লানশীল, বি1হলাভী, জমণ-প্রিয়

মযমনসিতহ কালী নুরের পরা ষ্টনানা

1

চি

মাংপকার্য।

স্রগীয় পিভুদের

তারিণীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী

ভু সন্দরাপ্ররান

[| গছ 9 গে

৯৪৯-৪০২২-সন,

চ্িক্কা |

অতি শৈশব হইতেই আমার হৃদয়ে ভ্রমণ-স্পহা জাগরিত হয়। আমার প্রথম নমণ স্বর্গীয় পিতৃদেবের সহিত ৬কাণীধাম দশন, সে আজ প্রার চল্লিশ বৎসর পূর্বের কথা, তথন বর্তমান সময়ের ন্যায় যাতায়াত এত সুগম ছিল না। পূর্ববঙ্গ রেলওয়ে লাইনের (1:. 1). ১. 1২.) শেব ষ্রেন ছিল তখন কুগ্টিয়া,-ওদিকে আবার ঢাকা হইতে ময়মনসিংহ পর্যান্তও রেলওয়ে হয় নাই, কাজেই এতটা পথ নৌকাযোগে আসিতে হত এখন যেমন ভারতের এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্য্যন্ত গমনাঁগমন করিতে কোনওরূপ ক্লেশ সহ করিতে হয় না--তখন সেরূপ ছিলন! ;_ আমরা ময়মনসিংহ হইতে নৌকাযোগে ব্রহ্মপুল্র, যমুনা, পন্স, গৌরাই প্রভৃতি নদী বাহিয়া আসিয়! কুষ্টিয়া পনছিতাম। নৌকাযোগে যাতায়াত এখন একরূপ উঠিয়া গিয়াছে, এরূপ লমণে থে কতখানি স্ুথ-স্বাচ্ছন্দা-ভোগ এবং দশন-কুতুহল চরিতার্থ হয়, তাহা এখন আমরা বুঝিতে অক্ষম; কারণ তখন সময়ের মুল্য এতটা বুঝিতাম নাঁ_ এখন বেশ বুঝি, কাজেই কনব্যের তাড়নার সঙ্গে সঙ্গে সময়ও খুঁজিয়া পাই না! সে পূর্বের আমোদ-প্রমোদ মণের রীতিনীতিও তাই বহুল পরিমাণে বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে। প্রথমবার বৈগ্ঠনাথ ৬কাশাধাম দর্শন করি। বৈগ্যনাথের পাহাড়গুলির ধুম সৌন্দধা, বনভূমির শ্যাম মাধুযা এবং নিম্মলসলিল! জাহ্রবী-তটবর্তী ৬কাশীধামের নাগরিক শোভা-সম্পদের সুরমা-চিত্র আমার হদয়ে মুদ্রিত হইয়া গিয়াছিল, বয়ঃ প্রাপ্তির মঙ্গে সঙ্গে নানাপ্রকার বৈষয়িক কম্ম কঠোরতার মধোও আমার সে ভ্রমণ-স্পৃহা হাঁস হয় নাত; অবদর ক্রমে ধখন সুযোগ বুঝিয়াছি, তখনই ভ্রমণে বাহির হইয়াছি, _ এইরূপভাবে বহুবার ভারতের বিভিন্ন স্থান পধাটন করিয়াছি-__এ ভ্রমণ-কাহিনী সে পর্যটনের ফল। |

কোনদিন সাহিতাক্ষেত্রে অগ্রসর হই নাই--কিংবা কোন সামান্ত রচনায়ও হস্তক্ষেপ করি নাই, কাজেই বিরাট গ্রন্থ লইয়া আজ বড়ই সন্কুচিত চিত্তে সাহিত্য- ক্ষেত্রে অগ্রসর হইতেছি। আশা করি, সুধীবুন্দ আমার বৃষ্টতা মার্জনা করিবেন। আমার ভ্রমণ-কাহিনী কোনদিন গ্রন্থাকারে মুদ্রিত করিব এরূপ কল্পনাও আমার মনে আসে নাই, কারণ বঙ্গসাহিত্যেও আজকাল আর ভ্রমণ-কাহিনীর অভাব নাই! দশজনের নিকট গল্প করিয়াই আমি শান্তিলাভ করিতাম, কোথায় কোন্‌ বিপদে পড়িয়াছি--কেমন করিয়া সে বিপদ উত্তীর্ণ হইয়াছি--নানা দেশের নানা রীতিনীতি আচারবাবহার, প্রাকৃতিক দৃশ্ত নাগরিক সমৃদ্ধির আলোচনাই'

|০/০

আমার তৃপ্তির কারণ ছিল। গ্রন্থ-প্রকাশের কল্পনা একজন মহীয়সী মহিলার অনুরোধে আমার হৃদয়ে সর্ধপ্রথমে জাগরিত হয়। ময়মনসিংহ গৌরীপুরের প্রসিদ্ধ জমিদার শ্রীমান্‌ ব্রজেন্ত্রকিশোর রায় চৌধুরীর জননী, দানশীল! শ্রীযুক্তা বিশ্বেশ্বরী দেবীচৌধুরাণী আমাকে বহুবার বিষয়ে অনুরোধ করেন-তাহার সে অনুরোধ আমার নিকট অসঙ্গত বলিয়া মনেহয় নাই-_অতঃপর বন্ধুবান্ধব ধাহাঁদের নিকট কথা বলিয়াছি, তাহার সকলেই মন্তব্যের সারবস্তা অনুভব করিয়া আমাকে এবিষয়ে উৎসাহিত করেন, তাহাদের সে উৎসাহে উৎসাহিত হইয়াই অগ্য এই ভ্রমণ-কাহিনী প্রকাশে সমর্থ হইলাম

যে ভারতবর্ষ স্থদূর অতীত হইতে বর্তমান কাল পর্যন্ত নানাপ্রকার কৃত্রিম অকুত্রিম সৌন্দর্যো গঠিত, যাহার নাঁনাবিধ সৌন্দধ্যের বার্ভী জগতের বিভিন্নাংশের 'অধিবাসীবৃন্দের নিকট স্বর্গলোকের ন্যায় অপূর্বব বলিয়া পরীকীর্তিত হইয়া আসিতেছে-_ সেই দেশের অধিবামী হইয়াও আমরা তাহাকে সম্পূর্ণরূপে উপলব্ধি করিবার চেষ্টা যব হইতে বঞ্চিত! একটা কথা আছে "যাহা নাই ভারতে--তাহা নাই জগতে”, যিনি ভারতের বিভিন্নাংশ পর্যাটন করিয়াছেন তিনিই উক্তির সারবত্তা জদয়ে অনুভব করিবেন। এমন শ্তন্দর দেশ জগতে কোথায়? তুষার কিরীট-শোভিত হিমালয়ের বিরাট বিপুল সৌন্দর্য্য-_জাহুবী, কাবেরী, সিদ্ধ, গোদাবরী, যমুনা, ব্রহ্ষপূজ প্রড়তি নদনদীর বক্রগতি, রজত শুভ্রব_সলিল শোভা, দিগন্ত-বিস্কাত অরণানী, প্রাচীনের পরিতাক্ত এঁতিহাসিক তীর্থস্থলসমূহের কঙ্কাল চি, এক অবাক্ত মহিমায় ভাঁরতবর্ষকে জগতের নিকট বিধাতার ষ্টি-গৌরব-স্বদূপ নিরাজমান রাখিয়াছে। এত বিভিন্ন প্রকারের সৌন্দর্য, এত বিভিন্ন প্রকারের জল বায়ু, এত বিভিন্ন প্রকারের ভাষা, ধর্ম, জাতি, আচারব্যবহার, রাতিনীতি আশ্চধ্যরূপে এক ভারতবর্ষে বিছ্ামান। সেই ভারতের অধিবাসী হইয়াও 'আমর! ভারতকে দেখিতে জানি না, সুদূর ইউরোপ মামেরিকার অধিবাসীবৃন্দ ভারতকে যে ভাবে অধায়ন করিয়াছেন, আমরা তাহারি শ্নেহকোলে লালিত পালিত হইয়া তৎসন্বন্ধে একেবারে অন্ঞ। ভ্রমণ লোকের শিক্ষাকে মান্জিত উন্নত করে-_-উতার দ্বারা বভ অপঠিত ইতিহাস পঠিত হয়_- শ্ানক নৃতন শিক্ষা জ্ঞানের সঙ্গে অনেক বৃথা দন্ত, অহঙ্কার 9 সংকীর্ণতা জদয় হইতে দূর হয়-_লমণের শিক্ষা জদয়ে যেরূপ দুঢ়রূপে মুদ্রিত হইয়া যায়-_অন্ত কিছুতেই তদ্রপ হয় না, অতএব ভ্রমণ-স্পৃহা মানিবমাত্রেরই থাকা অবশ্য কর্তব্য কত প্রাচীন সমৃদ্ধিশালী রাঞ্জবংশ, কত প্রাচীন সমৃদ্ধ নগরের এখন অন্তিত্ব 'নাই_সে সকল প্রাচীন প্রত্ততত্ব ইতিহাস-সম্পর্কিত স্কানসমুহ দর্শনে যে অভিজ্ঞতা জ্ঞানলাভ হয়--তাহা গৃহকোণে বসিয়া থাকিলে কখনও আয়ত্ত হইতে পারে না,_-ভারতবর্ষবূপ বিরাট গ্রন্থথানা অধ্যয়ন করিবার সামান্যতঃ ইচ্ছ। থাঁকিলেও ভ্রমণরূপ ভ'মা-পরিচয়ের মধ্য দিয়াই তাহার আরস্ত হওয়া আবশ্যক

|৬/০

ভারতবর্ষ সম্বন্ধে পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের যেরূপ সচিত্র সুন্দর স্থন্দর ভ্রমণ-গ্রন্থ আছে, আমাদের বাঙগলাভাষায় এখনও সেরূপ হয় নাই,--ইহার কারণ আমাদেরই অললতা এবং ভ্রমণের প্রতি অনাদর আমি আমার ভ্রমণ-গ্রস্থকে পর্যযাটক গণের চিত্তাকর্ষক করিবার জন্তঠ চিত্র ইত্যাদি দ্বার সুশোভিত করিবার প্রয়াস পাইয়াঁছি এবং যাহাতে সর্ধ শ্রেণীর পাঠকেরই চিত্তীকর্ষক হয় সেজন্য যথাসাধ্য সরল ভাষায় দ্রষ্টব্য স্থানসমুহ বর্ণন! করিবার চেষ্টা করিয়াছি-_জানি না কতদূর ক্ৃতকাধ্য হইয়াছি। আমার গ্রন্থ-প্রকাশের উদ্দেশ্য ছু'টি_-প্রথম যাহাতে সর্বসাধারণের মধ্যে ভ্রমণ-স্পুহা জাগরিত হয়, দ্বিতীয় যে সকল ধনীসস্তান, অর্থ, সময় স্থবিধা থাকিতেও বিলাসব্যসনে কালাতিপাত করেন, যদি তাহাদের মধ্যে একজনেরও, বুথা অর্থ বায় না করিয়া, দেশ ভ্রমণের হ্টার মহৎ সুন্দর কার্ষো অর্থব্যয়ের প্রবৃত্তি জন্মে, ছুটির একটা ও:£সামাগ্তরূপে চরিতার্থ হইলে আমি আমার সমুদয় অর্থব্যয় শ্রম সফল জ্ঞান করিব।

আমার ভ্রমণের যাহারা সঙ্গী ছিপণেন, তাহাদের মধো অনেকেই পরলোক গমন করিয়াছেন, তন্মধ্যে আমার বিশেষ বন্ধু স্বর্গীয় গগনচন্ত্র রায় মহাশয়ের স্বতি আজ আমাকে ব্যথিত করিতেছে--এ গ্রস্থ-প্রকাশে তাহার একান্ত আগ্রহ ছিল, আজ তাহাকে স্মরণ করিয়া আমি আন্তরিক মন্মবেদনা অস্ভব করতেছি। স্বর্গীয় গগন বাবু বাতীত আমার আজন্মের বন্ধু ভূতপৃর্ব গভর্মেন্ট পুলিস-ইন্স্পেক্টার শ্গক্ত ভারতচন্দ্র মন্্রমদার মহাশয় আমার সঙ্গী ছিলেন--গএগ্রন্থে তাহার একথানি চিত্র প্রদত্ত হহল। এইরূপ দীর্ঘ দেহ, বলিষ্ঠ কম্মঠ পুরুষ বর্তমান রোগজীর্ণ নিরন বাঙ্গালা দেশের অধিনানসিগণের মধ্যে অতি অন্নই দেখিতে পাওয়া যায়-_ চিত্র হইতেই পাঠকবর্গ বুদ্ধ বয়সেও তাহার ঘৌননোচিত বলবীধ্যের পরিচয় পাইবেন এগ্রন্থ প্রকাশে আমি “বিক্রমপুরের ইতিহা'স”- প্রণেতা সাহিত্য জগতে সুপরিচিত স্থলেখক শ্মান্‌ যোগেন্ত্রনাথ গুপ্তের নিকটও বহু পরিমাণে খণী, তাহার আন্তরিক সাহায্য উৎসাহ না পাইলে আমার স্ায় বিষয়-কন্মান্থুরত্ত ব্যক্তির পক্ষে এত বড় গ্রন্থ প্রকাশ করা সহজ হইত না। প্রসিদ্ধ মডার্ণ রিভিউ এবং প্রবাসী সম্পাদক শ্রীষুক্ত রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় এম, এ, মহোদয় ঘ্বারকা, প্রভাস এলিফেণ্টার কয়েকখানা ফোটোগ্রাফ প্রদান করিয়া বিশেষ উপকৃত করিয়াছেন। এই ভ্রমণ প্রবন্ধ সমূহের মধ্যে কয়েকটি স্তুপ্রসিন্ধ “সাহিত্য”, “এতিহাঁসিক চিত্র”, “ম্থপ্রভাত” এবং “জাহৃবীতে প্রকাশিত হইয়াছিল মদীয় আঁসাম-ভ্রমণ-কাহিনীও লিখিত হইয়াছিল এবং তাহার ছবিও প্রস্থত ছিল; কিন্তু গ্রন্থের কলেবর আশাতীত বৃহৎ হওয়ায় উহা" এগ্রম্থে সংযোজিত হইল না,__জনসাঁধারণের নিকট হইতে উৎসাহ পাইলে, মদীয় অন্তান্ত ভ্রমণ-কাহিনীর সহিত উহাঁও মুদ্রিত হইবে। সাহিত্যের স্রভি-কুস্ম- স্ুবাসিত মনোহর উদ্ভান মধ্যে আজ আমি নির্গন্ধ কিংগুক কুস্থম লইয়া উপস্থিত

॥5

হইয়াছি--যদি কেহ উহাকে কৃপাপূর্বক গ্রহণ করেন, তবে আমার আননের পরিসীমা থাকিবে না, যদি স্বণাভরে আবর্জনায় নিক্ষেপ করেন-_তাহা হইলেও আমার বিশেষ ক্ষোভের কারণ হইবে না-কারণ আমি নিজ অক্ষমতা ছুর্বলতা বেশ বুঝি।

কালীপুর ছোট তরফ, বিনীত নিবেদক-_ ১ল। বৈশাখ, ১৩১৭ সাল।

পোঁঃ, গৌরীপুর, ময়মনসিংহ | শ্রীধরণীকাস্ত লাহিড়া চৌধুরী |

স্থান।

সহ

কাশী

সারনাথ ... জৌনপুর . অযোধা ".

লাক্ষৌ বেরিলি

মুরাদাবাদ

রামপুর . হবিদ্বার

সাহারাণপুর

অন্বাল৷

পাতিয়াল। রাজধানী নাভা

জলন্ধর জালামুখী

অমুতসর... লাহোর .' রাবলপিপ্ডি

পেশোয়ার রিতার

কোয়েটা ..

দিললী

আজমীর...

চিতোর জয়পুর আগ্রা

স্ক্চ্দী

উত্রভারত।

ৃষ্ঠা।

১২৩ ২৪----৩৩ ৩৪-_-৩৮ ৩৯ _-8৪ ৪৫-_-৫৮ €৯ ৬০-্ট ৬২--৬৩ ৬৪-__-৭৩ ৭৪স্্ণ ৭৬----৭৮ ৭৯---৮১ ৮২--৮৩ ৮৪---৮৮ ৮৯-_-৯৫

৯৬--৮১৩৫

১০৬--১৯০৯

১১০-__-ই৩ ১২১--৩০ ১৩১--৩৩ ১৩৪---৬৮ ১৬৯-_-৭৪ ১৭৫---৮১

১৮৯- ৯৬

১৯৭--২২৫

স্থান। ফতেপুর সিক্রি ঢোলপুর .. গোয়ালিয়র ঝান্সী ভরতপুর.. ডিগ

মধুর! বৃন্দাবন ... _ গিরি-গোবদ্ধন গোকুল **:

কানপুর 22 এটোয়া

এলাহাবাদ কুরুক্ষেত্র". রুড় কা মীজ্জীপুর ". বিন্ধ্যাচল:.. . গয়া বুদ্ধগয়া গুড়িষ্যা

পুরী বা জগন্নাথ কনারক ... 'সাক্ষীগোপাল ভুবনেশ্বর বা একা ভ্রকানন খগণ্ডগিরি উদয়গিরি কটক যাজপুর ...

দাক্ষিণাত্য | ওরালটেরা'র

পৃষ্ঠা ২২৬---৪০ ২৪১---৪৩ ২৪৪-৮৫৩ ২৫৪--৫৮ ২৫৯---৬৫ ২৬৬--৬৮ ২৬৯--৮২ ২৮৩---৩০ ৩০৬---১ ৩১৫-১৯ ৩২০-_-২৭ ৩২৮---৩১ ৩৩২---৪৮ ৩৪৯---৫৭ ৩৫৮৫৯ ৩৬০-_-৬৭ ৩৬৮--৭১ ৩৭২৮৩ ৩৮১--7৮৬ ৩৮৭--৯৪ ৩৯৭---৪৪৪ ৪৪ ৫---৫৪ ৪৫৫---৬২ ৪৬৩-- ৮৩ ৪৮৪---৯৮ ৪৯৯---৫০২ ০৩---১৩ ৫১৩---৫২২ ৫২৩

॥2/০

স্থান। কোকনদ... গোদাবরী বেজাওদা মছলিপন্তন কালতস্তী -.. চন্দ্রগিরি ... ত্রিপতি . কাঞ্চা বা কাঞ্জীভবম্‌ চিক্ষলপং... মহাবলীপুর ভিলুপূর মায়াভবম চিদধবম ... কুষ্তকোনান কেডালোর পগ্চারী ইরোড জংশন ত্রিচিনাপল্লী তাঞ্জোর ... মাঢবা পাণ্ধম রামেশ্ববম রামনাদ ... টিউটিকোরিণ ব্রিনেত্লী আজিখাল আর্ণাকোলাম (কোঁচীন শ্রীরঙগম্‌... বিজয়নগর »কিিন্ধা... বিজাপুর ...

৮৮

৫২৩ ২৭ ৫+৮---২৯ ৫০০ ---৩)৬ 25০7০ 2 তি ৫৩৭---৩৮৮ ৫৩৯ ---৪৭ ৫৭৮--৫৪ ৫৫৫---৫৭

৫৫৮---৫৯

৫৭৪-_-৭৬ ৫৭৭----৭৮৮ ৫৭৯---৮২ ৫৮৩---৮৮ ৫৮৯ --১৭ ৫৯৮ -- ৯৯ ১০ ০.-_.-৩০৭ "৩৩ ৮-এএ ৬৩১০ ---১২ ২১. নি ৬১৯৫-77-১৩ ৬১৭---২০ '৩১১---২৯৫ ৩২৬--৯৯ *৩১)০ ১৩ ৬৪৭---৪৯

৬৫১--৬৪

স্থান। হাইদ্রীবাদ ইন্দোর ""' অবস্তী বা উজ্জয়িনী ভুঁপাল নাসিক ... অহমদনগর বোম্বাই ... এলিফেন্ট সুরাট ভরোচ কনীর বট বরদ! আহম্মদাবাদ জনাগড় ... দ্বাবকা করাচী ... জববলপুর

পৃষ্টা

৬৬৫---৭১ ৬৭২-- ৭৯ ৬৮০ ৯৩ ৬৯৪-_-৯৫ ৬৯৬. ৭০৫ ৭০৬---১৬ ৭১৭-_-৫৫ ৭৫৬ - ৬৫ ৭৬ ৩---৭১ ৭৭২... ৭৩ ৭৭6-..৭৮ ৭৭9. ৮৫ ৭৮৬--- ৯১ ৭২. ৯৩ ৯৯৯৮

৭9৮০০

৮০১- ৮০৭

স্থান।

অঅ অযোধ্যা অন্বাল! অমৃতসর অবস্তী অহমদনগর

আগ্রা 'আঙ্মমীর আপজখাল আার্ণাকোলাম 'আভম্মদাবাদ

জা

ইন্দোর

হরোড জংশন

এটোয়া এলাচাবাদ এলিফেন্ট ওয়ালটেয়ার কটক কনারক., কবীর বট করাচী কাশা কালহস্তী কাঁনপুর

বর্ণানুক্রমিক সূচী

৮৯ ৬৮০

৭০৩

৯৯৭

১৬৭

৬১৫

৭৮৮

৫১৩

স্থান কাঞ্চী বা কাল্লীভরাম্‌ কিক্িন্ধা কেডলোর কোফষেটা কোকনদ কুরুক্ষেত্র কৃম্তকোনাম্‌ কোচীন

খগগিরি উদয়গিরি

গয়] ঠিরিগোবদ্ধন গোয়ালিয়র গোঁকুল গৌদাবরী

চন্ত্রগিরি চিতোর চিদম্বরম চিঙ্গলপৎ টার

না জলন্দর জয়পুর জববলপুর জালামুণী নভনাগড় জৌনপুর

ঝান্দী

পৃষ্ঠা

৫৪8৮ ৬৪৭ ৫৭০ ১৩১

৫২৩৬

৫৬৭

৬২১

লিলি

রে রর পে

০৩৩

৮৯ ১৮২ ৮০১

৮৪ ৭১১৯

৩৪

৫৪

স্থান।

টিউটিকোরিণ

ডিগ ঢোলপুর

তাঞোর ত্রিপতি ত্রিচিনাল্লী তিনেবেলী

দূ দ্বারকা দিল্লী

ন্‌ নাসিক

প্চিচারী রা পাতিয়ালা রাজধানী নাভা পান্বম্‌

পেশোয়ার

পূরী বা জগন্নাথ...

বতেপুর সিক্রি .

বরদা বিজয়নগর বিজাপুর বিল্ধাচল বেজাওদা বেরিলি বোম্বাই বুন্দাবন বুদ্ধগয়!

১৬৩

১৪১

৫৮৩ ৫৩৯ ৫৭৯

৬১৩

৫৭৪

৭9০১ ৫৯৮ ১১৩

৩৯৭

৬৬

কে ৫১০ ০৯৩3 ঝি

তে এড

৫৭ ১৮৭

স্থান। ্‌ পৃষ্ঠা

কস

ভরতপুর রঃ রর 3 ১১০ ই৫নী ভিলুপুরম্‌ 2 কঃ ১,৫৬০ ভুবনেশ্বর বা একামকানণ 8 নি রি .....:8৬৩ ভরোচ রর টি ০৫৯ পল 1 মথুর। ঠা রি 2 ১০০ ২৬৭৯ মুরাদাবাদ টা হা /%3 | ২১২9০ মুূলতান রর বড রি 2৮ হি মীজ্জাপূর রা রর হা 9 ১৮৩৬৮ মছলীপত্তন ... রি রঃ রঃ ১... ৫৩০ মহাবলীপুরম্‌ ... যু ঞ্চ ... ৫৫৮ মায়াভরম্‌ টুর ১১,৫৬৩ মাছুর। হি বি ১০৮. 4৮৪ | যাজপুর মন 4 2 ১৫০০) বর

রামপুর টি রঃ ধা রন ৩২

রাবলপিটি নে [2 589

রুড় কী রা টুর নি .... 5৫৮

রামনাদ টা 2 টু দর 5527.

রামেশ্বরম্‌ ্ঃ রা পু ১,৬০৪ 2

লক্ষে রে পি 2 ১১১০ মি

লাচোর টা বা হয রি 2 8৩

শ্রীরগ্গম ... রি রর রঃ ১, ৬৯৩ লা.

স্ুরাট চর্ম তে টন 5 ৭2৩

সারনাথ টু ৪2 হু ৮22) ' উঠে

সাহারাণপুর ... 8 টু “মি

সামলকোট ... 4 রঃ 7 ১১৫২৩

সাক্ষীগোপাল ... রা | ১১8৫৫ হু

হরিদ্ধার রঃ রি রঃ

হাইজাবাদ দঃ রর রি রা ৬৬৫

ভিভ্র-স্ক্রুচী

চিত্রের নাম বিশ্বেশ্বরের মন্দির দশীশ্বমেধ ঘাট

সাড়ীর কারুকার্ধা রঃ ডে রি নু

দেবমন্দির-রামনগর

মানমন্দিরের ধ্বংসাবশেষ রামনগরের দৃশ্য

বৌদ্ধস্তপ-সারনাথ

ধমক স্ত,পের কারুকাধ্য

সারনাথের সাধারণ দৃশ্য

ধাঁনী বুদ্ধ

হুমায়ুন স্তম্ভের খনিত অংশ ভিক্ষুগণের প্রাথনার ক্ষুদাকৃতি বেদী

সারনাথ 5৪ ৮৯ 5, ৪৫৯ লাল দরজ! মসজিদ **' 2 নী রর

লক্ষৌ

পূর্বদার-_কৈশরবাগ-লক্ষে

ইমামবাড়ী

তোঁসেঙ্গাবাদ বাজার তোরণ

রেসিডেন্সির ধ্বংসাব/শষ

মল--_অন্বাল৷

স্বর্ণমন্দির-অমৃতসর

রণজিৎসিংহের প্রাসাদ দুর্গ ওয়াজিদ্খায়ের সমাধিস্তস্তের উপর হইতে লাহোরের দৃ্ঠ সাম্রাজ্ৰী-নুরজাহাঁন | দুর্গ-রাবলপিগ্ডি

কোয়েটা

পৃষ্টাঙ্ক

মুখপণ্র

১৩ ১৪

১৬

চিত্রের নাম কোয়েটা ছর্গ দিল্লীর কাশ্মীর গেট জুন্মা মন্জিদ কুতব মিনার হুমায়নের সমাধি মান মন্দির অপর ভাগ আকৃবরের দরবার দিল্লীর লৌহস্তস্ত বাহাছুরসাহ ত্ান্নার পত্ভী আড়াইদিনক1 ঝুপড়ি__আজমীর বিজয়ন্তস্ত-_-চিতোর ' হাওয়ামহল মহারাজার কলেজ রাজপ্রাসাদ প্রাচীন অধর তাজমহল /তাজের তোরণ সাজাহান মমতাজ মহল তাজমহল দূর্গ দেওয়ানী খাম্‌ আকৃবর '9 যোধাবাই . আকৃবরের সোয়ারী বা নগর ভ্রমণ সম্রাট জাহাঙ্গীর যোধবাই ফতেপুর সিক্রির সাধারণ দৃশ্য সেলিমের সমাধি আকৃবরের তুরস্ক দেশবাঁসিনী সাজার বাসগৃ হস্তী-স্তস্ত প্রধান মস্জিদ '্টেপুক্ক পিক্রির তোরণথার

৯৫৬ ১৫৮ ১৬১

১৬৪

২১৩৬ ২১৪ ৯১৬ ২১৭৯ ২২৬ ২২৪

২২৬

2/৩

চিত্রের নাম | ৃষ্টাস্ক। গোয়ালিয়র দুর্ণ রর টু ১৪৯ ছুর্গ-ভরতপুর দন ২৬৪ দূর্গ-ডিগ্‌ ঠা টি ২৬৮ যমুনার অপর তীর হইতে মথুরার দুগ্ঠ রর -ং ২৬৯ . . ২৭০ বুন্দাবন-যমুনার অপর তীর হইতে: -. : রি ২৮৩ নাড়, গোপাল রা * 5) ২৮৪ শিশু কৃষ্ণ রর রি যি ২৮৬ প্রাচীন গোবিন্দজীব মন্দিরের ধবংনাঁবশৈষ তত রঃ ২৯০ বেহারী সাহার মন্দির 2 . ২৯৪ দেবী যোগমায়। রি | টি রী ৩৯২ শ্রীরাধাকষ্জের ঝুলন ৩০৮ মানসগঙ্গ'-গোবদীন 12. ৭. : : 2.০ গোকুল-যমুনীতীর :- | ৩১৫ দয টয়া | ৩১৬ মহাঁবন রি 2 নর রি ৩১৮ মেমোরিয়েল ওয়েল-কানপুব টা ৩২৩ থক্রর সমাধি- এলাহাবাদ . নর ৩১৬ অশোক স্তন্ত বা অশোঁফ লাট -. -** টা ৩ম৩ গঙ্গার খাল-রুড়কী র্‌ | **. ৪০৩ ৩৬৫৮ মস্জিদ (তোরণ-চুণাবগড় -. ১৮ ৩৩৩ গয়্ার সাধারণ দৃশ্তা ... / হা ৮6 ৩৮১ অক্ষয়বট-গয়া হর 2 ৩৮৪ বুদ্ধগঞ্জার মন্দির মেরামতের পৃব্বে ... রা রি ৩৮৮ বুদ্ধগয়ার মন্দির রর রন ৩৯০ জাপান সম্রাট কর্তৃক প্ররিত চন্দন টে বৃদ্ধ মতি রর ৩৯১ প্রধান রাজপথ-পুরী ... না রা 6০৪8 "শ্রীশ্রীজগন্নাথ দেবের মন্দির ৪১৮ আঠার নালার সেতু ... ডি ১৪২ অরুণ স্তস্ত ্ঃ 8 দু ৪১৩ একটা প্রাচীন মন্দির-ভুবনেশ্বর টা রর ৪৬৪

তুবনেশ্বরের প্রধান মন্দির রর 47 ৪৭৪

চিত্রের নাম মুক্তেশ্বরের মন্দির মুক্তেশ্বরের মন্দিরের পার দৃশ্থা

তই প্রবেশ-দ্বার

জৈন মন্দির-খওডগিরি রাণী গল্ফা-খণ্ডগিরি রণনৃস্ত ...

তই শিকার-ৃশ্থ বরাহী দেবীর মূত্তি ভিজিগাপত্তন সীমাচলের মন্দির আরোহণের দানার গর্রিতজনক --দাক্ষিণাত্য দাক্ষিণাত্যের পল্লী-দৃশ্থ ফল বিক্রেক্রী__দাক্ষিণাত্য বেজাওদা খালের মুখ . কৃষ্ণ নদীর উপরিস্থিত পুল-বেজা ওদা তৃষিত পথিক-__দাক্ষিণাত্য পল্লীপথ-_দাক্ষিণাত্য চক্ষুনাইকি মাতা-_চিঙ্গলপৎ প্রাসাদ-সন্মুখ-চন্ত্রগিরি রাজ প্রাসাদ শেষাচলম্‌ মন্দিরের কারুকাধ্য বালাজির ত্রিপতি পাঁপনাশম্‌ তীর্থ--ত্রিপতি ভেম্কটরাম স্বামী_ কামাক্ষী দেবী-_কাঞ্ধী

বর ভোগমৃন্তি ... পার্বতী মুর্তি চিদস্বরম্‌

: মহামোক্ষম্‌ বা কস্ত মেলার সান দৃষত-ু্তকোনাম্‌ ...

সমুদ্রতীরবর্তী মঙ্দির__মহাবলীপুর পর্বতে খোদিত মূরত সমূহ

৪৭৬ ৪৭৭ ৪৭৯ ৪৮৬ ৪৯১ ৪৯৫

৪৯৩৬

৫১৬

৫২৮

৫৩০৩ ৫৩২

৫৩৪ £€৩৭ ৫৪৩ ৫৪০ ৫৪৩ ৫৪৫ ৫৪8৫ ৫৪৯

£৫৩

৫৫৫ ৫৫৬ ৫৫৮ ৫৬০

৫৬৩৩.

1/০ |

চিত্রের নাম গোবিন্দরাজ চক্রপাণী দেব-_কুস্তকোনাম সারঙ্গপাণী দেব সারঙ্গপাণী স্বামী দুটি ভাই বোন-_দ্াাক্ষিণাত্য পশ্ভীচারী গপুরাম সমুহের দৃষশ্ঠ-_মাছুরা রা নদীতীর হইতে ছুর্গের দৃশ্য _ত্রিচিনপল্ী ত্রিচিন পল্লী হুর্গ রাজপথ-_তাঞ্জোর নন্দী (বুষ) রাজ প্রাসাদ সাধারণ দৃশ্ঠ-_মাছুর! মন্দিরের প্রবেশ দ্বার--মাদুরা তেগ্লাকুলাম্‌্-__(পুষ্ধরিণী) আড়াহের রাজ প্রাসাদ মধ্যস্থিত একটা টির পান্ধাম রাজপথ -রামেশ্বরম্‌ কাবেরী নদীর স্সান দৃশ্য স্ব্রাহ্মণাচাধ্য স্বামী ফোর্ট দেন্টএঞ্জোলো-_কেনানোর বিমান মন্দির শ্রীরঙ্গম শ্রীরঙ্গমের বিগ্রহ রঙ্গনাথ স্বামীর অলঙ্কার সমূহ শ্রীরক্গজীর বিশ্বরূপ দর্শন শয়ন মু্তি : শ্রীমের শৈব মন্দিরের কৌরিনীে অঙ্কিত রর বর্তমান বিজয়নগরের সাধারণ দৃশ্য হস্তীশালা প্রাচীন রাজপথের একাংশ কৃষ্ণদেব রায়ের নির্দিত দেব মন্দির-__বিজয় নগর বিঠঠল স্বামীর মন্দির

পৃঠঠাস্ক |

৫৬৪ ৫৬৭ ৫৬৮ ৫৭১ ৫৭২. ৫৭৪ ৫৭৭ ৫৭৯ ৫৮৩ ৫৮২ ৫৮৪ ৫৮৬ ৫৮৯ ৫০১০

৫৯২

৫৯৪

1%৩

চিত্রের নাম উগ্র নরপিংহ ছুর্গ-তোরণ প্রস্তর নির্মিত রথ মন্দির তোরণ শ্রীরঙ্ষম এক প্রকার গোষান- দাক্ষিণাত্য একটা প্রাচীন সমাধি মন্দির-_বিজাপুর স্থলতান মহন্দদের সমাধি একটী প্রাচীন খিলানের দৃষ্ত চারমিনার-_হাইদ্রাবাদ রাজা মানায় সলবৎধার সমাধি ডিউক অফ ওয়েলিংটনট্রী ভিক্টোরিয়া টারমিনাস ... রাজপথ-বোন্ে রাজাবাই স্তত্ত আপেলো-বন্দর ক্রফোর্ড মার্কেট পাশি সমাধি স্তস্ত ব্যাক বে মুস্বা দেবীর মন্দির এলিফেপ্টার গুহা সম্মুখ

বর বহিদৃশ্ত বৃহত্বম কক্ষ

লিঙ্গ মৃত্তি ্রিমৃতি শিব-পার্বতী রঃ এলিফেণ্টা গুহার আভ্যন্তরীন দৃশ্য ধা বিষণ, প্রভৃতি মেবতাগণের ভগ্ন মুত্তি সমূহ “সিংহ গুল্ফা | এলিফেপ্টার বৃহতম গুহার পার দৃশ্য

পষ্ঠাঙ্ক | ৬৩৩৯ খ্এ 4৫

৬৪৪

৩৪৮

৬৫৯

৭8৬

৭৫০.

৭৫৫ ৭৫৬ ৭৫৭ ৭৫৮ ৭৫৭৯ ৭৬১ ৭৬২ ৭৬৪ ৭৬৭ ৭৬৮ ৭৭১

চিত্রের নাম ৃষ্ঠন্ক। লঙ্মী-বিলাস প্রাসাদ-বরদা রর 2 রন ৭৮০ ছাতী সিংহের মন্দির আহঙ্গদাবাদ ... র্‌ রি ৭৮৮ একটী মস্জিদের জানালার কারুকার্য্য ... রি রঃ ৭৯০ বারকার সাধারণ দৃশ্য ... রর রঃ ৭৯৩ দন্দিরের পথ রঃ রঃ রঃ 0 ৯৫ রণ ছোড়জীর মন্দিরের উর্দীংশ-_দ্বারকা রে ৭8৬ প্রাচীন মন্দিরাত্যন্তর--প্রভাস পত্তন রঃ র্‌ ৭৯৯ গ্রভাসপত্তনের ধ্বংসাবশেষ পু রা নত ৮০০ প্রাচীন প্রভাসের পার দৃশ্ঠ রী রর ৮০৩

মন্্বর শৈল-_নর্ধদী ... রে ৮*৪

টি

8038

রি 114 8511 1% & ৯১

শাভারতচন্দ মজুমদার

বুদ্তলীন প্রেস, কলিকাতা

হবাস্লী |

কক লিখল পাস কলি কত!

ভারত ভ্রমণ

শ্কান্পী |

ততবার কাশীধামে গমন করিয়াছি, তবু এই প্রাচীন তীর্থ আমার নিকট চিরনূতন। এমন মোক্ষদা়িনী পুণ্যময়ী নগরী ভারতবর্ষে অতি বিরল। বাংলার শ্যামল-প্রান্ত ছাড়িয়া বাম্পীয়শকট যখন সাঁওতাল পরগণার গিরিবন- রঞ্জিত নির্বরবিধোত প্রকৃতিস্ন্দরীর উচ্ছ্‌ঙ্খল সৌন্দধ্যরাজির মধ্য দিয়া চলিতে থাকে, তখন নবীন পথিকের নিকট এক নবীন সৌন্দর্যের দ্বার মুক্ত হয়। কাশী যাইবার পথে দর্শনযোগ্য স্থান আরও অনেক আছে, সে সকল বিষয় পাঠকগণের এত সুপরিচিত যে তাহাদের স্বন্ধে কোনও কথা লিখিতে গেলে, তাহা কাহারও তাদৃুশ প্রীতিপ্রদ হইবে না, অপরপক্ষে সময়ের উপরও অন্যায় দাবী করা হয়, সেজন্য সে সব বিষয়ে নিরস্ত হইলাম। মধুপুর, দেওঘর বা বৈদ্যনাধ, পাটনা, বাঁকিপুর ইত্যাদি সকলেরই চিরপরিচিত, অতএব বাক্যব্যয়ও নিপ্প্রয়োজন। বিহারের তালীবন-পরিশোভিত গ্রাম শ্যামল মাঠ পার হইয়া ঘতই অগ্রসর হওয়া যায়, ততই প্রকৃতিস্থন্দরীর “সুজলাং স্ুফলাং শশ্যশ্টামলাং মুক্তি অদৃশ্ঠ হয় এবং জননীর উগ্চণ্ড মুস্ত-_কোমলতার পরি- বর্থে কঠোর সৌন্দর্য্যের অবতারণা করিতে থাকে সারারাত্রি পাঞ্জাব মেইল ঝড়ের মত ছুটিয়! প্রত্যুষে আসিয়া দানাপুর বা খগোল ফৌঁসনে দীড়াইল-_ এখান হইতে দানাপুর সহর প্রায় তিন মাইল দূরে অবস্থিত। খগোল বেশ বড় ফ্েসন,-_এখানে বন রেলওয়ে কর্মচারী বাস করেন, ইহা একটা.

পথের কথা

ভারত-ভ্রমণ

দ্রেলওয়ে ডিশ্রীক্ট রেলওয়ের ইংরেজ ইউরেশীয়ান কর্মচারীদের পুষ্প- কাননবেষ্টিত স্বন্দর ছোট বাংলোগুলি ছবির মত দেখা যাইতেছিল। দানাপুর ছাড়িয়া ডাক-গাড়ী যখন বক্সার পঁু- ছিল, তখন বেল৷ প্রায় দশটা হইবে ।. বক্সার একটা ইতিহাস-প্রসিদ্ধ স্থান। এইস্থানেই বাংলার শেষ'নবাব প্রজার মঙ্গলাকাঙক্ষী মীরকাসিম আলিঙখার সহিত ইংরেজবণিক্গণের যুদ্ধ হইয়াছিল এবং তাহাতে তিনি পরাজিত হইয়াছিলেন। বক্সারে বিশ্বামিত্রের আশ্রম, দুর্গ, রামরেখা ঘাট, সের সাহার সমাধি প্রভৃতি দ্রষ্টবা-_এই সমাপি-হন্া নগর হইতে প্রায় চারি মাইল দুরে অবস্থিত

দেখিতে দেখিতে মাঠের পর মাঠ, গ্রামের পর গ্রাম, ফ্টেসনের পর ফ্টেসন পার হইয়৷ মোগল-সরাই এঁনুছিলাম। মোগল-সরাই একটা প্রধান ফ্টেসন,-_ইহা৷ আউড্-রোহিলখণ্ু-রেলওয়ের সংযোগস্থল ; আমাদিগকেও গাড়ী পরিবর্তন করিয়া উক্ত কোম্পানীর গাড়ীতে কাশী যাইতে হইবে। ছুইদিকে দিগন্ত-বিস্তত উষর মাঠ নীলিমার শেষপ্রান্তে মিলাইয়া গিয়াছে, গ্রামের কোনও চিহ্নই দৃষ্ট হয় না, আর মাঝখানে এই বিরাট ফ্টেসন আপনার গৌরব ঘোষণা করিতেছে ফ্েসনের একপার্থে একটা প্রকাণ্ড বটবৃক্ষ জটামাথায় দণগ্চায়মান, পথিকেরা সেখানে গাড়ীর প্রতীক্ষায় আরামে বিশ্রাম করিতেছে কত পোট্লা- পুট্লী_তাহার সংখা কে করে? ফ্টেসনের অপর দিকে গাড়ী প্রস্তুত ছিল, আমরা তাহাতে আরোহণ করিয়া কাশীর দিকে রওয়ানা হইলাম মোগল-সরাই হইতে কাশী কেবল নয় মাইল দরে অবস্থিত। মাঠের মধ্য দিয়া গাড়ী ছুটিয়া চলিল, দূরে বৃক্ষশ্রেণীর মধা দিয়া দুই একখানা গ্রাম দৃষ্টিপথে পতিত হইতেছিল। হূদয় আনন্দে পূর্ণ, সাধের বারাণসী দেখিব। কিছুদূর হইতেই সূধ্যের উজ্জ্বল কিরণমণ্ডিত অগ্ধচন্দ্রাকৃতি জাহ্ৃবী-সলিল-বিধৌত মনোহর বারাণসীধামের মোহন সৌন্দর্যা নয়ন-সমক্ষে বিকশিত হইল। কিন্তুন্দর: যেন একখানা স্ন্দর ছবি কেহ নীলিম- গগনপটে অঙ্কিত করিয়া রাখিয়াছে। দূরে উদ্চশীর্ষ বেশীমাধবের ধজা যেন যাত্রীবৃন্দকে আহবান করিতেছে--“এস পাপ-তাপ-প্রপীড়িত ব্যথিত ক্ষুন্ধ পান্থ !

বলার

_ মোগল-সরাই।

কানী।

এখানে এস।” কলনাদিনী হরজটাবিহারিণী সলিলরূপিণী তর্জনী 4ও৭ত। করুণা পুণ্যসলিল৷ ভাগীরথী যেন কল-কল্লোলে বলিতেছেন “আয়রে সবে, নরনারী, আয়, আমার স্িগ্ক-শীতল কোলে আয়, আমি তোদের অল স্পর্শে শীতল করিয়া দিব।” গঙ্গাবক্ষে সৌধকিরীটিনী কাশীর শ্বেত প্রতিবিন্ব পতিত হইয়৷ বড় স্থন্দর দেখাইতেছিল,_-চিক্মিক্‌ ঝিক্মিক__সে সৌন্দরয্য- ছবির অতলতলে কোনও প্রগাঢ় রহস্য চিরলুক্কায়িত আছে কিনা, তাহা কে বলিতে পারে? যিনি ভফ্রিনব্রিজের উপর হইতে কাশীর অনির্ববচনীয় শোভা অবলোকন করিয়াছেন, তিনিই ধন্য হইয়াছেন। পুলের অপর পারেই “কাশী” ফেসন। কাশীতে দুইটা ফেঁসন, একটা কাশীনামে আঙাহত ; অপরটিকে “বেনারস কেন্টনমেণ্ট” কহে। কেপ্টনমেণ্ট ফেঁসনটা খুব বড় ফ্টেসন, এখানে বি, এন, ডবলিউ রেন্তুওয়ে আসিয়! মিলিত হইয়াছে কাশী ফ্িসনে অবতরণ করিয়া আমরা এক্কাতে আরোহণ করিলাম। পশ্চিমাঞ্চলে এক্কাই সমধিক প্রচলিত। কাণ্ঠনিম্ম্িত একটা ছোট মঞ্চের উপর চারিকোণে চারিটি দণ্ড, দণ্ডের উপরে রৌন্্বৃষ্টি-নিবারণের নিমিত্ত একটা ক্ষুদ্র চাদোয়া খাটান, নিম্ে কাষ্ঠাসনেয় উপর একটা গদী, পশ্চাতে ছোট পর্দা ঝুলান; এহেন অদ্ভুতাকৃতি দ্বি-চক্র- যানকে একটী ঘোড়ায় টানিয়া লইয়া যায়। কাশীকে বাঙ্গালীর সহর বলিলে কোনও অত্যুক্তি হয় না, এত অধিক বাঙ্গালীর বাস পশ্চিমের আর কোনও সহরেই দেখিতে পাওয়৷ যায় না; যে দিকেই দৃষ্টিপাত কর, সে দিকেই বাঙ্গালী দেখিতে পাইবে, তোমার মনে হইবে না যে বাংল! দেশ হইতে অপর কোনও স্থানে উপনীত হইয়াছ। আমাদের গাড়ী ছুটিয়া চলিল, রাস্তার ছুইপার্থে দোকানশ্রেণী, দ্বিতল ত্রিতল অন্টালিকা, কোথাও পশ্চিমদেশীয়া ঝট রমণীগণ গম পিশিতেছে আর গান গাহিতেছে, কোথাও পানবিক্রেত্রী রূপলাবপ্যবতী যুবতী রমণী কাজল-অস্থিত চক্ষের নিপুণ কটাক্ষে কোনও যুবক পানক্রেতার মাথ! ঘুরাইয়া দিতেছে! মন্গিরে মন্দিরে ছত্রে ছত্রে কাশীধাম স্ুশোভিত। যথা সময়ে বাসায় পঁ্ছিয়। শ্রীস্তি দূর করিলাম। নিদ্রার অভাবে ব্লান্ত শরীর অত্যন্ত অবসাদগ্রস্ত বৌধ হইতেছিল, বিশ্রীমাদির পরে আহারাস্তে শষ্যায় ঢলিয়া পড়িবামাত্রস

কাশী।

ভাঁরত-ভ্রমণ

নয়নদ্বয় নিমীলিত হইল, নিদ্রার কোমল অঙ্কে সমুদয় গ্লানি অবসাদ ত্যাগ করিয়। যখন গাত্রোথান করিলাম--তখন অপরাহু হইয়াছে। ভারতবর্ষের মধ্যে কাশী প্রধান হিন্দুতীর্থ। প্রাচীনকালে এই নগর অত্যন্ত বৃহ ছিল, প্রত্যেক পৌরাণিক গ্রস্থ্েই ইহার মাহাত্ম্য বিশেষরূপে লিখিত আছে সংস্কৃত গ্রন্থাদিতে কাশীর অনেক নাম দেখিতে রাত পাওয়া যায় যথা ঃ__বারাণসী, বরাণসী, বরণসী, তীর্থরাজ্ঞী, তপস্থলী, কাশিকা, কাশী, অবিমুক্ত, আনন্দবন, আনন্দকানন, অপুনর্ভবভূমি, রুদ্রাবাস, মহাশ্মশান স্বর্গপুরী। সকল নামের মধ্যে কাশী, অবিমুক্ত এবং বারাণসীই সর্ববাপেক্ষা প্রাচীন। “মস্য-পুরাণে' কাশীর সীমা এইরূপ লিখিত আছে যে £-- “দ্বিযোজনন্তু তৎ ক্ষেত্রং পুর্ন-পশ্চিমতঃ স্মতম্‌ | অদ্ধ যোজনবিস্ডীর্ণ, তৎ ক্ষেত্রং দক্ষিণোত্তরম্‌ বরণা হি নদী যাবদ যাকচ্ছুক্ষনদী তু বৈ। ভীত্মচণ্ডিকমারভা পর্বতেম্মরমন্তিকে ॥” অর্থাৎ “পূর্বব পশ্চিমে ছুই যোজন এবং উত্তর দক্ষিণে অদ্ধ যোজন পধ্যন্ত ইহা বিস্তুত। এই পুণ্যতীর্থ বরণা নদী হইতে শুর্ষ নদী পধান্ত এবং ভীম্ম চণ্ডক হইতে আরম্ত করিয়া পর্ববতেশ্বরের নিকট পধ্যস্ত অবস্থিত ।” কাশীধামের পূর্বব পশ্চিম প্রান্ত দিয়া বরণা অসী নামক দুইটি ক্ষুদ্রকায়া জ্োতম্থিনী বারাণসী কহে কাশীর প্রাচীনত্ব সম্বন্ধে যে কেবল পুরাণেই লিপিবদ্ধ রহিয়াছে তাহা নহে, পুরাণের কথা ধীহারা বিশ্বাস করিতে অনিচ্ছুক তীহারা জাবালোপনিষদে লিখিত কাশী-সম্পর্কিত বিবরণ পাঠ করিলে সন্দেহ ভগ্ন করিতে পারিবেন। সুপ্রসিদ্ধ চৈনিক পরিব্রাজক ফা-হিয়ানের ভ্রমণবৃস্তাস্ত পাঠে জানিতে পারা যায় যে, খৃষ্ঠীয় পঞ্চম শতাব্দীতে কাশীরাজ্য প্রায় ৩৩৩ ক্রোশ (৪০০০ লি) ইহার প্রধান নগরী বারাণসী দেড় ক্রোশ (১৮।১৯ লি) দীর্ঘ এবং অর্ধ “ক্রোশ (৫1৬ লি)বিস্তৃতছিল। . দিনরাত ব্যক্তির নিকট কাশী অপেক্ষা! পুণ্যপ্রদ পকিক্র তীর্থ

জগতের আর কোথাও নাই। এজন্যই প্রতি পুরাণগ্রন্থে খষিগণ প্রাণ, ভরিয়া কাশীমাহাত্ম কীর্তন করিয়া গিয়াছেন। কত ধন্মানুরাগী বৃদ্ধবৃদ্ধা প্রোট প্রৌঢ়াগণ যে “শেষের সে দিনের অপেক্ষায় এখানে বাস করিতেছেন তাহার ইয়ন্তা নাই; কারণ হিন্দুশাস্ত্রের মতে ষে বাক্তির স্থানে দেহত্যাগ হয়, সে ব্যক্তি সমুদয় পাপ হইতে বিমুক্ত হইয়! নির্বাণ লাভ করে। কাজেই শেষ বয়সে অধিকাংশ হিন্দু নরনারী স্থানে বাস করেন। এক সময়ে হিন্দুর এই পবিত্র তীর্ঘেও যে বৌদ্ধধর্মের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত ছিল, এখনও তাহার বনু চিহ্ন বিদ্কমান আছে। কাশীর নিকটবর্তী সারনাথে বনু বৌদ্ধকীর্তি ছিল; এখনও তাহার বহু ধ্বংসাবশেষ পড়িয়া আছে, আমরা সে বিষয় সারনাথ-প্রাবন্ধে আলোচনা করিলাম : 'ললিতবিস্তর নামক কৌদ্ধগ্রন্থ-পাঠে জ্ঞাত হওয়। যায় যে, বৌদ্ধদিগের প্রাধান্য সময়ে বারাণসীর নিকটে খধিপন্তনে মৃগাদব নামক স্থানে শাক্যসিংহ ধশ্মোপদেশ প্রদান করিয়াছিলেন। “বিষণ ব্রহ্মাগু-পুরাণের মতে কাশরুজ বা কাশ্য নামক আয়ুবংশের স্থহোত্রপুজই সর্বপ্রথমে স্থানের সিংহাসনে আরোহণ করেন, খুব সম্ভব যে এই নৃপতির নাম হইতেই হর 'কাশী' এই নাম হইয়াছে। বৌদ্ধধন্মের আধিপত্যের পর পুনরায় যে কোন্‌ সময়ে বারাণসীতে হিন্দুধন্মের প্রাধান্য

প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহা নির্ণয় কর! স্থকঠিন। পরিক্রাজক হিউএন্সিয়াং ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষভাগে যখন বারাণসীতে আগমন করেন, তখন তিনি এস্থানে হিন্দুধম্মেরই প্রাবল্য দর্শন করিয়াছিলেন, তখন এস্থানে শতাধিক দেব-মন্দির প্রায় দশসহজ দেব-উপাসক ছিল। শ্তরীক্ষেত্রের “মাদলাপঞ্ভীর' মতে জানিতে পারা যায় যে, রাজ। যযাতিকেশরী ৬কাশীধামের দেবমুন্দিরসমূহের অন্ুকরণেই ৩৯৬ শকে ভূবনেশ্বরে প্রধান শিব-মন্দির প্রস্তুত করাইয়াছিলেন। অতএব ইহার পুর্বব হইতেই যে কাশীধামে হিন্দুধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব বিরাজমান ছিল, তাহা অনুমান করা অসঙ্গত নহে কাশীতে বন্ৃতীর্ঘ বিরাজিত; কিন্ত বিশ্বেশ্বরই... এখানকার প্রধান বিগ্ুহ। ইনিই এপ্থানের সর্বপ্রধান লিঙ্গ। এই বশিবলিজের' তুল্য শিবলিজ আর কোথাও নাই। কাশীখণ্ডে লিখিত আছে মে “কলৌ বিশ্বেশ্বরো দেব; কল

বোদ্বকীততি।

বিশ্বেশ্বর |

ভারত-ভ্রমণ।

বারাণসী পুরী”, অর্থাৎ -কলিযুগে বারাণসী ক্ষেত্রই একমাত্র মোক্ষপ্রদ পুণ্যতীর্থ এবং বিশ্বেশ্বরদেবই একমাত্র দেবতা অতি প্রাটীনকাল হইতেই হিন্দ্রঝষিগণ বিশ্বেশ্বররূপী এই ভগবান্কে অচ্চনা করিয়া আসিতেছেন। “শিবপুরাণে" বিশ্বেশ্বরের মাহাত্ম্য-সম্বন্ধে লিখিত আছে যে

“পঞ্চক্রোশ্যাঃ পরং নান্যাৎ ক্ষেত্রঞ্চ ভূবনত্রয়ে

অথবা পাপিনাং পাপস্ফোটনায় স্বয়ং হর?

