নাম “তগা খা” হয়__কিস্তু ইহার প্রকৃত নাম সমন্থৃদ্দিন মহচ্ষদ খ!। আকবরের রাজস্ব সময়ে ইনি বিশেষ প্রতিপন্তির সহিত রাজকার্ধ্য নির্বাহ করিতেন। সআট আকবরের ধাত্রীমীতার পুন্রর আদম খা বিদ্বেষ পরবশ হইয়া, ইনি যখন নমীজ পড়িতেছিলেন তখন হত্যা করে। (১৬৫১ শ্বীঃ অঃ) তগা খার পুক্র ককুলতান খা এই সমাধি-হন্ম্য নিষ্মীণ করাইয়াছিলেন। তগা খাঁর সমাধি দর্শনান্তে আমরা কুতৰ মিনার দর্শন করিবার উদ্দেশে শকটারোহণে অগ্রসর হইতে আরম্ত করিলাম । আমাদের দিলীর “গাইড বদরীদাস, যাইতে যাইতে পথের মধ্যে একস্থানে গাড়ী থামাইয়! লোদীবংশীয় রাজন্যবর্গের কয়েরুটি কবর- _হন্ম্য দেখাইল। এই হন্ম্য চারিটা ও একটা মসজিদ ঠিক্‌ মাঠের মধ্যে অবস্থিত । সবদরজঙ্গের সমাধি-বাটিকা --এস্থানে সম আহামদ সাহের মন্ত্রী অযোধ্যার রাজ প্রতিনিধি মনসুর খা সব্দরজন্গ চিরনিদ্রায় নিদ্রিত আছেন । মোগল সম্রাটের অধঃপতনের সঙ্গে সঙ্গে লিপাহী-বিদ্রোহের পুর্ব পর্য্যস্ত ইট ইগ্ডিয়া কোম্পানী ইহাদের বংশধরগণকে রাজোপাধিতে বিভূষিত করিলেও দিল্লীর মুসলমানগণ ই'হাদিগকে উজীর বলিয়াই সম্বোধন করে। নবাৰ স্বজাউদ্দৌলা এই সমাধি-বাটিকা তদীয় জনকের সমাধির উপরে নিন্াণ করিয়াছেন। সমাধি সৌধটি প্রায় ৩৫« ফুট সমচতুক্ষোণ বৃক্ষাদিপূর্ণ উগ্ভানের মধ্যে একটা উচ্চ বেদীর উপরে বিরাজিত। ইহার প্রত্যেক কোণে এক একটা দ্বিতল মিনার 7 ছাদের মধ্যভাগে একটা সুশোভন গুম্বজ । লোহিত প্রাস্তরের প্রাচীর মধ্যে স্থানে স্থানে মর্র প্রস্তরের খিলান থাকায় দেখিতে বেশ স্থন্দর বোধ হয়। _ প্রতিধারেই খিলান বিশিষ্ট প্রবেশের ১৫৪ ৩:৬0) ৮৮ 1 1৯1৯৯ ৩১৩৫৪ 3১49 1২1 ৯১১০ [৩ 4) ১42৩311511৩ ৬ 1 4 রাস্তা আছে। গৃহের ঠিক মধ্যস্থলে একটা স্মন্দর মন্মরর শবাধার-_ইহা জওয়াব কবর ব্যতীত আর কিছুই নহে, প্রকৃত কবর মৃত্তিকা নিশ্মিত এবং নিন্নস্থ একটা কুঠরীতে বস্ত্াচ্ছাদিত রূপে দেখিলাম । এই আচ্ছাদন বন্দ্রের উপর প্রতি দিনই পুষ্পবধিত হইয়া থাকে । মৃত ব্যক্তির সমাধির উপর ঈদৃশ ভাবে পুষ্প বর্ষণ অতি স্থন্দর ভাবজ্ভাপক, ইহাদ্বারা মৃতব্যক্তির প্রতি আত্মীয় স্বজনের ভক্তি ও শ্রদ্ধার বিকাশ হয়। জগতে ফুলের অপেক্ষা স্বন্দর ও ক্ষণস্থায়ী আর কি আছে? এত শোভ1 ও এত ক্ষণস্থায়ীত্ব আর কার? হায়! মানুষ কি তাই নয়? দেখিতে দেখিতে জীবন-দীপ নিবিয়া . যায়_দেখিতে দেখিতে হৃদয়ে হাহাকার জাগিয়! ওঠে । এখান হইতে অশ্ব-শকট যতই কুতবমিনারের দিকে অগ্রসর হইতে আরম্ভ করিল, ততই দূরে বামদিকে প্রাচীন স্থানের শত শত স্মৃতি চিহ্ন দর্শন করিতে আরম্ভ করিলাম । প্রাচীন দুর্গ, মস্জিদ, প্রভৃতির ভগ্নীবশেষ ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত ভাবে বিরাজমান । এক সময়ে যে ছুর্গ দৃঢ়তার সহিত শব্রুর আক্রমণ উপেক্ষা করিত এখন তাহা বিলুপ্তপ্রায় । ছুর্গের ভিত্তি যে এক সময়ে বিশেষ দৃঢ় ছিল তাহা সহজেই অনুমান করা যায়। মস্জিদটা একটী উচ্চভূমির উপরে স্থাপিত । ইহ! আকৃতিতে সমচতুক্ষোণ, দ্বিতল এবং প্রতি কোণে কোণে এক একটা ৫০ ফুট উচ্চ স্তস্ত বিদ্যমান । মস্জিদের উপরিভাগে ৮-টী নানা কারুকার্য্য- খচিত অলঙ্কত স্বদৃঢ় গম্বুজ । এই বৃহণ্ড মস্জিদের নিল্সতলে ১০৪টা কুঠরী আছে-_ প্রত্যেকটা প্রকোষ্ঠ ৯ ফুট সমচতুক্ষোণ-_ইহা৷ ছাড়া প্রতি দ্বারের নীচেও এক একটা কুঠরী আছে এবং প্রতি স্তন্তের নীচেও এক একটা কুঠরী আছে। উদ্ধতলে আরোহণ করিবার নিমিত্ত দক্ষিণ পুর্ব ও উত্তর দিকে এক একটী পথ আছে, সে সকল পথের মধ্যে এখন কেবল উত্তর দিকেরটিই খোলা দেখিলাম । এই অষ্রালিকাঁটি পাটলবর্ণের গ্রেনাইট প্রস্তরে নির্মিত হওয়ায় কেমন যেন একটা মৌন গাল্তীধ্য-_কেমন যেন একটা বিষাদের ছায়া ইহার সর্ববাঙ্গ ব্যাপিয়া বিরাজিত রহিয়াছে । চিকি হইতে প্রায় একমাইল দুরে বেগমপুর অবস্থিত, এখানে পাঠান- স্থাপত্যের বহু প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়। ফিরোজ সাহার, চিকি। ১৫৫: ভারত-ভ্রমণ । নির্মিত চতৃক্ষোণ ভগ্রস্তস্তের ভগ্রাবশেষ এখানে দর্শন করিলাম। ক্রমশঃ আমাদের অশ্শকট কৃতব মিনারের সন্নিকটে আসিয়া উপস্থিত হইল । ইহা বর্তমান দিল্লী নগরী হইতে এগার মাইল দুরে অবস্থিত । সাহাজাহানাবাদ হইতেই কুতবের দৃশ্য আমাদের নয়ন-মন মুগ্ধ করিয়াছিল, এখন নয়ন সমক্ষে এই অভভেদী স্তস্ত দর্শনে অপূর্ব আনন্দান্ুভব করিলাম। কুতবের চতুর্দিকে প্রাচীন ভগ্ন অট্রালিকার স্তুপ সমূহ ইতন্ততঃ বিক্ষিপ্ত ভাবে বিরাজিত। ভারতবর্ষের আর কোথাও এইরূপ উচ্চ স্তম্ত বিদ্যমান নাই । কেহ কেহ ইহাকে পৃথিবীর মধ্যে সর্বেবাচ্চ স্তস্ত বলিয়া বর্ণনা করিয়! থাকেন, কিন্তু তাহা ভূল। ইহা নিন্ হইতে উর্দদিকে ক্রমশঃ সরু হইয়া উঠিয়াছে। পাঁচটা স্থদুঢ় প্রচুর কারু-কাধ্য বিভষিত ঝুলান বারান্দা দ্বারা ইহা! পঞ্চখণ্ডে বিভক্ত । এমনি স্থকৌশলে এই বিরাট স্তস্ত নির্্িত হইয়াছে যে, নিন্নভূমি হইতে উদ্দদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলে ইহাকে স্বাভাবিক উচ্চতা অপেক্ষাও অধিকতর উচ্চ বলিয়া প্রতীয়মান হয়। ইহার প্রথম দুই খণ্ড লোহিত প্রস্তরের ও পরের ছুইখণ্ড মর্্মর প্রস্তর দ্বারা স্তরগঠিত। কুতৰ মিনারের উচ্চতা ২৪২ ফিট, নিন্সভাগের বেড় ১০৬ ফিট। কুতবের মধ্যভাগ ধূসর প্রস্তরে নির্ট্দিত। মিনারের তিনখণ্ডের গাত্রে লম্বভাবে গভীর খাজকাটা--খাজগুলি আবার এক এক খণ্ডে এক এক প্রকারের। প্রথম খণ্ডের যে খীজগুলি আছে উহা তর্দবৃন্তাকার, পরেরটি সকোণ-_দ্বিতীয় খণ্ডের খাঁজগুলি সমুদয়ই অদ্ধবুকাকার এবং তৃত্তীয় খণ্ডের খাজগুলি সকলই সকোণ, বক্রী দুইখণ্ডের গাত্রে কোনও খাঁজ নাই। কুতবের উপরে উঠিবার ঘুরাণ ফিরান পথে সর্ববশুদ্ধ ৩৮০টি সিড়ি আছে। আবার সিঁড়ি হইতে বারান্দায় আসিবার জঙ্ত প্রত্যেক তলেই পথ আছে। মিনারের উদ্ধীংশও শ্বেত প্রস্তর নির্মিত বলিয়া বোধ হয়-__-আর উহার বহির্ভাগ খোদিত অক্ষরে চিত্রিত থাকায় দেখিতে অতাস্ত মনোহর বোধ হয়। নিন্মতলের চারিদিকে ছয়টী চক্রাকার লেখা দেখিতে পাওয়া যায়__ তাহাদের সর্বেনাপরি যে চক্র আছে তাহাতে কোরাণের বয়ানে স্থৃচিত্রিত। উহার নিন্ন চক্রে আল্লার নিরনববই নাম ও তৃতীয় চক্রে মহম্মদ ঘোরীর কুতব মিনার। ১৫৬ 1 1213৮12)৩ 44150 1৮০2১ % ৮৮০৬ ১৮ । 1০1০১ ৯141৫ ৮৮১০1৩1৩11৩ টি রর ১৩০ এ] 15 তে 1 ॥ (৩ /,০০৯ বারী? ইরি১17 08 ৮০০০৯ ০০০ দিল্লী । প্রশংসাবাক্য চিত্রিত। চতুর্থ চক্র কোরাণের বয়ানে এবং পঞ্চম চক্র স্থলতান মহন্মদবিন মাসের প্রশংসাবাক্যে চিত্রিত।*% সর্বব নিন্ম চক্রের লিপিগুলি অপাঠ্য হইয়া পড়িয়াছে। প্রতোক খণ্ডের দ্বাদেশের উপরেও এইরূপ খোদিত লিপি আছে । জেনারেল কানিংহাম ইহার উচ্চতা সন্থান্ধে এইরূপ পরিমাণ নির্দেশ করিয়াছেন, প্রথম খণ্ডের উচ্চতা ৯৪ ফুট ১১ইঞ্চি ; দ্বিতীয় খণ্ডের ৫০ফুট ৮ইঞ্চি; তৃতীয় খণ্ডের ৪০ ফুট ৯ইঞ্চি; চতুর্থ খণ্ডের ২৫ ফুট ৪ ইঞ্চি; পঞ্চম খণ্ডের ২২ ফুট ৪ ইঞ্চি ; সর্ববশুদ্ধ ২৩৪ ফুট-_পুর্বেদে ইহা আরও ৬০ ফুট উচ্চ ছিল কিন্তু কালের পরিবর্তনে সে অংশটুকু মুত্তিকামধো প্রথিত হইয়া গিয়াছে । দ্বিতীয় তলের দ্বারদেশে লিখিত আছে যে “সআট আলতামসে”র আদেশান্ুসারে ইহার কার্য্য পরিসমাপ্ত হইল । তৃতীয় তলের দ্বারদেশে সম্রাট আলতা মসের প্রশংসা- বাদ খোদিত আছে। চতুর্২তল বা খণ্ডের দ্বারদেশে লিখিত মাছে যে সআট আলতামসের রাজত্বকালে মিনার নিন্মীণের আদেশ হয় । পঞ্চম খণ্ডের দ্বারের উপর লিখিত আছে যে বজপাতে মিনার নষ্ট হওয়ায় ৭৭০ হিজারি অর্থাৎ € ১৩৬৮ শ্বীঃ অঃ) সআট ফিরোজসাহ কর্তৃক ইহার সংস্কার সাধিত হইয়াছিল। কুতবের ইতিহাস অনুধাবন যোগ্য । এই স্থপ্রসিদ্ধ মিনারটি হিন্দুদিগের কি মুসলমানদের নির্দিতি তৎসন্ধন্দে মতভেদ আছে। সিম্যান সাহেব এ সম্বন্ধে বলেন “£00901151) 1000101 1075 [016৮91150. 270110 50176 069016 কতবের ইতিহাস । ৪৮1 0070 9 77-700%, 080 0715 00570115111 91105 7,1771790) ১০11011)£, ৭170 106, 29 ০001)0171% 9019005০৭, ৪ 10179050581 91০» হিন্দ্রদের এ দাবী সম্বন্ধে সিম্যান সাহেব যাহাই বলুন না কেন সে শশিশিশীশশিশিত শী পীরে পিসিশ ৮ গ /105870 06 টানা 5601৮ 0076 22 7৬6 11010120172] 19615 ০01 09.559.295 7017 05 [01710) 017212790 117 0010 79116, 270. 17. 076 090 077072061-, 17 016 560074 5017৮ 01210 8112 09817, 711 17 (16 (17170. 01766. 1116 25091715195 & 5101721 9121702.56 ৮/101)11) 01 0117060101111000 2170 01617) 55105 7 27011015216 709557£65 607 115 512170856 10106 08710010165) ৮/10 001015 1016 27000505100 0076 9.01119901 01 11217 270 217, 14720165270 ৮60091180%29%5 [১,749 ৬০1, 71. ১৫৭ ভারত-জমণ | সন্বন্ধেও কোনরূপ প্রমাণ কিংবা জনরব না থাকিলে কখনই এইরূপ একটা প্রবাদ প্রচলিত হইতে পারিত না। প্রথমতঃ ইহার দ্বারদেশ উত্তরদিকে অবস্থিত। দ্বিতীয়তঃ দ্বিতীয় আকবর সাহার সভাসদ সৈয়দ মহম্মদ নামক জনৈক মুন্দী লিখিয়াছেন যে “কোনও হিন্দু নরপতি তদীয় কন্যার প্রতিদিন যমুনা দর্শনের স্থবিধার জন্য ইহা নিন্ীণ করিয়াছিলেন ।” যদি তাহাই হয় তাহা হইলেও কুতবের অবস্থা দৃষ্টে এবং মুলমান শিল্পীগণের কারু- কাধ্যাদি দর্শনে স্পষ্টই বুঝিতে পারা যায় যে মুসলমানগণের হাস্তেই ইহার নিশ্মীণকাধ্য শেষ হয়। কুতবমিনারের নিন্নাণ সম্বন্ধে প্রাচীন ইতিহাস যতটা জানিতে পারা যায় তাহাতে বোধ হয় যে ইহা ১২০০ গ্রাঃ অন্দে বা প্রায় তণ্কালে আরন্ধ হইয়া ১২২০ খ্রীষ্টাব্দে রাজা সামসউদ্দীন আলতামস কর্তক পরিসমাপ্তি হয়। মিঃ বেগলার সাহেব আফিয়লজিকেল সার্ভের এক বাধিক বিবরণে কুতবকে হিন্দ্র-নিশ্রিত বলিয়া প্রমাণিত করিবার জন্য বন চেষ্টা করিয়াছিলেন । উহার গাত্রস্থ অলঙ্কার সমূহের মধ্যে হিন্দু শিল্িগণের ভাবনৈপুণ্য ও হিন্দুরীতি অন্মযায়ী নিশ্মিত বলিয়া কেহ কেহ বলেন যে কুতবের প্রধান শিল্পী মুসলমান ছিলেন এবং অন্যান্য শিল্লিগণ হিন্দু ছিলেন কাজেই হিন্দুভাবের আধিক্য ইহাতে দৃষ্ট হইয়া থাকে । চিতোরের জয়স্তস্ত বা (1)৮০-€)0 ৩1০0১) ব্যতীত ভারতের আর কোথাও এইরূপ বিরাট স্তস্ত দৃষ্ট হয় না। কথিত আছে ষে প্রায় ২৭টা ভিন্ন ভিন্ন হিন্দ্ু-মন্দিরের উপাদান লইয়া কুতব মিনার নিশ্রিত হইয়াছে । প্রায় ৬০০ বসর হইল কুতব এমনি করিয়া দণ্ডায়মান হইয়া অতীতের সাক্ষ্য দিতেছে । সে অতীতের কত কি দৃশ্য অবলোকন করিয়াছে । কত রণজয়নাদ, কত সাআজ্যের উত্থান পতন তাহার নয়নসমক্ষে সংঘটিত হইয়া গিয়াছে কিন্তু সে তেমনি দীড়াইয়। আছে। কত দেশের কত জাতির কত বিভিন্ন শ্রেণীর পরিব্রাজক ইহাকে দর্শন করিতে আসিয়া ছিল, কত কবি, কত চিত্রকর নিজ নিজ কবিতায় নিজ নিজ চিত্রে উহার মহিমান্িত গৌরব-ছবি অঙ্গিত করিয়াছিলেন, এখন তাহারা কোথায়? কালসাগরের তরঙ্গাঘাতে সে সমুদয় বিলীন হইয়! গিয়াছে । অনসির ঝনঝনায় কামানের ভৈরবগর্ভভনে লেলিহান জিহবা প্রসারণ করিয়া দিল্লীতে যখন ১৫৮ ভর দি 0119, 420441648 ্ না 1411. ৭,৬০০) 1574044 কুন্তলীন প্রেস, কলিকাত। দি অট্রহাসিনী রণরঙ্গিণী সমরে নর্তন করিয়াছিলেন সেদিন এখন কোথায়? কুতবের পদতলে বসিয়৷ তাহার এ গগনভেদী শুভ্রমস্তকের দিকে চাহিয়া চাহিয়া আমার মন সুদুর অতীতের কোন্‌ অজ্ঞাতে স্বপ্নরাজ্যে মিলাইয়া যাইতেছিল তাহা আর খুঁজিয়া পাইতেছিলাম না। এখনত আর কোন মুসলমান সন্ধায় ইহার উপর হইতে উচ্চে প্রার্থনার আহবান করে না? এখনত আর কোনও রাজকন্যা যমুনা-দর্শনের জন্য ব্যগ্র হইয়! দ্রুতপদে ইহার মস্তকোপরি আরোহণ করে না! চারিদিকের ধবংসের মধ্যে কুতব বজাহত তরুর ন্যায় কালের দারুণ কষাঘাত ০০০০০০৪০০ দাড়াইয়া আছে। কুতবের উপর হইতে চতুদ্দিকের ৃশ্টাবলী মন মুগ্ধ করিতেছিল । দূরে সূর্যয-কিরণৌজ্জ্বল টি যমুনাস্ুন্দরী রজতরেখার ন্যায় প্রতীয়মান হইতেছিল-_আর চতুদ্দিকের ধ্বংসাবশেষের মধ্য দিয়া সৌধশ্রেণীর পর সৌধশ্রেণী তারপরে সৌধশ্রেণী মাথা তুলিয়৷ দাঁড়াইয়া! দিল্লীর নাগরিরু সমৃদ্ধির পরিচয় দিয়া উদ্ত্রান্তচিত্তকে বিস্ময়ে বিমুগ্ধ করিয়া দিয়াছিল। ঘুরিয়া ফিরিয়া উঠিতে বড়ই ক্লেশ বৌধ হইয়াছিল, প্রত্যেক তলে উঠিকাই আমরা বিশ্রাম করিয়া লইয়াছিলাম। উপরে বনুক্ষণ বিশ্রাম করিয়া নিচে অবতরণ করিলাম, মৃছুমন্দ শীতল সমীরণ আসিয়া আমাদের পরিশ্রান্ত কপোলদেশে স্পেহময়ী জননীর জেহাশীর্বাদের মত স্থকোমল ভাবে বীজন করিতেছিল। চারিদিকে রৌব্রের প্রথর কিরণ, তার মধ্যে কি- এক শীতলতা । কি এক শান্ত ও উদার সৌন্দর্য্য ! কৃতবের নিন্সে এবং তাহার অতি নিকটে আর একটা বি ভিত্তি মস্জিদ কুয়তুল. দর্শন করিলাম । ইহার ভিত্তি কৃতবের ভিত্তির প্রায় দ্বিগুণ ইস্লাম। হইবে। প্রচলিত হিন্দু জন্প্রবাদ হইতে জানিতে পারা যায় ষে পুর্িদাজ স্বীয় কন্যার গঙ্গা সন্দর্শনার্থ ইহা নিম্মীণ করিতে আরম্ত করিয়াছিলেন, কিন্তু মুসলমানের আক্রমণে তাহা৷ শেষ করিতে পারেন নাই । কিন্তু মুসলমানেরা বলেন যে ইহাঁও আলাউদ্দীন কর্তকই নিশ্মিত হইতে আরস্ত হয় কিন্তু তিনি পীড়িতাবস্থায় পতিত হওয়ায় তাহা আর শেষ করিয়া যাইতে পারেন নাই । মিনারের পাদদেশে “মস্জিদ কুয়তুল ইস্লাম্‌ ! অর্থাৎ ১৫৯ উজার ॥ রা স্ব এই ভজনালয়টি অবস্থিত। ইহার নির্্মীণ-কৌশল ও গঠন নৈপুণ্যাদি ভারতের কোনও শ্রেষ্ঠ অন্টালিকা হইতেই ন্যুন নহে। এই মস্জিদের সম্মুখভাগের প্রাচীরের বরেধ প্রায় ৮ ফুট, উহাতে সাতটা বৃহৎ খিলান পথ-_মধ্যের খিলান ২২ ফুট, প্রশস্ত এবং উচ্চতায় প্রায় ৫৩ ফুট, হইবে । আর উভক্ন্দিকের খিলান কয়েকটির প্রত্যেকে ১০ ফুট প্রশস্ত এবং ২৪ ফুট উচ্চ. পাঁচ সারি দীর্ঘতম এবং অত্যুত্কৃষ্ট নানাবিধ খোদাই পূর্ণ হিন্দু স্তস্ত এই গৃহের ছাদ রক্ষা করিতেছে । এই সুন্দর মস্জিদের সম্মুখভাগ ১৪৫ ফুট দীর্ঘ এবং ৯৬ ফুট প্রশস্ত একটা প্রাঙ্গণ দ্বারা পুর্ব ও পশ্চিম ভাগে বিস্তৃত, ইহার প্রস্থের দিক দুই সমভাগে বিভক্ত । পশ্চিমাং- শের মধ্যস্থলেই দিল্লীর বিখ্যাত “লোহস্তস্ত” । লৌহস্তস্তের চারিদিকে নানাবিধ কারুকার্য পরিপুর্ণ বনু হিন্দুস্তম্ত দেখিতে পাইলাম | কৃতৰ মিনারের উত্তর পশ্চিম দিকে স্থলতান আলটামসের সমাধি আলটামসের অৰশ্থিত। এই সমাধি মন্দির ১২৩৬ খ্রীষ্টাব্দে সামস্থদ্দীন সমাধি। আলটামসের মৃত্যুর পর তুদীয় পুক্র স্থলতান রৌকিউদ্দীন ও তীহার কন্তা! সাত্রাজ্ঞী রিজিয়া কর্তৃক নির্মিত হইয়াছিল। এই সমাধি-মন্দিরের উত্পরে কোনও ছাদ নাই, পাছে ছাদে শ্বীধা প্রাপ্ত হইয়া মুতের আতা স্বর্গে গমন করিতে না পারে তদ্ৃদ্দেশ্যেই ইহার ছাদ নিশ্িত হয় নাই। এই সমাধিমন্দিরের নিকটে কয়েকটা বৃহৎ কপ, দৃষ্ট হয়, এ সকল কূপের মধ্যে বৃহন্তমটি দ্বিতীয় অনঙ্গপাল কর্তৃক খনিত হইয়াছিল। লৌহস্তস্ত সম্বন্ধে এখন আমাদের বক্তব্য শেষ করিব । “দিল্লীর' নামোৎপন্ডি সম্বন্ধে আলোচনা করিবার সময় আমরা প্রথমেই ইহার সম্বন্ধে প্রচলিত জনপ্রবাদ লিপিবদ্ধ করিয়াছি। এই স্তম্তটি নরম পেটা লৌহ দ্বারা নিম্রিত। ইহার শিরোভাগ বৌদ্ধ অনুশাসন সমুহের স্তম্তের শিরোভাগের ন্যায় পল কাটা । উপরে একটা গর্ত আছে,_বোধ হয় কোনওরূপ মুস্তি স্থাপনোদ্দেশ্যেই এরূপ গর্ত করা হইয়াছিল,_কিংবা হয়ত ইহার উপরে কোনও রূপ দেবমুক্তি প্রতিষ্ঠাপিত ছিল, পরে মুসলমান রাজগণের অত্যাচারে তাহা দূরীভূত হইয়াছে। ফাঁগুসুন সাহেব এই অন্তুত স্তম্তটি দর্শনে বিল্য়াভিভূত হইয়া ১৬৪. দিল্লীর লৌহস্তস্ত। লিখিয়াছেল পানা 1), 490 ন৪৯ তে ৭.7671707.06--78170 1 ০6701101715 1106 ৪ [00 06. 00007100615 01. সি 6০, 00515020650 5096 ০ 8815 10 ?110. 017৩ 1710005 ৭ 0020 855 082012 ০0001102৭92" 01101 17125 0791) ১? 008 102৮ 09670. (01250. 5৬০1) 11 0০9 ৪০ 00 2 ৮61৮ 176 ২৯ ১৬১ ভারত-ভ্রমণ । 05,06, 2100 110 0600161101 €৬1) 100, * রী রী 10 19 21770950 0008115 90210110500 100 0040 8691 21০1)05016 0 ৮1100 2,100 1711 001 (0016661) 06101117155, 1015 01010050590) ৪110 010 08031051 2500. 11500100101 806 45015718100 25 510811) 110 85 ৮/1)017 10 001) 0001:5961) 06100001159 20.) (17196019060) [2556617) 21)0 1100191) £1701716500016 1১ 5০9১), এই স্তস্তের অপুর্ববত্ব সম্বন্ধে ফাগু সন সাহেবের এই মন্তব্যের অধিক আর বলিবার কি আছে । যখন স্তসভ্য ইউরোপের অধিবাসিবুন্দেরা এমন ভাবে লৌহদণ্ড নিশ্াণ করিতে জানিত না__-তখনও হিন্দুগণ এইরূপ বুহদা- কার স্থন্দর লৌহদণ্ড নিম্মীণ করিয়াছিলেন । *% % আর এও কি কম আশ্চর্যের বিষয় যে ১৪০০ চৌদ্দশত বৎসরের ঝড় বৃষ্টি সহিয়াও ইহা এখন অকলঙ্ক রহিয়াছে! শিরোভাগের পল গুলি এবং গাত্রস্থ লিপি উভয়ই এখন নৃতনের ন্যায় সুস্পষ্ট ও তীক্ষ রহিয়াছে । হায়! ভারতে ছিল সবই কিন্তু কালবশে সকলই অন্তহিত হইয়া গিয়াছে। সে গৌরব-_-সে প্রতিভা-- সে বিষ্ভা সে মহন্ত সমুদ্য়ই এখন ধ্বংসের পথে গমন করিয়াছে । আলাউদ্দীন ছুর্গ ও আলাই দরজা এই ছুইটী কুতবমিনারের আলাউদ্দীন দুর্গ দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম অংশে অবস্থিত। আলাই দরও- ও আলাই দরজা । য়াজাটি প্রায় ৫৬॥ ফুট সমচতুক্ষোণ ; প্রাচীরের বেধ প্রায় ১১ ফুট প্রত্যেক পার্খেই অণখুরের খিলানানুষাযী উচ্চ প্রবেশের পথ আছে। এই দরোজার অভ্যন্তরভাগ সম্বন্ধে কানিংহাম অতি সন্তোষজনক মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছেন---তাহার মতে পাঠান স্থপতি-কাধ্যের সমগ্র আদর্শের মধ্যে ইহাই সর্ববাপেক্ষা মনোহর । প্রবেশের পথ তিনটার উদ্ধদেশে আরবীয় অক্ষরে আলাউদ্দীনের সেকেন্দর সানি উপাধি সম্বলিত নাম এবং কাল ৭১০ হিজরি (১৩১০ খুষ্টাব্দ) পুনঃ পুনঃ লিখিত আছে। এই দরজার অপর পার্থে আলাউদ্দীনের প্রাচীন ছুর্গের ভগ্নস্তুপ বি্কমান। একদিন এই তুর্গ অত্যন্ত বিশাল ও ্থদূঢ় ভাবে নির্িত ছিল। আলাউদ্দীন অত্যন্ত নিষ্ঠ'র প্রকৃতির নরপতি ছিলেন ইনি নিরক্ষর ও নৃশংস উভয়ই ছিলেন। ১৬২ আলাই দরজা দর্শনান্তে আমর! আদমর্থার সমাধি-মন্দির দর্শন করিলাম । আলাই দরজার পূর্ণন পার্থে আদম খাঁর সমাধি অবস্থিত। এই উদ্ধত সেনাপতিই তগার্থাকে বিদ্বেষ বশতঃ হত্যা করিয়াছিল। সমগ্র মন্দিরটা মর্্মর প্রস্তর নির্পিত উর্ধে একটী সুন্দর গুম্বজ, আর চারিদিকে অফ্টভূজ স্থন্দর বারান্দা। এই মন্দিরের সোপান শ্রেণী অত্যাশ্চধ্য কৌশলের সহিত বিরচিত; অর্থাৎ ইহার যে সিঁড়ি উপরের দিকে গিয়াছে তাহা ধরিয়া উঠিতে আরম্ভ করিলে নিম্নে নামিতে হয়, আর নিন্নাভিমুখে যে সিঁড়ি গিয়াছে তাহা ধরিয়া নামিতে আরম্ভ করিলে উপরে উঠিতে হয়। এই কৌতুহলজনক ভ্রমের জন্য ইহা “ভুলভূলিয়া” নামে অভিহিত হইয়া থাকে । এখন এই সমাধি-ভবন বিশ্রামাগাররূপে ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে । এস্থানে বিশ্রাম করিতে হইলে ম্যাজিষ্টেটের অনুমতি গ্রহণ আবশ্যক । ১৫৬২ খ্রীঃ অন্দে উজীর সামস্থদ্দীনকে অগ্যায়রূপে হত্য। করার অপরাধে ইনি ছুর্গ- প্রাচীরের উপর হইতে নিক্ষিপ্ত হইয়া নিহত হন। এই সমাধি-মন্দিরের সন্নিকটে সম্রাট আকবরের পালক পিতা মহম্মদ কুলি খাঁর সমাধি দেখিতে পাইলাম । এ সমাধি-মন্দির ১৫৫০ খ্রীষ্টাব্দে নিশ্মিত হইয়াছিল । বর্তমান সময়ে ইহাকে মেটকাফ্হাউস কহে, কারণ সার চার্লস থিউ ফিলাস যখন দিল্লীর রেসিডেণ্ট ছিলেন সে সময়ে তিনি এস্থানে বাস করিতেন বলিয়াই ইহার নাম মেটকাফ্‌ হল বা হাউস হইয়াছে । বর্তমান সময়ে ইহাকে বিলাতী হোটেল বলিলেই যথার্থ নামে অভিহিত করা হয় । কুতব হইতে ফিরিবার পথে প্রাচীন হিন্দু দিল্লী জয়সিংহের যন্ত্র মন্ত্র ও টোগলকাবাদ দর্শন করিয়া আদিলাম। টোগলকাবাদ ১৩২৪ শ্তীষ্টাব্দে টোগলকগাজী কর্তৃক আরম্ত হইয়া ১৩২৫ হ্বীষ্টাব্দে উহার নিন্মাণ-রাধ্য শেষ হয়। ইহা একটী গণ্ড শৈলোপরি নির্মিত। কুতব হইতে ইহার দূরত্ব প্রায় ৩1০ মাইল হইবে। দুঃখের, বিষয় ষে তোগলক সাহু এই নগরের নিম্মীণ সম্পূর্ণ করিয়া যাইতে পারেন নাই। কাধ্যারস্তের এক বগুসর পরেই তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হইয়া- ছিলেন। নগর প্রাকার দর্শনে অনুমিত হয় ষে ইহাও বর্তমান দিল্লীর আদমথীর সমাধি। টোগলকাবার্দ । ১৬৩ ভারত-জমণ । মতই বৃহত্তম ছিল। দেখিবার মধ্যে তোগলকাবাদের দুর্গ সত্য সত্যই মনোযোগ আকর্ষণ করিয়া থাকে৷ ছুর্গের পশ্চিম, উত্তর ও পূর্বভাগ পরিখ৷ দ্বারা সুবেষ্টিত। ইহার দক্ষিণ প্রান্তে যেদিকে পাহাড় কাটিয়া ফেলিয়া খাড়া কর! হইয়াছে তাহারি দক্ষিণধারে একটী প্রকাণ জলাশয় অবস্থিত। এই সরোবরের সমতল হইতে প্রাচীরের উচ্চনা প্রায় ৯০ ফুট হইবে। দুর্গের দক্ষিণাংশে রাজ প্রাসাদের ভগ্নাবশেষ পড়িয়া রহিয়াছে। প্রাচীরের দিকে যে একশ্রেণী গুন্বজযুক্ত ছোট ছোট ঘর দেখিতে পাঁওয়! যায় তাহাতে বোধ হয় ছুর্গরক্ষক সৈশ্যগণ বাঁস করিত। ছুর্গ প্রবেশের নিমিন্ত ত্রয়োদশটা তোরণ, এবং দুর্গাভ্যন্তরস্থ রাজ প্রাসাদে প্রবেশ করিবার জন্য তিনটা দ্বার এখনও দেখিতে পাওয়া যায়। ছুর্গাভ্যন্তরে সাতটী সরোবর এবং তোগলক সাহের সমাধি-মন্দির, জমেমস্জিদ, বুজমন্দর প্রভৃতি বু সৌধমালা বিরাজিত আছে। এ সকলের মধো তোগলক সাহের সমাধি-মন্দিরটা বিশেষরূপে উল্লেখযোগ্য এবং একমাত্র প্রধান দর্শনীয় একথা বলিলেও কোনরূপ অত্যুক্তি হয় না। আমরা প্রথমে তাহার বিষয়ই লিপিবদ্ধ করিলাম । তোগলক সাহার সমাধি-মন্দির তাহার পুঞ্র মহন্মদ তোগলক কর্তৃক নিন্মিত হইয়াছিল। তোগলক সাহার এই স্বন্দর সমাধিমন্দিরটী তোগলকাবাদের দক্ষিণদিকের প্রাচীরের বাহিরে সরোবর মধ্যে পঞ্চভূজ প্রাচীর দ্বারা ঘেরা এবং প্রায় ৬০০ ফুট দীর্ঘ একটা প্রস্তর নির্মিত পুল দ্বারা তীরের সহিত সংলগ্। পুলটা ২৭টা খিলানের উপর রক্ষিত। সরোবরের মধ্য এই সম্াধি-মন্দির অবস্থিত থাকায় দেখিতে অত্যন্ত মনোহর বোধ হয়। কবরের মন্দিরের বহির্ভাগ দু অথচ মনোহর । প্লান অথচ উজ্জ্বল কেমন যেন এক সৌন্দর্য্য ইহাঁর সর্ধবাঙ্গে বিজড়িত। মন্দিরের মধ্যে তিনটী কবর, একটাতে তোগলক সাহ নিজে বন্ুন্ধরার স্েহময় কোলে চিরনিদ্রিত, আর একটী তীয় মহিষী মখছুমে হা অর্থাৎ জগম্মান্া, ভৃতীয়টাতে তোগলক সাহার পুজ্র মহন্মদ সাহ পিতামাতার স্নেহময় কোলে নিদ্রিত রহিয়াছেন। এক সময়ে এই সমাধিত্রয় শ্রেতমন্মর প্রস্তরে পরিশোভিত ছিল, কিন্তু এখন তাহা দেখিতে পাইলাম না। সমাধি-মন্দিরের উপরিস্থিত শেতমন্মররের বৃহৎ গন্দুজটা ১৬৪ বক পল, সা? চে ৬৮-৭ গাতেল । সস কৃক্তলীন “প্রস, কলিকাতা । চীন বাহাঁছ্র সা দিলীর শেষ বদশা ও বিবি ক্তিল ৮০ রি পি ল্ল্গাকার ৬ ! সা +, 4 সম শশী ০০৭ লি উদ 108৭6 7 সূরধ্যালোকে প্রতিফলিত হইয়া আমাদের নয়ন ঝলসাইয়। দিতেছিল, আর তাহার ধবল ছবি সরোবরের নিশ্মীল সলিলে প্রতিবিশ্িত হইয়া বড়ই মনোহর দেখাইতেছিল। মানবজীবনের একি বিচিত্রতা! চারিদিকে মৃত্যুর বিকট গ্রাসের মধ্যে রহিয়াও তাহারা আপন জীবনের প্রতি উদ্বাসীন। কবি যথার্থ ই গাহিয়াছেন, [6710 15 10616 2100 768,015 07০76, [50 15 00৭৮ ৪৮০1-৮ 10515.) এই স্থুন্দর তুষারধবল গুম্বজটীর বহিদ্দিকের ব্যাস 8৪ ফুট, উচ্চতা প্রায় ২০ ফুট এবং আভ্যন্তরিক ব্যাস ৩৪ ফুট । মন্দিরের সমগ্র উচ্চতা ৮০ ফুট, কারণ মন্দিরের প্রাচীর ৩৮॥০ ফুট উচ্চ, উহার নিন্মের বেধ ১১॥