মত্ত্যলোকে শুভং ক্ষেত্রং সমাস্থায় স্থিতঃ সদা

যথা তথাপি ধন্লেয়ং পঞ্চক্রোশী মুনীশ্বরাঃ

ষত্র বিশ্বেশ্রো দেবো হযাগত্য সংস্থিতঃ সয়ম্‌।

যদিদনং হি সমারভ্য হরঃ কাশ্যামুপাগতঃ |

তদ্দিনং হি সমারভ্য কাশী শ্রেষ্ঠতরা হাত ॥”

( শিবপুরাণ, জ্ঞানসংহিতা, ৪৯ অঃ) অর্থাৎ “হে খবিবন্দ ! ব্রিলোকের মধ্যে পঞ্চক্রোশবেচিত এই স্থানের ন্যায় পবিভ্রতম পুণ্যস্থান আর কোথাও নাই, নিজে পরমকারুণিক দেবাদিদেব মহাদেব পাপিগণের পাপ বিনাশ করিবার জন্য এই সুন্দর পুণ্যপ্রদ স্থান নিন্নাণ করিয়া বাস করিতেছেন। যে দিবস হইতে মহাদেব এই পুণ্য তীর্থে আগমন করিয়াছেন, সেই সময় হইতেই বারাণসী শ্রেষ্ঠতম হইয়াছে ।”

_. কাশীর প্রাচীনত্ব এই বিশ্বেশ্বরলিঙ্গ হইতেও বিশদরূপে বুঝিতে পারা যায়। প্রায় সাড়ে বারোশত বসর পূর্বে চৈনিক পরিক্রাঙ্ক হিউএন্সিয়াং যখন এস্বান দর্শন করিতে আইসেন, তখন তিনি এস্থানে শতহস্ত উচ্চ তাত্মণ্ডিত বিশবেশ্বরের লিঙ্গ দর্শন করিয়াছিলেন ; কিন্তু এখন তাহার কোনও বূপ বিবরণই পাওয়া যায় না। কোনও পুরাতন গ্রস্থাদিতেও এইরূপ কোন বর্ণনা লিখিত নাই কেহ কেহ অনুমান করেন যে, ১১৯৪ সালে কাশী-নরপতি রাঠোর জয়টাদ যখন সাহেবউদ্দীন ঘোরীর সেনাপতি কুতবউদ্দীন কর্তৃক পরাভূত নিহত হন, বোধ হয় সে সময়ে মুসলমানগণ কর্তৃক সেই পবিত্র লিঙ্গ বিধ্বস্ত হইয়াছে কথিত আছে যে, মুসলমানেরা কাশীর প্রায় ১০০০ এক হাজার দেবমন্দির ভগ্ন করিয়া মস্জিদ নির্মাণ

কাশা

বিশ্দে্দরের মন্দির__

কুম্তলীন শব্পেস, কলিকাতা

কাশী। দেব-মন্দির বিরাজিত নাই। বর্তমান স্ুবরকলস ্বপচড়া-বিলম্থিত

বিশ্বেশ্বরের স্থন্দর মন্দির মাত্র শতীধিক বর্ষ পূর্বে. নির্শিত.. হইয়া এখন বিশ্বেশ্বরের মন্দিরের অনতিদূরে ওরজজেব কর্তৃক নিশ্মিত যে মস্জিদ দৃষ্ট হয়, পূর্ধের সেই স্থানেই বিশ্বেশ্বরের মন্দির বিষ্মান ছিল। সেই মস্জিদের পশ্চিমভাগের কারুকার্ধ্যাদি দর্শন করিলে স্পষ্টই প্রতীয়মান হইবে, এককালে ইহা হিন্দু দেব-মন্দির ছিল। বর্তমান বিশ্বেশ্বরের মন্দির সমচতুক্ষোণ প্রাঙ্গণের মধ্যে অবস্থিত। মিরঘাট জরাসন্ধঘাটের অদুরেই এই মন্দির। কোন্‌ মহাত্যা দেবাদিদেব বিশ্বশ্বরের সুন্দর কারুকার্য্যসম্পন্ন এই মন্দির নিম্মাণ করিয়াছিলেন, তাহা নির্ণয় কর! স্থকঠিন। চুড়াসমেত ইহ! ৫১ ফুট উচ্চ। মহারাজা রণজিতসিংহ মন্দিরের খিলান, চুড়া কলস ইত্যাদি তামার উপর স্বর্ণদ্বারা মণ্ডিত করিয়৷ দিয়াছেন। দীপ্ত সূধ্যালোকে কাঞ্চনমণ্ডিত মন্দিরচুড়া পথিকের চক্ষু বল্সাইয়া দেয়। চড়ার উপরে ত্রিশূল তাহার পাশে সর্বদাই পতাকা উড্ভীয়মান। মন্দিরের খিলানের মধাস্থলে ৯টী বৃহণ্ড ঘণ্টা টাঙ্গান আছে ইহার মধ্যের সর্বেবাৎকুষ্ট সর্নববৃহত্টা নেপালের মহারাজ! প্রদান. করিয়াছেন। যিনি এই মন্দিরে প্রবেশ করিয়াছেন, তিনিই ধন্য হইয়াছেন। ধর্মের নিশ্মল পবিত্রতা এখানে বিরাজমান কি সুন্দর দৃশ্য, ভক্তির সুমধুর -প্রীতির ভাব এখানে দেখিতে পাওয়া যায়। ভারতবর্ষের বিভিন্ন বিভিন্ন স্থানের কতশত হিন্দুভক্তগণ বম্‌ বম্‌ রবে চতুদ্দিক প্রতিধ্বনিত করিতে করিতে তক্তিভাবে বিশ্বেশ্রের লিঙ্গ দর্শন করিতেছেন। সকলের মুখেই দেব-দর্শন- জনিত অপুর্বব প্রীতির ভাব ফুটিয়। উঠিয়াছে। কেহ করযৌড়ে সঙ্গলনয়নে ভক্তিবিকম্পিত ক্টে স্তবপাঠে নিরত, কেহ মনের আনন্দে স্তমধুর স্বরলহরীতে চারিদিকে স্থুরের ঝঙ্কার তুলিয়া দিয়া বেদপাঠ করিতেছেন। ভক্ত হিন্দুর এমন অপুর্ব মিলন অতি অল্পস্থানেই দৃষ্ট হয়। সন্ধ্যার সময় দেবাদিদেবের আরতি-দৃশ্যের বর্ণনা ভাষায় ব্যক্ত করা অসম্ভব সুমধুর _বেদধবনিতে বাগ্যরবে অপূর্বব পুলক সমাবেশ, আর শত শত নরনারী ভক্তিগদগদচিত্তে একদৃষ্টে সেই মহান্‌ দেবতার দিকে নিনিমেষ নয়নে চাহিয়৷ রহিয়াছেন। ধর্্মপ্রীণ ভারতে ধন্মলাভের জন্য সর্বসাধারণের

ভারত-জরমণ

মধো যে কতদূর ব্যাগ্রতা, তাহ! ধিনি কখনও কোনও তীর্থস্থানে যান নাই তাহার পক্ষে কল্পনা করা অসম্ভব। বিশেশ্বরের মন্দিরের নিকটেই

জ্ঞান-বাপী। “কাশীখণ্ড পাঠে জ্ঞাত হওয়া যায় যে, রুদ্ররূগী

ঈশান ত্রিশূল দ্বারা এস্থানের ভূমি খনন করতঃ এই কুপ্ত নিশ্মাণ করিয়াছিলেন। ইহার জল পান করিলে মুরববাক্তিও জ্ঞানলাভ করিয়া থাকে জনপ্রবাদ এইরূপ যে, যখন কালাপাহাড় কাশীর দেব-মন্দির- সমূহ ধ্বংস করেন, তখন বিশ্বেশ্বর ইহার মধ্য লুকায়িত ছিলেন এখনও বন্ুযাত্রী এস্থানে দেবাদিদেবের পুজা করিয়া থাকে। জ্ঞান-বাপী একটা কূপ বিশেষ ; ইহার উপরে একটা ছাদ আছে, উহা ৪০টা প্রস্তর নির্মিত থামের উপরে সংস্থাপিত। গোয়ালিয়র-রাজ দৌলতরায় সিন্ধিয়ার বিধবা পত্তী বৈজবাই কর্তৃক ১৮২৮ খৃষ্টাব্দে ইহা নিশ্মিত হয় ; এই চাদের গঠন- নৈপুণ্য অত্যন্ত মনোহর | জ্ঞান-বাপীর জল অত্যন্ত ছু্গন্ধময়। বিশ্বেশ্বরের লিঙ্গটা, বানলিজও মধামারৃতি, তিনি সর্দদদাই ভক্তরন্দ কর্তৃক প্রদন্ত স্ূপীরুত ফুলবেলপাতায় এতদুর আবৃত থাকেন যে, সকল সময়ে াহাকে দেখিতেও পাওয়া যায় না। রাহার মনিদরসন্পিকন্থ অল্নপূর্ণার মন্দিরে দেখিলাম দেবী অন্নপূর্ণা দর্িবিহস্তে দাড়াইয়া রহিয়াছেন। দেখিতে বড়ই সুন্দর ! জানিনা কবে মা অন্নপুর্ণ। ক্ষুধার্ত তারতবাসীর ক্ষুধা দুর করিতে অগ্রসর হইবেন। কাশীতে এইরূপ প্রবাদ আছে যে, এখানে কেহই অনাহারী থাকে না। নানারত্বিডুষণা করুণাময়ী জগন্মাতার কুপায় দীনদুঃখী কাহাকেও অনাহারে ক্রেশ পাইতে হয় না। এই মন্দির প্রায় ১৮০ বৎসর পূর্বে পুণার মহারাষ্রনৃপতি কর্তৃক নির্মিত হইয়াছে মন্দিরের একপার্খে সপ্তাশ্মযোজিত রথের উপরে সূর্য্যদেবের মু্ি বিরাজমান এতদ্বযতীত শনৈশ্চরেশ্বর, শুক্রেশখর, গৌরীশঙ্কর, গণেশ হনুমানের বিগ্রহাদিও দৃষ্ট হয়। শনৈশ্চর লিজগের উদ্ধদেশ রজতমণ্ডিত এবং নিম্নাংশ পুষ্পগুচ্ছ দ্বার আরৃত। বিশেশরের প্রাচীন মন্দির নষ্ট করিয়া যে স্থানে ওরলজেব মস্জিদ নিশ্াণ করেন, তাহাকে এখনো গুরজজেবের মস্জিদ কহে। মদ্জিদের সম্মুখতাগে মুসলমানগণ একটা সিংহদার প্রস্তুত করাইয়াছিলেন ;

জ্ঞান-বাগী।

অন্নপূর্ণার মন্দির

কাশী-কর্কট

কিন্তু কোন মুসলমানই সৈই তৌরণ-দ্বার দিয়া মস্জিদে প্রবেশ করিতে পারে না; ইংরেজ গবর্ণমেন্ট এখন এই মস্জিদের ট্ঠি নিয়োজিত আছেন। এই মস্জিদের নিকটে আদিবিশ্বেশরের প্রায় ৪০ হস্ত উচ্চ মন্দির দৃষ্টিপথে পতিত হয়; উহার সন্নিকটেই “কাশী-কর্্ঘট' নামক একটা পবিত্র কৃপ দেখিতে পাওয়া যায়। সর্বসাধারণের মধ্যে এইরূপ একটী বিশ্বাস প্রচলিত আছে যে, ডুব দিয়! এই কর্বনট উত্তীর্ণ হইতে পারিলে আর পুনর্ববার জন্মগ্রহণ করিতে হয় না, এই অন্গ-বিশ্বাসের গতিকে ছুই একজন ডুব দিয়া মরার পর, গবর্ণমেপ্ট এই কৃপের মুখ বন্ধ করিয়! দেন, পরে পাগাগণের বহু আবেদনে প্রতি দোমবার কেবল একবার করিয়া ইহার মুখ খুলিয়৷ দেওয়৷ হয়। আমরা বিশেশখরের মন্দির তন্নিকটবন্তী অন্যান্য দেবালয়াদি দর্শন করিয়া কালতৈরবের মন্দিরের দিকে অগ্রসর হইলাম। উহা বিশেশ্বারের মন্দির হইতে কিয়দ্দরে অবস্থিত। কথিত আাছে ফে, ব্রহ্মার গৌরধ হ্বাস করিবার নিমিত্ত মহাদেব নিজ কোপ হইতে এক ভৈরব পুরুষের স্যা্ঠি করেন, তিনিই কালভৈরব। কালভৈরব বা ভৈরবনাথের মুস্তি প্রস্তরে গঠিত ঘোর নীলবর্ণ, ইহার চক্ষু দুইটা রজত নিশ্মিত, তিনি স্বর্ণ-সিংহাসনে অধিষ্ঠিত আছেন, পার্থ তাহার সারমেয়ের বিকট ন্তি। কালভৈরব কাণীর প্রহরীরূপে বিরাজিত আছেন। ভৈরবনাথের মন্দিরটা নানাবর্ণে সমলগ্কত এবং দর্শনোপযোগী। প্রবেশ করিবার দ্বারের বামপাশে দশাবতারের মুর্তি অতিশয় স্থুন্দর রূপে চিত্রিত আছে। কাল- রবের বর্তমান মন্দির পুনার বাজিরাও নির্মাণ করিয়া দিয়াছেন। মন্দিরের বাহিরে কালভৈরবের প্রাচীন মুর্তি দেখিতে পাওয়া যায়। অগ্র- হায়ণ মাসের কৃষণ্টমীতে উপবাস করিয়া যে ব্যক্তি সারারাত্রি কালতৈরবের (নিকট জাগরিত থাকে, তাহার সর্দপ্রকার পাপ দূরীভূত হয়। ইহার করিয়া যিনি যে কামনা করিয়া থাকেন তাহাই সিদ্ধ হয়। কাশীতে যে : চারিটা শীতল! দেবীর মন্দির আছে, তন্মধ্যে এখানে একটা দেখিতে গুল, এই শীতলাদেবীর মন্দিরে সপ্তভগিনীর মস্তি আছে। নব- হের মন্দিরও কালটৈরবের মন্দিরের নিকট বিদ্ুমান। এখানে রবি,

কালভৈরব।

ভারত-জমণ |

সোম, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, শনি, রাহু কেতু এই নবগ্রহের রীতিমত পুজা! হইয়া থাকে নবগ্রহের মন্দিরের পার্শেই দগ্চপাণির মন্দির। “কা শীখণ্ডে লিখিত আছে যে “হরিকেশ নামক জনৈক যক্ষ তপশ্যা দ্বারা মহাদেবের অন্পকম্পা লাভ করে। মহাদেব তাহাকে-বর দেন যে তুমি আমার অত্যন্ত প্রিয়তম ভক্ত, তুমি কাশীধামের ছুষ্টগণের শাসক ক্লিষ্টের পালক হইয়া দগ্ডপাণি নামে অবস্থিতি কর, কাশীধামে তোমার পুজা না করিলে কাহারও স্থখলাভ হইবে না।” দণ্ড- পাণির মুক্তি প্রস্তর নিণ্রিত, উহা উচ্ছে প্রায় তিন হস্ত হইবে, যাত্রিগণ প্রতি রবি মর্শলবারে ইহার পুজা করিয়া” থাকে কালটতৈরবের মন্দিরের নিকটে কালকুপ অবস্থিত। যিনি এই তীর্থে ভক্তিসহকারে

কালকুপ। আবগাহন করেন, তাহার পিতিলোকের তৎক্ষণাৎ উদ্ধার হয় এই কুপটা এমনি স্থুকৌশলে নির্িত যে ঠিক্‌ দিবা দ্বিপ্রহরের সময় সৃষ্যের রশ্মি ইহার সলিল মধ্যে পতিত হয়, বু লোক অদৃষ্ট পরীক্ষার্থ সে সময়ে এখানে আগমন করে, মধ্যাহ্ন সময়ে যে ব্যক্তি কৃপ-জ্লে আপনার প্রতি- বিন্ব দেখিতে পায় না, ছয় মাসের মধোই সে নিশ্চয়ই মৃত্যুমুখে পতিত হইবে, সাধারণের মধ্যে এইরূপ একটা বিশ্াস দুটরূপে প্রচলিত দেখিলাম কালকূপের অল্পদুরে বিদ্ধকালেশ্বরের' মন্দির অবস্থিত দক্ষিণদেশস্ম নন্দি- বদ্ধন গ্রামের বুদ্ধকাল নামক জানৈক রাক্তা কর্তক এই শিবলিজ স্থাপিত উহার মন্দির নিম্মিত হইয়াছিল এই মহাদেবের অর্চনা করিলে সর্বপ্রকার পাপঞজনিত দরিদ্রতা দূর হয়। বৃদ্ধকালেশরের মন্দিরের প্রাচীনত্ব অনেকেই সকার করেন। কোন কোন পুরাতন্তবিদের মতে কাশীতে এখন যতগুলি শিবমন্দির আছে, তম্মধ্যে বৃদ্ধকালেশ্বরের মন্দিরই সর্বাপেক্ষা প্রাচীন শিব-পুরাণে” বুদ্ধকালেশ্বরের নাম দেখিতে পাওয়া যায়, অতএব উহার প্রাচীনত্ব সম্বন্ধে সন্দেহ করিবার কোনও কারণ নাই | পুর্সেন যে স্থানে বিখাত এবং মোক্ষপ্রদ “কুত্তিবাসে- শরের' মন্দির অবস্থিত ছিল, এখন সে স্থানে আলমগীর মস্জিদ অবস্থিত ১৬৫৯ শ্রীষ্টান্দে কৃন্তিবাসেশ্বরের মন্দির ধ্বংস করিয়! সেই মাল মসলা দ্বারা ওরজজেব এই মস্জিদ্‌ নির্াণ করিয়াছিলেন। এখন এই মস্জিদের নিকট

দগ্ডপাণির মন্দির |

| বদ্ধকালেশর

৯৩

কাই,

“ত্রেশবরের' মন্দির বিরাজিত। এইরূপ একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে যে কয়েক বগসর পুর্বে এই মন্দিরের ভিন্তি খনন করিবার সমর মৃত্তিক | গর্ভ হইতে বহু ধন, রত্ব পাওয়। গিয়াছিল। “কাশী খণ্ডে? এই শিবের মাহাত্ম্য সম্বন্ধে লিখিত আছে যে, “যে ব্যক্তি রত্তেশ্বর দেবকে প্রণাম করিয়া দূরদেশেও প্রাণত্যাগ করে, সে তি শতকোটি কল্প কাল পধ্যন্ত স্বর্গে বাস করিয়া থাকে ।. £৮

কাশীতে গঙ্গার তীরে যে কত ঘাট আছে তাহার। ইয়নত! নাই। নি

যে ঘাটে যাইবে, তখনি সে স্থান জনাকীর্ণ দেখিতে পাইবে কোথাও সন্ন্যাসিগণের গগনভেদী হর্‌ হর্‌, রব, কোথাও সামবেদের মধুর স্বর-লহরী

গগনে মিলাইয়া যাইতেছে, কোথাও সংসারত্যাগী ধ্যানমগ্ন যোগীপুরুষগণ যোগাসনে উপবিষ্ট, আবার কোথাও বা বর্ষীয়সী রমণীগণ পুজা নিরতা পরমার্থ লাভের জন্য মানুষের ব্যাকুলতার দৃশ্য এখানে যেরূপ দৃষ্ট হয় পৃথিবার অন্যত্র তাহ। কল্পনাতীত। বাস্তবিক কাশীর গঙ্গাবক্ষস্থ দৃশ্য অতুলনীয় আমরা এখানে প্রধান প্রধান কতকগুলি ঘাটের নামোল্লেখ করিলাম যথা --অসিঘাট, লালামিশ্রঘাট, রাওসাহেবঘাট, আকরুলঘাট, শিবালয়ঘাট, দণ্ডীঘাট, হনুমানঘাট, মশানঘাট, লালীঘাট, কেদারঘাট, চৌকীঘাট, রাজাঘাট, নারদঘাট, সোমেশ্বরঘাট, পীড়েঘাট, নন্দঘাট, ছত্রঘাট, বাঙগালীটোলাঘাট, গুরুপান্তঘাট, চৌষট্রিঘাট, রাণাঘাট, মুন্সীঘাট, অহল্যাবাই- ঘাট, শীতলাঘাট, দশাশ্বমেধঘাট, প্রয়াগঘাট, মানমন্দিরঘাট, ঘোড়াঘাট, ভৈরবঘাট, মীরঘাট, ললিতাঘাট, নেপালঘাট, জরাসন্ধঘাট, কায়স্থঘাঁট, মণিকর্ণিকাঘাট, সিঙ্ষিয়াঘাট, ভীমকাঘাট, গণেশঘাট, ঘোসলাঘাট, রামঘাট, পঞ্চগঙ্গাঘাট, ছুর্গাঘাট, বিন্দুমাধবঘাট, গোঘাট, ত্রিলোচনঘাট, মৈত্রঘাট, প্রহলাদঘাট, রাজঘাট, বরুণাসজমঘাট, পিশাচমোচনঘাট অশ্মীশ্বরঘাট সমুদয় ঘাটের মধ্যে আবার শীতলাঘাট, প্রয়াগঘাট, বরুণাঘাট, দশাশ্খমেধ ঘাট, চৌফাট্ুষোগিনী, দশাশ্বমেধ মণিকর্ণিকা, অশ্রীশ্বর, অসিসঙ্গম কেদারখাট প্রভৃতি প্রধান। মণিকর্ণিকা ঘাটের ন্যায় পবিভ্রতম তীর্থ কাশীর আর কোণাও নাই। ইনার রজার পরার হাযান পচিতা। বিশেষরূপে লিখিত আছে “সৌরপুরাণে আছে যে £__

রত্বেখবর।

১১

ভারত-ভমণ | /

“নাস্তি গঙ্গাসমংতীর্থং বারাণশ্ঠাং বিশেষতঃ |

তত্রাপি মণিকর্ণাখ্যং তীর্থং বিশ্বেশ্বরপ্রিয়ম্‌ অর্থাৎ বারাণসীধামে গঙ্জারমত কোনও তীর্থ নাই, আবার বিশ্বেশ্বরের প্রিয় মণিকর্নিকা তীর্থের তুল্যও কোন তীর্থ নাই কথিত আছে যে প্রাচীনকালে স্থান ঘোরতর অরণ্যানীসঙ্কুল ছিল, সে সময়ে বিষুঃ মহাদেবের আরাধনায় নিযুক্ত থাকিয়া আপনার কুম্তল হইতে একটা মণি হারাইয়৷ ফেলিয়াছিলেন _ সে নিমিত্ত ইহার নাম মণিকর্ণিকাঘাট হইয়াছে, বিষয়ে আরও নানা- প্রকার কিন্বদন্তী শুনিতে পাওয়া যায়, - সে সকলের আলোচন! নিষ্প্রয়োজন। এখানেই ঘাটের পার্শে--

শ্মশানং ঘোর সন্নাদং শিবাশতসমাকুলং

শবমৌলি সমাকীর্ণং দুর্গন্ধং বহুধমকং ॥” কাশীর মহাশ্মশান। এমন সময় নাই, যে সময়ে এখানে একটা না একটা চিতা না ভুলে! হায় মোহান্ধ মানব, এই তোমার শেষ পরিণাম ' স্ৃখ- পুষ্ট দেহের এই শেষ যজ্ঞ ' সাধের লীলাখেলার শেষ যবনিকা এখানেই পতিত হয় ' অই যে শবদেহ ভস্মীভূত হইতেছে -অই যে তাহার আত্মীয়বর্গ সজল নয়নে চাহিয়া রহিয়াছে- একদিন সে আমাদেরি মত ছিল, আমাদেরি মত হাসিয়া খেলিয়া বেড়াইয়াচে--আজ তাহার শেষ চিহ্ন চিরদিনের মত পৃথিবীর বুক হইতে অদৃশ্য হইতেছে হায়' শ্মশান_সাম্যের ঘোষণা জগতে ঘদি কেহ করিয়া থাকে সে তুমি--যদি দীন দরিদ্র হইতে সআটের মণি-রত্ব-মণ্ডিত মুকুটের প্রতিও দৃক্পাত না করিয়া বিজয় ঘোষণা কেহ করিয়া থাকে সে তুমি সত্য সত্যই ত্রমি শিব-নুন্দর। শ্মশানের পার্শে দাড়াইয়া কত কথা ভাবিলাম, মুৃত্তের জন্য আত্মহারা হইতে হইয়াছিল। মণিকর্ণিকার সম্মুখই তারকেশ্র দেবের মন্দির অবস্থিত। কথিত আছে যে এই তারকেশ্বর দেব অন্তিম সময়ে কাশীবাসী নরনারীগণকে তারকক্রক্ধ জ্ঞান প্রদান করিয়। থাকেন। এস্বানে এই পবিত্র তীর্থের পৃত সলিল স্পর্শ নস! হইয়া থাকে। এই ঘাটের উপরে বিষুঃর চরণপাছুকা দু হয়। কিন্বদন্তী এইরূপ যে ভগবান্‌ বিষুট যখন মহাদেবের আরাধনা করেন

১২

২:০০ রকি ০৪

কাশী।

সেঁ সময়ের তাহার পদদ্ধয়ের চিহ্ন এস্থানে অঙ্কিত রহিয়াছে একখানি মন্রর প্রস্তরের উপর ছুইখানি প্রীয় ১॥০ হস্ত পরিমিত পদতলের চিহ্ন দেখিতে পাওয়া ষায়। যাত্রিগণ কার্তিক মাসে নানা স্থান হইতে এই চরণ-চিহ্ন পুজা করিবার জন্য আগমন করিয়া থাকেন। বরণাসজগমের সম্মুখেও এইরূপ পদ-চিহ্ন আছে মণিকর্ণিকার ঘাটের কিছু দূরে সিদ্ধি- বিনায়ক, সিদ্ধি এবং বুদ্ধিদেবীর মন্দির দৃষ্ট হয়। কাশীর উত্তর পশ্চিম দিকে নাগকুঁয় মহল্লা নামক মহল্লা আছে__ এই স্থানকেই প্রত্বতক্র-বিদেরা বারাণসীর অতি প্রাচীন স্থান বলিয়া বর্ণনা করেন। এই কূপের ধাপের মধ্যে এক স্থানে তিনটা নাগমুত্তি অপর একস্থানে একটী শিবলিজ দেখিলাম প্রতিদিন নাগ নাগেশ্বর শিবের পুজা হইয়া থাকে। ইহার কিছুদুরে অফ্টধাতুনিশ্ম্িতা, স্ববুহৎ মুকুটপবিশোভিতা সিংহোপরি অধিষ্ঠিত বাগীশ্বরী দেবী এবং রাম, লক্ষমণ, সীতা, নবগ্রহ, জ্বরহরেশ্বর প্রভৃতি বহু তীর্থ দেবমন্দির দর্শনান্তে দশাশ্বমেধ ঘাটে উপস্থিত হইলাম কাশীখণ্ডে বর্ণিত আছে যে পিতামহ ব্রহ্ম রাজধি দিবোদীসের সহায়তায় এস্থানে দশটা অশ্বমেধ যজ্জ করেন-_ সেজন্য ইহার নাম দশাশ্বমেধ তীর্থ হয় এবং সেনামেই এখন পরিচিত কাশীর মধ্যে ইহ! একটী মহাতীর্থ, এস্থানে প্রায় ৬৯২টী দেবমন্দির আছে। এস্বানে যেরূপ দেবমন্দির সমূহ ঘন সন্নিবিষ্ট তদ্রুপ কাশীর আর কোথাও নাই সারি সারি মন্দিরগুলি দেখিতে পরম রমণীয়। নগরের পশ্চিম সীমান্তে পিশাচ-মোচন তীর্থ অবস্থিত “কৃুর্্পুরাণ” প্রভৃতি প্রাচীন গ্রন্থেও ইহার উল্লেখ আছে পিশীচ- মোচনের শান্দরের পূর্ববপার্স্থ মন্দির দুইটী রাণী মীরাবাই নিন্মাণ করিয়া হধাকুণ্ |. দিয়াছেন। পিশাচ-মোচন তীর্থ দর্শনানম্তর আমরা সূর্য্যকুণ্ড সাসবাদিত্য তীর্থ। দেখিতে আসিলাম। কাশীখণ্ডে বণিত আছে যে কৃষ্ণের অভিশাপে কুষ্টরোগাক্রান্ত সাম্ব সূর্য্যদেবের তপস্যা দ্বারা ব্যাধিমুক্ত হইবার আশায় কাশীতে আগমন করিয়া স্থানে একটা কুণু নির্মাণ পূর্বক

নাগকৃপ তীর্থ।

দশাশ্বমেধ ঘাট

পিশাচ-ষোচন তীর্থ

১৩

ভারভ-ভ্রমণ |

সূধ্যদেবের আরাধনা করিয়া রোগমুক্ত হইয়াছিলেন। সান্ব কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই বিগ্রহ সে জন্য সাম্বাদিত্য নামে পরিচিত হইয়া আসিতেছে ইহাকে ভক্তিসহকারে অর্চনা করিলে মানুষ সর্নবপ্রকারের পাপ হইতে বিমুক্ত হইয়া সর্বপ্রকার সম্পদ লাভ করিয়া থাকে। স্ত্রীলোকে ইহার সেবা করিলে সে কখনও বিধবা হয় না। বর্তমান সময়ে এই তীর্থ সূধ্যকুণ্ড নামেই খ্যাত। এই কুণ্ডের সম্মুখে একটী ছোট মন্দিরের মধ্যে অষ্টাঙজ তৈরবের মুক্তি বিরাজিতা আছেন, গুরঙ্গজেব কর্তৃক এই মু্তির অঙ্গহীনতা সম্পাদিত হইয়াছে ইহার নিকটেই হরিভক্ত প্রুবের প্রতিষ্ঠাপিত ধবলিজ বা ফ্ুবেশ্বরের মন্দির দেখিতে পাওয়া যায়। কাশীর প্রধান বিশেষত্ব এই যে বারোমাস সমভাবে এখানে যাত্রীসমাগম হয়---আর এমন দেব-মন্দির দেখিতে পাইবে না যে স্থানে ভতক্তনরনারীর সমাবেশ নাই পুরুষ অপেক্ষা আবার স্ত্রীলোকের সংখ্যাই বেশী বারাণসীর উশানগঞ্জ মহল্লা বিশেষ বিখ্যাত। স্থানে প্রাচীরবেষ্ঠিত প্রাঙ্গণের মধ্যে যোগেশ্বরীর মন্দির স্থাপিত। এই মহল্লীর সন্নিকটেই কাশীপুর মহল্লার মধ্যে কাশীর অধিষ্ঠাত্রীদেবী কাশীদেবীর মন্দির দর্শন করিলাম ইহার নিকটে ঘণ্টাকর্ণ হ্রদ হদের তটপ্রদেশে একটা শিবলিঙ্গ বিরাজিত আছেন তাহাকে সকলে ঘণ্টাকর্ণেশ্বর কহে; জন্প্রবাদ এইরূপ ষে ঘণ্টাকর্ণ নামক জনৈক গণ কর্তৃক এই শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে বলিয়াই ইহার নাম ঘণ্টাকর্ণেশ্বর হইয়াছে আমাদের পুর্বেবাল্লিখিত কাশীদেবীর মন্দিরের কিঞ্চিৎ উন্তরদিকে বিষম ভৈরবের মন্দির অবস্থিত। ইহার মুস্তি অত্যন্ত অদ্ভুত প্রকারের স্থানে আরও অনেক দেবদেবীর মুত্তি আছে। তন্মধ্যে বারগণেশ জগন্নাথের মুর্তিই প্রধান। ইহার একপাশে দুইটি সতীর প্রস্তর নির্মিত মুত্তি আছে_ সধবা স্লীলোকগণ সহমৃতা এই সতীপ্রস্তর দুইটির পুজা করিয়া থাকে কাশীধামের ঠিক মধ্যস্থলে ভিলোটনর ত্রিলোচনের মন্দির অবস্থিত। ত্রিলোচন লিঙ্গ অত্যন্ত মন্দির। মোক্ষপ্রদ এবং কাশীর অন্যান্য শিবলিজ হইতে শ্রেষ্ঠ। ইন্ঠার উৎ্পন্তি সম্বন্ধে কাশী-মাহাত্য্যে লিখিত আছে যে, যে সময়ে মহাদেব

উশানগঞ্জ মহল্ল। |

বিষম-ভৈরব |

১৪

কম্তুলীন প্রেম কলিফাত।

২.2 এপ তত

ধ্যানমগ্র ছিলেন তখন প্রতিদিবস বিষ তাহাকে সহজ পুষ্প দ্বারা পুজা করিতেন। একদিন বিষ্ণুর সংগৃহীত সহজ পুপ্প হইতে মায়াবলপ্রভাবে মহাদেব একটী ফুল হরণ করিলেন বিষু পুষ্পাঞ্জলি দিবার সময়ে দেখিতে পাইলেন যে সহস্রের মধ্যে একটা পুষ্প কম তখন নিরুপায় হইয়া! স্বকীয় ॥& নেত্রকমল উৎপাঁটিত করিয়া! মহাদেবকে উৎসর্গ করিলেন, মহাদেবের কপালে সেই নেত্রটি পতিত হইবামাত্রই উহা চগ্ষু হইল__এবং তদবধি _ তিনি ত্রিলোচন নামে অভিহিত হইতে লাগিলেন। ভ্রিলোচন দেবের বর্তমান মন্দির নাথুবালা নামক পুনানগরীর জনৈক শ্রেষ্ঠ অধিবাসীকর্তৃক নিন্মিত হইয়াছে এই মন্দিরের সীমামধ্যে অনেক দেবমুত্তি দেখিতে পাওয়া যায়, ছোট ছোট মন্দিরের সংখ্যাও নিতান্ত অল্প নহে। ব্রিলোচন- দেবের মন্দিরের বারান্দা আটটা স্বন্দর সুন্দর লালবর্ণের থামের উপর স্থাপিত উহার ছাদ নানাবর্ণে অতিশয় স্তুন্দরভাবে চিত্রিত। প্রবেশ- পথের পার্শদেশে একটা শ্রেতপ্রস্তর নিন্মিত বৃহণ্ড বৃষভমুর্তি দেখিলাম। এমস্থানে নিপুণতার সহিত বহুদেবদেবীর চিত্র শিখগুরু নানকের প্রতিমৃত্তি অক্কিত রহিয়াছে এখানকার চিত্রাবলী মধ্যে একখানি চিত্র বড়ই সুন্দর শিক্ষাপ্রদ। সেই চিত্রখানাতে নরক মৃত্যুনদীর দৃশ্য অতিশয় সুন্দর দেহাবসানে স্বীয় স্বীয় পাপানুষ্ঠানের জন্য মানবগণ কিরূপে দণ্ডিত হয় অনন্ত প্রবহমান! অনন্ত রেগশালিনী কালতরঙ্গিনীর পরপারে যাইবার জন্য মানবের কিরূপ ব্যাকুলভাব হয়, এই চিত্রে তাহা এরূপ স্বাভাবিক ভাবে চিত্রিত রহিয়াছে যে, আপন! হইতেই মনের মধ্যে নৈরাশ্থের মৃত্যুর কালোছায়া আসিয়া পতিত হয়,_মনে পড়ে ক্ষণস্থায়ী জীবনের শেষ অভিনয়ের কথা__কে জানে জীবনাঙ্কের শেষ যবনিক! কখন পতিত হইবে! ত্রিলোচনঘাটের প্রাচীন নাম পপিলিপিলা” তীর্থ

এক [দবস কেদারেশ্বর দর্শন করিবার জন্য কেদারঘাটের দিকে গমন কেদারেখবর . করিলাম কাশীর বাঙ্গালীটোলায় কেদারেশ্বরের মন্দির কেদারাট। অবস্থিত, অঞ্চলেই বাঙ্গালীর সংখ্যা খুব বেশী, অধিকাংশ বাঙ্গালীই স্থানে বাস করেন। আমরা যখন স্থানে আসিয়াছিলাম, তখন তিমিরাবপ্ুষ্টিতা সন্ধ্যাসতী চারিদিক আবৃত করিয়া ফেলিয়া-

৯৫.

ভারত-ভ্রমণ

ছিলেন, মন্দিরে মন্দিরে আরতির শঙ্খ ঘণ্টা নিনাদিত হইতেছিল-- ভক্ত- বৃন্দের আকুলকণ্টের ঘন ঘন হর হর বম্‌ বম্‌ ধ্বনি--ধূপ ধূনার পবিত্র সৌরভ আকাশ ছাইয়া ফেলিয়াছিল। কত লোক কেদারেশ্বরের আরতি দেখিবার জন্য যাইতেছে তাহার সংখ্যা নাই আমরা ধীরে ধীরে অন্যান্য তীর্থবাসী নরনারীর সহিত মন্দিরাভ্যন্তরে প্রবেশ করিলাম কেদারেশ্বরের মন্দির গঙ্গার তীরে অবস্থিত। মন্দিরের বারান্দা লাল সাদা, এখানেও বু দেবদেবীর মুত্তি দেখিতে পাইলাম কেদারেশরের মুক্তি ব্যতীত এস্থানে লন্দনী, অন্নপূর্ণা, নারায়ণ, গণেশ প্রভৃতি বন মুর্তি আছে। এই দেব- মন্দিরের পূর্ববদিকের প্রাচীর হইতে গঙ্গাবক্ষ পর্ধাস্ত পাষাণনির্িত ঘাট,_ ঘাটের নিকট গৌরীকুণ্ড অবস্থিত, মন্দিরের নিকট হইতে গঙ্গাবক্ষে উঠিতে নাবিতে প্রাণান্ত হয়, কাশীর দিকে জাহুবীর পার অত্যন্ত উচ়। মন্দিরের আরতি কেদারেশবরকে দর্শন করিয়া লোকের ভিড় হইতে মুক্তি লাভ করিয়া কেদারঘাটে আসিয়া দীড়াইলাম--পলকমধ্যে জাহ্গবী-শীকর-সিক্ত শীতল পবনস্পর্শে সমুদয় গ্লানি অবসাদ দুরীভূত হইল, প্রাণে শান্তি আসিল পাষাণ-সোপানোপরি উপবেশন করিলাম সেদিন কুষ্ণপক্ষের পঞ্চমী তিথি চতুদ্দিক ঘনঘোর তিমিরাবরণে ঢাকা, আকাশে কোটা কোটা তারা-স্থন্দরী নয়ন মেলিয়! চাহিয়া আছে নিন্দে শঙ্খঘণ্টা-ধবনি- মুখরিত মন্দিরসমূহ পরিবৃতা-বারাণসীতীর্ঘের জন-কোলাহল দিগস্ত ছাইয়া ফেলিয়াছে। আমাদের নিকট হইতে কিছু দুরে রাজা হরিশ্চন্দ্রের শ্মশীন-: ঘাটে একটা চিতা জলিতেছিল। মনে হইল স্্দূর অতীতে এমনি এক অন্ধকার নিশীথে--সে নিশি আরও ভয়ঙ্কর ছিল--এ অন্ধকারের চেয়ে আরও কোটীগুণ গাঢ়তর অন্ধকার সেদিন প্রকৃতিকে ঢাকিয়া ফেলিয়াছিল__ জলদাবৃত গগনে সে রজনীতে মুন্ুমুহ্ছু ভীমভৈরব গর্জন কাশীধামকে গাঢ়তর আতঙ্কিত করিয়া তুলিয়াছিল__সকলেই নিজ নিজ গৃহে ভীতচকিত মনে নিষ্টীমগ্র; কেবল-_এই শ্মশীনভূমিতে এক কর্তব্যনিষ্ঠ দ্রান-বীর-- শ্বশানে নিজ কর্তব্যসাধন নিমিত্ত বসিয়াছিল, হায়! দাসত্ব হায়! শঙ্খল-_ স্বাধীন পথের ভিখারীও স্থুখী, কিন্তু রাজপ্রাসাদ সম প্রাসাদোপবিষ্ট পবভৃত্যও সুখী নহে। উরি জনি নিন সিভি

১.

111, ' ব্রি +8%81 ১বাসা পচা ০৭

দশ $ রা ৪৫ বা

. +১.-১৬ ১৯০০০০০, রা

০০4 -৮০০৬ক লে.

ঞু

প্রলীন প্রেস, করি

স। রি পরিণাম, কোথায় প্রাণ-প্রিয়তমা পত্বী--কোথায় প্রাণের নন্দন রোহিতাশ্ব, কোথায় রাজৈশধ্য._-আর কোথায় তিনি আজ কদন্ন ভোজনে মৃতের কম্বলাহরণে দিন কাটাইতেছেন সহসা পুক্র-শোকাতুরা রমণীর করুণক্রন্দনে সে শ্মশানঘাট প্রতিধবনিত হইল; হায়! হায়! এমন ভীষণ তামসী নিশীথে রাজরাণী শৈব্যা সর্পদষ্ট মৃতপুক্র রোহিতাশের সকার করিবার জগ্য আসিয়াছেন ! কি ভীষণ দৃশ্য! প্রাচীনযুগের সে শৌক-স্মৃতি হৃদয়ে আন্দোলিত হইতেছিল, আমি যেন অদুরস্থিত শ্মশান হইতে পুভ্রহার৷ রমণীর করুণ আত্নাদ শুনিতেছিলাম, “হা পুল্র- আমার সোণার রোহিতাশ্ব কোথায় গেলি বাছা! ? এই না ছুটে ছুটে খেল্ছিলি ?৮1 সে আজ কতদিনের কথা, এই পুণ্যাপ্পোক মহাত্বা অতুল ধৈর্যযশালিনী পতিসেবাপরায়ণা রাণী শৈব্যা জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, কিন্তু এখনও সে কীত্তিকাহিনী ভারতের নরনারী অতুল আগ্রহের সহিত শোনে পুক্্রশোকাতুরা রমণীগণ শৈব্যার সেই শৌকাশ্রুর সহিত আপনাদের ব্যথিত নয়ন-জল মিশায়। যতদিন পৃথিবী থাকিবে--যতদিন চন্দ্র-ূর্য্য থাকিবে--ততদিন পর্যন্ত এই কীর্তি-গৌরব-কাহিনী মুছিবে না। সেই নিশীথে নীরবে দাড়ায় জাহ্নবীর কলকলধ্বনির সহিত শুনিতেছিলাম “ধন্য রাজা হরিশ্চন্দ্র ।”--এমন সময়ে সঙ্গী ডাকিলেন “বাসায় যাইবেন না ?” আমার চেতনা ফিরিয়া আদিল, -তখন মন্দিরে মন্দিরে আরতির ধ্বনি থামিয়। গিয়াছে -আকাশে তারাকুল নির্ণিমেষনয়নে তেমনি চাহিয়া আছে! কেদারেশ্বর দেবের মন্রির হইতে উত্তরপশ্চিমদিকে কিয়দ্দরে মান- সরোবর নামক একটা স্থগভীর জলাশয় আছে। ইহা মান-সিংহ কর্তৃক সান সরোবর খনিত হইয়াছিল, এই সরোবরের চতুদ্দিকে প্রায় ৫প্টা মঠইতাদি। মঠ আছে, সে সকল মঠের মধ্যে রাম লক্ষণ দত্তাত্রেয় মুক্তিই উল্লেখযোগ্য, ইহা ছাড়া প্রায় এক সহজ দেব-মুর্তি এখানে আছে। মান-সরোবরের অল্পদুরেই মহারাজা মানসিংহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মানেশ্বর শিবলিঙ্গ বিদ্যমান মানেশ্বর লিঙ্গের পশ্চিমদিকে তিলভাগ্েশ্বরের মন্দির। মন্দির-মধাস্থ তিলভাগ্েশ্বর মূ্তি প্রন্থে দশ হাত এবং উচ্চে প্রায় তিন হাত। সর্দসাধারণের মধ্যে

তিলভাগ্ডেশ্বর

ভারত-ভ্রমণ

বিশ্বাস ষে, ইনি প্রতিদিন তিল তিল করিয়া বৃদ্ধি পান বলিয়াই ইহার নাম “তিলভাগ্ডেশ্বর হইয়াছে | কাশীধামের তুর্গাবাড়ী অত্যন্ত প্রসিদ্ধ প্রাচীন “কাশীখণ্ড” নামক গ্রন্থেও ইহার উল্লেখ দৃষ্ট হয়। বর্তমান ছুর্গামন্দির প্রাতঃ- স্মরণীয়া রাণী ভবানীর ব্যয়ে প্রস্তুত হইয়াছে দশপ্রহরণ- ধারিণী দেবী দশভুজার নিকট প্রতাহই ছাগবলি প্রদত্ত হয়। এখানকার জনসওঘ দেখিলে বিস্মিত হইতে হয় এমন সময় নাই, যে সময়ে এস্থানে কোনও জনতা না থাকে দূর দেশান্তর হইতে এখানে যে কত লোক আসিতেছে, তাহার সংখ্যা নাই প্রত্যহ মঙ্গলবারে এবং প্রতি বৎসর শ্রাবণ মাসের মঙজলবারে ছুর্গাবাড়ীর মেলায় লোক সংখ্যা খুব বৃদ্ধি পায়। দেবীর মন্দিরের কারুকাধ্যাদি প্রশংসনীয় _-এখানেও নেপালের মহারাজার প্রদত্ত একটা ঘণ্টা দোছুলামান। মন্দিরের প্রাচীরসীমায় পবিত্র দুর্গাকুপ্ড অবস্থিত ছুর্গাবাড়ীতে বানরের অত্যাচার অত্যন্ত প্রবল, সাহেবের! নিমিনু ইহাকে 1১16)1)155১ 11011) নামে অভিহিত করেন। কাশীর সহজ সহজ্র দেবমুগ্তির সংখ্যা করা দেবমন্দিরসমুহের বিবরণ প্রদান কর! অসম্ভব এমন গলি নাই যেখানে কোন না কোন দেবমুস্তি নাআছে। গঙ্গার তীরে যে সকল ঘাট আছে, প্রতোক ঘাটেই দেব-মন্দির- সমূহ দুষ্ট হয়। একদিন আমরা “বেণীমাধবের ধ্বজা” দর্শন করিতে গমন করিলাম পঞ্চগঙ্গাঘাটের উপরেই পুর্বেব বেণীমীধব বা বিন্দুমাধবের মন্দির বিরাক্তিত ছিল, --ওরঙ্গজেব সে দেব-মন্দির ভগ করিয়া সে স্থানে এই বুহশু মস্জিদ নিন্নীণ করিয়া গিয়াছেন। মস্জিদের চারিকোণে চারিটা স্তস্ত আছে, তন্মুধো সম্মুখস্থ দুইটাই সমধিক উচ্চ, উহাই এখন ( বেণীমাধবের ধবজা ) বলিয়া পরিচিত এই ধ্বজা কলিকাতার অক্টার্লনি মনুমেণ্ট হইতে অনেক উচ্চ। উহার উপর হইতে কাশীর চতুদ্দিকস্থ দৃশ্যাবলী চিত্রের গ্যায় প্রতীয়মান হয়। কাশীতে অনেক রাজ মহারাজা জমীদারগণের কীন্তি আছে; কিন্তু সর্নবাপেক্ষা নাটোরের প্রাতঃম্মরণীয়৷ রাণী ভবানীর কীত্তিই সংখ্যায় বেশী, কাশীবাসিগণ তাহাকে স্বয়ং অন্নপূর্ণার অংশপগত1 বলিয়। বিবেচনা, করেন। এই পুণ্যবতী রমণী

হর্গাবাড়ী |

বেণীমাধবের দ্বজ।।

৯৮

কাশী।

৩৬৫টা বাটা ব্রহ্মপুরী নিশ্ম্বাণ করিয়! ( যে কোন ব্রাহ্মণ উহাতে বাস করিতে পারেন) একজন গৃহস্থের একবৎসরের প্রয়োজনীয় সমুদয় দ্রব্যাদিসহ পূর্ণ করিয়া প্রতিদিন এক একজন ব্রাহ্মণকে দান করিয়াছিলেন। কাশীর পঞ্চক্রোশী রাস্তা ইহারই প্রস্তুত; রাস্তার মধ্যে মধ্যে এক একটা কৃপ, পান্থশালা ভারবাহী দীনদরিদ্রেরা যাহাতে বিনায়াসে মাথার ভার নামাইতে পারে, সেজন্য স্তত্ত প্রস্তুত করিয়া দিয়াছিলেন। ইহার নিন্ম্মিত ছত্রের বাড়ী, দণ্তীভোজনের বাড়ী, ভোগমন্দিরের বাড়ী, তোপখানার বাড়ী, গোপালের বাড়ী, জয়ভবানীর বাড়ী, কালীবাড়ী তারাবাড়ী প্রভৃতি প্রসিদ্ধ। কাশীর হিন্দু-কলেজ আনিবেসেন্টের আন্তরিক যত্বু, চেষ্টা অধ্যবসায়বলে স্থাপিত হইয়াছে একজন বিদেশিনী রমণী হিন্দুর হিতার্থ যে কতটা স্বার্থত্যাগ করিয়াছেন-_ তাহা ভাবিলে বিস্মিত হইতে হয় হৃদয় আপনা হইতেই কৃতভ্ভতায় পূর্ণ হইয়া উঠে। এই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থা অতিশয় সুন্দর সম্মুখে সুন্দর মাঠ, নানাপ্রকার খেলার শারীরিক ব্যায়ামাদি করিবার স্থুন্দর বন্দোবস্ত তথাকার ছাত্রাবাসে সরবশুদ্ধ ১২০টীা ছেলে থাকিতে পারে বিষ্ভাগারের উদ্ধতলের হুলটি নানাবিধ স্থন্দর স্থন্দর চিত্র দ্বারা পরিশোভিত, হলের একপাশে একটা বেদী,-বেদীর উপরিস্থিত ছাদের নিকটের জানালায় জ্ঞান-বিগ্ভা-প্রদায়িণী দেবী সরস্বতীর প্রতিমুদ্তি চিত্রিত, এই হলের পার্্স্থিত কক্ষে সভাসমিতি ইত্যাদি হইয়। থাকে

কুইন্স কলেজ একটা দেখিবার জিনিষ টিনািন্রীরাী শিল্পকাধ্যাদি-পরিশোভিত এই বিষ্ভাগারটা পরম রমণীয়। কলেজের ভিতরকার কান্টের কার্যযাদি অত্যন্ত স্থন্দর_ মুক্ত প্রাণের চতুদ্দিকে স্থশোভিত স্থন্দর কুস্থমোগ্ান বিদ্যার্থীদের তৃপ্ডিদায়ক। এখানে সাঞনাথ হইতে আনীত বনু বোদ্ধমূত্তি এবং আরও নানাপ্রকার ভগ্ন প্রস্তরমুত্তি নানাস্থান হইতে সংগৃহীত হইয়া যত্বের সহিত রক্ষিত হইয়াছে

কাশীর মান-মন্দির একটা প্রধান দর্শনীয় পদার্থ। কাশী যে কেবল ধন্ম-স্থান বলিয়। খ্যাত তাহা নহে, শিক্ষা-দীক্ষায়ও ইহা সর্ববপ্রধান |

হিন্দু-কলেজ

কুইন্স কলেজ

১৯

ভারত-জমণ |.

সংস্কৃতচচ্চার জন্য ইহ! চিরদিনই প্রসিদ্ধ এক সময়ে জ্যোতিষ-শান্তের চষ্চার ' জন্যও যে এস্থান প্রসিদ্ধ ছিল, তাহ৷ জয়পুরের মহারাজ!

জয়সিংহের নির্িত প্রসিদ্ধ মান-মন্দির দৃষ্টেই সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, অনেকেই ইহা মহারাজ। মানসিংহ কর্তৃক নিশ্িত বলিয়া ভূল করিয়া থাকেন মহারাজা মান-সিংহ তীর্ঘযাত্রী এবং বিদ্যার্থীদের সুবিধার জন্য মান-মন্দির নামক প্রাসাদটা নিশ্মীণ করাইয়াছিলেন, কিন্তু জ্যোতিষিক যন্ত্রাদি মহারাজা! সবাই জয়-সিংহের সময় স্থাপিত হয়। হিন্দু জ্যোতির্বিনদগণ এক সময়ে জ্যোতিষ-শান্মের যে কতদুর উন্নতি করিয়াছিলেন, এই মান-মন্দির ইহার পুর্ণ পরিচায়ক দিল্লীশ্বর মহম্মদ সাহের আদেশে নক্ষত্রের গতিবিধি নির্ণয় করিবার জন্য জয়পুর-রাজ জয়-সিংহ কাশী, দিল্লী, মথুরা, উজ্ভয়িনী জয়পুর এই পাঁচ স্থানের পাঁচটা মান-মন্দিরে বাবহারের জন্য প্রাচীন আধাজ্যোতিষের সাহাযো “জয়প্রকাশ, রামযন্ত্র সম্রাটযন্ত্র” নামক যন্ত নিন্মীণ করেন। মান-মন্দিরের শিল্পনৈপুণা এবং বাতায়নাদির গঠন- পদ্ধতি পরিদর্শন করিলে নিশ্মীতার অপুর্বন কলা-বিজ্ঞানের যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। মন্দিরে প্রবেশ করিলেই সম্মুখে ১১ *৯০ বিস্তৃত একটা দেওয়াল, ইহার নাম ভিন্ভতিযন্ত্র ; এই যন্ত্রের সাহায্যে সূর্যের নানাবিধ গতির বিষয় অবগত হওয়া যায়। এই যন্ত্রের নিকটে গ্রহাদির গতি নির্ণয় করিবার জন্য একটা ন্ত্র--এ যন্ত্রের পরেই সামন্ত বা সম্রাটফন্ত্র। ইহার দেওয়াল ৩৬৮ 8॥ ফুট এক দিক্‌ ৬৮ 8॥ ইঞ্চি, অপরদিক ২২ *৩॥ ইঞ্চ উচ্চ এই যন্ত্রের সাহায্যে সুধা গ্রহনক্ষত্রবৃন্দের উদ্ধী এবং অধঃগতির বিষয় জ্ঞাত হওয়া যায়। সামন্তযন্ত্রেরে সন্নিকটে আরো দুইটা ভিন্নতর আছে। এখানে জয়-সিংহের আবিষ্কৃত ভিন্ডিযন্্, চক্রযন্ত্র প্রভৃতি আরও কতকগুলি যন্্ আছে, জয়-সিংহ সকল যন্ত্রাদির সহায়তায়ই পাশ্চাত্য জ্যোতির্ব্বিদ হিপার্কাস, টলেমি প্রভৃতির যুক্তির ভ্রমপ্রদর্শন করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন

কাশীর সিক্রোল নামক স্থানেই ইংরেজ কম্মচারিগণ বাস করেন এবং সেখানেই আফিস আাদালতাদি প্রতিষঠিত। রাস্তাঘাট প্রশস্ত স্থপরিষ্কত। এখানে সাত আটটার বেশী বড় রাস্তা নাই, অধিকাংশই গলি।

ন্্‌০

মান-মন্দির |

মানমন্দিরের ধ্বংসাবশেষ-_কাশী

কৃস্তলীন প্রেস, কলিকাত। ;

কাশী।

কাশী যে কেবল পুণ্যক্ষেত্র বলিয়। বিখ্যাত তাহা নহে--ব্যবসাবাণিজ্যেরও ইহা একটা প্রধান কেন্দ্র। নানা দেশ-দেশান্তর হইতে বহু পণ্য দ্রব্যাদি এখানে আনীত বিক্রীত হয়। কাশীর রেসমী কাপড়, শাল, পিস্তলের দ্রব্যাদি, বারাণসী কাপড়, হীরা জহরতাদি জরির কাধ্য এবং নানাপ্রকার খেলনার জন্য ইহা বিশেষ প্রসিদ্ধ। প্রায় প্রত্যেক প্রধান প্রধান হিন্দুনরপতি এবং জমীদারগণের এস্থানে এক একটী করিয়া বাড়ী আছে এবং তাহারা অনেক সময়ে সপরিবারে এস্থানে বাস করিয়া থাকেন দুর্গ, বারিক, বিশ্ববিষ্ঠালয়, রেলফ্টেসন, ডাকঘর, আদালত ইত্যাদি সমুদয়ই এখানে আছে পুর্বেরব ভারতের নান৷ স্থান হইতে বেদাধ্যয়নের নিমিন্ত ্রাঙ্গণগণ আগমন করিতেন, এখনও আসেন কিন্তু পূর্বেবর প্রসিদ্ধি অন্তহিত হইয়াছে কাশ্মীরের মহারাজার বাড়ীতে একটী উত্তম সংস্কৃত বি্ভালয় আছে, সেখানে বহু বিগ্ভাধ্যায়ীকে বেদাদি শাস্ম শিক্ষা দেওয়া হইয়া থাকে কাশীতে কলের জল হওয়ার পর হইতে স্বাস্থ্যের যথেষ্ট উন্নতি হইয়াছে বিসুচিকা রোগ এখানে নাই বলিলেই হয় মা জাহ্ুবীর পবিত্র জলের এমনি অত্যাশ্চর্ধয শক্তি যে উহা! পান করিলে কোনও রূপ পেটের পীড়া থাকিতে পারে না এখানে যেমন অল্পব্যয়ে থাকা যায়-_বঙ্গদেশের কোথাও তদ্রপ সম্ভবপর হয় না কাশীতে প্রতোক দ্রব্যই সস্তা, বিশেষতঃ ফলমূল, শীকসব্জীর কথাই নাই,--অনেক দীনাহীনা বিধবা কেবল মাত্র ২।॥০, ৩২ টাঁকা মাসিক ব্যয়ে এই পুণ্যতীর্থে বাস করিতেছেন। কাশীর একদিকে যেমন ধন্মের পবিত্র জ্রোত প্রবহমান, আবার অপরদিকে তন্রপ ব্যভিচারের আ্োত দিন দিন বুদ্ধি পাইতেছে; এমন পাপানুষ্ঠান নাই যাহ বন্তমান সময়ে কাশীতে অনুষ্ঠিত না হয়। আলো অন্ধকারের পার্থক্য স্থানে সুস্পষ্ট দেখিতে পাওয়া যায়। কাণীর অপর তীরে ব্যাসদেবের নিশ্মিত ব্যাসকাশী অবস্থিত। আমর৷

একদিন প্রত্যুষে ব্যাসকাশী দেখিতে যাত্রা করিলাম তরণী- যোগে নদী পার হইলাম। ভাগীরথীবক্ষ হইতে তরুণ রবির কনক-কিরণ-মণ্তিত মন্দির-চুড়া কাশীর সৌন্দর্য্য বড়ই মনোরম বোধ হইয়াছিল। পরপারে উপনীত হইয়া বালুকাময় তটভূমি উত্তীর্ণ পূর্ববক

নানাকথ।

[দকানী।

ভারত-জমণ

রামনগর বা ব্যাসকাশীতে উপস্থিত হইলাম একদিকে কাশীর তট প্রদেশ জাহবীর গর্ভ হইতে যেমন পর্বত প্রমাণ উচ্চ, আবার অপর দিকে রামনগরের দিকের তটপ্রদেশ একেবারেই নিন্ন। কাশীতে মৃত্যু হইলে মানুষ যেমন শিবত্ব লাভ করে-_ব্যাসকাশীতে মৃত্যু হইলে আবার গর্দভ- যোনি প্রাপ্ত হয়, ইহাই সাধারণের বিশ্বাস। কৰি ভারতচন্দ্র “অন্নদামঙগলে” ব্যাসের কাশীনিম্মীণমহিমা এবং দেবী কর্তৃক তাহার ছল! অতি স্ন্দররূপে লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। ব্যাসকাশীতে দেখিবার কিছুই নাই---একটী সামান্য ছোট মন্দির কেবল ব্যাসদেবের কাশীনিন্্াণের গৌরব বা বিজ্রপ ঘোষণা করিতেছে!

এই মন্দিরটাও বিশেষ প্রাচীন বলিয়া বোধ হইল না। সম্মুখেই একটা পুক্ষরিণী, পুক্করিণীর জল অতান্ত অপরিষ্কার, মন্দিরমধ্যে একটা শিবলিজ স্থাপিত রামনগরে কাশীর মহারাজার প্রাসাদ, মহারাজার উদ্ভানবাটা, দীথিকা, মর্দ্নর প্রস্তর বিনিশ্রিত হাওয়া খাইবার ঘর ইত্যাদি সকলই স্তুন্দর। রামলীলার সময়ে এস্থানে খুব আমোদ হইয়। থাকে ভাগীরথীর কল- কল্লোলমুখরিত স্তবরম্য তটপ্রদেশে রামনগরের কেল্লা, সেই কেল্লার মধ্যেই মহারাজার প্রাসাদ অবস্থিত। এই কেল্লা বহৃকালের প্রাচীন, নদীর মধ্য হইতে ইহার দৃশ্য পরম রমণীয় বোধ হয়। মহারাজার সুসজ্জিত দরবার গৃহ এবং চিত্রশালা দেখিতে বড়ই স্থন্দর চিত্রশালায় বহু রাজ বংশীয় নৃপতিগণের চিত্র আছে নদীর দিকের বারান্দায় উপবেশন করিলে ক্লান্ত শরীর সজীব হয়--অদুরে গঙ্গা বহিয়া যাইতেছে, পরপারে কাশীর স্থুন্দর দৃশ্য-_আর ভাগীরথীর শীতল-সলিল-সম্প্ক্ত স্তমন্দ পবন উত্তপ্ত দেহকে স্থশীতল সিগ্ধ করিয়া দেয়

আমর! দ্বিপ্রহরের সময় কাশীতে ফিরিয়া আসিলাম। কাশীর কথা পাঠককে নুতন করিয়া বলিব এমন শক্তি কোথায় ? যে তীর্থ সকলের সুপরিচিত-_যেখানে প্রতিদিনই শত শত হিন্দু আসিতেছেন বিশ্েরের

কাহিনী লিখিয়া প্রকাশ করা অসম্ভব--তবু যাহা লিখিয়াছি তাহা! আমার ক্ষুদ্র হৃদয়ের প্রতিধ্বনি কাশীর অনতিদূরে সারনাথ প্রত্বত স্ববিদ্গণের

১৬

রামনগালের দশা |

722 'লুখ্ঞ্াার মার ভীনি এনিলক্ৰ কাশি 225 পি

শন।

দেখিবার জিনি টি জার ঠা ৪47 রা বিকার কাছে হই এখানে মায় স্থান তাহারা উন বৌদ্ধগণের নিকট হা রা 22 একদিন প্রভাতের প্র রবময় কীত্তিস্তস্ত বলিয়া রি মহাতীর্থ। প্রফুলতার মধ্যে সারনাথ দর্শনার্থ গমন রি ১1 1ম |

৮: এট / টু &, রা সি 2 এন 14 পাটি পা চি ্‌ এট শী 1 রা ৯.3 শত

২৩

ললাঞ্ধ ন্ব। ৌজ-ন্বান্বাপঙলী

+রনাথ কাশী হইতে দুই ক্রোশ উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত। বৌদ্ধদিগের নিকট ইহা বুদ্ধগয়ার পর মহাতীর্ঘ বলিয়! : বিবেচিত। আমরা যখন প্রথম

এদআপসিনদা পা? চি ৮৮৮৮০০০৮০ & 9৮০৭ পা?

সারনাথ দেখিতে যাই, সে আজ প্রায় পঁচিশ বসরের কথা-_তখন যাহা

পপি প, , ৯৩০০৭ লাজ সিপাগিহে ছাপা

বি রঙ

পাপী কাশি তিশা!

বৌস্ধন্ত সারনাথ।

২৪

সারনাথ 1

কীন্তি মৃত্তিকা-গর্ভ হইতে উত্থিত হইয়াছে। পূর্ব সারনাথের নাম ছিল মৃগাদব। মেজরগ্রাণ্ট, কানিংহাম প্রভৃতি প্রত্বতন্ববিরগণের রিপোর্টে ইহা! “1661 [১211৮ নামে উক্ত হইয়াছে। মুসলমান সম্াট্রো যেমন হিন্দুদেব-মন্দিরাদি ধ্বংস করিয়া সেই ভগ্নাবশেষের উপর মস্জিদ ইত্যাদি প্রস্কৃত করিয়াছিলেন, তঙ্রূপ হিন্দুরাও যে বৌদ্ধকীস্তিসমৃহ লোপ করিবার জন্য বিহার চৈত্য প্রভৃতির উপর দেব-মন্দিরাদি নিশ্মীণ করিয়াছেন, হিন্দুর পবিভ্রতম তীর্থ কাশীর দ্েব-মন্দিরাদি হইতে তাহার বিশেষ প্রমাণ পাওয়া যায়,কাশীর অনেক দেব-মদ্দিরই যে বৌদ্ধকীত্ির শোধিত-

ক্করণ, তাহা প্রত্বত ্ববিদ্গণ বিশেষরূপে নির্ণয় করিয়াছেন। যতই পুরাতন্বের নানাবিধ অনুসন্ধান চলিতেছে, ততই বৌদ্ধযুগের প্রকুত নৃতন নৃতন তথ্যসমূহ আবিষ্কৃত হইয়া ভারত-ইতিহাসের পুষ্ঠা' উজ্জ্বল হইতেছে বৃদ্ধদেবের, জন্মস্থান. ক্পিলাবস্থ,...তাহার.. বুদ্ষহলটক্ের...স্থান...বুদ্ধুগুয়া এবং তীহার দ্বারা সর্বপ্রথম ধন্মচক্র ঘূণিত হইয়াছিল বলিয়া দারনাথ নির্ববৃণ- প্রাপ্তির জন্য কুশীনগর- --এই স্থান চতুষ্টয় বৌন্ধপরণের, নিকট মহাতীর্থ বলিয়। গণা। গ্রীগ্রিয় সপ্তম শতান্দীতে. প্রসিদ্ধ ৈনিক পরিত্রাজক হিউএন্সিয়াং : সারনাধের . এইস্থান দর্শন করিয়াছিলেন কথিত আছে... বুদ্ধের 5555 সমসাময়িক কাণীর রাজ প্রাচীন _আধ্যঝযিগণের (যজ্তস্থল মুগাদব বা ধাষিপত্তন বুদ্ধদেবকে_ দান, করিয়াছিলেন - তাহার. পুর পুর. হইতে মুগাদব সঙ্ভবারাম নামে পরিচিত, হ্য় হয় রাজা আঙ্োক: এবং পালবংশীয় বৃপতিগণের রাজব-সময়ে সারনাথ বা সঙ্ঘারাম বৌদ্বকীসতি-গ্র্ত

জীবে এবং তীর্স্থল হইয়া এতদূর শ্রেষ্টত্বলাভ করিয়াছিল যে, ইহার ঞগ্ঞ হিন্দুর ্রেষ্ঠতীর্থ চিরপ্রাচীন বিখ্যাত কাশীনগরীর কীন্ডতি পর্যন্ত নিষ্াভ হইয়া উঠিয়াছিল। কেহ কেহ বলেন যে, িন্ুর্্ের পুনরু্ানের সময় বৌনধধরটে স্মৃতি বিলুপ্ত করিবার জন্য হিন্দুগ্রণ বুদ্ধদেবকে দশীবতারের: এক: অব্ার করিয়া লইয়া, সঙ্ঘারামে শিবলিঙ্গ স্থাপন করতঃ. সঙ্গেষেশ্মরের_. পুজা শর

করেন। হিন্দুশান্্ানযারী-_সজ্ঞেস্বর হিন্দু, বৌদ্ধ, প্রভৃতি . সকলেরই

পরম দেবতা “সাহিত্যপরিষদ্‌* হইতে প্রকাশিত “কাশীপরিক্রমা” নামক গ্রান্থের একস্থানেও সঙ্জেশ্বর বা সারনাথের উল্লেখ দেখ! যায়, বথা--..

8০ 5 রি সি

"রা

ভারত-ভ্রমণ।

“বরুণার পার, হৈয়া শুদ্ধাকার, অসংখ্য লিঙ্গেরে

যত্বে তাহে পুজি, পরে গিয়া ভি, দেব সঙ্ডেবশ্বরে |

কিঞ্দ্ধ্যান তথা, করিয়া সর্ববথা, কিঞ্চিৎ তিষ্ঠিবে।

পরে পাশাপাশি, ক্ষেত্রমধ্যে জ্ঞানী, প্রবেশি পুজিবে ।” ইহা হইতেই পাঠকগণ আমাদের অনুমানের যথার্থতা অন্ুতবৰ করিতে পারিবেন বৌদ্ধধন্মের অবনতির সঙ্গে সঙ্গে সারনাথের বৌদ্ধকীত্তি- কলাপাদি মৃত্তিকাগর্ভে প্রোথিত হইয়া লোক-লোচনের অদৃশ্য হইয়! গিয়াছিল,-_বৌদ্ধদের সময়ে ইহার নাম “বুদ্ধকাশী” “ষাড়ঙ্গনাথ ছিল।

সর্দবপ্রথমে প্রাচীন সারনাথের লুপ্তম্বতি কাশীর রাজা চেসিংহের

সময়ে পুনরায় জাগরিত হয়। তিনি তাহার প্রধান মন্ত্রী জগৎসিংহের স্মরণার্থ জগণগঞ্জ পল্লী-স্থাপনের ইচ্ছা করিয়া স্থপতিগণকে এস্থানে প্রেরণ করেন, তাহারা. পল্লী-নিশ্মাণোদ্দেশে উপকরণ সংগ্রহ করিবার জন্য প্রায় অষ্টাদশ হস্ত মৃত্তিকার নিম্মদেশে অশোকস্তুপ এবং তন্মধ্যস্থ ধনাগারের সন্ধান পাইয়া, ধনরত্বাদি গ্রহণ করে; দৈবক্রমে উহার মধ্যস্থ দগ্ধনরআস্মি, মুক্তা, পদ্মরাগমণি, স্বর্পপাত এবং নিম্বলিখিত বিবরণ সহ একটা বুদ্ধমূত্তি হরিদর্ণ মন্ঘ্ররসম্পটক, ১৭৯৪ শ্রীষ্টাব্দের জানুয়ারী মাসে বারাণসীর সে সময়কার রেসিডেণ্ট জোনীথান ডান্কান্‌ সাহেবের হস্তগত হয়। এই ঘটনার পর. হইতেই পাশ্চাত্য প্রত্ুতন্ববিদ পণ্ডিতমগ্ডলীর ইহার প্রাতি মনোযোগ আকধিত হয়। বুদ্ধমু্তির সহিত প্রাপ্ত-বিবরণে লিখিত ছিল যে- “গৌঁড়াধিপতি খ্যাতনামা মহীপাল শ্রীধন্মটির (বুদ্ধদেব ) চরণ অর্চনা করতঃ কাশীধামে ১০০ একশত ঈশান চিত্রঘণ্ট। প্রস্কৃত করেন তাহার ভ্রাতাদ্বয় প্রীস্থির পাল বসন্ত পাল বৌদ্ধধন্মের পুনরুদ্ধার করিয়া সম্বৎ ১০৮৩ (১০২৬ শ্রীঃ) এই স্তুপ নিম্মাণ করেন।” জেনারেল কানিংহাম সাহেব ১৮৩৫ _৩৬ শ্রীষ্টাব্দে সারনাথে বিশেষরূপে তন্তানুসন্ধান করেন এবং মুদ্তি, অট্রালিকার ভগ্নাংশ, স্তস্ত ইত্যাদি বাহির করিতে সমর্থ হন। কানিংহামের পরে ১৮৫১ খ্রীষ্টাব্দে মেজর কিটোও সারনাথ সম্বন্ধে বিস্তর এবং বহু মুণ্ডি, স্তস্ত ইত্যাদি আবিষ্কার করিতে সমর্থ হন, সে সকল

সারনাথ।

গহংত

ধমকন্ত পের কারুকাধ্য।

কলিকাতা, লক্ষৌ প্রভৃতি স্থানের পুরাদ্রব্যাগারে বস্ত্র সহিত রক্ষিত আছে। কিটো তীহার রিপোর্টের একস্থানে লিখিয়াছেন "4১110451১6০ 8050 2070 0১01060076৯, 0601015৯ 10015, 21] 00650161) (01711) 9011 1)19০6১ 101৩3, 7:01, 000 8110 31016, 9/8::000170 11) 10০ 85963 2110 1119 1045 178100051)60 17096 0090 01005. পূর্বে যে সকল বৌদ্ধকীত্তি আবিষ্কৃত হইয়াছিল তম্মধ্যে ধমক বা ধর্ম্মউপদেশ নামক সুবৃহত্ প্রস্তরময় স্তুপ এবং “চৌখান্তি নামক ইষ্টকনির্দিত অট্রালিকাই প্রধান ছিল। পূর্বে ধমক স্তুপের শীর্ষদেশে বুদ্ধদেবের মত্ত ছিল, এখন তাহার কোনও অস্তিত্ব নাই। এই ধমক স্তুপ মহারাজা অশোৌক-কণ্ডক নির্মিত হইয়াছিল। ফাগুসন ইহার যে সুন্দর বিবরণ দিয়াছেন_.আমরা এস্থানে তাহা উদ্ধত করিয়! দিলাম, ইহ! হইতে পাঠকগণ এই স্তুপের গাত্রস্থিত শিল্প-নৈপুণ্য এবং ইহার প্রকৃত সৌন্দর্য্য অনুভব করিবেন, তিনি লিখিয়াছেন, "' 17176 0011010200151505 01 2, 90076

08567161092 96011) 0141076061, 2110 50111) 01011, 076 9601059

পি

ভারর্জভ্রমণ।

1০০1 01401050 00£6067 10) 17010601005 17615100০01 4 চি 4১1909৬6080 10151001010 07001510509 51051270০91 [196 .2৮০%৩ 06 501171:01110011)151011)5, 2170 128 0 2৮0০9৬5 0112-15-05 06110201) 016 10561192010 15191155৬50 09 5151) [৮০)500105 9065, 5801) 21006 1100165৮105, 200 15 0 800910.111652501) 15 2: 51007111010106) 11009110760 81008151005 0০ 0010211) ৪. 562.850 05815 06 130001198, 010 1)9109%/ 01502), 51017011712 010 11701)011701)0, 15 40091) 91 50011909160 01104002100 91 072 177950 ৪১01115105 05800)- 1170 00100109716 001051915 র্ঁ 0 05501086710 1)7006101501 07650 11001070, 001 00170011160 ৬10) 511)2017৮ আত] 7 270000০5৫00 02110%, 101155560005119 ৮৮০1] 06551817690, 81). 56) 10000117656101011106 0180 021৮50 10)1711)00 7110151৯001) 07668011656 17170179081)

: 46 1০ সিল 8০

১৯০৫ সনের খননের পর সারনাথে সাধারণ দুশ্থ্া |

81050065 2 2১110107770 10611)1, ন৪:0717715 05661 5016 11716) ০81) 1001 196 ৮1 0190717101816. (17610550715 19001

পক কান পাক

1 "পনির

পি ৮৮৮85 4

সি,

রি 18

পর [পু

55০45 8৫5এ৯পা নতি এত

বাপি) ১, 2. টা

রি বিসিসি

2 7৮৮ রি

মি | ৮০৬, 44 পি বি সে ১১ পিরিত ০টি এত তাপ

৮৫ ০০ ৯১

০০৮০৫, তীর

২:২০ /1১২/১০০২

£8)8:১17-

১৮

ধানাবুদ্ধ _সারনাথ কৃন্তলীন প্রেন।

সারনাথ।

০1100121720 125508া £510710000176,198০ 67. ) পূর্বে যে “চৌখাণ্ডি' নামক ইস্টক-নির্ম্িত অট্রালিকার বিষয় বলিয়াছি, উহার সহিত ৩০০০ ৯১০০০ ফুট সারঙ্গতাল চন্দ্রাতপ বাহির হইয়াছে বটে ; কিন্তু তাহার সহিত কোনও খোদিতলিপি বাহির হয় নাই

জেনারল কানিংহাম কিটো প্রভৃতির অনুসন্ধানের পর সারনাথ সম্ধন্ধে কোনও অনুসন্ধান না হওয়ায়__তাহার! যে সকল দ্রব্যাদি আবিষ্কার করিয়া- ছিলেন, তাহাও লুপ্তপ্রায় হইয়াছিল ; কিন্তু বিগত ১৯০৪-৫ খ্রীষ্টাব্দে ভারতের ভুতপুর্বব শাসনকর্তা লর্ড কঙ্ভনের অনুমত্যানুসারে পুরাতন্ব-বিভাগের মিঃ এফ, ও, অটেলের তত্বাবধানে সারনাথের বনুস্থান খনিত হইয়া যে সকল দ্রব্যাদি আবিষ্কৃত হইয়াছে__তাহা ভারত ইতিহাসের বনু পৃষ্ঠা উজ্জ্বল করিবে, ইহা নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে সারনাথে মহাত্বা শাক্যসিংহ কর্তৃক সর্নবপ্রথমে বৌদ্ধধর্মের বান্তা ঘোষিত হইয়াছিল,_-একথা পূর্ব্বেই বলিয়াছি। বৌদ্ধধশ্মাবলম্বী সম্রাট অশৌক এই ঘটনা চির-স্মরণীয় করিয়া রাখিবার জন্য যে স্তস্ত স্থাপিত করিয়াছিলেন, অটে- লের কৃপায় তাহা এখন লোক-লোচনের গোচরীভূত হইয়াছে। এই ্তস্তটা ভগ্নাবস্থায় পাওয়া গিয়াছে, ইহার গাত্রে যে ছত্র অশোকলিপি খোদিত ছিল, তাহাও বনহুপরিমাণে নষ্ট হইয়া গিয়াছে সম্রাট অশোক এই খোদিত- লিপিতে “দেবানাম্‌ প্রিয় বলিয়া সন্বোধিত হইয়াছেন এই অনুসন্ধানে, মহারাজা অশ্মঘোষের রাজত্বকালীন একখানা লিপিও পাওয়া গিয়াছে ভগ্ন-স্তস্তের শিরোভাগ উহার সম্মুখেই পাওয়া গিয়াছে। এই স্তস্তা- গ্রভাগের উপরে যে চারিটা সিংহমুর্তি দেখিলাম, তাহা নিতান্ত বিস্ময়কর দুই হাজার বসরেরও অধিক কাঁলের প্রাচীন হইলেও এই সিংহগুলির গঠননৈপুণ্য-স্তস্তগাত্রে খোদাই, সিংহের সেই তরঙ্গায়িত কেশর, চক্ষু মুখের স্বাভাবিক ভঙ্গীদর্শনে বর্তমান ইয়ুরোপীয় শিল্লিগণও প্রশংসা না করিয়া থাকিতে পারেন নাই। ভারতবর্ষীয় শিল্পিগণ এককালে যে স্থপতিবিষ্যায় কতদূর উন্নত বিচক্ষণ ছিলেন, সকল ভগ্নাবশেষ হইতে তাহার প্রকৃষ্ট উদ্হরণ পাঁওয়৷ যায়। চৈনিক পরিব্রাজক হিউএন্সিয়া, সপ্তম শতাব্দীতে এই স্তম্ত দেখিয়া যাহা লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন, তাহা

অশোকস্তস্ত

শত

২৭৯

ভারত-জমণ

হইতেই পাঠকগণ হৃদয়ঙজম করিতে পারিবেন যে, সে সময়ে ইহার শিল্প- সৌন্দর্য্য কতদূর শ্রেষ্ঠ ছিল। তিনি লিখিয়াছেন “মহারাজা অশোকের স্তপের কাছে জেড্‌ নামক মূল্যবান মণ্্নর-প্রস্তরের আভাযুক্ত ৭০ ফুট উচ্চ একটা স্তস্ত আছে; উহার অভ্যন্তর হইতে একপ্রকার উজ্জ্বল আলে! বাহির হইয়া থাকে যেব্যক্তি আন্তরিক ভক্তি বিশ্বাসের সহিত স্থানে প্রার্থনা করে, সে তাহার অভীষ্টানুষায়ী স্ফল এই স্তত্তগাত্রে প্রতিবিশ্বিত দেখে স্থানেই বুদ্ধদেব সর্বাগ্রে দিব্যজ্ঞানালোক লাভ করিয়া ধণ্্চক্র ঘূর্ণিত করিয়াছিলেন।” এই স্তৃস্তের সহিত একটা প্রকাণ্ড প্রস্তর-নিণ্রিত ছত্রদণ্ড একটা বৃহ বুদ্ধমু্তি পাওয়। গিয়াছে--এই উভয়ের গাত্রে যে খোদ্িতলিপি আছে, তাহা হইতে জান! গিয়াছে যে, শ্রীষ্টের জন্মের একশত বসর-পরবর্তী রাজা কনিক্ষের রাজ্যশাসনকালে সকল সংস্থাপিত হইয়া- ছিল। প্রত্তত্ববিদ্গণ ইহাও ঠিক করিয়াছেন যে, খরিপল্পন বানম্পর নামক দুইজন বৈদেশিক রাজা কর্তৃক ইহা সংস্থাপিত হয়। ছত্রদণ্ডটার সম্মুখস্থ ভূভাগ খনন করিয়া ছত্রটাও পাওয়া গিয়াছে, এই ছত্রের বৃহত্ব

১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দে ভুমাযুনন্তস্তের নিয়স্থ খনিত অংশ | সৌন্দর্য বিশেষ প্রশংসনীয় ইহার অভ্যন্তর ভাগের বিবিধ কারুকার্্যাদি ধর্মের কোনও রূপ সাঙ্কেতিক চিহ্ন বলিয়৷ পণ্ডিতমগ্ডলী অনুমান করেন।

৩০

সারনাথ |

এখানে ছোট বড় বহুসংখ্যক স্থুন্দর স্থুন্দর বৌদ্ধমুন্তি উঠিয়াছে, কোন কোন মুত্তির গাত্রে প্রাচীন মধ্যযুগের গুপ্তাক্ষরে লিখিত উৎসর্গ-লিপি ইত্যাদি দেখিতে পাওয়া যায়। সারনাথের নিকটস্থ গ্রামবাসিগণ স্থানকে লক্ষ্য করিয়া বলিয়া থাকে যে,_-“নয় লাখ্‌ দেনেছে নয় কোটি মিলে গা 1” কথা একেবারে তাচ্ছিল্য করিবার নহে, কারণ দিন দিন যতই স্থান খোদিত হইতেছে, ততই নান! প্রকার প্রত্ুতন্ব-সম্পকীয় দ্রব্যাদি পাওয়া যাইতেছে মহারাজা চে সিংহের আমলে যে, এখান হইতে বভ ধন-রতু পাওয়া গিয়াছিল, সে কথা পূর্সের্ই বলিয়াছি__-কে বলিতে পারে যে, এই রত্বগর্ভা মুন্তিকার অভ্যন্তরে আরও বহু ধন-রত্রাদি প্রোথিত নাই ? স্থানের কিছুদুরে “ষাড়জতাল” নামক একটী জলাশয়ও দৃষ্ট হয়। সারনাথের স্তূপ মাঠের মধো অবস্থিত_ অদুরেই বস্তি। লর্ড কঙ্ভনের কৃপায় এখানে একটা ক্ষুদ্র গৃহ নিশ্মিত হইয়াছে, পর্য্যাটকদের বিআাম করিবার জন্য একটী কক্ষ আছে, অপরটাতে পধ্যন্ত যে সকল দ্রব্যাদি প্রাপ্ত হওয়৷ গিয়াছে, তাহার কতকাংশ সযত্বে রক্ষিত হইয়াছে বৌদ্ধ- ধন্মের অভ্যুত্থানের সঙ্গে সঙ্গে দেশব্যাপী যে মহান একতার ভাব জাগিয়৷ উঠিয়াছিল, তাহ কে অস্বীকার করিবে ? বুদ্ধদেবের অভ্যুদয়ে ভারত ধন্য হইয়াছে! অমর বঙ্কিম সে সময়ের উন্নতির বিষয়ে জাতীয় একতার প্রতি লক্ষ্য করিয়া লিখিয়া গরিয়াছেন “তখন বিশুদ্ধাত্মা শাক্যসিংহ অনন্তকালস্থার়ী মহিমা বিস্তার পুর্ববক, ভার্তাকাশে উদ্দিত হইয়। দিগন্তপ্রধাবিত রবে বলিলেন, পে ক্ষ *% তোমরা সবই সমান ব্রাহ্মণ শুদ্র সান। ক্ষ % %? বৈষম্য-পীড়িত ভারতে মহামন্ত্র শুনিয়! হিমগিরি হইতে মহীসমুদ্র পর্যন্ত বিচলিত হইল কৌদ্ধধন্্ন ভীরতবর্ষে প্রচলিত হইল-_বর্ণবৈষম্য কতকদুর বিলুপ্ত হইল। প্রায় সহত্র বৎসর ভারতবন্জে বৌদ্ধধন্্ প্রচলিত রহিল। পুরাবৃত্তজ্ঞ ব্যক্তিরা জানেন যে, সেই সহত্র বগসরই ভারতবর্ষের প্রকৃত সৌষ্টবের সময় যে সকল সম্রাট হিমালয় হইতে গোদাবরী পধ্যন্ত যথার্থই একছত্রে শাসিত করিয়াছেন-_ অশোক, চন্দ্রগুপ্ত, শিলাদিত্য প্রভৃতি--এইকাল মধ্যেই তাহাদের অভ্যুদয় এই সময়েই তক্ষশীল| হইতে তাত্ত্রলিপ্ত পর্যন্ত বহুজনসমাকীর্ণ মহাঁসমৃদ্ধি-

ভারত-ভ্রমণ।

১৯০৫ শ্বীষ্াব্বের খননে প্রাপ্ত ভিক্ষুগণের প্রার্থনার ক্ষুদ্রাকৃতি বেদী

শীলিনী সহজ্স সহজ নগরীতে ভারতবর্ষ পরিপুরিত হইয়াছিল এই সময়েই ভারতবর্ষের গৌরব পশ্চিমে রোমকে, পূর্বে চীনে গীত হইয়াছিল-__তদেশীয় রাজার! ভারতবর্ষীয় সআরাট্দিগের সহিত রাজনৈতিক সধ্যে আবদ্ধ হইয়াছিলেন। এই সময়ে ভারতবর্ষীয় ধর্মপ্রচারকেরা ধর্ম্মপ্রচারে বহির্গত হইয়া অর্ধেক এসিয়াকে ভারতীয় ধন্মে দীক্ষিত করিয়াছিলেন শিল্পবিদ্ভার যে এই সময়ে বিশেষ উন্নতি হইয়াছিল, তাহার প্রমাণ আছে ।” সারনাথ দেখিতে দেখিতে প্রতিমুহুর্তে এই মহাজনবাক্য আমাদের হৃদয়ে উদিত হইতেছিল-_-এই যে আমাদের নয়নসমক্ষে যে ধ্বংসাবশেষ পতিত রহিয়াছে, ইহার! কি সেই ্বার্থত্যাগী রাজসন্ন্যাসীর বিশ্বজনীন প্রেম ঘোষণা করিতেছে না ? বস্তুতঃ

৩২ | | উট

1 11915) 4250 5128

বিভর-বন্ানে ঘট বৌদ্ধমুগই ভারতের উন্নতির মুগ, সে সয়ে ভার

বড় দকলে এক ছিল বলিয়া, প্রতোক বিষয়ে ভারতবামীর টনি হইয়াছিল অই ধা হুর ঈীা্ত তে গোর উর রা অশোকের সৃতি সন্ত দখিতে'পাই।

তদীমঞ্প্ুন্

শৃম্ধ্যার অব্যবহিত পরে রাত্রি ৮৯ ঘটিকার সময় বারাণসীধাম পরিত্যাগ করিয়া আউড এগ রোহিলখণ্ড রেলওয়েতে (0901) 200 [21711117810 [51147 ) জৌনপুরের টিকেট করিয়া রওয়ান৷ হইলাম। রজনীর স্তব্ধ নীরবতা ভঙ্গ করিয়া গাড়ী চলিতে লাগিল, কিয়ৎকাল পরে গাছের আড়াল দিয়া কৃষ্ণপক্ষীয় তৃতীয়ার চন্দ্র হাঁসিতে হাসিতে স্তনীল গগনতলে ভাসমান হইলেন। সে শুভ্রজ্যোতন্নালোকে প্রকৃতির যে শোভ। দেখিলাম, তাহা যে বাংল! দেশ হইতে স্বতন্ত্র, তাহাতে কোনও সন্দেহ নাই; সবই শ্যামলা বজ্জননীর সৌন্দর্য্য হইতে পৃথক রকমের। রেলপথের ছুইপার্থে যতদুর দৃষ্টি চলে, সারি সারি শাল গাছ,_ শাল গাছের পরে দিগন্তবিস্তূত মাঠ আপনার বিরাট শরীর শুভ্র জ্যোতসা- বরণে ঢাকিয়া স্বপ্তিমগ্র, গ্রামের কোনও চিহ্ন দেখা যাইতেছে না। রাত্রি প্রায় এগারটার সময় জৌনপুর পঁহুছিলাম। যেমন ফ্টেসনে অবতরণ করিয়াছি-_অমনি ঝম্‌ ঝম্‌ করিয়া প্রবল বারিধার৷ পতিত হইতে লাগিল-__ আকাশের দিকে-চাহিয়া দেখি আকাশ ঘন-কুষ্ত-মসীমাখা-মেক্ষে ঢাকা, কাজেই ভিজিতে ভিজিতে-রন্থকষ্টে বাসা ঠিক করিয়া রজনী কাটাইতে হইয়াছিল আমাদের সে ক্লেশের কথা আর অধিক বিবৃত করিয়া, পাঠিকগণকে ক্রেশ দিতে চাহি না। তবে একটা কথা মুরুবিবয়ানা-ভাবে ন! বলিয়াও থাকিতে পারি না, যিনি ভ্রমণের স্বর্গহখ অনুভব করিতে চাহেন, ্টাহাকে বহু কষ্টও ভোগ করিতে হইবে। এই উপদেশ বাক্যটা স্মরণ রাখিয়া দেশ ভ্রমণ করিতে বাহির না হইলে, দর্শনস্পৃহা চরিতার্থ করা স্থুকঠিস।

প্রত্যুষে নগর দেখিতে বাহির হইলাম। পশ্চিমের অন্যান্য নগরের সহিত ইহার যে বড় বেশী পার্থক্য, তাহা নহে__জৌনপুরের খ্যাতি এস্থানের শর্কিরাজাদিগের নির্মিত বহুসংখ্যক মস্জিদ ইত্যাদির নিমিত্ত। জৌনপুর অতি প্রাচীন নগর, ইহা উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের অন্তর্গত জৌনপুর জেলার প্রধান সহর। ১৩৯৪ ধ্রীষ্টা হইতে ১৪৯৩ খ্রীষ্টাব্দ পর্য্যন্ত এই একশত বতসরকাল ইহা বুদ্বাউন এতাব৷

৩৪.

প্রাচীন ইতিহাস।

হইতে বেহা'র পর্যন্ত এক স্মৃবিস্তীর্ণ সমৃদ্ধ স্বাধীন মুসলমান নৃপতিগণে রাজধানী ছিল,__-এখনও এখানে প্রাচীন অট্রালিকা, মন্দির, মস্জিদ প্রভৃতি বিদ্যমান থাকিয়া সেকালের স্থপতিবিষ্ভার শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপাদন করিতেছে এস্থানে মসজিদের সংখ্যাই বেশী, স্বাধীন পাঠান শর্কি-অধিপতিগণ একদিকে . যেমন অনেক হ্ৃন্দর মস্জিদ ইত্যাদি নির্মাণ. করিয়া! নিজেদের গৌরব প্রতিষ্ঠা করিয়া গিয়াছেন__অন্যদিকে আবার এস্থানের প্রাচীন হিন্দু ও. বৌদ্ধকীত্তিসমূহ ধ্বংস করিতেও পশ্চাদ্পদ হন নাই। বলা বাহুল্য যে অধিকাংশ মস্জিদ ইত্যাদি হিন্দু বৌদ্ধমন্দিরের ভগ্নাবশেষ লইয়! গঠিত পৌরাণিক যুগে ইহার কি নাম ছিল, তাহা ঠিক্‌ জানিবার উপায় নাই, স্থানীয় ব্রাহ্মণেরা জৌনপুরকে প্রাচীন জমদগ্লিপুর বলিয়া ব্যাখ্যা করেন সিন্ধান্ত কতদূর সত্য, তাহ! প্রত্বতত্ববিদ্গণ অনুমান করিতে পারেন, সে যাহাই হউক এখানকার হিন্দু অধিবাসীর! কিন্তু ইহাকে অগ্ঠাপি জৌনপুর না বলিয়া জমনপুর কহিয়! থাকে

স্থানের নামোৎপন্তি সম্বন্ধে নান প্রকার মতামত শুনিতে পাওয়া ষায়। মুসলমানেরা বলেন ষে, সম্রাট ফিরোজশাহ এই স্থান-দর্শনে প্রীত হইয়! তাহার প্রিয় জ্ঞাতিভ্রাতা জুনানের (পরিশেষে মোহম্মদ তোগলক) শ্রীত্যর্থে ইহার নাঁম জৌনপুর রাখেন হিন্দুরা বলেন, প্রাচীন-জমনপুর নাম ফিরোজের তুষ্টির নিমিত্ত কিঞ্চিৎ পরিবন্তিত হইয়া জৌনপুর হইয়াছে। সে যাহাই হউক জৌনপুর যে অতি প্রাচীন নগর তছ্িয়ে কোনও সন্দেহ নাই। ফেরিস্তা লিখিয়াছেন যে “জৌনপুর দিল্লী হইতে বঙ্গদেশে যাইবার পথে জবস্থিত।” এখানকার জামি মস্জিদের দক্ষিণ দ্বারে একখানি শিলালিপি আছে, উহা খ্রীগ্রিয় সপ্তম শতাবীর, এই 'শিলালিপিতে মৌথরি রংশীয় ঈশ্বর বন্দার নাম লিখিত আছে; ইহ হইতে প্রমাণ করা যাঁয় যে, মুলমান-শাসনের বুপূর্বেষে স্থান একটা সম্বদ্ধিশীলী হিন্দু-নগ্ররী ছিল। জৌনপুরের স্ববাপেক্ষ। প্রাচীন মস্জিদটা চুর্গাভ্যস্তরে অবস্থিত একটা খোদিতলিপি করার কেট হর্স, হইতে জানা ঘাঁয় যে এই মস্জিদটা ১৩৯৮ কী নির্দিত কার দরনির হইয়াছিল। মস্জিদটা আকারে দি কহে দক্ষিণে দৈর্ঘ্যে ১০০ শত ফিটের অধিক হইবে নাও, টিজিদের সগ

্স্তগুলি সুন্দর কারুকার্য্য-খচিত। . ইহা যে: প্রাচীন হিন্দু-মন্দির' হইতে গৃহীত তদ্ধিষয়ে টিন সন্দেহ নাই ফাগুসন সাহেব, চি লিখিয়াছেন”- .

11706 098019%/5,01 00656 ঢা 1876 নিন টি কাটিন 270 ৮/875. ৪০10610) 14061 01017) 50175. 08101)19 01970. ৪%15690 00616, 01. 1 076 11615101000711700, 0561016 00৫ 1195161) 90০00401079 0১9০ 016 5601 69:100৮6 ৫31805:60 06. 90000 89110 00136790001) 21100900001) 11) 01 1116 18100500165 ১০11 91998079101).” (0১ 421, 17 রত 5 পা 061106 1515167) 8170 11)1180, 4510171050001,)

এই মস্জিদটা ব্যতীত জৌনপুরে আরও তিনটা টি চিন পাঁওয়। যায়, তন্মধ্যে জুম্মা মস্জিদই সর্বাপেক্ষা! বৃহৎ শিল্পচাতুর্যাময়। ইহার ভিত্তি অন্যান্য মস্জিদ অপেক্ষা অনেক উচ্চ। এই মস্জিদের প্রস্তর ইত্যাদি দৃষটে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে, ইহা কোনও প্রাচীন হিন্দুমন্দিরের ভগ্নাংশ দ্বার! নিশ্মিত হইয়াছে. রঃ

১৪১৯ রাধে জৌনপুরাধিপতি সাহা ইব্রাহিম, চিট ইহার নিম্্াণকার্ধ্য আরম্ভ হইয়৷ ১৪৫১--১৪৭৮ তরীষ্টাে হামেনের রাজত্বকালে পরিসমাপ্তি হয়। এই মসজিদের প্রাঞ্জণ ২২০ ২১৪ ফিট, পশ্চিম দিকে একসারি অট্রালিকা . আছে, উহার মধ্যস্থ অট্রালিকাটার উপর একটা গুম্বজ আছে। ইত্রাহিম শাহের প্রতিষ্ঠিত অতলা মস্জিদটাও দেখিতে. মন্দ নহো। ফিরোজসাহ ১৩৭৬ খ্রীষ্টাব্দে দেবী অতলার মন্দিরের উপর ইহা নিশ্াণ করিতে আরম্ভ করেন এবং ১৪০৮ খ্রীষ্টাব্দে ইব্রাহিম উহার ই্রাহিম-নারেব কার্ধ্য শেষ করেন।% এই মস্জিদটার গঠনাকৃতি বঙ্গদেশীয় বার্বকের মসূজিদ। স্থাপত্যের অনুরূপ ইহার কারুকার্য্যাদি-সন্বন্ধে উল্লেখ- যোগ্য তেমন কিছুই নাই। খোদিতলিপি পাঠে জ্ঞাত হওয়া গিয়াছে যে, ১৩৩৭ গ্রীষ্টা্যে ফিরোজসাহের ভ্রাতা ইব্রাহিম-নায়েব-বার্বধাক উঠ

পপ পক সপ চপ পাপ

* জৌনপুরে 0 যে. নকল মস্জিদ অবশিষ্ট আছে তস্মধো অতলা মস্জিদ্ই নানা কারুকাধী- সর্বযাপেক্ষ। মনোহর। ফাগুসন সাহেব বজেন__'01 এ| 1116 [10508৩৭ 16চ817761 190109016) 106 45151218510 5ি:0617050071816 8170. (16 17081 (৮৫৪০0০

প্রথম দৃষ্টিতে ইহা হিশু কি বৌদ্ধমন্দির বলিয়া অন্ৃমিত হয়; মস্জিদটা দিত! 15775.

অতলা-মস্জিদ

নিশ্রিত হইয়াছিল চি 'খালিস, মুনি দরিবা ও. মস্জিদ-খালিস. ইহা অভিহিত হয়। ১৪১৭ টানে বিজয়চনদ্ জয়চক্দের্‌ নরোজ। মসজিদ। মন্দিরের উপর এই মস্জিদটা নিন্মিত হইয়াছে নগর হইতে কিঞ্চি দূরে রেগমগঞ্জ নামক স্থানে মাম্মুদ সাহের সহধশ্মিণী বিবিরাজি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত লালদরজার মস্জিদ অবস্থিত। অন্যান্য মস্‌- জিদাদির ন্যায় ইহার গঠনেও বিশেষ রেংনও পার্থক্য নাই-_তৰে হিন্দু মুসলমান স্থাপত্যের অপূর্ব সংমিশ্রণ ইহাতে দেখিতে পাওয়া যায়। আকারে এই মস্জিদটী নগরের অন্যান্য সকল মস্জিদর হইতে ছোট এসকল মস্জিদ. ছাড়া জৌনপুরে ভ্রষটব্য আরও বহু মস্জিদ, মন্দির, সমাধি

ভারত-্ভরমণ

প্রভৃতি আছে-_সে কলের কথা পূর্বেই বিবৃত করিয়া সুলতান মহম্মদের মস্জিদ, মশিনখীর মদৃজিন, শাহ কবীরের মস্জিদ্‌, জহিদ্খার মস্জিদ্‌ হুলেছান-শাহের দর্গ প্রভৃতি বিশেষরগে উল্লেখ যোগ্য। পুণাতোয় গোঁমতীর উপরে প্রাচীন প্রস্তরনির্পিত সেতু আছে-_ তাহা এখানকার প্রধান তরব্য গদার্। পুলটি দৈর্ঘে ৭১২ ফিট এবং যোড়ঘটা ধিলানবিশিষউ। এই সেতুটা মোগলসম্রাটুদিগের সময়ের তৈরি। ১৫৬৯--৭৩ প্রীফীন্দে তৎকালীন জৌনপুরের শাসনকর্তা মুনিমখী কর্তৃক নির্িত হইয়াছিল--ইহা প্রস্তুত করিতে প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকা বায় হয়। সেতুর উতয় পাঙ্ন্থিত হু স্তর কক্ষে নানাবিধ ভরবযসামগ্রীর বিপণিশ্রেণী দেখিতে বড়ই সুন্দর আমরা যে সকল মস্জিদ্‌ ইত্যাদির উল্লেখ করিয়াছি, ভাহা ছাড়াও প্রাীন ধবংসাদি অনেক দেখিতে পাওয়া যায়:_সে সকল জৌনপুরের অপর তীরে অবস্থিত।, জৌনপুর বাণিঙগ প্রধান স্থান। এখানকার আতর খয়ের বিশেষ প্রসিদ্ধ পূর্বে এখানে দেশীয় একপ্রকার কাগস্স প্রস্তুত হইত, কিন্তু কলের প্রতি- _যোগীতায় তাহা চিরদিনের জগ্য লুপ্ত হইয়া গিয়াছে। গোমতীর উভয় তীরেই আউড এবং রোহিলখণ্ড রেলওয়ে কোম্পানীর ফেঁসন। গির্জা, ডাকবাংলা, পুলিশরাইন, মি আফিস (গাড়ীর মালামালের শুল্ক জায় হয়) আদালত ইত্যাদি দেখিতে বেশ-_এ নগরে মিউনিসিগালিটির বন্দোবস্ত আছে। সারাদিন নারছমণান্তে ক্লান্তকাতর দেহে বাসায় ফিরিললাম উদরদেবকে শীতল করিয়া সে দিবস রাত্রি দুই ঘটিকার সময় জৌনপুর ছাড়িয়া ফৈজাবাদ বা অযোধ্যা রওয়ানা হইললাম।

গৌষতীর সেতু

অতি প্রত্যুষে আসিয়৷ অযোধ্যা উপনীত হইলাম। পুণ্যতোয়! সরযু (ঘাগর! ) নদী ইহার পাদদেশ ধোঁত করিয়া প্রবাহিতা। অধযোধ্যার টী খুব ছোট। দশরথের রাজধানী নবদূর্ববাদলশ্যাঁম-করেবর হিন্দুর চির আরাধ্য কমলা-পতি বিষু্র অন্যতম অবতার শ্রীরামচন্দ্রের জন্মভূমি বলিয়! ইহা হিন্দু মাত্রেরই মহাতীর্থ। আমর! এখানে বিক্রমপুরবাসী ডাক্তার শ্রীযুক্ত হরকান্ত মুখোপাধ্যায় এসিফাণ্ট সার্জন মহোদয়ের বাসায় অতিথি হইয়াছিলাম,_ইঁহার আদর অভ্যর্থনা সদয় ব্যবহার চিরকাল মনে থাকিবে, বিদেশে এরূপ সদয়হৃদয় স্থহৃদ পাওয়া! সৌভাগ্যের বিষয় বলিতে হইবে আমাদের স্থুখ-ম্বচ্ছন্দতার নিমিত্ত এই মহাত্ব! যেরূপ ক্লেশ স্বীকার করিয়াছিলেন, তাহার অধিক প্রশংসা! করিতে গেলে রীতিমত স্তবের মত শুনাইবে বলিয়াই ক্ষান্ত রহিলাম। ভগবান্‌ ইহাকে সুখী করুন। - আহারাদির পর বিশ্রামান্তে নগর দেখিতে বাহির হওয়! গেল। প্রাচীন- কাল হইতেই অযোধ্যার প্রসিদ্ধি। রামায়ণ পাঠে জ্ঞাত হওয়া যায় যে স্বয়ং মনু এই নগর নিশ্মীণ করিয়াছিলেন ; তখন ইহার পরিমাণ দৈধ্যে ১২ যোজন এবং প্রন্থে ছুই যোজন ছিল। বাঙ্গীকির অযোধ্যা-বর্ণনা পাঠ করিলে যে মহিমাময় মহান্‌ নগরীর সমুদ্ধ চিত্র মনে পড়ে, বর্তমান অযোধ্য! দৃষ্টে তাহা! অনুমিত হয় না। সুর্যবংশের শেষ রাজা মিত্র অযোধ্যানগরী পরিত্যাগ করিলে ইহার অট্টালিকা সমূহ ভঙ্মীবস্থায় পতিত হইয়া, কালবশে নগরী অরণ্যে পরিণত হইয়াছিল। সূষ্যবংশের আধিপতোর - পরে স্থানে বহুদিন পর্য্যন্ত বৌদ্ধাধিপত্য হইয়াছিল। বৌদ্ধাধিপত্যের পরে গ্রীষ্টিয় ৫৭ বসর পূর্বে বিক্রম র্‌ নামক জনৈক হিন্দু-নূপতি এই পতিত নগরের উদ্ধারকল্লে এবং রামায়ণের লু্তকীত্তি সমুহের ধ্বংসোদ্ধারের জন্য অরণ্য কাটাইয়া পুনরায় ইহা! নগরে: পরিণত করেন। সর্ব পরথমে ৬৭৯ দি্ছেশ করিয়া

প্রাচীন ইতিবৃত্ত

সময়ও ইহা বিনষ্ট হয় নাই। কিতা যে রাজা বিক্রম অযোধ্যা প্রায় ৩৬০টা দেৰ-সন্দির সিশ্মীণ করিয়াছিলেন, 'বরঠীল ্রৈ-কিন্ত ৪২টার আন্মিক দেখিতে পাওয়া যায় না। টানালবিরসারানেজিন লিন মন্দির ব্যতীত আর কোনও মদ্দির ছিল না। ছি

_ মোক্ষদায়িকা 'সপ্ততীর্থের মধ্যে অযোধাই প্রথম | “এ সহরে রামচন্দ্রের. ্িয়' অনুচর হন্ুমানবৃন্দের সংখ্যা খুব বেশী। অযোধ্যার দেব-মন্গির সমুহের কোনটাই বিশেষ পরান নহে রামকোঁটি অধেধ্যার বিশেষ প্রসিদ্ধ স্থীন।“ কিন্বদস্তী হইতে জানিতে পারা যায়' যে, স্রীরামচন্্র স্থানে দুর্গ নির্মাণ করিয়াছিলেন। ছুর্গের চতুর্দিকে বিশটা বুরুঞ্জ ছিল এবং হনুমান, স্থুগ্রীব, জান্ুবান প্রভৃতি সৈন্যাধ্যক্ষগণ উহার উপরে থাকিয়া নগরের প্রহরাকার্ধ্যে নিযুক্ত থাকিতেন.। সেই দুর্গের অভ্যন্তরে টা রাজপ্রাসাদ ছিল-_-এখন'কিন্ত্ব সে সকল কেধল কল্পনার অন্তভূক্ত। রামকেটি স্থানটার বর্তমান দৈন্যদশা “দেখিয়া চক্ষে জল, টে কোথায় সেই রামের, অযোধ্যা ? বাঁশসীকির | লেখনী ষে স্থানের মহিমা" কীর্তন করিতে"ঃ কান্তি বোধ করে টি যে অভ্রভেদী অযোধার রাজপ্রাসাদ তত্কালীন শিল্পে 'ও সৌন্দর্য্য ভারতে অদ্ধিভীয় বলিয়া বিবেচিত হইত, বর্তমান সময়ে তাহার সামান্য চিহুটুকু নিষ্ামান নাই যদ্দারা আমরা সেকালের আবে ৪835১478858 |

' অযোধ্যার দেব-মন্দির সমুহের মধ্যে “হমুমান-গড়” দ্যা লেট রামচন্দ্রের প্রধান ভক্ত তাহার বীরত্বের জন্য হমুমানের আদর অঞ্চলে খুব 'বেশী। যে স্থানে রামচন্দ্র জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, সেই জন্মস্থান এখনও বিদ্যমান আছে, কিন্তু সেখানে প্রাচীন চিহ্ন কিছুই দেধিতে পাইলাম না_-এ স্থানে কোনওরূপ মুক্তি নাই কেবল ্ীরাশ্্ের ধ্বজ- 0 দেখিতে পাওয়া যায়। -'উত্মস্থীনের গুর ..: মধ্যে প্রাচীরের অপরভাগে একটী বৃহৎ মজিদ: উহার রে চা ডোরিগত ররর সার: ৯৩৫ হি (ক

কোট,

হুম লি-গ়।

সম্রাট বাবর ১৫২৮ খ্রীষ্টাব্দে মৃগয়! করিতে আসিয়া কিছুদিন এখানে অবস্থিতি করিয়াছিলেন সে সময়ে এই মসিদ প্রস্তত হয়। রামচন্দ্রে জন্মমন্দিরস্থ কি পাথরের কয়েকটা স্তস্ত অগ্াপি বাবরের মসিদে টা পাওয়া যায়। পূর্বে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে মন্দির মসিদ লইয়া খুব দার্জা-হাজামা হইত, কিন্তু ব্রিটিশ শাসনাধিকারের পর হইতে জন্মস্থান মসিদের মধ্যে রেলিং দেওয়া হইয়াছে, এখন উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনও- রূপ গোলযোগ নাই

অযোধ্যায় প্রবেশ করিলেই নয়ন সমক্ষে মণিপর্ব্বত দুষ্ট হয়। মধিপর্কত, ্ত্রী- প্রায় ৪8 হস্ত উচ্চ, রামায়ণের মতে লক্ষণ শক্তি- পর্বত কুবের- টি

হ্গ্দা শেলে পতিত হইলে, হনুমান বিশল্যকরণী চিনিতে না৷ পারিয়া গন্ধমাদন পর্বত লইয়া বখন লঙ্কাভিমুখে যাইতেছিল, সে সময়. অযোধ্যার উপর আসিলে, ভরত বাটুলাঘাত করেন, সেই বাটুলাঘাতে হনুমান ভূমিতে পতিত হুইলে গন্ধমাদনের কিয়দংশ ভাঙ্গিয়া গিয়াছিল-_-এই মণিপর্বতকেই সেই ভগ্নাংশ বলিয়া অযোধ্যাবাসিগণ বলিয়া থাকেন? এই উচ্চ স্থানটা ইট, পাথর কঙ্করের পাহাড় বলিলেও অতুযুক্তি হয় না; কারণ ইহার কলেবর উন দ্বারাই পরিপূর্ণ এই স্তপের নিম্ষে যে খোদিত লিপি পাওয়া গিয়াছে, তাহা হইতে জানা যায় যে মগধরাজবং শীয় মনুবদ্ধন, নামক জনৈক নৃপতি কর্তৃক ইহা নিশ্ম্নিত হইয়াছিল। এতদ্যতীত অযোধ্যায় সগ্রীব-পদ্ত এবং কুবের-পর্ব্ব নামক আরও ছুইটা স্ত.প আছে, -ভম্মখো প্রথমটা প্রায় হাত উচ্চ এবং কুবেরপর্ববত প্রায় ১৪ হাত উচ্চ। কোন প্রত্ব-তন্্বিদ ইহাদিগকে বৌদ্ধ-স্ত,প বলিয়া অনুমান রি অনুমান নিতান্ত অসঙ্গত বলিয়া মনে হয় না। মণিপর্ববতের নিকট দুইটা, সমাধি দেখিলাম, উহার একটাতে সেথ এবং অপরটাতে জব নামক পৈগন্বর সমাহিত আছেন। এস্থানে সোমগিরি নামক যে দুইটা ছোট ছোট স্তুপ দেখিলাম তাহাদের সম্বন্ধে কেহই কিছু বলিতে পারিল নাঁ। অযোধ্যাতে , এখন প্রায় সর্বস্তদ্ধ ৯৬টা মন্দির আছে, ইহার মধ্যে ৬টী বিজুমদ্দির ৩৩টা শিব-মন্দির_ আমর! প্রায় সকল গুলিই হৌটাহিজা সরযু- নদীর তীরে রামঘাট বা স্বর্থার, সীতাঘাট, জঙ্গমণঘ্াট প্রভৃতি

জাছে। সীতার মন্দিরটী নষ্টপ্রায় হইয়া গিয়াছিল, কিন্ত রাজী অহল্যা- বাইয়ের দৃষ্টি পড়ায় ইহা স্থুসংস্কৃত হইয়াছে__সীতার ঘাটটাও তিনিই বাঁধাইয়া দিয়ছিলেন। লক্ষ্মণ বা লছমনঘাঁটেই ভ্রাতৃবসল লক্ষণ ভ্রাতৃ-আজ্ঞায় সরযু-সলিলে আত্মবিসর্ভন করিয়া অদ্ভুত ভ্রাতৃ-প্রেমের দৃষ্টান্ত রাখিয়া গিয়াছেন। জগতের ইতিহাসে লক্ষমণের ভ্রাতৃ-ভক্তি চিরদিন উজ্জ্বল অক্ষরে লিখিত থাকিবে রামঘাটে রামচন্দ্র জীবন-সর্ববস্ব ভ্রাতার পন্থানুসরণ করিয়া বৈকুষ্টে গমন করিয়াছেন রামঘাটে আসিয়া খন দাড়াইয়াছিলাম, তখন হৃদয়ে যে কি এক মহান্‌ স্বর্গীয় ভাবের উদয় হইতেছিল তাহার প্রকৃত বিবরণ দেওয়া অসম্ভব রামঘাট হইতে কিয়দ্দুরে সরঘূর পশ্চিমদিকে একটা প্রাচীন ছুর্গের ভগ্নাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায ইহা কে নির্্মীণ করিয়াছিলেন তাহা নির্ণয় করা স্থুকঠিন, তবে অতিশয় প্রাচীন বলিয়াই বোধ হইল