০ ফুট আর উদ্ধের বেধ $ ফুট। গম্বুজের উদ্ধে লোহিত প্রস্তরের টোপর ও তদুর্ধে চড়া থাকায় দেখিতে বড়ই স্থুন্দর বোধ হয়। যে মহম্মদ সাহ তোগলক জীবনে নানাবিধ নিন্ম ও পৈশাচিক কাধ্য সম্পাদন করিয়া জনসাধারণের নিকট কুষ্বর্ণে চিত্রিত হইয়। গিয়াছেন, ধীহার অত্যাচার অবিচার সহিয়। লোকে প্রতি মুহূর্তে তাহার মৃত্যুকামনা করিত, সেই গুরুতর পাপী মহম্মদ তোগলক সাহ আজ কোথায়? কোথায় তাহার সেই দত্ত? কোথায় তাহার সেই নিষ্ঠরতা? তিনি আজ মৃত্যুর কবলে নিপতিত বটে কিন্তু কই তাহার পাঁপরাশিত মুছিয়া যায় নাই! লোকে যখন পাপকাধ্্যে ব্রতী হয় তখন সে এক মুহূর্তের নিমিত্ত ভাবে না যে মৃত্যুর বিকট গ্রাস তাহাকে চারিদিকে ঘিরিয়। রহিয়াছে, যদি তাহা ভাবিত, তাহা হইলে বুঝি পৃথিবী হইতে পাপ নাম উঠিয়া যাইত, তাহা হইলে বুঝি জগতে নৃশংসতা বলিয়া কিছুই থাঁকিত না। মহম্মদ তোগলক আজ ভুমি কোথায়? কই এখনত তোমার সেই নামের বিভীষিকা নাই, কেহই ত আর তোমার নামে ভীত নহে । হায়। “11009611005 (76৯77 0620, ৪10 (01100 00019, ৬1121765001) 9. 17016 10 1661) 006 1100 ৭৬9 : (017, 0786 005 ৪07 01017 8506 05 ০10 10 55, 91109101380) ৭. ৮৭1] 60 5%051 076 10651 10৮/1 ১৬৫ ভারত-ভ্রমণ | কথিত আছে যে মহম্মদ সাহার মৃত্যুর পরে ফিরোজ সাহ তোগলক সম্রাট হইয়া মহন্মদের পাপরাশি ক্ষালনার্থ তাহার উৎ্পীড়নে মৃত ব্যক্তির বংশধর- গণকে বৃত্তির বন্দোবস্ত করিয়া দিয়! এবং সাধু ও পণ্ডিতবর্গের স্বাক্ষরযুক্ত ও মোহর সম্বলিত এক মাঈন! পত্র একটা বাঝো পুরিয়া মহম্মদ তোগলকের সমাধির গর্তে নিহিত করিয়াছিলেন । দিল্লীতে আমাদের বর্ণিত স্থান সমূহ ছাড় আরও বু দেখিবার আছে, আমরা সে সকলের বিস্তৃত বর্ণনা না করিয়া এখানে একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা দিলাম। হাজার সতুন, আদিলাবাদ, মন্দিরকক্কা, রোসন চিরাগ, সুলতান বল্লোল লোদির সমাধি, সাতপাল্লা বীধ, খিড়কি মস্জিদ, দরগা যুন্ফ কোটাল, দর্গা সেখ সলাউদ্দীন, পাঁচবুরুজকাঞ্চন সরাই, নজর খাঁর সমাধি, বস্তিবাউড়ি, খিজিরের গুম্বজ ওকলা, বড় পাল্লা, দরজা মন্দ, দর্গা নিজামুদদীন, খিজর খাঁর মস্জিদ্‌, সির মন্দিল, কুশীক- শিকার, চৌবুরুজী, ভূড়লিঙগ, কোশমিনার, কুশাক সবুজ, ইমামক্তামিনের মহম্মদ কুলিরখখার সমাধি, রাজন-কা-বাইন, মৌলানা! জমালের সমাধি ও মস্জিদ, গায়সউদ্দীন বল্বানের সমাধি, সামসিহৌজ ও তাহার নিকটস্থ মন্দির, দর্গা কুতবউদ্দীন, বখতিয়ার কাফি ও মস্জিদ, কিল রায় পিথোরা, হাজিবাবা রোসেবির সমাধি, স্থলতান গারির সমাধি, কিন্ত বাঁয়েন্‌, মহীপাল- পুর, মাল্চা মদিমঞ্জিল, মস্জিদ বেগমপুর, তিরহোন্জা, পুবারকপ্ুর, কোতোলা সমাধি, বুরুজকাসা হজরত ফতেশা, খয়েরপুরের সমাধি, সেকে- ন্দর লোদির সমাধি, কদমশরিফী, মহলডুলি ভাতিয়ারী, মস্জিদর সরহিন্দি, নিগমবোধ ঘাট, দিলী ছুর্গের অন্তর্বর্তী সৌধ সমুহ, জমা মস্জিদ, জিন উল্‌ মস্জিদ, শরিফউদ্দৌলার মস্জিদ, ফতেপুরী মস্জিদ, ফক্‌র-উল-মস্জিদ, গাজীউদ্দীনের মাদ্রাসা, গুঁকপুর, সূর্যাকুণ্ড, জহাপানা-_ ইত্যাদি দিলীর অগণন সৌধাবলীর কত নাম করিব? ভারতের ইতিহাস এখানে আপনাকে মুন্তিমানরূপে বিরাজিত রাখিয়াছে । মস্জিদে, হন্নে, পথে, মাঠে, সমাধিতে হে পধ্যটক, যে দিকেই কেন দৃষ্টি নিক্ষেপ কর না, সেদিকেই দেখিতে পাইবে যে ইতিহাস তোমায় আহবান করিতেছে । যুধিষ্টিরের ইক্দপ্রস্থ-_ পৃথিরাজের দিল্লী- টোগলক সাহার টোগলকাবাদ--_সাহজাহানের সাহজাহা- নাবাদ--সকলি দিল্লী এই সাধারণ নামে পথিককে আকধষণ করিয়া থাকে । ১৬৬, সিপাহী-বিদ্রোহের সময় দিল্লী নগরে যে পৈশাচিক লীলাখেলা সংঘটিত হইয়াছিল তাহা ইতিহাসপাঠকগণ সকলেই অবগত আছেন । | পাঠক ! বুড়ো বয়সে এ কেমন ভুল,_-দিল্লীকা লাভড়র” কথা বলিতেই ভুলিয়া গিয়াছি। এ অতি উপাদেয় পদার্থ, যাহার নাম শৈশব হইতেই শুনিয়া শুনিয়৷ রসনায় জলের সঞ্চার হইত, আজ সেই প্রিয়তম জিনিষটিকে দেখিতে পাইয়া উহার সদ্ববহার করিবার জন্য উত্কন্ঠিত হইয়াছিলাম এবং যখন উহা৷ ক্রয় করিয়া! আম্বাদ করিলাম -সে কথা--সে পস্তানের বিষয় আর উল্লেখ করিয়া উপহমিত হইতে চাহি না। প্রচলিত জন প্রবাদ “দিল্লীকা লাডড় যো খায়া ওবি পন্তায়া--যো নেই খায়া ওবি পস্তায়া এ উক্তি অক্ষরে অক্ষরে সত্য। লাডডর আকার অত্যন্ত বৃহ এক পয়সায় একটা করিয়৷ বিক্রয় হয়, বাহিরে মোয়ার মত---ভিতরে তৃষ, করাতের গুড়া ইত্যাদিতে পরিপূর্ণ । দিল্লী নগরী দর্শনাস্তে আমরা আজমিরাভিমুখে রওয়ানা হইলাম । দিলীতে অপরিচিত বাঙ্গালী পর্যটকের থাকিবার কোৌনওরূপ অসুবিধা নাই, বনু সরাই, হোটেল ও বাঙ্গালী বাবু থাকায় যেখানেই যাওয়া যায় সেখানেই আদর যত ও সম্বদ্ধন৷ মিলে । দিল্লী ছাড়িতে ছাড়িতে মনে হইল, এই কি সে প্রাচীনের গৌরব কেতন সৌধমালা স্থশোভিত স্থন্দর নগরী, কোথা সেই ইন্দ্র প্রস্থ ? কোথা ছুয্যোধন, কোথা রাজা যুধিষ্রির---যার স্বর্ণ পুরা একদিন দেশে দেশে করিত প্রচার হিন্দুর বীরত্ব গর্বন-_-বীর্যয-_অহঙ্কার ! নাই-_নাই--কিছু নাই-_শুধু দীর্ঘশ্বাস বাতাস বহিয়া আনে অতীতের কথা, শ্মশানের চারিদিকে একি অট্ুহাস, কালের ভীষণ মুত্তি-__এ কি নশ্বরতা পাঠান-মোগল-কোথা ? কোথায় নাদির, হাহাকারে পরিপুর্ণ দিল্লীর গগন, ১৬৭ ভারত-ভমণ ৷ ছুটিছে নদীর মত তরঙগ-রুধির দলিত মথিত যত পুরবাসিগণ । এ বুঝিগো ! শুধু-স্বপ্প অলীক কাহিনী ! চিরজয়ী সময়ের ক্ষণিকের খেলা, বুদ্ধদ মিশিয়া গেছে-_-নাহি আর ধ্বনি _ বিছ্্যাতের হাসি সম মানবের লীলা । হায়। সত্য-সতাই অতীতের মহিমা-গৌরব-মণ্ডিত, প্রাসাদময়ী দিল্লী পরিত্যাগ করিয়৷ আসিতে হৃদয় যেন কেমন শোকে আচ্ছন্ন হইয়া পড়িয়া- ছিল। দিল্লীর প্রতি ধুলিকণায় কতন! ইতিহাস লুক্কায়িত। কবি দিলীকে লক্ষ্য করিয়৷ যথার্থ ই গাহিয়াছেন ;-- “00 2)2/%71 1৬15 5901100901৮ 01006 ১]! 1109 01101810501 07617580 101৯01001710 00) 006৩, 10110 17009101961 01 01670 67721311765 1 20100 06)17010] [1 01061175110101)1708505 00511713600) 1001561), ] ৬1780 816 007 ৮৮06১ 21)0 ১0106171706 20017008100 565 1707৩) ০৮1)16১5, 11621 01 (১/], 211011১16১0 0600175৪25৮ €):21 5181)5 ()1101701551) 01017310765 20100 051771)15১, ১৫ ৬৬1195০ 8:১010155 466৬1150144 ০9৮10 5 ৭0007 661 বক গিনি 2116 নন 000 গন, ৫ 8৫ নি নু 1176 4৮422560171 00017671115 170 7851105110৬: 1075 ৮619 561১0101155 115 51171111655 01 0)6111751:010 75119152795 01700 00, 0190: /%7%% 01)19801) 2100810015110551)555 2 1২156, ৬101) 010) 22276 57৮65) 91)0 10021)0]10 17010150295.” নয়নের জল মুছিতে মুছিতে দিল্লী ত্যাগ করিয়া আসিলাম। ৯৬৮ আজ্ম্পীল্ল ॥ (েল্লী হইতে আমরা আজমীর আদিলাম। পর্ধবতময় বন্ধুর স্থান দিয় গাড়ী আসিয়! আজমীরে পঁছুছিয়াছিল। রাজপুতানার মধ্যে আজমীর একটা প্রসিদ্ধ স্থান__দমগ্র রাজপুতানার ব্রিটিশ হেড্‌ কোয়ার্টার বলিয়াও এখানে বহু ইংরেজ রাজপুরুষ বাস করিয়া থাকেন। মহাভারতেও আজ- মীরের উল্লেখ আছে যথা “তৈঃ সৎকৃতঃ স চতানাজমীরো৷ যথোচিতং পাণুপুজ্রান্‌ সমেয়াৎ। . মহাভারত বনপর্ব্ । অর্থাৎ আজমীরের রাজা বির পাগুবগণছ্বারা সমাদৃত হইয়া, তাহাদিগের যথেষ্ট সমন্বদ্ধনা করিয়াছিলেন। হিন্দু-মুসলমান উভয়ের নিকটই আজমীর ভীর্থরূপে পরিগণিত । প্রতি-দিবস ভারতের নানা দেশ হইতে এস্থানে অগণিত যাত্রী সমাগত হইয়া! থাকে। হিন্দু-মুসলমান সকলেই এখানকার প্রসিদ্ধদরগা অর্থাৎ মৈনুদ্দীন চিস্তীর সমাধিকে ভক্তির সহিত অবলোকন করিয়! খাকেন। আজমীর রাজপুতানার মাড়বার বিভাগের প্রধান সহর। ইহার উৎপত্তি সম্বন্ধে নানারূপ মতভেদ দেখিতে পাওয়া যায়। কেহ কেহ বলেন যে, নূর্য্বংশীয় অজমীঢ় রাজা সর্ববপ্রথমে এই নগর নির্মাণ করেন এবং তাহার নামানুসারে ইহার নাম আজমীর হইয়াছে। আবার কাহারও কাহারও মতে মহাভারতের বনপর্সেবাল্লিখিত বিদভুর রাজারই এই রাজ্য ছিল। পরে কালবশে নানা অবস্থান্তরের মধ্য দিয়া উহা! ধ্বংস হইলে ১৪৫ খ্রীঃ অঃ অজয় পাল নামক জনৈক চৌহান রাজ উহা নিম্মাণ করাইয়াছিলেন। আজমীরের প্রাচীন ইতিহাস আলোচনা যোগ্য বিবেচনায় আমরা সংক্ষেপে এস্থানে তাহার উল্লেখ করিলাম । আজ- মীরের চৌহান রাজার! অগ্নিবংশ সম্ভৃত, এই বংশের প্রথম নৃপত্বির নাম অন্হল-_ইহার অপর নাম অগ্রিপাল। ইনি বিক্রমান্দেরও ৬৫০ বৎসর ূর্বেন আবিভূ্ত হইয়াছিলেন, এই অগ্নিপাল রাঙ্ার রাজন সময়েই তুরম্কবাসী তুকীরা ভারতবর্ষ আক্রমণ করিয়াছিল। অগ্নিপালের মৃত্যুর পর ক্রম্গঃ প্রাচীন ইতিহাস। ভারত-ভ্রমণ। এই বংশে স্থবাচমল্ল, গুলনম্থুর, ধোলারায়, মাণিকরায়, হর্ষ রায়, বীর- বিলন্দু নামক রাজগণ রাজত্ব করেন। গজনীর মামু ভারতবর্ষ আক্রমণে আসিলে এই বীর বিলন্দুই তাহার সহিত যুদ্ধ করিয়াছিলেন । বীরবিলন্দুর পরে. বিশালদেব, সারজদেব, অনহ, জয়পাল, অজয়দেব, বিশালদেব প্রভৃতি রাজ হন। তাহার পর আবার নানা অবস্থাস্তরের পরে ১৮২০ খ্রীষ্টাব্দে আজমীর ও মাড়বার ইংরেজ-রাজের হস্তগত হইয়াছে । আজমীর ফ্টেসনে নামিবামাত্রই একজন মুসলমান ছুটিয়া আসিয়। আমাদের হস্তে একটী পুষ্প প্রদান করিল,-_ইহারা পাণ্ডা। হিন্দুতীর্থে যেমন পাগ্াঠাকুরেরা যাত্রীদিগকে নিজ নিজ করতলগত করিতে যথাসাধ্য সাধ্যসাধনা, বাক্যব্যয় ও ভীতিপ্রদর্শনাদি করিয়া থাকেন, এখানকার দরগার মুসলমান পাগ্ডারা তত্রপ না করিয়া, এই পুষ্প দান করিয়া যাত্রীককে বরণ করিয়! লয়েন। পুষ্প দানের অর্থ এই যে “আমিই তোমাকে আজমীর দরগার দর্শকরূপে বরণ করিয়া লইলাম, তুমি অন্য কাহারও সহিত আর দরগায় প্রবেশ করিতে পারিবে না, দেনা-পাওনা ইত্যাদি আমার সঙ্গেই করিতে হইবে, ফ্টেসনে নামিবামাত্রই এইরূপ পুষ্প দানে আমি অবাক্‌ হইয়! গিয়াছিলাম, পরে আমার পাপ্ডা মহাশয়ের প্রমুখাৎই সমুদয় অবগত হইলাম । বর্তমান আজমীর নগর মোগল-রাজত্বের মধ্যভাগে নির্মিত হইয়াছিল, সেকালের নগর-সমূহের ন্যায় ইহাও একটা দুর্গবন্ধ সহর, এখনও প্রাচীন পরিখার চিহ্ৃসমূহ বিষ্কমান রহিয়াছে । এই সহরেও পাঁচটা-তোরণ আছে- যথা দিল্লী, আগ্রা, মাদার, ওশ্রী ও ত্রিপলী দূরওয়াজা। হিন্দুর পবিত্র তীর্থ পুষ্কর আজমীরের অনতিদুরে বিরাজিত__ মাত্র সাত মাইল ব্যবধান । পার্বত্য পথে হ্বাটিয়া কিংবা এক্কা-আরোহণে তথায় পহুছিতে পার! ঘায়। পার্বত্য পথের পৌরুষ সৌন্দর্য ভ্রমণকারীর চিন্ত-স্থখ-উত্পাদন করিয়া থাকে । ঘাব্রিগণ পুক্ষর হদে স্নান করেন। হ্রদে কয়েকটা কুস্তীর আছে, কিন্তু কোনও যাত্রীর কোনওরূপ অনিষ্ট করিয়াছে এইরূপ শুনিতে পাওয়া যায় না। আজমীর ফ্টেসনেই বনু হিন্দু পাগার সমাগম -হইয়। থাকে, তাহার! সেখান হইতেই যাত্রী-শিকার ধরিয়া আনেন । পুক্কর তীর্থে অবগাহন করিয়া পরে ১৭০ পৃক্ধর তীর্থ । রজগপরাযাররাড যাত্রিগণ ব্রহ্মার মন্দিরে ও সাবিত্রী পাহাড়ে সাবিত্রী ও সরস্বতী দেবীর মন্দিরে তাহাদের মুত্তি দর্শন করিয়া থাকেন। সাবিত্রী পাহাড়টি খুব উঠ নহে; পাহাড়ের উপর হইতে কানন-কুস্তল! প্রকৃতি দেবীর অনির্ববচনীয় সৌন্দর্য হৃদয় ও মন বিমোহিত করিয়া! ফেলে। অন্যান্য তীর্থ স্থানের সহিত এস্ানেরও বিশেষ পার্থক্য নাই, সেই একঘেয়ে ভাব-_বাত্রিগণের গোলমাল-_ধুলিধূসরিত পথ, স্বল্প জলপুর্ণ শুক্ষপ্রীয় সরোবর, পাণ্াদের হৈ-চৈ সবই এক। নানা দেশের নানা শ্রেণীর স্ত্রী-পুরুষ ধর্্কামনায় এখানে আগমন করিয়া স্নানতর্পণাদি করিয়া থাকেন। ব্রহ্মা এ স্থানে যজ্জ্ করিয়াছিলেন বলিয়! ব্রহ্মার মন্দিরই সর্বাগ্রে দর্শনীয় । আমরা পুহ্করের কথা বলিতে বলিতে আজমীরের কথা ভূলিয়! গিয়াছি। আজমীরে আমরা ঠিকা বাসা ঠিক করিয়া এক দিবস তথায় অবস্থান করিয়াছিলাম। এখানকার সরাই গুলিও খুব সুন্দর । দিল্লী ও আগ্রা ব্যতীত ভারতের আর কোথাও এইরূপ সর্ববাঙ্গস্থন্দর সরাই দেখিয়াছি বলিয়া মনে হয় না। এখানকার সরাই ঘর মৃত্তিকানিপ্রিত নহে, প্রস্তরনির্ট্মিত অট্টালিকা । এক একজন যাত্রীর জন্য এক একটা ভিন্ন ভিন্ন প্রকোষ্ঠ আছে। এইরূপ স্থুন্দর স্থৃন্দর ঘরগুলির তুলনায় ভাড়াও অতি অল্প, দৈনিক ছুই আন! হইতে চারি আনামাত্র। ঘরে জিনিষ-পত্রাদি রক্ষা পূর্ববক ভূত্যকে রাখিয়া! কিংবা তাল! চাবি লাগাইয়া গেলে কোনওরূপ আশঙ্কার কারণই থাকে না। এক সময়ে আজমীর যে প্রাচীন হিন্দু- কীত্তিকলাপ সমূহ দ্বারা ভূষিত ছিল, এখনও তাহার বনু চিহ্ন বিদ্ধমান আছে । আজমীরের প্রাচীন নাম ইন্দ্রকোট । নগরের চতুর্দিকে মনোহর পর্নবতশ্রেণী শোভমান থাকায় বড়ই সুন্দর দেখায়। এ স্থানে ব্ছ মন্দির ও মস্জিদ বিষ্কমান। আমরা! সন্ধ্যার সময় আজমীর পনুছিয়াছিলাম, রাত্রিতে আর কো"?ও বাহির হইলাম না। পরদিন প্রত্যুষে নবোদিত অরুণের লোহিত কিরণ-সম্পাতে যখন চারিদিক হাসিতেছিল-_সে সময়ে আমরা নগর দেখিতে বাহির হইলাম। আজমীর সহরটি অতি স্থন্দর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন স্বাভাবিক সৌন্দর্যের সহিত ইংরেজরাজের কৃত্রিম শোভা- সম্পদের সংমিশ্রণে ইহা পরম রমণীয় আকার ধারণ করিয়াছে । সর্বব- ৯৭১ ভারত-ভ্রমণ | প্রথমে আমরা আড্ঢাই রোজ্কা ঝুপ্ড়ি বা ঝম্প্রা নামক মস্জিদটি দেখিতে গমন করিলাম । এই মস্জিদটা দেখিতে বড়ই স্থদৃশ্য । এক আড়াই দ্দিকা জময়ে যে ইহা হিন্দুমন্দির ছিল এবং হিন্দু নরপতি কর্তৃক . বম্প্রা। নির্মিত হইয়াছিল, তাহা ইহার আত্যন্তরিক কারুকার্যযাদি অবলোকন করিলেই স্থস্প্ট উপলব্ধি হইয়া থাকে । মুসলমানগণও “ইহা হিন্দুকর্তৃক নিশ্মিত একথ! একবাক্যে স্বীকার করেন। ফাগুন সাহেব বলেন যে, ইহার নিশ্মাণকার্ষ্য স্থলতান আলতামসের রাজহ সময়ে ১২০০ খ্রীঃ অন্দে আরব্ধ হইয়া ১২১১-১২৩৬ খ্রীষ্টাব্দে সমাপ্ত হইয়াছিল ; কিন্তু প্রচলিত জনপ্রবাদ এইরূপ যে, আড়াইদিনের মধ্যে এই মস্জিদের নিন্নীণকারধ্য শেষ হওয়ায় ইহার নাম “আড়াই দিনকা ঝম্প্রা” হইয়াছে। কিন্তু স্থানীয় মুসলমান পাণ্ডা বলিল যে, ইহা! চৌহানকুল-ভূষণ পৃথুরাজ -কুর্তক...নির্ষ্িত্‌_ হইয়াছিল । পূর্বে নাকি প্রত্যহ এস্থান হইতে ১৮০টা ঘণ্টা একসঙ্গে ধ্বনিত হইত, কিন্তু মুসলমানের হস্তে পড়িয়া মস্জিদের আকার প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে সে সমুদয় অন্তহিত হইয়াছে । বত্রিশটী কারুকাধ্যময় উচ্চ প্রস্তরস্তস্ত দ্বারা ছাদটি স্থরক্ষিত। মস্জিদের দ্বারে ও গাত্রে কোরাণের বহু. বয়ে আরবী অক্ষরে খোদিত রহিয়াছে দেখিতে পাইলাম । ইহার ছাদ এখন ভগ্রপ্রায় । ঝম্প্রায় প্রবেশের পথপার্থে একটা কক্ষে বহু সুন্দর স্থন্দর খোদিত প্রস্তরমূত্তি অবলোকন করিলাম। এগুলি ষে প্রাচীন হিন্দু স্থাপত্যের নিদর্শন তদ্িষয়ে বিন্দুমাত্রও সন্দেহ নাই। বঝম্প্রার অনতিদুরে সহরের মৈশুদীন চিন্তার দক্ষিণদিকে মৈনুদ্দীন চিন্তীর দরগা অবস্থিত। এই দরগাটি ও বৃহ ও মনোরম । মোগল সম্ত্াটগণের মধ্যেও কেহ কেহ ইহার চত্বর মধ্যে অট্রালিকাদি নিন্্াণ করিয়৷ ইহার শোভাসম্পদ বৃদ্ধি করিয়া গিয়াছেন। মোগল-কুল-তিলক আকবর ও শাহ্হান নির্মিত শ্বেত-প্রস্তরের দুইটা মস্জিদ্র উল্লেখযোগ্য । আঙ্গিনায় প্রবেশের ফটকের উপর স্থৃবৃহত দুইটা নহবশ স্থাপিত আছে। কিন্বদন্তী এইরূপ যে, আকবর শাহ্‌ চিতৌর বিজয়ের পর এই প্রস্তর নির্মিত অপূর্ব সৌন্দর্য্যময় নহবতখানা দুইটী চিতোর রাজপ্রাসাদ হইতে আনয়ন করিয়াছিলেন। এই দরগা হইতে প্রতিদিন ৬০/৭০/ মণ চাউল সিদ্ধ হইয়া দরিদ্রগণকে অল্পদান ১৭৭, ৮ 1০1০৯) ৪1509 | ৮114211- - আসি পপি সখ এসপি পিসি প্রন হি পু স্পপশপীপিস্পীাশিশাশি রিলিস আপস, স্ চা এ ৮০৮ শিস আস করা হইয়া থাকে। ফটকের পর এক আঙিনা, তাহা পার হইয়া আসিলেই সম্মুখে নানা কারুকাধ্যময় সমাধিমন্দির পর্য্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সমাধিমন্দিরের ছুই পার্থে ষে ছুইটী ছোট মন্দির আছে, উহার একটা শাহ্হান এবং অপরটি গওঁরঙগজেব নিম্মাণ করাইয়া- ছিলেন। বর্তমান সময়ে এইরূপ বহুমূল্যদ্রব্যাদিখচিত সমাধিমন্দির ভারতে আর অতি অল্পই বিছ্ধমান আছে। সমাধিস্থলের চারিদিকে রৌপ্যনির্ষিত রেলিং; তদুদ্ধে জরির কাজ কর! পরম স্থন্দর চন্দজরাতপ | সমাধিটি স্বর্ণ ও রৌপ্য দ্বারা মণ্ডিত। এ স্থানের কপাটগুলি সমুদয়ই রৌপ্যমণ্ডিত। নানাদেশের মুসলমান ভূপতিগণের অকাতর অর্থব্যয়ে ইহা একটী পরম রমণীয় স্থানে পরিণত হইয়াছে । অতঃপর আমরা ছুর্গ দেখিতে গমন করিলাম । উহা! তারাগড় নামে খ্যাত। এই ছুর্গ একটী পাহাড়ের উপর নিম্মিত। ছৃর্গের নামে এখন পাহাড়টিও তারাগড়ের পাহাড় নামে খ্যাত। তারাগড় পাহাড়টি আজমীর নগরীর দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। অজয়পালের সেই অজয় মেরুদুর্গের এখন অস্তিত্ব বিলুপ্ত হইয়া গেলেও নাম এখনও মানবের স্মৃতিপট হইতে মুছিয়। যায় নাই। প্রাচীন দুর্গের চিহ্কের মধ্যে এখন একটা তোরণের ভগ্রাবশেষ ব্যতীত আর কিছুই দেখিতে পাওয়া যায় না। এই তোরণটি ওমানজী সিদ্ধিয়া কর্তৃক নির্মিত হইয়াছিল বলিয়া কথিত আছে। আজমীরের অন্যান্য দর্শনীয় স্থান সমুহের মধ্যে মেয়ো কলেজ, বাগান, ঘণ্ীস্তত্ত, দৌলতাবাদ ইত্যাদি বিখ্যাত। মেয়ো-কলেজ রাজপুতানায় রাজকুমারদিগের পাঠের নিমিত্ত। ইহা ছাড়া আর একটা কালেজ আছে, তাহাতে জর্ববসাধারণেই অধ্যয়ন করিতে পারে। দৌলতাবাদ সম্রাট জাহাঙ্গীর কর্তৃক নির্মিত হইয়াছিল, তিনি এই পরম স্থন্দর উদ্যান নিন্মাণ করিয়। মাঝে মাঝে আসিয়া বাস করিতেন। প্রাচীন সমৃদ্ধি অস্তহিত হইলেও, দৌলতাবাদ বর্তমান সময়েও পর্যটকের মনোমুদ্ধ করিয়া থাকে। আজমীরে চারিদিকে নীল পর্বতশ্রণী সুন্দর তরুলত। পরিশোভিত। আজমীর অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর স্থান। সহরে জলের কল আছে, খা্ছাদ্রব্য ও ভৃত্য ইত্যাদি অত্যন্ত স্ুলভ। ্বাস্থ্যপরিবর্তনেচ্ছু বাঙ্গালী তারাগড় ছূর্গ। $ - সখী 5৪ ভারত-ভ্রমণ। পক্ষেও এষ্থানটি অতান্ত দনোরম ।. সমুদ্রগর্ভ হইতে আজমীর ৩০০ ফুট উচ্চে অবস্থিত । | আনা-সাগর অর্থাৎ “অন্ন-সাগর' । নগরের পশ্চিমাংশে আনা সাগর নামক একটী বৃহ হুদ বিরাজিত ইহা-_প্রস্থে ১০০ গজ এবং দৈর্্যে প্রায় ৬০০ গজ হইবে। হ্ুদের চতুর্দিকস্থ প্রাকৃতিক শোভাসম্পদ পরম রমণীয়। এই পর্ণবতবেষ্টিত স্বাস্থ্যকর স্থানটি দেখিতেও যেমন স্থন্দর, থাকিবার পক্ষেও তত্রপ সুবিধাজনক । লোক সংখ্যা প্রায় ৬৮,০০০ হইবে । আমাদের নিকট আজমীর বড়ই ভাল বোধ হইয়াছিল । আজমীর হইতে আমরা চিতোর গমন করিলাম । ১৭৪ িত্ভোজ । অ্সীজমীর হইতে চিতোরে আসিলাম। যখন চিতোরগড় ফ্টেসনে অবতরণ করিলাম তখন রাত্রি শেষ হইয়। আসিয়াছে__শীতে কীপিতেছিলাম, চারিদিক অন্ধকার, কিছুই দৃষ্ট হইতেছে না_শুধু অন্ধকারের রাজ্য! চিতোরগড় ফ্েসনে অবতরণ করিয়া আমার হৃদয় শোকে-ছুঃখে ভ্রিয়মাণ হইয়৷ পড়িল! ফ্টেসনের অবস্থা দেখিয়৷ বুঝিলাম যে প্রভাত না হইলে ৷ নগরে প্রবেশ করা সুবিধা হইবে না। বৃথা চিন্তায় কালক্ষেপ না করিয়া! ফাষক্লাস ড/2100% [২০০এর মধ্যে প্রবেশ করিয়া! বেঞ্চে ঢলিয়! পড়িলাম। প্রায় ঘণ্টা! ছুই পরে প্রভাত হইল । প্রভাতের নবীন আলোতে নয়ন সমক্ষে ভগ্ন-ছুর্গ-কিরীটিনী চিতোরগড়ের সৌন্দর্য্য প্রাতিভাত হইয়া উঠিল। ম্টেসন হইতে চিতোর নগর প্রায় তিন মাইল দূরে অবস্থিত । কিন্তু স্টেসন হইতে বোধ হয় যেন অদ্ধ মাইলের অধিক ব্যবধান হুইবে না। ভারতবর্ষের সর্বত্র হিন্দু ও মুসলমান কান্তির ধ্বংসাবশেষ দেখিতে দ্বেখিতে চিত্ত ব্যথিত হইয়া গিয়াছল। ভারতের মানচিত্রে যেদিকেই দৃষ্টিপাত করিবে, সেদিকেই ধ্বংসের পর ধ্বংস শ্শানের পর শ্মশান দৃষ্টিপথে পতিত হইবে। বাল্যকাল হইতে যে চিতোরের বীর- গাথ৷ শুনিয়া আদিয়াছি, যে চিতোরের বীরগণের আত্ম-বিসঙ্জন-কাহিনী সমগ্র জগৎ্বাসী বিন্ময়ের সহিত শ্রবণ করে, আজ সেই চিতোরে আমি উপস্থিত! হায়! এই কি সেই চিতোর? একদিন যাহার উদ্ধারের জন্য সহজ্ম সহ রাজপুতৰীর মরণকে বরণ করিয়া লইয়াছে, একদিন যাহার কল্যাণের জন্য রাজপুত যোষিত্বন্দ জহরব্রতের আয়োজন করিতে কুষ্ঠিত হয় নাই ;_দেই চিতোরের পাদ- সংলগ্ন ভূমিখণ্ডে দাড়াইয়। আমার কত কথা মনে পড়িল, মনে পড়িল, সেইদিন, যেদিন এ গিরিছুর্গে বাস করিয়া রাজপুতবীরগণ দিল্লীর -জভ্রাট- দিগকেও কাপাইয়৷ তুলিয়াছিলেন, মনে পড়িল ভূবনমোহিনী পদ্িনীর কথা, যাহার রূপ-প্রলোভনে সম্রাট আলাউদ্দীন নিজ অস্তিত্ব ভুলিয়াছিলেন__ কত বীর, কত বীরাঙ্গনা, কত চারণ, কত বিশ্বাসী মন্ত্রী-_ইহার বক্ষে জন্ম- হণ করিয়া ইহার প্রাচীন ইতিহাসকে উচ্ছল করিয়া দিয়াছেন, আজ (১৭৫ ভারত-ভ্রমণ । একে একে তাহাদের স্মৃতি আমার হৃদয়কে উদ্ভ্রান্ত করিয়া তুলিল। পাঠক! রাণাপ্রতাপের প্রিয় জন্মভূমি এই সেই চিতোর,_ সে দেশ প্রেমিক সন্ন্যাসীর-হুদয়ের তপ্ত দীর্ঘশ্বাস আমার হৃদয়ে অমুভব করিলাম । চিতোরের মৃত্তিকায় মাথ! ছ্ৌয়াইয়৷ নগরের দিকে অগ্রসর হইতে আরম্ভ করিলাম । পর্বত ও ফেঁসনের মধ্যস্থলে তরঙ্গায়িত বিশীল প্রীস্তর,_ফ্টেসন হইতেই পর্নবতবক্ষে অবস্থিত দৃঢ় প্রাচীরবদ্ধ দুর্গ এবং তাহার সিঁড়িগুলি দৃষ্টিগোচর হয়। মন্দিরের ও স্তস্তের উচ্চ শেখরগুলি আমাদিগকে দ্রুত গমনে প্রলুব্ধ করিতেছিল। চিতোর পাহাড়ের নিন্তস্থ এই মাঠটি বিরাট ও বিশাল। পুর্বেধ এই প্রীন্তর মধ্যেই মুসলমান নৃপতির! তাবু গাড়িয়৷ চিতোর অবরোধ করিতেন। এখনও এখানে যুদ্ধে নিহত মুসলমান সৈম্যগণের সমাধি বিমান আছে। চিতোর নগর ৫০০ পাঁচশত ফিট উচ্চ পাহাড়ের উপর অবস্থিত। পাহাড়ে উঠিবার মাত্র একটা পথ, কাজেই সহজে কেহ এই দুর্গ অধিকার করিতে পারিত না । সুর্ধ্যবংশোস্তব মহাবীর রামচন্দ্রের বংশধর বীরশ্রেষ্ঠ বাপ্লারাও এই নগরী প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। একটা ক্ষুদ্র পার্বত্য তরস্কিপী উত্তীর্ণ হইয়। ভগ্ন অট্রালিকাস্তুপ বেষ্টিত লোকালয় পার হইয়া ক্রমশঃ আনিয়া ছর্গের পাদদেশে উপস্থিত হইলাম। হৃদয় শোকে ছুঃখে হর্ষে বিষাদে স্পন্দিত হইতেছিল। বাদলের জন্মভূমি, কুস্তরাণার রাজধানী শত তত বীর প্রসবিনী চিতোর নগরী আজ দুর্দশাগ্রস্ত। দেখিলে কাহার মন বিষাদভরে ভ্রিয়মাণ না হইয়। থাকিতে পারে? যেদিকে দৃষ্টিপাত করা যায়__সেদিকেই ভগ্নাবশেষ _সেদিকেই হাহাকারের তীব্র প্রতিধ্বনি, সেদিকেই হিন্দুর গৌরবের উজ্জ্বল দৃষ্টান্তসমূহ নেত্রপথে পতিত হয়। চিতোর তুমি কি ঘ্লেই চিতোর?”:একদিন যাহার গৌরব রক্ষা করিবার নিমিত্ত ভীষণ সমরানলে রাণা লক্ষণ সিংহ বংশরক্ষার নিমিত্ত একমাত্র পুত্রকে রক্ষা করিয়া একাদশটি পুত্রকে বিসঞ্ভন দিয়াছিলেন? | গর্বে যাহার উন্নত শির ... ছিল এ ভারতভূমি, এ কি সেই ওগো! চিরগৌরবের ১৭৬ '. যদি তুমি হিন্দু হও, যদি তুমি প্রাচীন বীর-কাহিনী ভালবাস, জ্ৰ একবার এখানে এসে নয়নজল ফেলিয়া যাইও! বু দেবালয় ভগ্নমন্দির উত্তীর্ণ হইয়া ুর্গমূলে পহছিলাম, গেটের রর পার্শেই একটা ক্ষুদ্র দপ্তর গৃহ, একটা লোক এখান হইতে পর্ধযটকগণকে পাশ দেয়, আমরা তাহার নিকট হইতে, পাশ গ্রহণ করিয়! দুর্গে প্রবেশ. করিলাম । চিতোর নগরের আকৃতি একটা বিশাল আয়ত ক্ষেত্রের ন্যায়, ইহার চারিদিকেই দুর্গসংলগ্ন প্রাচীর । চিভোর নগরের যাহা কিছু দেখিবার সে সকলই পাহাড়ের উপরে অবস্থিত, যখন ইহার সমদ্ধি'ছিল তখন রাণারা ইহার উপরিভাগে দুর্গ-প্রাসাদ, মন্দির, দীঘিকা প্রভৃতি নির্মাণ করায়ই বোধ হয় এরূপ হইয়াছে। নিন্স্থ নগরকে 'লহাটি” কহে। প্রাচীন শিলাফলক ইত্যাদি হইতে জানিতে পারা যায় যে উক্ত নগর চিত্রকুট এবং পাহাড়ের নাম চিত্রকুটাচল। চিতোরের এই বিখ্যাত ছূর্গ নগরের পূর্ণনদিকে প্রায় ৩৪ মাইল দীর্ঘ পাহাড়েরউপর অবস্থিত। গড়ের দৈধ্য প্রায় ৫৭৩৫ গজ ও বিস্তার ৮৩৬ গজ, র্গের দুর্ভেগ্ঠ প্রাচীর কালের কঠোর আক্রমণের সহিত যুদ্ধ করিয়া এখনও অক্ষত দেহে বিদ্কমান। দুর্গের অভ্যন্তরে প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড অনেক জলাশয় আছে। সর্বে্ধান্তর ভাগের ছূর্গ-প্রাচীর ১৭৬১ ফিট ও সর্দ্ব দক্ষিণ ভাগের ১৮১৯ ফিট উচ্চ। ছুর্গপথে সাতটা বিরাট এবং স্থৃদূ় দ্বার আছে তাহাদের নাম যথাক্রমে পটলপোল, ভৈরবপোল, হনুমানপোল, গণেশপোল জরলাপোল, লল্মমণপোল ও রামপোল । রামপোলের প্রাচীন শিল্পকলানিপুণতা৷ এখনও কিয়ওপরিমাণে বিগ্কমান আছে। ছূর্গ প্রবেশের তিনদিকের তিনটা দ্বারই আবার এ সকলের মধ্যে প্রীধান। এ সকল দার পর্য্যস্ত যাইবার জন্থ তিনটা, পথও . রহিয়াছে, তন্মধ্যে আবার পশ্চিম দিকের রাজপথটিই শ্রেষ্ঠ, ইহা দৈর্ধ্ে প্রায় অর্দক্রোশ হইবে । আমরা প্রথম তোরণ দ্বার দিয়া প্রবেশ করিয়া সম্মুখে একদল সশস্ত্র প্রহরী দেখিলাম,__তাহীরা আমাদের নিকট হইতে পাশখানা গ্রহণ করিল। পথগুলি ঢালুভাবে নির্ষিত, জ্রমশঃ উপরে উঠিতে হয় স্থানে স্থানে প্রস্তর গঠিত। প্রায় একমাইল পথ সি বর পুর্ববক তবে ছুর্গের শেষ ফটকের নিট পলীত, নত চিড় রগ | ভারত-্রমণ। পার্খে শ্বশানের দৃশ্য দেখিতে দেখিতে অগ্রসর হইতেছিলাম-_দুর্গের এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত কেবল স্তূপের পর স্তুপ-_ভগ্নস্তুপের রাশি । দুর্গের উপরে জলাভাবের কোনও কষ্ট নাই কারণ উপরে বত্রিশটা সরোবর আছে এবং পর্ববত-নিন্বে একটী নির্ঝরিণী প্রবাহিতা থাকায় নগরবাসীর পানীয় নির্মল সলিলের জন্য কোনও অভাব অনুভব করিতে হয় নাই। আমরা একে একে রাজপ্রাসাদগুলি দর্শন করিলাম । চিতোর গড়ের অবস্থান এতদূর সুন্দর যে বর্তমান সময়ের সর্দেবাৎকৃষ্ট আগ্েয়াস্ত্রের সাহায্যেও ইহার গায়ে গোলা বর্ষণ করিতে পারা যায় না। ৭২৮ খ্রীষ্টাব্দে বীরশ্রেষ্ঠ বাপ্পারাও এই ছুর্গ নিষ্মাণ করিয়াছিলেন বলিয়াই সকলের বিশ্বাস। ১৬৫৮ খ্রীষটান্ব পর্যযস্ত এই নগরে তাহার বংশধরগণ বাস করিয়াছিলেন, পরে চিতোর গড় সম্রাট আকবর বাদশাহ স্বীয় অধিকারভূক্ত করিয়া লইলে তৎকালীন রাণা উদয়সিংহ উদয়পুর নামক স্থানে স্বীয় রাজধানী স্থাপন করেন । ... চিতোরে প্রাচীন দর্শনীয় স্থান সমুহের মধ্যে কুস্তরাণার কীত্তিস্তস্ত, খোবাসিন স্তস্ত, মোকলজির মন্দির, শিক্ষার চৌরী প্রভৃতিই প্রধান । নগরের ঠিক্‌ মধ্যস্থলে রাগাকুস্তের জয়স্তস্তটি অবস্থিত । রাগাকুস্ত ১৪৩৯ খৃষ্টাব্দে - মালব ও গুঞ্উরের স্থলতান মহন্মদকে পরাজিত করিয়া এই কীত্তিস্তপ্ত স্থাপিত করেন, এই স্তস্ত চিতোরের হিন্দুগৌরবের প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত 1 ইহার উচ্চতা ১২২ ফিট এবং প্রস্থ নিন্নদেশে ৩৫ ফিট ও উদ্ধীভাগে ১৭॥