রামায়ণের প্রতিদৃশ্য নয়ন সমক্ষে অভিনীত হইতে দেখিতেছিলাম,- কিন্তু সে প্রাচীন-মহনত্ব এখন কোথায়! ধীরে সরযু--আমাদের লন বহিয়া ষাইতেছিল-_কিস্তু তাহার সেই কলনাদের মধ্যে মধুর রাগিণী বাজিয়া উঠিল না সে যেন শোকাকুলিত চিত্তে অতি দুঃখে শোক-সঙ্গীতে সাগরাভিমুখে ষাইতেছিল। একদিন সে রামচন্দ্রের পিতৃসত্যপালনার্থ বন-গমন দৃশ্য দেখিয়াছিল,-০ে শোক-দৃশ্ঠের পরে পুনরায় রাম-রাজত্বের অপুর্ণবৰ পুলকদৃশ্যও অভিনীত হইতে দেখিয়াছিল-_কিন্তু আজ-_-কেবলই শোক-কাহিনী--কেবলি শ্মশান-ভস্ম বুকে করিয়া তাহাকে বহিয়। বাইতে হইতেছে অধযোধ্যায় রামচরিত্রের কতকগুলি মুর্তি গঠিত আছে, শিল্প- নৈপুণ্যের তাদৃশ শ্রষ্ঠন্ব না থাকিলেও এগুলি দেখিতে নিতাস্ত মন্দ নভে কোথাও অভিমানিনী কৈকেয়ীস্ুন্দরী নিরাভরণা ধূল্যাবলুস্টিতা, রাজা দশরথ অবনত বদনে মানিনীর মানভঙ্জন করিতেছেন, কোথাও শ্রীরামচন্র সীতা লঞ্ষমণ বঙ্ধল বসনে দেহ আবৃত করতঃ বন-গমন করিতে- ছেন; আবার কোন স্থানে শ্রীরামচ্র অশ্বমেধ যজ্ঞে ব্রতী, কিন্তু সাধবী সতী জনক-নন্দিনী বনবাসে, ওদিকে সন্ত্রীক না হইলে ধন্মানুষ্ঠান কুস্পাদ্দিত হয় না সেজন্য ম্তবর্পসীতা নির্মাণ করিয়া যজ্ঞে ব্রতী

৪২

| অবোধ্যা? হইয়াছেন; এসব দেখিতে দেখিতে অযোধ্যার পূর্বব-স্যৃতি জাগিয়! উঠে, কি. ছিল কি হইয়াছে-_অতুল-গৌরব-বৈভব-মপ্ডিত মহানগরী আজ শ্মশান ! কোন্‌ সহৃদয় ব্যক্তি--সে সকল প্রাচীন-কাহিনী চিন্তা করিয়৷ অশ্রচ্জল সংবরণ করিতে পারেন ? অযোধ্যার রামলীল৷ বিশেষ দর্শনীয়, দুঃখের বিষয় আমরা তাহা দেখিতে পাই নাই। প্রতি বৎসর রামনবমীর, সময় স্থানে মেল! হইয়া থাকে-_মেলায় প্রায় ৫০,০০০* লোক সমাগম হয়। নানাপ্রকার রাজবিপ্নবাদির পরে ১৮৫৬ শ্রীষ্টাব্ষে অযোধ্যা ইংরেজদিগের অধিকৃত হইয়াছে ; অযোধ্যায় বৈষ্ণবধন্মের বিভিন্ন শাখার প্রায় সাতটা মঠ আছে, প্রত্যেক সম্প্রদায়েরই এক একটা বিভিন্ন মঠ। হনুমান-গড়ে নির্ববাণী সম্প্রদায়ের মঠ আছে দেখিয়াছিলাম। নগরে জৈনদেরও ছয়টা মন্দির আছে-_মন্দিরগুলি দেখিতে বেশ সুন্দর সরযুর তীরে বিশেষতঃ স্বর্গ- ঘাটেই যাত্রিগণ স্সান, দান ভোজ্যাদি উৎসর্গ করিয়া থাকেন। এই ঘাটটা পাকা করিয়া বাধান, কা হানার রিরারাত নারাডের রোগ ন্গিগ্ধতা বহু পরিমাণে বৃদ্ধি করিয়াছে | সারাদিন ঘুরিয়া ঘুরিয়! অযোধ্যানগরী দর্শনান্তে, শেষ বেলা ফৈজাবাদ দেখিতে রওয়ানা হইলাম অযোধ্যা হইতে ফৈজাবাদ ৫1৬ মাইল দুরে অবস্থিত। রাস্তার ধুলি উড়াইয়া আমাদের অশ্ব-শকট প্রায় বেলা ৩॥০টা। চারিটার সময় ফৈজাবাদ পৌছিল। উক্ত জেলার ইহাই প্রধান নগর সেনানিবাস অযোধ্যা প্রদেশের মধ্যে ফৈজাবাদ বিভাগ বিশেষ বিখ্যাত। এই সহরটা বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাস্তাগুলি প্রশস্ত সুন্দর স্থন্দর অট্টালিকাদি দ্বারা স্থশৌভিত ফৈজাবাদ বহুদিনের প্রাচীন নগর নহে, ১৭৩০ খ্রীষ্টাব্দে মন্স্ুর আলিখী। স্থানে আসিয়া অনেক দিবস অতিবাহিত করেন, “তাহার পরে তীয় বংশোন্ধব স্বজাউদ্দৌলা কর্তৃক ১৭৯২ খ্রীষ্টাব্দে ইহা রাজধানীরূপে পরিগণিত হয়। ইহা যে একদিন মুসলমানের নগর এবং ষুললমান কর্তৃকই স্থাপিত হইয়াছিল, তাহা এখানকার মস্জিদের সংখ্যাধিক্য দৃষ্টেই সহজে অনুভূত হয়। ১৭৮০ খ্রীষ্টাব্দে আসফ্উদ্দৌলা স্থান হইতে রাজদরবার লক্ষৌতে ভুলিয়া নেওয়ার

ফৈজাবাদ।

রর ১758 রি মণ 1

নগরের সমৃদ্ধি শৌভা বু পরিমাণে বিদ্যমান ছিল, কিন্তু ১৮১৬ খ্রীষ্টা্চে উক্ত বেগম দাহেবার মৃত্যু হইতেই-_-এই সহরের সৌন্দর্য্য একেবারে নষ্ট হইয়া গিয়াছে ফৈজাবাদের প্রধান দ্রষ্টব্য পদার্থ, বেগমের সমাধি তশুসংলগ্ন “দেল-খুনি” নামক সুন্দর প্রাসাদ অযোধ্যা প্রদেশের মধ্যে ফৈজাবাদের এই দেল-খুসি প্রাসাদ প্রধান দেখিকার জিনিষ ফৈজাবাদের মস্জিদ্‌, প্রাচীন অট্টালিকাও দেলখুসি ইত্যাদি দর্শনান্তে ষফ্টেসনে গমন করিলাম রাত্রি নয়টার সময় লক্ষৌ রওয়ানা হইলাম

সেদিন রজনী অন্ধকারময়ী__অন্ধকার ভেদ করিয়া গাড়ী ছুটিয়া চলিল, জানালার পাশে মুখ বাহির করিয়া বসিয়াছিলাম, বাতাস আসিয়া উত্তপ্ত ক্লান্ত দেহ শীতল করিয়া দিল। আকাশে চিরপরিচিত তারার মাল! দীপ্ত হীরার মত জ্বলিতেছিল---গাড়ীতে বসিয়া বসিয়া কত কথা ভাবিতেছিলাম'_তাহার আদি শেষ কিছুই ছিল না। ভ্রমণ যে কি সখের, তাহা যিনি কখনও ঘরের বাহির হন নাই তিনি তাহা বুঝিতে পারিবেন না। কত অনিদ্রা-কত র্লেশভোগ করিতেছি, তবু দর্শন-স্পৃহার স্াস হইতেছে না। জগদীশ্মরের এমনি অপুর্বন দয়! যে যেখানে যাইতেছি সেখানেই, প্রিয় স্থৃহৃদ্‌ জুটিয়া যাইতেছে, সকলেই যেন কত আপনার প্রভাতের কিঞিশ পূর্বেব, আধ ম্লান আধ আলোর মাঝখানে যখন পুর্বৰ গগনের অর্গল খুলিয়া উষা-স্থন্দরী স্বীয় রূপপ্রভায়: চতুদ্দিক, আলোকিত করিয়া বাহির হইবার উদ্ভোগ করিতেছিলেন, আমরা সে সময়ে আসিয়া লক্ষে ফ্েসনে পুছিলাম,--তখন লক্ষৌঠুংরিতে আমি যেন শুনিতেছিলাম “সাহাজাদে আলম্‌ তেরা লিয়ে ।”

৮১৪ ৮৮০ 5৪২

1 1721৬

হলতক্ষী।

ভলক্ষৌ সহর দেখিবার জন্য অনেক দিন হইতেই আমার হৃদয় : উৎস্থক ছিল, কাজেই যে মুহুর্তে গাড়ী হইতে 'ফ্টেসনে অবতরণ করিলাম, তখন হৃদয়ে যে কি এক অপূর্ব আনন্দের উদ্রেক হইয়াছিল, তাহা পাঠকগণকে বলিয়া! বুঝাইতে পারিব না। প্রথম দৃষ্টিতে লক্ষৌর বহিদৃশ্যি : আরব্য-রজনীর কোনও অলৌকিক নগরের চিত্রের ন্যায় প্রতিভাত হইয়াছিল। ধীরে ধীরে অশ্ব-শকটে নগরের দিকে অগ্রসর হইতে লাগিলাম, পথের দুই ধারে ফুল ফলের ছোট ছোট স্থন্দর স্বন্দর বাগান। ক্রমে সহরের' দক্ষিণ প্রান্তস্থিত পরিখার সেতু উত্তীর্ণ হইয়া, ফতেদাস বাবাজীর আশ্রমে আশ্রয় গ্রহণ করিলাম |

লক্ষে কলিকাতা হইতে ৬১০ মাইল দুরে অবস্থিত, ইহা অতি প্রাচীন সহর। নিশ্মল-সলিলা গোমতী নদী নগরের পদধৌত করিয়া প্রবাহিতা। এই নগরের লোকসংখ্য। সর্ববশুযদ্ধ প্রায় লক্ষ ৮০ হাজার। ভারতবর্ষের নগর সমুহের মধ্যে ইহা চতুর্থ স্থানীয়, কলিকাতা, বোম্বাই, মান্দ্রাজ প্রভৃতির পরেই ইহার সৌন্দধ্য বৈভব-খ্যাতি। গোমতী নদীর উভয় তীরে নানাবিধ সৌধমালা বিরাজিত থাকায় লক্ষৌর সৌন্দধ্য মনোহারিণী। মুসলমান রাজত্বের সময় ইহা উত্তর পশ্চিমের রাজধানীরূপে পরিগণিত হইয়াছিল, ইংরেজ রাজত্বেও আফিস আদালতাদি সমুদয় এখানে থাকায় ইহার পূর্ব গৌরব কোন অংশেই ত্রাস হয় নাই। লক্ষৌর নামোৎপত্তি সন্বন্ধে এইরূপ শুনিতে পাওয়া যায় যে, রঘু-কুল-তিলক শ্রীরামচন্্র রাবণকে ব্ধ করিয়া অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তনানন্তর ভ্রাতৃবৎসল লক্ষমণকে প্রদেশের শাসন-ভার অর্পণ করিয়াছিলেন। লক্ষণ গোম্তীর তটবর্তী এই স্থরম্য প্রদেশকে " মনোনীত করিয়া এস্থানে স্বীয় বাসস্থান নিন্মাণ করিলেন নিজ নামানুসারে ইহার নাম লক্ষণপুর রাখিলেন, কালক্রমে লক্মমণপুরই অপজংশ . হইয়৷ লক্ষৌতে পরিণত হইয়াছে লক্ষৌ পূর্বে দিল্লীর মোগল সম্রাট্রে অধীন ছিল। মোগল সম্রাট মহক্ষদসাহের শাসন-কালে জদত্থা নামক জনৈ;

প্রাচীন ইতিহাস।

ভারত-ভ্রমণ

খোরসানী বণিক দিলী-দরবারে উপস্থিত হয় এবং অল্লকাল মধ্যেই স্থীয় দক্ষতাগুণে প্রতিষ্ঠালাভ করতঃ সআ্াটের গ্রীয়পাত্র হইয়া অযোধ্যার শীসনকর্তার পদে নিযুক্ত হন, সদৎ্খা কর্তকই লক্ষৌ অযোধ্যার রাজধানীরূপে পরিগণিত হয়। এই সদৎখাই নরপিশাচ নাদির সাহকে ভারতে নিমন্ত্রিত করিয়া লুনটনের দ্বার উম্মুক্ত করিয়া দেন, কিন্তু বিধাতার আশ্চধ্য বিধানে পুনরায় নাদির কর্তৃক ভীষণরূপে লাঞ্ছিত অপমানিত হইয়া বিষপানে আত্মহত্যা করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। সদৎ্খাই অযোধ্যার নবাববংশের পূর্ব্ধ পুরুষ। ইহার মৃত্যুর পরে সদতের ভ্রাতুস্পুজ্র এবং জামাতা সফদর জাঙ্গ সদৎ প্রতিষ্ঠিত সিংহাসনকে দৃঢ়তর করিয়া রাজ্য- শীসন করিয়াছিলেন। ইহার মৃত্যুর পরে স্থজাউদ্দৌলা নবাব হ'ন,-এই স্জাউদেোৌলার সময়েই ১৭৬৪ খ্রীষ্টাব্দে বক্সারের যুদ্ধে উত্তর পশ্চিম প্রদেশে ইংরাজাধিপত্য বিস্তৃত হইতে আরম্ভ করে। স্থজার পরে তৎপুক্র আসফ নবাব হইলেন, লক্ষৌর অন্যতম প্রধান দ্রষ্টব্য ইমামবাড়ী এই আসফদ্দৌলাই নিম্ীণ করিয়াছিলেন। আসফের পর মিজ্জাআলী, তপরে সদ্আলী প্রভৃতি অনেকেই রাজত্ব করেন; তৎপরে ১৮৪৭খুঃ অব্দে ওয়াজিদআলী অযোধ্যার নবাৰ হন। ইনি অযোধ্যার শেষ নবাব। ১৮৫৬খুঃ অব্দে ডালহৌসি ওয়াজিদআলীসাহকে কু-শীসন অপরাধে সিংহাসনচ্যুত করিয়া! কলিকাতার মেটিয়াবুহজে আবদ্ধ করিয়া রাখেন ওয়াজাদ আলী সাহা অত্যন্ত বিলাসী ছিলেন-্থবিখ্যাত লক্ষৌঠুংরি ইহারই রচিত। বন্দী ওয়াজাদ আলীর শোক-সঙ্গীতে একদিন ভারত কীদিয়াছিল-_ তাহার বড় সাধের ছত্রমঞ্জিলে শোকের ঝড় বহিয়াছিল ;_চির সুখাভ্যন্ত-_ চিরবিলাসী-_ওয়াজাদ ইংরেজের বন্দীবেশে তীহার প্রিয়তম লক্ষৌ। নগরীর নিকট হইতে বিদায় লইবার সময় হৃদয়ের স্ত্তীব্র ধান নি€স্থত শোকাশ্রর সহিত কাতরকম্পিতকণে লক্ষৌঠংরিতে গাহিয়াছিলেন__ “যবে ছোড় চলি লক্ষৌ নগরী ”. তের! হালে আদ্ম প্যার! ক্যাগুজারি। আদাম। গুজারি, সাদম৷ গুজারি, যব হাম্‌ গুজারি, ছুনিয় গুজারি।”

শোক-সঙ্গীতে পাষাণও দ্রবীভূত হইয়াছিল, আজ এই দীপ্ত সূর্ধালোকে অনুরস্থিত ছত্র-মঞ্িলের কনক সৌন্দর্য দেখিতে দেখিতে হতভাগ্য নবাবের শোক-সলগীত হৃদয়ে বড় করুণ-তান তুলিয়া দিয়াছিল। এইরূপে মনের দুঃখে কীদিতে কাদিতে ১৮৮৭খঃ অক্দে তাহার জীবন-লীল! সা হইল। ওয়াঁজিদের মৃত্যুর পর হইতে তীহার একমাত্র কন্যা তীঁহার জামাত! জাহান কাদির মীর্জা, গবর্ণমেণ্টের বৃত্তিভোগী হইয়! মেটিয়াবুরুজেই বাস করিতেছেন। সিপাহীবিদ্রোহের সময় লক্ষৌ বিদ্রোহী সিপাহীবর্গের সিপাহীবিদ্রোহে একটা প্রসিদ্ধ কেন্দ্রস্থল ছিল। নানাস্থান হইতে আগত লঙ্ষৌ। _ বিদ্রোহী মিপাহীবর্গ সমবেত হইয়া এখানকার রেসিডেন্সি আক্রমণ করিয়াছিল, সে সময়ে স্থবিখ্যাত হেন্রি লরেন্স লক্ষৌর রেসিডেণ্ট ছিলেন, সেকালে ইহার ন্যায় কর্তব্পরায়ণ ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তি ইংরেজদের মধ্যে কেহ ছিল না বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। ইনি অঞ্চলের সমুদয় ইংরেজ নরনারীগণকে প্রায় ছয়মাস কাল পর্য্যন্ত পিশাঁচগএকৃতি বিদ্রোহী সৈনিকবুন্দের হস্ত হইতে রক্ষা করিয়াছিলেন। তাহার বাসভবন অগ্ঠাঁপি গোলাগুলির চিহ্ন বক্ষে করিয়া তদীয় বীরত্বের মহত্তের পরিচয় দিতেছে, সে গ্রহের ছাদ ধনিয়া গিয়াছে, কিন্তু প্রাচীর এখনও গোলাগুলির শত ছিদ্র লইয়া দীড়াইয়া আছে। স্্লীলোকগণকে তোষাখানাতে রাখা হইয়াছিল, কিন্ত দৈবের অদ্ভুত-চক্রের অদ্ভুত গতি কে রোধ করিতে পারে ? তোষাখানার ভিতরেও কোনওরূপে একটী গোল! প্রবেশ করিয়া জনৈকা রমণীর মস্তক উড়াইয়া দ্িয়াছিল। সেই হতভাগিনী রমণীর শোণিত-চিহ্ন, গোলার ভীষণ দাগ, এখনও দেওয়ালের গায়ে রহিয়াছে হেন্রি লরেন্স যে স্থানে আহত, হ*ন এবং যে স্থানে মৃত্যু আসিয়। এই মহিমামণ্ডিত পুরুষকে ক্রোড়ে টানিয়া। লয়-_.সে স্থান ছুইটী এখনও চিহ্নিত রহিয়াছে। আমরা এই রতবযনিউ মহাপুরুষের অপূর্বব কর্তব্যজ্ঞানের বিষয় চিন্তা করিয়া হৃদয়ে পুর্ব আনন্দানুভব করিয়াছিলাম। তাহার সমাধির উপর লিখিত আছে ০13৩

11551716715 1-১-01)05 410 0160 1০৭০ 1৯440 --স্যিকীয় কর্তর্য সাধনপ্রয়াসী সার হেন্রি লরেন্ন এই স্থানে চিরনিত্রিত মা টা 2. নও নে.

ভারত-জমণ

রাত্রিতে অনিদ্রাবশতঃ শরীর বিশেষ ক্রাম্ত হইয়াছিল, কাজেই মধ্যাহ্ে আহারাদির পর নিত্রাদেবীর স্থকোমল ক্রোড়ে আশ্রয় গ্রহণ করিলাম,--এ স্থানে খাগ্য দ্রব্যাদি বিশেষ স্লভ। নিদ্রীষ্তে অপরাহে নগর দেখিতে বাহির হওয়া গেল, স্থন্দর নগরী--ছুই পার্খে দ্বিতল ভ্রিতল অট্রালিকা,__দেখিতে বেশ রাজপথে অনেক বাঙ্গালী দেখিলাম --এ নগরে অনেক বাঙ্গালী বাস করিয়া থাকেন। প্রথমেই কৈসরবাগ দর্শন করিতে গমন করিলাম। রেসিডেন্সির পার্খেই ইহা অবস্থিত। কাইসর, কৈসর একটা প্রকাণ্ড প্রাঙ্গণের চারিদিকে শ্রেণীবদ্ধ দ্বিতল বা কেশরবাগ। অন্টালিকাশ্রেণী অবস্থিত রহিয়াছে এই সকল গৃহে নবাব ওয়াজাদআলীর বেগমের বাস করিত, এই প্রাঙ্গণের মধ্যে একটী প্রস্তর গঠিত স্থবৃহ্ড অট্টালিকা, ইহার নাম “বারদ্বারী” ব৷ বারছুয়ারী। বারছারীর ছাদ বিস্তৃত খিলানের উপর স্থাপিত চিত্রলিখিত, দেখিতে বড়ই লোচনানন্দদায়ক প্রাণে প্রন্শে করিবার জন্য চারিদিকেই বড় বড় দরোজা আছে। এই সুন্দর রাজভবন নবাব ওয়াজিদআলী সাহা স্বকীয় বিলাসোপকরণ স্বরূপ আশী লক্ষ মুদ্রা ব্যয়ে নিম্মীণ করিয়াছিলেন বারদ্বারীর চতুর্দিকে নানাবিধ পুস্পের উদ্ভান। ওয়াজিদআলি সাহ “বারদ্বারী' ভবনকে প্রমোদভবন রূপে ব্যবহার করিতেন, এখন সেখানে জনসাধারণের সভ সমিতি হইয়া থাকে প্রাঙ্গণে প্রবেশ করিবার পুর্বব- দিকের দ্বারকে “লাখীদরওয়াজা” কহে এই দ্বার নিম্মীণ করিতে এক লক্ষ মুদ্রা ব্যষিত হইয়াছিল। ইহার কবট-গাত্রে মণ্শ্যাজনাযুগল রাজকীয় চিহ্ুস্বরূপ অস্কিত রহিয়াছে এখানকার চতুর্দিকস্থ অট্রালিকার প্রকোষ্ঠ সমূহে নানা দেশীয়! অতুলনীয় রূপসীবুন্দ নবাবের পত্বীরূপে বাস করিতেন। খোজা স্ত্রীলোক ব্যতীত এখানে অন্য কাহারো প্রবেশাধিকার ছিল না। ইক্দ্রিয়পরায়ণ নবাব ওয়াজিদআলী তাহার প্রায় তিন শত পত্বীসহ সর্ববদ! নানারূপ প্রমোদ বিলাসে দিনাতিপাত করিতেন- তাহাদিগকে লহয়া রাস, দোল প্রভৃতি সৌখীন ক্রীড়ায় মগ্ন থাকিতেন। হায়রে বিলাসিতা ! আমরা কল্পনায়ও এরূপ অপূর্ব বিলাসিতার কথা অনুভব করিতে পারি ন!। ধিনি সর্ববদ! এতদূর বিলাস-ব্যাসনে দ্িনাতিবাহিত করিতেন, তাহার রাজ্যনাশ

৪৮.

লক্ষে

বিচিত্র নহে। রমণীগণের স্নানের হামাম এখন ভগ্রাবস্থায় পতিত, উহার একদিকে একটী জল-প্রণালী তাহার উপরে একটা সেতু দেখিতে পাইলাম। পূর্বের প্রতিবওসর ভাদ্রমাসের প্রথম তারিখে যে মেলা বসিত তাহাতে সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকীর ছিল, তখন নগরের প্রায় সকলেই সমবেত হইয়৷ সেদিন অপুর্ব আনন্দোতসবে অতিবাহিত করিত। বর্তমান সময়ে কৈসর-বাগের সে সৌন্দর্য্য আর নাই-চারিদিকেই যেন কেমন একটা নৈরাশ্যের ছায়৷ দেদীপ্যমান। ষে স্থানে একদিন রূপসী ললনাকুল নিজ নিজ রূপপ্রভায় চতুদ্দিক আলোকিত করিয়া সৌন্দর্য্য স্থষ্টি করিত, যেখানে লক্ষৌঠুংরির মধুর নিনাদে আনন্দ-লহরী নাচিয়া বেড়াইত, আজ তাহার কি পরিণাম এখন প্রাঙ্গণস্থ উত্তরদিকের সৌধনিচয় গবর্ণমেষ্টের আদেশে ভূমিসাৎ হইয়াছে,__একদিক ভাঙ্গিয়া ক্যানিং কলেজের কলেবর গ্রথিত হইয়াছে -_অন্যদিকে আমাদের পূর্বেবাল্লিখিত “লাখ দরওয়াজা” বা লক্ষণী-দরোজা এখনও বিদ্কমান। আমর! লাখ-দরোজা পার হইয়া লক্ষষৌ নগরীর প্রসিদ্ধ ইমামবাড়া দেখিতে চলিলাম, লাখ -দরোজার বাহিরের পথের নিকট আসিবা মাত্রই সম্মুখে কাইসর-পছন্দ বা রোসন-উদ্দৌলা নামক একটী শোভাময় সৌধ দেখিয়া- ছিলাম। কৈসর বা কাইসরপছন্দ নামক সৌধের উপরিভাগ অর্দবৃত্তাকৃতি স্বর্ময় আবরণে আবৃত। এই অট্টালিকা নবাব ওয়াজিদ আলী শাহ গ্রহণ পূর্বক উঁ তাহার প্রিয়তমা! বেগম অনার, -উষ- স্থলতানাকে বাসের জন্য দান করিয়াছিলেন। ইহার সম্মুখভাগেই “শের দরওয়াজা” নামক সিংহদ্বার, ইহা এখন '“নীল-দ্বার নামে পরিচিত, এস্থানে সিপাহী-বিদ্রোহের সময় লাখী দ্বারের নিকট স্থাপিত একটা কামানের লক্ষ্যশূন্য গলাতে সেনাপতি নীল

আহত হইয়াছিলেন বলিয়াই এই দ্বারকে ইংরেজের “নীল-্বার নামে অভিহিত

করিয়াছেন এই প্রসিদ্ধ অট্রালিকার সর্ববাগ্রস্থিত তোরণকে “রূমি দরোজা” কহে, ইহা রুমদেশের অনুকরণে গঠিত প্রকাণ্ড তোরণ। এই তোরণ, নি বারের গঠনের সহিত গ্রীক এবং ইভালীয় গঠনের অনেক সৌসাদৃশ্য আছে। রূমি দরোয়াজাই ইমামবাড়াতে শ্রবেশ করিবার প্রকাশ্য পথ। এই তোরণ পার হইয় গেলেই ইমামবাঁড়ার মুল তো

ভাঁরত-অজমণ।

নিকট পুছা যায়। উহা উত্তীর্ণ হইলেই একটা প্রকাণ্ড প্রাঙ্গণ, প্রাঙ্গণের চতুদ্দিকে ছোট ছোট কক্ষ বিশিষ্ট প্রাচীর ; তাহার এক পার্খে একটা স্থুন্দর মসজিদ দিবালোকে ঝলমল করিয়া সৌন্দর্য্য বিকীর্ণ করিতেছিল

মসজিদ দর্শনান্তে আমরা প্রাণের অপর পার্থস্থিত, ইমামবাড়ার সম্মুখে আদিলাম। কি বিরটি দৃশ্য ! নবাব আসফ্‌ উদ্দৌল! কর্তৃক এই বিরাট ভবন নিশ্মিত হইয়াছিল ১৭৮৪ গ্রীষ্টাব্দের ভীষণ ছুভিক্ষের সময় নবাব অন্নকষ্ট প্রপীড়িত নরনারীগণের সাহাব্যার্থ এই স্থুবুৃহত অট্রালিক! নিষ্পীণ করাইয়া- ছিলেন, প্রজাবর্গ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত হইয়। তন্বিনিময়ে ইহা নিশ্মাণ করিত, কথিত আছে যে অন্নকষ্ট প্রপীড়িত অনেক সন্ত্রাস্ত ব্যক্তিও উপযুক্ত পারি- শ্রমিক গ্রহণে এই অট্রালিকার নানাবিধ কার্য্যে নিয়োজিত ছিলেন, তাহার রাত্রিতে আসিয়া আপনাদের পারিশ্রমিক গ্রহণ করিতেন ইমামবাড়ার অট্টালিকা দেখিতেও যেমন স্ন্দর, ইহার গঠন এবং ভিন্তিও আবার তাদৃশ দৃঢ় ইহার প্রাচীরের বেধ প্রায় ১২ ফুট, একটা প্রকোন্ঠ ১৬৭ * ৫২ ফিট, এতাদৃশ বৃহৎ প্রকোষ্ঠ জগতের আর কোথাও নাই ।& এঁ বৃহত্তম কক্ষের ছুই পার্খে দুইটা অফ্টভূজ কক্ষ আছে, উহার ব্যাস প্রীয় ৫৩ ফুট হইবে। এই তিনটা প্রকোষ্ঠই মূল্যবান দ্রব্য-সম্ভারে স্্সজ্ভিত ; কিন্তু একদিন যে সকল চারু-শিল্পকলায় গৃহ-প্রাচীর স্থচিত্রিত ছিল, বর্তমান সময়ে আমর! তাহার অতি ক্গীণতর প্রতিবিন্ব মাত্র দেখিতে পাই। কক্ষের উর্ধভাগ লোহিত প্রস্তর- নিশ্পিত বারাগু। দ্বারা পরিশোভিত, দকল বারাণ্ায় বসিয়া নবাবের বেগম সাহেবাগণ কোরাণ শ্রবণ করিতেন। সমগ্র দ্বিতলটা একটী গোলক ধাধা, ইহাতে একবার প্রবেশ করিলে কোনও পথ-প্রদর্শক সঙ্জে না থাকিলে পুনরায় বাহির হইয়া আসা সম্পূর্ণ অসম্ভব বলিলেই হয়। কথিত আছে যে নবাবের সহিত তাহার অস্তঃপুরবাসিনী মহিলাগণ এস্থানে লুকোচুরি খেলি- তেন। কক্ষগুলি বহুমূল্য ঝাড়ে স্থশোভিত। 'কোন ঝাড়ে ৬০, কোন ঝাড়ে ৮০, কোন ঝাড়ে ১২০টা বাতি আছে। স্তৃবৃহড হলটার মধ্যভাগেই নবাব আসফ্উদ্দৌলা 'অনস্ত-নিজ্রায় নিপ্রিত আছেন, তাঁহার দে সাধের ঘুম আর ভাঙ্গিবেনা। আজ আসফ্উদ্দৌলাই বা কোথায় তাহার রাজ্য সম্পদই বা কোথায়! আসফ্উদ্দৌল| গিয়াছেন, কিন্তু তাহার দানশীলতার ৫.

চা চুল

১] ৪1

!

!

লক্ষ কাহিনী লুপ্ত হয় নাই_-এখনও লোকের মুখে মুখে শুনিতে পাওয়া যায় যেস্‌কো নাহি দেয় মৌলা, উস্‌কো দেয় আস্ফ উদ্দৌলা আর এই যে আমরা অগ্ভ পর্য্যাটকের বেশে হেথায় উপশ্থিত__ আমরা কি বলিতে পারি যে আগামী কল্য আমাদের কি হইবে ? প্রাচীন কীন্তিচিহ্ন ইত্যাদি দর্শন করিলে কেন জানি অজ্ঞাতভাবে হৃদয়ে একটা গ্লান মৃত্যুর ছায়া আসিয়া পড়ে, এবং জগতের নশ্বরত্ব আপনা হইতে আসিয়া পরিস্ফুট হয়। এই স্তুবৃহত ইমামবাড়ার অনতি দূরে ছোট ইমামবাড়া অবস্থিত, ইহ আকৃতিতে ঠিক্‌ বড় ইমামবাড়ারই মত---এইটি ছোট হইলেও কারুকাধ্যাদিতে বড়টা হইতে শ্রেষ্ঠ ছোট ইমামবাড়ার সন্মুখে একটা উদ্যান থাকায় স্থানের সৌন্দর্য বহু পরিমাণে বৃদ্ধি পাইয়াছে। নবাৰ আসফ্‌ উদ্দেলার সময়ে লক্ষে স্থাপত্যে শীর্সস্থান অধিকার করিয়াছিল,-_ইনি স্থাপত্যগৌরব বৃদ্ধি করিতে মুক্তহস্তে অর্থব্য় করিতেন। সে সময়ে ভারতের কোন নরপতিই জীঁক জমকে তাহাকে পরাস্ত করিতে পারেন নাই। ছোট ইমাম- বাড়। সাধারণতঃ হোসেনাবাদ ইমামবাড়া৷ নামে পরিচিত, ইহা! মহম্মদ আলী- সাহেব প্রস্তুত করাইয়াছিলেন। ইহার সংলগ্ন যে উদ্ভানের কথা আমরা পুর্বে লিপিবদ্ধ করিয়াছি, উহাতে বিশ্ব-বিখ্যাত তাজমহলের অস্মুকরণানুষায়ী একটা ক্ষুদ্র সৌধ আছে-_তাজের ঠিক অনুকরণ যে হইতে পারেনা ইহা বলাই বাহুল্য। হোসেনাবাদ ইমামবাড়ার প্রাণের পশ্চিমদিকে একটা অট্টালিকা আছে-_তাহার নাম ইমামবাড়া সৌধ। ইহার উপরের গিঁ স্টকরা গম্ুজটা দেখিতে খুব সুন্দর মহম্মদ আলী শাহ এবং তাহার মাতা এধানে সমাহিতা আছেন। নশীর্‌ উদ্দিন হাইদার বনু উজ গণের বাসের নিমিত্ত কয়েকটা প্রাসাদ নিষ্্মাণ করাইয়াছিলেন, তন্মধ্যে ষেটিতে ভীহার বিবাহিতা পত্রীগণ বাঁ করিতেন, তাহার নাম ছত্রমঞ্জিল। এই প্রাসাদ কৈসর-বাগের পার্থ বিরাজিত।। প্রধান সৌধের শীর্ষদেশে স্বর্ণ-নির্ষ্িত ছত্র রহিয়াছে বলিয়াই ইহার নাম ছত্র- মঞ্জিল। ছত্রমপ্িল এখন 0014 1799৩ (োৰ হান) ও. উজ

ছত্রমজিল।

১২০ রর রা 14 " আর তি দি 2 তত স্ইন্ী

ভারত-ভ্রমণ।

পুম্তকাগাররূপে ব্যবহৃত হইতেছে নিল্সতলের কক্ষে পুত্তকালয় এবং. উদ্ধীতলে ক্রাবভবন। কি পরিবর্তন যে স্থানে নসীর উদ্দীনের সংগৃহীত বন্য-পশু সমূহ রক্ষিত হইত তাহার নাম ছিল শাহ্‌মঞ্রিল। নবাব নিজে “ফারহাৎ-বক্স, হুজুর-বাগ, বিবিয়ারপুর প্রভৃতি প্রাসাদে বাস করিতেন নবাৰ সয়াদড আলী খা এই আনন্দোগ্ান নিম্মাণ করিয়। তম্মধ্যস্থিত প্রমোদ- ভবনে রাজপ্রাসাদ পরিবর্তন করেন।.. সয়াদৎ নগরের বহির্দিকে দিলখুস পধ্যস্ত বহু ক্ষুত্্ ক্ষুত্র প্রাসাদ নিন্দাণ করাইয়াছিলেন। নবাব ওয়াজিদ আলীর্থা কৈসরবাগ এবং তাহার মধ্যস্থিত নানাবিধ স্থন্দর স্মন্দর সৌধরাজি নির্মাণ পূর্বক ফারহাত-বক্স পরিত্যাগ করিয়া উহ্থাই বাসভবনে পরিণত করিয়া লইলেন। তিনি নদী-ভীরবর্তী জেনারল মার্টিন কর্তৃক নিশ্মিত, কতকগুলি অট্রালিক তদ্সংলগ্ন ভূমি ক্রয় করিয়া কসর- উল-স্থলতান নিষ্মীণ করেন। স্থ্রম্য প্রাসাদাত্যস্তরে শিল্পনৈপুণ্যমপ্ডিত

রাজসিংহাসন প্রতিষ্ঠিত ছিল---উহা৷ রাজকীয় দরবারাদির জন্য কঙগর-উল-সুলতান

ব্যবহৃত হইত এই নবাববংশ ইংরেঞজরাজের অনুগত হইবার পর হইতে এইরূপ বিধি প্রচলিত হইয়াছিল যে কোনও নবীন নবাবের রাজ্যাভিষেক সময়ে ইংরেজ রেসিডেণ্ট আসিয় তাহাকে সিংহাসনে বসাইতেন এবং ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ যে তাহার শাসনভার গ্রহণে স্বীকৃত হইতেছেন তাহা জ্ঞাপন নিমিত্ত নজর প্রদান করিতেন। এই অট্রালিক এখন যাদুঘর পোষ্টাফিস রূপে ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে এখানে দিল্লীর বন্ধ সম্রাট, সাম্রাজ্জী নুরজাহান, জাহানারা, জীবনোন্েসা, ওরঙ্গজেব, আকবর প্রস্তুতির প্রতিমু্তি গজদন্তের উপর অতি সুন্দর রূপে অস্কিত আছে। লক্ষৌতে দেখিবার জিনিষ বু আছে, আমরা যে সকল স্থানের কথা উল্লেখ করিয়াছি সে সকল ছাড়া নিনলিখিত স্থানগুলি প্রত্যেক ভ্রমণকারীরই অতি অবশ্য দর্শন করা উচিত। দেলখোসবাগ, মার্টিনিয়ার, রেসিডেন্সি, গোরম্থান, _লৌহসেতু, সেকেন্দরবাগ, সানজফ বা নজফ আশ্রন্ফ, উইক্গফিল্যপার্ক, মচ্ছি- .ভরন, সাতখণ্ড, আলমবাগ, হজরতুবাগ ইত্যাদি আমরা এখানে সংক্ষিপ্ততাবে সকল গুলিরই বিবরণ প্রদান করিলাম : জেলখোসবাস-_সুন্ধর কুস্থমোদ্ভান মধ্যস্থিত একটা জীর্ণ অট্ালিক! উহার

ফারহাৎ-বক।

-48%8৮৮৭

১4৭

২৮7$0111 নি

11 ০]

০০০০০৬১০১ %:81:7118741411944এবযীরডি/ 7111 7৬5 58808889850,)11-1) চারি রন

5 1

রণ ৪৪৮০47০,

লক্ষে

নাম ছিল “দেলখোস', এই দেলখোস সৌধ হইতেই ইহার নাম হইয়াছিল “দেলখোস"” বাগ নবাব সদৎআলী খাঁর ইহা! শিকারাবাস ছিল। স্থানটি নগর হইতে কিয়দ্দরে বিজনে অবস্থিত-_ প্ররুতি এস্থানে আপনার সৌন্দর্য্য বিস্তার করিবার একটু ম্বযোগ পাইয়াছে। নবাবের অন্তঃপুরচারিণী ললনা-কুল এস্থানে আসিয়া স্বাধীনভাবে বিচরণারদি করিতেন। সদৎআলী নিকটবর্তী জঙগলসমূহ বিশেষরূপে পরিষ্কার করিয়৷ এই স্থানটাকে স্থুন্দর পার্কে পরিণত করিয়াছিলেন_-এবং ইহা নানা জাতিয় বন্যমগ পশুদ্বারা পূর্ণ করেন। সিপাহী-বিদ্রোহের সময় স্যার কলিন ক্যান্বেল এই ৃক্ষবাটিকা, এই প্রাসাদ আড্ড রূপে ব্যবহার করিয়া বিদ্রোহী ৮৮ না দমন করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন। |

মার্টিনিয়ার---একটা অর্দবৃত্তাকার বৃহৎ নিরনা ইহাই সানিয়ার নামে অভিহিত সাধারণতঃ ইহা “মার্টিনকুঠি নামেই স্থুপরিচিত। বর্তমান সময়ে ' এখানে একটী বিদ্যালয় স্থাপিত, এখানে ইংরেজবালকগণ অধ্যয়ন করিয়া থাকে মার্টিনিয়ার দেখিতে হইলে বিদ্ালয়ের অধ্যক্ষের আদেশ গ্রহণ করিতে হয়। এখানে নান! প্রকার কৌশলসম্পন্ন মুর্তি এবং গ্রীক দেশীয় পুরাণোক্ত নানারূপ দেবদেবীর বিবিধ ঘটনাসমূহ অঙ্কিত দেখিতে পাওয়া যায়। এই স্থন্দর অট্রালিকাটা ব্লডমার্টিন নামক জনৈক ফরাসীর দ্বারা নির্মিত হইয়াছিল। ইনি সামান্য সৈনিকরূপে প্রথমে ভারতবর্ষে আসেন, কিন্তু স্বীয় দক্ষতাগুণে অবশেষে সৈনিক বিভাগে মেজর জেনারলের পর পর্যন্ত পাইয়া- ছিলেন এবং বিপুল অর্থোপাজ্জনে সক্ষম হ'ন। সেই অর্থোপার্জনের ফলই এই বিচিত্র অট্রালিকা, মার্টিন সাহেব ইহার নিন্মাণকাধ্য শেষ হইবার

র্বই পরলোকগমন করেন। তাহার ইচ্ছানুসারেই এই অট্রালিক৷ রি বাজেয়াপ্ত না হইয়া বি্ভালয়ে পরিণত হইয়াছে মাটিনোর, সমাধিও এখানেই ছিল, কিন্তু সিপাহী-বিভ্রোহের সময় সিপাহিগণ ইহা অহাদের আড্ডা করিয়। অষ্টরালিকার বহু অপচয় করে এবং-_মার্টিনোর কবর

ংস করিয়া-_তাহার অস্থিসমূহ চারিদিকে বিক্ষিপ্ত করিয়া ফেলে আত্ম- বিস্মৃত উদ্ধতপ্রকৃতি এই সকল পিশাচ সৈনিকেরা হরি প্রতিও জঘন্য ব্যবহার করিতে কুষ্ঠিত হইল না ! রা |

ভারত-জ্রমণ

গোরস্থান__রেসিডেন্সির নিকটস্থ গিরভাঘরের (ক্রাইষ্টচার্চ ) প্রাণ

মধ্যেই সিপাহী-বিদ্রোহ সময়ে নিহত বীর-বৃন্দের স্মৃতিস্তস্তসমূহ বিরাজিত। সমাধিস্তস্তগুলির মধ্যে জেনারল হ্যাবলক (0617678] [741০0) মেজর আউটরাম (1১17101 €)010171) ) জেনারেল নীল-_-এই বীরত্রয়ের সমাধিস্তস্ত তিনটাই বিশেষ স্থুন্দর তবে সমুদয় সমাধিস্তস্তের মধ্যে আবার লরেন্স সাহেবেরটাই সর্ববাপেক্ষা উচ্চ মনোরম এখানে একটী শোকের স্তরূতার গাঢ় আবরণ ব্যাপৃত। স্মারকলিপিগুলির ভাষা বড়ই মন্ম্স্পর্নী। শোকার্ত ব্যক্তিগণও সে সকল পাঠ করিলে হৃদয়ে সান্তবনালাভ করে। একটা শিশুর সমাধিস্তাস্তে লিখিত রহিয়াছে__

£ ০০] 1006 00917106109 [08121050681

101 1 ৪1) 1791 0580 00 51510110910

00 নন ও, 10115 ১০৪) 51081] 10

[11 [027.0156 21012 110 105,

“কেঁদোনা৷ আমার তরে জনক-জননী,

আমি মরিনি-__হেথ৷ নিদ্রায় মগন

কিছুদিন পরে দৌহে ত্যজিয়ে অবনী-_

আসিবে ত্বরগে যবে হইবে মিলন ।% আরও যে কত স্থন্দর সুন্দর সাম্তবনাসূচক স্মারকলিপি আছে তাহার সংখ্যা নাই-_এই স্মারক কবিতাটা আমার নিকট বড়ই ভাল লাগিয়াছিল-__তাঁই সষত্বে পকেটবুকে লিখিয়া রাখিয়াছিলাম “বেলিগার্ড (37115) (0071) দেখিলে হৃদয় শোকে আচ্ছন্ন হয়,_ইহাই প্রাচীন রেসিডেন্সি, ইহার সম্বন্ধে পুর্বেবও দুই এক কথা লিখিয়াছি। আমাদের সদাশয় স্থসভ্য গবর্ণমেণ্ট প্রাচীন স্মৃতি জীবিত রাখিবার জন্য বহু চেষ্টা করিয়াছেন এবং প্রায় হুবহু ভাবে রাখিয়া দিয়াছেন। গোলাগুলির চিহ্ন প্রভৃতি সব স্ুম্প্ট। যেস্থানে হেন্রি লরেন্দ আহত .হইয়াছিলেন, যেখানে উনিশ বতসরের যুবক স্থশানা পামার গোলার আঘাতে প্রাণত্যাগ করেন, সে সকল স্থান খোদিত-লিপি দ্বারা দর্শকের সমক্ষে স্থস্পষ্টরূপে বুঝাইয়া দেওয়া হইয়াছে সিপাহী-বিপ্রোহের সময় বহু দেশীয় প্রভৃভক্ত ৰীরও

8৪

১৩৮ 12133 ১৪৮০৫২৬

? 4

৮৮14০3০১১14)

৮4৮৯

2৩ 7 উই]

টা পা , [71 71 1

লক ॥.

ইংরেজের নিমিত্ত প্রাণ-বিসঞ্ন দিয়াছিলেন- _গবর্ণমেণ্ট কর্তৃক উহাদের | স্লরণচিহ্ন স্বরূপও একটা স্মৃতিস্তম্ভ নিন্মিত হইয়াছে যে প্রবল বিদ্রোহানল একদিন ভারতভূমির প্রায় সর্বব্র ব্যাপুত হইয়া পড়িয়াছিল__তাহার ভস্মাবশেষ লক্ষৌতে বহুপরিমাণ বিদ্যমান আছে

লৌহসেতু-_ক্ষীণকায়া গোমতী নদীর উপরে এই সেতুটী নিগ্মিত গাজিউদ্দিন হায়দর ফরমাইস দিয়া ইহা ইংলগু হইতে আনয়ন করাইয়া- ছিলেন_ কিন্তু বিধির বিপাকে তীহার ভাগ্যে এই লৌহসেতু-দর্শন-জনিত স্থখ-সৌভাগ্য ঘটিয়া উঠে নাই, কারণ সেতুটা ভারতবর্ষে আসিয়৷ পঁহুছিবার পুর্ব্বেই তাহার মৃত্যু হয়।

সেকেন্দার বাগ-_-নবাব ওয়াজিদ আলী খ! তাহার প্রিয়তম! বেগমসাহেবা সেকেন্দর মহলের বাসের নিমিন্ত ইহা নিন্মীণ করাইয়াছিলেন। সেকেন্দর বাগের চতুদ্দিক উচ্চ প্রাচীর দ্বারা বেগ্টিত। এখন ইহা একটা ক্ষুত্্র উদ্ভান মাত্র। চারিদিকে কতকগুলি বড় বড় গাছ। সিপাহশীবিজ্রোহের সময় প্রায় দুই সহজ বিদ্রোহী সৈন্য এই স্থান অধিকার করিয়া ইংরেজ সৈন্যের উপর গোলা বর্ষণ করিয়াছিল, কিন্তু পরিশেষে হাইল্যাণ্ডার সৈম্াগণ কর্তৃক অবরোধিত হইয়া সমুদয় সিপাহিগণ কাল-কবলে নিপতিত হয়। লক্ষৌতে প্রাচীন অট্টালিকা এরূপ খুব কমই দ্রেখা যায়, যাহার গায়ে সিপাহী- বিদ্রোহের কোন না কোন চিহ্ন ন। আছে!

সানজফ-_অযোধ্যার প্রথম নবাব গাজি উদ্দিন হায়দার এখানে, অনন্ত- নিদ্রায় মগ্র-ইহা তাহার সমাধি-বাটা। সানজফের অন্য নাম নজফ আশ্রফ। জনরব এই যে, ইহ! মহন্মদের জামাতা আলীর যেরূপ সমাধি-হন্ম্য নজফ নামক পাহাড়ের উপরে নিল্মিত আছে, তদন্ুকরণে প্রস্তৃত হইয়াছে. এবং সেজন্যই ইহার নামও নজফআশ্রফ রাখ হইয়াছে গাজিউদ্দিনের রক্ষিত অর্থ হইতেই ইহার সংস্কারাদিরও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় নির্ববাহিত হইতেছে। স্থানে মযোধ্যার রাজা রাণীদের হস্তাস্কিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চিত্রাদি দেখিতে পাওয়! যায়।

উইন্ফিন্ড পার্ক-__জনৈক চীফ কমিশনারের নামানুষারী ইহার নাম হইয়াছে। উইঙ্গফিল্ড পার্ক একটী পরম রমণীয় উদ্ভান-_এখানে সুন্দর

৫৫

ভাবত-জ্রমণ |

স্ন্দর শ্যামল সতেজ বৃক্ষ-বল্পরী শোভা পাইয়া স্থানটার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করিতেছে-_-নানাবিধ মশ্মর-প্রস্তরমুত্তি সকলও পধ্যাটকের মন-মুগ্ধ করে, সকল মন্মরর-মুর্তি “কাইসরবাগ' হইতে আনিয়৷ রাখা হইয়াছে। এই উদ্ভান মধ্যে নানা শ্রেণীর হরিণ সংগৃহীত আছে।

মচ্ছিভবন দুর্গ__আসফ উদ্দৌলার প্রাচীন সেতুর বামভাগে মচ্ছিভবন দুর্গের স্থুবৃহৎ প্রাচীর প্রাচীন ছুর্গ অবস্থিত, ইহা এখনও উত্তম অবস্থাতেই আছে। এই ছুর্গের প্রাীরাভ্যন্তরে “লক্ষমণটিলা” নামক প্রাচীন নগরাংশ দেখিতে পাওয়া যায়। সিপাহনীবিদ্রেহের সময় স্থপ্রসিন্ধ সার হেন্রি লরেন্স ইহ। সৈন্য দ্বারা স্থরক্ষিত করিয়া রাখিয়াছিলেন। মচ্ছিভবনের নিকট হইতে জুমা-মসজিদের উন্নত-চুড়া বড়ই স্থন্দর দেখায়

সাতখণ্ড-_ইহা একটা অসম্প্র্ণ অট্টালিকা দিল্লীর জুমা-মসজিদ অপেক্ষাও বৃহত্তম মস্জিদ নিম্মীণোদ্দেশে মহম্মদ আদিল সাহ ইহার নিণ্মীণ- কাধ্য আরম্ভ করেন, কিন্তু মানুষের ইচ্ছা ভগবানের ইচ্ছা কখনও এক হয় না, মহম্মদেরও এই বাসন পুর্ণ হইল না$.তিনি এই অট্রালিকার কার্য শেষ হইতে না হইতেই পরলোক গমন করেন। কিন্বদন্তী এই যে এই সৌধ সপ্ততল উচ্চ হইবার কথ! ছিল, কিন্তু চতুস্তল নিশ্মিত হওয়ার পর তাহার মৃত্যু হওয়াতে ইহার কাধ্য আর অগ্রসর হয় নাই

আলমবাগ--সহর হইতে প্রায় একক্রোশ দূরে কাণপুর বাইবার পথে আলমবাগ নামক রাজোগ্ভান অবস্থিত, এস্থানে হেবলক সাহেব সমাহিত আছেন। নগর হইতে দূরে বিজনে বলিয়। ইহার সৌন্দধ্য গ্রাম্য-সৌন্দধ্য হইতে আর একপ্রকারে চিন্তবিনোদক। নানাজাতীয় সুগন্ধি কুস্ম-বৃক্ষ- পরিশোভিত শ্যামলছায়া-শীতল এই স্থানটা প্রকৃতপক্ষেই শান্তিপ্রদ। এখানে নগরের কলকোলাহল শ্রবণে আইসে না, _মৃদুবায়ুবিকম্পিত পত্রাবলীর মন্রতান; বিহগকঞ্টের সুমধুর হৃদয়োন্মাদকারী গান, পরিশ্রীস্ত দেহেও মনে শাস্তির স্থুবিমলধারা ঢালিয়া দেয়। চতুর্দিকের গ্রাম্যসৌন্দধ্যও বিশেষ- রূপে উপভোগ্য মোটের উপরে ফলফুলভারাবনত শ্যামল-বৃক্ষরাজিসমাবৃত উদ্যানবাঁটিক! সাধারণের মনোরঞ্জঁক | লক্ষ স্থাপত্য-সৌন্দধ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দধ্যে পরম রমণীয়। কাইসরবাগ-সম্মুখস্থ তারাওয়ালি কুঠির সম্মুখে যে

৫৬.

দ্বার-আছে উহার ভিতর দিয় প্রবেশ করিলেই জিলৌখান! নামক প্রাসাদ-ছবার- প্রাঙ্গণ, প্রাঙ্গণের পর চীনিবাগ পার হইলেই হজরৎবাগ দৃষ্টিপথে পতিত হয়। ইসা তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। লক্ষৌর অধিকাংশ অট্রালিকাই অযোধ্যার নবাবদিগের দ্বারা নিশ্মিত, ইংরেজাধিকারে _আদিবার পরে গোমতীবক্ষে মাত্র দুইটা সেতু নিশ্ম্িত হইয়াছে মুসলমান রাজত্বের সময়ের ছুইটা এবং ইংরেজের সময়ের ছুইটা মোট চারিটা সেতু গোমতীবক্ষে শোভা পাইতেছে। লক্ষৌ দুর্গের প্রসিদ্ধ রূমি দরওয়াজা পার হইয়! গোমতীর তটপ্রদেশস্থ প্রশস্ত রাস্তা দিয়া ইমামবাড়ার বহিঃপ্রাঙগণস্থ পশ্চিম দিকে দীড়াইলে, আসফউদ্দৌলার ইমামবাড়া, হুসেনাবাদের ইমামবাড়া প্রভৃতি দৃষ্টিপথে পতিত হয়। জিলৌখানার প্রাসাদ- দ্বার অতিক্রম করিয়া কিছু দক্ষিণাংশে ফিরিয়া একটী পার্দারৃত দ্বার পার হইলে চীনিবাগে পঁ্ছা যায়, স্থানে নানাপ্রকার চীন দেশীয় কাচপাত্রাদি স্শোভিত থাকাতেই ইহার নাম চীনিবাগ হইয়াছে চীনিবাগের কিয়দ্দ,রে একটী প্রবেশদ্বার, এই খ্ছারে নানাপ্রকার নগ্ন রমণীমুর্তি বিরাজমান ইহা যে অন্টাদশ শতাব্দীর ইউরোপীয় বিকৃতরুচির পরিচয়, তাহাতে কোনওরূপ সন্দেহ নাই। এই দ্বারের পরেই হজরতবাগ। আমরা যে সকল সৌধাবলীর পরিচয় দিয়াছি, তাহা ছাড়াও লক্ষৌতে দেখিবার জিনিষ আরও বনু আছে, তন্মধ্যে টাদলন্ী ভবনের বিষয় উল্লেখ করা যাইতে পারে। এই অট্রীলিকা নবাবের ক্ষোরকার আজিম উল্লা খাঁ নিম্মীণ করিয়াছিল, পরে নবাব ওয়াজিদ আলীর তাহার নিকট হইতে চারিলক্ষ মুদ্র মূল্যে উহা ক্রয় করিয়াছিলেন, এখানে নবাবের প্রধানা বেগম সাহেবা এবং অন্যান্য শ্রেষ্ঠতম নবাব-মহিষীগণ বাস করিতেন। কথিত আছে সিপাহী-বিদ্রোহের সময় তাহার একজন বেগম সিপাহীদিগের পক্ষা- বলম্বন করিয়া এই প্রাসাদে দরবার করিয়াছিলেন। টাদলক্ষমী প্রাসাদের পার্থ পথের ধারে যেখানে মর্ম প্রস্তরে ধান একটা বৃক্ষ দেখিতে পাওয়া যাঁয়, মেলার দিবস নবাঁব ফকিরের বেশে সেখানে অবস্থান করিতেন। লক্ষৌ যে কেবল স্থাপত্য-শিল্লে এবং প্রাচীন গৌরবেই গৌরবান্থিত, তাহ। 'নহে; শিল্পবাণিজ্যেও ভারতবর্ষের অন্যান্য বন্নগরী হুইতে ইহা! শ্রেষ্ঠ।

৮" ৫৭

হজরতবাগ | -

ভারত-ভরমণ

এখানকার জরি, রেশম এবং জহরতের কাজ বিশেষ প্রসিদ্ধ। কয়েক বতসর হইল কয়েকজন কাশ্মীরি বণিক নগরে শালের কারখানা স্থাপন করিয়াছেন এখানে কাচের বাসন তৈরির কাগজের কল প্রতিষ্ঠিত আছে। এতদ্বযতীত সয়াদণুগঞ্জ, শাহগঞ্জা, চিকমন্তী প্রভৃতি স্থানের হাটে শস্য, তুলা, চর্ম প্রভৃতি এবং মৃত্তিকা-নির্িত পুশতলিক! প্রচুর আমদানী হয়।

গীতবাগ্চের চ্চা নগরে খুব বেশী; এম্থানে হিন্দুস্থানী ওক্তাদদিগের অধীনে বহু সঙীত-বিদ্যালয় পরিচালিত হয়। লক্ষৌতে মার্টিনিয়ার বিষ্ভালয় ব্যতীত ক্যানিংকলেজ বিশেষ বিখ্যাত-_-এই কলেজের সভাপতি স্বয়ং বিভাগীয় কমিশনার সাহেব মহোদয় ইহা ছাড়া আমেরিকান মিশনের অধীন ৭টা ইংলিস চার্চ মিসনের অধীনে ৫টা বিদ্যালয় আছে ;

লাক্্ষৌর সর্ববপ্রধান ত্রষ্টব্য ইমামবাড়া ; সম্বন্ধে প্রসিদ্ধ প্রত্বৃতত্ববিদ ফাগুন সাহেব লিখিয়াছেন, “%৫ &% 1105 87680 117717000218) ৬1101) 00851) 15 0750115 11] 10000581090 01955 80. 9%:8/10107 0101), 15 901]] 0012061%50 01) 509 £18100 8. 5০418 95 09 91010610090 18111. 910 076 19011011155 01 21920711517 7125, লক্ষৌ মাটির কাজের জন্য বিশেষ বিখ্যাত। এখানকার মৃন্তিকা-নির্দ্িত পুতুল, বাসন ইত্যাদি দেখিয়া আনন্দলাভ করিয়াছিলাম। স্থানীয় মিউজিয়ামে (আজব-ঘরে) রেসিভেন্দির অবিকল মাটির চিত্র আছে

ত্েল্ট্িভিন

ভলাক্ষৌ হইতে বেরিলি যাই। রোহিলখণ্ডের মধ্যে বেরিলি একটী বিখ্যাত নগর। ইহার পাদদেশ ধৌত করিয়া রামগঞ্গ। নদী প্রবহমানা। বেরিলি ফেঁসনটী বেশ বড়, এবং একটা সংযোগস্থল। নগরের লোক সংখ্যা ১১০১০০০ তন্মধ্যে প্রায় অদ্ধেক হিন্দু এবং অদ্ধেক মুসলমান। এই সহর যে কোন্‌ সময়ে নিম্মিত হইয়াছিল, তাহার প্রকৃত ইতিহাস সংগ্রহ করা দুল্লভি--কিন্বদস্তী হইতে জানিতে পারা ষায় যে ১৫৩৭ খ্রীষ্টাব্দে এই নগরী নির্মিত হইয়াছিল। উত্তর-পশ্চিমের নগর সমুহের মধ্যে ইহা পঞ্চম স্থানীয়। ধাহারা আলমোরা, নাইনিতাল, রাণীক্ষেত প্রভৃতি স্থানে যাইতে চাহেন তাহাদিগকে এখান হইতে গাড়ী পরিবর্তন করিয়া কাঠগুদাম নামক স্থানে যাইতে হয়, বেরিলি হইতে কাঠগুদাম পর্যন্ত একটা শাখা রেলওয়ে লাইন আছে। অযোধ্যার নবাবের পক্ষ হইয়া ইংরেজগবর্ণমেণ্ট এই স্থান অধিকার করার পুর্ব পর্য্যন্ত, বেরিলি বনুদ্দিবস রোহিলাদিগের রাজধানীরূপে পরিগণিত ১৮০১ খ্রীষ্টাব্দে সম্পূর্ণরূপে এই নগর ইংরেজাধিকারে আইসে। যখন ভারতের চতুদ্দিকে সিপাহী-বিদ্রোহের প্রবল-বহ্ছি প্রজ্্বলিত হইয়া উঠিয়াছিল-_সে সময়ে সমগ্র রোহিলখণ্ডের বিদ্রোহানলের কেন্্রস্থলই বেরিলি ছিল। ১৮৫৭ গ্রীষ্টাব্দের মে মাসের প্রথমভাগে যখন ইংরেজ- সৈন্তেরা এখানে আসিয়া উপস্থিত হয়, তখন সমগ্র বিদ্রোহীসৈন্য এখান হইতে পলায়ন করিয়াছিল। বেরিলি সহর দুইভাগে বিভক্ত---একাংশের নাম নুতন বেরিলি অপর অংশের নাম পুরাতন বেরিলি। পুরাণো বেরিলিতে একটা প্রাচীন দুর্গের ভগ্মাবশেষ দৃষ্ট হুয়-_-উহা! বরেল দেও নির্মাণ করিয়াছিলেন বেরিলিতে দেখিবার মধ্যে রামপুরের নবাবের একটা প্রাঙগাদ জুম্মা মস্জিদ ব্যতীত তেমন আর কিছুই নাই। নবাবের বাড়ী নগর হইতে কিঞ্চিৎ দূরে অবস্থিত জুল্মা মস্জিদ্টি ১৬৫৭ ্বীষটান্দে

নির্টিত হইয়াছে। এখানকার কয়েকটী বাজার বেশ পরিক্ষার পরিচ্ছন্ন বাস্তাঘাটও দেখিতে বেশ স্ন্দর। ব্যবসা! বাশিজ্যের জন্য উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের মধ্যে ইহার বেশ খ্যাতি আছে। এনা টানি দিস বিখ্যাত খাস্ভজ্রব্যাদি খুব স্থলত।

৫৭)

2. শ্হন্াদ্ষান্নাদ |

ল্ল্চরাদাবাদ বা মোরাদাবাদ, যুক্ত প্রদেশের রোহিলখগুবিভাগের একটা জেল! এই জেলার প্রধান নগর মুরাদাবাদ-__ইহা৷ ১৬২৪ খ্রীষ্টীবে দিল্লীর সম্রাট শাহজাহানের আদেশে রস্তম খা কর্তৃক যুবরাজ মুরাদবকোের নামে নিশ্িত হইয়াছিল। রস্তম খা প্রদেশের শাসনকর্তা ছিলেন, তাহার নির্মিত রামগঙ্গার তটপ্রদেশস্থ দুর্গটা এখনও ভগ্নদেহে বিরাজমান আছে। আমরা রামপুর যাইবার পথে এস্থানে অবতরণ করিয়াছিলাম। আউধ-. রোহিলখণ্ড রেলওয়ের সহিত এই জেলার বনু স্থান সংযুক্ত থাকায় বাণিজ্যের পক্ষে বিশেষ স্থুবিধ! হইয়াছে মুরাদাবাদ সহরটা ছোট খাট-_ রাস্তাঘাটগুলি দেখিতে বেশ মনোরম। সময় সময় রামগজা গলা নদীর বন্যায় জেলায় শশ্যাদির খুব ক্ষতি হয়। সেইজন্য কয়েকবার ছু্িক্ষের দারুণ প্রকোপে মুরাদাবাদ জেলার অধিবাসীদিগকে তঙ্কর যন্তরণাভোগ করিতে হইয়াছিল, এখন নদীবক্ষে চড় পড়িয়া উহা! সংকীর্ণ হইয়া গিয়াছে। ১৮৬৪ খ্রীষ্টাব্দে চতুর্থবার ছুর্ভিক্ষ-রাক্ষদীর করাল আক্রমণে জেল! উৎসন্নপ্রায় হয়। সে সময়ে বুলোকে আমের জাটি খাইয়া জীবন রক্ষা করিয়াছিল; পুনরায় ১৮৬৮--৬৯ এবং ১৮৭৭--৭৮ গ্রীষ্টা্দে যে দারুণ দুতিক্ষ ঘটে গবর্ণমেন্টের শত চেষীতেও সে সময় অনশন- কলি নরনারীর অন্নকষ্ট নিবারিত হয় নাই-_না! হইবার প্রধান কারণ সে বসর রাজপুতনা প্রভৃতি দূরদেশের অন্নকষ্ট-গীড়িত নরনারীও আসিয়৷ এস্থানে সমবেত হইয়াছিল--কাজেই ছু্ভিক্ষ অতিশয় ভীষণাকার ধারণ করে-_গবর্ণমেপ্ট আর কয়দিকে ইন্ধন যোগাইবেন1

. সম্রাট গুরজজেবের মৃত্যুর পরে মোগলশক্তির অবসাদ হইলে কঠারিয়া

ত্র বিজ্রোহিগণ কিছুদিন এস্থানে স্বাধীনভাবে রাজত্ব করিয়া- | ছিল, _ কিন্তু ১৭৩৫ শ্বীষটাবে পুনরায় এই প্রদেশ নগর সম্রাট মহন্মদশীহ অধিকার করিয়৷ লন, এবং এখানে মোগলশাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। ইহার পর নাম মাত্র প্রায় এগার বৎসরকাল পর্য্যন্ত

প্র ৬০ তলত, রি ৮) ্ট

অযোধ্যার উজীরের শাসনাধীন হয় এবং ১০০১ বন্টন সহ সিংহের করতলগত হয়। সিপাহী-বিপ্রোহের সময় মজ্জর খা নামক এক ব্যক্তি এস্থানের শাসনকর্তা ছিলেন__ইঁহার নেতৃতেে বিদ্রোহানল এস্থানেও প্রজ্বলিত হইয়া উঠিয়াছিল। রামপুরের নবাব ইংরেজপক্ষ অবলম্বন করিয়া অনল নির্ববাণের চেষ্টা করিয়াছিলেন কিন্তু অকৃতকাধ্য হন। পরিশেষে জেনারল জোন্সের অধীনস্থ ব্রিগেড সৈনিকবৃন্দ ১৮৫৮ শ্ত্রীষ্টাব্ডে এস্থানে উপস্থিত হইয়া শান্তি স্থাপন করে ইংরেজশাসনাধীনে আসিবার পর হইতে এস্থানের বন্ধু উন্নতি সাধিত হইয়াছে

মুরাদাবাদ, জেলার প্রধান নগর সদর-_-রামগঙ্গা নদীর দক্ষিণ তটে অবস্থিত। এস্থানে দেখিবার মধ্যে জুম্মা মসজিদ আজমণুউল্লা খার সমাধি-মন্দির। জুন্মা মসজিদটি ১৬৩৪ খ্রীষ্টাব্দে নিশ্রিত হইয়াছিল, আজমহ্উল্লা খা প্রদেশের একজন শাসনকর্তা ছিলেন। রেলওয়ে ফ্টেসন হইতে প্রায় দেড় মাইল দুরে সেন্টপলের গির্জাগৃহটিও ভ্রফটব্য পদার্থের মধ্যে অন্যতম রোহিল! প্রদেশের মধ্যে মুরাদাবাদের বাণিজ্য- খ্যাতি খুব বেশী। নগরের লোক সংখ্যা ৭৪,০০০ | মুরাদাবাদ সদর ব্যতীত অম্রহো, চন্দৌসী, সম্বল, সরাইতরণী, হসনপুর, বছরাওন, মউনগর, সির্সা, ঠাকুরদ্বার, ধানওয়ারা, অঘবনপুর, মোগলপুর নরোৌলীনগর প্রভৃতি স্থান বাণিজ্যের উন্নতিতে বিশেষ প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছে চন্দৌসীর চিনির কারবার খুব বৃহ মুরাদীবাদ ফ্টেসনের নিকটে একটা সুন্দর ডাকবাংলা আছে। এস্থানে পিস্তলের উপর অতি স্থুন্দর গিল্টির কার্য হইয়া থাকে। গিণ্টির কাধ্যের জন্য স্থান বিশেষ গ্রাসিন্ধ। এতঘ্যতীত এই ক্ষুদ্র নগরে দ্রষ্টব্য এবং উল্লেখযোগ্য কিছুই নাই। আমর মুরাদীবাদ দর্শনাস্তে সে দিবসই রামপুর পঁছছিলাম

৬১

্রাসসঞ্পু্র

সরু রোহিলখ বিভাগের অন্তভূক্তি একটা দেশীয় সামন্ত- নৃপতির রাজধানী এবং উত্ত জেলার প্রধান নগর। রামপুর রাজ্যের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত এস্থানে প্রদত্ত হইল, আশাকরি ইহা পাঠকগণের অতৃপ্তির কারণ হইবে না। খ্রীস্রিয় সপ্তদশ শতাববীর শেষাংসে সাহ আলম এবং . হসেন খা নামক দুই সহোদর এদেশে আদিয়! বাস. করেন, এবং মোগল- হি রাজসরকারে কার্য্য গ্রহণ করিয়া স্ব স্ব ভবিষ্যৎ উন্নতির পথ স্বৃপ্রশস্ত করেন। মহারাধীয়দের সহিত যুদ্ধে বিশেষ

বীরত্ব প্রদর্শন পৃর্বক সাহ আলমের পুক্র দাউদ খা, বদাউনের নিকট হইতে এক জায়গীর লাভ করেন, তীহার মৃত্যুর পরে তাহার পোল্নপুত্র আলী মহম্মদ নবাব উপাধি সহ ১৭১৯ ্রীষ্টাব্ধে রোহিলখণ্ডের অধিকাংশ প্রদেশই জায়গীরস্বরূপ প্রাপ্ত হন। জগতে একের উন্নতিদৃষ্টে অধিকাংশ স্মলেই অপরের হিংসা দেখা যায়, এস্থলেও তাহার বৈষম্য হইবে কেন? তৎকালীন অযোধ্যার স্বেদার, সয়দরজঙ্গ আলী মহম্মদের এই উন্নতিতে বিষম ঈর্ষা্ঘিত হন এবং কৌশলে ১৭৪৬ খ্রীষ্টাব্দে বাদসাহের সরকার হইতে প্রদত্ত সমুদয় জায়গীর বাজায়াপ্ত করাইয়৷ আলী মহম্মদকে দিল্লীতে কারারুদ্ধ করাইয়া রাখিয়া দেন। ছয়মাস কাল কারারুদ্ধ গাকিয়া পরে ইনি সরহিন্দের শাসনকর্তা রূপে প্রেরিত হন। কমলার কৃপাকটাক্ষ যাহার উপর পতিত হয়, কিছুতেই তাহার সৌভাগ্য-সূধ্য মেঘারৃত করিয়া রাখিতে মানুষের সাধ্য হয় না আলী মহম্মদের শুভাদৃষট হইতেই তাহার বিশেষ প্রমাণ পাওয়া যায়। তাহার সরহিন্দে এক বসরকাল অবস্থিতির পরে, আহম্মদ সাহ আবদালীর আক্রমণে চতুদিকে দারুণ বিশৃঙ্খলার উত্রেক হয়, দিল্লীর সেই বিপ্লবের সময়ে স্থযোগ বুঝিয়া আলী মহম্মদ পুনরায় ১৭৪৭ শ্রীফান্দে রোহিলখণ্ড আগমন করিয়া রাজ্যশীসন করিতে প্রবৃত্ত হন, সমাট মহম্মদ সাহের তনয় তাহাকে সবল দেখিয়! প্রদেশের রাজা বলিয়া স্বীকার করেন। আলী মহন্মদের মৃত্যুর পর ঠাহার পুজ্েরা রাজ্য ভাগ করিয়৷ লন। তাহার

: জারপুর, রামপুর

টিনা উনিটি রনি ১৮০১ রটাবে এই রাজ্য ইংরেজ- রাজের হাতে আইসে। সিপাহী-বিদ্রোহের সময় এস্থানের নবাব মহদ্ার যুস্থফু আলী খা ইংরেজরাজের সবিশেষ সহায়তা করায় ব্রিটিশ গবর্ণমেপ্ট তাহাকে ১২৮৫২০২ টাকা। রাজস্বের একটী জায়গীর, উপাধি এবং তোপ প্রদান করেন। যুস্বফ আলি খাঁর পরে ১৮৬৪ ধৃষ্টাব্দে ততপুক্র মহস্মদ কল্ব আলী খা, জি, সি, এস্‌, আই, সি, আই, ই, উপাধিস্হ রাজা হন, এবং ততপরে নবাব মস্তফ আলী খাঁ রা হইয়াছেন। | কোশিলা নানী জ্বোতস্ষিনীর বামতটে রামপুর নগর অবস্থিত। এই মুরাদাবাদ হইতে পূর্বে ১৮ মাইল। রামপুর বিশেষ সমৃদ্ধিশালী প্রাচীন নগর-_-খেশ নামক রেশমী বন্স্ের জন্য ইহা ভারতবিখ্যাত, খেশ এস্থানেই প্রস্তুত হইয়া থাকে। সৌধাবলীর মধ্যে বিশেষ খ্যাতনামা এবং স্থাপত্য-শিল্প-চাতুযযসম্পন্ তেমন কিছুই নাই, তবে নবাবের স্বৃবৃহত সৌন্দর্যসম্পন্ন প্রাসাদ, জুম্মা মস্জিদ, সফদরগঞ্জ বাগান, দেওয়ান্-ই-আম্‌, খুর্শিদ-মঞ্ত্রিল, মচ্ছিভবন জানান! প্রভৃতি ভ্রমণকারী মাত্রেরই দেখিয়া আসা উচিত। নবাব ফৈজ্উল্ল- খাঁর নিশ্মিত দুর্গ ্টীহার সমাধি-মন্দির জীবিত থাকিয়া এখনও তাহার গৌরব ঘোষণা করিতেছে কোশিলা, নাহল রামগজা! নদী রামপুর প্রদেশের নান! স্থান দিয়া প্রবাহিত থাকার স্বাস্থ্য শহ্ উভয়তঃ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি হইতেছে বেরিলি, মুরাদাবাদ, রামপুর প্রভৃতি এই ক্ষুদ্র তিনটা সহরে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছুই নাই বলিয়া! বিস্তৃত বর্ণনা করিয়া পাঠকগণের সময় নষ্ট করিলাম না।

নগরের কথ।।

হুন্বিজ্ান্র

ল্রখৃমপুর ছাড়িয়। বাপ্পীয় শকটে যখন হরিদ্বারাভিমুখে রওয়ানা হইলাম, তখন হৃদয়ে এক অপূর্ণ আনন্দের উদয় হইয়াছিল; শুভ্র তুঁষার- কিরীট-মপ্ডিত হিমান্্রির পাদমুলে সর্বব-পাপ-তাপ-নাশিনী পৃত-সলিলা জননী ভাগীরথীকে প্রবাহিত দর্শন করিয়া ধন্য হইব-_-আহা ! কি আনন্দ ! দেখিতে দেখিতে ছু'ধারের বন-জঙ্গলের মধ্য দিয়া বেগে ছুটিতে ছুটিতে বাস্পীয় শকট আসিয়৷ লক্সর ফ্টেসনে পঁনুছিল, এখান হইতে গাড়ী পরিবর্তন করিয়া হরিদ্বার ধাইতে হইবে ; হরিদ্বার লকার হইতে ১৬ মাইল মাত্র দূরে অবস্থিত | আমাদের গাড়ী লব্সর ছাড়িয়া অগ্রসর হইতে লাগিল। জানালার ভিতর দিয়া কি নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখিলাম-_গিরিরাজ হিমালয় উন্নতমস্তকে ধ্যানমগ্র-কে জানে স্থ্টির কোন্‌ যুগে এই মহাযোগীর ধ্যানভগ্ন হইবে পাহাড়ের উপর পাহাড়--তাহার উপরে পাহাড় গৌরবে দর্শকের সমক্ষে সৃষ্টিকর্তা জগদীশ্বরের মহান্‌ মহিম! প্রচার করিতেছে প্রতি শূক্গবিনির্গত নির্বর ষেন বলিতেছে “জারে মুগ্ধ মানব, তৃণাদপি তৃণ হইয়া তোমার এত অহঙ্কার, কত ক্ষুদ্র তুমি সে কথা কি ভাব?” যখন আসিয়! হরিদ্বারে উপনীত হইলাম তখন হৃদয়ে কি আনন্দ হুইল তীহা। বর্ণনাতীত। কি নয়ন-মন-মোহকর দৃশ্য ! গগনস্পর্শী পর্ববতমাল! দীড়াইয়। রহিয়াছে, আর তাহারি পাদমূলে এরই সুন্দর নগরী শোভা পাইতেছে। যিনি হরিদ্বার গমন করিয়াছেন তিনি প্রকৃতির নেছাঞ্চলে লুক্কায়িত এই স্থান দর্শনে নিশ্চিতই বিমুগ্ধ হইয়াছেন। আমরা আমাদের পাগুার সমভিব্যহারে নিদ্দিষট বাসায় আসিয়া বিশ্রাম এবং আহারাদি সমাপন করিয়া * শান্তি তৃপ্তি ছুই-ই অনুতব করিলাম। আমাদের বাস-প্রকোষ্টের জানালা খুলিয়া দিলে, তুষার- মণ্ডিত ধবলগিরির রজতকিরীট দৃষ্টিপথে পতিত হইত-_পার্ববত্য মৃছুমন্দ শীতল সমীরণ আসিয়া ক্লান্ত শরীরে সজীবতা প্রফুল্লতা ঢালিয়া দিত।

গ্রার কষাতিটে হিয়ার অবস্থিত। পুণ্য-সলিল! জননী জাহবী

৬৪.

অপর নাম. কপিলস্থান, কারণ খধি কপিল এই স্থানে. কঠোর তপস্যা

রয়াছিলেন, শৈব সম্প্রদায়ভূক্ত. লোকেরা. ইহাকে হরদ্বার নামে অভিহিত করে। হরি্ারে কলিকাতার অন্যতম প্রসি্ ধনী 'সূর্য্মল ুন্ঝুন্ওয়ালার ধর্্শাল! আছে, সাধারণতঃ .অপরিচিত পাস্থগণ সেখানেই অবসশ্থিতি.করেন। স্টেসন হইতে উহা! প্রায় ১৪০ মাইল দূরে হইবে। সূর্ধ্যমল বাবু ষিকেশ, হইতে তিন মাইল দুরবন্তী লছমন ঝোলার লৌহসেতু নিপ্াণ করিয়া! দিয়া তীর্থাত্রিগণের অশেষ উপকার করিয়াছেন ; ধনের যিনি সঘ্যবহার করেন .. তিনিই ধন্য যাত্রিগণ সাধারণতঃ এস্থানে স্নান তর্পণ করিয়া থাকেন, উহাই এখানকার প্রধান কার্য্য | ৭: _ আমরা পরদিন প্রত্যুষে গঙ্গাদ্ধার ঘাটে স্নান করিতে গমন করিলাম,। ্ষকুণড বা. তখন তরুণ রবির কনক-কিরণ-মপ্ডিত গিরিশ্রেণী ষে অনন্ত গঙ্গা্ার ঘাট সৌন্দধ্যে আপনাকে স্থুশোভিত করিয়াছিল, তাহা. লেখনী-.. মুখে প্রকাশ হইবার নহে। হুরিদ্বারে এই ঘাটেই, গঙ্গা সান করা প্রশস্ত ! হিন্দৃস্থানী যাত্রিগণ ইহাকে “হরি-কি-চরণ ঘাট” নামে অভিহিত করিয়া থাকেন।... এই ঘাটের উপর বিষু্র চরণ-চিহ্ন অঙ্কিত আছে। এস্থানেই গঙ্গা পর্বত, ভেদ করিয়া প্রথমে পতিত হইয়াছেন__ইহার প্রকৃত নাম 'মায়াপুরী। কুস্তমেলার সময় যাত্রিগণ এই ঘাটেই স্নান করিয়া! থাকেন--সে সময়ে . এস্থানে নান! দেশদেশীন্তর হইতে শৈব, বৈষ্ণব, দগ্ডী, পরমহংস, অবধূত্ত প্রভৃতি নান৷ শ্রেণীর সাধু এবং গৃহস্থগণ আগমন করেন, বিগত ুস্তমেলায় | হরিঘারে প্রায় পাঁচ ছয় লক্ষ সাধুসন্ন্যাসী সমবেত হুইয়াছিলেন।. পূর্বে. মেলার সময় ক্্ান লইয়। অনেক দাজা হা্গাম। হইয়া গিয়াছে। ১৭৯০ খ্রীষ্টাব্দে এস্থানে যে কুস্তমেলা৷ হইয়াছিল, তাহাতে গোস্বামী বৈরাগী এই উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয়ানক দাজা হাজামা হয়. তাহাতে.. ১৮০০ শত লোক নিহত হইয়াছিল। আর একবার গোস্বামী দুর সহিত. শিখদের কলহ হয় তাহাতে প্রায় পাঁচশত গোস্বামী মৃত্যুর কবলে. জি হইয়াছিলেন। ধর্ান্ধতায় সময়ে সময়ে যে নানাপ্রকার বিশ্ব সংঘটিত. হয় এসকলই তাহার জাচ্ছল্যমান প্রমাণ। এই ঘাটের রা- ভ্যস্তরে গঙ্গাদেবীর প্রতিমুত্তি এবং পুর্বববরি

ভারত-্রমণ। |

আছে। .কুস্তমেলা যোগের সময় সান করিবার জন্য যাত্রিগণের . মধ্যে একটা কোলাহল জাগিয়৷ ওঠে পুলিশকর্্মচারিগণ নানারূপ চেষ্টা বত করিয়াও €কোনরূপেই শান্তিসংস্থাপন করিতে পারেন না কত লোক যে ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হইয়৷ প্রাণত্যাগ করে তাহার ঠিক থাকে না ১৮১৯ খ্রীষ্টাব্দে প্রায় ৪৫০ শত লোক ভিড়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। প্রতি দ্বাদশ বগুসর অন্তর এখানে কুস্তমেলা৷ হয়-_তখন এই অল্প পরিসর স্থানে ধর্্মালিপ্ল, লক্ষ লক্ষ যাত্রী অবগাহন করিয়৷ পুণ্যসঞ্চয় করিয়। থাকে শাস্ত্রে লিখিত আছে ষে কুম্তমেলার সময় এস্থানে স্নান করিলে আর পুনর্জন্ম হয় না। প্রতি বৎসর চৈত্রসংক্রান্তিতেও এস্থানে মেল! হয় বটে কিন্তু কুম্তমেলার মত তত লোক সমাগম হয় না। বাধষিক মেলার সময় এখানে সহত্র সহত্র অশ্মাদির খরিদবিক্রয় হয়। ব্রক্ষকুণ্ডের মধ্যে দেশদেশান্তরের ষাত্রিগণ মৃতদেহের অস্থি নিক্ষেপ করিয়া ম্বতের পারলৌকিক মুক্তির পথ স্বপ্রশত্ত করিয়া দেয়। যাহারা হরিদ্বার আসিতে পারেন না তাহার! সচরাচর নিজ নিজ পাগাদের নিকট ডাকযোগে অস্থি ইত্যাদি পাঠাইয়া দেন, পরে পাগুাাগণ উহ গঙ্গাজলে নিক্ষেপ করে | এখানে গঙ্জার নিম্মীল সলিল মধ্যে বড় বড় মহাশৌল মণ্স্যগুলিকে ' নির্ভয়ে বিচরণ করিতে দেখিলাম--হরিদ্বারে প্রীণীহত্য! নিষেধ। ইহাদের প্রতি কেহ কোনও অত্যাচার করে না বলিয়া মতস্েরাও মনুষ্য দেখিয়। কোনও রূপ ভীত হয় না-_যাত্রীরা চিরা, মুড়ি, খই জলে ফেলিয়া দিতেছে আর শত শত মওশ্য নির্ভয়ে আসিয়া তাহা খাইতেছে। কি স্থন্দর দৃশ্য ! আমরা যে সেকালে তপোবনের চিত্রমধ্যে সমুদয় হিংশজন্তর শান্তশিষ্ট স্বভাবের পরিচয় পাই, এই মতস্যদের ব্যবহার দেখিলে তাহার সততা _ দৃট়ীভূত হয়, তুমি যদি হিংসা ভোল-_তুমি যদি প্রাণ দিয়া ভালবাসিতে শেখ তবে সে কেন ভালবাসিবে না? প্রেম দিলেই প্রেম পাওয়া যায়। আমরা ১৯ বৎসর পূর্বেষ যখন এখানে আসিয়াছিলাম তখন স্থান গভীর জলপরি- পুরিত ছিল- কিন্তু এখন চর পড়িয়া! গিয়াছে এবং স্থানে অট্রালিকাদি নির্িত

হইতেছে স্নান করিয়া পুনরায় রিড স্নান করিতে আসিলাম-_ ইহাই এখানকার রীতি।

চর বপন ননিন্র্রিরহরী টির উনি আছে যেএখানে পিতৃলোকের উদ্দেশে শ্রান্ধতর্পণাদি করিলে পিতৃগণ বিষ্ুণ্রর গ্যায় হইয়া! বিযুধলোকে গমন করিয়া পরম শান্তিলাভ করেন। কুশাবর্তঘাটের উৎপত্তি সম্বন্ধে কিন্বদন্তী প্রচলিত আছে যে একজন খষি স্থানে বসিয়া যখন যোগসাধনায় নিরত ছিলেন, সে সময়ে গজ! গিরিরাজ হিমান্দ্রি হইতে পতিত হইয়া বেগে খবির কুশা আ্রোতে ভাসাইয়া লইয়া গিয়াছিলেন। খধির ধ্যান ভঙ্গ হইলে তিনি তাহার কুশা দেখিতে না পাইয়া নিতান্ত ক্রুদ্ধ হইলেন এবং সেই মুহূর্তেই যোগ-শক্তি-প্রভাবে গঙ্গাকে আকর্ষণ করিলেন ; গঙ্গা খষির আকর্ষণে হৃষ্টচিত্তে তাহার নিকট আসিয়া কুশা প্রত্যর্পণ করিলেন এবং বর দিলেন যে অদ্যাবধি এই ঘাটের নাম কুশাবর্তঘাট হইবে আর স্থানে যে কেহ আসান তর্পণ করিবে, তাহার পিতৃগণ বিষুজলোকে গমন করিবে কুশাবর্তঘাটে আসিয়া দেখিলাম যে দলে দলে লোক স্থানে বসিয়৷ পিতৃলোকের তর্পণাদি করিতেছে-_-একদল যাইতেছে-_-আর এক দল আসিতেছে-_-আবার সে দল যাইতেছে-_-পুনবায় অপর দল কর্তৃক সে স্থান অধিকৃত হইতেছে-_বিরাম নাই-_বিশ্রাম নাই-_ কি পবিব্র শ্রদ্ধার নিদর্শন। যাব্রিগণ সকলেই নিজ নিজ অবস্থানুযায়ী যথাসাধ্য দান ধ্যানাদি করিয়া থাকেন গঙ্গার আোত ঘাটে অত্যন্ত প্রবল। ঘাটের সোপানাবলীরি সহিত লৌহ-শৃঙ্ঘল সংযোজিত থাকা সত্বেও অতিশয় সতর্কতার সহিত স্নান করিতে হয়, বদি কোনও রূপে হস্ত শৃঙ্খল হইতে পৃথক হইয়া যায় তবে যে কোথায় ভাসাইয়। লইয়া যাইবে তাহার ঠিকানা করাও. অসম্ভব গঙ্গার প্রশস্তত! স্থানে প্রায় অদ্ধ ক্রোশ হইবে। হরিত্বারে সর্ববনাথ, মায়াদেবী, দক্ষেশ্বর, সীতাকুণ্ড, কনখল, নীলধারার ঘাট, চণ্ডীপাহাড়, বি্বকেশ্বর প্রভৃতি বু দেবমন্দির দ্রব্য স্থান আছে আমর! একে টানি তাহাদের ধিবরণ লিপিবদ্ধ করিলাম সর্ববনাথ_ _সর্ববনাথের মন্দিরটি দেখিতে বেশ সুন্দর মি মধ্যে দেবাদিদেব মহাদেবের লিঙমুত্তি বিরাজিত আছে। একটা প্রশস্ত প্রাণের মধ্যে শতচুড়ায় স্থশোভিত হইয়া উচ্চশিরে এই মন্দিরটি বিরাজ করিতেছে ০১০০০০০০৮০০: একটা সৌম্য শান্ত

ভারত-্ভরসগ | | ছি | তীরের মহান্ভাব ইহার চারিদিকে ব্রিজ বি ইত ন্ান-দানাদি করিয়া যাত্রিগণ সাধারণতঃ স্থানে আগমন করিয়া দেবাঁদিদেবের শ্রীচরণপ্রান্তে ভক্তিগদগদচিত্তে লোটাইয়! পড়ে। প্রত্বতত্তজ্ঞ কানিংহাম সাহেব এই মন্দিরের অনতিদূরে একটী পুরাতন ছুর্গের ভগ্রাবশেষ দর্শন করিয়াছিলেন এবং সেখান হইতে পুরাতন মুদ্রা পুত্তলিকা প্রভৃতি প্রাণ্চ হইয়াছিলেন এবং অনুসন্ধান ছারা উহা বেরাজার ছুর্গ বলিয়া সিদ্ধান্ত করিযাছিযেন। | _ মায়াদেবীর মন্দির-_হরিদ্বারের মন্দিরসমূহ মধ্যে মায়াদেবীর মন্দিরই

সর্ববাপেক্ষা প্রাচীন, ইহার চারিদিকে বন জঙ্গল ভগ্ন অট্রালিকাসমূহের স্তূপ দেখিতে পাওয়া যায়। স্থপ্রসিদ্ধ প্রত্বতত্ববিদ পণ্ডিত কানিংহাম সাহেব এই মন্দির দশম কিংবা একাদশ শতাব্দীতে নিম্মিত হইয়াছে বলিয়া সিদ্ধান্ত করিয়াছেন। ভক্তবৃন্দের প্রদ্স্ত দিন্দুর-প্রলেপে মায়াদেবীর সর্বব-. শরীর আবৃত,__এ সিন্দুরের প্রলেপ হইতে তাহার প্রকৃতমুর্তি আৰিষ্কার করা স্থবকঠিন। আমাদের পাণ্ড দেবীকে ত্রিমুগডধারিণী, এবং চতুহস্ত শোভন! বলিয়া ব্যাখ্যা করিলেন। তাহার এক হস্তে নৃমুণ্ড ধৃত, এক হস্তে চক্র, এক হস্তে সংহারকারিণী শিব-শক্তি-ত্রিশূল, অপর হস্তে অভয়প্রদা মা-জননী ভীতত্রস্ত সম্তানবর্গকে অভয় দানে উৎসাহিত করিতেছেন। এই মন্দিরের দ্বারে একটী খোদিত লিপি দেছিলাম, কানিংহাম সাহেব এই শিলালিপি দৃষ্টেই মন্দিরের নির্্াণসময় সম্বন্ধে এন্পপ সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন মায়াদেবীর মন্দির দেখিলেই ইহার প্রাচীনত্ব উপলব্ধি হয় উহ্া আর কাহাকেও বলিয়া দিতে হয় না দক্ষেশ্বর মহাদেব সতীকুণ্ড হরিদ্বারের শ্রেষ্ঠতম তীর্থ। স্থানে

দক্ষ প্রজাপতি শিবকে যজ্ঞে নিমন্ত্রণ না করিয়া যজ্ঞ করেন এবং পতিগত- . দক্ষেশবরও প্রীণা আস শক্তি সতী পতিনিন্দা' আবণে প্রাণ পরিত্যাগ নতীক। করেন। সতী-বিরহে বিদগ্ধচিত্ত দেবাদিদেব মহাদেব দক্ষের যন্ত্র তজ তাহার মুগুচ্ছেদন পূর্ববক তাহাতে অজমুণ্ড যোজন! করিয়া- ছিলেন।- পরে দক্ষ দিব্যত্ান লাভ করিয়া এই শিব প্রতিষ্ঠাপিত করেন,

করেন তাহা রী নামে অভিহিত দক্ষেশ্বর শিবের নদিরটি হব, বড়-_কিছুদিন হইল ইহার সংস্কারসাধিত হইয়াছে, একবার একটা প্রকাণ্ড বটবৃক্ষ পতিত হইয়া মন্দিরের শীর্যদেশ নষ্ট হইয়া গিয়াছিল পাণগাঁদিগকে কিঞ্চি গোলাকার রজতখণ্ড দ্রান করিলে সতীকুণ্ডে হোম করিতে দেয়। একটা কিন্বদন্তী প্রচলিত আছে যে, ষদি রমণীগণ সাত রবিবারে এই রুণ্ডে স্নান করেন তাহা হইলে তাহার! সতীর ন্যায় সৌভাগ্যশালিনী হ'ন। কনখল-_-কনখলের নিকট গঙ্গা নীলধারা নামে কথিত, নিকটেই নীলপর্বত। স্থানে জলের -রং নীলাভ বলিয়াই এরূপ নাম হইয়াছে নীলধারায় সান করা বিশেষ প্রশস্ত। নীলধারার তট- প্রদেশে ব্ুতর উদ্যান থাকায় স্থানটির সৌন্দধ্য বিশেষ চিত্তাকর্ষক | উদ্ভানসংশ্লিষ্ফী সোপাণাবলী জলে নামিয়াছে। প্রতি উদ্ভান মধ্যেই এক একটী দেব-মন্দির। হরিদ্বার হইতে কনখল এক ক্রোশ দূরবর্তী হরিদ্বার অপেক্ষা যে কনখল প্রাচীন স্থান তদ্ধিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই, এস্থানের ঘরবাড়ী রাস্তাঘাট ইত্যাদি দৃষ্টে তাহা আরও যথার্থ বলিয়া অনুমিত হয়। মহাভারতেও কনখলের উল্লেখ আছে। এতদ্যতীত কালিদাসের মেঘদূতেও এস্থানের হ্থন্দর বর্ণনা রহিয়াছে অতএব ইহার প্রাচীনত্ব প্রমাণ কর! বিশেষ কষ্ট সাধ্য নহে। কিম্বদক্তী হইতে জানিতে পারা যায় যে এস্থান প্রজ্জাপতি দক্ষের. রাজধানী ছিল হরিছ্ারের অপেক্ষা কনখলের বাটা ইত্যাদি উৎকৃষ্ট এখানে সমস্ত বাটাই প্রস্তরনিশ্ধিত, পাগারাও এস্থীনেই বাস করিয়া থাকে সৌর-কিরণ-মণ্ডিত বৃক্ষলতা-সমাচ্ছন্ন নগাধিরাজের বক্ষস্থিত এস্থানটি অনির্ববচনীয় সৌন্দর্যে পরিশোভিত-_মনে হয় যেন চিরশাস্তি এখানেই বিরাজমানা ্‌ এস্থাংন গঙ্গার অপর তটে চণ্ত্ী-পাহাড়ে একটা বির াছে উহাতে তী_ দখীপ্রতিডিতাজাছেন। মন্দের নিকট হইতে চুকে একখানি মনোহর আলেখ্যের অত প্রতীয়মান হয় জনপ্রাবাদ এইরূপ যে পূর্বেব এম্থানে মহাদেকের একটা জিশুল ছিল-_পরে' ঝড়ে কোথায় পড়িয়া গিয়াছে তাহ! কেহ জানেনা, আমর কিন্তু ক্ষিভুই

০০

চশ্তী-পাহাড়।

উরিভনঅসণ।

দেখি নাই। আমাদের পূর্বববিত বীজধানোর ঘাটে ছুণ্টা শিব বর্তমান আছেন-_তাহার একটীর নাম গৌরীশঙ্কর এবং অপরটির নাম বিলে কেশব . -. : -. জারামেরীর মন্দিরের লমিকটে শিবা লরথতোপরিল একটী শিখরোপরি বিতোকেখর বা . বিল্বকেশ্বর দেব বিরাজিত আছেন ইনি মায়াপুরী অর্থাৎ বিষকেন্বর। . হরিস্বারের ক্ষেত্রপাল দেবতা রাজপথের কিছু দূরে বন- বেস্তিত ভূভাগে এই দেবতার মন্দিরটি বিরাজিত। মন্দিরের সন্নিকটে একটা বিস্ববুক্ষ দেখিতে পাইলাম, এই বুক্ষের সহিত শিবলিজ্ের নামানুকরণের কোনও সম্বন্ধ নাইত ? হরিদ্বারের প্রধান প্রধান দ্রষ্টব্য তীর্থস্থলগুলির বিবরণ প্রদত্ত হইল, এতঘ্বযতীত এখানে ভীমগদ। বা ভীমঘোড়া, দশাবতারের মন্দির দেখিবার আছে ভীম গদা বা ঘোড়ার সম্বন্ধে পাণ্ডারা নানারূপ বলিয়া থাকেন, কেহ কেহ বলেন যে ভীমের অশ্ের ক্ষুরাঘাতে এই গহ্বর. বা কুণ্ড হইয়াছে__আবার কেহ এইরূপ বলেন যে ন্বর্গারোহুণ- কালে'ভীম এই স্থানে তাহার গদা নিক্ষেপ করিয়া যাওয়ায় এইরূপ হইয়াছে। সম্মুখে পতিত গদার আকৃতি এক প্রকাণ্ড প্রস্তরখগুকেই তাহারা ভীমের গদ্ষ। বলিয্মা. থাকে, উহার উপরে আঘাত করিলে এক প্রকার শব্দ হয় ভীম স্বোড়। বা ভীম গদা নামক স্থানের পর্ববতগাত্রস্থ গহবরের ঠিক্‌ নিন্ম হইতে একটা স্ষুত্র উৎস নির্গত হইয়! নিকটবর্তী কুণ্ডে পতিত হয় এবং ষেধান হইতে একটা প্রণালী দ্বারা সেই সলিলরাশি গঙ্গার দহিত মিলিত হইতেছে, ইহাই পাগুারা গঙ্গা-নির্গমের স্থান বলিয়। ব্যাখ্যা করে হরিদ্বার হইতে প্রায় বারক্রোশ দুরে পিহোড় নাথ নামক শিব আছেন, সেখানে যাওয়া বড়ই কষ্টকর ; পথ নিতান্ত দুর্গম দশাবতারের মন্দির মধ্যে বিজুর ভিন্ন ভিন্ন দশ অবতারের প্রন্তর,বিনির্দিত মু্তি সমূহ স্থাপিত মন্দিরটি জান্কবী- তীরে অবশ্থিত থাকায় বড়ই স্থন্দর দেখায় খাষিকেশ যাত্রীরা এখান, হইতেই ষাইয়া' থাকে | উহা হরিদ্বার হইতে ১৪ মাইল উত্তর দিকে অবশ্থিত। সেখানেও যাত্রিগণকে ন্দানতর্পণাদি কার্য করিতে হয়|. খবিকেশ হইতে গ্গার-ভৃশ্ট দেখিতে 'রড়ই সথম্দর কলকল রবে হিলি গঙ্গার পাহাড় হইতে ন্বতরণের দৃশ্য বড়ই মনোহর-।

।", নিন ১. 2 এক

এখন আমরা পাঠকবর্গের নিকট হরিগ্বার সম্পর্কিত অগ্ঠান্ঠি বিষয় বিবৃত হযিতবারের নানা করিব। স্বাস্থ্য সম্বন্ধে হরিন্বার অত্যুত্তম স্থান এখানকার নি গজার জল শীতল স্থম্বাতু জীর্ণকারী-_বতই আহার করন কেন, জলের গুণে দেখিতে দেখিতে তাহা জীর্ণ হইয়। যাইবে কয়েক বৎসর হইল কনখল হরিদ্বার লইয়া মিউনিসিপালাটি গঠিত হইয়াছে, কিন্তু তাহা হইলে কি হুইবে উহা দ্বারা যে এস্থানের বিশেষ উন্নতি হইয়াছে তাহা মনে হয় না, কারণ রাস্তা ঘাট পূর্ববাপেক্ষা পরিচ্ছন্ন মল-মূত্রাদির দুর্গন্ধাদি বঞ্তিভত হইলেও তাহা আশানুরূপ নহে,--এরূপ তীর্থস্থলে যেখানে প্রতিবসর লক্ষ লক্ষ যাত্রী-সমাগম হয় তাহার বন্দোবস্ত যে খুব ভাল হওয়৷ দরকার তাহা বলাই বাহুল্য। বষার সময় হরিদ্বারের স্বাস্থ্য খারাপ হয়, তখন জয়ের প্রকোপে বড়ই বিব্রত করিয়া তোলে পুর্বে মেলার সময় এস্থীনে ওলা- উঠার অত্যন্ত উপদ্রব হইত, কিন্তু গবর্ণমেপ্টের কুপাকটাক্ষপাতে তাহ! এখন বহুপরিমাণে হাস হইয়াছে হরিদ্বারের নাম সম্বন্ধে নানাপ্রকার গোলযোগ পরিলক্ষিত হয়। হরিদ্বার নাম নিতান্ত আধুনিক বলিয়া সকলেই বলেন কোনও কোনও প্রসিদ্ধ মুসলমান লেখকদের লেখাতে এন্থান কেবল পাজাঘ্বার' নামে উক্ত হইয়াছে প্রাচীন পুরাণাদি গ্রন্থে মহাভারত প্রভৃতি প্রাচীন পুস্তকে কনখল, গঞ্গা্ধার এবং কপিলস্থান ব্যতীত অন্য কোনও নাম দৃষ্ট হয় না, অতএব “হরিদ্বার নাম বেশীদিনের প্রাচীন নয়-_-এরূপ অন্কুমান করা প্রত্বতন্ববিদগণের পক্ষে অসঙ্গত কিংবা অযৌক্তিক হয় নাই। ভীর্ঘ-যাত্রিগণ প্রায় সকলেই এস্থানে ত্রিরাত্রি বাস করিয়া থাকেন। কারণ শাস্ত্রে লিখিত আছে যে এই পবিত্র তীর্থে যে ব্যক্তি ত্রিরাত্রি বাস করিয়া পুণ্য সলিল জাহৃবীজলে অবগাহন করে, তাহার সর্বপ্রকার পাপ তাপ দূরীভূত হয় এবং সে ব্যক্তি অশ্বমেধ যজ্বের ফললাভ করতঃ পরলোকে গমন করিয়া অক্ষয় সর্গলাভ করে মহাভারতকার লিখিয়াছেন__ | ততঃ কনখলে স্সাত্বা ত্রিরাত্রোপোধিতোনরং অশ্মমেধমবাপ্ধোতি শ্বর্গলোকঞ্চ বিন্দতি 1৮ এছেন পবিত্র তীর্থে আগমন করিবার জস্য যে ধর্্মীকাজ্ষী হিন্দু নরনারীগণ ব্যস্ত হইবেন তাহাতে আশ্চধ্য কিআছে ? |

শ১

প্রকৃতির এমন নয়নানন্দদায়ক দৃশ্য অতি অল্প তীর্থ স্থলেই দৃষ্ট হয়। এখানকার গঙ্গাতীরবর্তী দৃশ্য পরম রমণীয়, প্রভাতের সেই স্সিশ্খ- শীতল নবীন সৌন্দর্য হইতে - সন্ধ্যার ধুসরান্ধকারে চতুদ্দিক আবৃত হওয়ার পূর্ব পধ্যস্ত দেখিতে পাইবে ভক্তিপুর্ণ চিত্তে হিন্দু নরনারীগণ ধর্্মকার্ধ্যে নিরত। সকলেরি মুখে এক স্বর্গীয় জ্যোতি বিরাজমান-__ কি যেন এক স্থুদুর্লভ রত্ব তাহারা পাইয়াছে, তাই তাহাদের মুখে ত্রিদিবের হাসি-_জগণ্ সংসার তাহার! চায় না, তাহারা চায় সেই বিশ্ব- ব্রঙ্মাণ্ডের রাজাধিরাজ মহা! সম্রাটের কৃপা হরিছ্ার শান্তি শ্রীতি ভক্তির পুণ্যসলিলে অভিষিক্ত এখানে আসিলে সুদূর প্রাচীন ইতিহাসের কথা মনে পড়ে; মনে পড়ে সেই ত্রিকালজ্ মহধ্িগণের পবিভ্রতম স্তোত্র পাঠ ধন্মনিরত ভাব। সন্ধ্যার সময় হরিদ্বারের শোভা অতুলনীয় .অনির্ববচনীয় হয়, তখন একদিকে গঙ্গাদেবীর আরতির মধুর ধ্বনি, সহস্র সহত্র ক৯-মিলিভ-স্তোব্ররবে, সাধুমগ্ডলীর. শঙ্খধ্বনিতে অপূর্ব প্রীতির ভাব জাগিয়া উঠে, অন্যদিকে আবার নির্ল-সলিলা কলুষ-নাশিনী কল-নিনাদিনী গঙ্জা-বক্ষে কি ফুটিয়া উঠিয়াছে ?-_এ কি স্বপ্নপুরী £--দেবাজনারা কি ভুলক্রমে মণি-রত্ব মাল! ফেলিয়া গিয়াছেন নাকি ?-_কেমন স্থন্দর অসংখ্য দীপাবলি গঙ্গাবক্ষে প্রতিভাত হইয়া উঠিয়াছে। আধষ্লানান্ধকারাবগুস্তিত প্রদোষান্তে গঙ্গার তটে দীড়াইয়া . তন্ময়চিত্তে শোভা দেখিতে- ছিলাম__পর্ববতে পর্বতে শঙ্খঘপ্টাধবনি নিনাদিত হইতেছে, আর ভক্ত- কণ্টোখিত স্তোত্রধ্বনি উদ্ধে_-জানিনা কোন্‌ অনন্তের অনস্ত-প্রাস্তোপবিষ্টের চরণসমীপে--গিয় পঁছুছিতেছে ! কবি. গাহিয়াছেন “কোন্‌ অদ্রি হিমান্ত্রি সমান ? সত্য সত্যই ঘখন নগাধিরাজের সৌর-কিরণ-মপ্ডিত শুভ্রতম ধবল- গিরির শিখরের দিকে দৃষ্টি পতিত হয়, তখন উহা! মনে পড়ে আহা! কি শান্তি! অতি বড় পাপীার হৃদয়ও এখানে আসিলে ভক্তির পীযৃষ-ধারায় সিক্ত হয়। মনে হয় না যে আবার সংসারে ফিরিয়া আসি। হায়! বদি এই গ্িরিপদতলে হর-জট-বিহারিনী তরজ-অঙ্গিনী ভাগীরথীর পবিত্র তটে সেই চিত্ত অনির্ববচনীয় মহাপুরুষের রচানিজািনিগিরাার পারিতাম, না জানি তাহা কতই নখের হইত

হরিদ্বারে মাত্র দুইটা প্রধান রাস্তা--একটা ফ্টেসন হইতে আরম্ত হইয়া বরাবর সূর্ধ্যমল বাবুর ধর্ম্মশালার নিকট দিয়া উত্তরাভিমুখে চলিয়৷ গিয়াছে, অপরটা বাজারের মধ্য দিয় গিয়াছে, শেষোক্ত রাস্তাটা প্রস্তর দিয়া বাঁধান: এবং উহার উভয় পার্থে চারি পাঁচতালা বাটা সকল থাকায় উহার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাইয়াছে। সাধারণতঃ যাত্রিগণ সকল অট্রটালিকার দ্বিতলেই আশ্রয় গ্রহণ করেন। বাজারে সমুদয় দ্রব্যই পাওয়া যায়_ হুগ্ধ ঘৃতই সর্বাপেক্ষা স্থলভ ; মৎস্য মাংস এখানে বিক্রয় হয় না। আমাদের হরিদ্বার দেখা শেষ হইলে, -_-সেখান হইতে সাহারাণপুর রওয়ানা হইলাম

৮1 রনি

10511.1975 0৯]

%২./

..... স্নাহ্হান্বালীহ্দুল্ক . স্জনাহারাণপুর যুক্তপ্রদেশের একটী বিখ্যাত জেলা। মহম্মদ তোগলকের রাজত্ব সময়ে সাহারাণচিস্তির নামানুযায়ী ১৩১০ থ্রীটাকে ইহা নির্মিত হইয়াছে মৌগলশাসন সময়ে মোগলসম্রাটগণ স্থানে গ্রীম্মের সময় বাঁস করিতেন-_ইহা! তাহাদের প্রিয়তম গ্রীত্মাবাস ছিল। আমর! স্থানে পঁহুছিয়। প্রথমে বাজার দেখিতে চলিলাম, বাজারে নানা- প্রকার দ্রব্যা্দির মধ্যে এখানকার ফুলকাটা! বাক্স দেখিতে অত্যন্ত মনোহর__ এই বাকের জন্য সাহারাণপুরের বিশেষ প্রসিদ্ধি আছে পশ্চিমের অন্যান্য নগরের সহিত ইহার বিশেষ কোনও পার্থক্য অনুভব করিলাম না। স্থানের প্রাচীন স্থাপত্যচিহ্কের মধ্যে “বাদসামহল' নামক প্রাসাদটি বিশেষ- রূপে উল্লেখযোগ্য, ইহা সম্রাট সাজাহানের গ্রীত্মাবাসের জন্য আলীমর্দন খা নির্মাণ করাইয়াছিলেন। এখানকার গবর্ণমেণ্ট বোটানিকেল গার্ডেনের জন্যই ইহা! প্রসিদ্ধ, এই উগ্ভানমধ্যে নানাশ্রেণীর দু্প্রাপ্য গাছ-গাছড়া যত্বের সহিত সংগৃহীত আছে -এতদ্যতীত কৃষিবাগান, ভৈষজ্যবাগান, দোয়াব ক্যানাল নার্শারি প্রভৃতির জন্যও এই স্থান বিখ্যাত। স্থানীয় নার্শারিতে চার! প্রস্তুত, বীজরক্ষার প্রণালী বাগান প্রস্তৃত নিয়মাদি শিক্ষা দেওয়া হয়। নগরের লোক সংখ্যা (৬৭,০০০) সাহারাণপুর জেলা বিশেষ উন্বর-_সেণ্ট'ল কেনালের জন্য এই স্থানের বিশেষ স্থৃবিধা হইয়াছে।

এখান হইতে আমরা পাঞ্জাবের দিকে অগ্রসর হুইলাম--বাংলার শশ্যশ্যামলা নয়নাভিরাম মুর্তি আর এখন আমাদের নয়নপথে পতিত হয় না। একদিন এই পবিত্র পঞ্চনদবিধোত স্থান ভারতের গৌরব স্থান ছিল-_যতই আমাদের গাড়ী সেই দিকে অগ্রসর হইতে লাগিল, ততই নানা কথা মনে পড়িল। এই কি সেই রণজিসিংহের পাঞ্জাব ? একদিন যাহার বীর- হুঙ্কারে পঞ্চনদ কম্পিত হইত, ষাহার স্থশাসনপ্রভাবে পাঞ্জাববাসী একতার স্থমহান্‌ মজল-মন্ত্ে দীক্ষিত হইয়া ভারতের অতুল্য গৌরব রক্ষা করিতে সমর্থ হইয়াছিল- একদিন যে দেশের লোক শির দিয়াও শের রক্ষা করিয়াছিল-__

সাহারাণপুর

এই সেই বীরত্বের লীলাভূমি স্বাধীনতার মহাতীর্৭থ বীরেন্দ্র শিখবুন্দের সাধের জন্মভূমি এখনও জ্ঞানী নানকের মহান উপদেশবাণী হিন্দুমুসলমাঁন সকলকে একত্র করিতেছে_-এখনও যেন শুনিতেছি দি্াগুল কম্পিত করিয়া স্বাধীন বীরেন্দ্বৃন্দ স্বদেশপ্রেমিক শিখগণ বলিতেছেন, “ওয়া গুরুজীকি ফতে।” |