৩ (ফিট মাত্র। স্তৃস্তটি নবতল। প্রত্যেকতল স্থৃস্পষ্ট এবং চত্ুদ্দিক বাতায়ন রহ স্তন্তের গাত্রে হিন্দু দেব দেবীর মুর্তি ও নানাবিধ স্থৃম্দর স্থন্দর শা প্রস্তর খোদিত কারুকার্য আছে। “রাজস্থান' প্রণেতা ভি প্রসিদ্ধ এঁতিহাসিক টড সাহেব কীত্তিস্তস্তের গাত্রস্থিত খোদিত ফি 1 ইহা ১৫১৫ সংবতে অর্থাণ ১৪৫৮ খুঃ অঃ নিশ্মিত হইয়াছে বলিয়া স্থির করিয়াছেন, "'11) 58115861515, 076 (91101501305 ন5 00000060710 1015 56817 ৬1120, (11)111504% ), 05 10901ত- 01) 079. 11010928915 01101651000, 015 1০000 50011)88511151160%* আবার সুবিখ্যাত » খত আনান) সি, 11, 0-657. ১৭৮ . (০০০০৬ পি পপ সস শা ০৭ ১. ও পাস পাপী লি চিতোর | শিল্পশান্জ্রবিৎ ফাগু পন সাহেবের মতে ১৪৩৯ থুষ্টাব্দে এই জয়স্তস্ত নির্পিত হইয়াছিল'। হাণ্টার সাহেবের মতে “112 ০1)1৩1 ০1৪০ ০ 100 0759£ 15 01) 11011)0 10170170005 009001207-91606500001450 05 1২8106101770107) 09 ০0০011)11)017018,06 10150610680 06 0706 00170001100] 2110165 01 [121৮/2 710 00]18010 1439,% ণবিশ্ব- কোষের নগেন্দ্র বাবুর মতে ১৫০৫ বিক্রম সন্বতে মাঘ মাসে ইহা নিম্মিত হয়। নগেন্দ্র বাবু বিশেষ প্রমাণ প্রয়োগের সহিত এবং যুক্তির সহিত তাহার এ মত সমর্থন করিয়াছেন। টড্‌ সাহেবের মতে এই স্তস্ত দিল্লীর কুতবমিনার হইতেও শ্রেষ্ঠ। স্তন্তে উঠিবার সোপানশ্রেণী অতি অপ্রশস্ত এবং দ্বারগুলিও অত্যন্ত ক্ষুপ্র। ইহার নিশ্্াণ বিষয়ে চিতোরে একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে। রাণাকুস্তের পত্রী পরম ভক্তিমতী রাজ্ঞী মীরার কথা সকলেই অবগত আছেন । তিনি নান! তীর্থাদি পধ্যটন করণান্তর পুনরায় চিতোরে প্রত্যাবর্তন করিয়। দ্বারকা দেখিবার বাসন! করেন, তীহার সেই ইচ্ছা পূর্ণ করিবার জন্য রাণাকুস্ত ইহা নির্মাণ করিয়া দেন, এজন্য ইহার অপর নাম মীরাবাই স্তস্ত। এই স্তস্তের পার্থে একটা ছোট স্তস্ত আছে তাহার নাম ছোট কীর্তন, এই স্তস্ত এখন পতনোনম্মুখ, পাঁচ সাত বগসরের মধ্যেই ইহার অস্তিত্ব বিলুপ্ত হইবে। পন্মিনীর প্রাসাদ দেখিয়া! অশ্রু-সংবরণ করিতে পারিলাম না। যে হ্রদের তীরে ভীমসিংহ- ও. পদ্মিনীর প্রাসাদ অবস্থিত পক্সিনী প্রাসাদ ও সেই হৃদ এখন শুক্ষপ্রায়,-_হদের মধ্যস্থলে পদ্সিনীর বিশ্রীম সস র্টবাস্থান। ভবন, সেই ভবনের চতুদ্দিকে এখনও অল্প অল্প জল আছে, যখন ইহা গভীর জল পরিপুরিত ছিল তখন ইহার সৌন্দর্য্য বিশেষ চিত্তহারী বলিয়া বোধ হুইত। একদিন ষে গৃহ ভূবনমোহিনী পদ্ধিনী সুন্দরীর অলস্তক- . রাগ-রঞ্জিত নূপুর-শিঞ্জিত চরণযুগল বক্ষে ধারণ করিয়া ধন্য হইত আজ তাহা নীরব ও নিজ্ঞজন। আমর! একে একে চিতোরের বহু মন্দিরাদি দর্শন করিয়া অবশেষে মোকলজী-কা-মন্দির ও শিলার চৌরী নামক মন্দিরদ্য় দর্শন _করিলাম। জনপ্রবাদ হইতে জানিতে পার! যায় ষে রাণ৷ কুস্ত তাহার পিতা মোরুলজীর স্মতিচিহন্বরূপ এই মৌকল-জী-কা মন্দির নির্মাণ ০ 6854864 0855708-85118258 ঢু ঈ 10177 [190765251107090ল1 083600627 (37৫ 00.) ০1. ৬11), 3, ভারত-জমণ । করাইয়াছিলেন। আবার কাহারও কাহারও মতে স্বয়ং মোকলজী এ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। ইহা পুর্ব পশ্চিমে ৭২ ফিট দীর্ঘ ও উত্তর দক্ষিণে ৫০ ফিট বিস্তৃত। মধ্যস্থলে একটী চতুক্ষোণ প্রকোষ্ঠ আছে, উহার উপরের ছাদ খিলান করা এবং ক্রমান্বয়ে উহ! গোলাকার ধারণ করিয়া উর্ধে চূড়ায় শেষ হইয়াছে । মন্দিরের পূর্বদিকে ষে একটা ক্ষুত্র গর্ভ-গুহ আছে তাহা অত্যন্ত অন্ধকাঁরময়, এমনকি দিবাভাগেও বস্তিকার সাহায্য ব্যতীত উহার অভ্যন্তরস্থ কোন ভ্ত্ব্ই দৃষ্টিগোচর হয় না। মন্দিরের উত্তর দক্ষিণে ও পশ্চিমদিকে তিনটা দরদালান এবং প্রবেশ দ্বার আছে? মন্দিরের জর্দ্ত্র প্রস্তর খোদিত বহুসংখ্যক মুত্তি, সেগুলি বড়ই স্ত্ুন্দর, কোথাও কুস্ত কাখে করিয়া কোনও মহিলা জল আনয়ন করিতে যাইতেছে, €কাথাও কোন বীরপুরুষ রণজয় করিয়া যুদ্ধ হইতে আগমন করিতেছেন, কোথাও বিচারক অপরাধীর বিচার করিতেছেন এইরূপ বহুবিধ স্ন্দর স্বন্দর মুর্তি বর্তমান আছে। একে একে সমুদয় মন্দির ইত্যাদি দর্শন করিয়া অবশেষে আমরা সেই স্থানে আদিলাম, যেখানে একদিন রাজপুত ললনাগণ সতীত্ব রক্ষার্থ আত্ম- বির্ডন করিয়াছিলেন । এই স্থানে পর্ণনতের গায়ে একটী ক্ষুত্র মন্দির, পর্্ঘতের অঙ্গ হইতে .নিরত স্ফটিক-ধারা পদৃশ জলধারা নির্গত হইয়া মন্দির মধ্যস্থিত মহাদেবের মস্তকে নিপতিত হইতেছে-_-এই প্রজ্মবণের জলের সাহায্যে সম্মুখস্থ একটী বাঁধান পুঙ্গরিণী সর্দনদা জল-পরিপুর্ণ থাকে । ইহার দক্ষিণ দিকে অগ্ভাপিও একটা সুঁড়জ পথ রহিয়াছে, শুনিলাম যে চিতোরের স্থুখসমৃদ্ধির দিনে চিতোরের স্বাধীনতার শুভক্ষণে রাজকুমারিগণ এই পথ দিয় এখানে আসিয়া শিবপুজা ও মনের আনন্দে ন্লানাদি কার্ধ্য নির্বাহ করিতেন । ১৫:১৮ খ্রীষ্টাব্দে দিল্লীর সম্রাট আকবর অসংখ্য ননী লইয়া চিতোর নগর আক্রমণ করিল দুর্গস্থিত রাজপুত বীরগণ প্রাণপণে ছূর্গ রক্ষা করিতে লাগিলেন, কিন্তু অবশেষে যখন আর কিছুতেই দুর্গ রক্ষা করিতে পারিলেন না তখন তাহারা একে একে রণক্ষেত্রে আত্ম-বিসঙ্ন করিতে লাগিলেন__অবশেষে যখন শেষ আশা, শেষ নুরসা.__বীরশ্রেষ্ঠ জয়মল্লও ১৮৯ ০ সম্মুখ রণক্ষেত্রে আত্ম-বিসর্জন করিলেন, তখন অবশিষ্ট রাজপুত যোদ্ধাগ্গণ খ্যায় মোট এক সহজ্স হুরিদ্র্ণ পরিচ্ছদ পরিধান করিয়া সাধের জন্ম- ভূমির ও আত্মীয় স্বজনের নিকট হইতে চিরজন্মের মত বিদায় গ্রহণ করিয়া একে একে রণক্ষেত্রে আত্ম-বিসর্ভন করিলেন। বীরাজণা রাজপুত- মহিলাগণও এই স্থানে দলবদ্ধ হইয়া ভ্বলন্ত চিতায় আত্ম-বিসর্ন করিয়া- ছিলেন। এই সেই পুণ্যক্ষেত্র, মুহুর্ত মধ্যে অতীতের সমুদয় দৃশ্যাবলী বাস্তবের ন্যায় প্রতিভাত হইল। সংসারে আজ কত পরিবর্তন। সেই নীরব নিভৃত প্রদেশে বাতাস যেন গাহিতেছিল, | “দেখরে জগত, মেলিয়ে নয়ন, দেখরে চন্দ্রমা, দেখরে গগন, স্বর্গ হ'তে সবে দেখ দেবগণ, জলদ অক্ষরে রাখগো লিখে । স্পদ্ধিত যবন, তোরাও দেখ রে, সতীত্ব রতন করিতে রক্ষণ, রাজপুত-সতী আজিকে কেমন, সঁপিছে পরাণ অনল শিখে ।৮ চিতোরে অগ্ান্য দর্শনীয় স্থানসমুহের মধ্যে কুকুরেশ্বর মন্দির, অন্নপূর্ণা দেবীর মন্দির, রত্তেশ্বর সিংহের প্রাসাদ, নব লক্ষ ভাগ্ার প্রভৃতি আরও অনেক মন্দিরাদি এবং সু্যকৃণ্ড ও মাতাজিকুণ্ড প্রভৃতি ' সুন্দর সুন্দর জলাশয় আছে। চিতোর. ভারতের .গৌরর, ভারতরঃটর.. অনন্ত... আশ্রার-_ অনন্ত আধার, আমাদের থম্মাপালী- ম্যারাথন । কোথায় সেই দিন চলিয়া গিয়াছে, আজ কোথায় তীহারা ? সেই সৌন্দর্ধ্য-_সেই কঠোর ও কোমলের একত্র সমাবেশ, সেই স্বদেশ শ্রীতির গৌরবকেন্দ্র চিতোর আজ শ্মশান । শ্বাশীনে কি দেখিলাম, দেখিলাম-_ শুধু অস্থি-_-শুধু ভস্ম-_শুধু হাহাকার-_ শুধু যন্ত্রণার মন্ম্রভেদী দহন । চিতোর তুমি কি? তুমি আমাদের হাদায়ের রক্ত, ভারতের মুকুটমণি !. কালের ভীষণ তরজ্াঘাতে তোমার একবিন্দু গৌরব কণারও যে ত্বাস হবে না! চিতোর ! তুমি অজর _ তুমি বি ৮3 শ্াশান-_. আবার তুমিই আনন্দ-কানন। ০০২ ০ জ্ম্মগ্পুন্র | 5 গে! ! পুরস্থন্দরী জয়পুরনগরী জানি না কেমন করিয়া! তোমার শোভা সম্পদ--কেমন করিয়া তোমার মঠমন্দিরারামসৌধকীর্তির বর্ণনা করিব। জত্য সত্যই তুমি__ “জয়সিংহ জয়পুরী চারুদেশ, | যার শোভা মনোৌলোভা বৈকুণ-বিশেষ।” | প্রকৃতপক্ষেই এমন অনিন্দ্যন্থন্দর অমরাবতীতুল্য নগরী আর কোথাও দেখি নাই।% নীল-গগন-তলে শ্রেণীবদ্ধ শিল্পালঙ্কৃত লোহিতরাগমণ্তিত সৌধাবলী _প্রীশস্ত রাজপথ, হাট, বাজার, মন্দির, অলিন্দ সকলই যেন চিত্রের ন্যায় নানাবর্ণে মনোহরভাবে বিরাজিত। সত্য সত্যই জয়পুরনগরী আমার নিকট একখানা স্বপনদৃষ্ট ছবির ন্যায় প্রতীয়মান হইয়াছিল। আজ কয়েক বর্ষ হইল দেখিয়াছি; কিন্তু এখনও তাহার অনিন্দান্থন্দর ছবি হৃদয় হইতে মুছিয়। ফেলিতে পারি নাই। চুকে বৃক্ষরাজিশুষ্ঠ পর্ববতমালা__আর তাহারই পাদদেশে স্থুরন্ন্দরী নগরী আপনাকে লজ্জাবতী বধ্র শ্যায লুকায়িত রাখিয়াছে। ছ্েসন হইতে সহর প্রায় দুই মাইল দূরবর্তী ২ কাজেই ফ্টেসন হইতে সহরের কোনওরূপ শ্মস্তিস্থই অনুভূত হয় না; তাহাতে আবার জয়পুর নগর উচ্চ প্রাচীরবেষ্টিত (20708€0) ! | আমর! বেল! প্রায় দুই ঘটিকার সময় ফ্েসনে পঁনুছিয়৷ একখানা শকটারোহণে নগরের দিকে অগ্রসর হইলাম । দেখিতে দেখিতে অশ্মশকট একটা প্রকাণ্ড তোরণের নিকট আসিয়া উপস্থিত হইলে, দ্বাররক্ষক আমাদের 5৪৬৪1 06)51181) ৬৪5 006 19901706101 019 109৬ 09010511217 2001 1117 [65087 ০৮165078880) %1710 99০৪770 016 592৮ 01 5010706 2100 810) ৪10 60119560 006 11019 01701610 £৯10106116)08115 016 011) 0119 17 [1015 90116 8001 516£5121 01911 ৬101) 55905 01560011% 6৪01) :০0101 15 9011610 9778165. 10161160601 06 08512 এ 96000017 15 25916176000 ৬1090117178) 21078815601 36791) 076 01 076 1091 8717101876 00801451075 ০06 106 71710617911 01550167100 [0015010 10011) 850০. 120771001 070 1015107651 42842 0০/, িিগ 70৫9. ৯৮২ 7 আনা |. নিকট উপস্থিত হইয়া, বিক্রয়োপযুক্ত কোনও দ্রব্যাদি আছে কিনা এবং অন্তর. শন্মাদি আছে কিনা দেখিয়! সসম্রমে নগরে প্রবেশের পথ ছাড়িয়া দিল। এই উচ্চ ফটকের নাম ঠাঁদপোল। ফটকের পরে একটা সুর আজিনা-_ইহা চতুর্দিকে অতথ্চ প্রাচীর দ্বারা স্ুবেষ্ঠিত। এই নগরে এইরূপ আরও ছয়'টী তোরণ আছে। ফ্টিসনের নিকট বে ঙগকল ধর্মাশীলা আছে, তাহার একটাও সুবিধাজনক নহে, সে নিমিতই আমরা নগরের বাহিরে না থাকিয়া নগরের মধোই অন্ত এক বাসা ঠিক করিয়া, তাগ্খাতে বাস করিয়াছিলাম। যদিও এখানে ভুতপুর্র্ব দেওয়ান সর্গীয় সংসার -শবুর পুলগণ, মেঘনাদ বাবু প্রভৃতি খ্যাতনাম! বাঙ্গালী ভদ্রলৌক বাস করেন এবং প্রায় সকল বাঙ্গালী-পর্যাটকই এখানে আসিলে তাহাদেরই অতিথি হুন, তঞ্গপি আমরা ইচ্ছা করিয়াই ভিন্ন বাড়ীতে বাসা লইয়াছিলাম । মহারাজ . দ্বিতীয় জয়সিংহ এই নগরের স্থাপয়িতা । ভারতবর্ষের কোথাও ' এইরূপ পরিপাঁটা সহর দেখিতে পাঁওয়া যায় না। ইহার আবর্ভনা রহিত রাজপথ- গুলি উত্তর দক্ষিণে ও পূর্ণন পশ্চিমে সমান্তরালভাবে বিস্তৃত, যেস্থানে এই রাজপথগুলি পরস্পরে মিলিত হইয়াছে, সেই স্থানেই এক একটা চকের স্টি হইয়াছে _প্রতি চকের মধ্যেই প্রস্তরগঠিত কৃত্রিম সরোবর ও তন্মধ্যে বৃহ বৃহৎ উৎস সমূহ স্থাপিত: রহিয়াছে ॥/২ জয়পুর নগরী বিদ্াধর নামক পুর্নবঙ্গ-বাসী জনৈক বকুশাস্্বিদ প্রসিদ্ধ ব্রা্মণ-মন্ত্রীর পরামর্শ ্ সবাই জয়সিংহ নিজনামে ১৭২৮ শরীষটাব্ডে, স্থাপুন._এরিয়াদ্রেন। আছে যে, একটী শুদ্ধ হদগর্ভের মধ্যে এই নগরী স্থাপিত। টি তিন দিকে সুন্দর নীল গিরিশ্রেণী উন্নতমস্ত্কে দণ্ডায়মান থাকিয়া নগরের , প্রহরাকাধ্যে রত রহিয়াছে । জয়পুর নগরী দৈর্থ্যে তিন মাইল এবং প্রস্থে দুই মাইল। পুর্ন আমর! যে সাতটা তোরণের কথা উল্লেখ করিয়াছি, | তাহার প্রত্যেক দ্বারের উপরিভাগেই ছুইটী করিয়া বিশ্রামকঙ্ষ ও. তোপ, রাখিবার স্থান আছে। নগরের ঠিক্‌ মধ্যস্থলে রাজপ্রাসাদ অব্দি নাগরিক সর্বববিধ শোভাসম্পদেই ইহ! গরীয়ান্‌।* জয়পর নগরী রাজ- পুতানার মধ্যে বৃহৎ ও সর্বিপ্রধান বাণিজ্যের স্থান । দিল্লী, আস্থা প্রভৃতি প্রসিদ্ধ প্রসিদ্ধ বাণিজ্য-প্রধান স্থানে এখানকার উৎপক্স বু জিনিহের “পরের কখা। ভারত-জমণ । রপ্তানী; হইয়। থাকে । দোণা, রূপা ও পাথরের কাধ্যের জন্য ইহা -চিত্র- ছুইধারে শ্রেণীবদ্ধ বিপণিশ্রেণী ও সুন্দর স্থন্দর অট্রালিকাসমূহ দেখিতে দেখিতে রাজপ্রাসাদের নিকট আসিয়া পঁুছিলাম। রাস্তার ছুই পার্খে ফুটপাথ-_আর মধ্য দিয়া গাড়ী-ঘোড়া চলিতেছে । এই ফুটপাথগুলি কলিকাতার রাজপথ হইতে দৃঢ় ও স্থুপ্রাশস্ত, রাজপগগুলিও অধিকাংশ স্থলেই ভারত-রাজধানীর বাজপথকেও হার মানায়। এই প্রকাণ্ড রাজপ্রাসাদ নগরের প্রায় একাংশ লইয়া বিরাজিত। মনোহর হম্ম্যাক্জী পরিশোভিত রাজবাটার প্রকৃত বর্ণনা করা অসম্তব। তোরণ ছাড়িয়া প্রবেশ করিলেই এক পার্থে একটা প্রকাণ্ড প্রাঙ্গণ, এই প্রাণের চতুদ্দিকে বিচারালয় ও কার্য-গৃহ সমুদয় বিরাজিত। প্রাচীন হিন্দুরাজ্যের শাসন-প্রণালী কিরূপ সরল ও সহজভাবে নিষ্পন্ন হইত, তাহা এখানকার বিচারাদি দর্শন করিলে সহজেই বুঝিতে পারা ষায়। জয়পুরের মহারাজ। নিজেই নিজরাজ্যের প্রজাবুন্দের দগুমুগ্ডের হর্ভাকর্তা । দেওয়ানী ও ফৌজদ্বারী বিচার. সকলই তাহার ইচ্ছানুসারে হইয়া থাকে_ তবে তাহা যথেচ্ছার সম্পন্ন নহে; তাহার জন্য. জয়পুর রাজ্যের নিজের আইন আছে। শাসন-শৃঙ্খলা সম্পাদনার্থ চারিটী বিভাগ আছে; যথা-_আইন আদালত, রাজন্য, সৈনিক ও বহির্ভাগ। রাজ্য-শাসনের ভার ঠাহার অধীনস্থ আটজন সচিবের উপরে নির্ধারিত আছে। জয়পুরের প্রজ্ঞাবসল ও ন্যায়পরায়ণ মহারাজ আবকারীর দ্রব্যাদি ব্যতীত আর সকল পণ্যদ্রব্যের মাশুল তুলিয়া! দিয়াছেন। হিন্দুর হিন্দু ও গ্যায়পরায়ণতা৷ প্রজাবাহুসল্য ও বিচারপদ্ধতি দশন করিয়া সেকালের হিন্দুরাজত্ব ও নৃপতিমগ্ডলীর কথা মনে পড়িল; বর্তমানের শোচনীর পরিণামে আক্ষেপ না করিয়া থাকিতে পারিলাম না! দিল্লী ও আগ্রার রাজপ্রাসাদের মত এখানেও দেওয়ান- আম, দেওয়ান-খাস প্রভৃতি শেত-মন্মর-প্রস্তর নির্মিত তৃষারধবল অট্রালিকা-. সমূহ সাজ-সজ্জীয় ৫শবক্তাবদ্ধন করিয় দণ্ডায়মান রহিয়াছে । স্তস্ত, অলিন্দ প্রভৃতি কারুকাধ্যময় ও শোভা-সম্পদে শ্রেষ্ঠতম । দেওয়ান-গৃহ দুইটার সাজ-সজ্জ৷ দৃষ্টে ঝুবিতে পার! যায় বে, মোগলদের সময়ে তাহাদের ২৮৪ রাজ প্রাসাদ, ” চা ০৫ রেঞাওতাররাররাটিতাররাট এই গৃহগুলি -কিরূপ স্থুন্দর স্থন্দর সাজ-সজ্ভায় নুশোভিত থাকিত। রাজবাটার ঠিক মধ্যস্থলে মহারাজার আবাস ভবন “চন্দ্রমহল” নামক স্থন্দর প্রাসাদটি বিরাজিত। এই অট্রালিকাটি ত্রিতল এবং ইংরেজী স্থাপত্যানুসারে নিশ্মিত__গৃহটি ইংরেজী উপকরণে স্থুসভ্ভিত। অন্টালিকার পশ্চাতে প্রশক্ত ও মনোহর পুষ্পকানন, জলপ্রণালী ও ফোয়ারা ইত্যাদি দ্বারা স্থুশোভিত। কৃত্রিম ও অকৃত্রিম শোভায় ইহা দর্শকের মন মুগ্ধ করিয়া থাকে । শ্রেণীবদ্ধ তরুশ্রেনী, নানাঁজাতীয় প্রস্ফুটিত কুস্থুমবৃক্ষনিচয়, লতাকুপ্ত, মখমলের ন্যায় বিস্তারিত সবুজ-স্ন্দর ঘাস,-_ প্রত্যেক দৃশ্যই যেন স্্ন্দর ও মনোহর । অনেক সময় স্বভাবকেও কৃত্রিমতার সাজে সাজাইলে কতদূর যে নয়ঞ্ন মুগ্ধ করে, তাহা এই উদ্ভান দর্শন করিলে, সহজেই অনুভূত হয়। এই উদ্যানের অপর প্রান্তে গোবিন্দজীউ'র মন্দির বিরাজিত-_ইনি বৃন্দাবন হইতে আনীত হইয়া এস্থানে স্থাপিত আছেন। মুত্তিটি কৃষ্ণপ্রস্তর নির্িত, দেখিতে মন্দ 'নহে তবে ইহার সৌন্দধ্য সম্বন্ধে লৌকমুখে যতটা শুনিয়াছিলাম_ চক্ষে ততটা দেখিলাম ন1। ভক্ত নহি, ভক্তির চক্ষে দেখিতে পারি নাই, 'তাই কি গোপিনী-মনোমোহন আপনার সৌন্দ্াটুকু আমার নয়ন হইতে মুছিয়া লইয়াছিলেন ? গোবিন্দজীর মন্দিরের নিমিন্ত জয়পুর হিন্দুমাজ্রেরই মহাতীর্ঘ স্থান। প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় আবালবৃদ্ধবণিতা গোবিন্দজীর আরতি দর্শনার্থ গমন করেন। সে এক রমণীয় দৃশ্য । গোবিন্দজীর নিত্য পুজার দৃশ্য আরো মনোহর । আমরা এস্থানে গোবিন্দজীর উদ্দেশে বিরচিত একটী সঙ্গীত প্রকাশ করিলাম। এই সঙ্গীতটা বর্তমান মহারাজ! দ্বিতীয় মাধব সিংহজীর বৃদ্ধ পিতামহ মহারাজ প্রতাপসিংহ-কর্তৃক বিরচিত। গানটি এই, “আজ মিলো মোহে গোবিন্দ প্যারো, নেনন ভর ভর রূপ নিহারো । শ্যামলি সুরত মাধুরী মুরত, চঞ্চল উছল জোবন মতবারো ॥ আজ মিলে! মোহে গোবিন্দ প্যারো। নাভি গভীর, উদর-রোমাঁবলী, কুক্তুভ মণি নকবেমর বারে! । মোর মুকুট পীতাম্বর সোহে শ্রতি কুল মকরাকৃপ্ঠি বারো । আজ মিলো. মোহে গোবিন্দ প্যারো, রাজা প্রীতাঁপসিংহ স্মরণ তিহাকো | : তন মন ধন চরণ পর বারে।, আজ মিল মোছে গোবিদ্ব প্যারে। 1... ২৪ ভারত-ভ্রমণ । আমরা পূর্েন যে গোবিদ্দজীউর, কথা উল্লেখ করিয়াছি, তীহায় পুরোহিত একজন বাঙ্গালী, তিনি আমাদের সহিত নানা বিষয় আলাপ করিলেন-__স্বদেশী লোকের পরস্পরের প্রতি ষে কতটা সৌহার্দ্য থাকে, তাহা পরস্পর নিকটে থাকিয়া অনুভব করা যায় না। এই দূরপ্রবাসে সযুদয় বাঙ্গালীই এক। গোবিন্দজীউকে দর্শনান্তে মুত মহারাজ রামসিংহের বি ও “বাদলামহল” ইত্যাদি দর্শনান্তে “হাওয়া-মহল” দর্শন করিলাম। হাওয়া-মহলের সৌন্দধ্য দূর হইতে পরম উপভোগ্য । দূর হইতে ইহাৰেঞ্জ একটা রথের মত দেখায়। তলের উপর তল, তার উপরে তল, এইরূপভাবে ক্রমশঃ মন্দিরাকারে অট্রালিকার বিস্তৃতি চতুদ্দিকে কমাইয়া ছোট করিয়! তোল! হইয়াছে । উম্মুক্ত দ্বারপথে বায়ু প্রবেশ করিয়া সর্বদা কক্ষগুলিকে শীতল করে বলিয়াই ইহার নাম হাওয়া-মহুল হইয়াছে। ইংরেজ ও অন্যান্য বৈদেশিক পরিব্রাজকগণ শতমুখে ইহার প্রশংসা করিয়া গিয়াছেন। এক মহল হইতে আর এক মহলে যাতায়াত করিবার নিমিত্ত ইহার মধ্যে ললিতভঙ্গিমায় বহু বক্রপথ বিগ্কমান রহিয়াছে । গঠনে, সৌন্দর্য্যে ও নৈপুণ্যে ইহা অতুলনীয় । ইহার উপর হইতে নগরের সৌন্দধ্যও কতকটা উপলব্ধি করিতে পারা যায়। ইহার নিনস্থ রাস্তাটি স্থপ্রশত্ত ও স্থন্দর-_ নিম্ন হইতে ক্রমশঃ উ“চু, রাজপ্রাসাদে আরোহণ করিবার নিমিত্ত এই রাস্তা বহুদূর হইতেই ঢালু করিয়! নিপ্মাণ করা হইয়াছে । রাস্তার মধ্যস্থলটি প্রস্তরমগ্ডিত। পথের সেই উন্মুক্ত স্থলে ধীর মলয়ানিল সর্ববদ৷ ক্রীড়া করিতে থাকে । বলিতে ভুলিয়া গিয়াছি যে, রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করিতে হইলে “পাশ' লওয়ার প্রয়োজন । হাওয়া-মহল সপ্ততল-_এখন পাঠকবর্গ হয় ত সহজেই বুঝিতে 'পারিবেন যে, এই পার্বত্য প্রদেশে শু হ্ুদগর্ডে ইহার নিম্ধাণকার্্যে কতটা দৃঢ়তা ও স্থাপত্য-কৌশল নিহিত রহিয়াছে মহারাজের এই সপ্ততল হাওয়া-মহল সত্/সত্যই এক অলৌকিক প্রন্তরগুহ, হর হইতেই ইহার অতজেরী উদ দর্শকের দুর আবরণ ফি থাকে । প্রধান ফটকের সম্মুখে মুক্রাস্ত্রাগার। প্রধান তোরণের সমমখে “ম্বগশুল ১৮৬: | | টে এ হাওয়া মহল। 1 1ম খাগ। 9১ 88৮15 1 11918 1 ৪ সপ 1 ৫১৩৮ ৮০৩৮ ৫35 7 ১০18০2 ! ৯1৮1 42. ৩1৩ 113৮1 ৩ 1 140) 184 ॥ ৭ জয়পুর | মিনার” এবং রাজা ঈশ্বরী সিংহ নির্মিত ঈশরী মিনার অবস্থিত। উভয়ই দেখিতে অত্যন্ত স্থন্দর। জয়পুরের মার্টন্কুল একটী দেখিবার জিনিষ, এ স্থানের শিল্পজাত ও কারুকাধ্য দেখিতে অত্যন্ত সুন্দর । এক কলিকাত৷ আরটম্কুল ব্যতীত ভারতের আর কোন শিল্পবিদ্ভালয়ই ইহার সি সমকক্ষ নহে। এই শিল্প-বিগ্ভালয়টি মুত মহারাজ রাম- সিংহের এক অক্ষয় কীর্তি । ছাত্রগণকে চিত্র, কাষ্ঠ, পিস্তল ও পাথর ইত্যাদির দ্বার নানাবিধ ব্যবহার্ধ্য দ্রব্যের নিশ্াণ শিক্ষা-দেওয়া হইয়! থাকে । শিক্ষকগণও প্রত্যেকে এক একজন খ্যাতনামা শিল্পী । রাজা মহারাজগণ প্রতিষ্ঠাপিত এ সমুদয় শিল্পবিগ্ভালয়দ্ধারা৷ ভারতবর্ষের লুপ্তপ্রীয় শিল্প-গৌর- বের যে পুনঃপ্রতিষ্ঠা হইতে পারে, তাহা এখানকার ছাত্রগণের নিশ্মিত শিল্পদ্রব্যাদি দর্শন করিলে, সহজেই বুঝিতে পারা ষায়। শিল্পের অবনতির নিমিন্তই যে আমাদের দেশের এই দারুণ অবনতি সংঘটিত হইতেছে, তাহা আর নুতন করিয়। কাহাকেও বুঝাইতে যাওয়া অনাবশ্বাক। আমরা কাঞ্চন ফেলিয়া কাচে গ্রন্থি দিতেছি__তাই দুর্দশাও দূর হইতেছে না-__ছুভিক্ষ- রাক্ষপীর বিকটগ্রাস হইতেও ম্ক্তিলাভ করিতে পারিতেছি না। এখানে একটা প্রস্তরনিম্মিত গাভী ও বাছুর দর্শনে যুদ্ধ হইয়াছিলাম । রাজপ্রাসাদ দর্শনের পর, বাসায় আসিয়া আহার ও বিশ্রামাদির পরে আমরা মহারাজ রামসিংহের সাধের “রামবাগ” নামক উদ্ভান দর্শন করিতে গমন করিলাম । এত বড় এবং এমন সুন্দর কারুকার্ষ্যময় উদ্ভান ভারতবর্ষের অন্যাত্র দেখিয়াছি বলিয়া মনে হয় না। উদ্ভান-মধ্যে লর্ড মেওর একটা স্থন্দর মুর্তি আছে। নানাজাতীয় বৃক্ষলতায় স্থশোভিত সবুজ-স্থন্দর দুর্ববাদলে সভ্ভিত এই উদ্ভানটি পর্য্যাটককে একেবারে . বিমুগ্ধ করিয়! ফেলে । কোথাও লতাকুপ্তবনে লাল সাদা ও হলুদ রঙ্গের ফুল ফুটিযা রহিত্র/(ছে, কোথাও কৃত্রিম সরিৎ দিয়া জল নির্গত হইতেছে কোথাও জলল্োতের উপর ক্ষুদ্র সেতু এবং কোথাও বা জীবিতবহ কৃত্রিম ্রস্তর- প্রতিমূর্তি রক্ষিত। উদ্ভানের একপাশ্খে স্থদৃশ্য নানারূপ মুল্যবান প্রস্তরাদি গঠিত “এলবার্ট হল” বিরাজিত। এই স্থন্দর সৌধখানি নিপ্দমীণ করিতে লক্ষ লক্ষ মুদ্রা ব্যয়িত হুইয়! গিয়াছে। অট্রালিকার মধ্যে দরবার গৃহ ও পামবাগ। ৯৮৭ ভারত-ভ্রমণ | চিত্রশালা আছে, উহা৷ দুইটা স্থন্দর ও বৃহ ভিন্ন ভিন্ন কক্ষে অবস্থিত। ইহার সম্মুখস্থ বারান্দায় জয়পুরের পূর্ববর্তী নরপতিগণের চিত্র-সমূহ অঙ্কিত রহিয়াছে । একটা স্থপ্রশস্ত দ্বিতল উচ্চ হল এবং তাহার তিন পার্খে কক্ষের সারি, তাহার পার্খে একটা স্থুন্দর প্রাণ, তাহার চারিদিকে প্রকোন্ঠ সমুহ অবস্থিত। হলের উপরিস্থিত গবাক্ষে, কাচে নানা বর্ণে নলদময়ন্তী, সীতা- বর্ভন, শ্রীকৃষ্ণের ব্রজলীলা, আলেকজেপগ্ডার কর্তৃক দরাযুর পরাজয়, হনুমানের লঙ্কাদহন এবং দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ ইত্যাদি আলেখ্য-সমুহ বর্ণ- বিচিত্রতায় এবং চিত্রনৈপুণ্যে মন মুগ্ধ করিয়া ফেলে। এই স্থসভ্ভিত দরবার ঘরের পরেই মিউজিয়ম ব! চিত্রশাল! দর্শন করিলাম । কলিকাতার স্থপ্রসিদ্ধ চিত্রশালার আকৃতির তুলনায় ইহা হীন বলিয়া বিবেচিত হইলেও কোন কোন অংশের গুণে ইহাকে হীন বলিয়৷ মনে হয় না। এস্থানে শ্েতপ্রস্তরের নানা সুন্মনকাধ্য-সমস্বিত দেব-দেবীর মুর্তি, ধাতৰ অক্ত্র-শঙ্ক্ ও ক্রীড়া-পুকুলিকাদি দর্শন-যোগ্য । রামবাগ মধ্যে যে মনোহর উদ্ান এবং স্থন্দর সুন্দর তাটা- লিকা বিরাজিত, শুনিলাম যে কেবল সেইগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখিতেই মহারাজার বাষিক ত্রিশ হাজার টাকা ব্যয়িত হইয়া থাকে! আমরা যখন মিউজিয়ম ও এলবার্ট হল ইত্যাদি দেখিয়া বাহির হইলাম, তখন সন্ধ্যা হইয়াছে, আকাশে তারকামালা ফুটিয়াছে ও ব্যাণ্ডের মধুর বাগে চারিদিকে একটা হর্ষ-কোলাহল ব্যাপ্ত হইয়া পড়িতেছে । আলোতে, কাশীতে, বাতাসের শীতল-স্পর্শে ক্লান্তি দূরে গমন করিল--প্রাণে শাস্তি ও স্থখের উদয় হইল । জয়পুরে অন্যান্য দর্শনীয় স্থান-সমুহের মধ্যে মেও-হীসপাতাল মহারাজের কলেজ ও নগর-প্রাচীরের বাহিরে গেথুরে মহারাজাদিগের সমাধি দর্শন- যোগ্য । এই সমাধি স্থানের সাধারণ নাম ছত্রী-_ইহার চতু্দিকেও স্থন্দর বাগান । উহার মধ্যে জয়সিংহের ছত্রীই দেখিতে অত্যন্ত মনোহর । জয়পুর হইতে দেড় মাইল দূরে পাহাড়ের উপর সূষ্য্দেবের একটা বৃহৎ মন্দির আছে, তাহাও উল্লেখ যোগ্য। এই দেবমন্দিরের নাম গুল তা, এখানে একটা:প্রঅঅবণ হইতে. ৭০ ফিট নিম্মে অনবরত জল পতিত হয়। হিন্দুদের নিকট এই জলও অত্যন্ত পবিত্র বলিয়া বিবেচিত। ডাকঘর, ১৮৮৮ রে ক পো কক কভবীন (রেস, অতিথিশালা, ইংরেজী ও সংস্কৃত বিদ্যালয়, কলেজ, শিল্পবিষ্ভালয়, ডিজরলা, কারাগার, ট“কশাল ইত্যাদি সমুদয়ই জয়পুরে আছে । জয়সিংহের মান-মন্দির এখানে দ্রব্য স্থানের প্রধান মধ্যে গণনীয়। জয়সিংহের এখানে হিন্দ্ু-জ্যোতিষিক প্রাচীন যন্ত্রসমুহ এখনও বিদ্যমান মানমন্দির। আছে। জয়পুরে এই মান-মন্দিরকে “ষক্পগৃহ', মানমগডল ও তারাকোঠিও বলিয়া থাকে । মহারাজ! সবাই জয়সিংহ বিখ্যাত জ্যোতিষী ছিলেন। তিনি নানাপ্রকারের জ্যোতিষিক যন্ত্রাদি নিম্মাণ করিয়া তত- সময়ের প্রসিদ্ধ ফরাসী জ্যোতিরির্বদ দে লা হায়র (1) 1 1115,এর জ্যোতিষীগণনার ভ্রম সংশোধন করিয়া দিয়াছিলেন। বর্তমান সময়ে এই মান-মন্দির প্রাসাদভূমির অভ্যন্তরে অবস্থিত। ইহা এখন চতুন্দিকে প্রাচীর ও অট্রালিক। পরিবেষ্টিত হইয়৷ পড়িয়াছে, জয়সিংহজীর রাজস্ব সময়ে এরূপ ছিল নাঁ। জয়সিংহজীর নির্মিত যন্ত্রসমুহের কয়েকটির নাম আমরা! এখানে উল্লেখ করিলাম-_এ সমুদয় যন্রদ্বার৷ সু্য, চন্দ্র ও. গ্রহাদির দূরত্ব এবং পর্ববতাদির উচ্চতা নিরূপিত হইত। সাধারণতঃ যন্ত্-সমাট, ভিত্তিযন্ত্র, রাশিবলয়, যন্ত্রজয়প্রকাশ, ভিত্তি গোলনাড়িযন্ত্র, যন্ত্ররাজ, কড়াযন্ত্র বা চক্রযন্ত্, কপালমন্ত্র, গোলযন্ত্র, নাড়ীবলয়, গ্রুবনল, রামযন্ত্র, কৃষ্ণযন্ত্ দিগংশযন্ত্র বা সৌরযন্ত্র, অরুণমন্ত্ প্রস্তৃতি আরও কত যন্ত্র আছে। জয়পুরের লোকসংখ্যা ১৫৪৯০৫, বরন লাদেন মুসলমান ৩৮৯৯৫৩, জৈন ৯৭৮০ । এখানকার জলবায়ু উৎকৃষ্ট । জয়পুর-রাজের বর্তমান আয় প্রায় এক কোটি টাকা হুইবে। পূর্বে জয়পুর রাজগণ বনু ব্রঙ্গোত্তর ও জায়গীর দান করিয়! গিয়াছেন, সেই সকল জ্ায়গীর ও. ব্রন্মোততরের আয়ও প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা হইয়া থাকে। পুর্নেন জয়পুর মহারাজের বন্থ সৈম্য ছিল এবং তাহারা বীর ও স্থুদক্ষ যোদ্ধা বলিয়া খ্যাতি লাভ করিয়াচিল; এখন আর সে দিন নাই, সেই বীর্য্যবত্তা৷ কালবশে বিস্মৃতিগর্ডে বিলীন হইয়া গিয়াছে । . এখন মহারাজের অধীনে ৯৯টা সুরক্ষিত পার্নবত্য ছুর্গ, ১৩৫৭৮ জন অশ্বারোহী, ৯৫৯৯ পদদাতি, ১৬ গোলন্দাজ, ৬৫টা কামান আছে। রেসিডেপ্টের বাটা, ভাঙার কার্য্যালয় নি, ভারভ-জ্রমণ । ১১১১১ টেলিগ্রাক আফিস ও ইংরেজদিগের বাসস্থান নগরের বাহিরে অবস্থিত | ব্রিটিশ. গভর্মেপ্টকে প্রতি বৎসর মহারাজের চারি লক্ষ টাকা কর দিতে হয়। নগরস্থ উপকশাল হইতে স্বর্ণ, রৌপা ও তাঅ-মুদ্রাদি নিক্ষিত হইয়া থাকে,__-এই সমুদয় মুদ্রাই জয়পুর রাজ্যের সর্বত্র প্রচলিত। বাঙ্গালী অধিবাসিদের মধ্যে স্বর্গীয় সংসারচন্দ্র সেনের ভাতা ও পুভ্রগণ পর্য্যাটকগণের আপদে বিপদে তীহারাই বাঙ্গালী ভ্রমণকারিগণের প্রধান অবলম্বন । আমরা এখানে জয়পুর রাজগণের একট। নামের ভালিক৷ প্রদান একমাত্র সহায় । করিলাম । ১। দুহলারাও ১০২৩ সন্দতে অভিষেক । ২। কঙ্কাল (ধুহ্বররাজ্য ) উদ্ধার কর্তা ) ৩। মাদলরাও ৪1 হন্ুদেব ৫1 কুগুল ৬। পুজন ৭1 মল্লসিংহ (মালসিংহ ) ৮। বিজলী ৯1 রাজদেব ১০। কল্যাণ ১১1 কুন্তল ১২। জোয়ানসিংহ ১৩। উদয় করণ ১৪) নরসিং 5৫1 বনবীর ১৬। উদ্ধারণ ১৭। চন্দ্রসেন র্‌ ১৮ 1 ণ ১৯৩ শি ১৯। ২০ 1 ২১ । | ২৩। ২৪ । ২্৫। ৬ । ২৭ । ত২৮ | ০ | ৩০ । ৩১। ৩২। ৩৩। ৩৪ । পু রর ৩৬। ৩৭। ৩৮. ভাম ( পিতৃঘাতী ) অহীশকর্ণ ( পিতৃহস্তা ) বাহারমল্ল ভগবান দাস মানসিংহ ভবসিংহ মহাসিংহ জয়সিংহ রামসিংহ বিষুতসিং সাবই জয়সিংহ ঈশ্বরীসিংহ মধুসিংহ পৃথিসিংহ প্রতাপসিংহ জগগুসিংহ মোহনসিংহ জয়সিংহ রামসিংহ মাধোসিংহ ( দত্তক ) "জয়পুর - জয়পুর দর্শনান্তে আমর! অন্বর রওয়ানা হইলাম । অন্থর জয়পুর রাজ্যের প্রাচীন রাজধানী । এতদ্দেশবাসিগণ সাধারণতঃ ইহাকে 'আমের' কহে। জয়পুর হইতে অন্বর পাঁচ মাইল দূরে অবশ্থিত। অম্বর পথাভিমুখী ফটকের নাম “আমেরক1 দরওয়াজা'__ আমরা! সে দরওয়াজা দিয়া এক।-আরোহণে অন্বর চলিলাম। পথের উভয় পারে পর্বতশ্রেণী। এ সকল পাহাড়ে বৃক্ষলতা একপ্রকার নাই বলিলেও কোনরূপ অসযুক্তি হয় না। ধীরে ধীরে বক্রগতিতে আমাদের যান ক্রমশঃ উদ্ধী হইতে আরও উদ্ধে আরোহণ করিতে লাগিল। পথের উভয় পার্শে পুরাতন আমেরের ছুর্দশ! দেখিতে দেখিতে যাইতে লাগিলাম। জগতে স্থায়ী কি? হায়! মানবের চেষ্টা, ঘত্বু উদ্ভোগ সমুদায়ই ধরাগর্ভে বিলীন হইয়া যায়। মাতঃ বস্থৃন্ধরে, তুমি কি দয়াবতী না রাক্ষসী ? নিজ সন্তানকে নিজেই আবার গ্রাস করিতেছ-_ যে ফুলটি তোমার বুকে ফুটিয়া উঠে, যে পাখীটি তোমারি কোলে গান গায়, যে কৰি তোমার মহিমার তান ধরে-_তুমি সর্ববনাশী কিনা আবার তাহাকেই গ্রাস করিয়া ফেল। জানি না, মা তোর এ কেমন বিশ্বগ্রাসী নীতি_ স্থগ্ি ও ংসের বিকটলীলায় প্রাণ অহরহঃ আকুল-ত্রন্দনে ব্যাকুল-- তবুও পাঁষাণী-_তবুও রাক্ষসী, তুই তাহা শুনিস্‌ না। হায়! জগতে কি এমন কেহই নাই, ধিনি মানবের এ দুঃখমোচন করিতে পারেন ? কে করিবে? হায় মুড আমি 1-_ ইহা যিনি করিতে পারেন, এ যে তীহারই লীলা ! বেলা প্রায় এগার বারটার সময় আমরা অন্বর পীঁহুছিলাম, নির্জন নিভৃত স্থানে এই মনোহর নগরটা অবশ্থিত। অন্বরের যাহা কিছু শোভাসম্পদ সে সমুদয় মহারাজা মানসিংহ কর্তৃকই সম্পাদিত হইয়াছিল। . অম্বরের নামোশুপত্তি সম্বন্ধে ছুইটী বিভিন্ন মত প্রচলিত আছে। কাহারও কাহারও মতে, অন্বাদেবীর নাম হইতেই সহরের নামোৎপত্তি হইয়াছে, আবার কাহারও কাহারও বিশ্বাস, অন্বরে ষে অন্বকেশ্খর নামক শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত আছেন, তাহার নাম হইতেই অন্বর নামের উৎপত্তি । এ'সমুদয় জনপ্রবাদ যাহার যেরূপ ইচ্ছা তিনিই তজ্জপ বিশ্বাস করিতে পারেন। অন্বর আসিতে হুইলে জয়পুর হইতে পাশ অন্বর। অন্বর শগর। ভারত-জমণ । আনিতে হয়, আমরাও পাশ লইয়া আসিয়াছিলাম। নীল গিরিশ্রেণীর ধূসর বক্ষে অন্বর সহর আপনার লুপ্ত সৌন্দর্য বুকে করিয়া! বিরাজিত। বর্যার সময়েই এখানকার গিরিসমূহ নবীন নধর বিটপী সমূহের শ্যামল পত্রপল্লবে পরিশোভিত হইয়া অত্যাশ্চর্ধ্য শৌভ৷ ধারণ করে। গিরি-শ্রেণীর পাদমুলে অন্বর সহর স্বীয় প্রশান্ত শৌভায় বিরাজিত। উভয় পার্শস্থ পর্নতের নিন্সস্থালে একটা প্রকাণ্ড হদ--ত্রদের তীরে সমতল ভূমিখণ্ডের উপর অস্বরের দুর্গ ইত্যাদি বিরাজিত। তদের স্বচ্ছ সলিল-মধ্যে তীরের সৌধা- বলীর ছায়া পতিত হইয়া! কি অনির্দ্বচনীয় স্ুষমাই না ধারণ করিয়াছে । আমরা ক্রমে পারিপার্থিক দৃশ্যাবলী দর্শন করিয়া অন্বর দুর্গের তোরণে প্রবেশ করিয়া দুর্গে আরোহণ করিতে লাগিলাম। বাহির হইতে ইহার শোভা যেরূপ অতুলনীয়, ভিত্রেও তাহা হইতে কোন অংশেই নান নহে। ইহার এশধ্য ও গঠন-নিপুণতা দেখিয়া আগ্রা ও দিল্লীর প্রাসাদাবলীর কথা মনে পড়িল। অন্বর ছুর্গের পাদদেশশ্থিত উদ্চানটি সুন্দর ও মনোহর এবং নানাবিধ ফলপুষ্পে পরি- শোভিত হইয়া অপুর্ব সৌন্দর্য ধারণ করিয়াছে । প্রথমেই একটা প্রশস্ত প্রাঙ্গণ, দেখিবার স্থানগুলির মধ্যে দেওয়ানী-আম, জয়মন্দির, যশোমন্দির, সোহাগমন্দির, রঙ্গমহল, দেওয়ানী-খাস, অন্দরমহল ও শিলাদেবীর মন্দির উল্লেখযোগ্য । আমরা একে একে সে সকলের বিবরণ লিপিবদ্ধ করিলাম | (১) দেওয়ানি-আম-_যদিও দিল্লী এবং আগ্রার দেওয়ানী-আমের সহিত ইহার তুলনা হয় না-_তথাপি সৌন্দর্ধা-গরিমায় ইহার স্থান একেবারে নীচে নহে । কারুকাধ্যখচিত স্তম্তনিচয় এবং মধ্যস্থলের ষোলটা মার্সেধেল স্তপ্তের শোভা সত্যসত্যই অতুলনীয় । স্তস্তনিচয়ের ঈষদ্‌ নীল'ভ সৌন্দর্য্য অন্বরের স্থপতিগণের গৌরববিকাশক । দেওয়ানী-খাসের পাশেই বর্তমান মহারাজের বিলিয়ার্ড খেলিবার স্থান। দেওয়ানী-খাস, অন্তঃপুর মহল প্রভৃতি দিল্লীর অনুকরণে সুসজ্জিত ও শেতপ্রস্তরনিণ্মিত। অন্ার- মহলের চতুর্দিকে স্থরক্ষিত প্রাচীর-__প্রাচীরের ফটকের নাম গণেশপোল । কপটি পিন্তল-নির্িত, তাহার উপরে সিদ্ধিদাতা গণেশের একটা প্রত্তিমুস্তি ১৯২ অস্বর দুর্গ । তু রিডিরআপনিসাবর ছিপ ৭৭ ২ রি 7. স্কিপ * ০৯০৯8 সপ শস্িনি, ১৮7 ১৩ বড নি বটল আপা ১.০ ৯৭৯ ৯৮ 5 ৯৮ ও শিস এত ৮ সপ ৭ র ূ ূ নি ১২১৯৯ ন্‌ চা টি 28 ই ৬১ ১5 কিস ০ প্র এ ৮০2 চির পু এ জনবসতি ৯১৯৭ং ূ ৪: - রা চি এ শু 2171 ৯:85 ক ক তত ৪ 8 ই ৪ প১৫ ইউ ২52০২৭,১ তি 2২০২৬ ক ২০৯ ওক এই হস ক- স্বর সই কস ১১০৯২ 75 ৯৩৯৯ ২৮০১৯৬৮২৯৬৬ মন পিট উর & ৯ ববাক 3 ৯৮৬ আখি ও মই ক ৪8 ৯ চিত ৯৮ পু কইল উজ ৯৯০ ৰ সু কিক এ ০৮ ০ ৬৯ পা এ ৭ শি কউ, অপ লিল, ০৯ ২ ঞ অস্কিত আছে বলিয়াই ইহার নাম গণেশপোল হইয়াছে । অন্দরমহলের সৌন্দর্য. অতুলনীয়। রাজপুত শিল্লিগণের অপূর্ব শিল্পনিপুণতা এখানে বিছ্কমান। নানাবিধ বিচিত্র সৌন্দর্য্যে, ভাস্করের অনিন্দ্যস্ন্দর অলঙ্কারে ইহা অনিন্দ্য সৌন্দর্য্যে উদ্তাসিত। একদিন যে কক্ষগুলি নানাদেশের স্বন্দরীগণের কলহাম্যে প্রতিধবনিত হইত, কত আমোদ কত উল্লাস যেখানে অহরহঃ ক্রীড়া! করিত, এখন তাহা নীরব ও ব্যাঘ্বের আবাসম্থল। ষে মানসিংছের বীরদর্পে, যাহার অসির ঝনঝনায় সুদূর কাবুল হইতে পূর্ববঙ্গ পর্য্যন্ত কম্পিত হুইয়াছিল-__সেই মোগলের বীর্ধ্যবন্তার অঙ্টী মোগলের খ্যাতিগ্রতিপত্তির মূল মানসিংহের অন্দরমহল কিনা বিজন ও ব্যাত্রাবাসে পরিণত, হায়রে ছুর্দৈব! মানব কত ক্ষুদ্র তুমি! কবির ভাষায় মানবের এ অনিত্যতা দেখিয়া বলিতে ইচ্ছা করে,-- | “বিধাতা হে আর করো ন৷ স্যজন এমন পৃথিবী, এমন জীবন) কর যদি প্রভু ধরা পুনর্ববার মানব স্জন করো নাক আর) আর যেন, দেব, না হয় ভূগিতে জীবাত্মার স্ুখ-_না হয় আসিতে, এ দেহ এমন ধারণ করিতে, এরূপ মহীতে কখন আর |” € হেমচন্দ্র ) নিন উল্লেখ করিয়াছি, তাহার বামদ্িকে “দেওয়ান খাস” অবশ্থিত- ইহার অপর নাম “জয়মন্দির” । এই ঘরে সর্ববশুদ্ধ তিনটা কক্ষ, প্রত্যেকটির ছাদ ও ভিতরকার দিকের প্রাচীর মুকুর- খণ্ড সংযোগে অতি সুন্দর ভাবে স্থশৌভিত-_উহা দেখিলে মন মুগ্ধ হইয়া যায়। প্রাচীন কারুকাধ্যগুলি এখন বিলুগ্তপ্রীয়। _- অতঃপর আমরা স্বানাগার এবং সোপানাবলি আরোহণ করিয়। দেওয়ান খাসের উপরিস্থিত “যশোমন্দির' দর্শন করিলাম, উহাতে মাত্র ছুইটা কক্ষ, ; একটা বৃহৎ ও অপরটা ছোট-_জত্যন্তরিক প্রাচীরগুলি “জয়মন্দিরের স্যায” ৫ ১৯৩ ভারত-ভ্রমণ। মুকুর খণ্ডের দ্বারা সুসজ্জিত । গুহের ছুই পার্খে দুইটা গুন্বজ, মধ্যস্থলে অদ্ধচন্দ্রাকৃতি ক্ষুদ্র দেহ। এ স্থান হইতে উদ্ধের জয়গড় কেল্লার দৃশ্য বড়ই সুন্দর. ইহার পরে “সোহাগ মন্দির, এই. কক্ষের বহির্ভাগন্থ প্রাচীরগুলি শবেতপ্রস্তর মণ্ডিত। গৃহের উভয় পার্থে আরও ছুইটী ছোট ছোট ঘর তাহাদের উপরি ক্ষুত্র ক্ষুত্র গুন্ঘজ--_ভিতারে ছিত্রযুক্ত প্রস্তর-জানালা__কক্ষের মধ্যেও এইরূপ প্রস্তর-জানালা দৃষ্ট হইল । বোধ হয় সে কালের পুরী বর্গ এই জানালার অন্তরাল দিয়া দেওয়ানখাসের কার্যাবলী অবলোকন করি- তেন। কারুকার্য্যময় শিল্পালঙ্কৃত প্রাচীরগুলি দেখিতে বেশ সুন্দর | রাজবাটার কিয়দ্দূরে উচ্চ পর্ববতোপরি প্রাচীন কুস্তলগড় অবস্থিত, ইহা প্রায় সহজ বৎসরের পুরাতন । এখন আর সে সৌন্দর্য নাই-__চারিদিক ভাঙ্গিয়া গিয়াছে ও জঙ্গলে ভরিয়৷ গিয়াছে । এখন বন্য. শুকর ও ব্যাত্বের ইহা লীলাভূমি। এই কুস্তলগড়ের আরে উদ্ধে ভূতেশ্বর মহাদেবের মন্দির বিরাজিত। এই ভূতেশ্বর যে কতদিনের প্রাচীন, তাহা! কেহ বলিতে পারেন না। উত্তর দিকের প্রাচীরের নিকট একটা মসজিদ দেখিলাম, কথিত আছে যে, আজমীর হইতে 'গমনাগমনের সময় জনৈক মুসলমান সম্রাট এই _ মস্জিদ নির্মাণ করাইয়া! ছিলেন। এখন অন্থর যেন উপকথার এক নিদ্রিত নগরী। চারিদিকে কেমন যেন এক গভীর নিস্তব্ধ ভাব ইহার সর্ববাজে বিজড়িত। সেই ঢল ঢল ছল ছল লাবণ্য নাই বটে, কিন্তু তবু সে রূপরাশির হাস নাই। একদিন ষে হাটবাজার লোকজনে পূর্ণ ছিল, এখন তাঁছা বিজন। পূর্বে এম্থানে উৎকৃষ্ট বন্দুক ও বিবিধ অন্ত্রাদি প্রস্তুত হইত। বর্তমান সময়ে অন্বরের শিল্লিগণ জয়পুরে বাস করিতেছে । জয়সিংহ কেন. _ষে. এমন সুন্দর স্তব্ধনগরী পরিস্যাগ্পূর্ধবক জয়পুরে সমতল-ক্ষেত্রে রাজধানী নির্মাণ করিয়। তাহাতে বাস করিলেন, তাহা আনে জু বুদ্ধিতে বুঝিয়া উঠা অসম্ভব । টিরও্নলি রর বালুজল সন্রারূর আমরা অস্বরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী শিলাদেবীকে দর্শন করিবার জন্য তাঁহার মন্দিরে প্রবেশ করিলাম। এই দেবীকে প্রত্যেক বাঙালী পর্যাটকেরই ভক্তি সহকারে দর্শন করা কর্তৃব্য। ১৯৪ শিলাদেবীর মন্দির। 1 )৫13৮12] 2155 11৮০ ৩৮ 1৩ ৮৮ ৯৪1৩১ 1 ১৮1৩)০ [জয়পুর । এই শিলাদেবী একদিন বঙ্গের বারভূ*ইয়ার জঅগ্যতর ভূইয়া চাদরায় ও কেদার রায়ের রাজধানী শ্রীপুর নগরীতে অধিষ্ঠাত্রী দেবীরূপে বাস করিয়া আসিতেছিলেন, কিন্ত্ব পরিশেষে মানসিংহ কর্তৃক কেদার রায় পরাজিত হইলে, তিনি এই অফ্টভুজা দেবীমুত্তি অন্বরে আনয়ন করিয়া স্থাপন করেন । এতদিন পধ্যস্ত উহ প্রতাপাদিত্যের ষশোহরেশরী বলিয়াই পরিচিত ছিল, কিন্তু সম্প্রতি প্রসিদ্ধ এতিহাসিক শ্রীযুক্ত .নিখিলনাথ রায় মহাশয় বিশেষ প্রমাণ সংযোগে উহা বিক্রমপুরাধিপতি চাদরায় ও কেদার রায়ের অধিষ্ঠাত্রী দেবী বলিয়৷ ঠিক করিয়াছেন। আমরা এখানে দেবীর বর্ণনা দিলাম। দেবী অঙ্ট ভূজা, মহিষমদ্দিনী মুন্তি। কটিদেশ হইতে পদতল পধ্যন্ত ঘাঘরায় ঢাকা, সেজন্য নিনস্থ সিংহ প্রভৃতির মুর্তি দেখিতে পাওয়া যায় না। আর একটী হস্তে ব্রাহ্মণের! এখন ফুলের তোড়া দিয়া থাকেন, কোধ হয় পূর্বে এ হস্তে চক্র ছিল। দক্ষিণ হস্তে খড়গ, তীর ও ত্রিশূল; অপর হস্তে যে অস্ত্র আছে, তাহ! চিনিতে পারিলাম নাঁ। বোধ হয়, দেবী এ হস্তে বর ও অভয় দিতেছেন। পুর্বে নাকি প্রতিদিন এস্থানে একটী করিয়া নরবলি হইত, এখন তৎপরিবর্তে ছাগ ও পর্বেবাপলক্ষে মহিষ বলি হইয়া থাকে। দেবী যেরূপ ভীষণা তাহার মন্দিরও তেমনি ভীষণ ; দৃঢ় প্রস্তর নির্মিত দৃঢ়প্রাচীরবন্ধ। আমার সেই ভীষণার ভীষণমূত্তি দৃষ্টে প্রাচীন ইতিহাস মনে পড়িয়া গেল। একদিন যে বঙ্গদেশ বাসী বীরেন্দ্র কেদার বীরত্বে ও শৌধ্যে মোগলসম্রাটকে ব্যতিব্যস্ত করিয়! তুলিয়াছিল-_তাহারি প্রতিষ্ঠিত সেই রণরজ্িণী দেবী আজ স্থদূর রাজপুতানার নিভৃত প্রদেশে অবন্থিত। | আমরা অন্বর হইতে ঘখন জয়পুরের দিকে রওয়ানা হইলাম তখন বেল! প্রায় শেষ হইয়াছে__চারিদিকে সন্ধ্যার স্তন্ধতা ও নীরবতা অবতীর্ণ হইবার চেষ্টা করিতেছে । সেই নিজ্ভন গিরিপথে-_প্রাচীনের ধবংসাব- শেষের মধ্য দিয়া গাড়ী চলিতে লাগিল,__ আমার মন আর সে সমুদয় বাহিক দৃশ্যের প্রতি নিয়োজিত ছিল না-_আমি ভাবিতেছিলাম__অতীতের সেই সমৃদ্ধি-_অতীতের সেই গৌরবকাহিনী__সেই বীরত্ব-_-সেই মহন্ব-_. আজ তাহা! কোথায়? যেদিন যায় সেদিন আর আসে ন! কেন? বদি ১৯৫ ভারত-জ্রমণ । আর. নাই আসিবে তবে তাহা যায় কেন? এই কি সেই দেশ একদিন যাহা-_ | “জগতের চক্ষু ছিল, . কত রশ্মি ছড়াইল, সে দেশে নিবিড় আজ আধার রজনী-_ ূর্ণগ্রীসে প্রভাকর নিস্তেজ যেমনি ! বুদ্ধি বীর্য বাহুবলে, স্বধন্য জগতী-তলে, ছিল যারা আজি তারা অসার তেমনি । আজি এ ভারতে কেন হাহাকার ধ্বনি ! একবার, বুঝি এই. শেষবার--যখন পশ্চা্দিকে অম্বর ছুর্গের দিকে তাকাইলাম-__তখন উহা অস্তগামী তপনের স্তিমিত-রশ্মিতে মিলাইয়া বাইতেছিল। | ১৯৬ আগ্রা? আখ ভারতের আর একটা গৌরব স্থল। একনি উহার পা | সৌন্দ্যয্যও যে সর্বত্র শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করিয়াছিল, এখনও তাহার চিহ্ন-সমূহ বিষ্কমান। জগদীশ্বরের কৃপায় আমরা আগ্রা বহুবার দেখিয়াছি; কিন্তু তথাপি. .ফখনি পশ্চিম ভ্রমণে বাহির হইয়াছি তখনি এস্থান দর্শন না করিয়া ফিরিতে. পারি নাই। এবারেও আগ্রা দেখিতে চলিলাম। দ্বিপ্রহরের অব্যবহিত পরে আমরা টুগুলা ফেঁসনে পচুছিলাম, ইহা একটা খুব বড় ফেস, এখানে মিঠাই, চানাচুর, দুধ, রাবড়ী ইত্যাদি বন্থ খান্ঠ- দ্রব্যাদি পাওয়া যায়। টুগুলায় গাড়ী পরিবর্তন করিয়া এক শাখা লাইনে আগ্রার অভিমুখে রওয়ানা হইলাম। আগ্রা টুগুলা হইতে প্রায় ১৩ মাইল দূরে অবস্থিত। আগ্রা ফ্টেসনে গাড়ী পুছিবার পূর্ব হইতেই স্থবিখ্যাত তাজমহলের শ্বেত গম্বুজ নীলাকাশে আপনার উন্নত শোভা একখানি স্বপ্নের ছবির ন্যায় দর্শকের নয়ন সমক্ষে ফুটাইয়া তুলে-। সে অনিবিদনীয় িল্প-সৌন্দর্্য ধিনি দর্শন না করিয়াছেন, তাহাকে বুঝাইতে যাওয়া অসম্ভব । ক্রমে আমরা যমুনার সেতু অতিক্রম করিয়া ফেঁসনে আসিয়া পুছিলাম। ফ্েেসনের অনতিদুরেই আগ্রী-ছুর্গের লোহিত-প্রস্তর-নির্িত বিশাল প্রাচীর ৃহ্িপথে পতিত হইল। উহার অপর দ্রিকে নয়ন-মুদ্ধকর জুম্মা মস্জিদ, অবস্থিত। আগ্রা ফেসলটি খুব স্থুন্দর ও জাঁকজমক সম্পন্ন, ইহা একটী, রেলওয়ে সংযোগম্থল।. এখান . হইতে দিল্লী, লাহোর, পেশোয়ার, ক্লয়পুর, যোধপুর, বোম্বাই প্রভৃতি ভারতবর্ষের প্রধান প্রধান স্থানে যাওয়া, ধাইতে পারে। ইগ্ডিয়া মিডল্যা্ড (]. 2. 1২) ). রেলে ঢোলপুর,. গোয়ালিয়র, ঝান্দী এবং ভূপাল হইয়া রাজপুতানা, বোম্বাই ও মান্দা. বইতে পারা বায়। ফ্টেসনের একদিকে ঢ. ণা. ছি. ও 0. ), ৮. ও. হার অন্ত দিকে 1২. 11. এর গাড়ী অপেক্ষা করিয়া থাকে। .. গাড়ী হইতে অবতরণ করিলেই অসংখ্য সরাইওয়ালা আসিয়া নবাগত 1ধিককে স্ব স্ব সরাইয়ের গুণবর্ণনা করিয়া তথায় লইয়া রাস: গাহবান করিতে থাকে । . আজাদের আগ্রা নগরের উজ খ্যাতনামা টি বিধোন রকি কেনো মিহি, শ্রামলাল নামক এক ব্যক্তি একখানা দ্বিভল বাড়ী ভাড়া করিয়া তাছাতেই অবস্থান -করিতে লাগিলাম। আগ্রার দর্শনীয় প্রাচীন হস্স্যরার্জির বর্ণনার পূর্বের, আমরা এন্থানে সংক্ষেপে উহার প্রাচীন ইতিহাস বিবৃত করিলাম; আশা করি, তাহা অন্গুসন্ধিতস্থ পাঠক-পাঠিকার অতৃপ্তির কারণ হুইবে না। আগ্রা নগর আগ্রা জেলার অন্তর্গত। ইহা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটী বিভাগ বিশেষ । এই জেলার পরিমাণ ১৮৫০ বর্গ মাইল। আগ্রা অগ্রবন শব্দের অপত্রংশ ৷ ইহার উত্তরে মথুরা ও ইটা; পূর্বেষে ইমনপুরী এবং দীন ইতিহাস। এটোয়া ; দক্ষিণদিকে টোলপুর এবং গোয়ালিয়র, পশ্চিমে ভরতপুর। আগ্রা সমুদ্রগর্ভ হইতে ৬৫০ ফিট উদ্ধে অবস্থিত, কলিকাতা হইতে .ইহার দুরত্ব ৮৪১ মাইল। এই বাণিজ্য-প্রধান নগর নীল-সলিলা বমুন! নদীর দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। বহুদিন পর্যন্ত আগ্রা, মুদলমানদের রাজধানী রূপে বিখ্যাত ছিল। মোগল-বাদ্‌শাহ্‌ সন্ত্রাই আকবরের পূর্ন এখানে লোদীবংশীয় পাঠান সমাট্গণ অবস্থান করিতেন। সেকন্দর লোদীর রাজত্ব কালেই সর্বপ্রথমে আগ্রা রাজধানী রূপে পরিগণিত হয়, তখন গরাংশ যমুনার বামকৃলে অবস্থিত ছিল, এই নিমিত্ত বামকুলে এখনও টান হন্দ্য ও স্থপ্রসিদ্ধ ব্যক্তিবর্গের সমাধি দৃষ্ট হয়। মোগল সাঞআজীজ্য সংস্থাপক মহাত্বা বাবর আগ্রায় রাজতব.করেন, কিন্ত তৎপুত্র হুমায়ুন কর্তৃক ইহা পরিত্যক্ত ও রাজধানী দিল্লীতে নাস্তরিত. পরে হুমায়ুন-ননদন জগিখ্যাত আকবর ১৫৬৬ অব্ে পুনরায় রাজধানী দিল্লী হইতে আগ্রায় লয় আলেন। সস্রাটু আকবর জাগ্রা নাম বং রিয়া ইনার নাম আকবরাবাদ রাখেন, তাহার সময়েই ইছার সমৃদ্ধি ও. প্রতিপত্তি দির সর্ষেধাচ্চ শেখরে আরোছণ করিয়াছিল। ক এরি নগরে কেনা ও অনেকগুলি মনোহর অদ্রীলিকা নিষ্াশ এ সি হপ্সি্ধ লোহিত-্রস্তর- ১৯৮ নির্শিত ড্রপ আকবরই নির্মাণ করেন। ১৫৭৮, অক. ্স ৰ রা কে ২৯. াইল-দুরবর্তী কতেপুর-সিক্ষী নামক স্থানে রাজ; নী পরিবর্তানোদেশে তথায় "বনু স্থন্দর স্ন্দর আৌধাবলী, নির্িত হইয়াছিল, কিন্তু পাঁনশোরে তাহা কাধ্যে পরিণত. হয় নাই। পূর্ব্ষে আগ্রা নগরী প্রা্ধীরবন্ধ -ছিল__ এখন তাহা নাই। মহাত্মা আকবরের সময়ে আগ্রা, নানা সবন্দর, সুন্দর উদ্যান ও অট্রালিকায় ষেমন স্থশোভিত ছিল তব্রুণ ইহান্ধু জলবায়ুও অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর বলিয়া খ্যাত ছিল। আমরা পাঠকগণের .