দ৫

ভন্ভজাভল। 7

শাম্বালা হইতেই আমাদের পঞ্তাবভ্রমণ আরন্ত হইল। অস্বালা পঞ্জাব প্রদেশের একটা বিখ্যাত স্থান। ইহার নামোৎপত্তি সম্বন্ধে দুইরূপ মত শুনিতে পাওয়া যায়। কাহারও কাহারও মতে চতুর্দশ শতাব্দীতে অন্ব' নামক জনৈক রাজপুক্র কর্তৃক এই নগর নির্মিত হইয়াছে বলিয়া ইহার নাম অন্বালা হইয়াছে দ্বিতীয় মত এই যে, এস্থানে “অম্বা” নান্সী একটী দেবী প্রতিষ্ঠিত আছেন; সেই দেবীর নাম হইতেই ইহার নাম অন্বাল৷ হয়। পাঠকগণের যাহা অভিরুচি তাহাই সত্য বলিয়া গ্রহণ করিতে পারেন _. অন্থাল! পূর্বে পাতিয়ালার মহারাজার পি ছিল, তিনি প্রায়োজনানু- রোধে ইহা ইংরেজ গবর্ণমেন্টকে দান করিয়াছেন। এই নগর দুইভাগে বিভক্ত (১) কেণ্টনমেন্ট (২) সিটি পশ্চিমের প্রায় প্রত্যেক নগরই এইরূপ দুইভাগে বিভক্ত সৈনিকাবাস বা ছাউনীই কেণ্টনমেপ্ট নামে অভিহিত, আর রাজকীয় বিচার-বিভাগ, আফিস আদালতাদি যেস্থানে অবস্থিত, তাহাই সিটি ৰা নগরাংশ নামে পরিচিত, আমাদের নিকট সহর অপেক্ষা ছাউনী-বিভাগই ভাল লাগিয়াঁছিল, উহা নগরাপেক্ষা প্রশস্ত পরিষ্কৃ। ছাউনী-বিভাগেও বাজার আছে এবং আবশ্যকীয় সমুদয় দ্রব্য-সামগ্রীই সেখান হইতে সংগ্রহ কর! যায়।

হিন্দুর অন্যতম প্রধান তীর্থ কুরুক্ষেত্রে এবং ইংরেজের প্রিয় শৈল বড়লাটের গ্রীম্বাবাসেও এখান হইতে যাওয়া! যায়। ভারত-ইতিহাসে অন্বালা! একটা প্রসিদ্ধ স্থান। কুরুক্ষেত্র অন্বালার ২৯ মাইল দক্ষিণে এবং শিমলা ৯৪ মাইল উত্তরে অবশ্থিত। আমরা যখন অন্বালা গিয়াছিলাম, তখন কুরুক্ষেত্র কিন্বা শিম্ল! যাওয়ার পথে কাল্কা পর্যন্ত রেলওয়ে হয় নাই, এখন আর কুরুক্ষেত্র কিন্বা শিম্লা যাইতে কোনও কষ্ট নাই। | - অম্বালার একদিকে পুণ্য-সলিল! বৈদিক নদী সরস্বতী এবং অপরদিকে | ন্‌ বতী প্রবাহিতা। এখান হইতেই হিন্দুধর্দের প্রথম স্ফুরণ হয়,

41215 ১21০2৯৭১

1৫. 51৩

105

এছ

এখানেই একদিন আধ্যগণের বেদ-ধ্বনি গগন-মগুল প্রতিধ্বনিত করিয়া- ছিল-__এই পঞ্চনদই হিন্দুর অতীত-গৌরব-কাহিনী-ভূষিত পুণ্যতম প্রদেশ সরস্বতীর পবিত্রসলিলে অবগাহন করিবার জন্য প্রতিবসর এস্থানে নি বনুযাত্রী-সমাগম হয়। পূর্বে এই নগর সর্দার গুরুবক্ষের | রে

পত্তী দয়াকুরের অধিকারে ছিল, পরে মহারাজ রণজিৎ সিংহ উহা! অধিকার করিয়া লন। কিন্তু অক্টীর্লনি সাহেব কুপা করিয়া ইহা গুরুবকের পতী দয়াকুরকে প্রত্যর্পণ করেন। ১৮২৩ শ্রীষ্টাবে

দয়াকুরের মৃত্যু হওয়ায় অম্বাল! নগরী ইংরেজের অধিকারে আসিয়াছে এখানকার সৈনিকাবাসের অনতিদূরে একখানা কালীবাড়ী আছে। শুনা যায় যে ইহা রামকুক্চ ব্রহ্মচারী নামক জনৈকণ্বাঙ্গালী মহাপুরুষের কীর্তি। ইনি বিষয়-স্থখে জলাঞ্লি দিয়া বৈরাগ্য-ব্রত গ্রহণ করতঃ উত্তর-পশ্চিমে আসিয়া এলাহাবাদ, আগ্রা, দিল্লী, অস্বালা, রাউল- পিন্ী, মুলতান, লাহোর, পেশোয়ার প্রভৃতি স্থানে একএকটী কালী-মন্দির নিশ্মীণ করিয়া গিয়াছেন, এসকল কালী-মন্দিরের জন্য পধ্যটকদিগের বিদেশভ্রমণের কষ্ট যে কত পরিমাণে লাঘব হইয়াছে, তাহা ভ্রমণকারী ব্যক্তি মাত্রেই বিশেষরূপে জ্ঞাত আছেন। অন্বালার কালীবাড়ীর বন্দো- বস্ত অত্যন্ত উৎকৃষ্ট আমরা এখানকার কালীবাড়ীতেই আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলাম। তৎকালীন কালীর সেবায়ত পাতিয়ালার ভূতপুর্বব রাজপগ্ডিত চাণক নিবাসী পণ্ডিত শ্রীযুক্ত কালীপ্রসন্ন শিরোমণি মহাশয়ের সদ্যবহারে নিতান্ত প্রীত হইয়াছিলাম। এই মহাত্া সংসারাশ্রম ত্যাগ করিয়া জগ- ন্নাতার শ্রীচরণ সেবাতেই অবশিষ্ট জীবন কাঁটাইয়া দিবেন বলিয়া ঠিক্‌ করিয়াছেন। ইনি জ্ঞানী শান্তজ্ঞ ; প্রবাসী -বাঙ্গালী ভ্রমণকারীর পক্ষে ইহার সহায়তা বিশেষ ্রীতিপ্রদ মাসিক চাদা এবং যাতায়াতকারী বাঙ্গালী ভদ্র মহোদয়গণের প্রদত্ত দর্শনী হইতেই কালীবাড়ীর ব্যয়াদি নির্ববাহিত হইয় থাকে। এতদ্্যতীত হুর্গোৎসব, জগদ্ধাত্রী সরস্বতী পুজা প্রভৃতি পর্ববগুলি এখানে বিশেষ জীকজমকের সহিত সম্পাদিত হয়। আমর! জগন্ধাত্রী পুজার সময় এস্থানে উপস্থিত ছিলাম, জগম্মাতার পুজা দিয়া আপনাকে কৃতার্থ বোধ করিলাম। স্থানীয় সমুদয় বাঙ্গালী ভদ্র-লোকদের নিমন্ত্রণ করা হইয়াছিল,

চে

তাহারা প্রায় আশী জন সন্ধ্যার অব্যবহিত পরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন, সেদিন স্বৃদুর প্রবাসে স্বজাতি-সঙগমে যে অপুর্ব আনন্দ উপভোগ করিয়াছিলাম, তাহা চির-জীবন মনে থাকিবে বিশুদ্ধ আমোদ প্রমোদে গীত-বাছ্ভের মধুর ধ্বনিতে বাঙ্গালীর কে যখন বালা গান বস্কৃত হইয়া উঠিয়াছিল, তখন এক- বারও মনে হয় নাই ঘষে মাতৃ-ভূমির শ্যামলাঞ্চল ছায়া হইতে স্থদুর পাঞ্জাবের প্রান্তে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছি। বিদেশে এতগুলি বাঙ্গালী ভদ্রলোকের সমাবেশ বড়ই চমণ্ডকার দৃশ্য হইয়াছিল--প্রবাসে বাঙ্গালী ভত্র লোকদের সৌজন্যে বাঙ্গালী ভদ্রলোক মাত্রেই আপনাদিগকে গৌরবান্ধিত বোধ করেন।

অন্বালা সহরের চতুদ্দিক প্রাচীরবেষ্টিত। ইহার জনসংখ্যা প্রায় ২৬,০০০ হইবে। সেনানিবাসের জন্যই এই নগরের খ্যাতি বেশী। সহরের রাস্তাঘাট ধুলিধুসরিত অপরিচ্ছন্ন। স্থানের জলবায়ু শীতের সময় অস্ত্যতকুষ্ট--কিন্ত্ব গ্রীষ্মের সময় সন্তোষজনক নহে। বাংলা দেশের মত এখানে উতরুষ্ট মিঠাই পাওয়া যায় না। খাঁটি দুগ্ধ টাকায় বারো সের করিয়। বিক্রয় হয়। সচরাচর মৎশ্য ছুই আনা তিন আন! সের দরে বিক্রী হইয়া থাকে কাঁটালের বৃক্ষ একেবারেই নাই, রাস্তায় মাঝে মাঝে দুই চারিটী আম বৃক্ষ দেখিতে পাওয়া যায়। পান জিনিষটা! অন্বালায় অত্যন্ত মহার্ঘ, পয়সায় দুই তিনটার অধিক বিক্রী হয় না। চিনিকে, বালি বলিলেও অত্যুক্তি হয় না; দেশের স্ত্রীলোকের! নিতান্ত অপরিচ্ছন্নাবস্থায় থাকে

অন্বাল৷ প্রদেশের অন্তর্গত কোর্ট্রীহী নামক স্থানের জঙ্জলাভ্যন্তরে ছুইটী হ্রদ দ্রষ্টব্য, হ্রদের জল কখনও শুকাইয় যায় না। সহর হইতে ১৭ ক্রোশ দূরবর্তী শ্রীমূর বা নহনরাজ্যে বাণ রাজার জলল দৃষ্ট হয়। প্রদেশে তা, লৌহ, সীসা, লবণ প্রভৃতি খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়।

অন্থালা হইতে নয় ক্রোশ দুরে “রাজপুরা” নামক একটু৯৮ রেল ফ্টেসন আছে, সেখান হইতে অপর একটা রেল-বর্ত্য বেটিগু নামক স্থান পর্য্যন্ত গিয়াছে-_রাজপুর হইতে বেটিগু! ১০৮ মাইল দুরে অবস্থিত। এই পথেই পাতিয়ালার রাজধানী নাভায় যাইতে হয়--আমরা এই পথাবলম্বনে পাতিয়ালার রাজধানীতে আসিয়া! পঁতছিলাম | রণ

নানাকথ।।

ণ৮

গাাতিল্সালা-ক্লাজপ্ানী ! নাভা। ্‌

'ভ্মপরিচিত ব্যক্তির পক্ষে পাতিয়ালা-রাজধানীতে বাসস্থান ঠিক করা বিশেষ সহজ নহে অতএব যাওয়ার পূর্নেনই সেখানে থাকিবার বন্দোনস্ত ঠিক কর! উচিত। আমর! সকল বিশৃঙ্ছলতার কথা পূর্নবেই জ্ঞাত হইয়া দুই খানা অনুরোধপত্রসহ রাজধানীতে উপনীত হইয়াছিলাম ; একখানি মহারাজার সেক্রেটারী শ্রীযুক্ত আবদুল গফুর সাহেবের নিকট এবং অপর খানা সেখানকার কলেজের জনৈক অধ্যাপক শ্রীযুক্ত মন্মথনাথ বন্দ্যো- পাধ্যায়ের সমীপে, শেষোক্ত বাঙ্গালী ভদ্রমহোদয়ের কৃপায় আমরা বাস- স্থানের নিমিত একখান! অতি স্থন্দর বাটা প্রাপ্ত হইয়াছিলাম। ভ্রমণকারি- গণের পক্ষে এইরূপ ন্ুবৃহ স্থন্দর সৌধ পাওয়া বিশেষ সৌভাগ্যের বিষয় বলিতে হইবে মন্মথবাবু হবীফধন্্মাবলম্বী, কাজেই তাহার আন্তরিক আগ্রহ অনুরোধসন্তেও তীহার বাটাতে থাকিতে না পারায় বিশেষ রেশানুভব করিয়াছিলাম

আহার বিশ্রামাদির পরে-নগর দেখিতে বাহির হইলাম ; প্রথমতঃ রাজভবন দেখিতে যাওয়া গেল। রা'জভবন একটা স্থুরক্ষিত ভুর্গ বিশেষ। দ্বারপাঁলগণ উলঙ্গ কৃপাণহস্তে ভবনের প্রহরাকার্য্যে নিয়োজিত আছে; মহারাজার বিশেষ অনুমতি ব্যতিরেকে রাজভবনে কাহারো

প্রবেশীধিকার নাই। রাজভবনমধ্যেই রাজকীয় দণ্তরখান৷ এবং বিবিধ মূল্যবান পদার্থ প্রভৃতি সংগৃহীত আছে। এই সৌধমালার চতুদ্দিকেই বাজার; পৃৃত্য়িলার লোকসংখ্যা খুব বেশী। হাটে ঘাটে মাঠে যেখানে যাইবে সেখানেই লোকারণ্য, রাজধানীর সর্ববস্থান সর্বদাই জন-কোলাহল- মুখরিত। আশ্চর্যের বিষয় এই যে অসংখ্য জন-মণ্ডলীর মধ্য দিয়! রাজকীয় অশ্বারোহিগণ অনায়াসে - যাতায়াত করিতেছে এনগররের পথসমূহ অধিকাংশই প্রশস্ত এবং ধুলিময়-_পার্ষের ডেণ হইতে দুর্গন্ধ আসিয়া

ভারত-ত্রদণ।

পথিকের বিরক্তি উৎপাদন করে। ইহার মধ্যে আবার বাজারের প্রায় প্রতি গলিতেই বারাঙ্গনাগণের সংখ্যাধিক্য বড়ই বিরক্তিজনক | নগরের মধ্যে কেবল পাঁচটী রাস্তা সথপ্রশত্ত স্থন্দর ; বক্রী রাস্তাথাটের অবস্থা দৃষ্টে এখানকার মিউনিসিপালিটীর তাদৃশ স্থবিধাজনক স্থৃব্যবস্থা নাই রিং মনে হয়। রাজধানীতে নিন্সলিখিত স্থানসমূহ দ্রষ্টব্য

নৃতন দেওয়ানখানা-_-এই গৃহটী একতল হইলেও যে ইহা একখানি স্থরম্য হন্্্য তদ্ধিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই কলিকাতার অস্লার কোম্পানীর নিকট হইতে আনীত লোহিত শ্বেতবর্ণের বিবিধ মুল্যবান ঝাড়, চারিটা কাচের ফোয়ারা, নানাপ্রকার ছবি এবং অন্যান্য বনুবিধ মনোহর সামগ্রীতে দেওয়ানখান! বিভূষিত হুইয়! রহিয়াছে_-একবার এস্থানে প্রবেশ করিলে সহজে বাহিরে আসিতে ইচ্ছা হয় না। পুরাতন দেওয়ানখানা-_এই অট্রালিকাও বিবিধ সাজসজ্ভায় বিভূষিত, কিন্তু নৃতনের কাছে পুরাতনের আদর আর কিরূপে থাকিতে পারে? সুন্দর হইলেও ইহা মনোজ্ঞ নহে। |

সর্দদা মহাল-_এইটী একটা দ্বিতল অট্টালিকা ; ইহার একাংশ মৃত্তিকা উপরে, অপরাংশ মুন্তিকাত্যন্তরে অবস্থিত। উদ্ধতল নানাপ্রকারের মনোহঞ দ্রব্য-সম্তারে সুচারুরূপে স্সজ্ভিত। নিন্সতলে পাঁচটা সোপান অতিক্রম করিয়া ষাইতে হয়। সেখানকার একটী কক্ষ অবস্থানোপযোগী, উহাতে একটা বৃহ কূপ আছে। নিদাঘকালীন প্রথর আতিপতাপের সময় মহারাজ বাহাদুর নিন্দতলে গিয়া বিশ্রীম.করেন। শীতের নাম সর্দদা; তাই ইছার নাম হইয়াছে সারদা মহাল।

_মতিবাগ- -রাজভবন হইতে প্রায় দেড় মাইল দূরে এই মনোহর বিস্তৃত উদ্ভান অবস্থিত। এখানে নানাবিধ বৃক্ষশ্রোণীর ঘন-বিদ্যস্ত সবুজ-নুন্দর পত্রীবলীর সৌন্দর্য বিশেষ চিত্তাকর্ষক ; বৃক্ষের মধ্যে আবার আম, কমলা গড বঠা উপ দেখিতে বেশ সুন্দর

হুশৌভিত। আমরা পঞ্জাবের কোথাও আর এত বড রোবর দেখিতে পাই নাই ১. কালেজভবন_ ইহ একটা লোহিত রি বদি: একত্তল লিক, উপরে দুইটা স্তস্ত (1০৪) আছে, দুর হইতে এই ছুইটা অতি ুজেই ভ্রমণকারীর চিত্তাকর্ষণ করিয়া থাকে। পাতিয়ালায় বাঙ্গালী নাই বলিলে হয়, রাজধানীতে কালেজের অধ্যক্ষ শ্রীযুক্ত অতুলকৃষ্ণ ঘোষ এবং আমাদে পরিচিত অধ্যাপক শ্রীযুক্ত মন্মথনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যতীত আর দ্বিতীয় বাঙ্গালী দেখি নাই। আমরা কোনও বিশস্তসূত্রে জ্ঞাত হইলাম যে পূর্ব মহারাজের রাজত্বকালে জনৈক বাঙ্গালী বাবু স্বীয় বুদ্ধি প্রতিভানুণে মহারাজের প্রিয় পাত্র হইয়া কোনও উচ্চ পদ লাভ করেন, কিন্তু পরিশেষে স্থানীয় ঈধ্যান্থিত পাঞ্জাবী কম্মচারিগণের ছলনায় পড়িয়া তীহাকে কর্চ্যুত হইতে হয়। যদ্দি ইহা সত্য হয় তবে বীরপ্রকৃতি পঞ্জাববাসিগণের পক্ষে কলঙ্কের বিষয় বলিতে হইবে। বর্তমান পাতিয়ালার মহারাজা বিশেষ স্থশিক্ষিত ব্যক্তি মৃগয়! এবং ঘোড়দৌড়ে ইহার অত্যন্ত সখ, মধ্যে মধ্যে প্রায়ই শিকারে যান। শিকারের নিমিত্ত তীহার কয়েকটা শিক্ষিত হস্তী এবং ঘোড়দৌড়ের জন্য শতাধিক সুশিক্ষিত অশ্ব আছে অন্বালার ঘোড়- দৌড়ে তিনি নিজে অনেক বাজী জিতিয়াছেন। মহারাজা পলো? খেলাতে বিশেষ প্রসিদ্ধ ছিলেন। 8 ৯7 মহারাজা ইংরেজী ফ্যাসানটা বিশেষ ভালবাসেন__ ক্রিকেট খেলায়: ইনি একজন সুদক্ষ খেলোয়াড় তিনি দেখিতে কশকায়, রী, চোখ মুখ জ্ঞান মহত্বব্যঞ্জক | রি রাজধানীর অপরিচ্ছন্নতানিবন্ধন নগর আমাদের নিকট তাদৃশ আরাম- দায়ক বোধ হইতেছিল না, জল বায়ুও যে খুব উৎকৃষ্ট তাহাও বোঁধ, হয় নাই। খাগ্-দ্রব্যাদি সমুদয়ই পাওয়া যায় বটে কিন্তু তাহা তাদৃশ স্থল কিংবা পরিষ্কত নহে। এস্থানে অনেকেই বাড়ীর ছাদের উপরে মল-যুত্র ত্যাগ করে, শুনিলাম পাঞ্জাবের সর্বত্রই নাকি এইরূপ রীতি: প্রচলিত আছে। সম্মন্ধে বলিবার কিছুই নাই, কারণ “সম দেশে যদাচার

ভভলহ্ন্ £

অসীমরা পাতিয়ালা রাজধানী হইতে কয়েকটি ফেটেসন এবং শতত্র (94৩8) নদীর প্রসিদ্ধ বৃহ সেতু অতিক্রম করতঃ কিছু পরেই জলন্ধর ফ্্সনে উপনীত হইলাম। জলম্কর নগরই "এই জেলার প্রধান সহর। 'পদ্পপুরাণ' পাঁঠে অবগত হওয়া যায় যে জলেন্দ্র নামক জনৈক দৈত্য কর্তৃক এই নগর স্থাপিত হইয়াছে। আমরা এখানে পঁহুছিয়াই শুনিতে পাইলাম যে জলন্ধরে কোনও বাঙ্গালী নাই সে নিমিত্ত কোনও বঙ্গদেশবাসী পর্যটকের পক্ষে এখানে থাকার বিশেষ অস্থবিধা। আমর! কিন্ত্র এইরূপ জনরবেও সাহসহীন না হইয়া একখান! অশ্মশকটে নবপ্রতিষ্ঠিত কালীবাড়ী অভিমুখে গমন করিলাম সেখানে পৌঁছিতে না পৌছিতেই একটা বাঙ্গালী ভদ্রলোক আমাদিগকে দেখিতে পাইয়া সসন্ত্রমে তাহার বাসম্থানে লইয়া গেলেন। ই“হার নাম শ্রীযুক্ত গণেশচন্দ্র গাঙ্গুলি, নিবাস কলিকাতার নিকটবর্তী সৈদপুরের পাশে। ইনি গোরাহাসপাতালের জিনিষরক্ষক বিক্রমপুরের প্রসিদ্ধ বেঘের গান্গুলি বলিয়া বংশমর্য্যাদায় ইহারা সুপরিচিত

অল্প সময়ের মধ্যেই এস্থানে আরও ছুইটা বিশিষ্ট বাঙ্গালী ভদ্রমহোদয়ের সহিত আমাদের আলাপ পরিচয়াদি হইল।

আমর! প্রথমে জলন্ধর ফ্টেসনে পঁুছিয়া যেরূপ নিরাশা-সাগরে ভামিয়া- ছিলাম, তত্রপ পরমদয়াল জগদীশরের ইচ্ছায় এখন আমাদের সর্বববিষয়েই স্থবন্দোবস্ত হইল।

জলন্ধরের প্রায় ১৬ মাইল অন্তরে প্রসিদ্ধ কর্ূরতলার রাজধানী জলন্ধরের নগরাংশ অপেক্ষা ছাউনীর (সৈন্াবাস) বিভাগ পরিদ্কুত বিস্তৃত। রাস্তাগুলি সোজা, বাজারটা ক্ষুদ্র হইলেও অতি পরিপাটী। বাঙ্গালীর আহাধ্য মতস্ঠ, মাংস এবং ছুগ্ধ স্থানে প্রচুর পরিমাণে পাওয়! যায়। এখানে একটা আশ্চর্য নিয়ম প্রচলিত দেখিলাম, গো-স্বামিগণ প্রত্যহ দুই বেলা বংসও গাভীসহ বাজারে উপস্থিত থাকে, রা দ্ধের প্রয়োজন হইলে অমনি তাহা দোহন করিয়! দেয়।

188 টান, বিজ আত হলনা

. টাকায় বারো৷ সের দরে বেশ খাঁটি ছুগ্ধ পাওয়া যায়। দুগ্ধবতী গাতীও, খুব সস্তা, এগার সের দুগ্ধ দেয় এইরূপ একটী গাভী ৪৫২. টন হিল হইতে দেখিয়াছি। রর

জলম্ধরের জলবায়ুর সিন নিমিত্ত এখানে অনেক ইংরেজ বাস করিয়া থাকেন। সাহেবদের বাসের স্থানটি দেখিতে বেশ সুন্দর প্রত্যেক বাংলো আফিসের সংলগ্ন এক একটা স্থন্দর উদ্ভান আছে। স্বিখ্যাত বিজয়ী বীর আলেকজাগারের ভারত আক্রমণের পূর্বে ইহা রাজপুতদিগের রাজধানী ছিল। প্রাচীন ইতিহাসে জলন্ধরের নাম -গৌরবের সহিত লিখিত থাকিলেও স্থানে দুইটা প্রাচীন পুক্ধরিণী ব্যতীত অন্য কোনও প্রাচীন চিহ্ন কিংবা ভগ্র প্রাসাদ মন্দিরাদি দুষ্ট হয় না। জলন্ধরের প্রান্কৃতিক দৃশ্য পরম রমণীয়। নগাধিরাজের চরণতলে শ্যামল বৃক্ষলতা- সমাচ্ছন্ন এই শাস্ত-শীতল প্রাদেশ সত্য সত্যই স্বাস্থ্য স্থখপ্রদ | নীরবতার সঙ্গে সঙ্গে কমনীয়তা, কোলাহলের সঙ্গে সঙ্গে স্তব্ধতা__-এখানে পুর্ণ মাত্রায় উপভোগ্য জলন্ধর হইতে প্রায় চল্লিশ ক্রোশ উত্তরে স্থুবিধ্যাত গার তীর্থ অবস্থিত, পাস্তাবীরা সরি ররর তর এর

ভু্কাাম্তঞ্তী

তুসলন্ধর হইতে আমরা স্কালামুখীর দিকে গমন করিলাম জ্বালামুখী হিন্দুদের মহাতীর্থ। এরূপ ছুরারোহ দুর্গম পথ ভারতবর্ষের অতি অল্ল তীর্থ স্থলে যাইতেই অতিক্রম করিতে হয়, ইহা সকল তীর্ঘযাত্রীর পক্ষে স্থগম নহে। একান্ন মহাপীঠের অন্যতম পীঠ বলিয়াই ইহার ৰিশেষ খ্যাতি। স্থানে সতীর রসন! বিচ্ছিন্ন হইয়। পতিত হইয়াছিল। ক্রমান্বয়ে তিনটা উচ্চ পর্ববতের চড়াই উত্তরাই শেষ করিয়া তবে জ্বালাজীতে পঁভৃছিতে পারা যায়। এক, ঘোড়া এবং ডুলিতে ভ্রালামুধী যাইতে হয়।' আমরা জলন্ধর হইতে এক্াতে ভুসিয়ারপুর পর্যন্ত আসিয়া সেখান হইতে পুনরায় এক্াযোগেই গমন করিয়াছিলাম। জলম্ধর হইতে হুসিয়ারপুর জেলা ২৪1২৫ মাইল দূরে অবস্থিত। হুসিয়ারপুর পর্যন্ত রাস্তা বেশ সমতল প্রশস্ত। ইহার পর হইতেই পার্বত্য পথ। কেহ কেহ গরুর গাড়ী, ডুলি, কিংবা টাটুতে চড়িয়াও ভ্বালাজী গিয়া থাকেন। |

হুসিয়ারপুরের ৩৪ মাইল পর হইতেই পার্বত্য পথ আরম্ভ হইল-_ রাস্তাগুলি এত সংকীর্ণ বন্ধুর যে পদে পদে বিপদাশস্কা করিতে হয়, যদি একবার কোনওরূপে পদশ্থলিত হয়, তবে সহত্স সহত্র ফিট নীচে কোন্‌ দুর গর্ভে ষে পতিত হইতে হইবে সে কল্পনা করিতেও শরীর শিহরিয়া উঠে? হুসিয়ারপুর হইতে ভ্বালামুখী প্রায় ৩০৩১ ক্রোশ দূর হইবে; ছ্বালামুখী জলম্ধরের উত্তর পূর্ব দিকে অবস্থিত | _. ধন্মার্থী যাত্রিগণ বিশেষ সতর্কতার সহিত আড্ডায়, আড্ডায় বিশ্রাম করিয়া প্রায় তিন দিবসে তথায় উপনীত হ'ন। ছুই দিবস নানাপ্রকার বিপদাপদের মধ্য দিয়া---বনজঙ্গল বেঠিত শিলাকীর্ণ পার্ববত্যভূমির তরজায়িত ভীষণ সৌন্দরধ্য অতিক্রম করতঃ-_যখন চিন্তাপূর্ণী পাহাড়ে আদিয়। পঁহুছিলাম, তখন মনে হইল যে অদৃষ্টে ভ্ভালাজী দর্শন আছে; কারণ এধান হইতে ভবালামুখী মাত্র এক দ্বিপ্রহরের পথ। যিনি পথে কোন দিন জ্বালাজী শন করিতে আসিয়াছেন, ভিনই জানেন যে কি দার কেশ সহা করিলে

৮৪.

2৯ খালাী।

ঙবে এই তীর্থস্থলে পছছিতে পারা যায়। দুঃখের পরে নখ এবং সুখের পর ছুঃখ ইহা স্বাভাবিক আমরাও কি এই ভীষণ পার্বত্য পণে কোনও শাস্তিই পাই নাই ? ভীষণত্বের মধ্যে কি শান্ত-শীতল মধুর সৌন্দর্য্যের পর্ণ অভিব্যক্তি জাগিয়া উঠে নাই ? মনে পড়ে, প্রথর আতপ-তপ্ত দেহে একার ভীষণ ঝাঁকুনি সহিতে সহিতে যখন আড্ডায় বিশ্রাম করিতে বসিয়াছি__ তখনকার সে শান্তি, হে কল্লনাকুশল পাঠক ! তুমি হৃদয়ঙ্জম করিতে পারিবে না? সেই কঠিনদেহ পর্বত অঙ্গে শিলার উপরে বসিয়া! মনে হইয়াছে কি শান্তি! ধীরে অতি ধারে বন্য কুন্বমসৌরভ চুরি করিয়া বাতাস আমাদিগকে উপহার দিয়াছে--_মধুরকণ বন্য-বিহঙ্গগণ সঙ্গীত বিলাইয়াছে আর উপল-ত্বরিত-চরণা স্বাছুনীরা সৌম্য নির্বরিণী স্থন্দরী তাহার মধুর হৃদয়ের অনাবিলক্গিগ্ধ প্রেম-সপ্জীবনী আক ভরিয়া পান করাইয়াছে। সেই অনন্তবিস্তৃত নীলাম্বরতলে চারিদিকের গ্রীতিবেষ্টনির মধ্যে যে অনির্দদচনীয় স্থখ শান্তি পাইয়াছি _-কই গৃহ-পিপ্ররে ত, তাহা পাই নাই।, সত্য সত্যই মুক্তি এক অপুর্ব আনন্দ,_-সে আনন্দ গৃহবদ্ধ জীবের পক্ষে ুছূর্পভ রত্ব। চিন্তাপূর্ণী হইতে প্রত্যুষে রওয়ানা হইয়৷ সন্ধ্যার প্রাকালে আসিয়৷ ভ্বালামুখীতে পঁছুছিলাম। আহা কি আনন্দ- এতদিনে মনোবাসন। পূর্ণ হইল।

এখানে একটা কথা বলা আবশ্যক আমরা যে পথে জ্বালাজী আসিয়া- ছিলাম, সে পথ ছাড়া অন্য একটা পথেও ভ্ালামুখী আসিতে পারা যাঁর, উহ1 পাঠান কোট ফ্টেশন হইতে আরম্ত হইয়াছে অম্বতসর যাইয়! সেখান হইতে পাঠান কোট ব্রাঞ্চ লাইনে গিয়া পাঠান কোট ফেঁশনে নামিতে হয়। পাঠান কোট হইতে কাঙ্গরা হইয়া দ্বালামুখী। পাঠান কোট হইতে কারা দক্ষিণ পুর্ব দিকে এবং কাঙ্গরা জিরিরাো নর অবস্থিত। পূব রাস্তা হইতে রাস্তাটি অনেকটা স্থগম। |

জ্বালাজীর স্বর্ণমগ্ডিত মন্দিরটী দেখিতে পাইয়! প্রাণ জুড়াইল। (ষে ধন- কুবের পাঞ্জীবকেশরী রণজিৎ সিংহ ৬কাশীধামের বিশ্বেশ্বর দেবের মন্দির অমুতসরের নানকগুরুজ্ির মন্দিরটি সথব্ণ দ্বারা মণ্ডিত করিয়া গিয়াছেন ইহ্থাও সেই পুলিস কীতি। হায়! আজ ভীহার বংশধরগণের কি |

ভারত-জ্র্ঈণ।.

দারুণ অবনতি! স্বালাজীর মন্দিরের প্রাচীর মধ্যে কতকগুলি রন্ধ, আছে, বায়ুকোণের রন্ধ, হইতে অবিরত এক হস্ত দীর্ঘ অগ্নিশ্িখা নির্গত হইতেছে, বক্রীগুলিকে প্রদীপ সংযোগ করা মাত্রই ধা করিয়া ্রজ্বলিত হইয়া ওঠে, দেখিয়! বিস্মিত হইতে হয়। |

কারান রর 285 85787 প্রভৃতি ভক্ষ্যত্রব্য প্রদান করিলে উহা! দখ্বীভূত হয় এইরূপ বন প্রবাদবাক্য শুনিয়াছিলাম, তাহার অধিকাংশই কিন্ত্ব অসত্য বলিয়া প্রমাণিত হইল তথাপি ইহা। বল৷ আবশ্বাক যে এস্থানে দৈবশক্তির বু পরিচয় পাওয়া যায়। মন্দিরমধ্যে ছয়টী জ্যোতি দেখা যায়, তন্মধ্যে মন্দিরের কোণে ষে দ্বিহস্ত পরিমিত বৃহৎ অগ্নিশিখা দেখিতে পাওয়া যায় তাহার নাম “হিজলার জ্যোতি” দেওয়ালের অন্যদিকে গন্ধকের নীলবর্ণ আলোকের স্যার অপর একটা অগ্নিশিখা আছে সযুদয় শিখাগুলি কখন দপ্‌ করিয়া স্বলিয়া উঠিতেছে, কখনও নিবিতেছে, কখনও নামিতেছে, তাহাদের অন্ভুত চঞ্চল নর্তন ভক্ত মাত্রেই বিশ্মিত স্তস্তিতহ্গদয়ে দর্শন করিয়া ভক্তিতে আগ্রত হয়। শিক্ষা সভ্যতার সঙ্গে সঙ্গে এবং নানাপ্রকার বৈজ্ঞানিক উত্কর্ষতায় আজকাল ভক্তির আোত বহু পরিমাণে হ্রাস হইয়া আসিতেছে _- শিক্ষিতেরা প্রত্যেক বিষয়ের মধ্যেই একটা অন্ভুত বৈজ্ঞানিক যুক্তি প্রদর্শন করতঃ সরলবিশ্বীী অঙ্ঞ নরনারীর একান্তিক ভক্তি শ্রন্ধার বিরুদ্ধে কুসংস্কার কুসংস্কার করিয়া! যেরূপ চীতুকার তুলিতেছেন_ ইহাতে এসকল তীর্থের মাহাত্য ষে আর কত কাল জীবিত থাকিবে তাহাই বিশেষ সন্দেহ স্থল। মন্দিরের পার্থে একটা কুণ্ড দৃষ্ট হয়, ইহার জল এন্থানে জাহবী- সলিলের ন্যায় পবিত্রতম বলিয়া বিবেচিত হইয়া থাকে পর্ববত্তগাত্র হইতে বারি নিঃস্থত হইয়া এই কুণ্ডে পতিত হয়। যাত্রিগণ কুণ্ডের জল দ্বারাই শ্রা্ধ তর্পণাদি কাধ্য নির্বাহ করিয়া থাকেন। নিশীথ সময়ে মন্দিরের চারিদিকে খষ্ভোতের হ্যায় একরূপ উজ্জ্বল আলোক বিকশিত হইয়া অপূর্বব সৌন্দর্য্য স্থষ্টি করিয়! হৃদয়ে বিস্ময়ের উদ্রেক করিয়া দেয়। জাশ্বিন চৈত্র মাসে এস্থানে মেলা বসে, তন্মধ্যে চৈত্র মাসের মেলাতেই বস মীগগানী বসরা সৃতি

দ্বালামুখীর মন্দিরমধ্যে কোনও প্রকার বুলি াই। মন্দিরটী _ পর্ববতপার্থে একটী নির্বরিণীর উপরে নির্ষিত। ছড়া গুন্বজ ন্বর্ণমপ্ডিত এবং খড়গসিংহ প্রদত্ত, নানাপ্রকার কারুকার্ধ্যসম্পন্ন রজতনির্মিতি কপাটগুলি দেখিতে অতিশয় সুন্দর : এই - কপাটের শিল্পনৈপুণ্য দৃষ্টে লর্ড হা্ডিঞ্র সাহেব নিতান্ত সন্তোষলাভ, : করিয়াছিলেন__-এমন কি তিনি ইহার একটা আদর্শ পর্যযস্তও প্রস্তুত করাইয়া- ছিলেন। অন্তরূপ পৌরাণিক মতে জালামুখীর এই অগ্রিশিখ! জলন্ধর নামক . দৈত্যের মুখনিঃস্ছত বলিয়া! কথিত হইয়া আসিতেছে প্রবাদ এইরূপ যে দেবাঁদিদেব মহাদেব জলেন্দ্র দৈত্যকে পরাভূত করিয়! পর্বত চাপা দিয়া : রাখিয়াছিলেন-_এঁ দৈত্যের মুখ হইতেই অগ্ঠাপি অগ্নি নিঃস্ত হইতেছে বর্ধমান মন্দির ভগবতীর উহার অভ্যস্তরস্থ কুগুডদেবী উক্কাময়ী নামেই পরিচিত। এই মন্দিরের চতুদ্দিকে বহু ক্ষুত্র ক্ষুদ্র দেবমন্দির, পাস্থাবাস, ধর্মশালা পাতিয়ালার মহারাজার নিশ্মিত একটা সরাই আছে। দরিভ্র সন্ন্যাসী রামাউত তীর্থবাত্রিগণ সকল স্থান হইতেই আহারাদি প্রাপ্ত হ'ন। স্থানে বহু গৃহত্যাগী সন্ন্যাসী, বু ব্রাহ্মণ, অতিথি তীর্থবাত্রী বাজ করেন। নগরাংশ বিশেষ পরিচ্ছন্ন নহে। স্বালামুখীর বাজারটা বিশেষ বৃহ এবং সেম্থানে দেবমুত্তি, জপমালা টা প্রভৃতি উপাসনার উপযোগী দ্রব্যসামগ্রী দৃষ্ট হইয়া থাকে এস্থানে একটী থানা--একটা ভাকঘর বিছ্যামন্দির আছে। পূর্বে ঘে এই সথপ্রাচীন নগরী বিশেষ সমৃদ্ধিশালী ছিল, বর্তমান বিস্তর ধ্বংসাবশেষ হইতেই তাহা দিইনি ইহা কাজড়া জেলার অন্তর্গত ডের! তহশীলের অন্তভূক্ত। স্কালামুখী দেবীর উৎপত্তি সম্বন্ধে একটা প্রাচীন কিন্বদক্ঠী শুনিতে পাওয়া যায় যে, » দেবী ভগবতী কৃপা পরবশ হইয়া দক্ষিণ দেশবাসী জনৈক নিষ্ঠ ক্রাঙ্গাপসম্তানকে স্বপ্সে দর্শন দিয়া এখানে সিয়া তাহাকে খুঁজিয়া বাহির করিতে আদেশ দিয়াছিলেন, তননুযারী ব্যক্তি এস্ছানে উপনীত হইয়া! ভগবতীর পৃঙ্কা করেন ির্াপ করিয়া বান। হিমালয়ের পর য.প্রদেশজাত ত্রব্য সামগ্রী

রা :

নানাকথ।

ভারত-ভ্রমণ |

ভ্রালামুখীর তীর্থ-খ্যাতি কোন্‌ সময় হইতে সর্বত্র স্থপরিচিত হইয়! পড়ে তাহা নির্ণয় করা স্থকঠিন। তবে ্রীন্িয শতাব্দীর পুর্দ্বেও যে ইহার অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিল তাহার বন্ছ প্রমাণ পাওয়া যায়। নগরের ছয় স্থানে ৬টা উষ্ণ প্রশ্রবণ আছে, সে জল পান করিলে কোন কোন রোগের বিশেষ উপকার হইয়া থাকে। বিখ্যাত চৈনিক পরিব্রাজক তাহার পাঞ্জাবভ্রমণের মধ্যে একই পর্ববতে শীতল উষ্ণ জলের কথার উল্লেখ করিয়াছেন, প্রত্ুতত্ববিদ্গণ কেহ কেহ তাহাকেই জ্বালামুখীর উঞ্ প্রজ্রবণ বলিয়া অনুমান করেন। হিন্দুদের মধ্যে একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে, যে দিল্লীর ফিরোজশাহ তোগলক জালামুখী দেবীর পুজা দেবীকে দর্শন করিয়া কাজড়া প্রদেশ জয় করিয়াছিলেন, বলা বাহুল্য যে মুসলমানগণ ইহা বিশ্বাস করেন না।

জ্বালামুখীতে সিদ্ধনাগা গুুন,উন্ম তৈরব, বিশ্বেশ্বর প্রভৃতি আরও কয়েকটা দেবমুর্তি আছে। এস্থানে ময়দা পিষিবার একপ্রকার জাঁতাকল আছে, সকল কলের মধ্যে একটু নৃতনত্ব দেখিলাম পর্ননত হইতে যে সকল ক্ষুদ্র নির্বরিণী বাহির হইয়! যে সকল স্থান দিয়! বহিয়া যাইতেছে, সেই সকল স্থানের প্রশস্ততা খুব অল্প, সকল স্থানের উপর সীকো দিয়া এক একখানা ঘর করিয়! ঘরে আটা বা ময়দা পিষিবার তা স্থাপিত হইয়াছে জাতার নীচে জলের উপর একটা চাকার মত থাকায় জলের প্রবল ঝ্োতে সেই চাকা! অনবরত ঘুরিতেছে, আর জাতা চালিত হইতেছে বিনা পরিশ্রামে অনায়াসে কেবল কআোতের সাহায্যে ময়দা প্রস্তুত হইতেছে ঘরের ভিতর একটামাত্র লোক বসিয়া থাকিয়া জীতায় গম দিতেছে

এখনকার স্্লীলোকেরা দিব্য সুন্দরী | পাজামা পরিয়া পিরাণ গড়ন! গায়ে দিয়া ঘখন ইহারা রাজপথে চলিতে থাকে, তখন সত্য সত্যই রূপের বিদ্যুৎ খেলিয়৷ যায়। এদেশে স্ত্রীস্বাধীনতা খুব বেশী, পাপ্ডারাও বেশ ভদ্র। এখানকার তৈরি ভুট্টার আটার রুটি খাইতে বড়ই স্ুম্বাদ। এই ক্ষুদ্র স্থানের লোকসংখ্যা সহত্ডাধিক হইবে না। াগামবীয সৌক্ষর্য্য অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক, জলবায়ুও খুব উৎকৃষ্ট |

তিশা হি ফাজিল ০৮777 ১৩

নগর একট সামান্য ররর তত আর কিছুই ছিল না, সেই সময়েই ইহা চক নামে অভিহিত হইত। আকবর বাদশাহের শাসনসময়ে শিখদ্দিগের চতুর্থ গুরু রামদাঁস ১৫৭৪ খ্রীষ্টাব্দে যখন এখানে বর্তমান প্রকাণ্ড সরোবর খনন করাইয়াও ইহার চতুদ্দিকে বহু ক্ষত ক্ুত্র মন্দির নির্্মীণ করিয়া, এই স্থানকে - শোভাময় করিয়া তোলেন, তখন চিক” নাম পরিবর্তিত হইয়! এস্বানের নাম হইয়াছিল 'রামদাসপুর রামদাসের মৃত্যুর পরে তীহাঁর পুজ অর্জুন সিংহ এখানে শিখদিগের রাজধানী করিয়া, ইহার নাম “অমৃতসর রাখিলেন। তদ্বধি ইহ! অমুতসর নামেই পরিচিত হইয়া আসিতেছে। এস্থানে শিখ, হিন্দু মুদলমান এই তিন জাতীয় লোক বাস করে। জনসংখ্যা ১,৩৭,০০০। হিন্দুর নিকট কাশী, গয়া, মথুরা, বৃন্দাবন প্রভৃতি যেমন মহাতীর্থ, মুসলমানের নিকট. যেমন মক্কাঃ বৌদ্ধের পক্ষে যেরূপ বৌদ্ধ-গয়া, ইদী শ্রীষ্টানের নিকট বেমন জেরুজালেম পবিব্রতম স্থান বলিয়া বিবেচিত হয়; শিখদিগের নিকট . অমৃতনমরও তত্রপ। উল্লিখিত রামদাস স্বামীর খনিত সরোবরের নামই অস্ৃতসর এবং তদনুসারে নগরের নামও অম্বতসর হইয়াছে এই ধন, জন ও. বাণিজ্যসম্পদপূর্ণ সমৃদ্ধিশালী নগরের একদিকে রাবী অন্যদিকে বিয়া. (বিপাস) নদী প্রবাহিত৷ থাকায় ইহার সৌন্দর্য বহুপরিমাণে বদ্ধিত হইয়াছে লাহোর নগরের ম্যায় অম্ৃতসরও প্রাচীরদ্বারা বেস্তিত। ইহাতে তেরোটা, ফটক আছে। পূর্বে ইহার চতুদ্দিকে পরিখা ছিল এবং শত্রুর আক্রমণ, হইতে পগর রঙ্গ! করিবার বিবিধ ব্যবস্থা শিখদিগের নির্টিত দুর্গ! এখন সে ছূর্গের কোনও অস্তিত্ব দৃষ্ট হয় না; উত্তরদিকের গড়ের খাতও বুজ্াইয়া ফেলা হইয়াছে। এখন অন্ৃতসরে ১৮০০ ্রী্ান্দে মহারাজা রণজিৎ লিং কর্তৃক নির্ত ছর্গ ভাহার চিকন গোষিনাগড় নামক পরিধা দু হয়। ভাহা এখনও কালের সহিত টা গ্রাম করিয়া অক্ষতবেছে পঞ্তীব-.

সা মারা নার | আহম্মদ শাহ্‌ ছুরাণী এতদূর ভিন্ন-ধর্ম্ম-বিদ্বেধী ছিলেন যে, কেবলমাত্র শিখদিগের এই মন্দির ভগ্ন করিয়াই তাহার সাধ মিটে নাই। তিনি নৃুশংলের মত দেবালয়-মধ্যে গো-হত্যা করিয়া তাহ! অপবিত্র করতঃ মুসলমানদের জন্য মস্জিদ ইত্যাদি নির্মাণ করিয়! গিয়াছিলেন সি নীনাপ্রকার নির্ধ্যাতনের মধ্যেই ইহা সহ্া করিয়াছিল, কিন্ত আহম্মদ শাহের প্রস্থানের পর তাহারাও প্রতিশোধপরায়ণ হুইয়৷ আহম্মদ শাহের নিশ্রিত সমুদয় মস্জিদ ভাঙ্গিয়া সেখানে শুকর হত্যা করিয়াছিল বর্তমান শিখমন্দির ইহার পরে নির্িত হইয়াছে।

_ অমৃতসর সরোবরটি অত্যন্ত বৃহ পুক্রিনীটি চতুক্ষোণ ; এক এক দিক প্রায় ৩২৫ হস্ত দীর্ঘ হইবে। একটা প্রবাদ শুনিলাম ঘে, পঞ্জাব-নর-সিংহ রগজিত ১৭ ক্রোঁশ দীর্ঘ একটী খাত খনন করাইয়া ইরাবতী নদীর সহিত উক্ত পুক্ষরিণীর সংযোগ করিয়া দিয়াছিলেন। আমর! অনেক অনুসন্ধানেও ইহার, নিশ্চয়তা বা খালের অস্তিত্ব অবধারণ করিতে সক্ষম হুইলাম না গ্রীক্ম, বর্সা, শরণ, হেমন্ত প্রভৃতি প্রত্যেক খতুতেই ইহা! জলপূর্ণ থাকে সরোবরের ঠিক্‌ মধ্যস্থলে শিখদিগের দেবালয়টি ভাবশ্মিত দেবালয়ের ভিত্তিস্থান একটী সম- চতৃক্ষোঁণ বেদী বা দ্বীপ এই বেদীর উপরেই অমুতসরের বিখ্যাত ন্বর্ণমন্দির | এই মন্দিরকে শিখেরা “গুরু-দরবার বা! “দরবার-সাহেব বলেন 1” সরোবরের চত্দ্দিকে প্রধান প্রধান সর্দার ধনাঢা ব্যক্তিদিগের অন্রালিকা শোভা পাইতেছে দরবারসাহেব মন্দিরটি দেখিতে অতান্ত বৃহদাঁকারের নয় ; উহ! ত্রিশ হস্ত সমচতুক্ষোণ-বিশিষ্ট এবং উচ্চতায় প্রায় বিশ ফুট হইবে |. মঙ্দিরের মধ্যদেশে উৎকৃষ্ট চন্দ্রাতপ, নিষ্কে শিখর নানকের-ধর্মরুন্ডক সরোবরের তীর হইতে মন্দির পর্যান্ত একটা ই্টক মার্বেল প্রস্তর বীধান প্রশস্ত পথ আছে; সরোবরের ধারে ধারেও শ্রেতপাঁথর বসান থাকায়, তাহা দেখিতে অত্যন্ত মনোহর হইয়াছে সাধারণের মধ্যে একটা দৃঢ়বিশ্বাস প্রচলিত জাছে বে, এই মন্দিরটি স্ব্ণপাত দ্বার! মণ্ডিত ; এই জন্যই ইহার নাম “ৃবর্ণমন্দির' ইংয়েজ ভ্রমণকাঁরি-

রর স্ব্ণমন্দির অযৃতসর | ্‌ গণও ইহাকে 001161) 1:01001016 নামেই অভিহিত করিয়া গিয়াছেন। ইহা নিকটস্থ ছুইটী প্রধান রাস্তার সঙ্গমস্থলেও.'1০ 00100) 1671001৩” অর্থাথ “স্বণ্মন্দিরে যাইবার পথ” বলিয়া লিখিত আছে। প্রকৃত পক্ষেই যে ইহা ্ব্ণপাত্র মণ্ডিত, তাহ! নয়, মন্দিরের গুম্বজ এবং উহার কলেবর তাঁমার

মোড়া এবং তাহাই মোটা করিয়া স্র্ণের হল. করা। এই স্বর্ণ-রঞ্জন

এত পুরু ষে, সহজে উহার কৃত্রিমত! অনুভব করা যায় না। এই নিমিত্তই জনসাধারণের নিকট ইহা স্থবর্ণমন্দির বলিয়া অভিহিত।..... রণজিওসিংহ এই মন্দিরটিকে এইরূপ ভাবে ছল করিবার জন্য

প্রচুর পরিমাণে অর্থব্যয় করিয়াছিলেন। শিখেরাও জাহাঙ্গীর, মোগলবাদশাহগণের বি ইহ কন

সংল করিয়া দেওয়া | হইয়াছে পুধ্‌ করিলে কত “সাতয়াজার ধন' হইত। 8

সিংহ নিয় প্রবেশ করিলে, সর্বধাগ্রেই অকালীদিশের কুন নামক | অট্টালিকা দেখিলাম, এস্থানে শিখগুরুদের বহু অন্তর বত সহিত রক্ষিত আছে। এখানে বহু গায়ক বাগ্কর বসিয়া থাকে ইহারা প্রত্যহ ধন্দুসজগীত করিবার নিমিত্ত নিযুক্ত রহিয়াছে। মন্দিরের চারি কোণে যে চারিটা স্তস্ত আছে, উহার উপর আরোহণ করিলে নগরের সৌন্দর্য্য দৃষট হয়। ন্দরবার-সাহেবে' প্রতিদিন অপরাহ লোকে লোকারণ্য হুইয়া থাকে সে সময়ে বনু যাত্রীর সমাগম হয়, পুরুষ অপেক্ষা স্ত্রীলোকের সংখ্যাই অধিক-_পর্ববদিন হইলে আর কথাই নাই। আমরা যে দিবস মন্দির দর্শন করি, সে দিন একাদশী তিথি ছিল, কাজেই লোকারণ্য ভেদ করিয়াই আমাদিগকে মঙ্দিরে প্রবেশ করিতে হইয়াছিল। সে এক আশ্চধ্য দৃশ্য ! দেখিলাম, কোথাও নানকের আদিগ্রস্থ ব! গগ্রস্থসাহেব পঠিত হইতেছে, কোথাও শ্রীমন্াগবত, কোথাও রামায়ণ, কোথাও মহাভারত পাঠ হইতেছে, কোথাও সুমধুর রবে বাগ্চ বাজিতেছে স্তুস্বরে ধন্মসঙগীত গীত হইতেছে আমরা এই ধপ্ম- নিকেতনে ধণ্মালেচনা দেখিয়া যারপরনাই প্রীতিলাভ করিলাম যদিও ইহা হিন্দুদিগের তীর্থ নহে, তথাপি আমর! ভক্তিসহকারে এস্থানে প্রবেশ করিয়া পাগ্ডাদিগকে কিঞিত দক্ষিণা দিলাম চঞ্চল সিংহ নামক একজন পাণ্ড। আমাদের সহিত বিশেষ সপ্ধ্যবহার করিয়াছিলেন এবং প্রত্যেক বিষয় আমা- দিগকে বিশদভাবে বুঝাইয়া দিয়াছিলেন। বস্তুতঃ এরূপ মিষ্টভাষী পাণ্ডা তীর্থস্থলে পাওয়া ছুর্ভি। তাহার সব্যবহারে তাহাকে একখান প্রশংসাপত্র না লিখিয়৷ দিয়া পারিলাম না। উক্ত ব্যক্তির হস্তে আমাদের ময়মনসিংহের মহারাজা! স্বর্গীয় সূর্ধ্যকান্ত আচাধ্য বাহাছুরেরও একখান! প্রশংসাপত্র দেখিতে পাইলাম মন্দিরমধ্যস্থ গ্রস্থসাহেবকে প্রতিদিন পুরোহিতের পুষ্পাদিসবারা অর্চনা করিয়া থাকেন; গ্রস্থসাহেব প্রথম শিখগুর নানকের বিরচিত। শিখদের নানক, অঙ্গদ, অমরদাস, রামদাস, অর্জুন, হরগোবিন্দ, হররায়, হরকৃ্ণ, তেগ বাহাদুর এবং গোবিদ্দসিহহ নর্বসমেত এই দশজন গু | দর্শকেরা মন্দির মধ্যস্থ গ্রন্থসাহেবকে ভক্তিভরে প্রণাম করিলে, পুরোহিত' এক রা

দাবরিরের সর্র্াগের, বহির্ভাগে

অভ্যন্তরে স্বর্ণপাঁতের উপর বিচিত্র কারুকার্য খোদিত এবং স্থ নে স্থানে বহুমুল্য হীরক পাঙ্গা প্রভৃতি প্রস্তর স্থশোভিত। যখন মন্দির-বীর্ষেসূরধ্য- মন্দিরের অতুলনীয় সৌন্দর্য্য এতই মনোহর যে, ছুইটা মা চক্ষৃতে যেৰ ধরে না। _ অস্ততসরে অটলেশ্বরের বা অটলবাবার মন্দির, গোবিন্দ-গড় (ছুর্গ),. অটল বাতনে-. রামবাগ, নূতন কেশরবাগ, কলেজ, লাইব্রেরী এবং শাল: ব্ররসনির। গালিচা নির্াোণের কারখানা দেখিবার যোগা | স্বর্ণ. মন্দিরের অনতিদুরে অটলেশ্বর সমাধি-মন্দির, ইহাও শিখতীর্ঘ। মন্দিরটি অতি উচ্চ, উহার উপরে উঠিয়৷ মাটির দিকে দৃষ্টিপাত করিলে মাথা ঘুরিয়া ষায়। সাধারণতঃ ইহা! “বাবা-অটল' বা 14] 1০৪ নামেই পরিচিত ইহার গঠনপ্রণালী অত্য্ত স্থন্দর। বাবা-অটলের পার্থেই কৌলসর নামক সরোবর। ইহা গুরুগোবিন্দ সিংহের বন্ধ্যা পত্ী কৌলের নামানুসারে প্রতিষ্ঠিত। যাত্রিগণ মন্দিরে প্রবেশ করিবার পূর্বেব এই সরোবরের পবিজ্র সলিলে স্নান করিয়া থাকেন। এই সরসীর তীরে একটা বৃক্ষ, দেখিতে বেশ স্বন্দর, উহা! শাখা প্রশাখা মেলিয়া রহিয়াছে উহার ডালে শত শত- পক্ষবিশিষ্ট কাঠবিড়ালী (£1)178-1০8) -ঝুলিতেছে অমৃত-সরে্র প্রায় | তিন ক্রোশ উত্তর পশ্চিমে প্রসিদ্ধ গোবিন্দগড়ের অভেম্ত ছুর্গ অবস্থিত গোখিশগড চর্গ। . ইহাও মহারাজা রণজিতের নির্মিত। এখন উহাতে. কয়েকজন গোরা সৈনিক এবং -সরকারি জিনিষ পত্রাদি থাকে। এস্থানে প্রতি বখসর ছুইটী করিয়া ধর্্মমেলা হয়। এই ছুর্গেই এখানকার কমিশরিয়েট আফিসও অবস্থিত। রামবাগ একটা বিস্তৃত উদ্ভান। রামবাগ,কেপরযাগ, উহার মধ্যবর্তী পথসমূহ এরূপ ন্থকৌশলে নির্টিত যে খুরিয়া স্*ইত্যাদি। ফিরিয়া আসিতে গোলকর্ধীধার স্তায় বোঁধ হয়। বাগানে বছু- প্রকারের ফল, ফুল নানাবিধ বিটপীশ্রেণী আছে। উহাদের মধ্যে কতক-

গুলি আমাদের নিকট নৃতন বলিয়! বোধ হইল। এখানকার গলক্ৌ

নগরের হুসিস্ কেশরবাগের নামানুকরণ মাতর। ইহাতে

7 এখানকার লাইব্রেরীর পুস্তক ও.সংবাদ দি লাঠে বকলেরই সাম অধিকার আছে আমরাও অবসর মত অনেক সংবাদপত্রাদি পাঠ করিয়া বিশেষ শ্রীতিলাভ করিয়াছি। কলিকাতা হইতে প্রকাশিত শ্রীযুক্ত মতি বাবুর সম্পাদিত ' 'অম্ৃতবাজার পত্রিকার, অঞ্চলে বিশেষ গৌরব হিন্দীবঙ্গবাসী'ও ক্রমশঃই এদেশে স্প্রচারিত হইতেছে একদিন শাল গ্রালিচার কারখানা দেখিতে গমন করিলাম,-_কারখানায় বিস্তর লোক খাটিতেছে দেখিলাম অমৃতসরের শাল, ধূসা, গরবী আলোয়ান প্রসিদ্ধ আমাদের বঙগদেশের মহাজনের অনেক সময়ে এখানকার জিনিবকেই কাশ্দীরী” বলিয়া বিক্রয় করিয়৷ থাকে কয়েকটী বাজালী ভদ্রমহোদয়ের সহিত আমরা শাল ক্রয় করিতে গিয়াছিলাম ; দুঃখের বিষয় বলিতে কি, আজকাল এস্থানেও প্রবঞ্চনা আরম্ভ হইয়াছে বিক্রেতারা অনেক সময়ে সুতা: পশম-মিশ্রিত কাপড়ও বিশুদ্ধ পশমী বন্ম বলিয়। বিক্রয় করিয়া থাকে আবার বিলাতী আলোয়ানের গায়ে হাসিয়া দিয়াও অম্ৃতসরের জিনিষরূপে চালাইতেছে। এখানে শাল বুনিবার জন্য প্রায় ৫০০০ হাজার তাত আছে। এই সকল তী্ীদের অধিকাংশই কাশ্মীরী কাশ্মীরের দরিদ্র লোকেরাই এখানে আসিয়া মহাজনদিগের নিকট দাদন লইয়৷ তাতে শাল প্রস্তত করিয়া থাকে কাশ্মীরের পশম অম্তসরের পশম অপেক্ষা বহু শ্রেষ্ঠ। কাশ্মীরে পশমে কোনরূপ তেঁজাল দেওয়ার প্রথা নাই; কিন্তু পূর্ব্বেই বলিয়াছি যে, স্থানে ভেঁজাল দেওয়ার প্রথা খুব বেশী। তিববত, প্রভৃতি পার্বত্য প্রদেশের ছাগলের লোমেও এখানে শাল প্রস্তুত হয়। এখানে উত্তম রেশমও উৎপন্ন হইয়া থাকে গড়ে প্রতিবৎসর নগরে প্রায় চারিকোটি টাকার ভ্রব্যের আমদানী রপ্তানী হয়।

অমৃতসর সহরের সাত ক্রোশ দক্ষিণদিকে তরণ-তারণ অবস্থিত। ইন্থাও একটা প্রসিদ্ধ স্থান। পুনিলাম যে এখানে প্রায় ৬০০ শত হাত দীর্ঘ এবং৫০০ শত হাত প্রশস্ত একটী সরোবর আছে। প্রবাদ আছে, যদি কোন কুুষ্টব্যাধিগ্রন্থ ব্যক্তি সীতার দিয়া উহ পার হইতে

পারে, তাহা হুইলে সে ব্যক্তি নীরোগ হয়। দুর্ভাগ্যক্রমে কোন অন্দুবিধা টা, 7798752

তারণ-তোরণ।

ঘটে নাই। অগুতসর একটী প্রাচীন সহর, জার লিন রগুলি _. এখন জীর্ণ হইয়। গিয়াছে। রেট একদিকে জীর্ণ স্কার করাইয়া ব্যয়বাহুল্য ভয়ে অপর দিকের সংস্কারে ক্ষান্ত হইয়াছ্েন। নগরটি জনাকীর্ণ, পথগুলি পরিষ্কৃত প্রত, এখানে খুব অল্প সংখ্যক বাঙ্গালী বাস করেন! রেলি- ্রাদার্সের বিভৃতি কারখানা এবং সৈন্যের ছাউনীও (07071016100) * এস্থানের অন্যতম দ্রষব্য। জলদ্ধর হইতে অমৃতসর .আসিতে মধ্যে বিখ্যাত সিন্ধুনদের অন্যতম শাখা বিপাস! নদী পাওয়া! যায়। ইংরেজের! ইহাকে 0৩৫5 “বিয়াঁস কহেন। বিপাসার ২৭ মাইল অন্তরেই এই অমৃতসর নগর রা আমরা অমুতসরে যে বাঙ্গালী ভত্রমহোদয়ের নিকট অনুরোধপন্্ লইয়া | আসিয়াছিলাম, তীহার বাসায় স্থানাভাবে অবস্থানের অস্ত্রবিধী জানিয়া মহাতআা! লাল শান্তিরামের বাঁটীতেই বাসা স্থির করিয়াছিলাম। সদাশয় ব্যক্তি নবাগত বিদেশী ভদ্রলৌোকদের অবস্থানের নিমিত্ত একখানা দ্বিতল বাড়ী প্রস্তুত করিয়া রাখিয়াছেন। সম্মুথে উদ্যানসহ চতুক্ষোণ পাড় বাঁধান পুকুর। অতিশয় সুন্দর বন্দোবস্ত বিনা ভাঁড়াতেই এই অট্রালিকায় বাম করিতে পাঁওয়! যাঁয়। তবে ভদ্রলোকমাত্রই প্রহরীকে কিছু না কিছু দিয়া থাকেন। শান্তিরামের ন্যায় এরপ স্বার্থহীন, পরোপকারী, | উদার-হৃদয়ের লোক জগতে অতি অল্পই দেখিতে পাওয়া যায়। বাব! নানকের গ্রন্থসাহেবখানি মন্দির হইতে প্রত্যহ রজনী নয় ঘটিকার 'সময় সাজসজ্জার সহিত স্থানান্তরিত হইয়! থাকে পরে পুনরায় রজনীর শেষ- ভাগে সবিশেষ আড়ম্বরের সহিত তাহ! আনয়ন পূর্ববক মন্দিরে স্থাপনা কর! হয়। ইহাই প্রাত্যহিক নিয়ম বাবা নানকের গ্রস্থসাহেবই শিখদিগের একমাত্র অর্চনীয়। সাধারণতঃ দর্শকগণও এখানকার স্বব্ণমদ্বিরই দেখিতে আসিয়া থাকেন। পঞ্জাবের অন্যান্য স্থান অপেক্ষা অমৃতসরের জলবায়ু নাতি- শীতোষ্, বিশেষতঃ শীতকালে ইহা একান্ত স্বাস্থ্যকর। ফেনের সিকটেই ডাক-বাড্লা মাছে। গাড়ী, ঘোড়। ইতি রহ কেনে পা পাওয়া যায়।

নাপাকথ।।

সি

ভাত্ছোন্র 1.