কৌতৃহল নিবারণার্থ আরুবরের সমকালীন একজনপ্রধান গ্রস্থকারের কথা এস্থলে উদ্ধৃত করিয়া দিলাম । আইন-ই-আকবরী নামক গ্রন্থে. তৎকালীন আগ্র। নগরীর এইরূপ বিবরণ আছে ;-_-“আগরা বৃহণ্ড সহর। এখানকার জলবায়ু স্বাস্থ্যকর বলিয়! বিখ্যাত । আগরায় যমুনা নদীর উভয় তীক্ষ, দৃশ্য অট্টালিকা ও উদ্যানে শোভিত। সকল দেশের লোকই এখানে বাস করিয়া থাকে । বাদশাহ এখানে রক্তপ্রস্তর দ্বারা একটা ছুর্প নিশ্্াণ করাইয়াছেন, এমন স্থন্দর দুর্গ আর কোথাও দেখিতে পাওয়া যায় না। দুর্গের মধ্যে পাঁচশত প্রস্তর নিশ্মিত গৃহ আছে, সেই সকল গুহ মনোহর কারুকাধ্যে শৌভিত । *% *% % পূর্বেব আগ্রা একটা গ্রাম ছিল, বাদশাহ্‌ তথায় তাহার এই সমৃদ্ধ নগরী স্থাপিত করিয়াছেন | কক % % আগ্রা মহা সমৃদ্ধি- শালী রাজধানী । বড় বড় আমীর-ওমরাহগণের প্রাসাদতুল্য অট্রালিকায় সমুদয় রাজধানী স্সজ্জিত। এখানে নানা শ্রেণীর শিল্পকর সর্বদাই বাল করে; সুতরাং এখানে অনেক উৎকৃষ্ট দ্রব্য প্রস্তুত - হইয়া থাকে 1৮ সম্রাট আকবরের পরে জাহাগীর ও শাহ্জাহার রাজত্বকালে. আগ্রার বিশেষ শ্রীবৃদ্ধি হয়। আগ্রার ছূর্গ মধ্য্থিত 4“জাহীগীর-মহাল” নামক . যে অংশ দেখিতে পাওয়া যায় উহা! সম্রাট জাহাগীরের নিশ্মিত। ষে স্থাপত্য. শিল্প-গৌরনের নিমিত্ত আগ্রা পৃথিবীর সর্বত্র স্থপরিচিত. দেই মহিমান্বিত তাঁজমহাল' সম্রাট শাহ্জাহী নির্মাণ করেন; হার সময়েই আপ্রার শিল্প * স্থাপত্যের চরম উন্নতি হয়। ১৬৫৮ স্রীষ্টাব্দে শাহজাহা, পুঁজ আরজে কর্তৃক রাজ্যচ্যুত- হন এবং আগ্রারই- ওঠ কারার হান, ভৰি হজ অব স্থায় সাত বখসর জীবিত ছিলেন। আরা, ক্রু জব্দ রাজধানী অ ভারত-ভ্রমণ, ূ হইতে দিলীতে থানার করিরা তথায় বাস করিতে, থাকেন, এ সঃ এজময় হইতেই আগ্রা ন নগরের পতন আরম্ত হয়। ১৭৮৪ খুঃ অন্দে ছা সয় হস্তগত হয় “ও: পরিশেষে ১৮০৩ সালে, লর্ড লেক, ইহা ব্রিটিশ সাজার অন্তরভূ্ত করিয়া লয়েন। রবি ইহা ইংরেজরাজের অধীনেই আছে। বর্তমান সময়ে পেশোয়ার যেমন ইংরেজ রাজ্যের সীমান্ত “বলিয়া পরিচিত, উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমে তেমনি আগ্রাই ইংরেজ রাজ্যের সীমান্ত বলিয়া নি্দিট ছিল। যখন আগ্রা উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের ইংরেজ রাজধানী ছিল, তখনও ইহার পূর্ব সমৃদ্ধি কিয় পরিমাণে বিদ্যমান ছিল কিন্তু ১৮৫৩ খুষ্টাব্দে রাজধানী আগ্রা হইতে উঠিয়া এলাহাবাদে আসার পর হইতে চঞ্চল! রাজ-গ্রী আগ্রা নগরীকে একেবারে পরিত্যাগ করিয়াছে । সেই সম্বদ্ধি__সেই প্রাচীন গৌরববৈতব এখন আর আগ্রায় কিছুই নাই। হায়। একদিন যেখানে আকবর, জাহাগীর, শাহ্জাহা প্রভৃতি মোগল লম্রাট্গণের বিজয়-বৈজয়ন্তী গৌরবে উ্ভডীন থাকিত, এখন সেই আগ্রায় ভাহাদের প্রাচীন কীত্তিরাশির চিহ্ৃ- ব্যতীত আর কিছুই নাই। কালের অমিত তেঞ্জপ্রভাবে মোগল রাজ- শক্তি চিরমন্তহিত হইয়াছে । আগ্রায় আসিয়া কত কি ভাবিলাম। অতীতের জনকোলাহল-মুখরিত উজ্ব্বল আলোকমালাবিচ্ছুরিত আমোদ- উচ্ছাস-পরিপ্লাত মহিমমগ্ডিতা প্রাচীন আগ্রা ও বর্তমান হত শী আগ্রায় কত প্রতেদ। জগতের প্রত্যেক পদার্থ ই প্রতি মুহূর্তে অজ্ঞান মানবকে “ষমুনা-লহরীর' মতই উপদেশ দিতেছে.“কাল প্রাবল চির দিন ও” বর্তমান সময়েও আগ্রা একটা বাণিজ্য প্রধান সুর এস্থান হইতে ভারতের নানাদিকে ব্‌ রেলওয়ে লাইন ধাওয়ায় নান৷ স্থানের পণ্য দ্রব্যাদি বিশ্লুয়ার্থ এস্থানে আনীত হইয়া থাকে । আগ্রার পণ্যজাত দ্রব্যের মধ্যে জরির ফিতা, সতরঞ্চি, নানাবিধ প্রস্তর নি্দিত দ্রব্য বিশেষ বিখ্যাত ও সথন্দর। রোহিলখণ্ডের চিনি সর্দব প্রথমে এখানে আনীত হইয়া পরে অন্যান্য প্রদেশে প্রেরিত হয়। | আতর! নগরী প্রাচীন ইনার হচ্ছ সৌবাবলীতে পূর্ণ । ; তন্মধ্যে নিম্নলিখিত সৌধগুলি প্রত্যেক ভ্রমগকারীরই দর্শন করিয়া: আসা কর্তর্য। & প্রা ? ? 1! কুস্তলীন ক্রিস, কলি কাত 1 ভাজ মহল-_- আনা । আঞ্জা। (১) বিশ্ববিখ্যাত তাজম্হল (২) দুর্গ (৩) দেওয়ানী-খাস (8) দেওয়ানী- আম (৫) জেনানা (৬) মতি মস্জিদ (৭) নগ্রদা মস্জিদ (৮) শিশ মহল (৯) সেকেন্দ্রা (১০) এতিমাহম-উদ্দৌলার কবর (১১) আরাম বাগ, ইত্যাদি । আমরা আহারাদির পর বিশ্রামান্তে একখানা শকটারোহণে নগর দেখিতে বাহির হইলাম। রাস্তা, ঘাট, স্প্রশস্ত, উভয় পারে স্থুসজ্ডিত বিস্বণি- শ্রেণী। এরটা রাস্তা প্রস্তর দিয়া বাধান, উহার উপর দিয়া গাড়ী, ঘোড়া ইত্যাদি সমুদ্বয়ই যাতায়াত করিয়া থাকে । আগ্রা আসিয়া সাধারণতঃ সকলের মনেই সর্বাগ্রে বিশ্ববিখ্যাত তাজমহল দর্শন করিবার বাসনা বলবতী হইয়া! থাকে, আমাদেরও তাহাই হইয়াছিল। কতক্ষণে সেই ;সোন্দর্য্য- ময়ী সৌধ-স্থন্দরীকে দেখিব কেবল তাহাই ভাবিতেছিলাম,_-গাড়ী ভ্রন্ত চলিতেছে, কিন্তু মনে হইতেছিল ঘে আরও দ্রুত চলিলে ভাল হয়। হৃদয়ের সে ব্যগ্রতা, সে ওৎস্থক্য ভাষায় প্রকাশ হওয়া অসম্ভব। কল্পনায় এতদিন ষে অনবদ্ভ সৌন্দর্য্যের ধ্যান করিয়াছি,__প্রেমের অপুর্্-গ্রীতির অনির্ববচনীয় নিদর্শনের স্মৃতি যে চিত্র ফলকে অস্কিত করিয়াছি, আজ তাহা নয়ন-সমক্ষে দেখিতে পাইব, ইহা অপেক্ষা আর আনন্দের বিষয় কি হইতে পারে ? বুঝি তীর্থ যাত্রী স্্রীলোকেরাও তীর্থে পঁহুছিয়। দেব-দর্শনের জন্য এত উৎসুক হয় না। কুহকিনী কল্পনা-বলে মানস-মধ্যে যে অনিন্দ্য শিল্প-চাতুর্য্ের মহিমাময় গৌরবছবি দেখিব বলিয়া প্রত্যাশা করিয়াছিলাম__যে মুহূর্তে আমাদের অশ্ব-শকট আসিয়া তাজের বহিদ্বারে দীড়াইল সেই ুহর্তে পূর্বের কল্পনার ছবি-_অতি ক্ষুদ্র - অতি দৃষণীয় বলিয়া অনুস্ভূত হইল! মানস-স্ট তাজের ছবি লজ্ভায় হৃদয় হইতে অন্তহিত হইয়া গল - অনেক সময়ে মানব-কল্পনার এমনি ছূর্দদশা ঘটিয়া থাকে ! তাজের বিশ. ঘবারটি দক্ষিণ দিকে অবস্থিত । যহিদ্বণরের উপরে হিন্দুস্থানের, অভ্যর্থনা, সূচক “রাম. রাম” এই হিন্দী ঝাক্য দুইটা লিখিত রহিদ্কাছে। কহিয্ণর অতিক্রম করিয়া ক্রমে আমর! . প্রধান সিংহদ্বারে উপস্থিত হইলাম । বাহির হইতে এই সিংহস্বারের সৌন্দর্য, বড়ই চিত্তাকর্ষক। ইহা লোহিত প্রস্তরে নির্ষ্িত, স্ন্দর ও. পরিচ্ছন্ন । .দ্বারের গান্রদেশ নানাবিধ র্ণের প্রস্তরের মিআপে অতি স্থন্দর: কারুকার্য্যে-মন্ডিত। হাকে. ও ইট হিরা ভারত-ভমণ। বলিধা স্বতন্ত্র একটা হপ্দ্য বলিলেই ঠিক্‌ হয়,-_সাধারণ প্রবেশ ভ্বারের সহিত ইহার কোনও তুলন! হয় না। প্রবেশপথের এই সৌধের উপর হইতে তাজ বড়ই সুন্দর দেখায়! এই দ্বারের সম্মুখেও একটা প্রস্তরে লিখিত আছে যে “হে পথিক! যদি তুমি তাঁজ দেখিতে ইচ্ছা কর, তবে এই সিংহত্বারের উপর হইন্যে একবার ইস্থা দর্শন কর।” আমর! নির্মাতার এ অনুরোধ রক্ষা করিলাম । ত্রিত-পদে সিঃহুদ্বারের উপরে উঠিয়া যাহা! দেখি- লাম, সেই ভুবন-মন-মোহন সৌন্দর্য্যের অভিব্যক্তি ভাষায় হওয়া! অসম্ভব ! শিক্প-সৌন্দধ্যের এক মহান্‌ দৃশ্য এতদিনে নয়ন-সমক্ষে উম্মুক্ত হইল । শিল্পের কি রমণীয় সৃষ্টি! কি পরিষ্কার, কি পরিচ্ছন্ন! স্বরুচির এমন চরমোতুকর্ষ- এমন আঁচর্যয কল্পনার জীবন্ত ছবি দর্শনে হৃদয়ে যে আনন্দ ও প্রীতির উদয় হইয়াছিল, ভাষায় এমন শব্দ নাই যে তাহা প্রকাশ করিতে পারি। এই সিংহত্বারের উপরিভাগ হইতে তাজের তুল্য সৌন্দর্য্য এককালে দৃষ্টিগোচর হয়,_ইহা'র সন্মুখস্থ উদ্ভানের শোভা, চারি পার্স্থ চত্বরের শোভা, পারস্য ছুই সিংহদ্বারের শোভা চারি কোণের চারি স্তস্তের শোভা! ও অদুরপ্হ ষমুনার নীল-লহরী-লীলার শোভ| এককালে হৃদয় ও মন মুগ্ধ করিয়া ফেলে । ভ্রামরা কিয়তুকাল সিংহদ্বারের ছাদের উপরিভাগে দাড়াইয়। দিগন্ত- : ব্যাপী প্রকৃতি-স্ুন্দরীর সৌন্দ্ধ্য-তরজের ষেন একট! প্রগাঢ়-কম্পন হৃদয়ে অনুভব করিলাম,_ধীরে অতি-বীরে বমুনার শীতল-শীকর-সিক্ত সমীরণ আসিয়া আমাদের শ্রম-ক্লান্ত তণ্ত ললাটে জননীর স্েহ-চুগ্বনের ম্যায় শাস্তি _দিতেছিল। একদিকে তাজের অনবদ্ভ গৌরবময় লৌন্দর্যয, অপর দিকে প্রান্তর ও সৌধকিরিটিণী মোগল-গৌরব-বৈভবের পরিত্যক্ত-স্থৃতি আগ্রা নগরী ডিপ পা পড়ি হইয়া, মনে যুগপৎ শান্ত ও গন্তীর ভাবের উন্মেষ হ চে হার পার্ধন্থ একটা কক্ষ-মধ্যে প্রবেশ করিলাঁষ, & গৃহে | জীশৈর নানা প্রাচীন, দ্রব্যাদি সংগৃহীত আছে, তন্মধ্যে বৌদ্ধ এবং জৈন কীর্তিই ধিক, এতত্যতীত যমুনাগর্ে প্রা একটা সুন্দর কৃষি দেখিলাম ।. শট প্রস্তর র মধ্যে রাজী ফোঁধবা ২০২ য়ে রা ০ লক্ষ টাকার হারের পশ্চিমে অবশ্থিত। পশ্চিমদিকেরটি মস্জিদের অনুকৃতি মাত্র । সিংহত্বার অতিক্রম করিলেই একটী প্রস্তর নিশ্রিত পথ, এই পথের সম্মুখেই ভূবনমোহিনী তাজ-স্থন্দরী আপনার সৌন্দর্য্য-বিপণি খুলিয়া দণ্ডায়মান । পথের দুইধারে ঝাউ গাছের সারি, _ মৃছ্ু-পবনে ঝাউগাছের সৌঁ সে শব্ষের মধ্য হইতে নৈরাশ্ঠের একট! করুণ দীর্ঘশ্বাস প্রবণে প্রবেশ করিতেছিল। সিংহদ্বারের চত্বর হইতে অবতরণ করিলেই সম্মুখে মনোহর উদ্ভান, উহার মধ্যস্থলে একটা প্রস্তর বাধান কৃত্রিম বিল। তন্মধ্যে স্থুবর্ণ-বর্ণের মহষ্ত- দিগকে ক্রীড়া-পরায়ণ দেখিলাম ; একবার তাহারা বাহিরে আসিতেছে পুনরায় শৈবাল মধ্যে লুকাইয়া যাইতেছে! ঝিলের উভয় পার্থে মনোহর ফুলের গাছ ও গাছের স্থৃদর্শন কেয়ারী | তরুরাজির শীতল ছায়া, যমুনা সলিল-শীকর-শীতল বিবিধ-কুস্থম-সৌরত ন্থুরভিত সমীর-উচ্ছাস আর সন্মুখস্থ মানবশিল্লের অপূর্বব ও চূড়ান্ত নিদর্শন তাজের মৌন-সৌন্দর্য্য এক- কালে দর্শককে বিশ্ময়-মুগ্ধ করিয়া ফেলে। তাজ একটা প্রশস্ত প্রস্তর নিন্মিত উচ্চ বৃহৎ বেদীর উপরে নিম্মিত। যদিও কোন সরকারী হুকুম নাই, তথাপি তাজের বহিশ্চত্বরে উপবিষ্ট জনৈক মুসলমান আমাদিগকে পাছুক। পরিত্যাগ করিয়া. তাজের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিতে অনুরোধ করিল। আমরাও বিনা আপত্তিতে তাহা মানিয়া লইলাম। পাধিব- প্রণয়ের অপুর্ব নিদর্শন__শিল্পের চরমোতকর্ষ_-তাজের প্রস্তর-গাত্রে ও পরিত্যাগ করিয়া ইহার অভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়াছিলাম। নশ্বর জগতে প্রেমের অবিনশ্বর কীত্তি রাখিবার যত্ব --এক তাজ ব্যতীত জগতের অন্থাত্র আর নাই। যে বেদীর উপরে তাজ নির্ষ্িত, উহা ৮ ফুট উচ্চ ও লোহিত প্রস্তরে গঠিত, দৈর্যে প্রায় ৯৫০ ফুট এবং প্রস্থ প্রায় ৩৩০ ফুট । এই বেদীর উপরে আরেকটি বেদী আছে, উহা মর্্মর প্রস্তর নির্িত। উহার আয়তন দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থ ৩১৩ ফুট এবং উচ্চতা ১৮ ফুট হইবে । এই বেদীর উপরেই তাজ নিশ্রিত। এবং ইহারই চারি কোণে চারিটা মর্্রর নির্িত মিনার বা উচ্চ শোভা-স্তস্ত আছে। এই মিনার বা শোভা-্তস্ত চারিটী ত্রিতল, ব্রিতলের উপরে প্রত্যেক স্তত্তের উপর এক একট গম্বুজ । এই ৮8. িকানিনি সক ৬ 4; 18 মী ঁ (2 1 ছাদের উচ্চত| দেওয়া গেল। | -. প্রথম তলের উচ্চতা--৩+ ফিট দ্বিতীয় ১ ১ 7৩৫ ৯ তৃতীয় 5 * ৩১ 2 যে লোহিত প্রস্তরের বেদীর উপরে তাজ সংস্থাপিত উহ্থার উপর হইতে মিনার ব৷ স্তম্ভের উচ্চতা ১৩৩ ফিট ; আর ভূমিতল হইতে মিনারের চূড়ার অগ্রভাগ ১৬২ ফিট উচ্চ। স্তস্তগুলির প্রত্যেক তলেই এক একটা অপ্রশস্ত বারাণ্ডা। চতুদ্দিকে বেষ্টন করিয়া আছে। মিনারের বহিরাৰরণ মণ্মর প্রস্তর নিন্ধিত, কিন্তু উহাদের সিঁড়িগুলি লোহিত প্রস্তরে প্রস্তত। আমর! তাজের মধ্যে প্রবেশ করিয়া সর্ববপ্রথমে যে প্রকোন্ঠে প্রবেশ করিলাম, সেখান হইতে একটা মন্্নর প্রস্তরের সিড়ি দিয়! নামিয়া বরাবর একটা ক্রমনিন্ন পথ ধরিয়া সম্রাট শাহজাহা ও তথপ্রিয়তমা মহিষী মমতাজ- ই-মহালের সমাধি প্রকোন্টে উপনীত হইলাম । এই ঘরটি একটু অন্ধকার । এ প্রকোন্টে কোনও বিশেষ শিল্প-চাতুর্ধ্য নাই ! কিন্তু প্রেমের যে অ্ভুল্য দেবমুত্তি-ন্বল্প এখানে সমাহিত অছেন, ঠাহাদের প্রেমের নির্মল স্থরভিতেই ইহা স্থুরভিত ও অনাবিল শুচিতাও সন্তাবে পরিপূর্ণ । পূর্ন এই প্রকোন্তে খরীষ্টিয়ান ধশ্মাবলম্থীদ্দিগকে প্রবেশ করিতে দেওয়া হইত ন1।% তখন বগুসরের মধ্যে এক দিনমাত্র মহাসমারোহে ইহা! খোল। হইত। এখন আর সে দিন নাই। এখন কি ইউরোপীয়, কি এদেশীয় খুষ্টানগণ পাদুকাসহ গর্বিিত-পদ- চালনায় এই সমাধি-প্রকোষ্ঠ প্রতিধবনিত করিতে বিন্দুমান্রও কুন বোধ করেন না। খুষ্টান-ব্যতীত অন্য সকল ধশ্মাবলম্বীই এখানকার রক্ষকের বিনীত অনুরোধ পালন-করাকে অপমানজনরু মনে করেন ন1। আমাদের মনে হয়, খুষ্টানদিগের এইরূপ ওদ্ধত্য সহকারে সমাধিমন্দিরের ক +++ 2016015 0102000291 10057 হি 17101) [ রি 70০ 9851) 1৮710) 10796 0178 005860 006 0708 ৪. 952) নাঃ 090 ৮10) £15৪% 02161301% 1001 58161178 8105 01011511927 10 61716100166 (95 0169 38 ). ০1 [01016115178 019 82700109065 11505. | | :182৮52675 022615 1 277048647) 2282 280) ২০৪. সি । 1$3৮/5]৩৮ “1250 ১৮০৪১ ১১1০3১৩451১ ॥ 114১৫15514১ শপ ৮178 ধজ্কঞ ৮৭৯ কা ২৮ সি উদ ২ রাহ কর এল পৃ ৭ টি চে 14* সা ক -. ১৯৬ক খা কম্পানি প এ ৮ +118851 ৮ ৮ নি] চাটি) [এ (১. জর গা এ, ০০ 1) 4 / াঃ টিনের রা শাহ্জই) ও. মনতাখ-ই- হারের লি এই কৃত্রিম কবর - প্রস্তরময় সুন্দর পর্দা দিয়া ঘেরা। এই কক্ষের চতু্দিক বেষ্টন করিয়া একটা পার্্বগৃহ আছে, এই গৃহের. কারুকাধ্য দর্শনে হৃদয়ে যে আশ্চর্ধয-ভাবের উদয় হইয়াছিল, তাহা বর্ণনাভীত এ গৃহের প্রতি কার্য্যই সুক্ষ শিল্প-নৈপুণ্যের পরিচায়ক । শত প্রীস্তয় খুদিয়া এমন সুন্দর স্থন্দর প্রস্তরের ফুল ইহাতে অস্থিত হইয়াছে যে তাহা কৃত্রিম বলিয়া বোধ হয় না--প্রতি পাপ্ড়ির নিম্মাণে স্বভাবের পূর্ণ সৌন্দর্য অভিব্যক্ত ! প্রাচীরের ধারে নানা বিভিন্ন বর্ণের সুন্দর ছোট প্রস্তরের সারি অতি নিপুণতার সহিত স্ুসজ্জিত-__যে যে স্থান হইতে সে সকল প্রস্তর. অপহৃত হইয়া গিয়াছে, সে সকল স্থান অন্য প্রস্তর দ্বার! পুরণ করা হইয়াছে কিন্তু তাহাতে পূুর্নন সৌন্দফ্যের হানি হওয়ায় শিল্প- জ্ঞান-হীন সাধারণ দর্শকের নিকটেও অতি বিষদৃশ বলিয়। প্রতীয়মান হয়। পার্্ব-গৃহের সুশ্ষম সূষ্ষন শিল্প-নৈপুণ্য দর্শনান্তে আমর! মধ্যস্থ কবরের নিকট আসিলাম-_-এই কবর যে কি স্থন্দর,_কি সুন্দর প্রস্তর-কুস্থমে স্সভ্জিত, তাহা ভাষার সাহায্যে ব্যক্ত করিবার প্রয়াস হাস্যজনক | নানাদেশ-দেশাস্তর হইতে আনীত নান! বর্ণের প্রস্তরের মিশ্রণকাধ্য বা মোজেয়িক শিল্পে এই সকল ফুল, লতা, পাতা অস্কিত। কবর ব্যতীত অনেক স্থলেই এই শ্রেণীর কারুকাধ্য বর্তমান। সমাধি-গুহের সম্মুখের দ্বার ভিন্ন তাজের অন্যান্য সমস্ত দ্বারই মন্ত্র প্রস্তরের জাফ্রি বা জাল্তি ছারা আবন্ধ। অন্য সমস্ত কবাট ও চৌকাঠ চন্দন কান্টে নিশ্মিত। কবরের পার্থে ঈাড়াইয়া সেই স্থন্দরী অঞ্ভমন্দ বানু বেগমের কথা মনে ভাবিলাম। ধন্য তুমি! না জানি রূপসী, তুমি কতই সুন্দরী ছিলে যে-বাদশাহ্‌ তোমার সমাধির উপর সে সৌন্দধ্যের সম্মান রক্ষার্থ এই অনিধবচনীয়া সৌন্দর্য্যময় সমাধি- মন্দির িশ্াণ করিয়া দিয়াছেন ! ঃ তাজমহলের উৎপত্তির 5 কথিত আহে: একদিন মমতাজ বেগম ভারতেশ্বর শাহ্জাহার সহিত শতরঞ্চ জ্রীড়। করিতে করিতে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, “জীহাপনা, যদি আমি আপনার পূর্বে কু ভারত-ভ্রমণ | পরলোকগমন করি, তাহা হইলে, “আপনি আমার কিরূপ জমাধি-মন্দির নির্মাণ করিবেন ?” অ্রাট্‌ সাআীজ্ঞীর এই বাক্যে ব্যথিত চিত্বে কহিলেন, “প্রিয়তমে, সত্য সত্যই যদি বিধাতা তোমাকে আমার হদক্প হইতে কাড়িয়া! লয়েন, তাহ হইলে, আমি তোমার সমাধির উপর এমন এক সৌধ নিশ্মাগ করিব, যাহাতে তোমার ও আমার প্রেমের স্মৃতি চিরদিন জগতের বুকে অমর হইয়া! থাকিবে ।” বিধাতার আশ্চর্য বিধানে সাম্রারী অঞ্ঞমন্দ বানু বেগম ১৬৩১ খ্রীঃ অন্দে একটী কন্যা প্রসব করিয়াই ছুই ঘণ্টা পরে চিরদিনের জন্য নশ্বর পৃথিবী হইতে বিদায় গ্রছণ করেন। কথিত আছে য়ে মমতাজ গর্ভ মধ্যেই গর্ভস্থ শিশুর ক্রন্দন-ধ্বনি শ্রবণ করিয়া- ছিলেন। মমতা মৃত্যু সময়েও তাহার স্বামীকে পূর্বব-প্রতিশ্রুতি স্মরণ করাইয়! দিতে বিস্মৃত হন নাই। শাহ্জাহা মম্তাজকে প্রাণাপেক্ষাও অধিক ভাল বাসিতেন,_তিনি মহিষীর মৃত্যুতে একেবারে উন্মত্ত প্রায় হইয়া উঠিয়াছিলেন।. শাহ্জাহা স্থীয় প্রতিজ্ঞা-রক্ষণে বিন্দুমাত্রও পশ্চাুপদ হইলেন না । মমতাজের. মৃত্যুর কিছুকাল পরেই তিনি এই জগন্থিষ্যাত তাজমহল নিশ্াণ করাইতে আরম্ভ করেন । মমতাজের মৃত্যুর পরে, শাহ্জাহা প্রায় ৩৫ পঁয়ত্রিশ বুসর কাল জীবিত ছিলেন ।- তাহার চরিত্রের বিশেষ বিশেষত্ব এই যে, মমতাজের ম্বত্যুর পর তিনি আয় দার-পরিগ্রহ করেন নাই । ১৬৩) খ্রীষ্টাব্দে তাজের নিশ্াণ কার্ধ্য আরম্ত হইয়া, স্বাবিংশতি বৎসর ধরিয়া বিংশতি সহস্র শিল্পী ও মিন্্রীর সাহায্যে শেষ হয়। ইহার নির্মাণ কার্য .আনুমানিক ৪,১১,৪৮,৪২৬ টাকা ব্যয় হইয়াছিল। তাজ নিল্মাণের সময় তন্যান্য রাজা-মহারাজারাও নানাবিধ বহুমুল্য উপকরণ-দ্বারা শ্বেত মন্মর প্রস্তর সরবরাহ : করিয়! . বিশেষরূপে সন্ত্রাটের সহায়ত! করিয়াছিলেন.। ইহ্থার নিষ্মাশের.জস্য ওডিস্যা? পঞ্রাব, দিল্লী প্রভৃতি ভারতের নানা দেশ ও তুরক্ষ, পারশ্য প্রভৃতি ভারতের বহির্দেদ্শ হইতেও বহুবিধ উপকরণ, শিল্পী ও স্থপতি আনীত হইয়াছিল।. ইহাদের বেতন সাধারণতঃ একশত হইতে পঞ্চশভ মুক্রা। নির্দিষ্ট ছিল। 4 তাজের প্রধান ইজিনিয়ারের নাম-ইসা মম । ২৬৬ | 14:1৯ ১2). 2155 0০০৪০ | 12০)1৩421612তি ৪ 1০1 145114 পা তাজের প্রধান চির নাম_জসরনদ্‌বী। রঃ এ. রাজমিস্ত্রীর নাম-_মহুপ্মদ হানিফ। ইহারা প্রত্যেকেই মাসিক সহল্ম মুদ্রা বেতন পাইতেন। এখন পাঠক !. একবার ইহার নির্মাণের অপূর্ব আয়োজন ও উতকর্ষতার বিষয় চিন্তা করুন। তাজমহলের উপরে গৃহভিত্তিতে পারন্যভাষায় সমাহিত পতিপত্বীরও ইহার নিশ্মীণ-সম্বন্ধে যে সকল লিখিত বিবরণ আছে, আমরা এখানে সে সকলের সার-সংগ্রহ করিয়া দিলাম । অজ্ভমন্দ বানু বেগম ষীহার উপাধি ছিল “মম্তীপ্জমহাল” তিনি এই সমাধি নিম্নে তাহার প্রিয়তম পতি বাদশাহ্‌ শাহ্জার সহিত্ত চিরনিদ্রামগ্ন আছেন। ১০৪০ হিজরায় রাজ্ভীর মৃত্যু হয়। ইহারা “রিদৃউন ও খুন” নামক ছুই স্বর্গের অধিবাসী । তারকাখচিত আকাশ- সিংহাসনে উপবিষ্ট “শাহ্জাইা বাদশাহ্‌ গাঁজী” এই স্থানে সমাহিত আছেন। ১০৭৬ হিজ্রায় রজবের ষড়বিংশতি দ্রিবসে ( ১৬৬৫ না? ্‌ তাহার স্বৃত্যু হয়। ইহার পরে কারিকরগণের যে: বিবরণ প্রদত্ত হইয়াছে, তাহা হইতে জানিতে পারা যায়, প্রধান কারিগর ইসা মহম্মদ এক সহত মুদ্রা স্বাসিক বেতন পাইতেন, প্রধান চিত্রকর অসরনদ্‌ খা সিরাজ হইতে আসিয়াছিলেন। ইহারও মাসিক বেতন এক সহত্র মুদ্রা ছিল। এতদ্বযতীত তুরক্ষ, পারস্য, দিল্লী, পাঞ্জাব ও কটক হইতে বনু শিল্পী আনীত হইয়াছিল। জয়পুর ও. রাজপুতনা হইতে শ্বেত মর্্নর, ন্দা-তীর হইতে গীত মর্্দর (ইহার প্রত্যেক বর্গ গজ ৪০ টাকা), “চারকো” বা চারপাহাড়* হুইতে কফ | মন্দার (ইহার প্রত্যেক বর্গ গজ ৯০২ টাকা), চীন হইতে স্ফটিক মন্্রর ( ইহার প্রতি বর্গ গজ ৫৭০২ টাকা) আসিয়াছিল। এতত্থ্যতীত পাজাৰ হইতে সূর্্যকান্তমণি, বোগদাদ্‌ হইতে পদ্মরাগমণি, তিব্বত হইতে নীল নত. মণি, সিংহল হইতে “লেপিস্লাজ্ঞুলি” লামক বন্ুমূল্য প্রস্তর আরও দেশ | দেশাস্তর হইতে বহু মণি আনীত হইয়াছিল । ডে নথ গম্বুজ ৮০ কট উচ্চ উহার ব্যাস ৫০ ফুট। রা ভিন্কন্ধের বে স্থান ৮৮ চা সি 87272 154 ২ নত ৪ ০458 নী নি ২ “শী... এ ৮ 90 উস 2:32-৯৮৯751545 ০ তত নাজিল শি হন ত ভারত-্ভ্রমণ । হইতে গন্ধুঙ্ধ উঠিয়াছে, ভূমিতল হইতে তাহার উচ্চতা ১৩৯ ফুট । অতএব গম্বুজের শীর্ষদেশ ভভুমিতল হইতে ২১৯ ফুট । গন্দুজের উপরে আবার স্বর্ণোজ্্বল পিক্তলের চূড়া রহিয়াছে, উহার উচ্চতাও ৩০ ফুট, মোটের উপরে ভূমিত্ল হইতে তাজের চুড়ার অগ্রভাগ পর্য্যন্ত ২৪৯ ফুট উচ্চ। তাজের মধ্যস্থ এই বৃহ গম্থুজ বেষ্টন করিয়া! হন্ম্যের উপরিভাগে চারিকোণে আবার চারিটা গম্দুজ আছে। এপধ্যস্ত জগতের ভিন্ন ভিন্ন দেশ দেশান্তর হইতে কত লোক আসিয়া তাজ দর্শন করিয়া গিয়াছেন,: কিন্তু কেহই ইহার অনির্ববচনীয় সৌন্দর্য্যের প্রকৃত বর্ণনা করিতে সমর্থ হন নাই। কথিত আছে, ষে পূর্বেব তাজমহলে প্রবেশ করিবার দ্বারদেশে একযোড়া রজত নির্মিত কবাট ছিল, উহার নিম্মাণে ১১২৭,০০০ মুদ্রা ব্যয় হইয়াছিল । যখন জাঠের। আগ্র। আক্রমণ করে, তখন তাহারা এই কবাট জোড় লইয়া যায় এবং পরে উহা গলাইয়া ফেলে। * পূর্বেব তাজে যে সমস্ত বহুমূল্যবান রত্বসমূহ ছিল, এখন তাহার কিছুই নাই। সেগুলি কোথায় গেল, সে অনুসন্ধানের মর্ম্মভেদ্রী বিবরণ আমর! প্রকাশ করিব না। - কোন কোন ইউরোপীয় পণ্ডিত তাজের শ্বেত মর্দ্দর প্রস্তরের জাল্তির (1৩115 ৯910) কাধে হানি-সাকৃল (1790116)-5401016) পুম্পের খোদাই দর্শনে, ইহা ইটালীর আদর্শ মনে করেন এবং তাজের নি্াণ সম্বন্ধে অষ্টিন (20501 1) 1301152017) নামক জনৈক ফরাসীকে ইহার শোভা সম্পাদনের নেতা মনে করিয়! তাহাকেই সর্বাপেক্ষা প্রশংসার যোগ্য মনে করেন। ইহা নিতান্ত ভূল। এঁতিহাসিক কিনও এ কথা স্বীকার করেন না। তীহার মতে ইহাতে ইটালীয় শিল্পের.বা আদর্শের কোনও সৌসাদৃশ্যই বিদ্কমান নাই । তিনি বলেন ষে ইহার বহিরাকৃতির কল্পন! সম্রাট হুমায়ূনের সমাধিসৌধ হইতে গ্রহণ কর! হইয়াছে ৭” তাজমহলের সৌন্দধ্যবর্ণনা এ দীন লেখকের লেখনী দ্বাব! পরিস্ফুট হওয়া অসম্ভব । কর্ণেল সিম্যান সাহেব তাজ দর্শনান্তে তাহার পত্ীকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন “তুমি তাজ কেমন . দেখিলে ?” ০১১০১ * 7772 17510 9০০৫ ০1 4১87থ-5516 7, 29... ৃ 1 77251596795 [914 9০০1 ০9 হিলারি 0. 25, 26, ০ ৩৬ হদয়ে.যে ভাব অনুভব করিতেছি, তাহা তোমাকে বলিতে বা এ এইক্প. মহান্‌ সৌধের সমালোচনা : আমার সাধ্যাতীত ৷. মার হৃদয়ের কথা ..তোমাকে এইমাত্র বলিতে পারি যে যদি চিন টু উপরে এইরূপ একটা. অপূর্ব হন্দ্য নির্্িত ' হয়_তবে আমি কল্যই মরিতে প্রস্তুত আছি %* একজন ফরাসী শিল্পী তাজ দর্শনে বলিক্বাছিলেন: “তাজ যেন ঠিক্‌ একটা স্থুন্দরী স্্রীলোক, দূর হ'তে তাঁকে ধত ইচ্ছা নিচ্জা কর, কিন্তু কাছে এলে মুগ্ধ হইড়েসুইবেই/” কবিকুলতিলক টেনিসন তাজকে “1 92075 11010091015, মর্মমরীভূত অশ্রু” বলিয়। থিয়াছেন। তাঁজের' অভ্যন্তরের প্রৃতিধ্নি বিশ্ষে উপভোগ্য, টানিনিরা শবও গভীর নির্দেষে রর উহার মধ্যে প্রতিধবনিত হইয়া উঠে। | তাজ দর্শনাস্তে আমরা তাহার এক কোণের একটা স্তস্তের-উপর ' আরোহণ করিলাম;-_-তখন সূষ্যদেব অস্তগমনোন্ুখ হইয়াছেন, -বোহিন্ত. কিরণ-রাশি যমুনার নীল-বক্ষে প্রতিফলিত হইয়া অপূর্বব সৌনার্য্য বিকীর্ণ করিতেছে । একটা মৌন স্তব্ধতা চারিদিক বেষ্টন করিয়া সমাধি-স্থলের 'বিজনতা প্রকাশ করিতেছে, চারিদিক শান্ত-শোভায় ুন্দররূপে, উদ্ভাসিত। স্তপ্তের শিরোদেশে যে বসিবার স্থান আছে, সেখানে বসিয়৷ চার্িদিকের সৌন্দর্য্য দেখিলাম । আগ্রা ষে কত বড় সহর, তাহা এই স্থান হইতেই" বিশেষরূপে প্রতীয়মান হয়। একদিকে অট্রালিকার পর অন্রালিকা-শ্রেণী . নয়ন-পথে পতিত হইতে থাকে আর. অপর দিকে স্ুদূরস্থ মধুরানগরীর় ্ কোন কোন উচ্চ দেব-মন্দির গা-ধূমময় মন্দিরের মত বায়ুমণ্ডলের ঘনত্বের : মধ দিয়া দৃষ্টি পথে পতিত হয়। কথিত আছে যে এই স্থনি হইতে সম্রাট, আওরজজেব দূরস্থ মথুরার গোবিন্দজীর মন্দিরের শ্রিখরস্থ আলোক দেখিতে যি জসপাঁত জিরা মিলা করিবার অনুমতি বয়াছিলেন? ৃ সা, ১ পা ৮ ৯: ]:99:50-79 51166) :5/165 56090 80179 0৮০৮ 10 ৬15 9 টি 1 019 ০৩11৫78 741 ০80 71005510,9105) 442] ৮০৪ ৬7172৮1, টার তা 0150৬ 10 1০৭ 00 01101018690) ও. 0010178) ৮ রা 6611 বি খাও | ভ্ঞি. নু ৮০৪1, ৭7 শত ৮০ 3896 5001 210805795৪৮ 0১8? , রা টী ১", 77+251751701651 271 10015000751 382 95 1 ৮৯:0০ সনির 846. 70887515 [315700900000। মিরা 929. ২৭ | সি ভারতন্জমণ । চারিদিকে যখন ন্ধ্যার ধূসর ছায়া ব্যাপ্ত হইয়া পড়িয়াছিল, যখন হীরকোজ্ৰল তারকা রাজি গগনমণ্ডলে প্রকাশ পাইতেছিল, তখন জ্ামর৷ একবার যমুনার দিকে ফিরিয়া উপবেশন করিলাম। নীল যমুনা-জল সন্ধ্যার আধারে আরো ঘোরালো দেখাইতেছিল। মৃছু-দমীরে যমুনার নীলজলে ক্ষুত্র ক্ষুত্র তরজ-রাজি উঠিতেছিল পড়িতেছিল-_তাহার সেই করুণ কলনাদের ভিতর কতযুগ-যুগাম্তরের সঞ্চিত অশ্রুরাশি রহিয়াছে, তাহা নির্ণয় করা স্থুকঠিন। যমুন/ সত্য সন্াই একদিন সরহন্দরীরূপে গর্বিবিতা ছিল-_-এখন সেদিন আর নাই !__ | “আজি সব নীরব রে যমুনে সব গত যত বৈভব কালেও ।+ আমরা এস্থানে তাজ সম্বন্ধে একজন পাশ্চাত্য ভ্রমণকারীর বর্ণনা উদ্ধৃত করিবার লোভ-সংবরণ করিতে পারিলাম না, তিনি লিখিয়াছেন ;-_ 50076 28] 50510050107 0)5 02100001079 ]00)19) 12616118016 [10917 ৪. 177৮1 00 018 6250৮181001 002. 10170 01 4212. 1015 81091020160 09 81817050106 108 ০00৮ 10100610706 3201705 15605 00617010507 27016100 0815065. 1715 ঠাপ 00170 01 1৯92 1695097305 10) 81915581057, 100195601১9 ৪ 100 ৮/৪1], 810050. £9116755 81080170076 10057101788. 61705150. ৮ & 51019911) 580652) 06 32005001067 11210 ৮100 01178177875 270 10507100005 01010 072 160120) 10) 017165 2591015,- 99176 04 015 81570 09121, 100%2561%15 2, 505,019945 00901278515 ০01 ৪011 [7950101%, 10 27 615650050800015, 10051700597 55 & 0818520 56181 01 02501109516 5105. ড/17985551 09 1০9 016 ড19160175 11009061005) 70. 020) 10610610 09:0515 6০106005 75 1709. 01900100103 06 05558. 9070000159। 2120 005 1100. 270 [02551550516 ০01 00611 00230700001). 00176 896 00 006 88106) 0107৩ শন। 15 1100 90 18155 ৪5 0746 01 4১975 (011, 0৪৮ 00165 2৪ 9620001] 17) 035121. 75551176 070051 075 0161 06101-52010 ৮/1)956 2101) 108,055 10121) 2৮০5৩ 900১ 0 2৮5709 ০৫081 1091181 ০901958 80109815০07 5০00. 100 169 ০5005 309100155 এ. 10706 19%/ 01 0000008173, 58.0) 08501185010 ও চা টে ব 1105 ] টি ৯২ ৫ ি 11081991101 950 019 0090) 51099, 0). 09101, 00790210925 2500 ৪, 69810169 109009909 01081500511 0০11986 ; ) 006 50198 0৫ 01709 07550 %00 5819, ৪110 016 9৭০৪৪ ০ :9959 8100 16102 01051615 5/9505105, 06 ৪17 100৬0 5001 ৪. 51508, 2100. ০৮৪1 91101) ৪. 0016 29015917555 076 8].7% আমরা এই দেশেরলোকে ইহাকে 'তাজ-মহাল' বলি, কি বনী লোকেরা ইহা “তাজবিবিকা-রওজা' বলে। পরদিন প্রত্যুষে আমরা এহ্তমাম্উদ্দৌলার কবর দর্শন করিতে গদগ করিলাম। ইহা! ষমুনার পরপারে অবস্থিত । আমাদের শকট যমুনার ভাসা- পুলের উপর দিয়! চলিল,_যমুন! নিতান্ত প্রশস্ত নদী নহে, দেখিতে দেখিতে আমরা! উহা! উত্তীর্ণ হইয়া গেলাম। এহ্তমাম্‌- উদ্দৌলার একটু এঁতিহাসিক বিবরণ দেওয়া প্রয়োজন। এহতমাম্‌- উদ্দৌলার পূর্ব নাম গায়েসউদ্দীন। ইনি সম্রাট জাহাগীরের সভায় উজীর ছিলেন। ইহার পূর্বব-নিবাস পারস্য দেশান্তগগত তিহারান নগরে ছিল। অনৃষ্ট-পরীক্ষার্থ স্্র-পুক্র কন্যাসহ ভারতবর্ষে আসিয়া, ইনি সর্বব- প্রথমে সম্রাট আকৰ্রের বিশেষ অনুগ্রহলাভ করিতে সমর্থ হন। সম্রাট ইহার কার্যে ও ব্যবহারে প্রীত হইয়া ইহার গায়েসউদ্দীন নাম পরিবর্তন করিয়া এহতমাম্-উদ্দৌল নাঁম রাখেন। স্ন্দরী-কুল-শিরোমণি ভারতেশ্বরী নূরজাহা এই গায়েসেরই দুহিতা, আর ইহার পুক্র আসফর্থীর কন্যা অর্জজমন্দবানু বেগম মম্তাজ-ই-মহাল নামেই শাহ্জাহার বেগম হন । ১৬২২ খ্রীঃ কে জানার উন রগ পিতার সমাধির উপরে ১৬২৮ খ্রীঃ অন্দে এই স্থন্দর হন্দ্য নিম্দ্বাণ করাইয়া দেন,__-এহতমাম্উদ্দৌলার নামানুষায়ী সমাধি-হন্ম্য সাধারণতঃ ও এহতমাম্‌- উদ্দৌলা! নামেই পরিচিত। এই হন্্য মধ্যে গায়েস ও হার পড়্ী উভয়েই চির নিদ্রা মগ্ন আছেন। গায়েস বেগ একজন স্থকৰি ও কর্ম্মদক্ষ কর্মচারী ছিলেন, আলম্ত তাহাকে কখনও পরাজয় করিতে পারে নাই। এহ্তমাম্উিদ্দৌলার কবরের ত্বারদেশে গাড়ী পোঁছ্ছামাত্রই "গাইডূ'রা ১০৪০৬১৯৬৯০০ কোনও পরোজন ছিল না। 09510 [53101 এহতমাম্‌-উদ্দৌল!। ২০০, রর ৃ ঠা এ. জর্মণ । এই সমাধি মন্দিরটি বড়ই সুন্দর? কথিত আছে যে, নূরজাহা ' তাহার পিতার সমাধি 'রৌপ্যদ্বার! ' নিশ্্াণ করিতে ইচ্ছা করিয়াছিলেন, কিন্তু শিল্পিগণের আপত্তিতে তাহাকে সে বিষয়ে নিরস্ত হইতে হয় । সমাধি-মন্দিরের সম্মুখেই প্রশস্ত প্রস্তর নিশ্মিত তোরণ; সমগ্র সমাধি-মন্দির, অন ও উদ্ভানটা প্রাচীর বেষ্টিত এবং প্রাচীরের কোণে কোণে একেকটা গন্ুজওয়ালা সুন্দর সুন্দর সৌধ। আসরা প্রথমে অঙ্গন ও উদ্ভানের চতুদ্দিক পরিভ্রমণাস্তর পরিশেষে সমাধি-মন্দিরে প্রবেশ করিলাম । সমাধিস্থলটি বমুনার তীরে অবস্থিত, ইহা শ্বেত-মর্্মর প্রস্তরে নির্ষিত। প্রথমেই গায়েস ও তাহার পত্বীর সমাধি-কক্ষে প্রবেশ করিলাম, এই কক্ষটি দৈথ্যে ২২ ফিট-_ গৃহভিত্তিতে বহুকুলুঙ্গি আছে, এ সকল নানা সুন্দর সুন্দর পুষ্প ও পুষ্পপাত্র দ্বারা স্ন্দর রূপে চিত্রিত। দেওয়ালে মিনের (61)917751) কাধ্য আছে। সমাধি-মন্দিরের চারিকোণে চারিটা 8০ ফিট উচ্চ শ্বেত প্রস্তর নির্িত মিনার আছে-এই সকল মিনারের উপর আরোহণ করিলে চতুদ্দিকস্থ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য বড়ই মনোরম বোধ হয়। সমাধি-হন্দ্য এক স্থপ্রশস্ত রক্ত প্রস্তরের বেদীর উপরে নিম্রিত, বেদীটি অধিক উচ্চ নহে। কর্ণেল সিম্যান, হাণ্টার, ফাগুন প্রভৃতি প্রত্যেকেই এই সমাধি মন্দিরকে স্থাপত্যের একটা বিশেষ এম্বধ্য বলিয়। উল্লেখ করিতে কুষ্টিত হন নাই 1% . , যমুনার তীরে “চিনি-কা রওজা? নামক আরএকটা সমাধি দৃষ্ট হয়, তাহ তেমন দর্শনীয় নহে বলিয়া এস্থানে আর উল্লেখ করিলাম না। “এহতিহাস্‌- উদ্দৌলা” চলিত কথায় এন্তমাজ্-উদ্দৌলা” ইতিমাত-উদ্দৌলা, ইত্যাদি নাম পাইয়াছে। এহতমাম্উদ্দৌলার সমাধি মন্দির দর্শনান্তে রামবাগ ৰ৷ আরাম বাগ দর্শন করিতে গেলাম। আরাম বাগের নামোতুপত্তি সম্বন্ধে এলি প্রত্বতত্ববিদ্গণের মধ্যে একটু বেশ আলোচনা শুনিতে | পাওয়া যায়। কেহ কেহ ইহার নাম রঘুকুলতিলক 8585558538575588588 বলিয়া মত প্রকাশ করেন, আবার 1 [79 1০779 100৬7 ৪5 01090 06 107750-50-902815) 2 ১৪, ক ০5111770109 ৮০০০৫ ০৮১১ 8996 91015 £০7 15 0৬ 196806% 01 0951817) 1090 2159 55355 1 091015 880০0901177 05 50916 6০ ৬1)1017 1 199107155 (11701517570 মণ গজ ৫ 7876, 0০. 9. 558.) : কিং সসত ,নচত হহা লাসা আরামবাগঞ্-শবই পরে লোকমুখে ' রামবাগে পরিণত হইয়াছে । দে যাহা হউক, ইহা! ঘে সম্রাট বাবর কর্তৃক নির্দিত হইয়াছিল, তাহা সর্বজন-বিদিত। আকবরের সময়ে আরামবাগ উদ্যানের বিশেষ প্রতিপত্তি ছিল। স্থন্দরী-কুল-শিরোমণি নুরজাহা বেগম “এস্থানে কিছুকাল বাস করিয়াছিলেন। নগরের কোলাহল হুইতে দুরে এই স্থানটি বিজনতার স্থন্দর জীবন্ত ছবি। প্রাচীনের চিহ্ন বর্তমানে কিছুই নাই, কেবল কতকগুলি ফলের বৃক্ষ বর্তমান থাকিয়! প্রাচীন: এশ্বর্য্যের পরিচয় দিতেছে । বর্তমান উদ্ভানটি নিতান্ত আধুনিক, কিন্ত বড়ই স্থন্দর। এ স্থানে লোকে স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য আসিয়া থাকে। আরামবাগ ঠিক্‌ যমুনার কুলে অবস্থিত থাকায়__ইহার শীতলতা৷ বড়ই তৃপ্তিপ্রদ। বাগানের পার্স্থ একটা সিঁড়ি দিয়! মৃত্তিকা নিন্নস্থ একটী বহু প্রাচীন অন্ধকার ঘরের মধ্য দিয়া যমুনার তটস্থ এক ভগ্ন ঘাটে উপনীত হওয়া যায়। আরামবাগের তরুশ্রেণীর ছায়ায় উপবেশন করিয়া যমুনা-শীতল-শীকর-সিক্ত সমীরণ উপভোগ করা বড়ই তৃপ্তি ও শান্তি প্রদায়ক। : | এখন আগ্রার বিখ্যাত দুর্গের কথা বলিব। প্রত্যুষে গাতোখান করিয়া এহতিমান্উদ্দৌলা ও আরামবাগ দর্শন করিয়া- ছিলাম; মধ্যান্তে আহারাদির পরই দুর্গ দেখিতে যাত্রা করিলাম। হুর্গ দেখিতে হইলে “পাস” সংগ্রহ করিতে হয়, আমরা পূর্ববাহ্নেই পাস সংগ্রহ করিব রাখিয়াছিলাম। | আগ্রার ছুর্গকে দুর্গ বলিলে যাহা বুঝায় তাহা ভ্রম, কারণ ইহা আধুনিক প্রণালীতে নির্মিত দুর্গ নহে। ইহাকে একটা পরিখা-বেষ্টিত প্রাচীর বদ্ধ প্রাসাদ বলিলেই অধিকতর সঙ্গত হয়। আমরা মধ্যাহ-সূর্য্যের প্রথর কিরণে- পড়িতে পুড়িতে ছূর্গের দ্বিতীয় দ্বারের নিকটে আসিয়। উপনীত . হইলাম, সেখানে একজন গোর! সৈনিক পাহারা দিতেছিল। তাহাকে পাশ দেখাইবামাত্র সে বিনা বাক্যব্যয়ে আমাদিগকে ছুর্গে প্রবেশের পথ ছাড়িয়া দিল। সম্রাট আকবর এই ছূর্গ নির্মাণ করেন, স, তবে ছুর্গ মধ্ন্থ সমগ্র *বআরাম' সস্ৃতেও আছে, তাহার অর্থ উদ্যান? আরম শাদা শবে দু নদ হয় কিন্তু এরূপ জনের দেখ!ঘায়। আগরার ু্গ। ভারত-্রমণ। ॥ সৌধাবলী তীহার সময়ে নির্পিত হয় নাই। প্রায় ৭০ ফুট উচ্চ, ১॥ মাইল . দৈর্ধ্য লোহিত .প্রন্তরের প্রাচীরদ্বারা দুর্গ বেষ্টিত।. অন্ঠাগ্য 'ছুর্গ যেমন স্থুরক্ষিত-দেখিতে পাওয়া যায় ইহা তক্রপ কিছুই টগর সাহায্যেও ইহা সুরক্ষিত নহে । আগ্রা ছুর্গে প্রবেশ করিবার দুইটী দ্বার আছে। একটার নাম “দিলী গেট” বা দিল্লী দরওয়াজ।, ইহা জামে মসজিদ ও ফ্টেসনের নিকটে, দ্বিতীয় দ্বারের নাম “অমর সিংহকা ফটক” বা কা দরওয়াঞ্জা অমত্ব সিং নামে পরিচিত। সম্রাট শাহজ্ঞাহা মাড়ওয়ারবংশোস্তব অমরসিংহ নামফ জনৈক সেনানীর শৌর্যযে বীর্য্যে গ্রীত হুইয় ইহার স্মৃতি সংরক্ষণার্থ এই ফটকের নামকরণ করিয়াছিলেন,_“অমর সিংহকা ফটক”। জামরা এই অময় সিংহকা ফটক দিয়া [)74/ 011155 পার হইয়। ছুর্গে প্রবেশ করিয়াছিলাম। আগ্রার এই ছূর্গটিকে স্বতন্ত্র একটী নগর বলিলৈও অত্যুক্তি হয় না। ইহার মধ্যে খাসমহল, দেওয়ানী আম্‌, দেওয়ানী-খাস্‌, জেনানা, মতি মস্জিদ, নগদ! মস্জিদ, জাহাগীর-ই-মহাল ও শিশা-মহাল প্রভৃতি বহু স্থান দেখিবার আছে। আমরা একে একে সে সকলের বর্ণনা! কক্জিলাম। দেওয়ানী আম বা দরবার গৃহ,_এই বিশাল কক্ষে উপবেশন করিয়াই সম্রাট জনসাধারণের আবেদনাদি শুনিতেন, এই প্রকোষ্ঠের আয়তন দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে ১৯২ *৬৪ ফুট । বর্তমান সময়ে দেওয়ানী আমের-প্রাচীন সৌন্দর্য্য কিছুই বিদ্যমান নাই । ইংরেজ রাজের পূর্ত-ৰিভাগের কম্মচারিবৃন্দ ইহার সংস্কার করিতে গিয়া প্রাচীন সৌন্দধ্য এককালে বিনষ্ট করিয়া ফেলিয়াছেন। জাহাগীরের রাজ-সভার-ইংরেজ দূত সার টমাস রো (517 100107785 [২০৩) দেওয়ানী-আমের যে মনোজ বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন, বর্তমান ষময়ে তাহার কিছুই উপলব্ধি হয় না। এই কক্ষের পূর্ব প্রান্তে সম্রাটের সিংহাসনের মঞ্চ ; মঞ্চটি মর্ম্মর প্রস্তর ছার! বিনির্পিত। এই সিংহাসনের সম্মুখে লোহিতবর্ণের প্রস্তরের রেলিং, এই রেলিংএর রহির্ভাগে ওমারহ্ৰন্দ উপবেশন করিতেন। এই কক্ষটির নি্্াণের মধ্যে তাদুশ শিল্প-কৌ বা কারুকাধ্য পরিলক্ষিত হইল না। দেওয়ানী-আমের ছাদ প্রস্তর স্তত্ত দ্বারা রক্ষিত। এইরূপ একটা কিন্বদস্তী প্রচলিত আছে যে, এই সিংহাসন: হ্৪ ॥ 1৫1৩৮১০)৩৮ 4252 ৮1৮০১ ৩ আগ্রা। মঞ্চোপরি অন্য কেহ উপবেশন করিলে তখনি তাহার মুখে রক্ত উঠিয়া মৃত্যু হইবে। এসব জনপ্রবাদে কোনও সত্য নিহিত আছে কি না এবং তাহা পরীক্ষিত হক্য়াছে কি না, সে বিষয়ে কিছুই জানিতে পারিলাম না। নিজেও পরীক্ষা করিবার কৌতুহল দূমনই করিয়াছিলাম। পূর্বের দরবার-গৃহের উপরিভাগ নাকি স্থবর্ণখচিত ছিল, এখন কিন্তু তাহার কোন চিহ্ৃুই বিষ্যমান নাই। একদিন যে গ্রহ আমীর ওমরাহদ্বারা পরিবৃত থাকিত, যেখানে মহিমান্বিত মোগল সঙ্াটগণ উপস্থিত থাকিয়া প্রজার আবেদন-নিবেদন শ্রবণ করিতেন, এখন তানহা নীরব নির্জন ও পরিত্যক্ত । কোথায় বা সেই মোগল সম্রাট--কোথায়্ বা সেই আমীর ওমরাহ! এখন কেবল মাত্র অতীতের চিহ্ন স্বরূপ “দেওয়ানী আম? বিদ্যমান আছে, নচেৎ তাহার পুর্বব সজীবতার কিছুই নাই। কালের রি অভূতপূর্ব পরিবর্তন ! দেওয়ানী আমের পূর্ববদিকেই মচ্ছিভবন অবস্থিত, মচ্ছিতবনকে একটা লোহিত প্রস্তর বিনির্মিত দ্বিতল সৌধ বলিলেই ঠিফ্‌ হয়__ ইহার প্রশস্ত অঙ্গন মধ্যে পূর্ব্ষে জলাশয় ছিল এবং মচ্ছিভবনের বারাগায় উপবেশন করিয়া সম্রাট ও বেগমেরা মত্স্য-শিকার করিতেন। ইহার ঠিক উত্তর পশ্চিম কোণে শেত মন্ঘর প্রস্তর নির্মিত একটা মস্জিদ আছে উহা ক্ষুত্র হইলেও দেখিতে বেশ স্থন্দর, উহার নাম “নাগিনা মস্জিদ্‌।” দৈর্ধ্যে ও প্রস্থ ইহা ৩০ ৯ ১৮ ফিট, ইহার কারুকাধ্য এতদূর স্থন্দর ও গঠনের এমনি নৈপুণ্য যে দেখিলে বোধ হজ্ব যেন ইহা অতি অল্প দিন হইল নির্মিত হইয়াছে । এই মস্জিদে হেরেমের মহিলাগণ নমাজ পড়িতেন, ইহার- উজ্জ্বল শ্রেতবর্ণ অপূর্বব দীপ্তিমাখা, ক্ষুত্র হইলেও সৌন্দর্যো যে ইহার শ্রেষ্ঠত্ব খুব বেশী তাহা বলা বাহুল্য মাত্র । মস্ছ্িদের সম্মুখে গোলাপ জলের ফোয়ারা ও ইহার সম্নিকটেই মিনাবাজার: নামক রেগমদিগের বাজার অবস্থিত, কথিত আছে বে এই বাজারেই বেগমগণ পছন্দানুষায়ী দ্রব্য-সামগ্রী ক্রয় করিতেন, বাজারের গৃহস্থ কক্ষগুলি লোহিত প্রস্তর নিশ্মিত। একজন . গাইডের প্রমুখাৎ অবগত হইলাম যে এই মিনাবাজায়ের কোনও স্থান হইতে স্বৃত্তিক! নিন্দ, দিয়া দুইটা পথ গিয়াছে " রে মচ্ছিতবন। ভাক্লজ-ভরমণ | 'একটা তাজ. পর্য্যন্ত, অপরটি দিল্লী পর্য্যস্ত- দুঃখের বিষয় ঘে আমাদের গাইভ সে পথ ছুইটী আমাদিগকে দেখাইতে পারিল না, এ উক্তি আমাদের টির রিনিদানেহা বলিয়াই প্রতীতি হইল । মচ্ছিভবনের সম্মুখস্থ ছাদের উপরে যে দিকে যমুন! প্রবাহিত, সে দিকে দুই খানি তক্ত বা! প্রস্তরাসন আছে। উহার একখানি কৃষ্ণবর্ণ, অপরখামি শেতবর্ণ। এই কৃষ্ণবর্ণ প্রস্তরাসন খানি একটা দেখিবার জিনিষ। কথিত আছে ঘে সম্রাট নিশীথে এই কৃষ্ণবর্ণ শিলাসনের উপরে স্বয়ং উপবেশন করিতেন এবং অপর খানার উপরে মন্ত্রী বীরবল বসিয়৷ সম্রাট আকবরের সহিত নানাবিধ বাক্যালাপে তাহার চিত্তবিনোদন করিতেন । এখান হইতে যমুনার সৌন্দর্য লোচনানন্দদায়ক । কোথায় সেই ভারতবিজয়ী সম্রাট আর কোথায়ই বা সেই রহশ্ঠালাপে নিপুণ ৰীরবল ! কালচক্রের বিঘূর্ণনে তীহারা কোন্‌ অদৃশ্য জগতে চলিয়া গিয়াছেন তাহা কে জানে? কিন্তু অগ্ভাপিও তেমনি বিশীর্ণা যমুনা কল-কল্লোলে বহিয়া৷ যাইতেছে, তেমনি কত্ধিয়া প্রকৃতির সমুদয় বিচিত্র-লীল৷ সম্পাদিত হইতেছে__কিস্তু তাহারা আর নাই ! এই ত সেই প্রন্তরাসন-__-এই ত সেই যষমুনা_-এই ত সেই আগ্রা ভুর্গ--সেই প্রাচীন মস্জিদ সমূহ, কিন্তু হায়! তাহারা কোথায় ! সে সে শব্দে সমীরণ একট দীর্ঘ নিশ্খাসে জগতের নশ্বরতা। প্রচার করিয়া গেল- যমুনাও করুণ কলনাদে তাহারি প্রতিধ্বনি গাহিতে গাহিতে হৃদয়ে নৈরাশ্য জাগাইয়া দিল ! হায় ! বন্থন্ধরা--মানবের শান্তি-হখ কি তোমার সহে ? এইজ্অন্ম ছুঃখেই বুঝি কবি গাহিয়াছেন ;-- “মানব জীবন ছাই বড় বিষাদের 1” টিনার নিব উপবেশন করিতেন তাহা মধ্যস্থল দিয় কাটিয়া গিয়াছে, উহা শ্লেউজাতীয় প্রস্তর বলিয়া পঞ্ডিতগণ চি এস্থানে বাঁদশাহের গুপ্ত দরবার টি এই রি দেখিতে পরম রমণীয়। দৈর্ধ্ে ও প্রস্থে ইহা ৬৪ ফুট ৯ ইঞ্চি ও ৩৪ ফিট, উচ্চতা-২২ ফিট.। একক্ষে বসিয়া আকবয় বাদশাহ মহারাজ মানদিংহ, টোডরমল প্রভৃতির সহিত যুদ্ধ সংক্রান্ত ও.রাজন্য সং- ২৬ দেওয়ান খাস। 161. তত ত 1 সত ট র্‌ ২৮০০০০1445৮ ৪০) পা ভাগ হা আগ্রা । ক্রীস্ত বিষয়ের গালোচনা করিতেন, আবার এই কক্ষই সঙ্গীতকলা-বিশারদ তানসেনের স্থমধুর সঙ্গীত-রবে প্রতিধবনিত হইত । আজ সে সমুদয়ই অতীতের গর্ভে বিলীন হইয়া গিয়াছে । | খাস-মহলের কক্ষগুলি ক্ষুদ্র কিন্তু সমুদয়ই শেত মর্ম্মর প্রস্তর দ্বারা খাঁসমহল। . নির্িত। প্রাকোষ্ঠ সমূহ যমুনার ধারে নির্মিত বলিয়। ইহাদের সৌন্দর্য শত গুণে বন্ধিত হইয়াছে । খাস-মহলের ঠিক্‌ পূর্ণবদিক দিয়! নীলকায়া যমুনা-স্ন্দরী প্রবাহিত । কাবুল, পারচ্ঠ, ইরাণ, কাশ্মীর ও তুকীস্থান প্রভৃতি বিভিন্ন দেশ-দেশাস্তর হইতে আনীত চম্পক-গোরী স্ুন্দরীবৃন্দের কল-হাস্তে একদিন এই সমুদয় কক্ষ প্রতিধবনিত হইত এবং সিরাজীর ফেনোচ্ছলিত-ঢল-ঢল তরল তরঙ্গে একদিন ইহাদের চতুদ্দিক উদ্বেলিত. হইত। নর্তঁকীর নুপুর-শিঞ্জনে, যৌবনের উন্মত্ত-উচ্ছাসে মন্মথের ফুলধন্ু এখানে দ্িবস-যামিনী দৌরাত্ম্য করিত, কিন্তু আজ সেই স্থন্দরীগণের পদরজে আবরিত স্থান মহামৌনতার বিজন-শ্মশান। চিড়িয়ার কলগানে, সিরাজী-শিখিল-মধুরক্টের উচ্ছাঁসে, নুপুরের রুণু-রুণু ঝুনু-বুনু রবে এ প্রাসাদ এখন আর মুখরিত হয় না। খাস-মহলের সংলগ্ন-অঙ্গুরিবাগ নামক উদ্যান অবস্থিত। পুর্বে এ স্থানে একটা ক্ষুদ্র উদ্ভান ছিল, এখন সে পুরাতনের আর বিন্দুমাত্রও চিহ্ন বিছ্ধমান নাই। এক সময়ে ইহাই বাদশাহের অন্তঃপুর-চারিণী মহিলাগণের প্রমোদোগ্ান ছিল। সিপাহী- বিদ্রোহের সময়ে ইংরেজ সৈন্যগণ সপরিবারে এই স্থানে বাস করিয়াছিল এবং এই স্থানেই উন্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শাসনকর্তা কল্ভিন সাহেব জীবন-লীলা সম্বরণ করেন । খাস-মহলের একটা বারাগাতে প্রসিদ্ধ সোমনাথ মন্দিরের কাষ্ঠ নির্মিত বিশাল দ্বারদ্ধয় দেখিলাম । ইহা বিশেষ কারুকার্য্য পূর্ণ। দ্বারদ্ধয়ের সম্মুখে কান্ঠ-ফলকের উপরে ইহার সংক্ষিপ্ত-বিবরণ লিপিবদ্ধ আছে। ১৮৪২ খ্রীষ্টাব্দে আফ্গান যুদ্ধের শেষে ইংরাজগণ গজনী নগরস্থ মামুদের সমাধি-হন্দ্য হইতে এই কাষ্ঠ-নির্মিত দ্বার দুইটা লইয়া আসেন এবং ইহাই সোমনাথ মন্দিরের প্রাচীন দ্বার বলিয়া ঘোষণা করেন, কিন্ত প্রত্বুতত্ববিদ্‌ স্থৃপ্রসিদ্ধ পণ্ডিত ফাগুসন সাহেব এই মত ভ্রান্ত বলিয়! ঠিক্‌ করিয়াছেন। তাহার মতে, ইহাতে হিন্দু শিল্পের আদর্শ বিস্ভমান নাই, ২৮ ৬ ও | ২১৭ ভারত-জমণ । দ্বিতীয়তঃ সোমনাথ মন্দিরের দ্বার চন্দন-কাষ্ঠ-নির্টিত বলিয়া কথিত, কিন্তু এই দ্বারের অতি সুক্নতম অংশ অনুবীক্ষণদ্ধার৷ পরাক্ষায় ইহা পাইন জাতীয় দেদার কাষ্ঠত্বারা নির্ষিত বলিয়া প্রতিপন্ন হইয়াছে । সোমনাথের প্রাচীন দ্বার অগ্নিসাত হুইলে তগুপরে ইহা সেই পুরাতন দ্বারে সংযোজিত করিয়া দেওয়া হইয়াছিল বলিয়া তিনি অনুমান করেন । শীশ-মহল বা আয়নার প্রাসাদ, ইহা বেগমদিগের ন্নান-হন্ম্য-_.এইটি দেখিতে অতিশয় স্থন্দর, শীশ-মহলের প্রাচীর ক্ষুদ্র কুদ্র দর্পণ দ্বারা পরিশোভিত, এ স্থানে একটা মাত্র আলোক প্রজ্বলিত করিলে প্রাচীর গাত্রে লক্ষ লক্ষ প্রদীপ ঝলসিত হইতেছে বলিয়া প্রতীয়মান হয়। বাহির হইতে কক্ষটির অভ্যন্তর একটু শীতল বোধ হইল । এ স্থানে তপনালোক উত্তমরূপে প্রবেশ করিতে পারে না বলিয়া ইহা কিঞ্চিত অস্ধ- কার। প্রাচীরের এক অংশ দিয়া যমুনার স্থশীতল বারি আসিয়া তীর্য্যক্‌ ভাবে অবস্থিত প্রস্তরের উপর দিয়া পড়িয়া একটু ঢালু মেজের উপর দিয়া এক মন্দ্র প্রস্তর নির্ট্রিত স্ববৃহৎ জলাধারে পতিত হইত। পাঠক! একবার অতীত-কাহিনী কল্পনা কর, যখন মুরজাহা, মমতাজ, যোধবাই প্রভৃতি রূপসীগণ এই কক্ষে সান করিতেন, তখন তাহাদের বরাঙ্গতন্ুর মনোহর ছবি দর্পণ সমূহে প্রতিফলিত হইয়া ন! জানি কি অপুর্ব শোভাই ধারণ করিত। তীহাদের কলহাম্যে আপন আপন সৌন্দর্য্য-কিরণে রূপের যে তড়িৎ-শোভ। বিকশিত হইত, এখন তাহা কল্পনার বিষয়ীভত হইয়া পড়িয়াছে। দর্পণে আপনাদের অবেণী-সম্বদ্ধ কেশভার, চম্পক-কুস্থম-সন্নিভ দেহকান্তি ও অদ্ধবিমুক্ত বেশের অনিন্দ্য-সৌন্দর্য যখন তাহারা পরস্পর বিলোল কটাক্ষে দর্শন করিতেন তখন নিশ্চয়ই তাহারা উল্লাসে উৎফুল্ল হইতেন ও বুঝিতে পারিতেন যে এই অপ্লরনিন্দিত-সৌন্দর্য্যের জন্যই জাহাগীর, শাহজাইা মুগ্ধ হইয়াছিলেন। অসূধ্যম্পম্টরূপা শত শত রমণীবৃন্দের আনন্দ-কোলাহলে যে কক্ষ একদিন মুখরিত হইত, এখন তাহা নীরব ও নিষ্জন। জলাধারটি এখনে! বিদ্কমান আছে, উহা আকারে এতটা বৃহৎ যে অনায়াসে একজন ব্যক্তি সেই কৃত্রিম জলাশয়ে অবগাহন করিতে পারে। ২১৮ শীশ-মহল। মতি-মস্জিদ,__( 7711 [10500 ) এই অনিন্দ্য-স্ুন্দর মস্জিদের কারী গম্থুজত্রয় দুর্গের বাহির হইতেই দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। মতি-মস্জিদ দেখিতে অতিশয় মনোভ্ভ, মস্থণ শ্বেত প্রস্তর দ্বারা নিশ্মিত বলিয়াই ইহার নাম মতি মস্জিদ হইয়াছে । এই মস্জিদের তুষার-শুজ্র সৌন্দর্য্য দর্শন করিলে, ইহাকে সহসা মতি অর্থাৎ মুক্তা-নির্মিত বলিয়াই অনুমিত হয়। একটী উচ্চ প্রন্তর-নির্িত বেদীর উপরে ইহা অবস্থিত। যদিও ইহার নিন্মীণে তাদৃশ আড়ম্বর নাই এবং তাজ ও অন্যান্য সমাধি-মন্দিরের ন্যায় ইহাতে নানাবিধ বর্ণের প্রস্তরের মিশ্রণে কোনও কারুকার্য্য না থাকিলেও ইহার শ্বেত মর্্মর প্রস্তরে কৃষ্ণবর্ণ অক্ষরাঁবলী প্রস্তরের অপূর্ব সমাবেশ এক অভিনব সৌন্দর্য্যের উন্তব করিয়াছে। মস্জিদের মধ্যস্থ অজনটি চতুরআ্বাকৃতি, ইহার আয়তন দৈথ্যে ১৫৮ ফিট ও প্রন্থে ১৫৪ ফিট। অঙ্গনের মধ্যে একটা জলাধার ও তাহার তিন দিকে স্থাদীর্থ বারাণ্ডা এবং পশ্চিমদিকে মসজিদটি অবস্থিত। মস্জিদের পরিমাণ দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে ১৫০ ১৫৬ ফিট । এই স্থুপ্রসিদ্ধ মস্জিদটি তিনটা ভিন্ন ভিন্ন সৌধে বিভক্ত, দালানগুলির স্তস্তের উপরে সাতটী করিয়া স্ুপ্রশস্ত খিলান, এ সমস্ত খিলানগুলি মুসলমান স্থপতিগণের অপূর্ব কীত্তি। মস্জিদের তিনটা দালান পুরুষদিগের উপাসনার জন্য নির্দিষ্ট ছিল এবং একটাতে স্ত্রীত্লাকেরা উপাসনা করিতেন। এই মস্জিদটি ১৬৫৬ খ্রীষ্টাব্দে সম্রাট শাহ্জাহাকর্তক তিনলক্ষ মুদ্রা-ব্যয়ে সাতবগুসরে নির্মিত হইয়াছিল । ইহার নিন্দাণ তারিখ লইয়া! নানীপ্রকার বিভিন্ন মত শুনিতে পাও ষায়। এঁতিহাসিক হাণ্টার সাহেব ইহা ১৬৫৪ খ্রীষ্টাব্দে শাহ্জাহাকর্তৃক নির্মিত হইয়াছে বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন, কিন্তু কর্ণেল সিম্যান সাহেব মস্জিদের শিলালিপি দষ্টে ইহাকে ১৬৫৬ খ্রীষ্টাব্ডে নির্মিত বলিয়। নির্ধারিত করি- যাছেন। তিনি লিখিয়াছেন "10 ৬৪5 10110 957 9091 18027, €7)0615 01 %17105 078016 1 200. 00101916159, ৪3 15917) 6017) 20 10501100010 071 06009100017 005 9৪21 £৯- 10, 76556. ক ক কক 005 8 0085506, 51005, 0৫ 10915560 ৮911970, 2100 15 105 50006 79501016 90171760 5৮618 17707 (1797) 00 চান), ২১৯. ভারত-জমণ | ১5০৪,055 01059 17855. 1620 1655 01 11, 2100 01217 [1685016 19 1151511651)60 ১১ 50101156.”* মতি-মস্জিদে এমনি একটা পবিত্র- ভাব নিহিত আছে যে, সহজেই ভক্তিতে ও শ্রদ্ধায় দর্শকের হৃদয় দ্রবীভূত হইয়া পড়ে। টেলার সাহেব যথার্থই লিখিয়াছেন “117৩ 11০0 14151100210 ০৪ 0011[95760 0০0 7)0 ০9061 501006 01780 1 10255 5৮1 5861. 1017) €%০ 1 15 2,9010161% [06700 10116 19 21-01016500016 15 005 [00296 951091010, %/1)101 50776 500910996 020 1100 9050 /1010110 01108000111, 1017085 06 $8০৮61৩ 910101101া 0610017081৮ 10108511) 1900 100001109 ড/10101) ০810 01906101% 1১6 081160. 01119175170.” ইহার পবিত্রতা মাখানো সৌন্দর্য্য সম্বন্ধে তিনি লিখিয়াছেন “1015 ৪. 58110007175 50 [১০1০ 200 90511016595, 15৮90- 105 50 21650 2 9001৮16 06 ৬০7১1)10, 0770 19161001710150, ৪.5 2, 01117195081), 00 00101 0770 0901170015151151017 045102551 11511750105 87০1010509 (0 560011255 0)15 6510)0016 0০ 0০1 ৪00 1191)01760.