অনন্তর হইতে লাহোর আসিলাম। সিন স্থান। যাহার যুক্তপ্রদেশে কিংবা পঞ্জাবের দিকে ভ্রমণে বাহির হইয়া- ছেন, তীহাদের মধ্যে এরূপ লোক অতি বিরল, যিনি পঞ্তাব প্রদেশের রাজধানী এই সুন্দর স্বনামধন্য নগর দেখিয়া যান নাই। লাহোরে আসিয়া! কিন্তু আমার নিকট ইহা সেকালের প্রাচীন: খলিফাদিগের শাসনাধীন একটা কুহুকময় নগরী বলিয়াই মনে হইয়াছিল গম্ুজে,মিনারে, তোরণে, প্রাচীরে ইহা বর্দমান অপেক্ষা অতীতের কথাই অধিক স্মরণ করাইয়া! দিতেছিল। রৌন্রোক্জল প্রকৃতির সজীব দৃশ্য সহরের চঞ্চল কোলাহল সত্যসত্যই যেন সেকালের একটী নিত্য উতসবময় প্রাচীন নগরে আনিয়া উপস্থিত করে। পঞ্জাবের উত্তপ্ত আতপ-তাপ এখানে পূর্ণমাত্রায় উপভোগ্য লাহোর পঞ্জাবের সর্নবাপেক্ষ! শ্রেষ্ঠ জনাকীর্ণ নগর রাজধানীর বিশেষ এখানে পূর্ণমাত্রায়ই বিদ্যমান। কলিকাতা হাইকোর্টের স্যায় এন্থানেও একটা প্রধানতম বিচারালয় আছে, তাহার নাম চীফকোট (01016 0০:)। এতত্যতীত কমিশনার, ডেপুটি-কমিশনার প্রভৃতি উচ্চশ্রেণীর রাজকীয় কর্ণ চারীদিগেরও কতকগুলি আফিস এখানে সংস্থাপিত আছে এখানে বাঙ্গালীর সংখ্যাও বেশী। কাশী এলাহাবাদ ব্যতীত পশ্চিমের অন্যত্র আর কোথাও এত অধিক বাঙ্ালীর বাস নাই। লাহোর অতি প্রাচীন সহর প্রাচীন কিন্বান্তী এই যে, রঘুকুলতিলক শ্রীরামচন্দ্রের পুজ্ম লবকর্তৃক এই নগর স্থাপিত হইয়াছিল। সপ্তম শতাবীতে ঘে এম্থানে চৌহান বংসয় রাজপুতেরা৷ রাজ করিয়াছিলেন তাহার বহু প্রমাণ পাওয়া যায়। ১৮০৯ শ্রীষাবে মহাত্ব। হাডিপ্রের সময় ইহা ্রিটিশ-শামন-তুক্ত হইয়াছে। যখন এই নগর মোগলদিগের হাতে ছিল, তখনি ইহার সমধিক উন্নতি হয়। বর্তমান নগরের চতুদদিকস্থ প্রাচীর মহারাজা রণজিৎসিংহ নির্মাগ করিয়া- ছিলেন। মোগলের পরে তাহার অধিকারে আসিয়া পুনরায় ছা পূর্বব- গোৌরব-বৈভব ফিরিয়া আইসে। এই আটার ঢাক ঢা জোর

আছে। : নগর-প্রাচীর স্থানে স্থানে ' এখন ভাডিয়া গিয়াছে, গভর্মেপ্টও জীর্ণ

সংস্কীরে তাঁদুশ মনোযোগী নহেন। তাহাদের মতে প্রাচীর-বেস্টিত নগর

নাকি স্বাস্থ্যের পক্ষে মঙগলজনক নহে। এই প্রাচীর প্রায় ১৫ ফুট উচ্চ। আমরা নগরের চতুদ্দিক ঘুরিয়! দেখিলাম বাজারের দুইটা গলি ভিন্ন

অপর সকল পথই কলিকাতার বড়বাজারস্থ গলির ন্যায় অপ্রশস্ত, গাড়ীতে রঃ

যাতায়াত করা ছুরূহ। এখানে জিনিষপত্র তত স্থলভ নহে কলিকাতা, দিল্লী বোম্বে হইতে জিনিষ-পত্রাদির আমদানী হইয়! থাকে কাবুলী মেওয়া এখানে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় আর দরও খুব সম্তা। লাহো- রের পশ্চিম দিক্‌ দিয়া রাবী নদী প্রবাহিতা। আনার-কলি নামক স্থানটিই লাহোরের সর্বশ্রেষ্ঠ অংশ এই স্থানেই দেশীয় ইউরোপীয় লোকদিগের - বড় বড় দোকান কারবার দর্শকগণের নয়নমন আকর্ষণ করিতেছে এরূপ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্থান লাহোরের আর কোথাও নাই উচ্চ শ্রেণীর আফিস আদালতাদি সমুদয়ই এস্থানে অবশ্থিত। আনার-কলির ইতিহাসটি বড়ই শোকোদ্দীপক আনার-কলি নান্সী একটী ইরাণদেশীয়া রূপসী ষোড়শী বীদীর সহিত সম্রাট আকবর বাদশাহের পুজ সেলিমের প্রণয় হয়। সেলিম গোপনে এই স্থন্দরী যুবতীর পাণিগ্রহণ করেন। এই ঘটনা আকবর শুনিতে পাইয়া নিতান্ত রুদ্ধ হন এবং জীবিতা- বস্থায়ই তাহাকে এই স্থানে কবর দিয়া বধ করেন। তদবধি স্থানের নাম আনার-কলি হইয়াছে প্রণয়ের জন্য এইরূপ অপূর্ব আত্মোৎসর্গ জগতে অতি বিরল দৃষ্ট হয়। জাহীগীর দিল্লী-সিংহাসনে আরোহণ করিয়া আনারের সমাধিস্থানের উপর একটা সুন্দর সমাধিমন্দির নিন্দীণ করিয়া দিয়াছেন। উহা এখনও বর্তমান আছে এবং উহাতে গভর্মেণ্টের রেকর্ড অফিস নহিয়াছে। বনূদিন পর্যন্ত এই সমাধিমন্দিরই ইংরেজের গির্জার কাজ করিয়াছে এই অষ্টালিকাটির মধ্য প্রকোষ্ঠের উপরে যাহাতে স্মৃতিলিপি খোদিত আছে, তাহা একখানি তুষারধবল মর্্মর প্রাস্তর। ইহার ক্ষরগুলি অতিশয় স্বন্দর স্পষ্ট। এইরূপ মনোরম খোদিত লিপি ভারতবর্ষের আর কোনও জমাধিমন্দিরে দেখিয়াছি বলিয়া মনে হয় না। ্রস্তরখানির * টার রা রা সলিম অকবর” আরা,

১৩

. আনার-কলি।

/.৯ - ভ্যান কা 2 দা...”

25188584858 হত 5 তব

ভারত-ভ্রমণ।

আকবরের পুর কামাতুর দলিম, এইরূপ লিখিত আছে। এই আনার-কলির নিকটেই চিত্রশীল। (মিউজিয়াম) পশুশালা, জলের কল এবং ট্রীমগাড়ীর আডডা ইত্যাদি দেখিতে পাইলাম সকল কোন অংশেই কলিকাতার অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ নহে। মিউজিয়মের সম্মুখেই ঝম্বম্‌ তোপ। ইংরেজদের সহিত যখন শিখদের যুদ্ধ হয়, তখন চিলেনওয়ালার যুদ্ধে শিখেরা এই তোপ ব্যবহার করিয়াছিল। তোপটি পিস্তলের তৈয়ারী, দেখিতে অত্যন্ত স্বন্দর। নিকটেই সার জন লরেন্দের বীরত্বব্যগ্রক প্রস্তরমূগ্তি অবস্থিত তীহার এক হস্তে কলম অপর হস্তে তরবারি শোডমান। সিপাহী- বিদ্রোহের সময় ইনি পঞ্রাবের লেফ্টনাণ্ট গবর্ণর ছিলেন। ইঁছার বুদ্ধি- প্রভাবেই পঞ্জাবের শিখগণ বিদ্রোহে যোগ না দিয়া ইংরেজের পক্ষে যুদ্ধ করিয়া! বিদ্রোহী সিপাহীদিগকে পরাভূত করিয়াছিল চিত্রশালাটি কলিকাতার চিত্রশাল! হইতে অনেক ছোট, বিশেষ দেখিবার কিছুই নাই, তবে এখানে গান্ধার প্রদেশের অনেক স্বৃপ্রাচীন ভাক্ষরধ্য প্রাচীন হিন্দুরাজাদের সময় তৃপ্তিলাত করিয়াছি পণশুশালায় চারি-শৃঙ্গের ভেড়া এবং চিত্রশালায একটা বৃহৎ শুক্গবিশিষ্ট ভেড়ার মন্তক দ্রষ্টব্য এবং চিত্তাকর্ষক বটে। লাহোরের দর্শনযোগ্য স্থানসমুহের বিবরণ নিন্সে লিপিবদ্ধ করিলাম শাহদারাবাদ _মিউজিয়ম ইত্যাদি দেখিয়! শাহ্‌দারাবাদ দেখিতে যাওয়া গেল। উহা লাহোরের তিন মাইল উত্তরে অবস্থিত একটা বাদশাহী বাগান, রাবীর নৌসেতু পার হইয়! যাইতে হয়। ঘোড়ার গাড়ীতে যাতায়াতের ভাড়া আমাদিগকে ১৫০ টাক! দিতে হইয়াছিল। বাগানটার পূর্ববী কিছুই নাই। শেষ মুসলমানরাজগণের অধত্বে এবং শিখদিগের অত্যাচারেই এই স্থান বহু পুর্ব হইতেই একবারে সীট হইয়। গিয়াছে। গভর্মেন্ট আধুনিক ফলফুলের তরুদ্বারা উদ্ভানটির শোভা! কিয়ত্পরিমাণে রক্ষা করিয়াছেন। প্রাচীন বৃক্ষের মধ্যে দ্বাদশহস্ত পরিধিবিশিষ্ট একটা আগ্র বৃদ্ধ দেখিলাম এই উদ্যান মধ্যে দিলীর খ্যাতনামা সম্রাট আকবরের প্রিয়তম পু জাইাগীর : খ্বাদশাহের সমাধিগৃহ স্থাপিত। কথিত আছে যে, স্থন্দরীকুল-শিরোমণি

1 16951 05

১1৯15 165 ৯. &1/০115 ৮৪০১৫৯৪১৩৯৮

ইহা দেখিলে, ইহাকে একটা সুন্দর স্থৃবৃহত সবল! বাড়ী ধু য়া অনুমিত হয়, মুসলমানের সমাধিগৃহ বলিয়া অনুমিত হয় না মারি শিট লোহিত প্রস্তরদ্বারা অতি স্থুচারুরূপে নির্মিত হইয়াছে কবরের উপরিভাগ কেবল শ্বেত প্রস্তরে স্থশোভিত। এই সমাধি ১১০৯ হিন্দী ১০৩ হী সনে প্রতিঠিত। ইহার চারি কোণে বন্ুতল, কক্ষবিশিষ্ট, ৪৬ হস্ত পরিমিত উচ্চ চারিটা স্তস্ত। উহার উপর হইতে দুরস্থিত লাহোরনগরের দৃশ্ট ও. কলনাদিনী রাবীর তটগ্লাবিনী তরলভঙ্গ দেখিতে অতি সুন্দর মার্বল লোহিত প্রস্তর অনেক স্থান হইতে উঠিয়া গিয়াছে, তাহাতে বনুপরিমাগে সৌন্দর্য লোপ পাইয়াছে। এই সমাধির অনতিদ্ুরে উজীর আমিন খর বৃহ সমাধি | সালেমার বাগ--ইহাকেই লাঁহোরের প্রধানতম দৃশ্য এবং গৌরব বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। লাহোর সহর হইতে প্রায় তিন মাইল উত্তর পূর্বদিকে সালেমার বাগ অবস্থিত। সালমার অর্থে আনন্দ এবং বাগ অর্থে বাগান ( আনন্দোছ্ঠান )। এরূপ স্ুরম্য উদ্যান ভারতের আর কোথাও নাই ; দেখিতে যেমন বৃহও, সৌন্দর্য্যও তেমনি মনোহর কথিত আছে যে, সম্রাট শাহ্জাই একদিন ন্বপ্রে স্বর্গ দেখেন, পরে সেই স্বপ্রামুষায়ী ইহা নিষ্াণ করিতে আরম্ত করেন। মুসলমানদের স্বর্গ সপ্তস্তরবিশিষ্ট, সালেমার উদ্ভানও সপ্তস্তরেই নির্মিত হইয়াছিল। ইংরেজ গভর্মেণ্ট উপরের টারি স্তর ভাঙ্গিয়৷ ফেলিয়া! কেবল নিন্বের তিন স্তর রক্ষা! করিয়াছেন। সালেমার বাগ প্রায় অদ্ধমাইল বিস্তৃত। ক্রম-নিন্ন তিনটী বেদীর উপর এই উদ্ভান নির্টিত। এমনি কৌশলে এই উদ্ভানটি নির্ট্দিত যে ভাষাদ্বার৷ ইহার সঠিক সৌন্দর্য্যের কথা ব্যক্ত কর! অসন্ভব। ক্রমান্বয়ে তিনটা স্তর মৃত্তিকা- টানার ভার ন! দেখিলে, কেহই এই উদর হন দিত

হোত হাম উপাই না প্লিলের রৃক্ষসমূহ বিদ্যমান। দ্বিতীয় স্তরে একটা কৃত্রিম সরসী ঈবার তাহা অত্যন্ত মনোহর। যো হই পা্খে ুত্ধর

ওয়া্জির খায়ের সমাধিস্তস্ত হইতে লাহোরের দুষ্ত | :

গণনা করিয়! দেখিয়াছি যে, এস্থানে ৪০০ চারিশতেরও অধিক ফোয়ারা উদ্ভানটিকে যার পর নাই মনোহর স্থুশীতল করিয়া রাখিয়াছে। নবরুচিসম্পন্ন গোলাপাদি তরুও উদ্ভানের শোভাবর্জীন করিতেছে মাঅবৃক্ষের সংখ্যাই এখানে বেশী। জনরব এইরূপ প্রচলিত আছে যে, রণজিতসিংহ স্থান ইহুতে মার্বল প্রান্তর খুলিয়া লইয়া অমৃতসরের শোভ। বৃদ্ধি করিয়াছিলেন ।. ফোট বা কেল্লা-_ইহা৷ সম্রাট জাহাগীর নির্মাণ করিয়াছিলেন। যে স্থানে পঞ্জাবকেশরী রণজিৎসিংহ থাকিতেন, অগ্যাপি তীহার় সেই প্রিয়তম শিখ-মহলের ছুই তিন খানা বিচিত্র চিত্রিত গৃহ ব্যতীত' দেখিবার আর মাই। দুর্গের একটী গৃহে শিখদের ব্যবন্ৃত নানাপ্রকার ধাতু- বিনির্ষিত বর্ম পৃষ্টত্রাণ দেখিয়া বিস্মিত তইতে হয়। উহার এক একটার ওজন অদ্ধমণের নান হইবে না। এখানে প্রাচীন শিখদিগের নির্দিত আন্্াদি ভারতের অত্তীত গৌরবকাহিনীর কথা মনে পড়িল। একদিন যে

১০০

সকল বীরেন্দ্র এই সকল বর্ম চরে আচ্ছাদিত হইয়া সুদীর্ঘ তরবারি বল্লপম হস্তে রণক্ষেত্রে গমনাগমন করিত, আজ তাহারা কোথায় তাহাদের চিরপ্রিয়তম অস্ত্রশন্্ের এখন কে ব্যবহার করে ? বাদশাহী মস্জিদ--এই ভজনাগারটি লাহোর নগরের চি ভু, | স্বরূপ; ইহা শাহ্‌দারা পল্লীতে নির্্িতি। ইহার সম্বন্ধে কেহ ফেহ বলে, বেড - আকবর ইহা নির্মাণ করিয়াছিলেন; আবার কেহ কেহ ইহাঁকে জাহীগ ধীরে নির্মিত বলিয়াই সিদ্ধান্ত করেন। আমরা ফতটা প্রমাণ পাইরাছি, তাহাতে, শেষোক্ত সিদ্ধান্তই যথার্থ বলিয়া অনুমিত হয় . এই : রে টি. দর্শনে আমরা যারপর নাই গ্রীতিলাভ করিয়াছি। মস্জিদটি 'লোহিত '. ্রস্তরে নির্মিত গুশ্বজত্রয়ে ভূষিত। ইহার সম্মুখভাগে বি পরা্ছণ এবং চারিদিকে চারিটী অত্যুচ্চ স্তস্ত। উহার উপরে: উঠিলে- লহোর নগর দেখিতে বড়ই স্থন্দর দেখায় 2 রণজিতের দরবার-_শ্বেত মর্্মাপ্রস্তরে ির্িত। আট হইলেও উহার দৃশ্য মনোহর এই গৃহে বসিয়াই মহারাজ রণজিশু সিংহ বৈদেশিক | সামন্তরাজগণের সহিত আলাপাদি কিংব! তাহাদের প্রেরিত দৃতগণের সহিত সাক্ষাত করিতেন। এই গুহটিকে ইংরেজেরা বিশেষ আদরের চক্ষে দেখেন, কারণ এই গৃহে বসিয়াই রণজিতের পু অভাগা দর্লীপ সিংহ ংরেজ গভর্মেপ্টের হস্তে পঞ্জাবের রাজ্যভার সমর্পণ করিয়াছিলেন। 7 .. মহারাজা রণজিও সিংহের জমাধি-মন্দির__-এই সমাধি মন্দিরটি অভ্যন্তরে পঞ্ডাবের চিরগৌরব, বীরকুলকেশরী রণজিৎ সিংহ চিরনিজ্রাগত। হায় পুরুষসিংহ ! একবার আসিয়া দেখ, তোমার ভবিষ্যঘ্বাণীই সফল হইয়াছে-_আজ ভারতের সর্বত্রই লালের একাধিপত্য ! ১৮৪০ গ্রীষ্টাব্দে এই 'সমাধিমন্দিরটি নির্মিত হইয়াছে দেখিতে বেশ সুন্দর, কিন্তু পূর্ববাপেক্ষা ইহুরৈ শ্রী বহুপরিমাণে হাস হইয়া গিয়াছে এখন উহাতে বন জ্ঞানী স্ৃবিদ্বান পঞ্চিত বাস করিয়া শান্্রালোচনা করিতেছেন আমর! জনৈক বিষ্ভাবিশারদ পণ্ডিতের মুখে শান্ত্ের ব্যাখ্যা শুনিয়া বিশেষ তৃপ্তি ক্ষতি হইয়াছিল। তিনি এই নগরের অধিবাসিগণের প্রতি এতই অত্যাচার

ভারত-দ্রমণ।

করিয়াছিলেন যে, তাহার! নগর ছাড়িয়া পলায়ন করিতে বাধ্য ইইয়াছিল। ১৮৪৯ খ্রীষ্টাব্দে এই নগর যখন ইংরেজাধিকারে আসে, তখন ইহার চতুদ্দিক ভগ্ন অট্রালিকার স্তুপরাশিতে পরিপূর্ণ ছিল। পরে প্রতিবসর নৃতন নূতন অট্টালিকাসমূহ বিনির্িত হইয়৷ নগরের নব-ভ্রী। সম্পাদিত হইয়াছে বর্তমান নগর ১৯২ বিঘ|! জমি লইয়া ব্যাপ্ত। উহা! পূর্বের ৩০ ফিটু উচ্চ ইষ্টক-প্রাচীরে বেষ্টিত তাহার চতুদ্দিকে পরিখা নগর রক্ষণোপযোগী ছুর্গ বুরুজাদিতে শোভিত ছিল। ব্রিটিশ গভর্মেণ্টের অধীনে আসিবার পর হইতে উহার পূর্বতন ৩০ ফুট উচ্চ প্রাচীর ভগ্ন হওয়ায় ১৬ ফুট উচ্চ প্রাচীর তৈয়ারী করা হইয়াছে প্রাচীরের চতুষ্পার্্ববন্তী পরিখার পরিবর্তে এখন নানা জাতীয় স্থন্দর সুন্দর বিটপী- শ্রেণী সুশোভিত স্থরম্য উদ্ভানে নগরের সৌন্দর্য বুপরিমাণে বদ্ধিত হইয়াছে কেবল উত্তরদিকের অংশ এখনও খালি আছে।

_ মুরজাহীর সমাধি-_জাহাগীরের সমাধি দেখিয়া ফিরিবার সময় পথে জাহাগীরের প্রিয়তম! মেহের-উন্লেসার (নারীকুলের চন্দ্র) সমাধি দেখিতে গিয়াছিলাম। যে অদ্বিতীয় রমণীকে লাভ করিবার জন্য সম্রাট হুইয়াও জাহাগীর আশ্রিত বীরশ্রেষ্ঠ শের আফগানকে অন্যায়রূপে বধ করাইয়া- ছিলেন, এই খানে সেই সকল সৌন্দ্যললামভ়ূতা মেহের-উন্লেসার দেহাবশেষ নিছিত ছিল; কিন্ত কই? তাহা আজ আর দেখিলাম না' রাবীর প্রবল ক্রোতবেগে তাহার সমাধি-মন্দির,__সেই উচ্চ অট্টালিকা, এমন কি তাহার কবরের শেষচিন্ন পর্য্যন্ত ভাসাইয়া গিয়াছে এখানে দাঁড়াইয়া পদতল বাহিনী রাবীর সেই কলনাদের মধ্যে কি শুনিতেছিলাম 1 রাবী যেন বলি- তেছিল-__হে পাস্থ! একবার রূপগনিরিত৷ ভূবনমোহিনী মেহেরের কথা ভাব! যে শের আফগান বিবাহিত! পত়ীরূপে মেছেরকে প্রাণ দিয়া ভালবাসিত-_ যে সেই রূপসীকে পাইয়া জগৎসংসারকে স্ুখাগার বলিয়! স্থির করিয়া- ছিল,_সেই বীরশ্রেষ্ঠ শের আফগানের মৃত্যুতে জাহাগীরের প্রেম- আবল্যে-মুগ্ধা, কালসাপিনী নুরজাহীা, প্রণয়ীর চরণতলে আত্মবিক্রুয় করিয়া ভারতেশ্বরী হইল এই বিবাহ দিবসে তাহার হৃদয়ে কি এক পলকের নিমিততও মৃত-পতির স্মৃতি জাগরিত হইয়৷ এক বিন্দু জশ্রঃ বিসর্জনের

১৬৭.

অবকাশ দেয় নাই ! এই সংযোগ কাহারও সখের হয় নাই। প্রথমে শের আফগান দ্বলিল, পরে মোগল সাম্রাজ্য ভ্রলিল, শেষে সম্রাট জাহাগীরকে পণ্ড করিয়া ফেলিল! কালে নুরজাহান গিয়াছে-"জাহাগীরও গিয়াছেন_ নুরজাহার কবরস্থানটুকু পর্য্যন্ত কালবশে নদীকোতে লোপ করিয়! দিয়াছে ; কিন্ত এই দুইজনে জগতে যে অভিনয় করিয়া গিয়াছেন, তাহা! কি কখনও লুপ্ত হইবে ? সেই কলঙ্ক-রেখ মুছিয়া ফেলিতে কালের কি সাধ্য হুইৰে? লাহোরের প্রাচীন দর্শনষোগ্য স্থানগুলি ব্যতীত বর্তমান ইংরেজ গভর্মেন্ট নির্্িতি চিফকোর্ট, গভর্মেন্ট হাউস প্রভৃতি আরও কতক- গুলি ইফ্টকালয় দর্শনষোগ্য এতন্ডিন্ন পঞ্জাব ইউনিভাসিটি সেনেট হল (ইহা দেশীয় রাজ! নবাবরৃন্দের চাদায় প্রতিষ্ঠিত), ওরিএণ্টেল কলেজ, লাহোর গভর্মেপ্ট কলেজ, মেডিকাল স্কুল, সেণ্টাল ট্রেনিং কলেজ, ল-ন্কুল, ভেটারিনারী স্কুল, লাহোর হাই স্কুল, মেও হাসপাতাল, এগ্রিহটি- কালচারাল সোসাইটি গৃহ প্রভৃতিও দেখিবার জিনিব। স্থানের রেলওয়ে ফ্টেসনটি দেখিতে বড় স্বন্দর। ইহার ছুই পার্থে দুর্গের স্তন্তের স্যার ছুইটা স্তসম্ত মাছে উহার উপর হইতে ইচ্ছানুযায়ী গোলা-গুলি নিক্ষেপও মিয়ানমীরের করা যায়। লাহোরের অনতিদূরে স্থপ্রসিঙ্ধ মিঞা-মীরের ছাউনি। ছাউনি। তথায় বহু সংখ্যক বিলাতী দেশীয় সৈন্য অবস্থান করে। আমাদের সৌভাগ্যবশতঃ আমরা এখানকার সৈগ্ভাদের একটা বিশেষ প্যারেড দর্শন করিতে পাইয়াছিলাম_ সেদিন স্থানীয় লাট সাহেবও উপস্থিত ছিলেন। লাহোরে বিষয়কার্ধ্য উপলক্ষে বহু বাঙ্গালী বাস করিয়া থাকেন, তাহাদের ঘত্বে এখানে একটা কালীবাড়ী, একটা পুস্তকালয়, একটী বিদ্যালয় এবং একটা নাষট্য- সমিতি আছে। আমরা কালীবাড়ীতেই “দিব্য আরামের সহিত বাস! করিয়াছিলাম অবসর সময়ে পুস্তকালয় সমুহ হইতে পুস্তক খবরের কাগজ ইত্যাদি পাঠ করিয় প্রতিষ্ঠাতা মহোদয়দিগকে আন্তরিক ধন্যবাদ দিয়াছি। বাঙ্গালীর ছেলে-মেয়েরা বাহাতে সুদূর পঞ্জাবেও একবারে ষাতৃ- ভাবা বিস্মৃত ন! হয়, তছুদ্দেশ্যেই এই বিদ্যালয়টি স্থাপিত। একদিন নাট্য- সমিতির অভিনয় দেখিলাম। সুদুর পাঞ্জাবে সাহাদের অভিনীত মেঘ

5

নানাকথা

ভারত-ভ্রমণ |

আমাদের বিশেষ মনোরঞ্জন করিতে সমর্থ হইয়াছিল। শুনিলাম আমাদের কলিকাতাবাসী নটকুলশেখর অদ্ধেন্দুশেখর মুস্তফী মহাশয়ই যখন এখানে অবস্থিতি করিতেন, তখন তাহারই ষত্বে পরিশ্রমে এই দূর প্রবাসে বাঙ্গালী যুবকগণের মধ্যে নাট্যামোদের প্রথম প্রতিষ্ঠা হয়। তিনি এখানে অবস্থানকালে তাহারই নেতৃত্বে কাশ্মীর-রাজ-প্রাসাদে বাঙ্গালীরা নাট্যাভিনয় করিয়া আসেন অদ্দধ্েন্ুবাবুই নিজে হিন্দীতে “সীতার বনবাস' এবং গুরু- মুখীতে “বুড়োশালিকের ঘাড়ের রৌ”--পাখণ্ড ভকত' নাম দিয় অনুবাদ করিয়া সেখানে অভিনয় করিয়া আসেন। ধন্য তীহার ক্ষমতা ! এই স্থদূর প্রবাসে আসিয়াও তাহার নাটকীয় প্রতিভার এবং নাট্যামোদ-প্রতিষ্টা- রূপ একমাত্র ব্রতের সংবাদ পাইয়। বিশ্মিত হইলাম এখানকার লোকে এখনও কুতন্ভ্-হদদয়ে তাহার স্মৃতি বহন করিতেছে যেখানে অধিক বাঙ্গালী সে স্থানে দলাদলি থাকিবেই থাকিবে লাহোরে তাহার ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হইল না। আমর! আমাদের ক্ষুদ্র শক্তিদ্বারা এইরূপ সামান্য বিষয় মীমাংসা করিতে চেষ্টা করিয়াছিলাম, কিন্তু কৃতকাধ্য হইতে পারি নাই ; সর্ন্বোপরি সময়াভাবও বটে। প্রবাসে বাঙ্গালীতে-বাঙ্জালীতে কোনওরূপ বৈরভাৰ থাক! সর্দতোভাবেই অযৌক্তিক লাহোরের জনসংখ্যা ১,৭৫১,০০০ | লাহোরের রাস্তাশুলি অধিকাংশ স্থলেই বক্র এবং সরু। অট্রালিকাসমূহ অধিকাংশই উচ্চ এবং শ্রেণীবদ্ধভাবে বিনিশ্মিত থাকায় নগরের তাদৃশ সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পায় নাই।

নগর-প্রাচীরের বহির্ভাগে লাহোরী দ্বারের সম্মুখভাগ হইতে ষে রাস্তা বরাবর দক্ষিণমুখে গিয়াছে, উহাই সদর-বাজার রাস্তা বা আনার-কলির রাস্তা নামে পরিচিত। আনার-কলির পূর্বদিকে প্রায় তিন মাইলব্যাপী স্থান ডোনাল্ড-টাউন নামে অভিহিত এস্থানে লরেন্স-উদ্ভান গভণর্মে ন্ট হাউস এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ ইউরোপীয় গভর্মেন্ট কর্ম্মচারিগণ বাস করিয়া থাকেন। স্থানীয় ভূতপূর্ন্ব ছোট লাট সার ডোনাল্ড মাক্লাউডের নামান: সারে স্থানের নাম ডোনাল্ড-টাউন হইয়াছে। এই ডোনাল্ড-টাউনের মধ্য দিয়াই মল (11411) নামক স্থপ্রশস্ত এবং সুন্দর রাস্তাটি আনার-কলি পর্য্যন্ত গিয়া মিলিত হইয়াছে

১০৪.

১2৮2২

লাহোরের শিল্পকাধ্য উল্লেখযোগ্য এখানকার রেশমীবন্ত্র,। শাল, সোনালী রূপালী সাচ্চা জরী, পাথরের খেলন! ইত্যাদি উদ্যোগ 4. এখানে আধুনিক সভ্যতার যৌবন-্রী পূর্মাত্রায় বিরাঁজমানা বেজল ব্যাঙ্ক, আগ্রা! ব্যাঙ্ক, সিম্লা ব্যাঙ্ক, এলায়েন্স ব্যাঙ্ক অব্‌ দিনত কি কতকগুলি ব্যান্কও এখানে প্রতিষ্ঠিত আছে |

রঃ ৯৯৫.

ল্রাবভনন্সিতিও ?

_ ভলাহোরের সংলগ্র বাদামীবাগ ফ্টেশন হইতে রাবলপিশ্ডি রওয়ানা হইলাম। পথে উজিরাবাদ, লালামুসা, বিলম প্রভৃতি প্রধান প্রধান স্থান এবং রাবী (ইরাবতী) চিনব (চন্দ্রভাগা ) ঝিলম (বিতস্তা) প্রভৃতি পঞ্চনদের স্থুবিমল আোতম্থিনী সমুহের উপরিস্থিত সুন্দর স্থন্দর সেতু দর্শনাস্তর হৃদয়ে অনির্ববচনীয় তৃপ্তি কৌতুহল জনিত সুখ অনুভব করিতে লাগিলাম। উজ্জিরাবাদ হইতে কাশ্মীর বা তূম্বর্গে যাইবার রেলবর্্ব আরম্ত হুইয়া শিয়ালকোট দিয়া প্রসিদ্ধ জন্ধু পধ্যন্ত বিস্তৃত হইয়াছে আর লালমুসা হইতে অপর একটা লাইন আরম্ত হইয়! পিগুদাদন খা, বুখার, দেরাদিন- জানা, মজ:£ফর গড় সেরস! প্রভৃতি স্থান হইয়া মূলতান পর্ধ্যস্ত বিস্তৃত হইয়াছে। এই অভিনব লাইনকে “সিগু সাগর রেলওয়ে কহে। লালামুসা অতিক্রম করিয়াই আমাদের বাম্পীয় শকট পার্বত্য পথে অগ্রসর হইতে লাগিল। গাড়ীর ভিতর হইতে উভয় পারের দৃশ্য পরম রমণীয় দেখাইতে- ছিল। নীরব গন্তীর ভাবে উত্ত্ন গিরিশ্রেণী উন্নত মন্তকে দণ্ডায়মান তদ্গাত্রে শ্যামল বনরাজির অে শোভমানা, রজত-ধারা-বাহিনী, উপলঘাতিনী, স্বাদুনীরা নির্বরিণীসমূহ উপবীতের ম্যায় দোছ্যুলমান থাকায় প্রতি মুহুর্তে হৃদয়ে আনন্দ-উচ্ছাস বিকশিত করিয়া দিতেছিল। আমাদিগকে এই পার্বত্য পথে কখনও উর্ধে, কখনও নিন্সে কখন ঝ! স্থুরক্জ (টনেল) পথে যাইতে হইয়াছিল। বেলা ৭৩৩ মিনিটের সময় বাদামীবাগ ফেঁশন হইতে রওয়ান হইয়াছিলাম আর রাত্রি ৮১৩ মিনিটের সময় গাড়ী আসিয়া রাবলপিগ্ডি ফ্টেশনে উপনীত হইল আমরাও গাড়ী হইতে জবতরণ করিয়া ব্রেকভ্যান হইতে লেপ-তোধকাদি শীতবন্ত্রের অন্যান্য দ্রব্যাদি বুঝিয়৷ লইয়া, রাস্তি প্রায় দশঘটিকার সময় একখান! গাড়ী ভাড়া! করিয়া নগরের দিকে রওয়ান। হইলাম। এখানকার কমিসারিয়েটের হেড্‌-এসিফ্টাণট শ্রীযুক্ত বাবু ব্রজ- মোহন মিত্র মহাশয়ের নিকট আমাদের একখানা অনুরোধ চিঠি ছিল, কিন্তু এত রাত্রিতে একজন ভদ্রলোকের বাসায় গিয়৷ তাহাকে বিরক্ত

১৩৬

1121১) 59 51585

করা অন্যায় বোধে কালীবাড়ীর উদ্দেম্টেই রওয়ানা হইলাম। তথাকার. মায়ের সেবক ব্রক্মচারী শ্রীযুক্ত ভূষণচন্দ্র ভটচার্য্য মহুশিয় আমাদের আগমনে সসন্ত্রমে গাড়ী হইতে লইয়া গেলেন এবং অবস্থানের শয়ন ভোজনের বিশেষ স্থবন্দোবন্ত করিয়া! দিলেন। আমরাও সুদূর প্রবাসে এইরূপ সর্বপ্রকার স্থবিধা শান্তিলাভ করিয়া সেই অনস্ভতের উদ্দেশে হৃদয়ের কৃতজ্ঞত৷ না জানাইয়া থাকিতে পারিলাম না আহারান্তে নিদ্রার আরাম- দ্রায়িনী শান্তিময় ক্রোড়ে ঢলিয়া পড়িলাম।

রজনীতে মুষলধারে বৃষ্টি পতিত হইতে লাগিল্স। এটরিরানৃনর হইয়া উঠিল। আমরাও শীতবস্ত্র জড়াইয়া জড়সড় ভাবে প্রগাঢ় নিত্রা গেলাম। পরদিবস গাত্রোথান করিতে বেলা প্রায় আটটা বাজিয়া গেল। দ্বারো- দঘাটন করিয়া! দেখি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, সূষ্য্যের সহিত দেখা নাই, অরুণদেব বরুণদেবের নিকট পরাভূত হইয়া রহিয়াছেন। ইতিমধ্যে উল্লিখিত ব্রহ্মচারী মহাশয় আমাদের শয্যাপার্শে আসিয়া উপবেশন করিলেন এবং নানাবিধ সদালাপ করিতে করিতে কহিলেন, “আপনারা যে পরিমাণ শীতবন্্ লইয়া চলিয়াছেন, তাহা পূর্বাঞ্চলের পক্ষে প্রয়োজনাতিরিক্ত হইলেও এদেশের পক্ষে উপযুক্ত হয় নাই, কারণ আপনারা এস্থান হইতে যতই পশ্চিমদিকে অগ্রসর হইবেন, শীতের প্রকোপও ততই অধিক অনুভব করিবেন, অতএব এস্থান হইতে আরও কিছু শীতবন্ঞ্র ( পশ্মী কাপড়) সংগ্রহ করিয়া লউন 1” ব্রহ্মচারী মহাশয় বৃদ্ধ প্রাজ্ঞ তাহার এই উপদেশানুষায়ী কার্য করিতে অস্বীকৃত হইলাম না।

প্রাতঃকৃত্য সমাপনান্তে একখানা অশ্বশকটে আরোহণ করিয়া ছাউনী- বিভাগের সমুদয় স্থান দর্শন করিলাম, এখানকার ন্যায় বৃহৎ সেনাবাস ভারতের আর কোথাও নাই--নগরের নিকটে মধ্যে মধ্যে ছাউনি বসাইয়া দুর্গ নিল্মীণ করিয়। ইহা! স্রক্ষিত করা হইয়াছে। কেল্লার সম্মুখেই কয়েকজন হাইল্যাপ্ডার্স সৈনিক দেখিতে পাইলাম আমরা মুরাদাবাদ আ্মাগ করিয়া এইক্ধপ হাইল্যাপ্ডার্স সৈন্য অর দেখিতে পাই নাই। অঞ্চলের লোকেরা সাধারণতঃ ইছাদ্দিগকে লেংটা গোরা কহিষা থাকে বাস্তবিকই ইহারা নগ্ন; পায়ে ফুল মোজা, ০০ ধান করে এরং

ভারত-ভ্রমণ

হাটু পর্যন্ত লম্বা একট! গাউন ত্বার৷ সমস্ত শরীর আবৃত করিয়া রাখে, কাজেই সহজে ইহাদ্দিগকে উলঙ্গ বলিয়া অনুমান করা স্থকঠিন ইহারাই গভর্মেন্টের প্রিয় অর্থাৎ শক্তিশালী সৈন্ত

মাধ্যাহ্নিক ভোজনান্তে পুনরায় নগর দেখিতে বাহির হওয়া গেল। প্রথমতঃ স্থুজন বাবুর মনোহর উদ্চান এবং তন্মধ্যস্থ তাহার স্থরম্য হস্ম্য দর্শনে পরমাহলাদিত হইয়া ইতন্ততঃ পরিভ্রমণ পূর্ববক বাজারে উপনীত হইলাম। সঙ্গে ব্রহ্মচারী মহোদয়ও আসিয়াছেন, তাহার শীতবস্ত্রের উপদেশটা মনে আছে। আমরা দোকানে যাইয়া কেহ কম্বল, কেহ ধূসা, কেহ কোট কেহ পটু, ক্রয় করিলাম। পট, এক প্রকার পশমী বন্ত্র-বিশেষ, দৈর্ধ্ে প্রায় বিশ হাত, প্রস্থে এক হাতেরও কিঞ্চিৎ ন্যুন। ইহা কাশ্মীর অঞ্চলে প্রস্তুত হইয়া থাকে বনাত কাশ্মীর প্রভৃতি গরম কাপড় অপেক্ষাও ইহা সমধিক উষ্ণ ইহার এক একটী থানে এক একজন পরিণত বয়স্ক ব্যক্তির একটা কোট, একটা পেন্ট,লান এবং একটা ওয়েষ্ট কোট হইয়া থাকে

রাবলপিণ্ডি সাধারণতঃ পিপি” নামেই অভিহিত হইয়া থাকে এস্থানেই কাবুলের আমীরের অভ্যর্থনাসূচক বৃহশ্ড দরবার হইয়াছিল বড়লাট ডফ্রিপণই উক্ত দরবার আহ্বানের মূল এবং তিনিই স্বয়ং উ“হার অন্যর্থনাকারী ছিলেন। দরকারের স্ছলটি বিশেষ প্রশস্ত

রিটন চ্জনাজি রন্ধন কারন হইয়৷ জন্তু পর্যন্ত গিয়া স্থগিত আছে। ইহার পর পর্বততেদ করিয়া কতদিনে কাশ্মীরে উপস্থিত হইবে, তাহা ভবিষ্যদগর্ভে নিহিত

বর্তমান সময়ে রাবলপিগ্ড হুইয়াই কাশ্মীর যাওয়া সুবিধা এবং ভ্রমণ- কারিগণ এই রাস্তাতেই গিয়! থাকেন। সেদ্দিন কলিকাতা শ্যামবাজারনিবাসী জ্রীযুক্ত আশুতোষ মিত্র মহোন্য়ও এঁ পথেই কাশ্মীর গমন করিলেন। ইনি কাশ্মীর-রাজসংসারের ডাক্তার এবং প্রবাসী বঙ্গবাসীর মধ্যে ইহার নাম বিশেষরূপে উল্লেখযোগ্য

বাঙ্গালীর ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য কালী-বাড়ীতে একটা বিষ্ভালয় স্থাপিত আছে এতদ্যতীত গভর্মেপ্টেরও একটা উচ্চ-শিক্ষাদানোপযোগী বিষ্ভালয় ;এখানে দেখিলাম এখানে যে কয়েকজন বাজালী জাছেন, তাহাদের

৯১৩৮৮

প্রায় সকলের সহিতই আমাদের সাক্ষাৎ আলাপ পরিচয়াদি হুইয়াছে। বাবু জারির রর ইহার: ্যায় নিরহকার আনারিক লোক: অতি অল্পই দেখিতে পাওয়া যায়। এস্থানে জলের কল থাকায় পানীয় জলের নিমিত্ত কোনও কষ্ট পাইতে হয় না। অধিবাসীর মধ্যে মুসলমানই বেশী। মট্টী যাইতে এখান হইতে পাঁচ ঘণ্টার অধিক সময় লাগে না। পঞ্জাবের মধ্যে রাবলপিণ্ডিই সর্ববশ্রেষ্ঠ স্বাস্থ্য-নিবাস। ছোট ছোট পাহাড়ের উপর বারাক বাড়ী নিশ্মিত হওয়ায় দেখিতে পরম রমণীয় হইয়াছে যদিও রাবলপিণ্ডি ভারতের সীমান্তবর্তী নগর নহে, তথাপি এইখানেই বহুসংখ্যক সৈ্য বাস করে। ইহার চতুদ্দিকেই পার্ববত্যজাতির উৎপাতের কথা শুনিতে পাওয়া ষায়। শীত এখানে অত্যন্ত বেশী। এখানকার নদীর উপরে ষে নৌ-সেতু আছে, তাহা! অপর পারে আটক নগরের দুর্গ কর্তৃক সুরক্ষিত এখানকার সমস্ত সেনানিবাস সহরের কেল্লা আটকের কেল্লার মধ্যস্থলে হওয়ায় বিশেষভাবে স্থরক্ষিত। ছাউনির নীচে নদীর নাম লেহ। মচী এখানকার সৈম্থগণের রোগনিবাস। সেখানকার ক্রয়ারী অর্থাৎ মদ-চৌলাই করিবার কাঁরখান৷ একটি দেখিবার বিষয় বটে, কিন্তু আমাদের যাওয়া ঘটে নাই আটক পার হইয়া পেশোয়ার ষাইতে হয়

১৬০)

৫০%পশ্শোক্সাম্ |

অ্সীমরা রাবলপিগ্ডি হইতে পেশোয়ার যাইবার পথে মহাভারতোক্ত

অত্যাশ্চর্য্য শিল্পচাতুর্ধ্য বিশিষ্ট ছূর্য্যোধনের একটা ছুর্গ তক্লিন্গে পুণ্য- সলিল সিন্ধুনদ এবং নদোপরি ইংরেজের শিল্পনৈপুণ্যের চিহ্ন স্বরূপ স্দৃঢ় সেতু দর্শনে আপনাদিগকে যারপর নাই কৃতার্থ জ্ঞান করিয়াছিলাম। স্থানীয় প্রবাদ, আটকের ছুর্গটী দুর্য্যোধনেরই নির্মিত। সিন্ধুনদ দেখিয়া কত কথ! মনে হইল; কি হিন্দু রাজত্বে, কি মুসলমানরাজত্বে এই সিম্ধু- তীরে কত যে অস্ভুত কার্য সম্পন্ন হইয়া গিয়াছে, তাহা নির্ণয় কর! স্কিন এই পথেই সর্বব প্রথম আধ্যসভ্যতার বিকাশ, সেই অতীত- কাহিনী স্মৃতি-পথারূঢ় হইয়া চিত্বকে যুগপৎ বিস্ময়, হর্য আক্ষেপে অভিভূত করিয়া তুলিল। সিন্ধুনদকে ভারতের দ্বারস্বরূপ বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। একদিন এই পথেই দুদ্ধর্য তৈমুর ভারতে প্রবেশ করিয়া শোণিত-্োতে চতুদ্দিক প্লাবিত করিয়া দিয়াছিল ! নাদিরের প্রবলাক্রমণ এই পথ দিয়াই হইয়াছিল ! এই পথেই স্থলতান মামুদ বার বার লুখনব্যপদেশে সোনার ভারতে প্রবেশ করিয়াছিল! হায়! সিন্ধু, তোমার প্রবলতরজ তখন কোথায় ছিল? তুমি কোন্‌ মায়াকুহকে বন্ধ হইয়া এই সোনার মন্দিরের দ্বার খুলিয়! দিয়াছিলে ? মনের দুঃখে কবি গাহিয়া! গিয়াছেন

“একতায় হিন্দুরাজগণ

স্থখেতে ছিলেন সর্ববজন

সেভাব থাকিত যদি

পার হয়ে সিন্ধুনদী

আসিতে কি পারিত ষবন ?”