৮” মতি- মস্জিদের সৌন্দ্য-সন্বন্ধে প্রত্বতব্ববিদ্‌ পঞ্ডিতগণ প্রায় সকলেই একমতাবলম্বী, আমর! এস্থানে প্রত্বতস্ববিদ্‌ ফাগু সনের মন্তব্য উদ্ধত করিবার লোভও সংবরণ করিতে পারিলাম না । ফাগুসন সাহেবের মতে মতি-মস্জিদ “96 ০1006 70015508100 10090 61891) 10011010025 01109 01855 60196 00801070 9) %/1016, ক +% 00610001761) 900 51000217 1ঠ 0)6 28500171) 866-5189 076 676091 1দৈ 001170210 15 510025911791% 7520000]. কক ক 1087101500৬, 205 5/10015, 018, 001101110 509 70680650615 1১016 71008188111. এস্থানের অট্রালিকাগুলি সম্রাট জাহাগীর নিম্মাণ করিয়াছিলেন । হাহা তেমন কারুকার্য সম্পন্ন ও নয়ন-মন-মোহকর না হইলেও _ জাহাগীরের নির্মিত অট্রালিকাগুলির বিশেষত এই যে এসব প্রাসাদে খিলান নাই, আর আয়তনের বিশালত৷ এবং জটিলতা নাই পপর প *. 77726. 4চ₹21010165 8170 7২60011606075 00৮ (00101761 91961792719, 388 ৬1.. 1. 1 11101 2170 4১101 0, 599,9০0, ২.০ £ 1 1৫4২৮123 44153 জগ্রা। বলিয়া অন্য মোগল-স্থাপত্যের সহিত এগুলির বিশেষ পার্থক্য দৃষ্ট হয়। এইগুলিতে একটা গান্তীর্য্য ও শোধ্যও বর্তমান আছে,__ইহা বেশ অনুভূত হয়। বলিতে ভুলিয়৷ গিয়াছি যে, খাসমহলের নিকটস্থ একটা ক্ষুদ্র দ্বার দিয়া এক অন্ধকারময় পথে অগ্রসর হইয়া, এক গর্তের নিকট পঁুছিয়াছিলাম, উহার নিন্গপ্রদেশের কিছুই দৃষ্ট হইতেছিল না, তবে গর্তের ৫৭ ফুট উপরে একটা বৃহ কান্ট দেখিতে পাইলাম, আমাদের প্রদর্শক বলিল ধে এই কাষ্ঠ হইতে লন্বমান রজ্ভুর সাহায্যে সম্রাট্গণ রাজান্তঃপুরচারিণী দ্বিচারিণী- গণকে ফাঁসী দিতেন, শুনিতে পাইলাম যে এই গর্ভের সহিত যমুনার সংযোগ আছে। এতদ্যতীত আরও কতকগুলি অন্ধকারময় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠ দেখিলাম--এগুলি নাকি গুরু অপরাধে অভিযুক্তা পুরবাঁসিনী রমণীবৃন্দের কারাগৃহ রূপে ব্যবহৃত হইত। এ সমুদয় দেখিয়া মোগল সআট্গণের কঠোর অন্তঃপুর-শাঁসনের বিষয় চিন্তা করিয়া শরীর শিহরিয়া উঠিল ! অতঃপর আগ্রা দুর্গ হইতে বাহির হইয়। আমর! বাসার দিকে চলিলাম। এতক্ষণ পর্যন্ত দর্শন-কুহকে এতদূর মুগ্ধ ছিলাম যে, সন্ধ্যার ধূসর ছায়ার সুন্ম-ব্যাপ্ত অনুভব করিতে পারি নাই, এখন চাহিয়া দেখি সূর্ধ্যদেব অস্তগমনোন্মুখ- নিস্তেজ লোহিত কিরণ-রশ্মি চতুদ্দিকে ছড়াইয়া পড়িয়াছে, পশ্চিমাকাশ গোলাপি-আভার মেঘে বিভৃষিত । আমরা ছুর্গ হইতে বাহির হইবার সময় দিল্লী গেট দিয়া আসিলাম। এই দ্বারের সন্নিকটে ইংরেজ সেনানিবাস অবস্থিত। প্রাণে প্রফুল্ল- কুম্থমের মত ইংরেজ বাঁলকবালিকাগণ ক্রীড়া করিতেছে । তাহাদের বদনে স্বাধীনতার জীবন্ত চিহ্ন প্রতিফলিত। বাসায় প্রত্যাবর্তন করি- বার সময় পথে জামে-মসজিদ দেখিয়া আসিলাম। ইহা আগ্রা দুর্গ ফ্টেসনের অনতিদুরেই অবস্থিত। এই মস্জিদটিও মতি মস্জিদ প্রভৃতির হ্যায় উচ্চ বেদীর উপরে নির্িত। যদিও ইহা সৌন্দধ্যে ও শিল্প-নৈপুণ্যে মতি-মস্জিদের ন্যায় নহে, তথাপি ইহা উপেক্ষণীয় নহে। দূর হইতেই ইহার শ্বেত ও লোহিত-প্রস্তর-নিম্মিত গুস্থজ পথিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া থাকে । মস্জিদের শিলালিপি পাঠে জ্ঞাত হওয়া যায় যে, সআটু শাহ্জাইার রাজত্কালে তাহার সেবাপরায়ণা জামে-মস্জিদ। ২২১ উস 11 ভক্তিমতী প্রিয়তমা কন্যা জাহানারা বেগমের জন্য ১৬৪৪ খ্রীষ্টাব্দে ইহা নিণ্মিত হয়। প্রতুতন্্বিদ্‌ ফাগুন সাহেব ইহাকে পাঠান ও মোগল স্থাপত্যের মিশ্রণে নিশ্পিত বলিয়৷ সিদ্ধান্ত করিয়াছেন । অবসন্ন দেহে ও অবসন্ন মনে সে দিনের মত বাসায় ফিরিয়া আসিলাম । সহ্দ্দয় দর্শকের নিকট তাজমহল হইতেও আগ্রাছুর্গ অধিকতর হৃদয়- দ্রবকারী। প্রাচীন ভারত-ইতিহাসের জীবন্ত প্রাচীন স্মৃতি ইহার প্রতি প্রস্তরকণায় জড়িত রহিয়াছে । মুহুর্তের মধ্যে হৃদয়ে মোগলের সেই বীরত্গৌরব ও শৌর্য্যবীর্য্যের কথ| মনে পড়িয়া দারুণ ক্ষোভের সঞ্চার হইল। কোথায় বা সেই জয়দীপ্ত মোগল সৈন্যের উল্লাসধবনি, কোথায় বা ভুবন-মন-মোহিনী রমণীবৃন্দের নিটোল যৌবন ও বিলোল কটাক্ষ, আর কোথায়ই ব! সম্রাটগণের শাসন-বিলাসের উচ্ছ্খলতা । “নশ্বর জগতে হায় ! সকলি নশ্বর পরদিন প্রত্যুষে গাত্রোথান করিয়! মহামতি আকবরের সমাধিস্থল সেকেন্দ্রা দেখিতে যাত্রা করিলাম । উহা! আগ্রা নগরী হইতে ছয় মাইল দুরে অবস্থিত। তখন কেবলমাত্র সূর্য্যদে কিরণ-বিকীরণে ধরণী হাহ্যময়ী করিতে ছিলেন। চারিদিকে তখনও পূর্ণ জাগরণের আভাষ পাওয়া গেল না। স্বন্দর নিশ্মল প্রভাত ! আকাশ মেখশৃন্য গাঢ় নীল-_-আর সেই গাঢ় নীল-সাগন্নে সূর্যদেব জ্বলন্ত প্রভান্থিত দীপ্ত মণি। প্রস্তর মণগ্ডিত চকের রাস্তা দিয়া আমাদের গাড়ী অগ্রসর হইতে লাগিল; এ রাস্তা বিশেষ পরিস্কার পরিচ্ছন্,__তখনও চকে ভাল করিয়া লোক জমে নাই। তখনও বিপণিতে ক্রেতার দল আসিয়। বেশী পরিমাণে বৌকে নাই, তবু কিন্তু চক জন-কোলাহলে-মুখরিত। চকের পথে কিয়দ্দূর অগ্রসর হইয়া লোহিত প্রস্তর-নির্শিত সুবিশাল “দিল্লী দরওয়াজা” নামক দ্বার উত্তীর্ণ হইলাম, পুর্বেষে আগ্রা প্রাচীরবন্ধ নগরী ছিল, এই দরওয়াজ! তাহারি একটী দ্বার, দিলী, লাহোর ও কাশ্মীর যাইতে হুইলে পূর্বেবে এই পথে যাইতে হইত। বেলা প্রায় নয় ঘটিকার সময় আমর! সেকেন্দ্রায় আকবরের সমাধি-সৌধের স্বারদেশে আসিয়। উপনীত হইলাম। এই দ্বারের কথা বিশেষরূপে উল্লেখযোগ্য 1 ইহাকে ৮৬৬ সেকেম্ত্রা। শশা! একটা স্বতন্ত্র হন্্য বলিলেও কোনওরূপ অত্যক্তি ₹ হয় না। দ্বারদেশ লোহিত প্রস্তরনিদ্মিত এবং নানাবিধ বিভিন্ন বর্ণের মোজেয়িক কাধাদ্বারা পরিশোভিত। ছ্বারের চতুর্দিকে কোরাণের বয়েদৃগুলি এমনি কৌশলে লিখিত হইয়াছে যে, দ্বারদেশের উদ্ধদেশস্থ অক্ষরগুলি এবং নিন্ের অক্ষর- গুলি যেন একই আয়তনের বলিয়া প্রতীয়মান হয়। সেকেন্দ্রার চারিদিকে একটা সৌম্য নীরবতা বিরাজিত, শ্মশানের গাস্তীর্্য এখানে পূর্ণরূপে দেদীপ্যমান। নগরের জন-কোলাহল এখানে শুনিতে পাওয়া যায় না। লোদীবংশীয় সেকেন্দর লোদীর সমাধি পুর্বেবে এই নগরে ছিল বলিয়াই ইহার নাম সেকেন্দ্রা হইয়াছে । তাহার সমাধি পরে দিল্লীতে স্থানান্তরিত হইয়াছিল। আমর! যে হন্ম্যের কথা বলিতেছি, তন্মধ্যে মহাত্মা আকবর শায়িত রহিয়াছেন। একটী উচ্চ বেদীর উপরে আকবরের সমাধি-হশ্ম্য বিরাজিত। সিচিলািিরনাগা সানি সমাধি-সৌধ পঞ্চতল-বিশিষ্ট। প্রথম তল দৈর্ঘ্যে ৩২০ ফুট প্রস্থ ৩২০ ফুট এর সেকেন্ত্রর ইতিহাস। দ্বিতীয় তল রর ১৮৬ ১, 8০৬9 ১১ ১৪-৯ তৃতীয় তল », ১৮৬ ৯, টন টি ১১. ১৫7২ চতুর্থ তল ১৮৬ ১, ৪5০ 2255 ৪১ ১৪৬ পঞ্চম তল ১, ১৫৭ ৯১ ১৪৭ »১ (ছাদশৃন্য) সমুদয় তলগুলিই রি প্রস্তর দ্বারা নিরশিতি, পঞ্চম তলের রি মন্ত্র প্রস্তরের জাফ্রিকাট৷ প্রাচীর--উপরে কোনও ছাদ নাই। এই ছাদের উপরে নিম্স্থ আকবরের কবরের অনুরূপ একটী কবর রহিয্নাছে-__. ইহাকে সাধারণতঃ “জওয়ার কবর” কহে। জওয়ার কবরের ঠিক্‌ নিঙ্গে প্রথমতলে সম্রাটু আকবর বাদশাহের কবর অবস্থিত। কথিত আছে যে, এই জওয়ার কবরের সন্মুখস্থ অনতি উচ্চ মর্্মর প্রাস্তরের স্তস্তপ্ তাহার উপর যে একটা প্রস্তরের পাত্র আছে উহ্থাতে জগঘিখ্যাত “কোহিনূর” হীরক রক্ষিত ছিল। পঞ্চমতলের উপরিস্থিত জীফ্রীকাটা প্রাচীরের অভ্যন্তর দিয়া নিন্বস্থ উদ্ভান :ও চতুর্দিকে প্রান্তিক দৃশ্ঠ আলেখ্যবৎ প্রতীয়মান হয়। এই পঞ্চতলের প্রতি তলের চারি কোশেই আন ক সপ সি প্র টু ইহ টি ৫ ভারত-্ভ্রমণ । লোস্িত প্রন্তরের স্তস্তের উপর গম্থুজওয়াল! প্রুকোষ্ঠ আছে, দূর হইতে এগুলি বড়ই সুন্দর দেখায়। সেকেন্দ্রার মিনার বা শোতাস্তস্তও কলিকাতার অক্টার্লোনী মনুমেপ্ট হইতে কম উ*চু নহে। প্রথম তলের সমাধি-হর্দ্যের সম্ষুখস্থ প্রশস্ত দ্বার দিয়া একটা প্রশস্ত কক্ষে উপনীত হওয়া যায়, কক্ষের উপরিস্থ ছাদ গিল্টিকর।, দুঃখের বিষয় যে এখন তাহার প্রাচীন সৌন্দর্য্য বিল্প্ত হইয়া গিয়াছে। এই কক্ষ হইতে একটা ক্রমনিল্ম পথে অবতরণ করিলে যে কক্ষে পুছান যায় এখানেই আকবর সমাহিত রহিয়াছেন। এই কক্ষটি দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে ৩৫ ফুট ও চতুরত্রাকৃতি-_একটু অন্ধকার-_ ইহাতে আলোক তেমন প্রবেশ করে না। এস্থানে আসিলে হৃদয়ে কেমন ক প্রশান্ত ভক্তির ভাবের উদয় হয়। আমরা আকবরের মহত্ব ও গৌরব ্রন্তণ করিয়া তক্তিপ্রত চিত্তে নতজানু হইয়া অবনত মন্তকে সমাধির প্রতি সম্মান জ্ঞাপন করিলাম আগ্রা আসিলে প্রত্যেকেরই সেকেন্দ্রা দর্শন করা উচিত। প্রকৃত পক্ষেই ইস! হিন্দু ও মুসলমানের মহাতীর্থ স্থল। সেকেন্দ্রা় আকবরের সমাধি-ছন্ট্যের প্রবেশ দ্বারের দক্ষিণদিকের প্রকোন্ঠে আরও দুইটা সমাধি আছে, একটী আকবরের দুহিত।৷ আরামবন্নর এবং অপরটি জাহাগীরের কন্যা আকবরের পৌজ্রীর। লর্ড নর্থক্রক আকবরের সমাধি আচ্ছাদিত রাখিবার জন্য একখানা বনুমুল্য আবরণ বনজ উপহার দিয়াছিলেন, কিন্তু আমরা উহা! দেখিতে পাইলাম না_শুনিলাম উহা অপহৃত হইয়াছে। সেকেন্দ্রায় আরও অনেক ন্রন্দর স্বন্দর দৃশ্য ও সমাধি আছে, কিন্তু মহা- কালের দারুণ কষাঘাতে সে সমুদয় সমাধির অবস্থা অতীব শোচনীয় কোথাও মন্দির ভগ্ন, কোথাও সমাধি-শব্য! চুর্ণীকৃত, চারিদিকে শ্াশানের ধ্বংসের চিহ্ন বিছ্যমান। হৃদয়ে একটা গদাস্যের ভাব জাগিয়া উঠিল। মন এক ভীষণ হাহাকারে পুর্ণ হইয়া গেল। অতীতের সহিত বর্তমানের ধবংসাবশেষের পর্যালোচনা করিতে গেলে বলিতে হয়--“নাই নাই কিছু নাই” এখন “ভাঙ্গিতে এ নীরবতা বিল্লী ভয় পায়।” বেলা প্রায় এক ঘটিকার সময় নিতান্ত বিষাঁদভারাক্রান্ত হৃদয়ে বাসায় প্রত্যাবর্তন করিলাম । _ মৃত্যুর বিভীষিকা ও জগত্বের নশ্বরতা কিছুক্ষণের জন্য হৃদয়কে গাঢ়রূপে মোহিত করিয়া ফেলিয়াছিল। সে দিবস আর বাসার বাহির হইলাম না, পরদিবস প্রত্যুষে ফতেপুর-সিক্রি দর্শনে যাত্রা করিলাম। আগ্রা হইতে ফতেপুর-সিকৃরি ২৪ মাইল দূরবর্তী । এই পথটুকু উটের গাড়ী, ঘোড়ায় ফতেপুর-মিকরি গাড়ী ও এন্ধায় যাইতে হয়, একা অপেক্ষা ঘোড়ার শা্া। গাড়ীর ব্যয় অনেক বেশী। সাধারণতঃ লোকে উটের গাড়ীতে বা এক্কাতেই গমন করিয়া খাকে। উটের গাড়ীর কথা বাঙালী পাঠকের মনে বিস্ময়ের উদ্রেক করিলেও এস্থানে তাহা বিশেষ প্রচলিত। উটের গাড়ীতে একত্র ৮১০ জন লোক যাতায়াত করিতে পারে। ঘোড়ার গাড়ীতে ৫1৬ টাকা করিয়া ভাড়া পড়ে। এসব ছাড় আর এক উপায়ে এবং কথঞ্চিৎ অল্প অর্থব্যয়েও ফতেপুর যাওয়া যাইতে পারে । |, টা. ঘ. রেল লাইনের ২০ মাইল দুরবন্তী আইনারা ফেঁসনে অবতরণ পূর্বক যাওয়া যায়, এস্থান হইতে ফতেপুর ১৩।১৪ মাইল দুরমাত্্। এক্কাও ফ্টেসনেই পাওয়া যায় এবং উহার ভাড়াও অল্প, আর রেলভাড়া এত সামান্য যে তাহার উল্লেখ না করিলেও চলিতে পারে। সে যাহা হউক আমরা প্রত্যুষে কিঞ্চিত জলযোগের পর মধ্যাহ্ন ভোজের প্রয়োজনীয় জব্যাদি ংগ্রহ করিয়! ফতেপুরে রওয়ানা! হইলাম। কত্তেসটুক্রিক্ন্সী । | . বরা শাহ্গঞ্জের রাস্তা ধরিয়া সিক্রি অভিমুখে আমাদের অশ্ব- রা চলিতে আরম্ত করিল। এই রাস্তাই, সোজা । শাহ্গঞ্জের পুলিশফ্টেসন পার হইয়া! :কিছুদূর অগ্রসর হইলেই লোকের বসতিহীন দুই দিকের বিস্তীর্ণ প্রান্তর পথিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আমরা যে পথে অগ্রসর হইতেছি: তাহা বেশ স্প্রশস্ত এবং উহার উভয় পার্শেই বড় বড় গাছ ছায়া করিয়। দাড়াইয়া আছে। রৌদ্র-ঝলসিত প্রান্তরের একঘেষে উদাস দৃশ্য পথিককে কিছুকাল পর্য্যস্ত ভারাক্রান্ত করিয়৷ তুলিলেও শীঘ্রই তাহা দূর হইয়া যায়। কারণ ফতেপুর সিক্রির প্রায় ছুই তৃতীয়াংশ রাস্তা অতিক্রম করিলেই কেরনির আড্ডায় পৌঁছান যায়, এই বসতিটি বেশ বড়, এখানে বাজারও আছে, সাধারণতঃ পথিকেরা এখানেই বিশ্রাম করিয়৷ থাকেন। আগ্রা হইতে কেরনি প্রায় দেড়ঘণ্টা কি ছুই ঘণ্টার রান্তা। ফতেপুর-সিক্রী যাইতে আগ্রা হইতে পানীয় জল লইয়া যাওয়া কর্তব্য, কারণ রৌদ্রের আধিক্যের সহিত পিপাসা বৃদ্ধি পাইলে জল পাওয়া স্বকঠিন, বিশেষতঃ রাস্তার লোনাজল গলাধঃকরণ করা অসাধ্য ব্যাপার । কেরণি ছাড়িয়া কিয়দ্দ,র অগ্রসর হইলেই দুরে নীল পর্ববতশ্রেণীর অনুচ্চ দেহ দৃষ্টিপথে পতিত হয়, তখন হইতে সিক্রি পুছিবার জন্য হৃদয়ে একটা ব্যস্ততা আসিয়৷ উপস্থিত হয়, কারণ ক্রমে আমরা সিক্রিতে আসিয়। উপনীত হইলাম । ফতেপুর-সিক্রীর বহির্ভাগে অগ্ভাপিও স্থানে স্থানে বহু স্বন্দর স্তুন্দর উদ্যানের ও অট্রালিকার ভগ্রাবশেষ বিদ্যমান থাকিয়া এক সময়ে যে এখানে বন্ধনী আমীর ওমরাহ বাস করিতেন, তাহা প্রমাণ করিয়! দেয়। নগরের প্রাচীর দ্বারে উপস্থিত হওয়া মাত্রই এক বিরাট শ্মশীনের দৃশ্য আমাদের নয়ন সমক্ষে উদঘাটিত হইল। এই দূর হইতেই পর্ব্বতোপরি ফতেপুর-সিক্রির বিরাট উচ্চ প্রাচীর দৃ্টি পথে পতিত হয়। বহু দুর বিস্তৃত এই প্রাচীরও স্থানে স্থানে ভগ্ন হইয়া গিয়াছে । আমরা আগ্রার দিকের প্রাচীরের দ্বার দিয়া নগরে প্রবেশ করিলাম। এই ২৬: | | সক (168৯) 1053 815৪ ক 438 তি. ৮ 4 1551)106 5557)12) 21৩ 1 ৰ | | | | ফতেপুর-সিক্রী। দ্বারদেশ হইতে জনস্থান আধুনিক সহর ফতেপুর-সিক্রি ও দর্শনীয় সৌধাবলী আরও প্রায় ছুই মাইল দূরে । আমরা গাড়ীতেই অগ্রসর হইতে লাগিলাম-- আগ্রা হইতে এস্থান ২২ মাইল। প্রকৃত পক্ষে এইস্থান হইতেই আকবর শাহের প্রাচীন ফতেপুর-সিক্রি আরম্ত, এই পথের উভয় পার্থ ই উদ্ভানাদির ভগ্নাবশেষ এবং স্থানে স্থানে স্তুপীকৃত লোহিত প্রস্তরখণ্ড সমূহ অতীতের সাক্ষ্য স্বরূপ বিদ্যমান। এখান হইতে দুই দিকে দুইটা রাস্তা গিয়াছে, দক্ষিণ দিকের রাস্তাটি অবলম্বন করিয়া উদ্ধদিকে অগ্রসর হইলে সহজেই ভগ্নাবশেষসকলের বামদিকের রাস্তার নিকটে পঁুছিতে পার! যায়, আর বামদিগের রাস্তা অবলম্বন করিলে, ভাকবাড্লার নিকট যাওয়া যায়। সাধারণতঃ সাহেবরা ডাকবাঙ্লার দিকের রান্তায়ই গমন করিয়। থাকেন। আমরা ভগ্রাবশেষ সমূহ দেখিবার জন্য এতদূর ব্যগ্র হইয়াছিলাম যে, তাড়াতাড়ি ঘুরিয়া পাহাড়ের পাদদেশস্ফিত বুলন্দ-দরওয়াজার নিকট আসিয়া উপনীত হইলাম। বর্তমান সময়ে রড়লাট লর্ড কাঙ্জনের আদেশে সিক্রির যেরূপ নবস্ী। হুইয়াছে-_আমরা ২০২৫ বৎসর পুর্বে যখন ইহাকে দর্শন করিয়াছিলাম, তখন তাহার কিছুই ছিল না! সে সময়ে প্রস্তরখণ্ড সমাকীর্ণ পর্ববতোপরিস্থিত ভগ্নস্তুপরাশি ও চতুদ্দিকের অরণ্যময় বিজনতা হৃদয়ে এক দারুণ বিভীষিকার সঞ্চার করিয়া দিয়াছিল। বূলন্দ-দরওয়াজায় প্রবেশ করিলেই দর্শকের নয়ন সমক্ষে এক অপুর্ব নয়নানন্দদায়ক দৃশ্য পতিত হয়। তভোরণের সম্মুখে পর্বত পদতলে ক্ষুন্ত্র ফতেপুর হর কতকগুলি কুঁড়ে ঘরের সমষ্টি লইয়া বিরাজমান, এখান হইতে একটা হিন্দুস্থানী যুবক আমাদের গাইডরূপে সঙ্গ লইল। আকবর শাহ্‌ যে ফতেপুর সহরকে সর্ববপ্রকারে সৌন্দর্যে ও শিল্পকলায় বিভূষিত করিয়!- ছিলেন, বর্তমান সময়ে তাহার এই পরিত্যক্ত অবস্থাও প্রায় শ্মশানের ্যায় বিজনতা, বস্কৃতঃই ওঁদাস্যাজনক | বুলন্দ-দরওয়াজার তৌরণ অতিক্রম করিলেই এক বহুদুর বিস্তৃত প্রস্তরমণ্ডিত প্রাঙ্গণ দেখিতে পাওয়া বায় ।তাহার চতুদ্দিকে উন্নত সৌষশ্রেবী, মধ্যস্থলের চস্থরের উত্তরাংশে শ্বেত মন্মরের বেদীর উপর নাতিবৃহত্ নাতিক্ষুত্র একটা দর্গা অবস্থিত, ইহাই সেলিম চিন্তির দর্গা নামে প্রসি্ধ। এই ক্ষু্র ২২৭ সেলিমচিন্তির রা 1. ভারত গণ । নিন ্য সুন্দর দর্গাটি আকবর শীহ্‌ ও জাহাগীর বাদশাছের সেলিম- চিন্তির উপরে তাহাদের ভক্তি ও শ্রদ্ধার অপুর্বব নিদর্শন স্বরূপ নিশ্াণ করিয়া দিয়াছেন। এই দর্গাতেই সলিমচিস্তির কবর স্থাপিত। অগ্যাপি হিম্টু ও মুসলমান বন্ধ্যা স্ট্রীলোকগণ সন্তান লাভাকাঙক্ষণায় এস্থানে আগমন করিয়। থাকেন । মুসলমানেরা এবং হিন্দুরা সকলেই সেলিমচিস্তির দর্গার প্রতি সম্মান প্রদশন করিয়া থাকেন। বহির্ভাগ হইতে সেলিমচিস্তির দর্গা সমস্তই শ্বেত মন্দরর প্রস্তর নিম্মিত বলিয়া অনুমিত হয়। চতুদ্দিকের প্রাচীরের বিল্লীকাটা (0115 %০11) থাকায় দূর হইতেই বড় মনোরম বোধ হইয়া থাকে । কবর-প্রকোষ্ঠের বারেন্দা ও বারেন্দার উপরে ঘরের চালার মত হেলান কানিপ বিদ্যমান । বাহিরের প্রাচীর-গাত্রে কোরাণের বচন-সকল অস্কিত রহিয়াছে । প্রকোষ্ঠের অভ্যন্তরে প্রায় ৪ ফুট উচ্চ পর্য্যন্ত শ্বেত মন্্নর প্রস্তরে ও বাকী অংশ লোহিত প্রস্তর দ্বারা গঠিত। সেলিম-চিস্তির কবরের উপরে চারিটী আবলুস কাষ্ঠের থামের উপর এ কাষ্ঠেরই নির্মিত একটী টাদোয়। আছে, এ টাদোয়ার মধ্যে ও তাহার পায়ায় যে সমুদয় ঝিনুকের কারুকার্য আছে, তাহা অতীব স্থন্দর, বিশেষতঃ প্রকোষ্ঠ-মধ্যে আধ-আলোক ও আধ-অন্ধকারের সম্মিলনে সর্ববপ্রথমে উহা! দৃষ্টিতে পড়ে এবং আমরা তাহা দেখিয়! এতদূর মুগ্ধ হইয়াছিলাম যে তাহা বর্ণনাদ্বার! প্রকাশ কর! অসম্ভব। সেলিম চিস্তির মৃত্যুর অব্যবহিত পরে ১৫৭২ খ্রীষ্টাব্দে এই দর্গা নিশ্মিত হইয়াছিল বলিয়া কোন কোন এঁতিহাসিক পপ্ডিত স্থির করিয়াছেন। এই দর্গার কিঞ্ও দক্ষিণে একটী চৌবাচ্চা আছে এবং তাহার অল্প পুর্বব-উত্তরে সেলিমচিস্তির পরিবারস্থ রমণীবৃন্দের সমাধি-স্থান। উহার পার্খেই চিস্তিসাহেবের পৌন্র জাহাগীর বাদশাহের রাজত্বকালে বাঙ্লার শাসনকর্তী ইসলাম খর স্থন্দর সমাধি সৌধ বিরাজিত। দর্গার উত্তরাংশে আকবর শাহের চির সহচর ও অকৃত্রিম বন্ধু আবুল-ফজল ও তাহার ভ্রাতা রাজকবি ফৈজির বাসম্থান। আজকাল তাহাদের বাস-ভবনে ইংরেজী-স্কুল হইয়াছে । চত্বরের পূর্ব দিকের দ্বার দিয় বহির্গত হইয়া উত্তরাংশে কিঞ্চিত অগ্রসর হইলেই যোধবাই ২২৮ ফতেপুর-সিক্রী । মহাল অবস্থিত, মহালের নাম কেন যৌধবাই মহল হইল তাহা নির্ণয় করা স্থকঠিন। যোধবাই জাহীগীর বাদশাহের পত্ী ছিলেন, তাহার মহাল আগ্রা দুর্গে দেখিয়া আসিয়াছি; তবেকি এই মহাল আকবরের পরে জাহাগীর বাদশাহ কর্তৃক নিম্মিত হইয়াছিল ? কিন্তু তাহারও ত কোন প্রমাণ নাই। যোধবাই মহালই এখানকার সর্বাপেক্ষা বৃহত্ড মহাল। মধ্যস্থ চতুক্ষোণ চত্বর, দৈর্ঘ্য প্রস্থে ১৭৭৮ ১৫৭ ফুট। চত্বরের চতুর্দিকেই কারেন্দা, উত্তর ও দক্ষিণ দ্রিকের বারেন্দার উপরে আবার প্রকোন্ঠও আছে। নীচে-উপরের এই সকল প্রকোষ্টের ছাদই নীলবর্ণে মীনাকরা পাথরের টালিতে প্রস্তুত । এই মহলটিকে (1171)0 0001 00 4৯17) নামক গ্রন্থ প্রণেতা কীন সাহেব আকবর বাদ্‌শাহের খুল্পতাত হিন্দনের দুহিতা তাহার প্রধানা মহিষী স্থলতান৷ বেগম রুকিয়ার গৃহ বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন ।% এই মহলের পশ্চিম দিকের ঘর বিবিধ হিন্দু-দেবদেবীর যুত্তি, চিত্র ও নান! স্বন্দর স্থন্দর হিন্দু কারুকাধ্য দ্বারা পরিশোভিত। মহালের উত্তর দিকস্থ দ্বিতলের বহির্ভাগস্থ প্রকোষ্ঠের চতুঙ্দিকের লাল প্রন্তরে বিল্লিকাটা ; (01115 ৬০) এখান হইতে বাহিরের দৃশ্য দেখিবার জন্যই এইরূপ ব্যবস্থা করা হইয়াছিল। সম্ভবতঃ ইহা সম্রাটের বিশ্রামাগার রূপে ব্যবহৃত হইত। এই মহালের সম্মুখেই অশ্বশালা | অশ্বশালার ঠিক উত্তর দিকে এবং ঘযোধবাই মহালের উত্তর-পশ্চিম- কোণে রাজা বীরবলের প্রাসাদ অবস্থিত। এই প্রাসাদটি পরম রমণীয়। তিন শত বণুসরেরও বেশী কাল উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে, ইহা নিশ্মিত হইয়াছিল কিন্তু অগ্ভাপিও ঠিক নৃতনই আছে। প্রাচীর গাত্রের কারুকার্য অগ্ঠাপিও সুস্পষ্ট এবং সুন্দর । কীন সাহেব এই প্রাসাদের বর্ণনা-প্রসঙ্গে প্রশংসার সহিত লিখিয়াছেন "1৮ 5591)9 5,911 ৪, (01)11)695 1৬০০ ৬০011571789 1১911 :€7001950 0901) ৪. 1১/0107591) [1010110151)..,ণ* প্রকৃত পক্ষেই দৃঢ় প্রস্তর গাত্রে এইরূপ চারুকার্ধ্যাবলী বিস্ময়ের উদ্রেক করে এবং তাহা দানবীয় কাধ্য বলিয়৷ মনে হয়। রাজ ক 1120701১001 91 885 1. 94. ৯ চান 9০016 06 4৯577 0-65. রীরবলের কৌতুক কিহশ্য ভারতে সর্বত্র স্থপরিচিত। ইহার সম্বন্ধে দেশে নানাবিধ গল্ল ও' শ্রাবাদ শুনিতে পাওয়। যায়। চঞ্চল! অদৃষ্ট দেবী বে কর্ধন কাহার উপরে সন্তষ্ট হ'ন বলিতে পারা যায় না। দরিভ্ত্র ভাট ব্রাহ্মণের তনয় হইয়া যেরূপ প্রতিভাবলে বীরবল বাদশাহ আকবরের মনোরগ্রন করিয়া বাদশাহের নম্মঘ্রসচিব হইতে সক্ষম হইয়াছিলেন তাহা প্রকৃতই আশ্চর্য্য বলিতে হইবে । বাদশাহ বীরবলকে এতদূর বিশ্বান করিতেন, ও ভাল বাসিতেন যে ফি যুদ্ধে, কি অবসর কালে, সর্বদাই বীরবলকে সঙ্গে রাখিতেন। রাজ৷ বীরবলের সম্রাটের উপর এইরূপ প্রীধাস্: দেখিয়া অন্যান্য আমীর-ওমরাহ্গণ ইহার উপর অসন্্র$ ছিলেন। . আকবর শাহের একান্ত বিশ্বাস-ভাজন. ছিলেন বলিয়াই বীরবলের বিরুদ্ধে নানাবিধ মিথ্যা অভিযোগ আনয়ন করিয়াও কেহ কিছু করিয়। উঠিতে পারেন নাই । . বীর- বল বাদশাহের বিশ্বস্ত দৃত্তরূপে নানা দেশে প্রেরিত হইতেন। আকবর বাদশাহ বীরবলকে এতদূয় স্নেহ করিতেন যে তাহার ম্ৃত্যু-সংবাদ প্রথমে সম্রাটের নিকট ,পঁছছিলে তাহা তিনি রাজার কোনও শক্রুর ছলনা বাক্য বলিয়৷ বিশ্বাস করেন নাই। পরে প্রকৃত সংবাদ জ্ঞাত হইয়া যার পর নাই অ্িয়মান হইয়াছিলেন, এমন কি বহুদিন পর্য্যন্ত তীহার শোক হৃদয় হইতে মুছিয়া ফেলিতে পারেন নাই। ১৫৮৬ গ্রীষ্টাকে সম্রাটের আদেশে ইউন্থফজই আফগানদিগকে দমন করিষ্ঠত গিয়া উহাদের ছলনা-বশে পতত্রষ্ট হইয়া ইনি স্বৃতুমুখে পতিত হন। এই দ্বিতল অট্টা- লিকার উপরে ও নীচে চারিটী করিয়া প্রকোষ্ঠ। নীচের প্রত্যেক কক্ষটা দৈত্যে ও প্রস্থে ১৫ * ১৫ ফুট । উপরের তলার কক্ষগুলিও এই মাপেরই। আগ্রার কালেক্টার সাহেবের অনুমতি লইয়া দর্শকগণ এ স্থানে অবস্থান করিতে পারেন, তদ্রপ বন্দোবস্তাদিও . আছে। বীরবলের. . প্রাসাদের নিকটে, বাদশাহের অশ্বশালা ও : হাতীয়া-দরওয়াজাও দর্শন যোগ্য । অশ্বশালার কথা পূর্ব্বেই বলিয়াছি তাহা তেমন দর্শনীয় ও উল্লেখ যোগ্য নহে। এখন হাতীয়া-দরওয়াজা বা হাতীপুল-দরওয়াজার কথা বলিব। যোধবাই মহালের উত্তর দিকে অন্তঃপুরচারিনী মহিলাদিগের মস্জিদ ও প্রমোদোষ্ভান, তাহার দক্ষিণ-পূর্বব-কোণে একটা ছোট চৌবাচ্চা। এ ২৩৬ "পাপ সপপাস ২ ০০5 শি টিপ পি ৪ পপ পপ সপ ০০০ লিপ পপ পু + ২১৬১৮ সন ৯৮, 8, সলিমের সমাধি | ৪ কুম্থলীন প্রেস, কলিকাঁত1। সকলের পরে: বহুদুরব্যাপী ধ্বংসাবশিষ্ট প্রন্তর-স্তুপ, এ সকল স্তৃপ্রার প্রস্তরের শেষ প্রান্তে পর্নবতের একটু নীচে হাতীপুল-দরওয়াজা বিরাজিত্ত | বীরবলের প্রাসাদের অনতিদুরে ইহা অবস্থিত। এই দরজার খিলানের ছুষ্ট পার্খ হইতে ছুইটী প্রকাণ্ড প্রস্তরময় হস্তী বিরাজিত আছে, বাদশাহ আগওরঙজগজেবের রোষানলে পতিত হইয়া ইহারা এখন মস্তকহীন দেহে বিভ্মান। এই দরওয়াজা দ্বারা প্রাসাদের উত্তর দিকস্থ কাঁরবনসরাই ও হিরণমিনারে উপস্থিত হইতে পারা যায়। হাতীপুল পার হইলেই “সঙ্গিন বুরূজ”। ইহা ছুর্গপরিধির একটী ভগ্লাবশেষ । এই ভগ্নাবশেষের. নিকটেই সরাইয়ের ভগ্ন্তূপ ;--যখন ফতেপুর-সিক্রির গৌরব বিছ্বামান ছিল, যখন ইহ! জন-কোলাহল-মুখরিত স্তন্দর নগরীরূপে দেশ-দেশান্তরে পরিচিত ছিল, সে সময়ে এ স্থানে বিভিন্ন দেশাগত বাণিজ্য-ব্যবসায়িগণ আসিয়া আশ্রয় লাভ করিত। পূর্বেবে অন্তঃপুর হইতে হাতীপুল পর্য্স্ত অন্তঃপুরচারিণী মহিলাদের যাতায়াতের নিমিস্ত একটী সেতু-পথ ছিল-_ এখন তাহার ক্ষীণ অস্তিত্বও বি্কমান নাই। সে যেন এক স্বপ্র-কাহিনী। আমার নিকট প্রতিপদ বিক্ষেপে ইহাকে একটী উপকথার ঘুমন্ত পুরী: বলিয়া মনে হইতেছিল। প্রতি তোরণে, প্রতি মিনারে, প্রতি বিজন- প্রাসাদের নীরব কক্ষে এমনি এক গভীর স্তব্ধতা বিছ্ভমান যে, তাহা দর্শনে হৃদয়ে আপনা হইতেই এক গভীর বিষাদের ছায়৷ আসিয়া নিপতিত, হয়। কোথায় সেই “সোণার কাঠি রূপার কাঠি ? যাহার এন্্রজালিক স্পর্শে পুনরায় এ ঘ্ুমস্তনগরী জাগিয়! উঠিবে ! | এম্ান হইতে অল্লদুরে “হিরণমিনার” অবস্থিত। ইহা একটী ছোট প্রস্তর স্তস্ত। কিংবদন্তী হইতে জানিতে পারা বায়_-যে এই স্তত্তটি আকবর শাহের কোনও প্রিয়তম হস্তীর কবরের উপর নিম্দিত। এই কিন্বদন্ত্ী একেবারে অসত্য বলিয়া বোধ হয় না, কারণ উহার চিহৃম্বরূপ- স্তস্তের চতুর্দিক হইতে হৃস্তীদন্তের আকৃতির অনুরূপ বহুসংখ্যক প্রস্তর বাহির হইয়াছে । আমাদের ০০ নাহি হিরোর উপর হইতে শিকার খেলিতেন। | | যোধবাই মহালের উত্তর পশ্চিমকোণে বৰ মিমের প্রাসাদ অবস্থিত ২৩১. ভারত-ভ্রমণ। এই প্রাসাদে ধের নন চি বিষ্ভমান আছে বলিয়! ইহাকে সকলেই আকবর শাহের শ্রীষধর্্মাবলদ্ষিনী মহিষীর গৃহ বলিয়া! সিদ্ধান্ত করিয়াছেন । এই প্রাসাদের অবস্থা সন্তোষজনক | মরিয়ম বিবি পর্তগীজদেশবাসিনী মহিলা ছিলেন। কেহ কেহ এই প্রাসাদটিকে “সানেরি মহোল” নাঁমে অভিহিত করিয়া থাকেন; কারণ এইরূপ জনশ্রতি প্রচলিত আছে যে, এই মহালের সর্বত্রই বনুমূল্য স্থৃবর্ণালঙ্কারে পরিশোভিত ছিল। এই গৃহে পারস্কবি ফারদুদির শাহনামায় বিবৃত ঘটনাবলীর বনু চিত্র দ্বার ও ফৈজি- রচিত কবিতা-সমূহ দ্বার! সরঞ্জিত ও স্থশোভিত ছিল বলিয়া প্রবাদ শুনিতে পাওয়া যায়, কিন্তু এখন সে সমুদয় লুণ্ত হইয়াছে, কিছুই দেখিতে পাওয়া যায় না। বিবি মরিয়ম কে ছিলেন? তাহা কেহই প্রকৃতভাবে বলিতে পারেন না, কেহ কেহ ইহাকে পর্তগীজদেশবাসিনী রমণী বলিয়া নির্ণয় করেন, কিন্তু কীন সাহেব এ মতের পক্ষপাতী নহেন। তাহার মতে ইনি জাহাগীরের জননী ছিলেন। এই গৃহে হিন্দু ও গ্রীগ্তীয় উভয়বিধ চিত্রেরই অতি ক্ষীণ নিদর্শন দেখিতে পাওয়! যায়। বিবি মরিয়মের প্রাসাদের পূর্বদিকেই খাস-মহাল অবস্থিত, ইহার মধ্যস্থ চত্বরটি দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থ ২১০ ১১২০ ফুট । এই শ্চন্বরের মধ্যে একটা প্রশস্ত চৌবাচ্চা__চৌবা- চ্চার চারি তীর হইতে প্রস্তর নির্মিত সেতুদ্বার৷ সংলগ্ন--চৌবাচ্চার মধ্যস্থলে বসিবার খানিকটা যায়গা আছে। এই প্রাসাদের পূর্বদিকে খোয়াব-গা-হ্‌ নামক ত্রিতল অট্রালিকা বিরাজিত। ইহার প্রথম ও দ্বিতীয়তলে দেখিবার কিছুই নাই- প্রস্তর স্তন্তের উপর প্রস্তর ছাদ স্থশোভিত, চতুদ্দিকেই বাতাস খেলিতে পারে। ত্রিতলের উপরিস্থিত একটামাত্র প্রকোষ্ঠের চতুর্দিকে বারেন্দা, বারেন্নার চারিধারে চালার মত হেলান প্রন্তরের ছাদ। প্রকোষ্ঠটি দৈখ্যে ও প্রস্থে ৪ ফুট করিয়া, বারেন্দা প্রন্থে ৯।০ ফুট । এই কক্ষের চারিদিকে চারিটী দ্বার, দ্বারের উপরে ছোট ছোট জানালা ও তাহার উপরে প্রস্তরের ঝিল্লিকাটা আবরণ। পূর্বে এই প্রকোন্ঠটি নানাবিধ সুন্দর চিত্রাবলীতে পরিশোভিত ছিল। মধ্যে প্রায় লমুদয় লুণ্ হইয়। গিয়াছিল, কিন্তু স্মিথ সাহেব কোন কোন চিত্রের পুনরুদ্ধার করিয়াছেন। কোথাও জলবিহারের চিত্র, কোথাও বা দিস ২৩২ রি 7 2 ৮ ৮০ 1১০/০)1৮ 15:১৯০৮ ৫১ 55577 ৩১1১৪ ্ রি রর ণ ৮১1৭ 2 পন ১১৪৬ 401৮ 51০1 বটি সি এ ৪ নি ঃ পন নি ্‌ সু 2১ দৃশ্টের অবতারণা, কোথাও শিকার দৃশ্য ;--সবগুলিই স্বাভাবিক ও স্বন্দর, কিন্তু হায়! কালের প্রভাবে ক্ষীণ হইতেও ক্ষীণতর হইয়া গিয়াছে । একটা চিত্র বুদ্ধদেবের। প্রকোষ্ঠের দ্বারোপরি আকবর বাদশাহের প্রশংসা-সূচক নানাবিধ কবিতা দেদীপ্যমান, এসকল কবিতার রচয়িতা! ফৈজী। একটী দ্বারের উপরিস্থিত কবিতার ভাবার্থ এইরূপ যে “স্বর্গের দেববালাগণ এই কক্ষের দ্বারদেশস্থ ধূলিকণা! নেত্রের কড্দ্বল রূপে ব্যবহার করিতে পারেন।” অপর একটীতে আছে, “এই প্রাসাদ স্বর্গের অনুরূপ প্রস্তুত । ইহার প্রাঙ্গপকে স্বর্গের দ্বার-রক্ষকগণ দর্পণ স্বরূপ ব্যবহার করিতে পারেন। আকবর বাদশাহ এই প্রাসাদ শয়ন-মন্দির রূপে ব্যবহার করিতেন । এস্থান হইতে- আমরা বেগম মহল দেখিতে অগ্রসর হইলাম । এখানকার স্তন্দর সৌন্টব সম্পন্ন সৌধ-নিচয় দেখিলেই বুঝিতে পারা ষায় যে এক সময়ে আকবর বাদশাহ ইহাই আপনার পরিৰারবর্গের বাসস্থান রূপে স্থির করিয়াছিলেন। এস্থানে বহু ভিন্ন ভিন্ন প্রাসাদ অবশ্থিত্ত। সমস্তটা মহলই লোহিত-প্রস্তর-গঠিত। একটা বৃহৎ জাঙ্গিনার চতুষ্পার্খে অন্তঃপুরের গৃহশ্রেণী সুন্দর শোভা! পাইতেছে। অলিন্দে, স্তস্তে ও কক্ষের স্থন্দর নয়ন-মন-মোহকর কারু-কার্য্যাবলী দর্শককে বিমুগ্ধ করিয়া ফেলে । খাসমহলের ঠিক্‌ উত্তর পূর্বব কোণে রুমি বেগমের প্রাসাদ অবস্থিত, রুমি বেগম কে ছিলেন তাহার কোনও এঁতিহাসিক বিবরণ বিশদরূপে কেহই উল্লেখ করিতে পারেন নাই। এই প্রাসাদের সংলগ্ন স্তান্থুলি বেগমের প্রাসাদটি একতালা হইলেও ইহার কথা উল্লেখযোগ্য, ইহার প্রকোষ্ঠের ভিতর ও বহির্ভাগ সুন্দর প্রস্তর-কার্ধ্য দ্বারা স্থশোভিত। প্রকোষ্ঠের প্রস্তর প্রাচীরে খোদিত পণ্ড পক্ষী ইত্যাদি সকলই মস্তকহীন-_ এই সব মরতগুলি সকলই স্বাভাবিক__কিন্তু ধর্মান্ধ মোগল সম্রাটের রোষানলে পতিত হইয়া সে সমুদয় সকলই মস্তক বিহীন হুইয়! বিগত-স্রী। হইয়াছে । খাস মহলের উত্তর-পশ্চিম কোণে অন্তঃপুরস্থ ছেলে মেয়েদের পাঠশালা দেখিয়া আমরা পাঁচমহাল দেখিলাম। পাঁচমহালের গঠনাকৃতি অন্যান্য সৌধাৰলী হইতে একটু ভিন্ন রকমের। ইহা নিম্বতল হুইতে ক্রমশঃ ছোট হইয়া নি, ৩০ পাঁচষহাল। ভারত-ভ্রমণ । আর ইহার চতুদ্দিকই খোলা । নিন্তস্থ ছাপ্লাননটা স্তম্ত, আর সর্ধোচ্চ তলায় অর্থাৎ পঞ্চম তলায় মাত্র পাঁচটা স্ততস্ত। এসমুদয় 'স্তস্তগুলির আবার প্রত্যেকটিই বিভিন্ন প্রকারের শিল্পকার্ধ্য দ্বারা খোদিত। কোন্‌, উদ্দেশে এই প্রাসাদটি নির্মিত হইয়াছিল, তাহা! এখন নির্ণয় করা স্থবকঠিন। ইহার উপর হইতে চত্ুর্দিকের নৈসর্গিক দৃশ্য নিচয় বড়ই স্বন্দর দেখায়। এই প্রাসাদের এক পার্খে উত্তর দিকের চত্বরে দ্রশপচিশ বা পচিশি খেলার স্থবৃহড গ্রহ অঙ্কিত রহিয়াছে । প্রবাদ এইরূপ যে একএকটা স্ন্দরী রমণী স্ুসজ্জিত৷ হইয়া গুটির স্থান অধিকার করিতেন এবং স্বয়ং আকবর বাদসাহ বীরবলের সহিত এ সমুদয় গুটি চালনা করিয়। ক্রীড়া করিতেন। পাঠক, ০০০০৪০০৮০ মোহিনী ক্রীড়ার কথা চিন্তা কর। পঁচিশি ঘরের অপর দিকে দেওয়ানী খাস বা এক থাম্থা | হিরভাগ হইতে এই প্রাসাদটিকে দ্বিতল বলিয়া অনুমিত হয়, কিন্ত ভিতরে প্রবেশ করিলে লীপ্রই সে ভ্রম দূরীভূত হয়। ঘরের ঠিক্‌ মধ্যস্থল হইতে একটা বৃহদায়তন স্তস্ত উঠিয়াছে, এ স্তস্তের মধ্যস্থলে বসিবার একটা প্রস্তরাসন নির্িত আছে, উহাতে পঁহুছিবার জন্য চারিদিক হইতে চারিটা ১০ ফুট লম্বা দেওয়ানী খাস বা প্রস্তর-সেতু আসিয়। মিলিত হইয়াছে । উহা! আবার চারি ই বারা পার্থের বারান্দার সহিতও সংলগ্ন । স্তস্তের উপরিস্থিত সম- অফ্টকোণ বসিবার স্থানে বাদসাহ আকবর স্বয়ং উপবেশন করিতেন এবং তাহার চতুষ্পার্থস্থ বারান্দায় মন্ত্রী ও আমীর ওমরাহগণ উপবেশন করিতেন বলিয়া কথিত আছে। এক থান্বার প্রকাগুদেহ একটীমাত্র প্রস্তর কাটিয়া নিশ্মিত হইয়াছে,_ ইচ্ছা! দেখিবার বটে। দক্ষিণ দিকের বারেন্দা হইতে দুরশ্থিত ফতেপুর-সিক্রীর বস্তির দৃশ্য বড়ই স্বন্দর দেখায়। দেওয়ানী খাসের পশ্চিমে আখিমিচোনি বা জআখমিচোনি (47151) 1১110190101) অবস্থিত | জন-প্রবাদ এইরূপ যে আকবরসাহ এস্থানে অন্তঃপুরচারিণী মহিলাদের সহিত লুকোচুরি খেলিতেন। কিন্তু কীন সাহেব ইহার দৃঢ় গঠন ও অন্তঃপুর উি$81158888888539৩888888 জখিমিচনির ক 1556176)5 179170 3০০: 6০ & পাচ 70, ২৩৪ ক | 4 বিনে "1১0০৮১৮০২৬৭ 75 14 টি 121 লি, হস্তীস্তস্ত (এলিফেণ্টা! মিনার)--ফতেপুর সির র.সিক্রি। প্রেস, কলিকাত!। ফতেপুর-সিক্রী | সম্মুথস্থ একটা ক্ষুদ্র অট্টালিকা আছে, ইহাতে মকরমুখাকৃতি কারুকারয্যাদি আঁখি মিটসি। আছে; কথিত আছে যে এস্থানে একজন বৈষ্ণব সাধু বাস করিতেন। প্রসিদ্ধ পুরাতববিদ ফাগুসন সাহেব ইহার মকরমুখাকৃতি কারুকাধ্যাদি দর্শনে ইহাকে জৈনভাবের অট্টালিকা বলিয়া অনুমান করেন। আগ্রা দুর্গের ষে যোধবাই মহল দেখিয়া আসিয়াছি তাহাও ইঈদৃশ মকরমুখাকৃতি কারুকার্য রাশিদ্বারা পরিশোভিত, তাহা বলিয়া কি এঁ অট্রালিকাকেও জৈন প্রভাবের বলিতে হইবে ? অনেক সময় অনুমান অসত্য বলিয়াই প্রতিপন্ন হয়। পঁচিশি ঘরের পূর্বদিকে “দেওয়ানী আম” নামধেয় দ্বিতল অট্রালিকাটি বিরাজিত। কথিত আছে যে, এই দ্বিতল অট্রালিকার একটা প্রকোষ্ঠে প্রকাশ্যভাবে উপবেশন করিয়৷ সম্রাট বিচারাদি করিতেন । যে কক্ষে বসিয়া তিনি বিচারাদি করিতেন তীহারি সম্মুখভাগে নিম্সে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ৩৬০ ৮ ১৮০ ফুট একটা চত্বর। এই চত্বরের চতুর্দিকে বারেন্দা, যে স্থানে বাদসাহ বসিয়। বিচার করিতেন, সে স্থানে যাইবার তেমন কোনও সহজ পথ নাই। দেওয়ানী আমের চত্বরের উত্তর পূর্ববদিকে ডাকবাংলার রাস্তা, সেই রাস্তার উত্তর পার্থে টাকশালের ধ্বংসাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়, কিন্তু ইহাই যে ট'কশাল ছিল তাহার বিশেষ কোনও প্রমাণ বিষ্ঞপমান নাই । খোয়াবাগের অল্পদূরে হামাম বা ন্নানাগার। এক সময়ে এই ভগ্ন তমসাবৃত গৃহ নানারূপ সুন্দর স্বন্দর চিত্রে পরিশোভিত ছিল এবং ইহা বিলাসিতার অপুর্ব নিকেতন ছিল, কিন্তু আজ ইহার সৌন্দর্য্য লুপ্ত, কক্ষ ধূলিধূসরিত ও নীরবতার আধার । যেখানে একদিন বিলাসিনী স্ুন্দরীগণের বিলাস-আোতে ও কলকণ্টের মধুর বাক্যালাপে আনন্দ-লহর নৃত্য করিত, এখন তাহা শৃগাল কুকুরের চরণ-লাগ্ছিত ও আরাম নিকেতনে পরিণত হইয়াছে । সংসার, এই কি তোমার লীলা! এই কি ক্ষুদ্র মানব জীবনের চরম সুখ ? খোয়াবাগের ছ্বিতল অনট্রালিকাটি একদিন নানাবিধ ননদ সুমধর চির পরিশোভিত ছিল, এখনও দে সকলের অস্পষ্ট চিহ্ন দেখিতে পাওয়া ষায়। কথিত আছে যে ইহা সম্রাট আকবরের শয়ন-গুহ ছিল। বেগমমহুল বা ২৫ ভারত-ত্রমণ | খাসমহলের অধিকাংশ দ্বারই এই শয়ন গৃহের সহিত গুপুব্বার পথে সংশ্লিষ্ট ছিল বলিয়া শুনিলাম, কিন্তু আমরা তাহার কোনও চিহ্ন দেখিতে পাইলাম না । একটা প্রাসাদকে আমাদের গাইড বীরবলের কন্যার প্রাসাদ বলিয়া উল্লেখ করিল-_বীরবলের কোনও কন্যা সস্তান ছিল কিল! তাহা জান! যায় নাই। আমাদের বোধ হয় এই সৌধটি বেগমমহলের অতি নিকটে স্থাপিত বলিয়াই ঈদৃশ নামাকরণ হইয়াছে । আমর! বহুদূর বিস্তৃত ধ্বংসাবলীর মধ্য দিয়া ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিতে করিতে অবশেষে পুনরায় বুলন্দ দরওয়াজার নিকট আসিয়া উপস্থিত হইলাম । বুলন্দ দরওয়াজার বাম পার্থে একটা প্রকাণ্ড বাঁধান ইন্দারা দেখিলাম, ইহার জল এখন ছুগন্ধযুক্ত ও অব্যবহার্ষ্য হইয়া পড়িয়াছে। এই দরওজাজার দক্ষিণে দৃঢ় এবং স্থুপ্রশস্ত প্রস্তর-নির্রিত সোপানাবলী নিন্গে নামিয়াছে। বর্তমান সিক্রি ইহার পূর্বদিকে অবস্থিত। আমরা আমাদের বর্ণিত স্থান সমূহ দর্শনান্তে যোগী-কা-ছত্রী, নাগিন মস্জিদ, ইস্তান্থুল বেগমের প্রাসাদ ইত্যাদি দর্শন করিলাম । ফতেপুর-সিক্রীর বিস্তৃত দেহের স্তবন্ধভাব হৃদয়ে একটা বিষাদের ছায়া ফেলিয়া দেয়। যে সিক্রি একদিন দেশ- দেশাস্তরের শিল্লিগণের ও জনসাধারণের কল-কোলাহলে দিবারাত্রি মুখরিত খাঁকিত, এখন ত্রাহা পরিত্যক্ত ৷ পূর্বে যে স্থান বাণিজ্যের জন্য বিশেষ প্রসিদ্ধ ছিল এখন লে স্থান কেবল পাহাড়ের প্রস্তরের জন্ট বিখ্যাত। পূর্বে ফতেপুর-সিক্রির উত্তরাংশে একটা বিস্তীর্ণ সুদ ছিল, উহা! দৈর্ধ্য ছয় মাইল এবং প্রস্থে ছুই মাইল ছিল-_হুদের উত্তর দিকে পর্ববত এবং দক্ষিণাংশে উচ্চ বাধ ছিল। “আইন-ই-আকবরী” পাঠে জানিতে পারা যায় যে পূর্বে কখন কখনও হ্রদের জল বাঁধ ছাড়াইয়া চতুদ্দিক প্লাবিত করিয়া ফেলিত--এবং যথেষ্ট ক্ষতি করিত। এই হদের জল দ্বারাই ফতেপুর- সিক্রির বিভিন্ন স্থানের চৌবাচ্চাসকল পূর্ণ করা হুইত, এখনও সে সমুদয় শিল্প-চিহ্ছের ধ্বংসাবশেষ বিধান থাকিয়! প্রাচীন শিল্পীগণের শিল্পের চরমোতুকর্ষ প্রকাশ করিতেছে । উত্তর-পশ্চিম প্রদ্দেশের শাসনকর্তা! মৈসন সাহেবের শাসন সময়ে ইহার জল সেচন করিয়া ফেল! হইয়াছে, তদবধি ইহার শুক্ষদেহে কৃষকগণ চাষবাস করিয় থাকে । আমাদের পুর্ব বর্ণিত ২৩৬ খোয়াবাগ। বা 1 1৫১৪১) 4/2/5 2 ১৮৮০৪১ 9111৩ %. 1890 পা । পৃ বৃ নর লক তাপ কও দি ০ পিই 1১118, এ টানিত জি ১০৯৯ রী া 4 1১) মা. ধা. 1" চীন... । কি ফতেপুর-সিক্রী। বুলন্দ-দরওয়ার্জার নিকটস্থ চত্বরের পশ্চিমাংশে একটী মস্জিদ অবস্থিত, ফাগুন সাহেব এই মস্জিদটিকে অতি উচ্চ স্থান প্রদান করিয়াছেন, তিনি বলেন 41716 £1015, 1০৮৮৮, 06 চ06010019 91007 15 15 00099005, 77101) 15 1081৭1) 50158555ণ 7 2109 10 [1015৮ (5156915 0610700181] 8101166000175 1 58০) এই জুম্মা মস্জিদটিও অন্যান্য প্রীসাদাদির ম্যায় লোহিত প্রস্তর দ্বারা নির্টিত। প্রস্তরের প্রাচীরের উপরে মুসলমানধন্ম্-বিগহিত হইলেও এমন স্ন্দর স্থুন্দর চিত্রাবলী ও কারুকার্য্য দ্বারা পরিশোভিত যে তাহ প্রত্যক্ষ দর্শন ন৷ করিলে ভাষ! দ্বারা পাঠকের নয়ন সমক্ষে সঠিক চিত্র অস্কিত করিতে পারা যায় না। এই মস্জিদটি হিন্দু ও মুসলমানের মিলনের অপূর্বব কীন্তি। এই মস্জিদেই সম্ট আকবর বাদশাহ তীহার প্রবস্তিত ইমাম ধর্মের প্রচলনের প্রয়াস পাইয়াছিলেন-_আর এস্থানেই “আইন-ই-আকবরী' প্রণেতা আবুলফজলের সহিত তাহার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। মস্জিদের খিলানের উপর ইহা “দ্বিতীয় স্বর্গ” এইরূপ লিখিত আছে। মস্জিদের সাঙ্কেতিক লিপি দৃষ্টি বোধ হয় ইহা! ১৫৭১ শ্রীষ্টাব্ধে আকবরসাহ কর্তৃক নির্মিত হইয়াছিল। এখন আমর! ফতেপুর-সিক্রির উৎপত্তির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বর্ণনা করিয়া এই প্রবন্ধের উপসংহার করিব। কথিত আছে যে আকবর বাদশাহ ছুইটী পুক্র সন্তানের অকাল মৃত্যুতে বড়ই ঘ্রিয়মান হইয়৷ পড়েন। তিনি নিঃসস্তান অবস্থায় নানা চিন্তার মধ্যে বড়ই বিরস ভাবে কালাতিপাত করিতে থাকেন, সে সময়ে সিক্রিপাহাড়ের নিভৃত গুহাত্যন্তরে পারশ্যাদেশের বিখ্যাত ফকির মৈনুদ্দীন চিন্তির শিষ্য সেলিমচিন্তি নামধেয় জনৈক ফকির বাস করিতেন-_সভাসদ্বর্গের উপদেশে আকবর সাহ এই ফকিরের কৃপাপ্রার্থী হইলেন, তখন সিক্রিতে সামান্য বসতি ছিল এবং চারিদিকে জঙগলাবৃত ছিল--ফকির জন-কোলাহল হইতে দূরে এই নিভৃত স্থানে বসিয়া ঈশ্বরোপাসনা করিতেন। সম্রাট পূর্বেও এই ফকিরের মাহাত্ম্য অবগত ছিলেন, এখন সভাসদ্‌- গণের উপদেশে এবং এই ফকিরের অদ্ভুত ক্ষমতা সম্বন্ধে বিশেষদ্ধপে ৯2০4১ ০5০ ভারত-জমণ | অবগত হইয়া ইহার কৃপাপ্রার্থী হইলেন। ১৫৬৯ শ্রীষ্টাব্দে আকবর বাদসাহ উজবেক আমীরদিগকে দমন করিয়া প্রত্যাবর্তনকালে সিক্রিতে ফকিরের নিকট স্বীয় মনঃকষ্টের কারণ ও প্রার্থনা জ্ভাপন করেন, কিন্ত্ত ফকির সাহেব বাদসাহ্থের মনোবাঞ্চ! পুর্ণ করিতে অস্বীকার করায়, তিনি যখন মনের দুঃখে প্রত্যাবর্তন করিতেছিলেন তখন ফকির সাহেবের ছয় মাস বয়স্ক শিশু "নিজ জীবনদানে বাদসাহকে পুজ-বর প্রদান করেন। জগদীশ্বরের কৃপায় সেই বসরই নিঃসস্তান আকবর বাদসাহের পুজ্রের জন্ম হয়। কথিত আছে যে অন্বর রাজকুমারী গর্ভাবস্থায় এস্থানে অবস্থান করিয়াছিলেন এবং এখানেই জাহাগীর ভূমিষ্ঠ হ'ন। অগ্ঠাপি জনসাধারণে জাহাগীরের আতুড় ঘর দেখাইয়া থাকে । আকবর সাহু ফকিরের প্রতি কৃতজ্ঞতার নিদর্শন স্বরূপ ফকিরের নামান্ুকরণে পুল্রের নামও সেলিম রাখেন। কুমারের জন্মের পর হইতেই সিক্রীতে রাজকীয় বাসস্থান ইত্যাদি নিশ্মিত হইতে আরম্ভ হয়--এবং ক্রমে ইহা ম্ুন্দর স্থন্দর সৌধমালায় বিভৃষিত হইয়া মনোহর নগরের আকার ধারণ করে। ১৫৬৩ খ্রীষফাব্ে আকবর বাদসাহ গুজরাট প্রদেশস্থ মিরীহোসেনের বিদ্রোহ দমন করিয়া প্রত্যাবর্তন করতঃ তাহার এই নুতন রাজধানীর নাম ফতেপুর রাখেন । ক্রমে ইহ! প্রাচীর বারা বেষিত হইয়৷ সর্বব প্রকারে সুরক্ষিত হইতে থাকে | কিন্ত কয়েক বতসর পরে আকবর বাদসাহ ফতেপুর হইতে পুনরায় রাজধানী আগ্রাতে পরিবর্তন করেন। তিনি কেন এই ভাবে ইহাকে পরিত্যাগ করিলেন এ সম্বন্ধে নান৷ প্রকার জন্প্রবাদ শুনিতে পাওয়া যায়; কেহ কেহ বলেন যে নব প্রতিষ্ঠিত রাজধানীর নিকট কোনও জোতম্থিনী প্রবাহিত না থাকায় নগরে জলের বিশেষ কষ্ট হওয়ায় তাহাকে এই নগরী পরিত্যাগ করিতে হুইয়া- ছিল, একথা আমাদের নিকট সম্পূর্ণ অলীক বলিয়া প্রতীয়মান হয়, কারণ আমাদের পূর্ব বর্ণিত হ্রদের বিবরণী পাঠেই পাঠক তাহার অযৌস্তিকতা বুঝিতে সক্ষম হইবেন। দ্বিতীয় প্রবাদ বাক্যই আমাদের নিকট ষথার্থ বলিয়। প্রতীয়মান হয়। ফকির সেলিমচস্তি রাজধানী হওয়ায় দিবারাত্র জন-কোলাহলে ঈশ্বর চিন্তার ব্যাঘাত হয় দেখিয়া! আকবর বাদসাহকে ফতেপুর-সিক্রি হইতে রাজ- ২৩৮ ক জকি ০. বনপা ও ০1 তা তা পাল লাবরু। রিশা পপ হুঁ চি ২ স্পট নর সা প্পল ওি চি দাদ / 1 | ৬1 এ রি ৃ তত পর রর $ 8 ১17701 ক রি /ঁ], নর . ৫ রর ঠ ূ রর ধা ৮৭: 5 111771 ( «৬০৯ | | ৃ সহ, চি ১ ফতেপুর-সিক্রী। ধানী পরিবর্তনের নিমিন্ত জন্ুরোধ করেন, বাদসাহ ও তদনুষায়ী কাধ্য করেন__-তদবধি ক্রমশঃ ইহা জনশূন্য হইয়া নীরবতার পূর্ণ আধার হইয়া পড়ে। . জাহাগীর বাদসাহের আত্মজীবনী হইতে জানিতে পারা যায় যে তাহার রাজন ফতেপুর সিক্রির সধ্য দিয়! যাতায়াত বিশেষ ভয়-সঙ্কুল হইয়া পড়িয়াছিল। ফতেপুর সিক্রির নির্ন প্রাসাদাবলী ও ইহার চতু্দিকের ধ্বংসাবশেষ দেখিবার বটে। ভারতের ভূতপূর্ণব বড়লাট লর্ড কার্জনের আদেশে এই সমুদয় প্রাসাদাবলীর পূর্ণ জীর্ণ-সংস্কার হইয়া এবং ইহাদের লুপ্ত প্রায় চিত্র সমুহের পুনরুদ্ধার হইয়া এখন ইহা নব-্রী ধারণ করিয়াছে। বুলন্দ জি জী একটী কথ! বলা আবশ্যক বিবেচনা করি। কালন : সাহেবের মতে পৃথিবীতে ও এইরূপ উচ্চ খিলান আছে কিন সন্দেহ এবং ইহা ভারতে অদ্বিতীয়; উচ্চ ভূমির পৃষ্ঠে ইহার _ বিরাট প্রস্তর দেহ অগ্ঠাপিও নব-যৌবনের দৃঢ়তায় বিরাজিত। কি হইতে ইহার উচ্চতা ১৩০ ফুট। ইহার উপর হইতে আগ্রার তাজমহল দেখিতে পাওয়া! যায় এবং চারিদিকের দৃশ্যাবলী বড়ই স্থন্দর দেখায়। বুলন্দ দরওয়াজার বিশাল দেহের নিকট ফতেপুর সিক্রির অন্যান্য প্রাসাদাবলী নিতান্ত ক্ষুদ্র বলিয়া! বিবেচিত হয়। ফতেপুর সিক্রির বিশেষ বিশেষত্ব এই যে, এখানকার সমুদয় প্রাসাদই আকবর বাদসাহের নির্মিত, এখানে অন্য কোনও সম্রাটের নিদ্ধিত কোনও সৌধ ইত্যাদি নাই। একস্থানে একটা..কুপকে ]071108 ১০]| কহে-__-এই বৃহৎ কূপের বা ইন্দারার মধ্যে ছোট ছোট ছেলের! যুবকেরা এমন কি পঞ্চাশ বশুসর বয়স্ক বৃদ্ধেরাও প্রত্যেকে ছুই আনার পয়সা! লইয়া অত্যুচ্চ প্রাসাদ-শিখর . হইতে লাফ দিয়! পতিত হয়_ ইহা দেখিবার বটে; কূপের মুখের ভাগ একটা ছোট পুকুরের ন্যায় বৃহৎ হইবে । | আমাদের ফতেপুর সিক্রির চতুরদ্ক ঘুরিয়া ফিরিয়া দেখিতে দেখিতে বেলা প্রায় শেষ হইয়! আসিয়াছিল। ইতিমধ্যে এক ভগ্ন উদ্ান মধ্যে বৃক্ষ ছায়ায় বসিয়! বিশ্রাম ও মধ্যাঙ্ন ভোজ সমাপন করিয়া লইয়াছিলাম__কারণ আমর! আগ্র। হইতেই জানিতে পারিয়াছিলাম ষে কতেপুরে খাত্ত রা ব্যা্ি ও পানীয়ের নিতান্ত অভাব,-_এখানে আসিয়াও তাহাই দেখিলাম। ইবুদধির বল দাবা ভারত-ভমণ | যত খান দ্রব্যাদি ও পানীয় সঙ্গে করিয়৷ আনায় এখন এখানে গুরুতর শ্রমের পরে দিব্য একটু আরাম ভোগ করিয়াছিলাম। সন্ধ্যার কিছু পূর্বে আমরা সিক্রি পরিত্যাগ করিলাম-_-একটী গভীর নৈরাশ্যের ছায়া! হৃদয় ব্যাপিয়৷ ফেলিল। ক্রমে অন্ধকার ঘনাইয়! আসিতে লাগিল, হীরক খণ্ডের ম্যায় তারকামাল1. গগনে প্রকাশিত হইল-__স্সৌ সৌ! রবে গাছের. পাতা কাঁপাইয়া নৈশ-বায়ু ছুটিয়া চলিল। আমর! সকলে নীরব-__কাহারও মুখে কথাটি নাই, সারা দিবসের পরিশ্রমে ও রৌদ্রের নির্যাতনে শরীর নিতান্ত অবসন্ন হইয়! পড়িয়াছিল__-কোন রকমে ক্ষুত্র ঘোড়ার গাড়ীতেই ভন্দ্রাভিভূত হইয়! পড়িলাম । যখন আগ্র! পহুছিলাম তখন রাত্রি প্রায় দশটার অধিক । জনপূর্ণ রাজবর্ত-_নীরব ও নিস্তব্ধ । বাসায় পঁনুছিয়। সে রাত্রিতে আর আহারাদি না করিয়াই শয্যার আশ্রয় গ্রহণ করিলাম, সমুদয় দিবসের ক্লান্তি ও অবসাদ ন্সেহময়ী নিপ্রাদেবীর স্সেহ-কর-স্পর্শে দূরীভূত হইল। হায়! সংসগায়, হায়! নশ্বর জগত,__চারিদিকে বিরাট ধ্বংসের মুক্তি তুমি বিস্তার করিয়৷ রাখা সত্বেও মহামোহে বদ্ধ মানব আমরা, কালের ভীষণ ছুন্দুভিনাদ শ্রবণ করিতে পারি না__তবুও বুঝি না__আমাদের ধন জন-__জামাদের আশা ভরস! কত ক্ষুত্র-_কত ক্ষণিক | - 38? ০জানলঞ্পুল্র ॥. : , (্োলপুর মধ্যভারতের অন্তর্গত ঢোলপুর রাজ্যের রাজধানী । এই রাজ্যটি ৭২ মাইল দীর্ঘ এবং ১৬ মাইল প্রস্থ। ইহার উত্তর সীম আগ্রা, দক্ষিণে চম্বলনদী এবং পশ্চিমদিকে করৌলি ও ভরতপুর। চোলপুরই এই রাজ্যের প্রধান নগর, এস্থানে ব্রিটিশ গভর্মেণ্টের 7০11007 41) বাস করিয়। থাকেন। চোলপুরের রাজাই এই রাজ্যের সমগ্র ভূ-খণ্ডের একমাত্র অধিপতি__ইঁহার অধীনস্থ জমিদারগণ এবং মাতব্বরগণ প্রজাদের নিকট হইতে কর আদায় করিয়! রাজকোষে প্রেরণ করেন। এস্থানের শাসনকর্তাগণ জাটবংশীয়, ইহাদের পূর্বপুরুষের প্রাচীন সময়ে গোয়ালিয়রের নিকটবর্তী গোহাদ নামক স্থানের জমিদার ছিলেন বলিয়া কথিত আছে। ঢোলপুরের মহারাণারা সম্মানার্থে ক্রিটিশ গভর্মেন্টের নিকট হইতে পনেরটা তোপ পাইয়৷ থাকেন, এস্থানে ৬০০ শত অশ্বারোহী, ৩৬৫০ পদাতিক, ১০০ শত গোলন্দাজ সৈন্য ও ৩২টা কামান আছ্ছে। এই ছোট সহরটিতে দর্শনীয় তেমন কিছুই নাই। ঢোলপুর নগরী আগ্রা হইতে বোম্বাই পধ্যন্ত যে গ্রাণ্ড ট্রাঙ্ক রোড গিয়াছে তাহার ৩৪. মাইল দক্ষিণে এবং গোয়ালিয়র নগরের ৩৭ মাইল উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। বর্তমান টোলপুর নুতন ঢোলপুর। রাজা ঢোলনদেবের নির্ষ্মিত ঢোলপুর একেবারে চণ্মস্বতী নদীর তটদেশে অবস্থিত ছিল, পরে ১৫২৬ ধীষ্টাবে প্রথম মোগল সম্রাট বাবর ইহা! অধিকার করিলে তৎপুক্জ হুমায়ুন প্রাচীন চোলপুর নগরী চন্স্থতী নদীর কুক্ষিগত হওয়ার অশঙ্কায় উহা আরও য়ে স্ামাস্তররিত করেন। সম্রাট আকবর এস্থানে একটা উচ্চ ও স্থুরক্ষিত রাই নি করিয়াছিলেন । নগরের নৃতন অংশ ও রাজপ্রাসাদ রাখা রাকোর কথা। ৬৪ এক রাজবাটী ব্যতীত দর্শনীয় কিছুই নাই, রাজ- রে ফেল উল যোগ বি রেসি লা পরী বারন বাগে, ররর রর কাজিন যাইতে পারে। ভারঙ-ভ্রমণ । এই কৃপের চারিদিক প্রাস্তরমন্তিত ও জলের কিছু উপরেই দেয়াল-সংলগ্ন সারি সারি গ্যালারী । এক. পার্খের স্বপ্রশস্ত সৌপান-পথের সাহায্যে এ সকল গ্যালারীতে অবতরণ করা যায়। কূপের সলিলরাশির সহিত একটা বৃহৎ চৌবাচ্চা সংযোজিত আছে এবং মৃত্তিকার উপরে দ্বিতল অট্টালিকা সমুহ বুস্তাকারমুখে চারিদিক ঘিরিয়া রহিয়াছে । | .. প্রতি বুসর কান্তিক মাসে এস্বানে পনের দিন ধরিয়া একটা মেলা হইয়া থাকে--সেই মেলায় ভারতের নানাস্থান হইতে বহুসংখ্যক অম্ম, গবাদি পশুসমূহ ও আগ্রা, দিলী, কাণপুর, লক্ষৌ প্রভৃতি স্থান হইতে পণ্য- দ্রব্যাদি আনীত হইয়া বিক্রীত হয়। ঢোলপুর নগরের তিন মাইল পশ্চিমে মুচুকুন্দ হুদ নামক একটা অতি রমণীয় হুদ আছে, এই হ্রদ প্রায় ১২৫ বিঘ| বিস্তৃত ও তত্যন্ত স্থগভীর। ইহার চতুর্দিকস্থ গিরি-বন-রাজি- বেষ্টিত প্রাকৃতিক শোভা! নয়ন-মন-মুগ্ধকর । শ্যামলা-ধরিত্রী জননী যে কত বিচিত্র সৌন্দর্্যপূর্ণা, তাহা ধিনি কখনও বিভিন্ন দেশাদি পর্যটন করেন নাই তাহার পক্ষে হৃদয়জম করা অসম্ভব। চতুদ্দিকস্থ গিরিসমূহ হইতে বৃষ্টির জল আসিয়! এই হ্রদের কলেবর পরিপুষ্ট রাখিতেছে। একদিকে নির্জনতা ও অপরদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দধ্যে বিভূষিতা এই স্থানট