এখন অতীতের শোকোচ্ছস বিড়ন্বনামাত্র পেশোয়ারে উপনীত হুইবার পূর্বে অনেকেই আমাদিগকে নানারূপ বিভীষিক! প্রদর্শন করিয়াছিলেন, কিন্তু আমরা নিখিল-শরণের শ্রীচরণ স্মরণ করিয়া নির্ষ্িক্ষেই তথায় উপনীত হইলাম আমাদের নিকট কয়েকখানা অনুয়োধপত্র ছিল, তাহা থাকা

55

সকধেও আমরা কোনও বাক্গালী বাবুর বাসায় গমন না করিয়া! কালীবাড়ীতেই আডগা লইয়াছিলাম। অঞ্চলে অর্থাৎ আদ্মালা, সিম্লা, জলম্ধর, লাহোর, রাবলপিপ্ডি, পেশোয়ার মূলতানে এক একটা কালীবাড়ী সংস্থাপিত থাকার নবাগত ভিন্নদেশবাসী পর্যযটকগণের পক্ষে অবস্থানের জন্য কোনওযাপ রঃ অন্চ্ছন্দতা ভোগ করিতে হয় না। |

পেশোয়ার ভারতবর্ষের সীমান্ত প্রদেশস্থ সমতল ভূমির পর ব্ি অধিবাসীর মধ্যে অধিকাংশই মুসলমান এস্থান হইতে কাবুল লোয়াট- ( স্থবাস্ত ) নদীর স্ঙ্গমস্থল প্রায় ৬॥ ক্রোশ দূরে অবস্থিত পেশোয়ারের তলদেশ-প্রবাহিণী নদীর নাম বারা__ইহা আকারে একান্ত ক্ষুদ্র : রঃ

পেশোয়ার জেলায় পেশোয়ারই প্রধান নগর এবং বিচার-বিভাগীয় সদর এম্বান হইতে নয় মাইল পশ্চিমদিকে জামরূড নামক একটী দুর্গ আছে। এই জামরূড হইতেই কাবুল যাইবার "খাইবার পাস” নাষক সংকীর্ণ গিরিপথ আরম্ত হইয়াছে। তথায় গভর্মেন্টের একদল দেশীয় সৈন্য বাস করে। তাহাদিগকে 71:017061 79110 কহে জামবরাড অতিক্রম করিয়া যাইতে হইলে, পলিটিকেল এজেন্ট সাহেবের পাস আবশ্যক সজে রক্ষক লওয়াও প্রয়োজন এবং সে জন্য ফি'ও দিতে হয়। খাইবারের পথ নিতান্তই বিপজ্জনক পেশোয়ার হইতে জামরূড যাইতে যঙ্কারাজ রণজিশসিংহের সৈল্যাধ্যক্ষ হরিসিংহের একটা ছূর্গ পাওয়৷ যায়, ছুর্থটী_ সেরপুর নামক স্থানে স্থাপিত। ছূর্গের পাদদেশে সেরাপা নামক একটা শুক নদ। জামরূড ছূর্গও হরিসিংহের নির্মিত; তথায় তাহার য়াধি আছে। ছুর্গটীকে এখন বিশেষরূপে সংস্কৃত এবং সুদ কর! হইয়াছে আমরা জনৈক পাক্জাৰী সৈন্যধ্যক্ষের বিশেষ অনুগ্রহে উক্ত ছুর্গের উপরিভাগে উঠিয়৷ চতুদ্দিকের নৈসর্গিক শোভ৷ দর্শনে চরিভার্থতা লাভ করিয়াছি। দুর্গের শিখরদেশে ব্রিটিশসিংহের গৌরব-নিশান 5 রহিয়াছে এই ছুর্গ হইতেই খাইবার পাস রক্ষা হছইতেছে। | _ পেশোয়ারই উত্তর পশ্চিম রেলওয়ের পশ্চিম প্রান্ত এই শবদেই রেলের শেষ। আমরা ঘগদীশবরের অপার করুণাপুণে রেলব্সে প্রান্তসীমা

টি ). রা টি ৯১৬,

ভারত-জমপণ।

হইয়া যার পর নাই আনন্দান্ুভব করিয়াছিলাম রেল যে এখানেই সীমাবন্ধ হইয়া থাকিবে, তাছা সম্ভবপর নন্তহ-_সময়ে নিশ্চয়ই জারও - বহুদূর পর্য্যন্ত বিস্প্ত হইবে শুনিতে পাই এখন জামরূড পর্ধ্যস্ত রেলওয়েরজ্ব বিস্তৃত হইয়াছে

পেশোরারেই প্রাচীন গান্ধাররাজ্যের রাজধানী ছিল, তখন ইহার নাম ছিল পুরুষপুর। স্থদূর অতীতের সে সকল*্ঞ্পলাচীন চিহ এখানে এখন কিছুই বিদ্যমান নাই ; তবে পৃরেধে যে এস্থানে বৌদ্ধ মন্দির মঠ গোচর হয়। নগরের চতুদ্দিকে প্রায় ১০ দশ ফুট উচ্চ মাটীর প্রাচীর আছে। উহার মধ্যে মধ্যে নগর রক্ষকদের জন্য খাঁটিও বিদ্যমান আছে এই মৃত্তিকা নিস্রিত ২.প্রাচীর শিখসা্দার, অবিতাবিল কর্তৃক নির্মিত হইয়াছিল। নগর প্রবেশের নিমিত্ত ১৬টি দ্বার আছে। প্রতি দিবস দরজাগুলির মধ্যে সর্ববপ্রধান-_ইহা প্রায় পঞ্চাশফুট প্রশস্ত কাবুল হইতে আই, দ্বার পর্যন্ত বরাবর একটা সোজ! রাস্তা আছে বলিয়াই ইহার নাম কাবুল গেট হইয়াছে সহরের মধ্যস্থলে একটা গাঁথা পয়ঃপ্রণালী প্রবাহিত। ইহার জলই নগরবাসীর একমাত্র অবলম্বন এই জল কাবুলের অন্তর্গত পাবত্য লেওুয়! নদীর ঝরণা হইতে আসে ; নিমিত্ত গর্্টিকে প্রতিবসর এক নিদ্ধারিত দিনে কাবুল-গর্মেপ্টের প্রেরিত লোকের হস্তে-_কয়েক হাজার টাকা কর দিতে হয়। পেশোয়ার অধ পাঠানদের আড্ডা! বলিলে কোনও অততযুক্তি হয় না। 'আটক হইতে পেশোয়ার পরধ্যস্ত দীর্ঘ-কেশ-সগুল্ফদীর্ঘদাড়িবিশিষ, সবল, সুন্দর, দীর্ঘ, গৌর- কান্তি, পায়জামা-পরিহিত পাঠান ভিল্ন অন্য কোনও অধিবাসী দেখিতে পাওয়। যায় না। ইহার! পুস্ত নামক এক প্রকার ভাবায় কখোপকখন করিয়া থাকে কয়েক বৎসর পুর্েব পেশোয়ারে দিব! ছ্িপ্রহরে পথ্যস্ত ডাকাইতি হইত ৷. পারথবর্তী অসভ্য খাইবারিগণ নিন্ছে আসিয়া যথেচ্ছ অত্যাচার কবিরা চলিয়া যাইত। গভর্মেপ্ট এস্থানে, শান্ডি-সংস্থাপনার্থ

,নাই। কাবুল পতর্সে্টকে ইংরাজ গভর্মেন্ট প্রতিদাসে ছইলক্ষ টাকা কাঠি কর দিতেছেন, পারব্তী খাইবারী প্রধান 'শ্াধান ; যক্কিদিগকে নবাব, “হবাদার' ইত্যাদি উপাধি দিয়া মাস মাস পাঁচশত করিয়া! টাকা নিতেছেন 7 তবু কি তাহারা চুপ করিয়া থাকে? : পার্বত্য দু্র্ষ ও. অবত্য: পাঠান জাতিরা সে প্রকৃতিরই নহে। পেশোয়ারে এখন বিশেষ. কোন অত চার না থাকিলেও উহার নিকটবর্তী গ্রাফ নহে প্রায়ই দাজা হাঙ্গামাহয়। পেশোয়ার কাবুলের রাস্তা ইহা ভারতবর্ষের রাজনৈতিক তৌগোঁলিক সীমার বহির্ভাগে অবস্থিত। স্থানীয় অধিবাদিগণের মধ্যে শতকরা ৯৫. জন মুসলমান এই নগরে এক লক্ষের বেশী পাঠান বাস করে, নগরের যে স্থানেই গমন কর, পাঠান ব্যতীত অতি অল্পই অন্য জাতীয় নরনারধী তোমার দৃষ্টি- গোচর হইবে পেশোয়ার সত্য সত্যই শ্েচ্ছের নগর-_মস্জিদে- মস্জিদে, দর্গায়-দর্গায়, মক্বরায়-মক্বরায় এবং গোরস্থানে ইহা স্ুশোভিত। এমন রাস্তা নাই যেখানে গো-হত্যা না হয় এবং গোমাংসের কৌনও দোকাি না 'আছে। হিন্দুশাস্ত্রানুসারে ইহা একেবারেই শ্রেচ্ছ দেশ। কেনিও হিন্দু . অধিবাসীর কোনও উৎসবাদি করিতে হইলে কিংবা মৃতব্যক্তির সৎকারি করিত হইলে হিন্দুগণ সিন্ধু নদ পার হইয়া ভারতভূমিতে প্রবেশ করিয়া থাকেন $;- :-. পেশোয়ার নগর দুই ভাগে বিভক্ত-_-এক ভাগের নাম সহর- (9৮) অপর ভাগের নাম ছাউনী (641001017610) | ইংরেজ অধিবাসীরা কেহই সহরাংশে বাস করেন না, তাহারা ছাউনী বিভাগে বাস. (করেন। ইংরেজদিগের এখানে বড়ই উদ্বিগ্রচিত্তে বাস করিতে হয়) কারপ পাঠানগাজীর! ইংরেজের অত্যন্ত বিদ্বেধী। কোনরূপ সুযোগ 'প গাহি লে স্্হারা শ্বেতাক্জের বুকে ছুরি বদাইয়া দিতে পশ্চাৎপদ হ্র ;. এজন কি, ক্যাপ্টনমেণ্টের ভিতরে গিয়াও এই দকল উন্মত গাজীর সাহ্বদিক্ষকে নিহত করিয়া থাকে। প্রতিবৎসরই গ্রজীদের ক্র ব্‌ শ্বেতাঙ্গ পুক্ু্কে াঠাদিগের বিশেষ যোগ ঘটে; /কারদ সে ঠানপরী

ভারত-ভ্রমণ

এই. সকল পিশীচ-প্রকৃতির গাজীগণ ন্থুযোগ বুঝিয়া কোনও হতভাগ্য সাহেবের হৃদয়ের শোণিতে অসি সুরঞ্জিত করে রবিবার দিন ইংরেজেরাও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করিয়া থাকেন ; গির্জার পথে উভয় পার্খে বত পুলীশ প্রহরী এবং ব্রিটিশসৈগ্য শাণিত তরবারি হস্তে প্রহরায় নিষুক্ত থাকে _ পেশোয়ারের নগরভাগ হইতে ছাউনীর অংশ অধিক পরিষ্কৃত, সে স্থানে বহু সৈম্ত বাস করে। তথায় মোমজামার কাপড়, সৃতার কাজ, ছুরি, কাচি এবং বনু লৌহান্তবও প্রস্তত হইয়া থাকে ক্যাণ্টনমেণ্টের মধ্যে সুন্দর উদ্যান, রেস কোর্স (২০০ 0০0159) রোমান ক্যাথলিক গির্ডভ। প্রভৃতি আছে। মিসন হাউসের মধ্যে একটা অতি স্বন্দর লাইব্রেরী আছে। . মহারাজ রণজিৎসিংহের রাজত্বকালে খাইবার অঞ্চল উৎকৃষ্টরূপে শাসিত ছিল হরিসিংহ বা! হর্সিং নামক রণজিতসিংহের সেনাপতি ১৮১৮ ্বীষ্টান্দে সাহসী শিখসৈন্য দ্বারা পেশোয়ারীদিগকে এরূপভাবে দমন করিয়াছিলেন যে অগ্ভাপি পেশোয়ারিগণ তাহার নামে শিহরিয়া উঠে হিন্দু- নরনারী শিখদিগের প্রতি পাঠানেরা যেরূপ উপদ্রব করিত, হরিসিংহ তজ্রপ দণ্ড দিতে পশ্চাশুপদ হন নাই। ত্রাহার কঠিন-শাসনে এই ছুদ্ধর্ম পাঠানও মেষ-শীবকের মত নিরীহ হইয়! উঠিয়াছিল। ২৭ বশুসরের যুবক সেনাপতি হরিসিংহের এইরূপ অসাধারণ বীরত্ব কঠোর-শাপনের নিমিত্তই রণজিত- সিংহের শাসনসময়ে পাঠানগণ কোনও রূপ অত্যাচার করিতে সাহসী হয় নাই। হুরিসিংহকে ভীষণ নৃশংসতার সহিত ইহাদিগকে দমন করিতে হয়।. কথিত আছে যে, তাহার কঠিন আদেশে খাইবারিগণ গবাদি পশুর ন্যায় (জলাশয় হইতে ) মুখ ডুবাইয়া জলপান করিত এবং শয়নকালে প্রথমতঃ বক্ষভাগ শব্যায় স্থাপন করতঃ (উবুড় হইয়া ) শয়ন করিত, তরবারের সুষ্ঠ কাহারও রাখিবার অনুমতি ছিল না-_কেহ রাখিতও না খাইবারিগণ এখনও যেন হরিসিংহ জীবিত আছেন, এইরূপ বিবেচনা করিয়৷ উক্ত প্রথা সকল পরিত্যাগ করে নাই। পেশোয়ারের মধ্যস্থলে একটা স্থান আছে, তাহার নাম “হরিসিংহের মাতম্”__এম্থানে বীরেন্দ্র হরিসিংহের তরবারির আঘাতে সহজ্জ সহজ পাঠান নিহত হইয়াছিল, অগ্ঠাঁপি পাঠানেরা এই মাতম্‌

গা ২১5

৯১৪ |

হরিসিংহ যেরূপ ভাবে পাঠানদিগকে দগুপ্রদান করিতেন, আমর পাঠকবর্গের কৌতুহল নিবৃত্তির জন্য এস্থানে তাহার. একটা লিপিবদ্ধ কন্িক 2 পতিদিগকে ধৃত করিয়া একত্র উপরেশন করাইয়া, তাহাদের, মধা্থানে একী বৃহদাকার স্ৃগ্য়পাত্রে তপ্ত অঙ্গার রাখা হইত এবং মনেই অঙ্গারপূর্ণ স্রাড়িতে শুষ্ক লঙ্কা-মরিচ নিক্ষিপ্ত হইত। পাঠানের! সেই ধূমে. কাসিতে কাসিতে প্রা ত্যাগ করিত। বড় বড় লম্বমান দাড়িযুক্ত পাঠানদিগের পরস্পরের. দ্বাঁড়িতে দাড়িতে বাঁধিয়া তাহাদের মাথ! ফাটাইয়! দেওয়া হইত। কাহাকেও বা উন্মস্ত সারমেয় বা শুগালের দ্বারা দংশন করান হইত.। কাহাকেও উর্ধপ্দ এবং অধোশির করিয়া বৃক্ষশাখায় ঝুলাইয়! শাণিত ছুরিক-দ্বারা তাহার . গায়ের চণ্ম খুলিয়া ফেলা হইত ।-_এইরূপ ব্যবহার নৃশংসজ্নোচিত কি না, তাহার বিচার করিতে চাহি না, কিন্তু নিরপরাধ শিখ হিন্দু পুরুষ এবং সতী ক্ত্রীলোকদিগের উপরে পাঠানেরা যে সয়তানী ব্যবহার করিয়াছিল, তাহাতে তাহারা যে কঠোর দণ্ডের উপযুক্ত ছিল, তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই। এখানকার বাজারে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি মমুদয়ই পাওয়া যায়। মাংস এখানে খুব সম্তা। এস্থানের তুল, অত্যন্ত প্রসিদ্ধ, আমরা ১৫২ পনের টাকা মণের একমণ তগুল ক্রয় করিয়া দ্বেশে পাঠাইয়াছিলাম। তলের মণ ২০২ কুড়ি টাকা পধ্যন্তও এখানে আছে। আঙ্গুর, কিস্মিস্‌ ইত্যাদি ফল এখানে অত্যন্ত সম্ভা। আম্নরা যেরূপ আঙ্গুরের বাঝ্স এবং কিস্মিস্‌ আমাদের দ্রেশে দশ আনা বারো-আনায় ক্রয় করিয়া থাকি, পেশোয়ারে তদপেক্ষা উৎকৃষ্ট জিনিষের মূল্য টি আনা তিন আনার অধিক নহে। |

পেশোয়ারে পলিটিকেল এজেন্ট, কমিশনার প্রভৃতি কয়েকজন, বিচারক আছেন। ফৌজদারি বিচার-সম্বদ্ধে ভারতীয়. দগুবিধির ৪৫ আইন ব্যতীত ক্রিশ্টিয়ার ল” নামে আর একখানা! আইন আছে। হননকারীর অনুকূলে যাহার! সহায়তা করে, তাহাদের প্রতিও গুরুতর্‌ দণ্ড ব্ধান হ্য। পেশোয়ারে: বাঙ্গালীর সংখ্য। খুব অল্প।. আমরা. যখন: গিয়াছিল (সেখানে মাত্র তিন চাঁরি জন বাজালী ছিলেন. আমরা এখানকার বাঙালীদের সঙ্গে আলাপ পরিচয়ে বিশেষ মাননালাভ; করিয়াছি ।. কমি-:

সারিয়ে বড় বাবু লোক: সদাশয় লোক, একবার উহার সি আলাপ পরিচয়াদি হইলে, তাহাকে ভোলা! . যায় না। তিনি আমা- দিগকে একদিবস ভবীহার বাসায় নিমন্ত্রণ করিয়া দক্ষিণহন্তের ব্যাপারট। উত্তমরূপে. সম্পাদিত রুরাইয়াছিলেন। পেশোয়ারের এই ক্কালীমন্দিরটি অনেকদিনের প্রাচীন, কিন্তু সৌভাগ্যের বিষয় এই যে মুসলমানেরা এপর্য্যস্ত এই দেবীমন্দিরের প্রতি. কোনওযপ অত্যাচার করে নাই। পূর্বে নাকি এখানে “বঙ্গসাহিত্য সভা” একটা “বাঙ্গালা পাঠাগার ছিল, দুর্ভাগ্যের বিষয় এখন. আর তাহা নাই। এই নগরে বড় ঘন ঘন ভূমিকম্প হইয়া থাকে,_সময় সময় মাসে পাঁচ সাতবার করিয়াও ভূমিকম্প হইতে দেখা যায়, বোধ হয় এইনিমিত্তই এখান- কার অধিকাংশ গৃহ কাষ্ঠনিশ্মিত। পেশোয়ার ব্যবসায়ের একটা কেন্দ্রস্থল। পারশ্য পেশা শব (ব্যবসায়) হইতে পেশোয়ারের নামোতপঞ্তি 'হইয়াছে। হিন্দী উচ্চারণ-_-“পেশাবর” |

রাত্রি দশঘটিকার পরে কাহারও আলোকব্যতীত পথে চলিবার অধিকার নাই। হাতে কোনওরূপ আলোক না থাকিলে কিংবা তিনবার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উত্তর না দিলে, অমনি প্রহরীদের হস্তে দণ্ডিত হইতে হয়, এমন কি গুলি পধ্যন্ত করে। . খাইবারিগণ কাষ্টাদি বিক্রয়োপলক্ষে পেশোয়ারে আসিয়া থাকে আমরা একদিবস নগরভ্রমণকালে অনেকগুলি খাইবারীকে একত্র দেখিয়া কিছু শঙ্কিত হইয়াছিলাম। ইহারা নরাকার পশুবিশেষ-- গারো, কুকী প্রভৃতি অসভ্যজাতি অপেক্ষাও ইহাদের ব্যবহার জঘন্য পেশোয়ার নগরের একক্রোশ পশ্চিমদিকে এখানকার স্থবিখ্যাত গোরাবাজার (1115 00001711৩00 অবস্থিত। ১৮৪৮৯ খ্রীষটাব্জে এই. নগর ইংরেজদিগের অধিকৃত হয়। রেসিডেপ্ট সাহেব ছুরানী সর্দার আলী- মার্দীন খীর উদ্ভানবাটীতেই বাস করিয়া থাকেন__দপ্তরখানা, রাজকোষ প্রভৃতি এখানেই স্থাপিত-_এই সৈনিকনিবাস তিনটা শ্রেণীতে স্থুসভ্ভিত-_ সমগ্র ছাউনীর বেড় প্রায় ৮৯ মাইল পরিমাণ হইবে-_নৌসহর, জামরুড বং চেরাঁটের দুর্গ এই প্রধান দুর্গের অধীন। | আমরা গুলোই সং ক্ষুভাবে এ. নগরের বসাবণিজ্োর যা

১১৬

ছি ইহা রা মহাদেশের অন্যন্য: দেশের সহিত. ভারতীয় বাণিজ্যের কেন্দ্র স্বরূপ এ্থান হুইতে যেরূপ. শাল, চিনি, ঘ্বত, লবণ, গম, তৈল, শল্তাদি, ছুরি, কাচি এবং বিলাতী বন প্রভৃতি এসিয়ার অন্যান্য প্রদেশে প্রেরিত হইয়া থাকে, তন্রপ আবার কাবুল, বোঁধারা প্রভৃতি নানাদেশজাত অশ্ন, অশ্বতর, রেশম, পেস্তা, কিস্মিস্, পশম, ওষধি, পুস্তিন্, চোগা, স্বর্ণমুদ্রা, সোনা রূপার সুতা ফিতা ইত্যাদি নানাবিধ দ্রব্য পেশোয়ার দিয়া শরীর, | বোস্বাই, মান্দ্রাজ কলিকাতা প্রভৃতি অঞ্চলে রপ্তানী হইয়া খাকে। পেশোয়ারের জলবায়ু বিচিত্র রকমের, এখানে শীতের, সময় এরূপ ভয়ঙ্কর শৈত্য অনুভূত হয় যে ইংলশু, স্থইজারলাণ্ড প্রভৃতি পাশ্চাত্য দেশের শীতের সহিত তাহার তুলনা করা যাইতে পারে। এদিকে যেমন শীতের প্রকোপ অধিক, গ্রীব্ষের সময় তেমনি নিদাঘের খররৌদ্রের ভয়ঙ্কর উত্মতাও উপলব্ধি হয়। তখন ললু'র অত্যুঞ্ণ প্রবাহে--প্রস্তরের উষ্ণতায় _-পর্ববতের উষ্ণতায় প্রাণ ছট্ফট্‌ করে। বলা বাহুল্য যে, নবাগত অনভ্যস্ত পর্যটকের পক্ষে তাহা সহা করা অসম্ভব। মোটের উপরে পেশোয়ারের জল-বায়ু স্বাস্থ্য-প্রদ 0. আমাদিগকে জামরূড হইতেই অন্যদিকে ভ্রমণের গতি ফিরাইতে হইয়াছিল। বড় ইচ্ছা ছিল কাবুল যাই, কিন্তু সেখানে যাইতে হইলে যেরূপ আয়োজনের প্রয়োজন, তাহার কিছুই করিতে পারি নাই এবং হঠাত অপরিণামদর্শার মত সে পথে অগ্রসর হওয়া যুক্তিযুক্ত বিবেচনা! করিলাম না। জামরূড হইতেই খাইবার পাস দেখিতে পাওয়। যায়। পাঁশের উভয় পার্থে ছয়শত হইতে প্রায় সহত্র ফিট উচ্চ পাহাড়। পাহাড়ের পার্ে আবার তদপেক্ষাও উন্নত পর্ববতশ্রেণী, ইহার মধ্য দিয়া যে সংকীর্ণ বক্রপথ প্রায় দেড় ক্রোশ পর্য্যন্ত বিস্তৃত, তাহাই “পাস” নামে অভিহিত। ইহা অত্যন্ত বিপদ-সন্কুল। পদে পদে .এই পথে ডাকাইতি চুরি রাহাজানির.ভয়। জামবূডের প্রায় তিন মাইল দুরবর্তী কদম নামক আমের বর লেওুয়া নদীর জল নির্্ঘল স্থমিষ্, এই জলই পেশোয়ারে আনীত হইয়া! থাকে। ইহ পূর্বেই বলা হইয়াছে। সরকারী, ঘড়ন লই কেহ টি খিন্বে,

২১১৭

বাবসাবাণিজ্য

জলবায়ু।

ভারভ-ভ্রমণ।

যাইতে পারেন না। জামরূড হইতে প্রায় আট ক্রোশ দুরবর্তী আলি- মসজিদ পধ্যন্ত গাড়ীতে যাওয়া যায়, তৎপরে লুণ্ডিকোটাল পর্য্যন্ত ঘোড়ায় যাইতে হয়।- প্রতি মঙ্গলবার এবং শুক্রবার বণিকদিগের নিমিন্ত পাসের দরোজ। খুলিয়া দেওয়া হয়। সে সময়ে শাস্তিরক্ষার্থ ব্রিটিশ গভর্মেন্টের আফ্রিদী সৈম্ধগণ নিক্ষাসি্ট কুপাণহস্তে পাসের ছ্বার রক্ষা করিয়! থাকে মোট কথা খাইবারপাস দেখিতেও যেমন ভীষণ ইহার 'পার্খববস্তী অধিবাসপীরাও তেমনি ভয়ঙ্কর। জামরূড হইতে যখন পেশোয়ার ফিরিয়া আসি, তখন আমার ভ্রমণাশক্ত চিন্ত বড়ই ব্যথিত হইয়া উঠিয়াছিল ;--সে ষেন বলিতেছিল “অই যে তোমার নয়ন সমক্ষে তু্জ ' গিরিশ্রেণীপরিশৌভিত যবনিকা পতিত থাকিয়া দৃষ্টিপথরোধ করি- তেছে, চল একবার দেখিয়া আসি উহার অভ্যন্তরে কোন্‌ অভিনব প্রদেশের পাত্রপাত্রিগণ অভিনয় করিতেছে ! চল, যবনিকা ভেদ করি-__ প্রস্তুত হও ।” বাস্তবিক সে সময়ে আমার কৌতুহল এতদুর বৃদ্ধি পাইয়াছিল যে, অতিকফ্টে আপনাকে সংযত করিয়া ফিরিতে হইয়াছিল। ভ্রমণের একটা আকর্ষণ শক্তি আছে-_সহসা তাহার আকর্ষণ হইতে মুক্তি পাওয়া--তেমন ঘর মুখো লোক ছাড়া অপরের পক্ষে অসম্ভব। আকর্ষণী শক্তির হাত হইতে ধাহাঁরা মুক্তিলাভ করেন, তাহাদিগকে আমি হতভাগ্য বলি, কারণ জগতে জন্মগ্রহণ করিয়। যদি কেবল ব্যসনাসক্তচিন্েই দিন কাটাইলাম, _দি জগংপিতা জগদীএরের বিভিন্ন রূপ-বৈচিত্র্য অনুভব না করিলাম এবং ভিন্ন ভিন্ন দেশবাসী জনসাধারণের আচারপদ্ধতি, রীতি-নীতি না দেখিলাম, প্রাচীন ইতিহাস অধ্যয়ন না! করিলাম, তবে জীবনধারণ করিয়া কি লাভ ? ভ্রমণের ভিতর যে কি অপূর্ব শাস্তি-স্থধা নিহিত আছে, তাহা ধিনি কখনও পধ্যটনে বাহির হন নাই, তাহাকে বুঝাইতে যাওয়া ব্যতীত আর কিছুই নহে।

পেশোয়ার ভ্রমণ শেষ হইলে, আমরা পুনরায় আমাদের গতি ফিরাইয়া মূলতানের দিকে ফিরিলাম। জামরূড হইতে মুলতান আসিতে যে সকল নদ নদী সেতু এবং ঞ্ীসদ্ স্থান দৃষ্টিগোচর বাহির তাহা শুভাতার্থ নিনে বিবৃত করা গেল

১১৮

নদনদী-__সিন্ধু, বিতস্তা, চন্দ্রভাগা ইরাবতী। : 2 সেতু--উল্লিখিত কয়েকটি নদীর উপরেই সুদৃঢ় সেতু। তন্মধ্যে গাটকের নিকট সিদ্ধুনদের সেতু নিরবচ্ছিন্ন লৌহময়। চন্দ্রভাগার সেও অত্যন্ত বৃহৎ। তু প্রসিদ্ধ স্থান_-পেশোয়ার, নোসেরা, আটক, কেম্েলপুর, হুসেন আবদুল, রাবলপিগ্ডি বা পিণ্ডি, ঝিলম, লীলমুসা, গুজরাট, উজিরাবাদ, লাহোর, মিএামীর, রেউণ্ড, মণ্টগমারী ইত্যাদি লালমুসা হইতেই মুলতান পথ্যন্ত - রেল গিয়াছে, এই রেলওয়ে লাইনের নাম “সিগু-গার রেলওয়ে ।৮.. এই রেলপথে গমন করিলে হারাণপুর, পিশ্ীদাদ্‌ন্‌ খা, বখার, দেরাদিন, পালা, মহন্মদকোট, মজঃফরগড়, সেরসা, দেরাইস্মাইল খ' প্রভৃতি বহুস্থান দেখিতে পাওয়। যায়। সেরসার নিকট সিম্ধুর আর একটি আশ্চর্য সেতু আছে। উজিরাবাদ হইতে শিয়ালকোট দিয়৷ কাশ্মীরের অন্যরাজধানী জন্বু পধ্যন্ত এক শাখা রেলপথ গিয়াছে . লাহোর হইতে মূলতান করাচি অভিমুখে যে পথ গিয়াছে, তাহার এক শাখা ফিরোজপুর পর্য্যন্ত বিস্তৃত। আবার তথ! হইতে রেল পরম্পরায় দিল্লী পধ্যন্ত যাওয়া যায়, ইহা বড়ই ন্ৃবিধাজনক রাস্তা লাহোর হইতে মুলতান ২০৭ মাইল দূরে অবস্থিত রেল বর্টি ইরাবতীর বিশাল সমতল ক্ষেত্রের মধ্য দিয়া সরলভাবে বিস্তৃত হইয়াছে। এইরূপ সরলরৈধিক স্থবিস্তৃত রেলপথ ভারতের আর কোথাও আছে কিনা সন্দেহ স্থল। মুলতান যাইবার পথ বড়ই বৈচিত্র্যময়, সে বিচিত্রতা বাংল! দেশে আমরা কোন দিন অনুভব করিতে পারি নাই ; রেলপথের উভয় পার্শস্থ দৃশ্যাবলী প্রত্যেক বিষয়েই আমাদের নিকট নূতন বলিয়া প্রতীয়মান হইতেছিল-_-কোথাও দিগন্ত- বিস্তৃত বৃক্ষবল্লরীহীন তরঙ্গায়িত বালুকাময় ভূমি, উজ্জ্বল দিবালোকে ঝকমক্‌ করিয়! জ্বলিতেছে, কোথাও বা হরিন্বর্ণ তৃণাবৃত বন্তধাস্ন্দরী শোভমানা-__ আবার কিছু দূরেই সে দৃশ্য পরিবস্তিত হইয়! গিয়াছে। উভয় পার্থে খড্ভুর-তরু-সমাকীর্ণ শ্মামল শপ্পাবৃত প্রান্তরে গো মেষ, মহিষাদি চরিতেছে। এরূপ দৃশ্যবৈচিত্র্যে হৃদয়ে যে অনীম আনন্দানুভব রিয়া- ছিলাম, তাহ কি ভাবায় ফুটিতে পারে ? একটা সামান্য টনের অনা স্থষমার ভিতরে বিশষপতি জগদীশ্বরের যে মহিমা বিকাশ পাইতেছে_ যা

' আমার কি সাধ্য আছে যে, তাহা পরিব্যন্ত করিতে পারি ? অই যে উষার শ্লথ চরণ স্পর্শে পুর্বাকাশে ঈষশুরক্তিমাভা! ফুটিয়া উঠিয়াছে,__এমন চিত্রকর কে আছে যে, তাহা তুলিকাপাতে প্রতিফলিত করিতে পারে ? অই যে সান্ধ্যগ্গনের ভ্লান আভার , এখনও অস্তগামী সূর্য্যের বিদায়-চুম্বনের পাঁডুর চিহ্ন -জাগিয়া৷ রহিয়াছে-প্রকে আছ এমন' কবি, যে ভাষার ঝঙ্কারে মানবের মানসপখে সে মহাসৌন্দে্র একটা আংশিক বিকাশও করিয়া দিতে পার ?. সত্য সত্যই মানুষের এমন "সাধ্য নাই যে নিখিল ব্ঙ্ষাপ্ের এক কণা সৌন্দর্য্য নিজে বুঝিয়া অপরকে বুঝায়। | !

৯২৪

স্মভনত্ভান 1.

আমরা অপরাহ্ন ৪-২০ মিনিটের সময় মূলতান ফেঁসনে উপনীত হইলাম। এস্থান আমাদের সম্পূর্ণ অপরিচিত, সেজন্য এখানকার কমিসরিয়েট বিভাগের জনৈক কর্মচারী শ্রীযুক্ত রাধাকিশোরকুণড মহাশয়ের নামে একখানা অনুরোধপত্র আনিয়াছিলাম। আমরা তাহার গলগ্রহ হওয়া অপেক্ষা কালীবাড়ীতে থাকাই উত্তম বিবেচনা করিয়া শকটা- রোহণে কালীবাড়ীতে উপনীত হইলাম। ইতিমধ্যে কু মহাশয় জানি না কিরূপে সংবাদ পাইয়া আমাদের নিকট আদিলেন এবং তাহার বাসায় যাওয়ার জন্য বিশেষরূপে অনুরোধ করিলেন। দেখিতে দেখিতে আরও কতিপয় বাঙ্গালী ভদ্র মহোদয় আসিয়া নিজ নিজ বাসায় লইয়া যাইবার জন্য বিশেষরূপে অনুরোধ করিতে লাগিলেন, আমরা তাহাদের এইরূপ স্বজাতিগ্রীতি যত চেষ্টার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ প্রদান করিয়া পৃথকতাঁবে অবস্থান করার ইচ্ছা প্রকাশ করায়, তাহারা লাইব্রেরী গৃহটি খুলিয়া, থাকিবার জন্য সর্বপ্রকার স্থবন্দোবস্ত করিয়া দিলেন |

মূলতান দেখিবার জন্য আমাদের এতই গুৎস্থক্য জন্িয়াছিল যে অনশন রাত্রি জাগরণজনিত র্লেশ পধ্যন্তও আমরা বিন্মৃত হইয়। গিয়াছিলাম। বাসস্থানে তল্মী-তল্লা রাখিয়াই নগর দেখিতে বাহির হইলাম। মুলতান পঞ্জাব প্রদেশের একটা প্রধান নগর এবং উক্ত জেলার বিচার-সদর। ইহা অত্যন্ত প্রাচীন নগর কথিত আছে যে দৈত্যকুলোস্ূত হিরণ্যকশিপুর পিতা কশ্থুপ এই নগর স্থাপন করিয়াছিলেন। তখন ইহার নাম ছিল কশ্যপপুর/_প্রাচীন কণ্ঠুপপুরের কোনও নিদর্শন এখানে - দেখিতে পাওয়া যায় না। মহাবীর আলেকজেগারের আক্রমণ হইতেই এই নগরের প্রাচীন ইতিবৃত্ত জানিতে পারা ষায়। তিনি মালবজাতিকে যুদ্ধে পরাজিত করিয়া এস্থান অধিকার করিয়াছিলেন ; পাঠান, মোগল শিখ প্রভৃতি নান! জাতির অধীনে বহুকাল থাকিয়া ১৮৪৯

প্রাচীন ইতিবৃত্ত

১৬. পা ১2 ৯০8০৭ টড ক,

তারত-জ্রমণ | ্বীষ্টাব্দে ইহা ইংরেজাধিকারে আসিয়াছে ইংরেজাধিকৃত হইবার পর হইতেই নগরের বনু পরিমাণ উন্নতি সাধিত হইয়াছে হইতেছে। আমরা প্রথমে কেন্টনমেন্ট দেখিতে যাই উহা! নগরাংশ হইতে প্রায় ৩। মাইল দূরে অবস্থিত মুলতান সহরও নগর এবং ছাউনী এই ছুই ভাগে বিভক্ত। নগরাংশ অপেক্ষা ছাউনীভাগ পরিক্কৃত; তথায়ই অধিকাংশ বাঙ্গালী ভদ্রমহোদয়গণ বাস করিয়া থাকেন। নগরের একটী বাঙ্গালী ভদ্র লোক আদালতের প্রধান উকীল

মূলতান নগরটি চন্দ্রভাগ!, ইরাবতী বিতস্তা সঙ্গমের দেড়ক্রোশ পূর্ববাংশে অবস্থিত। স্থানে একটা ছুর্গ ছিল, অগ্যাপি তাহার ভগ্নাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায় নগরের তিন দিক উচ্চ প্রাচীর দ্বারা বেগ্টিত--কেবলমাত্র দক্ষিণীংশে ইরাবতী নদীর প্রাচীন খাত নগর দুর্গের অভ্যন্তর দিয়া ক্ষীণধারায় মম্র গমনে প্রবাহিত হইতেছে মূলতানের আশে পাশে অনেক দেবমন্দিরের ভগ্নাবশেষ রহিয়াছে আমরা প্রহলাদপুরীটি দেখিবার জন্য উৎস্থকমনে তথায় উপনীত হইলাম | একটী স্থবিশাল মন্দির মধ্যে হরিভক্ত প্রহ্লাদ, হিরণ্যকশিপু এবং নৃসিংহমৃত্তি দর্শনে হৃদয়ে অপূর্ণ ভক্তির ভাব উচ্ছ সিত হইয়া উঠিল। দয়ের দৃঢ়তা একাগ্রতা থাকিলেই যে সাধকেরা সিদ্ধিলাভ করিতে পারেন---প্রহ্লাদের জ্রীবনে তাহা পর্ণরূপে বুঝিতে পারা যায় যেখানে হিন্দুর দেব-মন্দির, প্রায় সেখানেই মুসলমানের কোনও মস্জিদ কিন্যা সমাধিমন্দিব দেখিতে পাওয়! যায কাশী-বিশ্শেশ্বারের বাড়ীর, অযোধায় রামের জন্মভূমির এবং অন্া্য দেবস্থানের মস্জিদই তাহার উদাহরণ স্থল। প্রহ্লাদপুরীর মন্দিরসন্গিকটেও একটী মুসলমানের সমাধি জাছে, উশ্তাকে বাতুল হক সাহেব ফকীরের সমাধি কহে। একদা প্রহলাদ- পুরীর মন্দির অপেক্ষা তন্নিকটে মুসলমানগণ একটা উচ্চ মস্জিদ নিশ্াণ করিতে গিয়া হিন্দু পাণ্ডাগণের মহাক্রোধে. পতিত হুইয়াছিল। এমন কি তাহা লইয়া উত্তয় পক্ষের মধ্যে তুমুল দাজাও ঘটে। রাজকীয় বিচারে মুসলমানগণ পরাজিত হওয়াতে--উত্ত মস্জিদ আর নির্মিত হইতে পারে নাই। |

১২২.

জন 1

আমরা বিশেষ আনন্দের মিরাজ দর্শন করতঃ যোগমায়ার | মন্দির দর্শনার্থ তথায় যাই। সেদিন একাদশী ছিল, হিন্দুনরনারীগণ দলে দলে মন্দিরে উপনীত হইতে লাগিলেন নানাজাতীয় বিধন্মীর তীব্র অত্যাচারের মধ্য দিয়া হিন্দুধন্রের এইরূপ অক্ষয় স্থিতির কথ! চিন্তা করিলে বিস্মিত না হইয়া থাকিতে পারা যায় না। নানাপ্রকার অন্ধকারের ভীষণাবস্থার মধ্য দিয়া এখনও হিন্দুর স্বীয় গৌরবোজ্জ্বল মহিমায় চিরদীপ্তি শালী, ইহাকি হিন্দুধর্দ্দের গৌরব-গরিম। জ্ঞাপক নহে? মন্দিরটি এবং তন্মধ্যস্থ প্রকোষ্ঠটি দেখিতে অতীব মনোহর | দিবা রাত্র দীপ শিখা এখানে প্রজ্ভ্বলিত থাকে--এখানে সূর্যযকুণ্ড প্রভৃতি আরও কতিপয় হিন্দুতীর্থস্থল বিদ্যমান আছে |

আমরা এখানকার বাজার দেখিয়া পরিতোষলাভ করিয়াছিলাম-_ রাস্তাগুলি বিশেষ প্রশস্ত না হইলেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বিবিধ রেসমী পশমী বসনের জাঁকজমক পুর্ণ দৌকানগুলি দর্শকদিগের চিত্ত আকর্ষণ করিয়া থাকে ফল মূলের দোকানের কোন অভাবই নাই। এখানকার স্ফটিকবৎ শুভ্র মিশ্রী এবং বিলাতী পোর্টমেন্টোর মত টিনের বড় বাক্স গুলি বিশেষ প্রসিদ্ধ। আমরা শিশুকাল হইতেই মুলতানি হিঙ্গের কথা শুনিয়া আসিতেছি, তজ্জন্য নিতান্ত উৎস্তক হইয়। নানাস্থানে হিঙ্গের কারখানা দেখিবার উদ্দেশে ভ্রমণ করিলাম, কিন্তু নগরের উপকণ্ে কিম্বা নগরমধ্যে কোন স্থানেই কিছু দেখিতে পাইলাম না। প্রকৃত পক্ষে মূলতানে,,হিজপ্রস্তুত হয়,না। এখান হইতে বহুদূরে সিন্ধুপ্রদেশ এবং বেলুচিস্থানের কোন কোন অংশে হিঙ্গ উৎপন্ন হইয়া মূলতানে আসিত এবং এস্থান হইতে নানাস্থানে রপ্তানী হইত বলিয়া মূলতানি' হি নামে সর্বত্র পরিচিত হইয়া আসিতেছে। পূর্ব এখানে হিঙ্গের বিস্তৃত কারবার ছিল, কিন্তু এখন সে সব কিছুই দেখিতে পাওয়া যায় না। বন্ঠার সময় মূলতান নগরে জল প্রবেশ করে বলিয়া এখানকার স্থানে স্থানে বাধ দৃষ্ হইল। শ্ত্রীষ্মের সময় এখানে দারুণ উত্তাপ বো এখানকার অনেক ধনী ব্যক্তি গোলাপের াপড়ীর উপর: চাদর বি করতঃ আরামে শয়ন করিয়া থাকেন। |

নানাকথা।

১২৩

ভারত-ভ্রমণ। _. মূলতান হইতে ৬৪ মাইল দুরে বাবলপুরের নবাবের বাড়ী। তাহার প্রধান তহশীল কাছারী মুলতানেই স্থাপিত। নবাবের কাছারী হাসপাতাল দেখিবার যোগ্য কমিশনার আফিস, পোষ্টাফিস, টেলীগ্রাফ আফিস একটা বৃহৎ স্বন্দর উদ্যান এবং তন্মধ্যস্থ লাইব্রেরি গুহটি দেখিয়া অত্যন্ত প্রীত হইয়াছিলাম। এখানকার প্রধান অট্রালিক সমুহের মধ্যে আরব দেশবাসী মুসলমান সাধু বহাউদ্দীন রুবস্উল্‌ আলমের সমাধি মন্দির__ বিশেষরূপে উল্লেখ যোগ্য এবং পর্যটক মাত্রেরই অবশ্য দর্শনীয়-_-১৮৪৮- ৪৯ খ্রীষ্টাব্দে নিকটবর্তী দুর্গের বারুদখানায় আগুণ লাগায় সমাধি মন্দিরের নিকটবর্তী আমাদের পুর্ববণিত প্রহলাদপুরীর প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের কতকাংশ উড়িয়া গিয়াছে ছুর্গের মধ্যস্থলে সূষ্যদেবের স্থবৃহৎ মন্দিরটি অবস্থিত হিন্দু ধর্্মদ্বেষী মোগল-সম্রাট আওরঙ্গজেব উহ! ধংস করিয়৷ তদুপরি মস্জিদ প্রাস্তৃত করাইয়াছিলেন। যখন শিখদের প্রাধান্য হয়, তখন সেই জুমা মস্জিদ বারুদখানা রূপে ব্যবঙ্গত হইয়াছিল। সে সময়ে আগুন লাগায় উহার অধিকাংশ নষ্ট হইয়া যায়। ১৮৪৮ খ্রীষ্টাব্ডে মূলরাজ খন বিদ্রোহী হন সে সময়ে ভান্স এগনিউ লেফ্টনাণ্ট এগ্ডার্সন নামে দুইজন ইংরেজ সেনানী নিহত হওয়ায় তাহাদের স্মৃতি রক্ষা করিবার নিমিত্ত দুর্গ মধ্যে ৭০ ফিট উচ্চ একটী স্তস্ত নির্মিত হইয়াছিল। সহরের পূর্বভাগে হিন্দু-শাসন কর্ভাগণের সময়ের নিম্মিত প্রসিদ্ধ আমখাস্‌ (দরবার গৃহ ) এক্ষণে তহশ্গীল কাধ্যালয়ে পরিণত হইয়াছে।

মুূলতান উষ্ণপ্রধান স্থান। দ্বিপ্রহরের সময় কাহার সাধ্য নগরের বাহির হয় ? অঞ্চলে একটা প্রবাদবাক্য প্রচলিত আছে যে ধূলি, ভিক্ষুক কবর এই তিনটী মুলতানের বিশেষত, প্রকৃত পক্ষেও তাহাই দেখিলাম, নগরের এমন অংশ অতি বিরল ষে স্থানে কোন না কোন কবর না আছে। রাস্তায় ধূলি এত বেশী যে পদ্দে পদে ধূলি- ধুসরিত হইতে হয়। লাহোর করাচীবন্দরের সহিত ইহা৷ রেলওয়ে লাইন দ্বারা সংযোজিত থাকায় দিন দিনই এই নগরীর নানারপ শ্রীবৃদ্ধি হইতেছে কান্দাহারবাসী বণিকগণ এখানে আগমন করিয়া ক্রয় বিক্রয়াদি করিয়া থাকে। মুলতানে যে কয়েকটি বাঙ্গালী বাবু আছেন, তীহারা সকলেই ১২৪. ৪.

জলবায়ু।

একান্ত ভদ্রব্যক্তি, প্রায় প্রতি দিবসই আসিয়া আমাঙ্গেন্* সহিত সাক্ষাৎ করিতেন। ইহাদের মধ্যে প্রায় সকলেই সঙ্গীত-প্রিয় এবং কেহ ক্ষেহ সঙ্গীত-কলা-বিশারদও ছিলেন, আমরা নিমন্ত্রিত হইয়া! সঙ্গীত শ্রবণের জন্য গিয়। যারপর নাই প্রীত হইয়া! ফিরিয়া আসিতাম। হুঁহাদের সহিত আমাদের এইরূপ সৌহার্দ্য হইয়াছিল যে মুল্তান পরিত্যাগ সময়ে অশ্রীন্জল. মোচন ন| করিয়া আসিতে পারি নাই সেই স্থ্দূর দেশের বিদায় কালীন শোক-দৃশ্যটি আজ কতকাল পরে এখনও মনে পড়িয়া চিত্ত ব্যথিত

করিতেছে, এখন তীহারাই বা কোথায় মার আমরাই বা কোথায় ! কিন্তু

তবু যেন মানসচক্ষে মুলতান ফ্টেসনের সেই জনতার মধ্যে স্মেহ পরিপূর্ণ মধুর মুখ কয়খানি বাঙ্গালী সুলভ হৃদয়ভরা প্রীতি রাশির সহিত-_বিদায়ের অশ্রভরা সম্ভাষণ দেখিতে পাইতেছি, ইহাকেই না মায়ার বন্ধন ৰলে ?

যখন গাড়ী ছাড়িয়া দিল মুগ্ধের মত জানালার ভিতর দিয়া বন্ধুদের পাঁনে চাহিয়। রহিলাম-_তীহারাও যতদূর পর্্যস্ত গাড়ী দেখা যাইতেছিল ততক্ষণ

পধ্যন্ত আমাদের দিকে চাহিয়াছিলেন। নৈরাশ্য কাতর ব্যথিত নয়ন হইতে

ছুই বিন্দু অশ্রুবারি ঝরিয়া৷ পড়িল। তখন সন্ধ্যা হইয়া আসিয়াছিল, চারিদিকে ম্লান অন্ধকার রাশি পুঞ্জীভূত হইয়া আধিপত্য বিস্তার করিতে লাগিল--আকাশের তারা স্থন্দরীরা নয়ন তুলিয়া! আমাদের দিকে চাহিতেছিলেন। সেই অন্ধকার ভেদ করিয়া বাম্পীয় শকট কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মূলতান হইতে ৬৪ মাইল দূরবর্তী বহাবলপুর নামক স্থানে উপনীত হইল। বহাবলপুরে একজন নবাব আছেন, ইহার সম্বন্ধে অনেক কথা শুনিলাম। ইনি বাঙ্গালীর প্রতি বড় প্রীত নন। বিশেষ এখানে থাকার নানা অন্থুবিধার কথা শুনিয়। আমরা আর এখানে অবতরণ না! করিয়া, বরাবর শিকারপুর হইয়া বেলুচিস্থান টেনে টারমিনাস কোয়েটা নামক কেণ্টনমেণ্ট দর্শনাভিলাষে রূক জংশন নামক ফ্েসনে উপস্থিত হইলাম। বূক জংশন হইতে এক রাস্তা করাচীতে এবং অপরটা কোয়েট।গিয়াছে ;

রূক জংশনে বহুক্ষণ অপেক্ষা করিতে হুইয়াছিল। স্থানের দৃশ্টাবলী নয়নানন্দ দায়ক নহে। ফেঁসনটা এক- উচ্চ টিলার উপরে অবস্থিত। সমতল ক্ষেত্রে যে স্থানে আমরা বাসা করিয়াছিলাম ( মোসাফিরখাঁনা )

৯৫,

ভারত-র্মণ।

সেই স্থান হইতে রেল যাতায়াত দেখা বড়ই কৌতুকজনক শুনিলাম কজংশন ব্রিটিশ গভর্মেপ্টের বহু অর্থব্যয় ওপ্রভূত পরিশ্রমের ফল।

বূকজংশনে আমার সহিস, পাচক ব্রাক্ধণ ভূত্যকে রাখিয়া অপর একটী আত্মীয় সহচর সহকারে কোয়েটাভিমুখে রাত্রি ১২ কি টার সময় রওনা হইলাম রাত্রে অত্যন্ত বৃষ্টি হইয়াছিল। আমাদের টেনের অগ্রে এবং পশ্চাতে দুইখান৷ এপ্রিন,. ছিল। টেনে একজন [100101551 এবং কতকগুলি কুলি 11101176118 অন্তশত্্ থাকার নিয়ম। পার্বত্য দস্তা কর্তৃক টেন আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় কয়েকজন সশস্্ সৈন্য প্রত্যেক টেনে ভ্রমণ করার নিয়ম। প্রীতে দেখিতে পাইলাম আমরা পাহাড়ের বাম পার্খ দিয়া যাইতেছি। কামাদের বাম ভাগেই সেটা নদী। রাত্রে বৃি হওয়ায় নদী খরতরবেগে প্রবাহিত হইতেছে টেনের অন্যান্য অভিজ্ঞ লোকের ন্ট সিরামি বৃষ্টি না হইলে নদীটি শুষ্ক থাকে আমরা নদীর অপর পার্শস্থ পাহাড়েরপার্খ দিয়। অগ্রসর হইতেছিলাম। এখান হইতে নদীর অপর পার্থ পাছাকের সৌন্দর্য্য অত্যন্ত মনোরম গাড়ী চলিতে চলিতে হঠাৎ একস্থানে দাড়াইল এবং সৈনিকগণও কুলীগুলা মিলিত হইয়া কোলাহল করিতে লাগিল আমরাও নামিয়া জনৈক সৈন্যকে জিজ্ঞাসা করিয়! জানিলাম এবং একটু অগ্রবর্তী হইয়া দেখিতে পাইলাম যে দুতিন খান! বড় পাথর পাহাড় হইতে বৃষ্টির বেগে ধসিয়া পড়িয়৷ রাস্তা রন্ধ করিয়াছে। সৈনিকগণ এরং কুলীগণও প্রথম ০শ্রণীর আরোহী কয়েকটী সাহেবও গাড়ী হইতে অবতরণ করিয়া! কুলীদের সাহায্য করিতে প্রবৃন্ত হইলেন। অল্প সময় মধ্যে কয়খান! পাথর স্থানান্তরিত করিয়া! লাইন পরিষ্কার (01677) করিয়া দিলেন। ষে স্থলে পাথর ভাঙ্গা হইল, তাহার পরেই প্রায় ৫০৬০ হাত লম্বা কাঠের সেতু, তগুপরেই টনেল। আমাদের টেন ধীরে ধীরে পুল পার হইয়া টনেলে প্রবেশ করিয়া পুনরায় আর একটা পুল পার হইল আর একটা টনেলের মধ্যে হইতে এঞ্জিন বাহির হইয়াই আবার দণ্চায়মান হইল আমরা আবার কি ঘটিল, তাহা দেখিবার জন্য অগ্রসর হইলাম এবং দেখিলাম পাহাড়ের পার্খ দিয়া যে 11) গিয়াছে তাহার অপর পার্খের অর্থাৎ নদীর

১২৬

দিকের লাইনটার নীচের মাটা -ধসিয়া যাওয়ায় গাড়ী আবার দীড়াইয়াছে। পুনঃ পুনঃ 1506 দেওয়ায় কেটশন হইতে টুলীতে কতকগুলা কুজী আসিয়া! উপস্থিত হইল এবং আমাদের গাড়ীর পথে ইঞ্রিনিয়ারের উপদেশ মত সন্র কতকগুলি পাথরের কুচি সেই লাইনের নীচে ভরিয়৷ দিয়া গেল তত্পরে ষ্টেশন হইতে একখান! ছোট এঞ্রিন আসিয়া ভগ্ন স্থানে লাইনের উপর দিয়। বারকতক যাতায়াত করিয়! পাথরের কুচি গুলি মাটিতে বসিয়া! গেলে, আমাদের এঞ্সিনখান৷ আমাদের গাড়ী সহ ধীরে ধীরে স্থান পার হইয়া গেল। বেলা! প্রায় টার সময় হইতেই অত্যন্ত শীতল বাতাস বহিতে আর্ত করিল, সেদিন (517150777১5 12৬৪এর পুরন দিন। আমর! ক্রমে তই উদ্ধ দিকে যাইতে আরন্ত করিলাম শীত ততই অধিক বোধ হইতে আরম্ত করিল। বেলা চারিটার সময় হইতেই তুষার (91০৮) পড়িতে আরম্ভ হইল। আমাদের পূর্ববঙ্গে যেমন মাঘমাসে কোন কোন দিকে নীহার পাত্র হইতে থাকে, তদ্রপ কুয়াশা ঘন হইয়া নীহার-পাত হইলেই ১।))৬/ পড়া বলে। আমরা একটা 5০700; উপস্থিত হইয়া দেখি যে প্ল্যাটফরমের উপরে জিনিষ ঢাকা ত্রিপলের উপরিভাগে কতকগুলি তুষার পড়িয়া বরফ হইয়া আছে আমরা যাইয়! সাম্য কৌতুকে কৌত্ৃহল বশতঃ উহার কতকগুলা একট! ঘটার মধ্যে ভরিয়া! আনিয়া আমাদের হুকায় জলের পরিবর্তে উহা ভরিয়া ধুত্রপান করিলাম গাড়ী অনেকক্ষণ অপেক্ষ! করায় এবং [11710071015 দৃষ্টে কোয়েটা পৌছিতে অনেক বিলম্ব হইবে বুঝিয়!, এতক্ষণ এস্থানে গাড়ী গৌণের কারণ জানিবার জন্য 5070101) [18506। একটী ইউরোপীয়ানকে জিজ্ভাস করিলাম তিনি অঙ্গুলী নির্দেশ করিয়। দেখাইয়া বলিলেন 41,901, ১০101615 ০91)1152, 11510109506 06011) 17016 001 00617) 555 1740 1151)1)61050 1 01617 দি.” আমরাও দেখিলাম বহু দূরে প্রায় দশবার জন দেশীয় ১০116 বন্দুক হস্তে আসিতেছে, খুব ১1০9৭ পড়িতেছিল বলিয়৷ স্পষ্ট দেখা যাইতে ছিল না। আমরা দেখিতে পাইতেছিলাম ষে, ক্রমেই যেন লোকসংখ্যা কমিতেছে। কেন যে সংখ্যা কম দেখিতে ছিলাম তাহার কারণ বুঝিতে পারিতেছিলাম না। প্রীয় এক ঘণ্টার পরে একজন

৯৭

ভারত-ভ্রমণ 1

দেশীয় সৈনিক ফ্টেসনে আসিবামাত্র তাহাকে 50800718965 ২৪ট! কথা জিজ্ঞাস! করিয়াই তাহার হাতে ধরিয়। ( যেন তাহাকে সাহায্য করিয়া) আমাদের গাড়ীতেই উঠাইয়া দিবামাত্র 11181) ছাড়িয়া দিল। সৈম্টী বেঞ্চের উপর যেন ম্বৃতব পড়িয়া গেল। তাহার হস্তশ্থিত বন্ুকটি ১65610।) [14591 নিজেই গাড়ীতে রাখিয়! দিলেন সৈম্টি অস্পৰ্ট ভাবে তাহার অনৃষ্টের প্রতি ধিক্কার দিতে থাকায় আমরা বুঝিতে পারিলাম, সিপাহিটী লক্ষৌর নিকটস্থ লোক হইবে। আমি অগ্রবন্তী হইয়া জিডঞাস! করায় সিপাহিটা বলিল “বাবু আমাকে বাঁচাও,” ইহা বলিয়াই সে ক্রন্দন করিতে লাগিল। ক্রমশঃই যেন তাহার কণ্টরোধ হইয়! আসিতেছিল। তখন আমরা সকলেই চেষ্টা করিয়া তাহার পরিধেয় পোষাক ইত্যাদি খুলিয়া আমাদের সঙ্গের কম্বল প্রভৃতি শীতবস্ত্র দ্বারা তাহারে বোষ্ঠিত করিয়। তাহার নিকট কাঙ্গারা ধরিলাম, কাঙ্গারা একটী বেতের ছাউনি বিশিষ্ট একটা মাটার হাড়ি, তাহাতে আগুণ থাকে এঁ হাড়ীটা ইচ্ছা করিলে কোটের মধ্যে রাখিয়া বক্ষে অগ্নির উত্তাপ লওয়া যাইতে পারে ইহা পিগি হইতে আনিয়াছিলাম আমার সঙ্গর ডাক্তার বাবু ছুই আউন্ন ০. 1 ৮১575 পান